Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের মডেলের (Yogi Model) প্রশস্তি! শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এক সাংসদের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সংসদ ‘জাতীয় পরিষদে’ ভাষণ দিচ্ছেন এক সাংসদ। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশের) বাজেট এবং কর রাজস্বের তুলনা করেছেন। উভয়ের মধ্যে আর্থিক ব্যবধানও তুলে ধরেছেন। পাক সাংসদের এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় দুই দেশেই।

    পাক সাংসদের বক্তব্য (Yogi Model)

    পাকিস্তানের ওই সাংসদ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বাজেটের আকার এবং রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের আর্থিক পদ্ধতির জনসমক্ষে সমর্থন বলে অভিহিত করেছেন। আর পাকিস্তানে এই বিবৃতিটি ফেডারেল সম্পদ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ক্লিপে ওই সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের মোট বাজেট ৬২ বিলিয়ন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের বাজেট ৯৭ বিলিয়ন ডলার।”

    ‘যোগী মডেলে’র বিরল সমর্থন

    তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের মোট কর রাজস্ব ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের কর রাজস্ব ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” সাংসদ মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানের কর রাজস্ব উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম। ভারতের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার একে ‘যোগী মডেলে’র (Yogi Model) এক বিরল সমর্থন হিসেবে দেখছেন। এই শব্দটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনশৈলীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

    প্রসঙ্গত, এই ক্লিপটি পাকিস্তান কীভাবে তার রাজস্ব পরিচালনা করে এবং সম্পদ বণ্টন করে, তা নিয়ে আলোচনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে। পাক সংসদে বর্তমানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলছে (Pakistan)। ভাইরাল মন্তব্যগুলি সেই আলোচনায় নয়া দিক উন্মোচন করেছে (Yogi Model)।

  • Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিন মাসের মধ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express)! বালোচিস্তানের কাছে বুধবার সকালে পাকিস্তানের (Pakistan) জাকোবাবাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল জাফর এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাক সেনা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হল?

    বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, এদিনও কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷ এমনিতে স্বাধীনতার দাবিতে অশান্ত বালুচিস্তান ৷ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর আগে মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিল ৷

    অতীতেও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস

    প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীদের। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার বড় হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসে। এর আগে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় ট্রেনে থাকা পাক সেনাদের। পালটা বালোচদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৪ জনের। যার মধ্যে ছিলেন, ১৮ জন পাক সেনা ও ৩৩ জন বিদ্রোহী।

     

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • PM Modi: ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক! জি-৭ সম্মেলনে একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক! জি-৭ সম্মেলনে একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দিয়ে ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছে নানা দিক। কখনও তাঁকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে, আবার কখনও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। এ ছাড়াও, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছেন মোদি।

    জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে বৈঠকে

    জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সবুজ শক্তি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও উদ্ভাবনের মতো বহু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদি। এই বৈঠক করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলেই জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাস দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ভবিষ্যতে ভারত এবং জার্মানি একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

    মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম বৈঠক

    মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম পার্ডোর সঙ্গেও প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হন মোদি। দুই নেতা ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাণিজ্য, স্টার্ট-আপ, উদ্ভাবন, কৃষি, ওষুধ শিল্প এবং সেমিকন্ডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ‘স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মোদি (PM Modi) দ্বিপাক্ষিক বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য, উদীয়মান প্রযুক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন, শিপবিল্ডিং এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়।

    ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে মোদির ‘পুল অ্যাসাইড’ বৈঠকে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে মত বিনিময় হয়। মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে মোদি বলেন, ‘‘এক জন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারা সব সময়েই আনন্দের।’’ একই সঙ্গে ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককে ‘ব্যতিক্রমী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আলোচনা শেষে মোদি জানান, “ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে।” মেলোনির সঙ্গে বৈঠক সেরে মোদি জানান, ইটালি ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে। এই বন্ধুত্বের ফলে উপকৃত হবে দুই দেশের মানুষই। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে আলোচনায় মোদী বলেন, ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করে যাবে।

    সন্ত্রাস দমনে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে কথা মোদির

    কানাডায় জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থানের কথাও বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের ধন্য়বাদও জানান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে ‘মানবতা’-র উপর হামলা বলে মন্তব্য করেন। কিছুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে মেরেছিল পাক জঙ্গিরা। তার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্সের বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেয় বহুদলীয় ৭টি প্রতিনিধি দল। জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাসদমনে ভারতের বার্তা স্পষ্ট করে দেন মোদি। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও ডবল স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত নয়। গত ২২ এপ্রিল যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল, তা কেবল পহেলগাঁওয়ের উপর হামলা ছিল না। তা প্রত্যেক ভারতীয়র আত্মা, পরিচয়, মর্যাদার উপর হামলা ছিল। পুরো মানবতার উপর হামলা হয়েছিল।”

    ক্রোয়েশিয়ায় মোদি

    পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায় বুধবার ভোরে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর তিন দেশের সফরের শেষ পর্যায়ে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফর সম্পন্ন করেছেন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি  বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কানাডা সম্পর্কে নতুন মোড়। কানাডার (Modi Meets Carney) সঙ্গে ভারতের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কার্নির আমন্ত্রণেই মোদির এই সফর। কানাডার (India Canada) কানানাসকিসে জি৭ সম্মেলনের ফাঁকেই দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে তাঁরা উভয় দেশেই নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত কনসুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়।

    মোদির অভিনন্দন, বৈঠক ফলপ্রসূ

    কানাডা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে (Modi Meets Carney) সফলভাবে জি৭ সম্মেলন আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভারত ও কানাডা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” এক্স -এ পোস্ট করে মোদি জানান, “প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা বাণিজ্য, শক্তি, মহাকাশ, ক্লিন এনার্জি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও সারসহ একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছি।” কানাডায় জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থানের কথা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের ধন্য়বাদও জানান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে ‘মানবতা’-র উপর হামলা বলে মন্তব্য করেন। এদিন জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেন মোদি।

    নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে ঐকমত্য

    ভারত ও কানাডা (India Canada) ঘোষণা করেছে, তারা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে নাগরিক এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগনো যাবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই নেতা পারস্পরিক সম্মান, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।” মোদি আরও বলেন, “জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৫ সালের পর আবার কানাডায় আসার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি বলেন, ভারত-কানাডা সম্পর্ক বহু দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। “অনেক কানাডিয়ান কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগ করেছে। একইভাবে ভারতীয় কোম্পানিও কানাডায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এই দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করে মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”

    নিজ্জর হত্যা ও সম্পর্কের অবনতি

    ২০২৩ সালের জুন মাসে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। কানাডা ভারতের কয়েকজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার হাইকমিশনার ও পাঁচজন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয় এবং পাল্টা কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ভারতের অভিযোগ, কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপে প্রশ্রয় দেন। চলতি বছর মার্চ মাসে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। ট্রুডোর পদত্যাগের পর ভারত আশা করে, নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের উন্নতি

    মার্ক কার্নি ক্ষমতায় এসেই ভারতের (India Canada) সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন। জি৭ সম্মেলনে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বলে দাবি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। উভয় দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাইকমিশনারদের পুনরায় নিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে বলেই খবর। সম্প্রতি দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থা আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। কানাডা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘দুই দেশের বন্ধুত্বকে মজবুত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী আমরা।’’ কার্নির দাবি, ‘‘দুই দেশই জ্বালানি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) সহযোগিতার কথা ভাবছে।’’ উল্লেখ্য, কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ, যা দেশটির জনসংখ্যার ৪.৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৭.৭ লক্ষ শিখ সম্প্রদায়ের। এছাড়া প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয় ছাত্র, পেশাদার ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কানাডায় বসবাস করছেন। ২০২২ সালে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ (৪১ শতাংশ)। তবে সাম্প্রতিক অভিবাসন নীতির পরিবর্তনের ফলে ভারতীয় ছাত্র ও কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় উভয়েই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের কানাডা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডার কার্নি সরকারের আমন্ত্রণে এই সফরে তিনি গিয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী কানাডার মাটিতে পা রাখার পরেই আন্দোলনের নামে ‘নোংরামি’ করতে শুরু করেছে কানাডার জল-হাওয়ায় আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক খালিস্তানপন্থী (Khalistanis) শিখ সংগঠন।

    বিক্ষোভকারীদের আপত্তিকর স্লোগান (Khalistanis)

    কানাডার অ্যালবার্টায় বসেছে জি৭-এর শীর্ষ বৈঠক। সোমবার সেখানেই যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ক্যালগারি শহরে প্রতিবাদ র‍্যালি করে খালিস্তানপন্থী নেতারা। বিক্ষোভের সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা আপত্তিজনকভাবে ‘মোদিকে খুন করো’ স্লোগান দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্যালগেরি সিটি হলের বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। তারা খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা ওড়াচ্ছিল। পোস্টারগুলিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দে করা হয়েছে। একটি পোস্টারে তাঁকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এবং অন্যটিতে জেলের ভেতরে দেখানো হয়। পোস্টারের নীচে লেখা, আমি নিজ্জরকে হত্যা করেছি, যিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন শিখস ফর জাস্টিসের একশোরও বেশি সদস্য। সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বকশিস সিং সান্ধু বলেন, “কানাডায় মোদির উপস্থিতি ছিল ভারতকে দায়ী করার একটি সুযোগ।” খালিস্তান গণভোটের বিষয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি জি৭ নেতাদের আহ্বানও জানান। তাঁর দাবি, এটি পাঞ্জাবের ওপর কথিত দখলদারিত্ব শেষ করার একটি পদক্ষেপ।

    শিশুদের লেলিয়ে দিল খালিস্তানপন্থীরা!

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে (Khalistanis), ভারতকে অপমান করতে খালিস্তানপন্থীরা এগিয়ে দিয়েছে শিশুদের। তারা ভারত বিরোধী প্রচার করছে। অবমাননা করছে ভারতের জাতীয় পতাকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজন নাবালককে। ভিডিওর ছবি থেকেই স্পষ্ট, খালিস্তানপন্থীরা ফ্রেমের বাইরে দাঁড়িয়ে শিশুদের উৎসাহিত করছে ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবিকে অপমান করতে। সব মিলিয়ে মোট ৬ জন শিশু এই ঘটনায় জড়িত। অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী মঞ্জিন্দর সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করার শপথ নিচ্ছেন।

    লজ্জিত ভারতীয় শিখরা

    কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের এহেন আচরণে যারপরনাই লজ্জিত ভারতে বসবাসকারী শিখরা। বিজেপির শিখ নেতা মঞ্জিন্দর সিং সিরসা বলেন, “কানাডায় যা ঘটছে, যেখানে শিখ শিশুদের ঘৃণা ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দেখে প্রতিটি শিখ গভীরভাবে ব্যথিত ও লজ্জিত।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত অবাক করার মতো ঘটনা। কীভাবে কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করছে। তাদের এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা তালিবানি প্রোপাগান্ডার মতো মনে হচ্ছে।” সিরসা বলেন, “বিশ্ববাসীর কাছে এটি শিখ শিশুদের ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বের চোখে শিখদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের চরমপন্থী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে গুরু গ্রন্থ সাহিব জি-র শিক্ষার ও শিখ ধর্মের মূলনীতির বিরোধী। এই ধর্ম আলাপ আলোচনা ও মানবসেবার ওপর জোর দেয় (Khalistanis)।”

    মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টার বক্তব্য

    অল ইন্ডিয়া অ্যান্টি-টেররিস্ট ফ্রন্টের সভাপতি মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টা বলেন, “যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়, তখন কীভাবে ভারতের শিখ সম্প্রদায় নীরব থাকে?” আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং বলেন, “আমি মনে করি আজকাল যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে বাচ্চারা যা করছে, তার অনেক কিছুই তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না। তাই এটা আমাদের, মানে বড়দের এবং পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের বুঝিয়ে বলা আসলে কী ঘটছে। যা ঘটেছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।” তক্ত শ্রী হরমন্দির সাহিবের সেক্রেটারি, হরবংশ সিং বলেন, “এটি দেখে এবং শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। যা ঘটেছে, আমরা তা সমর্থন করি না (PM Modi)। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি যা করছেন, তিনি তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন (Khalistanis)।”

    শিশুদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে

    সর্দার ত্রিলোচন সিং বলেন, “এরা অন্য একটি দেশের শিশু, যাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে, এবং তারা ভারতের মানুষের অনুভূতিকে উসকে দিচ্ছে। তাদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে, যা কোনও অ্যাঙ্গেল থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডা সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে এভাবে অপমান করা একেবারেই ঠিক হয়নি। তিনি শিখ সম্প্রদায়, দেশ এবং বিশ্বের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।”

    কানাডায় লালিত হচ্ছে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন

    দেশ এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর অপমানে যখন ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় শিখরা, তখন কানাডায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় একাধিক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এদের মধ্যে সব চেয়ে পুরানো হল ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন। ১৯৮১ সাল থেকে এই সংগঠনটি কানাডা থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনে অর্থায়ন করে। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কনিষ্ক’ বিমানে বোমা হামলার নেপথ্যে ছিল এই সংগঠনই। এই সংগঠনটিই হত্যা করেছিল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বেন্ট সিংকে। এর প্রধান নেতা ওধওয়া সিং বাব্বর বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে (Khalistanis)।

    ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ একাধিক সংগঠন

    ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন’ও। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং কানাডায় এদের শাখা রয়েছে। সেই সব দেশ থেকেই পরিচালিত হয় এই সংগঠনের কাজকর্ম। এদের মূল লক্ষ্য হল ‘খালিস্তান’ গঠন করা। এই সংগঠনকে টাকা জোগায় কানাডার বাসিন্দা জঙ্গি মানবীর সিং দুহদা। খালিস্তানপন্থী আর একটি গোষ্ঠী হল ‘শিখ লিবারেশন ফ্রন্ট’। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এর কার্যকলাপের ওপর সবসময় নজর রাখে। বর্তমানে এর কাজকর্ম পরিচালনা করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা মনিন্দর সিং বুয়াল। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ও। এরা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শিখ যুবকদের খেপিয়ে দেয় এবং তাদের দিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে (PM Modi)।সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে চলেছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’। এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুপতওন্ত সিং পান্নু। এর কাজকর্ম পরিচালিত হয় আমেরিকা থেকে। ইউএপিএ আইনে মোদি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এই সংগঠনকেও। এরা প্রায়ই ভারতের মানচিত্র বিকৃত করে এবং ভারতীয় নেতাদের হত্যার হুমকি দেয়।

    জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন

    হিংসার মাধ্যমে খালিস্তান গঠনের লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল ‘খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সে’র। এর নেতা ছিল পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই সংগঠনের (Khalistanis)। কানাডায় মাথা তুলেছে ভারতে নিষিদ্ধ আরও একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এরা হল ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এর প্রতিষ্ঠাতা জগতার সিং তাড়া। এক সময় সে ছিল বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। পরে গড়ে নিজস্ব সংগঠন। ১৯৯৫ সালের ৩১শে অগাস্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল জগতার সিং তাড়া। ২০১৫ সালে তাইল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে (PM Modi)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার এই ঘটনার (ভারত ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান) পর জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিত কানাডার কার্নি সরকারের। কারণ বর্তমানে যে বিষবৃক্ষের চারা তারা লালন করছে, সেই গাছে ফল ধরলে কিন্তু কানাডার হাল হবে পাকিস্তানের মতোই (Khalistanis)।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের মধ্যে  যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। টানা চার দিন ধরে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। এই সংঘাতের আবহে রবিবার ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেম। এর মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করা হলেই যুদ্ধ শেষ হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে খামেনেই কোনও এক অজানা জায়গায় নিরাপদ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।

    খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, ইজরায়েল কি খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? জবাবে তিনি (Netanyahu) বলেন, ‘‘যা করতে হবে, আমরা তাই করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁকে সরাতে পারলে এই সংঘাত শেষ হবে।’’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল আগেও ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে টার্গেট করতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় বাধা দেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “ইরান কি এখনও কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে? এর উত্তর হল, না। তাই, যতক্ষণ না তারা এধরনের কাজ করছে, আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশানা করার কথাও ভাবছি না।”

    মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে ইরান

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) মতে, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে। তাঁর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছর ধরে এই শাসনব্যবস্থা গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এরা সবাইকে ভয় দেখায়। এরা সৌদি আরবের আরামকো তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। এরা সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।” ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয়, ইজরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক। এই বিপদ খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকাতেও পৌঁছাতে পারে।”

    নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, চড়ছে উত্তেজনার পারদ

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইজরায়েল সত্যিই খামেনেইকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এতে শুধু ইরান ও ইজরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলিও জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর হামলা হলে সেটি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয় পুরো ইরান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর

    অন্যদিকে, ইজরায়েল লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের উপর। ইহুদিদের চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সরকারি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। প্রসঙ্গত, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে হামলা চালানো হবে, এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর ধ্বংস হয়েছে। এর জেরে গোটা ইরানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানের নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানান, তাঁরা যেন দ্রুত শহর ছেড়ে দেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তেহরানে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চলবে।

    আতঙ্কিত ইরানবাসী

    হামলার ফলে তেহরানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিদেশি দূতাবাসের দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে। এই সংখ্যা ইরানের মোট মিসাইল লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে, তারা ইজরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। ইরান ও ইজরায়েলের এই সংঘাতের আবহে আকাশে বিস্ফোরণের ধোঁয়া পর্যন্ত দেখা গেছে। দুই দেশের এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলায় ইজরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইজরায়েলের হামলায় ইরানের ২২৪ জন নাগরিক মারা গেছেন।

  • Indians leaves Iran: আর্মেনিয়া হয়ে দেশের পথে, ইরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর কাজ শুরু

    Indians leaves Iran: আর্মেনিয়া হয়ে দেশের পথে, ইরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর কাজ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indians leaves Iran) ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল দিল্লি। তাঁদের আর্মেনিয়া হয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, প্রথম লপ্তে নিয়ে আসা হচ্ছে ১০০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে। সোমবার রাতেই ওই পড়ুয়ারা আর্মেনিয়া পার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইরানে (Israel-Iran War) আটকে রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।

    কোন পথে আসছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাত (Israel-Iran War) শুরু হওয়ার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েন অন্তত ১০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার (Indians leaves Iran) পরিবারের মানুষজন। কারণ, এত সংখ্যক পড়ুয়া ইরানের নানা শহরে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য তেহরানের কাছে আর্জি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে পদক্ষেপ করার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছেও। ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইরান। ১০ হাজার ভারতীয় নাগরিক যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে বলে জানায় তেহরান। ইরান জানিয়েছে, আকাশপথ বন্ধ থাকায় আপাতত বিমানে ভারতে যাওয়ার উপায় নেই। তবে স্থলবন্দর দিয়ে ইরান ছাড়তে পারবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। সে ক্ষেত্রে আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান এবং আফগানিস্থান হয়ে স্থলপথে ভারতে ফিরতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা।

    পরিস্থিতির উপর কড়া নজর ভারতীয় দূতাবাসের

    ইরানের (Israel-Iran War) তরফে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই মতো ভারতীয়দের (Indians leaves Iran) ফেরানোর পালা শুরু হল। শুক্রবার থেকেই শুরু হয় ইজরায়েল-ইরান সংঘাত। এর পরেই ইরানে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকার জন্য একটি অ্যাডভাইজরি দেওয়া হয় তেহরানে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। তাতেই ওই ভারতীয়দের নিয়মিত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তেহরানের ভারতীয় দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, তারা পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে। ইরানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয় দূতাবাসের তরফে।

LinkedIn
Share