Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nepal News: ‘‘ফিরে এসো রাজা, রক্ষা করো দেশকে’’, নেপাল কি ফের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার পথে?

    Nepal News: ‘‘ফিরে এসো রাজা, রক্ষা করো দেশকে’’, নেপাল কি ফের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ২৮ মে নেপালে (Nepal News) হিন্দু রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে, প্রসঙ্গত তার আগে ২৩৯ বছর ধরে হিন্দু রাজাদের শাসন ছিল নেপালে। ক্ষমতাচ্যুত হন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ (Hindu Monarchy)। এরপরেই ২০০৮ থেকে নেপালে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু বর্তমানে ফের সেই রাজারই দ্বারস্থ নেপালের (Nepal News) জনগণ! গত রবিবার কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষের ভিড়! তাঁরা সবাই জ্ঞানেন্দ্র শাহের সমর্থক। তাঁদের একটাই দাবি, ফের নেপালে ফিরুক রাজতন্ত্র। ফের নেপাল হয়ে উঠুক হিন্দু রাষ্ট্র।

    প্রিয় রাজার জয় হোক, স্লোগান শোনা গেল

    বিমানবন্দরের সামনে জমা হওয়া এই বিপুল মানুষের ভিড় থেকে স্লোগান শোনা গেল, ‘‘রাজপ্রাসাদ ছেড়ে দেওয়া হোক রাজার জন্য। ফিরে আসুন রাজা। দেশকে রক্ষা করো। প্রিয় রাজার জয় হোক। আমরা রাজতন্ত্র চাই।’’ পরিস্থিতি এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরেই দ্রুত এলাকা ঘিরে ফিরে পুলিশ। যদিও কোনও রকম হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তবে নেপাল (Nepal News) আরও একবার আন্দোলিত হল হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে।

    ১৭ বছরে ১৩টি সরকার, কোনওভাবেই আসেনি স্থিতিশীলতা

    ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান হওয়ার পরেই রাজা জ্ঞানেন্দ্র হয়ে যান আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই আম নাগরিক। সেই সময় বহু মানুষেরই বিশ্বাস ছিল এবার রাজা ফের একবার ফিরবেন। তবে কেন এমনটা হল। কেনই বা হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হল নেপাল (Nepal News)? উল্লেখ্য ২০০৮ সাল থেকে এযাবৎ ১৩টি সরকার দেখেছে নেপাল। তবে কোনওটাতেই রাজনৈতিক স্থিরতা আসেনি বরং বেড়েছে দুর্নীতি। অর্থনীতি ধুঁকতে শুরু করেছে। ফলে এবার সেদেশের মানুষের বড় অংশই মনে করতে শুরু করেছেন এই অস্থিরতা থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র রাজতন্ত্রই।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারী বাহাদুর ভান্ডারি

    ৭২ বছরের বাহাদুর ভান্ডারি রবিবার হাজির হয়েছিলেন কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে। বিবৃতি দেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘আমরা এখানে (বিমানবন্দরের সামনে) এসেছি রাজার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে। এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গে মিছিল করে এগিয়ে যেতে। দাবি তাঁকে ফের রাজপ্রাসাদে ফিরিয়ে দিতে হবে।’’ পেশায় ছুতোর বাহাদুর ২০০৬ সালে এভাবেই রাজপথে নেমেছিলেন রাজাকে গদিচ্যুত করতে। কেন হঠাৎ মত বদল কেন? বাহাদুর উত্তর দিলেন, ‘‘সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটা হল, দেশে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। যে সমস্ত রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা কেউই দেশের জন্য কিছু করেননি। আমি সেই প্রতিবাদেও ছিলাম, যার ফলে রাজতন্ত্রের অবসান হয়েছিল। তখন ভেবেছিলাম এতে দেশের ভালো হবে। কিন্তু আমি ভুল করেছিলাম। দেশ আরও ডুবেছে পরবর্তী সময়ে। আর তাই আমি এখন মত বদল করেছি।’’

    কী বলছেন বিক্ষোভকারী স্কুল শিক্ষক রাজেন্দ্র কুনওয়ার

    হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে রবিবারই পথে নেমেছিলেন রাজেন্দ্র কুনোয়ার। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে নেপালে স্থিতিশীল অবস্থা (Nepal News) নেই। মূল্যবৃদ্ধি চরম আকার ধারণ করেছে। বেড়েছে বেকারত্ব। এর পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যপরিসেবা ভেঙে পড়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নেপালে যে আইন রয়েছে তা জনসাধারণের উপর প্রযোজ্য হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে তা দেখা হচ্ছে না। এই কারণেই আমাদের দেশের রাজতন্ত্রের প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০৮ সাল থেকে নেপালে ১৩ টি সরকার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কখনও স্থিতিশীলতা বজায় থাকেনি।

    এমন আন্দোলন নতুন কিছু নয়

    নেপালের রাজাকে ফেরানোর এমন আন্দোলন কি নতুন? এর উত্তরে আমাদেরকে জানতে হবে এটা প্রথম বা নতুন কিছু নয়। রাজতন্ত্র অবসানের আগে নেপালের রাজাকে অধিকাংশ মানুষই শ্রদ্ধা করত। তবে ২০০৫ সাল থেকে রাজার ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এরপরে ২০০৬ সাল থেকেই রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজেন্দ্র শাহকে অপসারণ করার জন্য আন্দোলন চলতে থাকে। রাজতন্ত্রের অবসানের পরও রাজাকে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ কিন্তু বন্ধ হয়নি। হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে ফের একবার নেপাল উত্তপ্ত হয়েছিল সাম্প্রতিক ২০২০ সালে। সেই সময় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল দেশজুড়ে। পথে নেমেছিল একাধিক হিন্দু সংগঠন। নেপালের পূর্বাঞ্চলেও এই বিক্ষোভ সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে। প্রসঙ্গত, পূর্বাঞ্চলেই বাড়ি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির। ২০২৩ সালে এরপরে আরও একবার বিক্ষোভ উত্তাল আকার ধারণ করে। রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে এই বিক্ষোভে জনতাকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরবর্তীকালে ফের একবার বিক্ষোভ দেখা গেল ২০২৫ সালে। এই বিক্ষোভ শুরু হয় রবিবারই। নেপালে যে বিক্ষোভ দেখা গেল তার পিছনে ছিল রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি। প্রসঙ্গত এই রাজনৈতিক দল নেপালে একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বলে পরিচিত। সে দেশের সংসদে পঞ্চম বৃহত্তম দল।

    কেন নেপালে এমন আন্দোলন দেখা যাচ্ছে

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, নেপালের (Nepal News) জনগণ প্রজাতন্ত্র নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। তার একাধিক কারণ রয়েছে। তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে নেপালে। ২০১৫ সালে নেপালের প্রকৃত জিডিপি ৯ শতাংশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু তা গত পাঁচ বছর ধরে ক্রমশই নিচে নেমে এসেছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধিও। নেপালের মানুষদের ধারণা, রাজতন্ত্র ফিরলে এগুলির সমাধান হবে।

    জ্ঞানেন্দ্র শাহ কী বলছেন?

    তবে যাঁকে কেন্দ্র করে বর্তমানে নেপালের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছেন সেই জ্ঞানেন্দ্র শাহ কী বলছেন? তাঁকে ফেরানোর দাবিতে কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে যে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে সে নিয়ে জ্ঞানেন্দ্র শাহ কোনও বিবৃতি দেননি। কিন্তু এই আবহে তিনি নেপালের বিভিন্ন অংশে সফর করছেন। এতেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে নেপালের জনগণের যে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে, তাকে ফেরানোর দাবিতে তা তিনি সমর্থন করছেন। তিনি নিজেও রাজা হিসেবে ফিরে আসতে চান। প্রকাশ্যে জ্ঞানেন্দ্র শাহ সারাদেশের কাছে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাতত জ্ঞানেন্দ্র অপেক্ষা করছেন এবং তিনি দেখছেন এই বিক্ষোভটি কতটা শক্তিশালী হয় এবং কত দূর তা চলতে পারে।

    নেপালে কীভাবে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছিল

    ২০০৮ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন পুষ্প কমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড। এর আগে তিনি ছিলেন বিদ্রোহীদের একজন কমান্ডার। তাঁর নেতৃত্বেই ৪৮ মাসের একটি নয়া সংবিধান প্রণয়ন করেছিল নেপাল। তৈরি করা হয়েছিল একটি গণপরিষদ। এরপরে দীর্ঘ রাজনৈতিক কোন্দল দেখা যায় নেপালে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্প বিধ্বস্ত করে দেয় নেপালকে। যার ফলে ৯০০০ মানুষ মারা যান। এরপরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরেই নয়া সংবিধান পেশ করা হয় নেপালে। ফের ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফের একবার নয়া সংবিধান পেশ করা হয় নেপালে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত সুশীল কৈরালা তখন বলেন যে এটাই আসলে জনগণের সংবিধান যা পাস হল। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে নেপাল জুড়ে ভোট হয়।

  • Balochistan Liberation Army: ১৫০ পণবন্দি উদ্ধার, মহিলা-শিশু যাত্রীদের ছেড়ে দিল বালোচরা, কী চায় বিএলএ?

    Balochistan Liberation Army: ১৫০ পণবন্দি উদ্ধার, মহিলা-শিশু যাত্রীদের ছেড়ে দিল বালোচরা, কী চায় বিএলএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর সেনা অভিযানের পর ২৭ জঙ্গিকে নিকেশ করে মোট ১৫০ পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে পাক সেনা। এখনও বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) হাতে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) হওয়া জাফর এক্সপ্রেসে (Jaffar Express) আটকে বহু যাত্রী। সূত্রের খবর, অপহৃত ট্রেন থেকে যাত্রীদের মুক্ত করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। এর ফলে নিহত হয়েছেন ২০ জন সেনাও।

    রাতভর উদ্ধার অভিযান

    মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কাচ্চি বোলান জেলার পেহরো কুনরি এবং গাদালার মধ্যবর্তী এলাকায় আটকে দেয় স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ (Balochistan Liberation Army)। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুই শতাধিক যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিদ্রোহীরা বিবৃতি দিয়ে জানায়, যাত্রীদের মুক্তির শর্ত হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দাবি মানতে হবে। খবর পেয়েই পাকিস্তানের সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযানে অংশ নেয় স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর কমান্ডো বাহিনীও। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই অভিযানে নামে পাক সেনা। রাতভর চলে অভিযান। কিন্তু এখনও পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পাক সেনা।

    বিদ্রোহীদের রণকৌশল

    পাক সেনাবাহিনীকে রুখতে রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। উড়ন্ত ড্রোনকেও গুলি করে নামানো হয়। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর বুধবার সকালে সেনা বাহিনী অন্তত ১৫০ জন যাত্রীকে মুক্ত করেছে বলে খবর। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু রয়েছে। আহত অন্তত ১৭ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য বিদ্রোহীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে পাক সেনার দাবি, অভিযানে ২৭ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং বাকিদের খুঁজে বের করতে এখনও অভিযান চলছে। এখনও পণবন্দি যাত্রীদের কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্ক নেমে এসেছে পাকিস্তানে। পণবন্দিদের মধ্যে মহিলা, শিশু ও অসুস্থদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি বালোচ জঙ্গিদের। তাদের দাবি, মূলত পাকিস্তান সেনা, পুলিশ, গুপ্তচর সংস্থার সক্রিয় কর্মীরাই পণবন্দি হিসেবে রয়েছেন।

    বালোচ লিবারেশন আর্মি

    পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে বিএলএ, ‘বালোচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ)-র মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ। প্রতিবাদ দমন করতে পাক সেনা এবং ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনী সেখানে ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    বালোচ লিবারেশন আর্মির লক্ষ্য

    বালোচ লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে পৃথক বালোচিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই অঞ্চল। এই এলাকা আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিম ইরানের সীমান্ত ঘেঁষা। গত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্যাস ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বালোচিস্তান শোষণ করছে পাকিস্তান। অথচ, এই খনিজ সম্পদের কোনও সুবিধা এখানকার জনগণের কাছে পৌঁছয় না। আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তের খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলেই এই বিএলএ গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বেশি।

    বালোচিস্তানে পাক-নিপীড়ণ

    বালোচিস্তান (Balochistan Liberation Army) অঞ্চলটি পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ডামাডোল ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এই অঞ্চলকেও গ্রাস করেছে। জোর করে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা বালোচ প্রদেশে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালায় পাক-সেনা, এমনই দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের। বালোচিস্তানে রয়েছে একটি গভীর জলবন্দর এবং এখানকার বেশ কিছু প্রজেক্টে বেজিংয়ের বিনিয়োগ রয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজে সমৃদ্ধ বালুচিস্তানে সেখানকার নাগরিকরা যাতে লাভবান হন, তাঁদের যাতে বঞ্চিত না হতে হয়, সেই দাবিতেই সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত বালোচ লিবারেশন আর্মি। ২০০২ সালে পাক সেনা ও নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় এই সংগঠন। তখনই পাক সরকার প্রমাদ গোনে। প্রথমবার তাদের শক্তি টের পাওয়া যায় লাহোরে। এর পরে এক মহিলা জঙ্গি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় করাচির বিশ্ববিদ্যালয়ে। বালোচিস্তানের দাবিতে বিদ্রোহ করা সমস্ত গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছে বিএলএ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সব থেকে বড় অভিযান জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক। এই ঘটনায় নড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রতিদিন জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানই এখন হিংসার কবলে।

  • PM Modi: এনিয়ে ২১টি দেশের! এবার মরিশাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi: এনিয়ে ২১টি দেশের! এবার মরিশাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ‘গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশান’ সম্মানে ভূষিত করল মরিশাস (Mauritius Highest National Award)। প্রসঙ্গত, এটাই হল মরিশাসের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। মঙ্গলবার, ১১ মার্চ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম এই সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগেও বিভিন্ন দেশে সফরে গিয়ে সেই সব দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এ নিয়ে ২১টি দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    এই সম্মান ভারত ও মরিশাসের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের, বললেন মোদি

    বর্তমানে মরিশাস সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই পোর্ট লুইসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি মোদি এবং রামগুলাম। সেখানেই সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সে সময় গোটা সভাঘর করতালিতে ফেটে পড়ে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম জানান, ১৯৯২ সালের ১২ মার্চ মরিশাস প্রজাতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পর, পঞ্চম বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রথম যে বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই সম্মান পেয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। মরিশাসের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রদানের জন্য মরিশাসের জনগণ এবং সেই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিনীতভাবে এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। এই সম্মান ভারত ও মরিশাসের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের।’’

    ভোজপুরী ভাষায় প্রবাসীদের সম্বোধন, প্রশংসা করলেন মাখনার

    মরিশাসে এদিন প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বড় অংশই ছিল বিহারের বাসিন্দা। তাই নিজের বক্তব্যের কিছুটা অংশ ভোজপুরি ভাষায় তিনি রাখেন। বিহারের জনপ্রিয় খাবার মাখনার প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘বিহারের প্রধান খাবার মাখনা, বিশ্বব্যাপী খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন বিশ্ব খাবারের তালিকা স্থান পাবে মাখনা।’’ মোদি যখন এমন বক্তব্য রাখেন তখন করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা হল। ভোজপুরি ভাষায় জনতার উদ্দেশে মোদি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনারা সবাই ভালো আছেন তো! আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব আনন্দিত।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বিহারের সঙ্গে আপনাদের মানসিক সংযোগ বুঝতে পারি। বিশ্বের অন্যান্য অংশে যখন শিক্ষার আলো পৌঁছায় নি তখন একমাত্র বিহারের নালন্দাই বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠান ছিল। মরিশাসে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাই এখানে একটি মিনি ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে।’’

  • Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই যোজসাজশ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    কীভাবে ভেস্তে গেল চক্রান্ত

    শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীরাই এখন বাংলাদেশের মসনদে। এই অবস্থায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যার পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ছিল বলে খবর এসেছে। তুরুপের তাস ছিল  ফয়জুর রহমান, যিনি কিনা বাংলাদেশ সেনায় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে কর্মরত। ফয়জুর একজন পাকিস্তানি সমর্থক এবং জামাতপন্থী বলে পরিচিত। জামাত নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন ফয়জুর। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল। মিশন সাকসেসফুল করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই গোল বেঁধে যায়। সেনা অধিকারিকরা এই বৈঠক সম্পর্কে সেনাপ্রধানের অফিসকে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফয়জুরের।

    নজরদারিতে ফয়জুর

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে গোপন তথ্য আসে যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি জামাত-ই-ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিছু বৈঠক আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধানের অজান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফয়জুর সেনাপ্রধানকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি তেমন সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী কমান্ডারদের (জিওসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠক সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর, শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক থেকে সরে যান। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, ফয়জুর জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নজরে আসার পর, তিনি ফয়জুরকে নজরদারিতে রাখেন।

    গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার

    এছাড়াও, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১০ জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, যিনি চট্টগ্রামের অঞ্চল কমান্ডার, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, যিনি কুমিল্লার অঞ্চল কমান্ডার। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেজর জেনারেলও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন মেজর জেনারেল হাসেন মুহাম্মদ মাশিহুর রহমান, মেজর জেনারেল মহম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মহম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন এবং আরও অনেকে। আরও জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হক সহ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারী এবং এহতেশামুল হক এবং প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন, যাতে অ্যান্টি-ওয়াকার সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জামাত-ই-ইসলামীর সমর্থন থাকবে।

    বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের আশা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সব নেতাকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময় নেতারা নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। নেতাদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করার ফলে দুষ্কৃতীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বের করতে হবে। পরে তিনি জানান, নেতাদের সাবধান করার পিছনে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শুধু সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা দেখবে।’

    পাকিস্তান-বাংলাদেশ সখ্যতা

    শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। গত কয়েকমাসে ক্রমে পাকিস্তানের সঙ্গে সক্ষতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)। কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই যে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের মাটিতে আইএসআই এবং জামাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ২ বছর অন্তর করাচিতে একটি মহড়ার আয়োজন করে। ‘আমন-২৫’ নামে মার্চের এই মহড়ায় এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। এই আবহে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও সদা সতর্ক রয়েছে দিল্লি।

  • PM Modi: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশন, মরিশাসে স্বাগত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে

    PM Modi: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশন, মরিশাসে স্বাগত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশনার মাধ্যমে স্বাগত জানানো হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। মঙ্গলবার মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে মহিলারা বিহারের ঐতিহ্যবাসী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা গীত গবাই পরিবেশন করে স্বাগত জানান। গীত গবাই হল একটি ঐতিহ্যবাহী ভোজপুরী সঙ্গীত পরিবেশনা। ভিন দেশে ‘দেশীয়’ অভ্যর্থনা পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী।

    মরিশাসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের উষ্ণ অভ্যর্থনা (PM Modi)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মরিশাসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি গভীরভাবে অভিভূত। তাঁদের ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি গভীর সংযোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ইতিহাস ও হৃদয়ের এই বন্ধন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকে আছে।” ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মরিশাসে স্মরণীয় সংবর্ধনা। এর মধ্যে অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিল গভীর সাংস্কৃতিক সংযোগ, যা ‘গীত গবাই’ পরিবেশনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মরিশাসের সংস্কৃতিতে ভোজপুরী ভাষার সমৃদ্ধি সত্যিই প্রশংসনীয়।”

    ভারত মাতার জয়ধ্বনি

    এদিন মরিশাসের হোটেলে পৌঁছানোর পর, ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। হোটেলের কর্মীরাও ভারত মাতার জয়ধ্বনি দেন। ভারতের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। ২০১৬ সালে গীত গবাই অন্তর্ভুক্ত হয় ইউনেস্কোর তালিকায়। স্বীকৃতি পায় এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্য। সঙ্গীতজ্ঞদের মতে, গীত গবাই জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে (PM Modi)। এটি দেবতাদের স্তব ও আহ্বানের মাধ্যমে শুরু হয়। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগোলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানান।

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মরিশাসে অবতরণ করলাম। আমার বন্ধু, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ডঃ নবীনচন্দ্র রামগোলামের এই বিশেষ স্বাগত জানানোয় আমি কৃতজ্ঞ। এই সফরটি আমার জন্য একজন মূল্যবান বন্ধুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের একটি দারুণ সুযোগ।” তিনি আরও লেখেন, “আজ, আমি প্রেসিডেন্ট ধরম গোখুল, প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগোলামের  সঙ্গে সাক্ষাৎ করব এবং সন্ধ্যায় একটি কমিউনিটি প্রোগ্রামে ভাষণ দেব।” এদিন রামগোলামের সঙ্গে ছিলেন মরিশাসের (Mauritius) উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধী দলনেতা, বিদেশমন্ত্রী, ক্যাবিনেট সচিব, গ্র্যান্ড পোর্ট ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন এবং আরও অনেকে (PM Modi)।

  • Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আবার জঙ্গি হামলা। একটি ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, ট্রেন চালককে জখম করে যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করেছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ (বালুচ লিবারেশন আর্মি)। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। নামানো হয়েছে সেনা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার এই খবর আসা মাত্রই প্রাদেশিক সরকার জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে এলাকায়।

    পণবন্দি ১০০ যাত্রী

    বিএলএ-র তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১০০ জন যাত্রী তাদের হাতে পণবন্দি! বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, ‘‘পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রিবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়।’’ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছু়ড়তে সশস্ত্র বালুচ বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয় বলে তাঁর অভিযোগ। শাহিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। মনে করা হচ্ছে, অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামতে পারে পাক সেনা। পাক রেল দফতরের আধিকারিক মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, ন’টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন।

    পাক সেনা অভিযান নয়

    পাক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে। জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৬ পাক সেনা নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

  • Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে জাতি-দাঙ্গা , সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার পদ্মাপাড়ে প্রতিদিনের ঘটনা। সম্প্রতি আর একটি ভয়াবহ তথ্য সকলকে চমকে দিয়েছে। বাংলাদেশে ছয় জেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার কমপক্ষে সাতজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে নাবালিকা ও শিশুদের উপর অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ

    অভিযোগ, রবিবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে দুই কিশোর ধর্ষণ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে মেয়েটি বাড়িতে খেলছিল। তখন তাকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখায় অভিযুক্ত দুই কিশোর। এরপর তাকে কাছের একটি ঝোপে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। হবিগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, নির্যাতিতার দিদা দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত গতকাল অভিযুক্ত দুজনকে জেলে পাঠিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ওই শিশুর বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এই খবর শোনার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তিনি মারা যান।

    নিশানায় ৩ থেকে ১৬ বছরের মেয়েরা

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গতকাল দুই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ রাকিব (২৪) এবং মহম্মদ হেলাল উদ্দিন (২৭) একই উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাকিব ১ মার্চ গভীর রাতে কোনওভাবে ১৬ বছর বয়সি কিশোরীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে একটি সালিশি সভা করে। কিন্তু কিছু লোক সেখানে মেয়েটিকে বকাঝকা করে। বিকেলে সে আত্মহত্যা করে মারা যায়। পুলিশ পরে লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন। একদিন পর, নির্যাতিতার মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওসি আরও জানান, স্থানীয় আদালত রাকিব ও হেলালকে কারাগারে পাঠিয়েছে। হেলাল এবং আরও ১০ জন সন্দেহভাজনকে উস্কানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলাতেও সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাব্বির মিয়া (২০) ও নির্যাতিতা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে সাব্বির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, নির্যাতিতার মা মামলা দায়ের করার পর রবিবার রাতে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত তাকে মঙ্গলবার জেলে পাঠায়।

    অন্য ঘটনায়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন ওই উপজেলার মহম্মদ নুরুজ্জামান। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে নুরুজ্জামান শিশুটিকে শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে। কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, স্থানীয় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। কিশোরগঞ্জেও, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত, তফাজ্জল দীন ইসলাম (২৭) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে শিশুটি টয়লেট ব্যবহার করার জন্য তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেখানে অপেক্ষারত তফাজ্জল মেয়েটিকে জোর করে কাছের একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। তার বাবা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ সকালে তফাজ্জলকে গ্রেফতার করে। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিশোরগঞ্জের একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

    অন্য একটি ঘটনায়, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তির জেল হয়। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকলেছুর রহমান জানান, অভিযুক্ত সজল হোসেন পলাশ (৪০) রবিবার মেয়েটিকে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। মেয়টি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। অপর এক ঘটনায়, ফেনির ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ওই উপজেলার বাসিন্দা।

    যৌন নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন নির্যাতনের তীব্রতা বাংলাদেশে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জন নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। প্রতিদিনের প্রতিবেদনে ধর্ষণের ভয়াবহ ঘটনাগুলির বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, যার শিকার শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষ। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই ভয়াবহ বাস্তবতা সমাজের গভীর সংকটের চিত্র তুলে ধরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, সাম্প্রতিক পুলিশ রিপোর্ট এবং মানবাধিকারের তথ্যে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কাঠগড়ায় ইউনূস প্রশাসন

    দেশে ক্রমবর্ধমান এই সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য প্রশাসন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। ছাত্র সংগঠনগুলিও রাস্তায় নেমেছে, ন্যায়বিচার এবং মহিলাদের জন্য আরও সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশের তরফে পুলিশ পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলি মোকাবিলায় একটি বিশেষ হটলাইন চালু করা হয়েছে। তা-ও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ব্যর্থ সরকার। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, এই সংকটের মূল কারণগুলি মোকাবিলা করার জন্য বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক, ধর্ষণকে ঘিরে সামাজিক কলঙ্ককে ন্যায়বিচারের একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আইনজীবী সিরাজুল করিম জানান, যে কোনও অপরাধের জন্য শাস্তির দীর্ঘ প্রক্রিয়া এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলার বর্তমান অস্থিরতা এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী।

    বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা এক নজরে—

    ঢাকায়, নৃশংস নির্যাতনের পর ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চলতি সপ্তাহে ভর্তি করা হয়েছে।

    নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার সৎ বাবাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

    হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় রবিবার ছয় বছর বয়সি এক কিশোরীকে দুই কিশোর ছেলে ধর্ষণ করেছে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    কিশোরগঞ্জে, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোমবার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    চট্টগ্রামে, ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ৮ বছর বয়সি এক কিশোরীকে তার বোনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় তার চাচা-শ্বশুর ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার শ্যালককে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    একজন বাবার বিরুদ্ধে তার নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Mauritius)। ১২ মার্চ মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। মঙ্গলবার ভোরে মরিশাসের স্যার সিউওসাগুর রামগুলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম। মরিশাসে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। ভারত ও মরিশাসের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কারণে মোদির এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম এটিকে তাঁর দেশের জন্য বিশেষ সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    মরিশাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক। দুই দেশের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে। আর রয়েছে ভারত মহাসাগর। মরিশাস যেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’। ১২ মার্চ সেদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মোদি (PM Modi in Mauritius)। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম, উপপ্রধানমন্ত্রী, মুখ্য বিচারক, স্পিকার, বিরোধী দলনেতা-সহ মরিশাসের ২০০ জন পদাধিকারিক মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির মরিশাস সফর, তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, মরিশাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের আর্থিক সহায়তায় ২০টির বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদি। নরেন্দ্র মোদির এই মরিশাস সফরে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়নে অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মতো একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    মোদির সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Mauritius) সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক বহু দিনের। তখনও তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও হননি। মরিশাস সফরে গিয়ে সবার মন জয় করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের সেই মরিশাস সফরের কথা এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, একশো বছরেরও বেশি আগে ভারতের বহু নাগরিক শ্রমিক হিসেবে মরিশাসে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তুলসীদাসের রামায়ণ, হনুমান চালিশা। হিন্দি ভাষা মরিশাসের অন্যতম ভাষা হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালের ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মরিশাসের মোকাতে ছিলেন মোদি। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল রামায়ণ কনফারেন্স’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোদি। ভারত ও মরিশাসকে এক সূত্রে বাঁধতে রামায়ণ কীভাবে সেতুর কাজ করেছে, ওই কনফারেন্সে তা তুলে ধরেছিলেন মোদি।

    ভারত-মরিশাস সম্পর্ক

    মরিশাসের সঙ্গে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের আত্মিক সম্পর্ক। দুদেশের সম্পর্কের সেতু রামায়ণ। আজও সেদেশে সমান জনপ্রিয় তুলসীদাসের রামায়ণ এবং হনুমান চালিশা। মরিশাসের অন্যতম প্রধান ভাষা হিন্দি। এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের জনসংখ্যা ১৩ লক্ষেরও বেশি। যা কিনা এই দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। উল্লেখ্য ১৯৭৬ সাল থেকে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট দুদেশের সংস্কৃতির প্রচারের জন্য একটি যৌথ মঞ্চ হিসেবে আজও কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফরে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা কুটনীতিকদের। প্রসঙ্গত চিনা হুমকির কথা মাথায় রেখে ভারত মহাসাগরের বুকে মরিশাসে ভারত একটি বন্দরও গড়ে তুলেছে। সেখানকার পোর্ট লুইসে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়নও রাখবে নয়া দিল্লি।

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

    সিঙ্গাপুরের পর মরিশাস ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও বটে। বর্তমানে মরিশাস-ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কর্পোরেশন, টেলিকমিউনিকেশনস কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল (মরিশাস) লিমিটেড, মহানগর টেলিফোন (মরিশাস) লিমিটেড, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (মরিশাস) সহ ১১ টি ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে সেদেশে। উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা সহ একাধিক প্রকল্পে মরিশাসকে সহযোগিতা করছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মরিশাস রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিল যৌথ উপগ্রহ নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর একটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষরও করেছে। বর্তমানে মরিশাসে সাড়ে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যায়ে ভারতের সহযোগিতায় গড়ে উঠছে মেট্রো এক্সপ্রেস প্রকল্প, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং তৈরি, নতুন হাসপাতাল সহ একাধিক প্রকল্প। কোভিডের সময়ও মরিশাসকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত।

  • Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ। সম্প্রতি সেই যুদ্ধ উঠেছে তুঙ্গে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। লড়াই চলছে মূলত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীদের। ডিসেম্বরেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল সাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার যৌথবাহিনী।

    সংঘাতের শিকার আলাওয়াইটরা (Syria Unrest)

    সিরিয়ার এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শিকার হচ্ছে আলাওয়াইট নামে একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি। এঁরা মূলত বাস করেন সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা লাটাকিয়া এবং টারটসে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের মানুষকে। লাশের পাহাড় জমছে আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। প্রশ্ন হল, কেন বেছে বেছে আলাওয়াইটদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারের সামরিক বাহিনী? এ দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন এই সম্প্রদায়ের। তাঁর আমলে প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের উচ্চপদে ঠাঁই দেওয়া হয় আলাওয়াইটদের। এই পক্ষপাতিত্ব সহ্য হয়নি সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত সিরিয়ার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা পুঞ্জীভূত এই ক্ষোভের গনগনে আগুনেই এখন পুড়ছে সিরিয়া।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বাস করেন বছর ছত্রিশের আলি কোশমার। তিনি বলেন, “মধ্য রাতে বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চিৎকারে ঘুমে ভেঙে যায় আমার। আগন্তুকরা বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসো তোমরা আলাওয়াইট শূকর, নাসাইরি!” প্রসঙ্গত, এই নুসাইরি ইবন নুসাইরের অনুগামীদের বোঝায়। তিনি এই আলাওয়াইটদের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলল, অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করল, এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল। ওরা আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমাকেও ওরা তিন-তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কোনক্রমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বাঁচি (Syria Unrest)।” তিনি বলেন, “জানি না আমার পরিবার এবং আমি আর কতদিন বেঁচে থাকব। আমাদের নাম আমাদের সম্প্রদায়ের পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের উচ্চারণ আমাদের পরিচয় ফাঁস করে। আমাদের উৎপত্তিস্থলও আমাদের ঝুঁকিতে ফেলে।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ

    মিশ্র ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মিস্টার সালামাহ। তাঁর মা সুন্নি মুসলমান, বাবা আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেক আত্মীয় আবার খ্রিস্টান। তিনি বলেন, “আসাদের শাসনে আমরাও সব সিরিয়ানের মতোই ভুগেছি।” জানা গিয়েছে, অত্যাচারীরা কেবল আসাদ সমর্থক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মীদেরই টার্গেট করছে না, তারা সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং খ্রিস্টান ও শিয়া মুসলমান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ করছে।

    সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান

    সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বরেও। মিস্টার সালামাহ নামে এক সিরিয়ান বলেন, “সেবার সশস্ত্র লোকজন হামলা চালিয়ে একটি মাজারের প্রহরীদের হত্যা করে। পরে মাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলাওয়াইটরা প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। যার ফলে হোমসে একজন নিহত হন, জখমও হন বেশ কয়েকজন।” কোশমার বলেন, “যা ঘটছে, তা একটি চলমান সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা। এরা যে কাউকে আলাওয়াইট হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের টার্গেট করছে। তা তাদের ধর্ম, ভাষা বা উৎপত্তি স্থানের ভিত্তিতেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণে।” তিনি বলেন, “এই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তা কেবল আসাদ পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য নয়। এর সঙ্গে আসাদ পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই (Syria Unrest)। সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিরীহ নাগরিক — টেকনোলজিস্ট, ডাক্তার এবং কৃষক। তবুও আসাদের অবশিষ্টদের খোঁজার অজুহাতে একটি পুরো সম্প্রদায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

    গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়া!

    এই গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিস্টার খালাফ। তিনি বলেন, “ওরা (রাশিয়া) আসাদ শাসনের অবশিষ্টদের পাল্টা আক্রমণের জন্য উৎসাহিত করেছিল, উপকূল ও আলাওয়াইটদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে পালায়।”  তিনি বলেন, “এর ফলে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় আল-জুলানি। যদিও তখন রাশিয়া তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার নামে অপরাধ তদন্ত করার দাবি করেছিল।” তিনি বলেন, “যাঁরা হিংসার শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের সাহায্য করতে একটি আর্থিক অনুদানের প্রচার চালাতে চাই। এজন্য আমি ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি (Syria Unrest)।”

    প্রসঙ্গত, সিরিয়া সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ৬ মার্চ, ২০২৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্ত ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Syria Unrest)।

  • Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে (Bangladesh)। ঢাকার অদূরে (Dhaka) সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে দোকান বন্ধের সময় স্ত্রীর সামনেই এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হল। এরপরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে ককটেলও ফাটায় হামলাকারীরা। গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই হিন্দুদের ওপর চরম নির্যাতন চলছে বাংলাদেশে। এই আবহে ফের এক হিন্দু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনা সামনে এল। নিহত দিলীপ দাস (৪৮) সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি নয়ারহাট বাজারে দিলীপ স্বর্ণালয় নামের একটি সোনার দোকানের মালিক। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    কী জানালেন পুলিশ অধিকর্তা?

    আশুলিয়া থানার (Bangladesh) পুলিশ আধিকারিক কামাল হোসেন বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিলীপ যখন তালাবদ্ধ করে দোকান থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই চারজন লোক এসে তাঁকে পেছন থেকে আঘাত করে। পরে তিনি সামনে ঘুরলে আবারও তাঁকে আঘাত করা হয়। তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগ হামলাকারীরা ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ব্যাগে কী ছিল, সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। ফুটেজে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে, সম্ভবত তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।’’

    কী বলছেন স্ত্রী ও ভাই?

    দিলীপ দাসের পিসতুতো ভাই খোকন সরকার বলেন (Bangladesh), ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দোকান বন্ধ করে দিলীপ বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে ওষুধ কেনার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে আবার বাজারে আসেন। এ সময় পরিচিত একজনকে সোনার হার বিক্রি করেন। পরে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় তিন-চারজন দিলীপকে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।’’ দিলীপের স্ত্রী সরস্বতী দাস বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য দোকান বন্ধ করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে রওনা হয়েছিলেন উনি। আমিও সঙ্গে ছিলাম। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে সব নিয়ে যায় হামলাকারীরা।’’

    কী বলছেন ডাক্তার?

    বেসরকারি এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Bangladesh) জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান বলেন, ‘‘রাত ১০টার দিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় দিলীপ দাসকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর বুকে বড় ক্ষত ছিল। গালের ডান পাশে ও পিঠে ক্ষত ছিল। চিকিৎসা শুরুর পরপরই তিনি মারা যান। মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়, লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়, অপারেশন থিয়েটারেও নেওয়া হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’’

LinkedIn
Share