Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের ডেরা যে পাকিস্তান ফের, তা প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পেশোয়ারের পিস্তাখারা এলাকার কারী ইজাজ আবিদ (Qari Ejaz Abid) নামের ওই জঙ্গিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ইজাজ।

    কী করতেন ইজাজ

    কারী ইজাজ আবিদ ছিলেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামের এক কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ইজাজ দীর্ঘদিন ধরেই জৈশ-ই-মহম্মদের হয়ে তরুণদের জঙ্গী শিবিরে কৌশল খাটিয়ে যুক্ত করতেন। তার সঙ্গে ছিল মাওলানা মাসুদ আজহারের এক গভীর সম্পর্ক। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি বহুবার একই মঞ্চে বক্তৃতাও দিয়েছেন এবং একই দার্শনিক মতবাদ দেওবন্দী চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত। আসলে মাসুদ আজহারের কৌশল হল সরাসরি নয়, বরং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গি দলে যোগদান করানো। আর কারী ইজাজ আবিদ সেই পদ্ধতির এক প্রধান কারিগর ছিলেন। জানা যাচ্ছে, প্রথমে তিনি তরুণদের নিজস্ব ধর্মীয় জমায়েতে ডাকতেন। তারপর ধাপে ধাপে তাদের মগজ ধোলাই করে উগ্রপন্থায় নিয়ে যাওয়া হত। আর এরপর তাদের পাঠানো হত জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জঙ্গি-শিবিরে যোগ দেওয়ানো হত।

    কেন হত্যা করা হল ইজাজকে

    পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পিস্তাখারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মসজিদ থেকে বেরোনোর সময় ইজাজ আবিদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। আর ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা কারী শাহিদ গুলিবদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেই খবর। যদিও এই হামলাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে সূত্র বলছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রমাগত লড়াই লেগেই রয়েছে। আর এও হতে পারে যে, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী কারী ইজাজ আবিদকে সরিয়ে দিতে এই হামলার পথে হেঁটেছে। আবার এমনটাও হতে পারে যে, জৈশ-ই-মহম্মদের অন্দরমহলের থেকেই এই হামলা ঘটানো ঘটেছে। তবে ভারতের বহু নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো এই দুষ্কৃতিকর এহেন অবস্থা স্বস্তির খবর বলেই মনে করছে অনেকে।

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

  • Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফিরতেই হবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Mumbai Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আমেরিকার প্রধান বিচারপতির দরবারে রানার দায়ের করা নতুন পুনর্বিবেচনার আবেদনও নাকচ করে দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের সিদ্ধান্তকে, মোদি সরকারের বড় কূটনৈতিক জয় বলা যেতে পারে।

    রানার দাবিতে আমল দেয়নি মার্কিন শীর্ষ আদালত

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রানা জানান, ভারতের প্রত্যর্পণ করা হল তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হতে পারে। নিজেকে অসুস্থ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে করা সেই আর্জিতে আমল দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যান তাহাউর রানা। সানফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর।

    রানার ভয় ভারতকে

    প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে প্রথম আবেদনে রানা (Tahawwur Rana) দাবি করেছিলেন যে, ভারতে তাঁকে নির্যাতন করা হবে এমন সম্ভাবনা বেশি কারণ তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম এবং একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর ভারতে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রানা বলেন, এই আবেদনের পক্ষে তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হতে পারে। প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য রানা প্রথম যে আবেদন করেছিলেন, গত ৭ মার্চ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের নবম সার্কিটের বিচারপতি এলেনা কাজান তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। এবার ফের রানার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।

    কবে ভারতে আসছেন রানা

    ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিবিআই আশা করছে, দ্রুত রানাকে (Tahawwur Rana) বিচারের মুখোমুখি করতে আমেরিকা থেকে ভারতে নিয়ে আসার তারিখ জানাবে মার্কিন প্রশাসন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ভারতের। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। বরং পরবর্তী কালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করেছিল আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ে পাক জঙ্গি অজমল কসাব এবং তার সঙ্গীদের হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছ’জন মার্কিন নাগরিকও।

    ভারতের কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে রানাকে

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকদের মতে, ভারতে পৌঁছে রানাকে (Tahawwur Rana) মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে – যেখানে হামলা হয়েছিল এবং তার অভিবাসন সংস্থা, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনালের শাখা খোলা হয়েছিল। ডেভিড কোলম্যান হেডলি চক্রান্ত করার জন্য মুম্বই ভ্রমণের সময় এই সংস্থাকে কভার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। মুম্বই ছাড়াও রানাকে আগ্রা, হাপুর, কোচিন ও আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে তিনি হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য,  ২৬/১১ হামলা নিয়ে মুম্বই পুলিশ যে ৪০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ভারতে এসেছিলেন তাহাউর রানা। ওই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারতেই ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে ২ দিন কাটিয়েছিলেন রানা। সেখানেই হয়েছিল হামলার শেষ পরিকল্পনা।

    রানাকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ

    রানাকে (Tahawwur Rana) শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর এনআইএ আধিকারিকরা আশা করছেন, পাকিস্তান ভিত্তিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঠিক ভূমিকা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর মধ্যে যারা এই হামলার তদারকি ও অর্থ জোগাড় করেছিল তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই প্রথম রানাকে ভারতীয় এজেন্সিগুলি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ২০১০ সালের জুন মাসে এনআইএ-র একটি দল যখন ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমেরিকায় গিয়েছিল, তখন রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিদেশনীতির অন্তঃস্থলে রয়েছে বৌদ্ধধর্ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে বারবার তারই প্রমাণ মিলেছে। ঠিক যেমন থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওয়াট ফো নামে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) সফরে গিয়ে অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দিরও দর্শন করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজধানী ছিল অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura)। এই শহরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ২ হাজার বছরের পুরনো। আগেও এখানে গিয়েছিলেন মোদি। দ্বীতিয়বার তাঁর এই মন্দির পরিদর্শনে আপ্লুত বৌদ্ধ সমাজ।

    বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফের একবার অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দির (PM Modi in Anuradhapura) দর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক। বোধি বৃক্ষের সামনেও প্রার্থনা করেন মোদি। বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত কে মেধঙ্কারা থেরো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার জয়া শ্রী মহাবোধি মন্দির পরিদর্শন করার জন্য ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় বার অনুরাধাপুরায় আগমন। আমরা খুব খুশি। বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও উল্লেখযোগ্য। এখানে এসে বোধি দর্শন করা এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করা, এটা সবার মনেও আসে না। যারা ‘পুণ্য’ অর্জন করেছেন, কেবল তারাই এই চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হয়তো প্রথমবার এখানে এসে বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেছিলেন, এবং সেই অনুভূতির কারণে তিনি দ্বিতীয়বার এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ‘রক্ষা সূত্র’ পরিয়ে স্বাগত মোদিকে

    এ দিন অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura) বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে মোদিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) বায়ুসেনা। পরে মহা বোধি মন্দিরে যান তিনি। সেখানকার প্রধান পুরোহিত মোদির কব্জিতে বেঁধে দেন পবিত্র ‘রক্ষা সূত্র’। পরে ফেরার পথে আকাশ থেকে দেখতে পাওয়া রাম সেতুর দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আজ রামনবমীর পুণ্য দিবসে, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার সময়ে আমি আকাশ থেকে রাম সেতুর পবিত্র দৃশ্য দেখতে পেলাম। ঐশ্বরিক যোগে রাম সেতু দর্শনের সময়েই দেখতে পেলাম অযোধ্যার রামলালার সূর্য তিলকও।’’ অনুরাধাপুরায় ভারতের সাহায্যে তৈরি দু’টি রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থার তৈরি ওই দু’টি প্রকল্পকে শ্রীলঙ্কার পরিকাঠামোয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে এই সফরের সময়ে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শ্রীলঙ্কাবাসী ও সে দেশের প্রেসিডেন্ট দিশানায়েককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) এই বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের দিকটি তুলে ধরা। বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান অনুরাধাপুরের মহাবোধি বৃক্ষে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন মোদি। এই মন্দিরটি ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার গভীর সভ্যতাগত সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, অনুরাধাপুরার মহাবোধি বৃক্ষটি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারত থেকে সঙ্ঘমিত্রা মহাথেরী দ্বারা শ্রীলঙ্কায় আনা বোধি গাছের শাখা থেকে জন্ম নিয়েছিল।

    ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম

    তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন সম্রাট অশোকের সময় থেকেই ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম। ২০২৪-এর ইন্ডিয়ান-এশিয়ান সম্মেলনে লাওসের প্রেসিডেন্টকে একটি পিতলের বুদ্ধমূর্তি উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ওই একই বছরে বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন ভারত থেকে পাঠানো হয়েছিল তাইল্যান্ডে। ২০২২-এ নেপালের লুম্বিনি পরিদর্শন করেন মোদি। ওই বছর বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন পাঠানো হয়েছিল মঙ্গোলিয়ায়। ২০১৯ সালে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি বুদ্ধ মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১৬-তে ভিয়েতনামে গিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদি। চিনের দা জিংসান মন্দির ও বিগ ওয়াইল্ড গুজ প্যাগোডা দর্শন করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন জাপান সফরে যান, তখন তোজি ও কিংকাজু মন্দির দর্শন করে জাপানের সঙ্গে ভারতের বৌদ্ধধর্মের নিবিড় যোগ তুলে ধরেন।

    অনুরাধাপুরার সঙ্গে বুদ্ধ-গয়ার যোগ

    রাজা হর্ষবর্ধন যেমন বৌদ্ধ-মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রী মোদির তত্ত্বাবধানে ভারতই প্রথম বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে বৌদ্ধধর্মের দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু জ্ঞানী মানুষ। বিশ্বের নানা সমস্যা সমাধানে বৌদ্ধ দর্শন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে ওই সম্মেলনে কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও নরেন্দ্র মোদি দিল্লির বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে বাল বোধি বৃক্ষও দর্শন করেন। বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে যে ভারত ও জাপানের এক বিশেষ যোগ আছে, তা বোঝাতেই ওই দর্শন করেছিলেন তাঁরা। ২০২৫ ফের শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) বৌদ্ধধর্মের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির দাবি, অনুরাধাপুরায় (PM Modi in Anuradhapura) প্রধানমন্ত্রীর বোধিবৃক্ষ দর্শন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই বোধিবৃক্ষের সঙ্গে যোগ রয়েছে বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের। যা দু’দেশের বিশেষ সম্পর্কের চিহ্ন।

     

     

     

     

     

  • Galapagos Tortoises: ১০০ বছরে বাবা হল আব্রোজ! হৈচৈ ফিলাডেলফিয়াতে

    Galapagos Tortoises: ১০০ বছরে বাবা হল আব্রোজ! হৈচৈ ফিলাডেলফিয়াতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ বছর বয়সে বাবা-মা হওয়া। এমনই ঘটনা ঘটল ফিলাডেলফিয়াতে (Galapagos Tortoises)। শুক্রবারে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে এই খবর সামনে আসতেই ব্যাপক কৌতূহল জাগ্রত হয়। দম্পতির দুজনেরই বয়স ১০০ বছর। ওই দম্পতির চারটি বাচ্চা হয়েছে একসঙ্গে। চারটি বাচ্চার আগমনে তারা অত্যন্ত খুশিও। শুধু তাই নয় যে জায়গাতে তারা থাকে, ফিলাডেলফিয়ার (Philadelphia) সেই পাড়াতেও ব্যাপক উচ্ছ্বাস। কারণ দেড়শ বছরের ইতিহাসে ওই পাড়াতে এমনটা প্রথমবার হয়েছে। জানা গিয়েছে, চার বাচ্চার জন্ম দিয়েছে যে পিতা, তার নাম আব্রোজ। শিশুদের মায়ের নাম হচ্ছে মাম্মি।

    বিশেষ যত্নে রাখা হয়েছে শিশুদের (Galapagos Tortoises)

    বিশেষ যত্নে রাখা হয়েছে তাদের (শিশুদের)। দেখা হচ্ছে তারা ঠিক মতো খাচ্ছে নাকি। ঠিকমতো বেড়ে উঠছে নাকি। তাদের ওজনটাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অত্যন্ত খুশি ফিলাডেলফিয়ার প্রেসিডেন্ট জো এলি মোগারম্যান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা আমাদের শহর অঞ্চল এবং সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে এই খবরকে আমরা ভাগ করে নিতে চাইছি। আমরা খুব আনন্দিত।’’ জানা যাচ্ছে, সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছে (Galapagos Tortoises) যে মা, তাকে ফিলাডেলফিয়ার ওই পাড়াতে আনা হয়েছিল ১৯৩২ সালে। অর্থাৎ আজ থেকে ৯২ বছর আগে। এরপরে ২০২৫ সালে ওই মা চার জন শিশুর জন্ম দিল। যা নিয়ে আনন্দে মেতেছে ফিলাডেলফিয়া।

    ঘটনা ফিলাডেলফিয়ার চিড়িয়াখানার (Galapagos Tortoises)

    আসলে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ফিলাডেলফিয়া (Philadelphia) চিড়িয়াখানার কথা। যেখানে ১০০ বছর বয়সি বিপন্ন প্রজাতির এক জোড়া কচ্ছপ প্রথমবারের মতো বাবা-মা হয়েছে। এ নিয়েই আনন্দের সীমা ছাড়িয়েছে ফিলাডেলফিয়াজুড়ে। চারটি বাচ্চার আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের দেড়শ বছরের ইতিহাসে এটা প্রথমবার বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, ওই চারটি বাচ্চা ঠিক মতোই বেড়ে উঠছে। এদের ওজন একটি মুরগির ডিমের সমান বলে জানা যাচ্ছে।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার কুর্সিতে বসেছেন গত জানুয়ারি মাসেই। এই আবহে তাঁর নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার আমেরিকান। শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনের রাস্তাতে। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছেন আমেরিকার মানুষ। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার (USA) ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার এইরকমের মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রশাসনে পর পর কর্মীছাঁটাই, অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য নয়া নিয়ম চালু, শুল্ক নীতি- এই প্রতিটি সিদ্ধান্তেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। এই আবহে মসনদে বসার ৩ মাসের মধ্যেই দেখা গেল বিক্ষোভ।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?

    ম্যানহাটনে ট্রাম্প-বিরোধী (Donald Trump) মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে এক প্রতিবাদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ভীষণ ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত একদল মানুষ নিজেদের ইচ্ছামতো আমাদের দেশটাকে চালাচ্ছেন। আমাদের দেশ আর মহান নেই।’’ অন্যদিকে ওয়াশিংটনের রাস্তায় স্লোগান দিতে দিতে এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে বাসে করে আমরা প্রায় ১০০ জন এখানে প্রতিবাদ (USA) জানাতে এসেছি। এই প্রশাসনের জন্য বিশ্ব জুড়ে বন্ধুদের হারাচ্ছি আমরা। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। দেশের মধ্যেও তারা বিভাজন তৈরি করছে। আমাদের সরকারকে ওরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    নীতি বদলাবে না সাফ জানালেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত দেখা গিয়েছে সেদেশের রাজধানী ওয়াশিংটনেই। হোয়াইট হাউসের অদূরে ন্যাশনাল মলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। আমেরিকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে এসেছেন তাঁরা। ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে ওয়াশিংটন। কিছু রিপোর্ট বলছে, শুধু ওয়াশিংটনেই ২০ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জমায়েতে শামিল হয়েছেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি, সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে ট্রাম্প (Donald Trump) অবশ্য কোনও বিরোধিতায় আমল দিচ্ছেন না। হোয়াইট হাউসে বসে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমার নীতি কখনও বদলাবে না।’’

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির মুকুটে নয়া পালক! এবার শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আজ শনিবারই একথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েক। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ (Mitra Vibhushana) পাওয়ার পরে, এই সম্মান মোদি ১৪০ কোটি ভারতীয়র উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। সম্মান পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটাল এই সম্মান। এর জন্য আমি রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার সরকার এবং এর জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’’

    স্বাধীনতা স্কোয়ারে প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হয় সম্মান

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) শ্রীলঙ্কা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফরে একদিকে যেমন সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় দ্বীপরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা স্কোয়ারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে (PM Modi) স্বাধীনতা স্কোয়ারে এভাবে সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগে অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এমন সম্মান দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, শ্রীলঙ্কার সরকারের এমন সম্মানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

    মিত্র বিভূষণ পদকের বিশ্লেষণ (Mitra Vibhushana)

    মিত্র বিভূষণ বা ধর্মচক্র উভয় দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কা) সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই সম্মানে বৌদ্ধ ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। চালের সজ্জিত একটি উপাদান দেখতে পাওয়া যায় মিত্র বিভূষণ। এটি পুন কলস নামে পরিচিত যা সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এরসঙ্গে মিত্রবিভূষণে রয়েছে নবরত্ন (নয়টি মূল্যবান রত্ন)। এই নবরত্ন দুই দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কার) মধ্যে অমূল্য এবং স্থায়ী বন্ধুতের প্রতীক বলে মনে করা হয়। অবশেষে, পদকে রয়েছে সূর্য ও চন্দ্র। এই দুই প্রতীক অতীত ও ভবিষ্যতের বন্ধনকেই নির্দেশ করে। একইসঙ্গে চন্দ্র ও সূর্য ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক সংযোগকেও প্রতিফলিত করে।

LinkedIn
Share