Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) সংস্থা। ‘স্বল্পায়ু’ এই সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বড়সড় বিপদে পড়েছিল বিভিন্ন সংস্থা। বিপদে পড়েছিল ভারতের আদানি গোষ্ঠীও। শেয়ার বাজারে পতনের পাশাপাশি আইনি ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়ে গৌতম আদানির সংস্থা। পরবর্তীকালে সেবি প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও বড় অভিযোগ এনেছিল এই সংস্থা। এহেন আলোড়ন ফেলা একটি সংস্থার ঝাঁপই (Shut Down) বন্ধ হতে চলেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান অ্যান্ডারসন জানান, এই সংস্থা তাঁর জীবনের একটি অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  

    ন্যাথান অ্যান্ডারসনের নোট (Hindenburg Research)

    বুধবার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্যক্তিগত নোটে ন্যাথান অ্যান্ডারসন বলেন, “কাজের অত্যন্ত তীব্র এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী প্রকৃতিই আমার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ।” প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত তীব্র, এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী ছিল। প্রায়ই ঘুমের মধ্যে আমি নতুন কোনও তদন্তের ধারা নিয়ে ভাবতে ভাবতে জেগে উঠি, অথবা কোনও সম্পাদনার বিষয়ে যা দিনে আমার অজান্তে আমাকে অস্থির করেছিল। অথবা সব কিছুর সাধারণ চাপের কারণে। আমরা ভীতিহীন নই—আমরা কেবল সত্যের প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং আশা করি এটি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “অদ্ভুত, হাস্যকর এবং উদ্ভট ঘটনাগুলোর দিনও ছিল।” হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার কারণ প্রসঙ্গে অ্যান্ডারসন বলেন, “এর পেছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই— কোনও বিশেষ হুমকি, স্বাস্থ্য সমস্যা, বা বড় কোনও ব্যক্তিগত সমস্যাও নেই।”

    রাজনৈতিক চাপানউতোর

    আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের যোগসূত্রের উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন তুঙ্গে, তখন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গকে পাল্টা আক্রমণ করে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। গত অগাস্টে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের কিছু মিথ্যা, ক্ষতিকর এবং বিদ্বেষমূলক অংশ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গকে আক্রমণ শানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আমেরিকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিকবার ভারতে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ ভিত্তিহীন!

    গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদানি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছিল, সবিস্তার তদন্তের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও মামলা খারিজ করে দেয় (Shut Down)। হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research) মার্কিন সংস্থা। সেই সময় তারা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিল, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। যে বছর হিন্ডেনবার্গের জন্ম হয়, সেই বছরই সেবিতে যোগ দেন মাধবী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। রিপোর্টটিকে চরিত্রহননের চেষ্টা বলে উড়িয়ে দেন বুচ দম্পতি। তবে তাতে বিতর্ক থামেনি। 

    ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা!

    আদানি ও সেবির বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছিল ইন্ডি-জোটের অংশীদাররা। তখনই, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে জর্জ সরোসের যোগ নিয়ে একটা ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ইঙ্গিত জোরালো হয়ে ওঠে, যখন সরাসরি জর্জ সরোস দাবি করে বসেন যে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন থেকেই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের আসল উদ্দেশ্য সামনে আসতে থাকে। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বিদেশ থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ‘অপচেষ্টা’ চলছে।

    অ্যান্ডারসন-পিস-সরোস যোগসাজস ফাঁস!

    এর মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায় ন্যাথান অ্যান্ডারসনের সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি। কী ছিল সেই যোগসূত্র? হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মার্কিন আদালতে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং সাতজন অন্যান্য এক্সিকিউটিভ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ঘুষের অভিযোগ এনেছিলেন নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস। জানা যায়, এই ব্রিয়নের স্ত্রী যে সংস্থার অন্যতম শীর্ষ ডিরেক্টর, সেই (এনজিও) সংস্থাটির মালিক হলেন ব্রায়ান স্টিভেনসন, যিনি কিনা আবার সরোসের মালিকানধীন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও বটে। ফলে, সরোসের সঙ্গে পিস দম্পতির যোগসাজস পরিষ্কার হয়ে যায়। কাকতালীয়ভাবে, এর পরেই ব্রিয়ন পিস তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। 

    ঝাঁপ ফেলার সময়কাল

    উল্লেখ্য যে, নাথান অ্যান্ডারসনের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে এল যখন দিন কয়েকের মধ্যে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের সময় জন্ম দিয়েছে বহু প্রশ্নের। এই সিদ্ধান্তটি এমন একটি সময়ে এল যখন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সদস্য রিপ্রেজেন্টেটিভ ল্যান্স গুডেন ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে চিঠি লিখে আদানি গ্রুপের তদন্ত সম্পর্কিত ন্যায়বিচার বিভাগের সমস্ত নথি ও রেকর্ড প্রকাশ করার দাবি জানান (Hindenburg Research)।

    কী বললেন গুডেন

    এর আগে রিপাবলিকান নেতা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা বিতর্কিত অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ৭ জানুয়ারি গারল্যান্ডকে লেখা এক চিঠিতে ল্যান্স গুডেন বলেছিলেন, “অভিযোগে যেসব ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি সবই ভারতে ঘটেছে। এখানে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিক ও কর্তারা জড়িত, কোনও মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি হয়নি (Shut Down)।” তিনি আরও বলেন, “যদি অভিযোগ প্রমাণিতও হয়, তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা চূড়ান্ত বিচারক হতে পারে না। কারণ এতে কোনও মার্কিন পক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই (Hindenburg Research)।”

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    গুডেনের দাবি

    গুডেন অবশ্য দাবি করেন, “আদানি মামলার অভিযোগ, যদি প্রমাণিতও হয়, তবুও আমেরিকাকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত এবং যথোপযুক্ত বিচারক করে তোলে না। এই ‘ঘুষ’গুলো অভিযোগ অনুযায়ী ভারতের রাজ্য সরকারের কর্তাদের কাছে, ভারতে, একটি ভারতীয় কোম্পানির ভারতীয় কর্তারা দিয়েছেন, যেখানে কোনও মার্কিন পক্ষের সরাসরি জড়িত থাকার বা ক্ষতির প্রমাণ নেই। অন্যদিকে, স্মার্টম্যাটিক একটি আমেরিকান কোম্পানি, যা আমাদের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তার কর্তারা অর্থপাচার এবং বিদেশি সরকারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল ন্যায়বিচার বিভাগের অভিযোগ অনুযায়ী। তবে, আমার সহকর্মী এবং আমি বহুবার চেষ্টা করেও নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে আপনার বিভাগ থেকে কোনও ব্রিফিং পাইনি।”

    রিপাবলিকান ওই নেতা বলেন, “যদি এই মামলাটির (Hindenburg Research) সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ থাকে, তবে বিচার বিভাগ কেন এখনও একজন আমেরিকানকেও অভিযুক্ত করেনি? এই চক্রান্তের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কি কোনও আমেরিকান জড়িত ছিল না? গৌতম আদানির বিরুদ্ধে কেন বিচার বিভাগ এই মামলা পরিচালনা করছে, যখন অভিযোগের ঘটনাটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত (Shut Down)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের মূল নীতি থেকে কি বাদ দেওয়া হবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে? সে দেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। বুধবারই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

    সংবিধান থেকে কী কী বাদ দেওয়ার সুপারিশ? (Bangladesh)

    এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানে যে চারটি মূল নীতি রয়েছে, তা গৃহীত হয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হওয়ার সময়। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের আকাঙক্ষা প্রতিফলন হিসেবে পাঁচ মূল নীতির প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা-সহ তিনটি মূল নীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

    বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য চারটি মূল নীতির উল্লেখ রয়েছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। হাসিনার সরকারের পতনের পর সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, চার মূল নীতির মধ্যে কেবল গণতন্ত্রকে রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন। তার সঙ্গে আরও চারটি নতুন মূল নীতির সুপারিশ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পাঁচটি মূল নীতির মধ্যে রয়েছে- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    বাংলাদেশের নতুন নাম কী হতে পারে?

    বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংবিধানিক নাম হল ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। তবে সেই নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হল এবার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন সাংবিধানিক নাম হোক- ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’। উল্লেখ্য, বুধবারই অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বধীন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে। এই খসড়া তৈরি করতে নাকি গত তিন মাস ধরে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ’ শব্দগুলি থাকতে পারে। এদিকে এতদিন বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে নাগরিকরা ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত হতেন। তবে তা বদলে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক ভাবে ‘বাংলাদেশি’ পরিচিতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

    ভারতের মতো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ!

    অপরদিকে ভারত, আমেরিকার মতো বাংলাদেশ (Bangladesh) সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষকে জাতীয় সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বলা হবে। উচ্চকক্ষকে সেনেট বলে ডাকা হবে। সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ব্যক্তি দু’বারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে সুপারিশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সেই নেতা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না।

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বয়স ২১ বছর করার সুপারিশ!

    সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এদিকে বাংলাদেশি (Bangladesh) নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে কোনও আসনে যদি মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তাহলে সেই আসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে।

    গণভোটের সুপারিশ

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলি রিয়াজ জানিয়েছেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁরা গণভোটের সুপারিশ করেছেন। জানা গিয়েছে, এই সুপারিশগুলির প্রেক্ষিতে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই সুপারিশগুলি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মাধ্যমে যে সংস্কারগুলির বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেই সংস্কারগুলি বাস্তবায়নের কথা বিবেচনা করা হবে। এ দিন সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া আরও তিনটি সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইউনূসকে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে। দীর্ঘ পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতি (Ceasefire) টানল ইজরায়েল ও হামাস (Israel Hamas Conflict)। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দুপক্ষই। তবে শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত অনুযায়ী, হামাসের হাতে যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। আর ইজরায়েলকে মুক্তি দিতে হবে জেলবন্দি প্যালেস্তাইনিদের।

    যুদ্ধবিরতি ঘোষণা (Israel Hamas Conflict)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বিরতির যাবতীয় কৃতিত্ব ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সূত্রের খবর, আপাতত ছ’সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। ইজরায়েলের হাতে আটক প্যালেস্তানীয় বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইজরায়েল ও কাতারের দুই কর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে খসড়া রূপরেখাটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে হামাসের পক্ষ আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুর নরম করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা ক্ষমতায় এলেই বদলে যাবে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। তাই তার আগেই ইজায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে হামাস।

    ট্রাম্পকে ধন্যবাদ

    যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যস্থতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।” যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর প্রশাসনও। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরও। নেতানিয়াহু অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়নি। বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সব মহলেরই আশা, দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস (Israel Hamas Conflict)। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাসরা মুসলমান। সেদিন এই হামাসরাই ইজরায়েলে ঢুকে হত্যা করেছিল ১২০০ সাধারণ মানুষ ও সেনাকে। অপহরণ করেছিল ২৫০জনকে। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিসর বাড়তে থাকে যুদ্ধের। হামাসের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম রাষ্ট্র লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরান। সেই যুদ্ধেই (Ceasefire) আপাতত দাঁড়ি পড়ল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Israel Hamas Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই। এবার গ্রেফতার করা হল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে (Yoon Suk Yeol)। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছিল। শেষমেশ বুধবার তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইওলকে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন সিওলের হান্নাম ডংয়ের বাসভবন থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের গাড়ি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সির কার্যালয়ে। সেই গ্রেফতারির পরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে দাবি করা হয়, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ফেরানোর ক্ষেত্রে এটা (ইওলকে গ্রেফতার) হল প্রথম পদক্ষেপ।

    সরকারি বাসভবনে হানা (Yoon Suk Yeol)

    এর আগেও একবার ইওলকে গ্রেফতার করতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএসের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে সেবার তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। এদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ইওলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএস কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলে দু’পক্ষে। ইওলের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। তাঁদের সরিয়েই ৩ হাজার পুলিশ নিয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকেন তদন্তকারীরা। তার পরে ইওলকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।

    ইওলের আইনজীবীর বক্তব্য

    ইওলের (Yoon Suk Yeol) আইনজীবী জানান, এদিনই ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি তদন্ত অফিসে হাজিরা দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ইওল। তবে তার আগেই তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করাটা দেশবাসী ভালোভাবে নেবেন না। ইওল স্বয়ং দাবি করেন, তিনি সব সময়ই তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তাঁর এই গ্রেফতারি দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ার উদাহরণ।

    আরও পড়ুন: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    দেশে মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করার কারণে ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইওল বলেছিলেন, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পরেই ইওলকে বরখাস্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে বরখাস্তের প্রস্তাবও আনেন তাঁরা। ১৪ ডিসেম্বর ভোটাভুটি হয়। হেরে যান প্রেসিডেন্ট (South Korea)। তার জেরেই বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে (Yoon Suk Yeol)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে যে সমঝোতার বিষয়টা রয়েছে, সেটা মেনে চলতে হবে (Indian High Commissioner)। পড়শি দেশকে সাফ জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সীমান্তে অপরাধ কমাতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক (India Bangladesh Relation)

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক হয় ৪৫ মিনিট ধরে। পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “আমরা আশা করছি, পারস্পরিক বোঝাপড়া লাগু হবে। অপরাধ দমন করতে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে।” ভার্মা জানান, অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে ভারত কতটা বদ্ধপরিকর, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবকে। সীমান্তে চোরাচালান, পাচার, দুষ্কৃতীদের আনাগোনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া সীমান্তে

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা রয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি এনিয়ে পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা করবে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছাড়া হওয়ার পর সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিনের বৈঠকে (India Bangladesh Relation) সে প্রসঙ্গও উঠেছে।

    এদিকে, সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করায় বেজায় চটেছে বাংলাদেশ। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করেছে ভারত। বিএসএফের কাজকর্মে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জসিমউদ্দিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার মতো অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ায় এমন বিষয় থেকে দূরে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জসিমউদ্দিনের দাবি, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো কাজ পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও, বাধা দেয় বিজিবি। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। এহেন (Indian High Commissioner) আবহেই হল দুই দেশের বৈঠক (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। নোবেলজয়ী এহেন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    প্রশ্ন হল, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুকে মিথ্যা মামলা, হিন্দু (Minority Hindu) মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি সবটাই শুধু রাজনৈতিক চক্রান্ত? কেন দুর্গাপুজোর সময় এবং বিসর্জনের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার ফাতোয়া জারি করেছিল ইউনূস প্রশাসন? কেন উত্তরায় দুর্গাপুজা করলে মিছিল করে মৌলবীরা খুনের স্লোগান দিয়েছিল? কেন ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল? কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের পিষে মারার নিদান দেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের ভিত্তি কি সাম্প্রদায়িক, নাকি কেবল রাজনৈতিক? অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তার সঠিক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি। ফলে শাক দিয়ে মাছ যে ঢাকা যায় না, তা ইউনূস প্রশাসন আরও একবার প্রমাণ করল বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে (Bangladesh)!

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিউজ আউটলেট ঢাকা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট হামলা ও ভাঙচুরের রিপোর্ট করা ১৪১৫টি ঘটনার মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচার বিভাগের মুখপাত্র সূত্রে পুলিশের অনুসন্ধানের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৭৬৯টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৪১৫টি ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। ৩৫৪টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত করা মামলাগুলির মধ্যে ১২৫৪ টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ১৬১টি ক্ষেত্রে প্রমাণে তথ্যের অভাব রয়েছে। তবে মোট মামলার মধ্যে ১৪৫২টি ঘটনা ঘটেছিল এক দিনেই।”

    ৩ দিনের ২০৫টি হামলা (Bangladesh)!

    আসুন তাহলে দেখে নিই, কীভাবে হামলার পরম্পরা চলেছে ওই দেশে। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার মোট ২০১০টি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর ৩ দিনের মধ্যে হিন্দু মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে উগ্র মুসলিমরা। ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং ব্লগার আসাদ নূর বলছেন, “হিন্দুদের জামাতে-ইসলামী-তে যোগদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” আবার বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন একাধিক বার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, বিএনপি, হিজবুল তেহেরির এবং জামাত শিবির বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করতে চাইছে। ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে গণেশ ঠাকুরের শোভাযাত্রায় হিন্দু (Minority Hindu) ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময় ময়মনসিংহে ইয়াসিন মিয়া নামক এক ব্যক্তি গৌরীপুর শহরের পুজোয় হামলা চালায়। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে, মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর কট্টর মুসলমানরা হামলা করেছিল। দুর্গার পুজোর অষ্টমীতে ঢাকার তাঁতি বাজার এলাকায় পেট্রোল বোমা মারা হয়েছিল পুজো মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময়। এক কথায়, সাম্প্রদায়িকতার আগুনে হিন্দু জীবন চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

    মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ জেহাদিদের

    ৩রা অক্টোবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জে গোপীনাথ জিউর আখড়া দুর্গাপূজো মণ্ডপে হিন্দু দেবদেবীর ৭টি মূর্তি ভাঙা হয়। ৫ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের হাজারি গলিতে হিন্দুদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পাথরঘাটায় হিংস্র মুসলিম জনতা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে ৩টি মন্দির ভেঙে দেয়। মুসলমানরা যে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে রয়েছে শান্তনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং কালীবাড়ি মন্দির। শুক্রবার নমাজের পরপরই ওখানে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে মুন্নি সাহা নামে বিশিষ্ট হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশ মিথ্যা মামলায় আটক করেছিল। তাঁর দোষ, হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। ১৩ ডিসেম্বর একদল জেহাদি মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। সেখানে ৭টি দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করে তারা। চুরি করেছিল মন্দিরের বিগ্রহের সোনার গয়না। 

    আরও পড়ুনঃ ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    গুজব রটিয়ে ও ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে আক্রমণ

    ১৯ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহ (Bangladesh) জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় আলাল উদ্দিন নামে একজন মুসলিম ব্যক্তি পলাশকান্দা কালী মন্দিরে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। এখানকার আজহারুল নামে এক ৩৭ বছর বয়সী মুসলিম ব্যক্তি বেশ কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। একই ভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু এবং তাঁর  সহযোগীদের সাম্প্রতিক সময়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। সকল হিন্দু সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা দিয়ে হিন্দু বিক্ষোভ দমন করার কাজ তীব্র গতিতে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই ভাবে আবার গুজব রটিয়ে এবং ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে হিন্দুদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। হৃদয় পাল, উৎসব মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস পিন্টু, আকাশ দাস এবং উত্সব কুমার গায়নের ওপর সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হিন্দু নিপীড়নের উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ভুয়ো মামলা দিয়ে কঠিন নির্যাতন করা হচ্ছে প্রতিদিন।

    মহিলা অন্তর্বাস হাতে নিয়ে উল্লাসে মেতেছিল জামাত!

    গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ‘কোটা’ বনাম ‘মেধাবী’ আন্দোলনের অন্তরালে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণভবন লুট করেছে কট্টর মৌলবাদীরা। একই ভাবে একজন ৭৫ বছরের মহিলা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ‘অন্তর্বাস’ হাতে নিয়ে উল্লাস করেছে ওই দেশের জামাত শিবিরের সমর্থকেরা। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙচুর এবং মাথায় মূত্র ত্যাগের ঘটনায় বিরাট নিন্দার ঝড় উঠেছিল। আন্দোলনের আড়ালে ছিল ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্য। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে ক্ষমতায় বসেছেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ হয়ে চলছে। অপরদিকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাগাতার চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোপনে অস্ত্র আমদানি করেছে ইউনূস প্রশাসন। দেশের অভ্যন্তরে ঢাকায় ভারতবিরোধী ভাবনার স্পষ্ট উচ্চারণ হচ্ছে। সীমান্তে বিজিপি ভারতের বিএসএফের সঙ্গে আচরণ বদলে ফেলেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং ভারতের জমি দখলের চেষ্টা করছে জেএমবির জঙ্গিরা। আর ঢাকা সহ একাধিক জেলায় মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন, হত্যা (Minority Hindu) ইত্যাদি ঘটে চলেছে। তবুও নির্লজ্জ ইউনূস নিজের কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ করেননি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা লস এঞ্জেলেস (Los Angeles) জুড়ে বিধ্বংসী দাবানলের (Devastating Fire) কারণে সরকার পক্ষের তরফে গভর্নর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন। আগুনে পুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “আপনারা বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”। একইভাবে এখনও পর্যন্ত ১২০০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মারাত্মক আগুন থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি সংস্থা দুর্গতদের সাহায্য এবং উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ৩৯০০০ একর জমিতে আগুন (Los Angeles)

    জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলেসে দাবানলের (Devastating Fire) কারণে দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩৯০০০ একর জমিতে জ্বলছে আগুন। ১৩৫০ কোটি থেকে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই দাবানল সব থেকে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এখন সকল স্কুল, কলেজ, বিনোদনের জায়গা, হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ। খেলাধুলা, কামিউনিটি ইভেন্ট বাতিল করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিপর্যয় কবলিত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং নেভানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইটন ফায়ার ৫৬ বর্গ কিমি, দ্যা পালিসেডস ফায়ার সমৃদ্ধি প্যাসিফিক প্যালিসেডস আশপাশের এলাকাকে ব্যাপক ভাবে ধ্বংস করেছে। প্রচুর পরিমাণ গাছপালা, বাড়িঘর এবং প্রাকৃতিক সম্পত্তি আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

    গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সকল বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের প্রধান অনীশ মহাজন বলেন, “আমরা সবাই দাবানলের ধোঁয়ার সংস্পর্শের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। এই ধোঁয়ায় ছোট কণা, গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ রয়েছে। সূক্ষ্মকণাগুলি শরীরে প্রবেশ করে নাক এবং গলাকে প্রভাবিত করবে। তীব্র জ্বালা অনুভব হবে। ফলে গলাব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যে হশেরিফ রবার্ট লুনা প্যাসাডেনায় একটি পারিবারিক সাহায্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই দাবানল আবার সান ফ্রান্সিসকোর একটি বড় এলাকাকে পুড়িয়ে দিয়েছে।

    ট্রাম্পকে পরিদর্শনের আর্জি

    ক্যালিফোর্নিয়ার (Los Angeles) গভর্নর গ্যাভিন নিউজম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাবানলে (Devastating Fire) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের অনুরোধ করেছেন। দুর্গত এবং আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ভয়াবহ দাবানলে প্রচুর মানুষের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে। মানুষ নিজের জীবন নিয়ে বিপন্নবোধ করছেন। সরকার পক্ষ এবং একাধিক নানা বেসরকারি সংস্থা সবরকমভাবে সাহায্যের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। অযথা কেউ আতঙ্কিত হবেন না এবং সবরকম গুজব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের লাগানো বিষবৃক্ষে ফল ধরতে শুরু করেছে! ভারতে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে লাগাতার জঙ্গিদের মদত দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) সরকার। যিনিই মসনদে বসেছেন, তিনিই দেশের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে। এবার সেই জঙ্গিফাঁদে পড়েই অপহৃত পরমাণু বিজ্ঞানীদের ছাড়াতে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার।

    টিটিপির হানা তেজস্ক্রিয় খনিতে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। তেহরিক-ই-তালিবান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP Terrorists) কয়েকশো জঙ্গি দিনে-দুপুরে হানা দেয় পাকিস্তানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম খনিতে। সশস্ত্র জঙ্গিদের রণমূর্তি দেখে পালিয়ে যায় খনি প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীরা। বিনা বাধায় খনিতে লুটপাট চালায় জঙ্গিরা। যাওযার সময় সঙ্গে নিয়ে যায় প্রচুর ইউরেনিয়াম। পণবন্দি করে ১৬ জন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী-সহ মোট ১৮ জনকে। এই খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পাক রেঞ্জার্স এবং আধা কমান্ড বাহিনী। জঙ্গিদের দেখে প্রাণ বাঁচাতে গা-ঢাকা দেয় তারা। অসহায়ের মতো জঙ্গিদের সঙ্গে যেতে বাধ্য হন পাক পরমাণু বিজ্ঞানীরা। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়া। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাক বিজ্ঞানীদের অপহরণ করেছে টিটিপি। পরে তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অনুমান, ইউরেনিয়ামের সাহায্যে এবার শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করবে টিটিপি। তাই খনি থেকে ইউরেনিয়াম লুট করেছে তারা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

    সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ হবে জঙ্গিদের!

    দীর্ঘ সময় ধরে পরমাণু বোমা তৈরির সুপ্ত ইচ্ছে পোষণ করেছে বহু জঙ্গি নেতা। একই সঙ্গে বিজ্ঞানী ও তেজস্ক্রিয় লুট করে সেই স্বপ্ন সফল করতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গি সংগঠনগুলি পরমাণু বোমা তৈরি করলে বিশ্বজুড়ে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেই শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের। এর আগেও পাক সেনাবাহিনীর হাতে থাকা পারমাণবিক হাতিয়ারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আমেরিকার বহু বিশেষজ্ঞই ইসলামাবাদের কাছে আণবিক অস্ত্র থাকাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন। ইউরেনিয়াম খনি লুট এবং বিজ্ঞানীদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লিও।

    মুখ পোড়ার ভয়

    বিশ্বে মুখ পোড়ার ভয়ে প্রথমে বিজ্ঞানীদের অপহরণের কথা স্বীকার করেনি পাক সরকার। পরে অবশ্য জঙ্গি-কবল থেকে বিজ্ঞানীদের মুক্ত করতে শাহবাজ শরিফের সরকার দর কষাকষি করছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। যদিও এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি পাক সরকারের তরফে। তবে টিটিপি (TTP Terrorists) জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন পাকিস্তানের অপহৃত ১৬ জন বিজ্ঞানী এবং দুই ইঞ্জিনিয়র।

    টিটিপির গুচ্ছের শর্ত

    এদিকে পণবন্দিদের জীবিত ছেড়ে দিতে গুচ্ছের শর্ত দিয়েছে টিটিপি জঙ্গিরা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে পাক ফৌজকে। মুক্তি দিতে হবে পাক জেলে বন্দি টিটিপির সমস্ত নেতা ও যোদ্ধাকে। আর পাক-আফগান সীমান্তের ‘ডুরান্ড লাইন’ বাতিল করে নয়া সীমান্ত নির্ধারণ করতে হবে। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় হামলা চালায় টিটিপি। মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনা বাহিনীর এক মেজর-সহ বেশ কয়েকজন জওয়ানের। বদলা নিতে ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইক চালায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা। পরে পাকিস্তান দাবি করে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শিশু ও মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জন। এর পরেই সীমান্তে কয়েক হাজার জঙ্গি পাঠিয়ে দেয় তালিবানরা। তালিবান এবং টিটিপি জঙ্গিদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি পাক সেনা। এই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরমাণু বিজ্ঞানীদের অপহরণ করে টিটিপি বুঝিয়ে দিল পাক সেনার তুলনায় তারা কতটা শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

    গত ডিসেম্বর (TTP Terrorists) থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে টিটিপি ও পাক সেনার মধ্যে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে জঙ্গির তকমা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আড়ালে থেকে টিটিপিকে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে তালিবান প্রশাসন। জঙ্গিদের তারা আশ্রয়ও দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পরে পরেই সীমান্তে অন্তত দুটি পাক চৌকি দখল করে টিটিপির জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিও-ও। চাপে পড়ে পাক সরকার জানায়, চৌকিগুলি খালি ছিল।

    ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালিবান। সেই সময় উল্লাস করেছিল পাকিস্তান। তবে ইসলামাবাদের সেই আনন্দ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ‘ডুরান্ড লাইন’কে কোনওদিনই মান্যতা দেয়নি তালিবান। তারাই নিয়মিত অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছে টিটিপিকে (TTP Terrorists)। সেই টিটিপিই কালি লেপে দিল পাক সরকারের মুখে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালাবদলের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh) গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে, দাবি একাংশের। ধর্মান্তকরণের চাপ জাঁকিয়ে বসেছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের মাথায়। ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলেছে মন্দির ভাঙচুর। আর নতুন বছরের শুরুতে ফের বাংলাদেশে মৌলবাদী তাণ্ডব। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৩টি মন্দিরে হামলা। দেদারে চলল লুট। খোয়া গেল মন্দিরের প্রণামী বাক্সে থাকা হাজার পঞ্চাশেক টাকা, গয়না, নিত্য পুজোর জিনিসপত্রও। ফলে, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়মিত হয়ে চলেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) হাটহাজারি এলাকায় শ্রী বিশ্বেশ্বরী মন্দির, শ্রী সত্যনারায়ণ সেবাশ্রম-সহ একাধিক মন্দিরে হামলা ও লুট চালায় দুষ্কৃতীরা। এর আগেও একই প্রকার সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ মাসেই নাটোরের শ্বশানকালী মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। চলে লুটপাট। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। হাত-পা বেঁধে খুন করা হয় মন্দিরের পুরোহিতকেও। এমনকি নতুন বছর থেকে মৌলবাদী কোপ পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। অভিযোগ তিতুমির কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি ঘিরে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধর্মকে আধার করেই সংখ্যালঘু অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে হুমকি, হুঁশিয়ারি।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    হামলা নিয়ে সরব কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

    লালমোহন হাটে (Bangladesh) স্থানীয় জমিদার তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির ভবতারিণী কালী মন্দির চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মৌলবাদের উত্থান ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি। মন্দিরের হামলা নিয়ে রাধারমণের পোস্টে দাবি, শুক্রবার পুজো করতে যখন পুরোহিত আসেন, তখনই তিনি দেখতে পান যে, মন্দিরের দরজা ভাঙা। বিগ্রহ উধাও। নেই কোনও সোনার অলংকার, ঠাকুরের মূর্তি বা পুজোর সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share