Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আবার জঙ্গি হামলা। একটি ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, ট্রেন চালককে জখম করে যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করেছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ (বালুচ লিবারেশন আর্মি)। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। নামানো হয়েছে সেনা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার এই খবর আসা মাত্রই প্রাদেশিক সরকার জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে এলাকায়।

    পণবন্দি ১০০ যাত্রী

    বিএলএ-র তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১০০ জন যাত্রী তাদের হাতে পণবন্দি! বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, ‘‘পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রিবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়।’’ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছু়ড়তে সশস্ত্র বালুচ বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয় বলে তাঁর অভিযোগ। শাহিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। মনে করা হচ্ছে, অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামতে পারে পাক সেনা। পাক রেল দফতরের আধিকারিক মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, ন’টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন।

    পাক সেনা অভিযান নয়

    পাক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে। জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৬ পাক সেনা নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

  • Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে জাতি-দাঙ্গা , সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার পদ্মাপাড়ে প্রতিদিনের ঘটনা। সম্প্রতি আর একটি ভয়াবহ তথ্য সকলকে চমকে দিয়েছে। বাংলাদেশে ছয় জেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার কমপক্ষে সাতজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে নাবালিকা ও শিশুদের উপর অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ

    অভিযোগ, রবিবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে দুই কিশোর ধর্ষণ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে মেয়েটি বাড়িতে খেলছিল। তখন তাকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখায় অভিযুক্ত দুই কিশোর। এরপর তাকে কাছের একটি ঝোপে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। হবিগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, নির্যাতিতার দিদা দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত গতকাল অভিযুক্ত দুজনকে জেলে পাঠিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ওই শিশুর বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এই খবর শোনার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তিনি মারা যান।

    নিশানায় ৩ থেকে ১৬ বছরের মেয়েরা

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গতকাল দুই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ রাকিব (২৪) এবং মহম্মদ হেলাল উদ্দিন (২৭) একই উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাকিব ১ মার্চ গভীর রাতে কোনওভাবে ১৬ বছর বয়সি কিশোরীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে একটি সালিশি সভা করে। কিন্তু কিছু লোক সেখানে মেয়েটিকে বকাঝকা করে। বিকেলে সে আত্মহত্যা করে মারা যায়। পুলিশ পরে লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন। একদিন পর, নির্যাতিতার মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওসি আরও জানান, স্থানীয় আদালত রাকিব ও হেলালকে কারাগারে পাঠিয়েছে। হেলাল এবং আরও ১০ জন সন্দেহভাজনকে উস্কানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলাতেও সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাব্বির মিয়া (২০) ও নির্যাতিতা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে সাব্বির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, নির্যাতিতার মা মামলা দায়ের করার পর রবিবার রাতে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত তাকে মঙ্গলবার জেলে পাঠায়।

    অন্য ঘটনায়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন ওই উপজেলার মহম্মদ নুরুজ্জামান। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে নুরুজ্জামান শিশুটিকে শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে। কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, স্থানীয় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। কিশোরগঞ্জেও, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত, তফাজ্জল দীন ইসলাম (২৭) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে শিশুটি টয়লেট ব্যবহার করার জন্য তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেখানে অপেক্ষারত তফাজ্জল মেয়েটিকে জোর করে কাছের একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। তার বাবা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ সকালে তফাজ্জলকে গ্রেফতার করে। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিশোরগঞ্জের একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

    অন্য একটি ঘটনায়, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তির জেল হয়। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকলেছুর রহমান জানান, অভিযুক্ত সজল হোসেন পলাশ (৪০) রবিবার মেয়েটিকে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। মেয়টি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। অপর এক ঘটনায়, ফেনির ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ওই উপজেলার বাসিন্দা।

    যৌন নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন নির্যাতনের তীব্রতা বাংলাদেশে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জন নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। প্রতিদিনের প্রতিবেদনে ধর্ষণের ভয়াবহ ঘটনাগুলির বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, যার শিকার শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষ। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই ভয়াবহ বাস্তবতা সমাজের গভীর সংকটের চিত্র তুলে ধরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, সাম্প্রতিক পুলিশ রিপোর্ট এবং মানবাধিকারের তথ্যে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কাঠগড়ায় ইউনূস প্রশাসন

    দেশে ক্রমবর্ধমান এই সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য প্রশাসন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। ছাত্র সংগঠনগুলিও রাস্তায় নেমেছে, ন্যায়বিচার এবং মহিলাদের জন্য আরও সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশের তরফে পুলিশ পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলি মোকাবিলায় একটি বিশেষ হটলাইন চালু করা হয়েছে। তা-ও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ব্যর্থ সরকার। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, এই সংকটের মূল কারণগুলি মোকাবিলা করার জন্য বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক, ধর্ষণকে ঘিরে সামাজিক কলঙ্ককে ন্যায়বিচারের একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আইনজীবী সিরাজুল করিম জানান, যে কোনও অপরাধের জন্য শাস্তির দীর্ঘ প্রক্রিয়া এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলার বর্তমান অস্থিরতা এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী।

    বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা এক নজরে—

    ঢাকায়, নৃশংস নির্যাতনের পর ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চলতি সপ্তাহে ভর্তি করা হয়েছে।

    নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার সৎ বাবাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

    হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় রবিবার ছয় বছর বয়সি এক কিশোরীকে দুই কিশোর ছেলে ধর্ষণ করেছে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    কিশোরগঞ্জে, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোমবার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    চট্টগ্রামে, ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ৮ বছর বয়সি এক কিশোরীকে তার বোনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় তার চাচা-শ্বশুর ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার শ্যালককে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    একজন বাবার বিরুদ্ধে তার নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Mauritius)। ১২ মার্চ মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। মঙ্গলবার ভোরে মরিশাসের স্যার সিউওসাগুর রামগুলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম। মরিশাসে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। ভারত ও মরিশাসের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কারণে মোদির এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম এটিকে তাঁর দেশের জন্য বিশেষ সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    মরিশাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক। দুই দেশের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে। আর রয়েছে ভারত মহাসাগর। মরিশাস যেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’। ১২ মার্চ সেদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মোদি (PM Modi in Mauritius)। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম, উপপ্রধানমন্ত্রী, মুখ্য বিচারক, স্পিকার, বিরোধী দলনেতা-সহ মরিশাসের ২০০ জন পদাধিকারিক মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির মরিশাস সফর, তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, মরিশাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের আর্থিক সহায়তায় ২০টির বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদি। নরেন্দ্র মোদির এই মরিশাস সফরে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়নে অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মতো একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    মোদির সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Mauritius) সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক বহু দিনের। তখনও তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও হননি। মরিশাস সফরে গিয়ে সবার মন জয় করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের সেই মরিশাস সফরের কথা এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, একশো বছরেরও বেশি আগে ভারতের বহু নাগরিক শ্রমিক হিসেবে মরিশাসে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তুলসীদাসের রামায়ণ, হনুমান চালিশা। হিন্দি ভাষা মরিশাসের অন্যতম ভাষা হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালের ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মরিশাসের মোকাতে ছিলেন মোদি। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল রামায়ণ কনফারেন্স’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোদি। ভারত ও মরিশাসকে এক সূত্রে বাঁধতে রামায়ণ কীভাবে সেতুর কাজ করেছে, ওই কনফারেন্সে তা তুলে ধরেছিলেন মোদি।

    ভারত-মরিশাস সম্পর্ক

    মরিশাসের সঙ্গে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের আত্মিক সম্পর্ক। দুদেশের সম্পর্কের সেতু রামায়ণ। আজও সেদেশে সমান জনপ্রিয় তুলসীদাসের রামায়ণ এবং হনুমান চালিশা। মরিশাসের অন্যতম প্রধান ভাষা হিন্দি। এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের জনসংখ্যা ১৩ লক্ষেরও বেশি। যা কিনা এই দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। উল্লেখ্য ১৯৭৬ সাল থেকে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট দুদেশের সংস্কৃতির প্রচারের জন্য একটি যৌথ মঞ্চ হিসেবে আজও কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফরে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা কুটনীতিকদের। প্রসঙ্গত চিনা হুমকির কথা মাথায় রেখে ভারত মহাসাগরের বুকে মরিশাসে ভারত একটি বন্দরও গড়ে তুলেছে। সেখানকার পোর্ট লুইসে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়নও রাখবে নয়া দিল্লি।

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

    সিঙ্গাপুরের পর মরিশাস ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও বটে। বর্তমানে মরিশাস-ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কর্পোরেশন, টেলিকমিউনিকেশনস কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল (মরিশাস) লিমিটেড, মহানগর টেলিফোন (মরিশাস) লিমিটেড, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (মরিশাস) সহ ১১ টি ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে সেদেশে। উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা সহ একাধিক প্রকল্পে মরিশাসকে সহযোগিতা করছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মরিশাস রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিল যৌথ উপগ্রহ নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর একটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষরও করেছে। বর্তমানে মরিশাসে সাড়ে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যায়ে ভারতের সহযোগিতায় গড়ে উঠছে মেট্রো এক্সপ্রেস প্রকল্প, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং তৈরি, নতুন হাসপাতাল সহ একাধিক প্রকল্প। কোভিডের সময়ও মরিশাসকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত।

  • Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ। সম্প্রতি সেই যুদ্ধ উঠেছে তুঙ্গে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। লড়াই চলছে মূলত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীদের। ডিসেম্বরেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল সাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার যৌথবাহিনী।

    সংঘাতের শিকার আলাওয়াইটরা (Syria Unrest)

    সিরিয়ার এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শিকার হচ্ছে আলাওয়াইট নামে একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি। এঁরা মূলত বাস করেন সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা লাটাকিয়া এবং টারটসে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের মানুষকে। লাশের পাহাড় জমছে আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। প্রশ্ন হল, কেন বেছে বেছে আলাওয়াইটদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারের সামরিক বাহিনী? এ দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন এই সম্প্রদায়ের। তাঁর আমলে প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের উচ্চপদে ঠাঁই দেওয়া হয় আলাওয়াইটদের। এই পক্ষপাতিত্ব সহ্য হয়নি সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত সিরিয়ার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা পুঞ্জীভূত এই ক্ষোভের গনগনে আগুনেই এখন পুড়ছে সিরিয়া।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বাস করেন বছর ছত্রিশের আলি কোশমার। তিনি বলেন, “মধ্য রাতে বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চিৎকারে ঘুমে ভেঙে যায় আমার। আগন্তুকরা বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসো তোমরা আলাওয়াইট শূকর, নাসাইরি!” প্রসঙ্গত, এই নুসাইরি ইবন নুসাইরের অনুগামীদের বোঝায়। তিনি এই আলাওয়াইটদের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলল, অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করল, এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল। ওরা আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমাকেও ওরা তিন-তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কোনক্রমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বাঁচি (Syria Unrest)।” তিনি বলেন, “জানি না আমার পরিবার এবং আমি আর কতদিন বেঁচে থাকব। আমাদের নাম আমাদের সম্প্রদায়ের পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের উচ্চারণ আমাদের পরিচয় ফাঁস করে। আমাদের উৎপত্তিস্থলও আমাদের ঝুঁকিতে ফেলে।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ

    মিশ্র ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মিস্টার সালামাহ। তাঁর মা সুন্নি মুসলমান, বাবা আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেক আত্মীয় আবার খ্রিস্টান। তিনি বলেন, “আসাদের শাসনে আমরাও সব সিরিয়ানের মতোই ভুগেছি।” জানা গিয়েছে, অত্যাচারীরা কেবল আসাদ সমর্থক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মীদেরই টার্গেট করছে না, তারা সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং খ্রিস্টান ও শিয়া মুসলমান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ করছে।

    সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান

    সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বরেও। মিস্টার সালামাহ নামে এক সিরিয়ান বলেন, “সেবার সশস্ত্র লোকজন হামলা চালিয়ে একটি মাজারের প্রহরীদের হত্যা করে। পরে মাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলাওয়াইটরা প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। যার ফলে হোমসে একজন নিহত হন, জখমও হন বেশ কয়েকজন।” কোশমার বলেন, “যা ঘটছে, তা একটি চলমান সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা। এরা যে কাউকে আলাওয়াইট হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের টার্গেট করছে। তা তাদের ধর্ম, ভাষা বা উৎপত্তি স্থানের ভিত্তিতেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণে।” তিনি বলেন, “এই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তা কেবল আসাদ পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য নয়। এর সঙ্গে আসাদ পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই (Syria Unrest)। সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিরীহ নাগরিক — টেকনোলজিস্ট, ডাক্তার এবং কৃষক। তবুও আসাদের অবশিষ্টদের খোঁজার অজুহাতে একটি পুরো সম্প্রদায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

    গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়া!

    এই গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিস্টার খালাফ। তিনি বলেন, “ওরা (রাশিয়া) আসাদ শাসনের অবশিষ্টদের পাল্টা আক্রমণের জন্য উৎসাহিত করেছিল, উপকূল ও আলাওয়াইটদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে পালায়।”  তিনি বলেন, “এর ফলে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় আল-জুলানি। যদিও তখন রাশিয়া তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার নামে অপরাধ তদন্ত করার দাবি করেছিল।” তিনি বলেন, “যাঁরা হিংসার শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের সাহায্য করতে একটি আর্থিক অনুদানের প্রচার চালাতে চাই। এজন্য আমি ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি (Syria Unrest)।”

    প্রসঙ্গত, সিরিয়া সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ৬ মার্চ, ২০২৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্ত ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Syria Unrest)।

  • Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে (Bangladesh)। ঢাকার অদূরে (Dhaka) সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে দোকান বন্ধের সময় স্ত্রীর সামনেই এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হল। এরপরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে ককটেলও ফাটায় হামলাকারীরা। গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই হিন্দুদের ওপর চরম নির্যাতন চলছে বাংলাদেশে। এই আবহে ফের এক হিন্দু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনা সামনে এল। নিহত দিলীপ দাস (৪৮) সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি নয়ারহাট বাজারে দিলীপ স্বর্ণালয় নামের একটি সোনার দোকানের মালিক। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    কী জানালেন পুলিশ অধিকর্তা?

    আশুলিয়া থানার (Bangladesh) পুলিশ আধিকারিক কামাল হোসেন বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিলীপ যখন তালাবদ্ধ করে দোকান থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই চারজন লোক এসে তাঁকে পেছন থেকে আঘাত করে। পরে তিনি সামনে ঘুরলে আবারও তাঁকে আঘাত করা হয়। তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগ হামলাকারীরা ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ব্যাগে কী ছিল, সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। ফুটেজে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে, সম্ভবত তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।’’

    কী বলছেন স্ত্রী ও ভাই?

    দিলীপ দাসের পিসতুতো ভাই খোকন সরকার বলেন (Bangladesh), ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দোকান বন্ধ করে দিলীপ বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে ওষুধ কেনার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে আবার বাজারে আসেন। এ সময় পরিচিত একজনকে সোনার হার বিক্রি করেন। পরে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় তিন-চারজন দিলীপকে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।’’ দিলীপের স্ত্রী সরস্বতী দাস বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য দোকান বন্ধ করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে রওনা হয়েছিলেন উনি। আমিও সঙ্গে ছিলাম। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে সব নিয়ে যায় হামলাকারীরা।’’

    কী বলছেন ডাক্তার?

    বেসরকারি এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Bangladesh) জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান বলেন, ‘‘রাত ১০টার দিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় দিলীপ দাসকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর বুকে বড় ক্ষত ছিল। গালের ডান পাশে ও পিঠে ক্ষত ছিল। চিকিৎসা শুরুর পরপরই তিনি মারা যান। মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়, লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়, অপারেশন থিয়েটারেও নেওয়া হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’’

  • Lalit Modi: ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব বাতিল! ভারতকে এড়াতে পারলেন না ললিত মোদি

    Lalit Modi: ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব বাতিল! ভারতকে এড়াতে পারলেন না ললিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত ললিত মোদির পাসপোর্ট বাতিল করে দিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। ললিতের পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাতু। কিছু দিন আগেই ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ললিত। তার পর তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে চেয়ে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেন। তার মাঝেই ভানুয়াতু তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করে দিল।

    কেন বাতিল পাসপোর্ট

    এক বিবৃতিতে নাপাতু বলেন, ‘আমি নিজে নাগরিকত্ব কমিশনকে ললিত মোদির ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার হদিশ পাইনি আমরা। তবে সম্প্রতি ইন্টারপোলের তরফে সতর্কবার্তার জেরেই তাঁকে দেওয়া পাসপোর্ট ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসন তরফে।’ এরপরই ললিত মোদির বিরুদ্ধে পলায়নের অভিযোগ এনে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ কারণ ছাড়া ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব নয়। কেউ প্রত্যর্পণ এড়ানোর জন্য ভানুয়াতুর শরণাপন্ন হলে, তাঁকে কোনও ভাবে সমর্থন করবে না আমাদের দেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু তথ্য অনুযায়ী, ললিত মোদি সেই প্রত্যাপর্ণ এড়াতেই আমাদের কাছে শরণাপন্ন হয়েছিলেন।’

    ভারতের পাসপোর্টই ভরসা

    ললিতের পাসপোর্ট বাতিল করানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নীতা ভূষণ। গত ৭ মার্চ ভারতীয় পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন লন্ডনের দূতাবাসে জানান ললিত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও সেই খবর নিশ্চিত করেছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘ললিত মোদী পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনটি খতিয়ে দেখা হবে। উনি ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আমাদের সে দিকটিও দেখতে হবে। আইন অনুযায়ী ওঁর বিরুদ্ধে যা করা সম্ভব, আমরা করছি।’’

    আইপিএল আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত

    আইপিএলের জনক ললিত মোদি। আইপিএলের শীর্ষপদে থাকাকালীন বিপুল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ললিতের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রচুর টাকাও তিনি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। ২০১০ সালে ললিত ভারত ছাড়েন। তার পর থেকে লন্ডনেই আছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে। তবে ললিতকে দেশে ফেরানো যায়নি। উল্লেখ্য, বিপুল অর্থ থাকলে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক হওয়া যায়। ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পাওয়ার পদ্ধতি বেশ সহজ সরল। অত্যন্ত কম নথিপত্র লাগে সেখানে। সেই ফাঁক গলেই ললিত মোদি সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন। তবে এরই মধ্যে তাঁর ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

     

     

     

     

  • Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি (Mark Carney) বসছেন কানাডার মসনদে (Canada PM)। সে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। কে হবেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী! সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল রবিবার। এদিন লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে মার্ক কার্নিকে (Canada PM) বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রুডোর উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে কার্নি জানান, আগামী ভোটে জিতে তিনি ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতি করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কানাডার সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভারতকে পাশে টানার বার্তা কার্নির

    ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে কার্নির মুখে শোনা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই শুল্ক সংক্রান্ত মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনওভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।’’  অন্যদিকে, এক প্রশ্নের ভারতকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, “কানাডার লক্ষ্য হল সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উন্নত করা।” এই আবহে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি। কার্নি বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে (ভারত-কানাডা সম্পর্ক) নতুন করে গঠন করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’’

    দলের মধ্যেই ৮৬ শতাংশ ভোট পান কার্নি (Mark Carney)

    যদিও এর আগে কার্নিকে অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। লিবারেল পার্টির নেতা কে হবেন সেই সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাম ভাসছিল। কিন্তু ভোটাভুটিতে মাত্র আট শতাংশই ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ৫৯ বছর বয়সি, প্রাক্তন এই ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হারিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নির ঝুলিতে এসেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। এই পরিমাণ ভোট মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। এছাড়া কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮ ভোট। ব্যবধানেই বোঝা যাচ্ছে পার্টির অন্দরে বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।

    কার্নির সংক্ষিপ্ত পরিচয় (Mark Carney)

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ছিলেন কার্নি (Mark Carney)। জানা যায়, এর আগে কখনও কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেন হার্ভার্ডে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাঙ্ক অফ কানাডায় ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে গভর্নর হিসেবে পদোন্নতি হয়। ২০০৮-২০০৯ সালে কানাডা যখন আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেসময় তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নেতৃত্ব দেন। ২০১৩ সালে, কার্নি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গর্ভনর হন। প্রায় ৩০০ বছর এমন ঘটনা ঘটে, যখন কোনও ব্রিটিশ নাগরিক নন, এমন ব্যক্তি গভর্নর হন। ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড থেকে অবসর নেওয়ার পরে অর্থ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, মার্ক কার্নির বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের ভাষণে একথাও উল্লেখ করেন কার্নি।

    ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে দেশেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ট্রুডোর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন। ট্রুডোকে নিয়ে লিবেরাল পার্টির অন্দরের নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখন দায়িত্ব পেলেন কার্নি (Mark Carney)। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মার্ক কার্নির সামনে বর্তমানে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

  • Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কুলভূষণ যাদবকে অপহরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে তিনি (Mufti Shah Mir) সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় শুক্রবার বালুচিস্তানের তুরবাতে মসজিদ থেকে নমাজ আদায় করে বেরোনোর সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন বন্দুকধারী বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পাক গুপ্তচর সংস্থার ‘বন্ধু’ তথা ধর্মীয় নেতা মুফতি শাহ মীরকে।

    ‘বন্ধু’র হাতেই বন্ধু খুন! (Mufti Shah Mir)

    এর পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, ‘বন্ধু’ আইএসআইয়ের হাতেই খুন হতে হয়েছে মীরকে। কেন ‘বন্ধু’কে খুন করল আইএসআই? সূত্রের খবর, ইদানিং অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে মীরের সঙ্গে আইএসআইয়ের দূরত্ব বাড়ছিল। তার জেরেই মীরকে খুন করা হয় বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। মীর যে রাজনৈতিক দল জামাইত উলেমা-এ-ইসলামের সদস্য, গত সপ্তাহেই ওই দলের আরও দুই সদস্য খুন হন রহস্যজনকভাবে। সেবারও দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিল। হয়তো কাকতালীয়, কিন্তু একই দলের পরপর তিনজন খুন হওয়ার নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এর আগেও দুবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল মীরের ওপর। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, আততায়ীরা মীরের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সুযোগ বুঝে শুক্রবারই তাঁকে শেষ করে দেয় দুষ্কৃতীরা।

    মুখ ও মুখোশ

    বালুচিস্তানে মীর ধর্মীয় নেতা হিসেবেই পরিচিত। সূত্রের খবর, এই মুখোশের আড়ালেই আরও একটা পরিচয় ছিল মীরের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নানা রকম বেআইনি কাজ পরিচালনা করা ও তার নেতৃত্ব দেওয়া (Mufti Shah Mir)। অস্ত্রপাচার, মাদক পাচার এবং মানব পাচারের সঙ্গেও মীর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরে নিত্য যাতায়াত ছিল মীরের। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশেও তিনি মদত দিতেন। বালুচিস্তানে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গি দলে যোগদানে উৎসাহও দিতেন মীর। শুধু তাই নয়, আত্মঘাতী হামলাকারী নির্বাচন করা, অপহরণ, বালুচিস্তানের বহু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও ছিল মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের সম্পর্কে পাক সেনাকে খবরাখবর আদানপ্রদানও করতেন আইএসআইয়ের এই ‘বন্ধু’। ২০১৬ সালে জইশ-অল-আদল গোষ্ঠীর প্রধান মুল্লা ওমর ইরানি ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অপহরণ করেন কুলভূষণকে। সেই কুলভূষণকে আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিতে মীর সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ (Mufti Shah Mir)।

  • Syria: নারীদের নগ্ন করে হাঁটিয়ে গুলি করে হত্যা! সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত ১,০০০

    Syria: নারীদের নগ্ন করে হাঁটিয়ে গুলি করে হত্যা! সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত ১,০০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়াতে (Syria) এক ভয়াবহ সংঘর্ষে ১,০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগামী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশোধমূল পদক্ষেপ থেকেই এই হিংসার শুরু হয় বলে ডানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর এই হামলা চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছু নারীদের রাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    হিংসার কেন্দ্র হল সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল (Syria)

    বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা শান্ত হয়েছে। সরকার বেশিরভাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সহিংসতার কেন্দ্র হল সিরিয়ার (Syria) উপকূলীয় অঞ্চল। এখানকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ৭৪৫ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১২৫ জন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন সশস্ত্র আসাদ-সমর্থক যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন।

    বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে

    আসাদের শাসনকালে আলাওয়াইট সম্প্রদায় (Syria Worst Violence) বিশেষ সুবিধা পেত বলে জানা গিয়েছে। তবে তিন মাস আগে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সম্প্রদায়ের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটছে। এই আবহে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সহিংসতার পাশাপাশি লাতাকিয়া শহরের আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

    বনিয়াস শহরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি (Syria)

    স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়ি লুটপাটের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লেবাননের পার্লামেন্টের আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হায়দার নাসের জানিয়েছেন, সিরিয়া থেকে বহু আলাওয়াইট নাগরিক নিরাপত্তার কারণে লেবাননে পালিয়ে যাচ্ছেন। বনিয়াস শহরে সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি তীব্র আকার ধারণ করে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাস্তায় এবং বাড়ির ছাদে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি বনিয়াস শহর ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। বাড়িঘর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

LinkedIn
Share