Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। সে দেশের নিউ অরলেন্সে নববর্ষ পালন করছিলেন নাগরিকরা, সেই ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা করল শামসুদ্দিন জব্বর নামের এক জঙ্গি। পরে ট্রাক থামিয়ে গুলি চালাতে থাকে এই সন্ত্রাসী। এর পর ৪২ বছরের এই জঙ্গি পুলিশ এনকাউন্টারে (Terrorist Attack) খতম হয়। শামসুদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইসিসের পতাকা। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) জন্ম হওয়া এই জঙ্গি সেদেশের সেনাকর্মী হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে কাজ করে শামসুদ্দিন। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল শামসুদ্দিন 

    নববর্ষের ভোররাতে নিউ অরলিন্সের জনগণ বর্ষবরণের আনন্দ উৎসব পালন করছিলেন এমনই সময় সেই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেয় শামসুদ্দিন। এফবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেনায় আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এক সময় কাজ করেছিল শামসুদ্দিন। আর বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল সে। জানা গিয়েছে, এর আগে শামসুদ্দিন জব্বরের বিরুদ্ধে দু’টি ছোটখাটো অপরাধের অভিযোগ ছিল। ২০০২ সালে চুরি এবং ২০০৫ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনীও উঠে এসেছে।

    এফবিআইয়ের ওপর সম্পূর্ণ তদন্তভার 

    জব্বর দু’বার বিয়ে করেছিল বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শামসুদ্দিন জব্বরের। এফবিআই এখনও শামসুদ্দিন জব্বরের অতীত জানার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার তদন্তভার সম্পূর্ণভাবে এফবিআইয়ের হাতেই দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। শামসুদ্দিন অন্য কোনও দেশ থেকে সম্প্রতি আমেরিকায় ফিরেছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। আইসিস-এর সঙ্গে তার যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই আদালতে উঠবে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) জেলবন্দি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলা। তাঁর হয়ে লড়াই করার কথা ছিল যাঁর, সেই প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে (Rabindra Ghosh) ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীকে। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন মামলার শুনানিতে বর্ষীয়ান ওই আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রবীন্দ্রকে গ্রেফতারির ছক?

    রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণকে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আদালতে চলছে মামলা। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন রবীন্দ্র। চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। উঠেছেন ব্যারাকপুরে ছেলের বাড়িতে। ভারতে এসে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম আদালতের এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশের আচরণ সন্ত্রাসবাদীদের মতো।” মামলা লড়তে গিয়ে রীতিমতো আঘাতও পেতে হয়েছে তাঁকে। তাই চিকিৎসা করাতে এসেছেন ভারতে। তিনি বলেছিলেন, “ফিরে গিয়ে ফের সওয়াল করব চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে।” আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না বলেই খবর। তবে বাংলাদেশে পৌঁছলেই যে রবীন্দ্র মামলা লড়তে পারবেন, এমন কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে মামলা লড়ার অপরাধে একাধিকবার খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, প্রবীণ ওই আইনজীবী বাংলাদেশে পৌঁছলেই তাঁকে গ্রেফতার করবে মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। চিন্ময় কৃষ্ণকে যাতে বেশি দিন গারদে আটকে রাখা যায়, তাই এই ছক।

    আরও পড়ুন: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    কী বলছেন প্রবীণ আইনজীবী?

    রবীন্দ্র বলেন, “বুধবারই দেশে ফেরার কথা ছিল আমার। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশে ফিরতে পারব কিনা, নিশ্চিত নই। তবে (Bangladesh Crisis) আমি ২০ জন আইনজীবী দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমার দুজন জুনিয়র আইনজীবী এবং আরও ১৮ জন দাসের পক্ষে আগামিকাল আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আমি তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব (Rabindra Ghosh)। সুস্থ হয়ে উঠলে আমি বাংলাদেশে ফিরে আসব।” বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য তাঁর লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল (India  Maldives Relation)। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মলদ্বীপের সরকার ফেলতে ভারতের কাছে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছিল সেখানকার বিরোধী দল ‘মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি’ (MDP)। যদিও ভারত সেই ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

    মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

    ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ষড়যন্ত্র হয়। মুইজ্জুকে ‘ইমপিচ’ (পদ থেকে সরানো) করার জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। নয়াদিল্লির কাছ থেকে নাকি ৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) চাওয়া হয়। মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পনা ছিল পার্লামেন্টের ৪০ জন সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার। এই তালিকায় ছিলেন মুইজ্জুর নিজের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্যও। যদিও শেষ পর্যন্ত মুইজ্জুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ ভোট জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় বিরোধী শিবির। 

    ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দফায় দফায় ভারতের ‘র’ (RAW) এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক হয় মলদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের। মাসখানেক এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। কারণ পার্লামেন্টে যথেষ্ট পরিমাণ সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি বিরোধী শিবির। তবে এই ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের মদত ছিল কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, দুই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) কর্মকর্তা তাদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। যদিও এই বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    ভিত্তিহীন দাবি

    যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। তিনি বলেন, “মুইজ্জুর বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। এই ধরনের পরিকল্পনার কথা আমার জানা নেই। ভারত কখনও এই ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না। কারণ তারা মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।’’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) ক্ষমতায় আসেন চিন-প্রেমী মইজ্জু। তারপর থেকে তিনি ভারতের ওপর মলদ্বীপের নির্ভরতা কমিয়ে ফেলার বিষয়ে সচেষ্ট হন। মলদ্বীপের বুক থেকে তিনি ৮৫ জন ভারতীয় সৈনিককে সরিয়ে নিতে দিল্লিকে বার্তা দেন। এই বিষয়টিও দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষার জন্য ভারতের সঙ্গে ২০১৯ সালের একটি চুক্তি বাতিল করে মলদ্বীপ। চিনপন্থী মুইজ্জুকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় দু-দেশের মধ্যে। এরপর গত বছর লাক্ষাদ্বীপে ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের আপত্তিকর মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়ে যায় তলানিতে। যদিও গত বছরের শেষ দিকে ভারতের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন মুইজ্জু। দিল্লি সফরেও আসেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই ফের ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis18: অশান্ত বাংলাদেশ, আমলা-পুলিশ-বিচারপতিদেরও হেনস্থা করা হয়েছে নানাভাবে

    Bangladesh Crisis18: অশান্ত বাংলাদেশ, আমলা-পুলিশ-বিচারপতিদেরও হেনস্থা করা হয়েছে নানাভাবে

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ ষষ্ঠ পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে গণভবন দখলের পরেই ব্যাপক সন্ত্রাস নেমে আসে শেখ হাসিনার দলের ওপর। সে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৭০ জন আওয়ামি লিগের নেতাকে (Targeting Minority) খুন করা হয়েছে। শুধুমাত্র খুনই নয়, আওয়ামি লিগ নেতাদেরকে ব্যাপকভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার (Bangladesh Crisis18)। আওয়ামি লিগের নেতা-সমর্থকদের ওপর এই হামলার ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থাকতে দেখা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় একাধিক মানবাধিকার সংগঠনকে সরব হতেও দেখা গিয়েছে।

    মামলা পুলিশের বিরুদ্ধেই (Bangladesh Crisis18)

    শুধুমাত্র আওয়ামি লিগের নেতাদেরকেই নয়, টার্গেট করা হতে থাকে পুলিশ অফিসারদেরকেও। জানা গিয়েছে, ৪৪৯ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ৩০০-এর বেশি মামলা রজ্জু করে ইউনূস সরকার। যাঁদের মধ্যে সিনিয়র পুলিশ অফিসাররাও আছেন। আইজিপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার যেমন রয়েছেন, তেমনই ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলরাও রয়েছেন। এই ঘটনায় আরও একবার সামনে এসেছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। কারণ জুলাই-অগাস্ট মাসে যেভাবে আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশজুড়ে (Bangladesh Crisis18), তা ক্রমশই হিংসাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে এবং জঙ্গি হামলার কায়দায় হামলাও চালাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট ধৈর্যেরও পরীক্ষা দিতে হয়। এরপরে গণভবন দখলের পরেই প্রতিহিংসার রাজনীতি আছড়ে পড়ে।

    ১৭ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা

    জানা গিয়েছে, ১৭ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়। বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্টে এই সংখ্যা আবার বিভিন্ন দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis18) একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর যে ২৬ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়। অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল সাম্প্রতিক যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে ১৭জন পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন হাজার পুলিশকে বরখাস্ত করা হতে পারে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামি লিগের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রাখার।

    বরখাস্ত শতাধিক পুলিশ 

    একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসের ৫ তারিখ ও তার পরবর্তীকালে ৪৪ জন পুলিশ অফিসারকে খুন করা হয়। এখানেও ভয়ঙ্করভাবে সামনে আসে যে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক কতটা সেখানে বিপজ্জনক! যাঁরা আইন রক্ষা করবেন তাঁদেরকে খুন হতে হচ্ছে মৌলবাদীদের শাসনে। ৪৪ জন পুলিশ অফিসার খুন হওয়াতে বাংলাদেশজুড়ে এক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়, সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। আইনের রক্ষাকারীদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কতটা খারাপ হতে পারে। রিপোর্ট বলছে, হাসিনা সরকারের পতনের পরে ১৬ জন ডেপুটি ইনস্পেক্টর, পাঁচজন পুলিশ ইন্সপেক্টর, ১৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর ৯ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৭ জন নায়েক ও ১৩৬ জন কনস্টেবলক  বরখাস্ত করা হয়।

    খুনের মামলা আমলাদের বিরুদ্ধে (Bangladesh Crisis18)

    জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রাক্তন সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম, প্রাক্তন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্বরাষ্ট্র দফতরের আমিনুল ইসলাম খান, প্রাক্তন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব শাহ আলম, প্রাক্তন ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রকের সেক্রেটারি মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন ইলেকশন কমিশনের সচিব হেলাউদ্দিন, পাবলিক সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন সচিব মুস্তাফাকমল উদ্দিন-এই সমস্ত আমলাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। যাঁদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা পর্যন্ত দায়ের করে ইউনূস সরকার।

    মামলা দায়ের হয় বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও

    শুধুমাত্র তাই নয়, প্রাক্তন বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করতে শুরু করে ইউনূস সরকার। এমন সিদ্ধান্তে জোর বিতর্ক শুরু হয় আন্তর্জাতিকস্তরে। গণভবন দখলের পরেই বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এরই পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ করা শুরু হয় বাংলাদেশের বিচারপতি শাহি মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফরিদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও। একইভাবে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদেরও আক্রমণ শুরু করে ইউনূস সরকার। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাড়িতেও হামলা শুরু হয়। রেহাই পায়নি মানবাধিকার কর্মীরাও। খুনের মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন এই হামাস (Hamas) নেতা। এবার তাঁকে নিকেশ করল ইজরায়েল (Israel)। সেদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গাজায় একটি আশ্রয় শিবিরে আত্মগোপন করে ছিলেন জঙ্গিনেতা আব্দ আল-হাদি সাবা (Abd al-Hadi Sabah)। এখান থেকেই সমস্ত নাশকতামূলক কাজের পরিচালনা করতেন তিনি। এবার এই ঘাতক হামলাকারীকে হত্যা করল ইহুদি সেনা।

    কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল (Israel)

    ইজরায়েল (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাসের এলিট বাহিনীর নুখবা-র অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন আব্দ আল-হাদি। গাজায় ইজরায়েলি বায়ুসেনার অভিযানে (Hamas) ওই হামাস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নির ওজে হামলার দায়িত্ব ছিলেন সাবা। একাধিক হত্যা এবং অপহরণের মামলায় জড়িত ছিলেন তিনি। ইহুদি সেনার দাবি, গাজার খান ইউনিসের মানবাধিকার অঞ্চলের একটি আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। এখান থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন এই হামাস নেতা। আবার এই কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল।

    অক্টোবরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করা হয়েছে

    উল্লেখ্য, আগে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছিলেন নুখবা-র আর এক কমান্ডার বিলাল আল কেদরা। ইহুদি (Israel) সেনার দাবি, এই জঙ্গি কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিলেন। এই অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছেন হামাস (Hamas) গোষ্ঠীর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারও। হামাসের হামলার পর থাকেই ইজরায়েলি সেনার হাতে প্রাণ গিয়েছে একের পর এক শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার। তবে কিছুদিন আগেই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথাও স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েল। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইজারায়েলের দিকে কেউ হাত ওঠালে তা কেটে ফেলা হবে।

    প্রায় ১২০০ জন ইহুদিকে খুন করে হামাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইহুদিদের (Israel) বাৎসরিক উৎসবের দিনে হামাস (Hamas), হিজবুল্লা সহ একাধিক সংগঠন আচমকা হামলা করে। বোমা, রকেট হামলায় কেঁপে ওঠে ইজরায়েল। প্রায় ১২০০ জনকে ওই রাতে খুন করা হয়। ২৫০ জনকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে একে একে হামাস নেতাকে খুঁজে খুঁজে খতম করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সংবিধান বদল নিয়ে ইউনূসদের ডেডলাইন দিল মৌলবাদীরা, বাংলাদেশে বড় অশান্তির সঙ্কেত?

    Bangladesh: সংবিধান বদল নিয়ে ইউনূসদের ডেডলাইন দিল মৌলবাদীরা, বাংলাদেশে বড় অশান্তির সঙ্কেত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭২ সালে মুজিবর রহমান প্রতিষ্ঠিত (Sheikh Mujibur Rahman) সংবিধান বদলে দেওয়ার জন্য ইউনূস সরকারকে ১৫ দিন সময়সীমা বেঁধে দিল বাংলাদেশের (Bangladesh) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। গতকাল ৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদী সংবিধানকে কবর দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। বলা বাহুল্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মৌলবাদীদের হাতেই। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইসলামিক সংবিধান চালু (Bangladesh) না করলে, তা নিজেই তারা ঘোষণা করে দেবে বলে জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তবে এনিয়ে বাংলাদেশ সরকার দূরত্ব বজায় রেখে  জানিয়েছে, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। গতকাল গভীর রাতে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে সরকার নিজেই। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ফের নতুন অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি দল এনিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে।

    কী বললেন ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম?

    গতরাতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের (Bangladesh) প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। হাসিনা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে তা উপস্থাপন করা হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।’’

    পিছনে রয়েছে আইএসআই!

    চলতি বছরের অগাস্টেই বাংলাদেশে (Bangladesh) পতন হয় হাসিনা সরকারের। মৌলবাদীরা একে ‘বিপ্লব’ বললেও এনিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে এসেছে একের পর এক। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। তারপর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব। এই আবহে ৩১ ডিসেম্বর ‘বিপ্লবের ঘোষণা’ করার ঘোষণা করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। কোনও কোনও মহলের মতে, ঢাকায় এই সমাবেশের পিছনে মদত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারি সহ অনেক ছাত্রনেতারা হাজির ছিলেন ৩১ ডিসেম্বরের সভায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Afghanistan: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    Pakistan Afghanistan: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের উন্নয়ন ভারতকে (Bharat) এই অঞ্চলে একটি ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে (Pakistan Afghanistan)। পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে ভুল পদক্ষেপ করেছে বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ইসলামাবাদ ভেবেছিল সহজেই পার পেয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ রুখতে প্রাণপাত করেছিল তালিবানরা।

    শত্রুতে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan Afghanistan)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে যে হামলা চালিয়েছে, তা তালিবান, তেহরিক-ই-তালিবান এবং ডুরান্ড লাইনের দু’প্রান্তের পশতুদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। বিমান হামলার পর এই তিন গোষ্ঠীর সাধারণ শত্রুতে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীরা আফগানিস্তান সম্পর্কে তাঁদের সামরিক বাহিনীকে ভুল পরামর্শ দিয়েছেন। আফগানরা বহু যুদ্ধ করেছে। সোভিয়েত এবং মার্কিন বাহিনীরও ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা আফগানদের পক্ষে খুব বেশি কঠিন হবে না। কারণ দেশটি পাকিস্তানের কাছাকাছি। পাকিস্তান একের পর এক ভুল করেছে। ধসে পড়েছে পাক অর্থনীতির ভিত। ইমরান খানের সমর্থকদের কারণে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিভাজনও দেখা যাচ্ছে। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের আক্রমণে নিরাপত্তা বাহিনীর মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় সৈন্যদের মনোবলও ঠেকেছে তলানিতে। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি ও আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা পাকিস্তানের অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানে (Pakistan Afghanistan) আঘাত হানা পাকিস্তানের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল না।

    আরও পড়ুন: জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রাম থেকে মুসলিম সংরক্ষণ বন্ধের কথা ভাবছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

    পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে

    এয়ারস্ট্রাইকের পরে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছে, তখনও ভারত আফগানিস্তানে তার মানবিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উপস্থিতি বজায় রেখেছে।
    দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছু গোপন আলোচনা হয়েছে। নয়াদিল্লি আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারত ইঙ্গিতে আফগানিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের মাটি যেন ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করা না হয়। যখন আফগানিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা হয়, তখন পাকিস্তানের উল্লেখ অবশ্যই হয়। কারণ ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় বলে তামাম বিশ্বে পরিচিত। ভারতকে দেওয়া কথা রেখেছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান পাকিস্তানি জঙ্গিদের তাদের মাটি ভারতের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ব্যবহার করতে দেয়নি। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতিতে আদতে লাভবান হবে ভারত। এটা ভারতের কাছে একটা সুবর্ণ সুযোগও। বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি (Bharat) আরও শক্তিশালীভাবে কাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে (Pakistan Afghanistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: স্কুলপাঠ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিরাট বদল, মুজিবুর নন জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক!

    Bangladesh: স্কুলপাঠ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিরাট বদল, মুজিবুর নন জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) স্কুলপাঠ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বদল করার অভিযোগ উঠেছে। ওই দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শেখ মুজিবুর রহমান নন, পরিবর্তন করে নাম দেওয়া হয়েছে জিয়াউর রহমানের (Ziaur Rahman)। মহম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গুলি হেলনে দেশে তথাকথিত সংস্কারের নামে স্কুলের পড়াশুনার পাঠ বদলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে বিরাট নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    বিকৃত ইতিহাস পড়ানোর সিদ্ধান্ত (Bangladesh)

    পঞ্চম শ্রেণির জন্য তৈরি পাঠ্য বইতে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার ঘোষক বলে লেখা হয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (Ziaur Rahman) নাম। উল্লেখ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অর্থাৎ বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বামী ছিলেন জিয়াউর। কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং জামাত শিবিরকে হাতিয়ার করে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতারিত করতে বিএনপির বিরাট ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এখন তাই পাঠ্য পুস্তক থেকে গত ৫৪ বছর ধরে পড়ে আসা স্বাধীনতার ঘোষক মুজিবুর রহমানের নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এখন এই বিকৃত ইতিহাস পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গণহত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতার ডাক মুজিবের

    জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির বইতে বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গভীর রাতে চট্টগ্রামের (Bangladesh) কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন সেনা কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman)। পাঠ্য বইতে আরও বলা হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বার্তাও জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ দেশবাসীকে জানিয়েছিলেন।” অথচ এতদিন ওইদেশের জনগণ জানতো যে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যা করেছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান গণহত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতার ডাক দেন। ঢাকা পুলিশ সদর থেকে এই ঘোষণা বার বার করা হয়েছিল। এরপর ধানমুণ্ডির বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং নিয়ে যাওয়া হয় করাচিতে। যদিও বিএনপির দাবি, প্রথম ডাক জিয়াউর দিয়েছিলেন এবং অনেকদিন পর তা স্বীকৃতি পেয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis17: টার্গেট আওয়ামি লিগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় হাসিনার দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীকেও!

    Bangladesh Crisis17: টার্গেট আওয়ামি লিগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় হাসিনার দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীকেও!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ পঞ্চম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে পতন হয় হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis17)। তারপর থেকেই বাংলাদেশ চলতে থাকে জঙ্গলের রাজত্ব। পরিসংখ্যান বলছে, যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন তখন বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে গ্রেফতার করা হত ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যক্তিকে। তবে ৫ অগাস্টের পরে চিত্রটা পুরো বদলে যায় এবং দেখা যায় ইউনূস সরকারের জমানায় প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হতে থাকে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই বাংলাদেশজুড়ে দেখা যায় যে মিথ্যা মামলা দায়ের হতে থাকে বিরোধীদের দমন করার জন্য।

    ছোটখাট দলের নেতাদেরও ফাঁসানো হতে থাকে

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের মাত্র ৫১ দিনের মাথায় প্রায় ৯২ হাজার জনকে অভিযুক্ত করে ইউনূস সরকার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় প্রায় দেড় হাজার মমলা। মামলাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামি লিগের নেতাদেরকে টার্গেট করা হতে থাকে। শুধু আওয়ামি লিগ নয়, বাংলাদেশের ছোট ছোট রাজনৈতিক সংগঠন যেমন-ইসলামিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মতো সংগঠনগুলিকেও টার্গেট করে ইউনূস সরকার। তাদের কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে এমনটা কখনও দেখা যায়নি।

    গ্রেফতার করা হয় আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রীদের  

    ইউনূস সরকারের গণতন্ত্র এবং মূল্যবোধ নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। ইউনূস সরকারের এমন প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হতে থাকে একাধিক মহল। কোনওরকমের অভিযোগ ছাড়াই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে একের পর এক নেতাকর্মীকে। তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হতে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে যেসমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে ইউনূস সরকার তাঁদের মধ্যে রয়েছেন-প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সরকারের (Targeting Minority) প্রাক্তন উপদেষ্টা সলমন রহমান, প্রাক্তন জাহাজমন্ত্রী শাহজাহান খান, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র দফতরের এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, প্রাক্তন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পালক, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আরিফ খান, জয় হাজি, মহম্মদ শালিম, প্রধানমন্ত্রীর শক্তি বিষয়ক পরামর্শদাতা রফিক ইলাহি, প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী মহবুব আলি, প্রাক্তন অ্যাডভোকেট মিনিস্টার নুরুল ইসলাম সুজন, প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাহ আলম, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ।

    গ্রেফতার আরও প্রাক্তন মন্ত্রীরা (Bangladesh Crisis17)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কালের কন্ঠ তাদের প্রতিবেদনে লেখে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাক্তন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মিনিস্টার ফারহাদ হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাসিনা সরকারের প্রাক্তন পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবির হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।এই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন, প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, প্রাক্তন প্রাইমারি ও মাস এডুকেশন মন্ত্রী জাকির হোসেন, প্রাক্তন যুবমন্ত্রী আরিফ খান, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রজ্জাক।

    ৪ থেকে ৬ অগাস্টের মধ্যে ৮৭ জন আওয়ামি লিগের সদস্যকে হত্যা করে মৌলবাদীরা

    শুধুমাত্র প্রাক্তন মন্ত্রীরাই নন, আওয়ামি লিগের বেশ কিছু সাংসদকেও গ্রেফতার করে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৫ জন আইন প্রণেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রেফতার করা হতে থাকে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র লিগের সদস্যদেরও। ছাত্রলিগ, যুবলিগ, স্বেচ্ছাসেবক লিগ, শ্রমিক লিগ, কৃষক লিগ, মহিলা লিগ কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সমস্ত গ্রেফতারি শুধুমাত্র যে আওয়ামি লিগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থেকেছে তা নয়, ছোটখাট দলগুলির ওপরেও নেমে আসে সরকারের এমন অত্যাচার। জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ থেকে ৬ অগাস্টের মধ্যে ৮৭ জন আওয়ামি লিগের সদস্যকে হত্যা করে মৌলবাদীরা। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট গণভবন দখল হয়, জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশে খুন করা হয়েছে ৩৭০ জন আওয়ামি লিগ নেতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরলের নার্স (Kerala Nurses Death Sentence) জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। গত সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর জীবন সংশয় হওয়ায় বিচলিত দেশ।

    খুনের দায়ে জেলবন্দি (Kerala Nurses Death Sentence)

    ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের দায়ে ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। বছর ছত্রিশের এই নার্সকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে পরিবারের তরফে। প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। গ্রেফতার হওয়ার পরের বছরই ওই নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। আদালতের সেই রায়েই সিলমোহর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যেই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা নার্স ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও, নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনেই। ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক খোলেন ভারতীয় ওই নার্স। পরে শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এই সময় নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

    পাসপোর্ট ফেরাতেই খুন!

    মাহদির কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। পরে অন্য একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ইয়েমেন থেকে পালানোর পথে ধরা পড়েন ওই নার্স। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেন নিমিশার মা। ইয়েমেনে আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে (Kerala Nurses Death Sentence)। দেশের শীর্ষ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিলই। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাস নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লা আমির প্রাক-মীমাংসা পর্বেই ১৬.৬ লাখ টাকা দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁকে সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে পারিশ্রমিক বাবদ দু’দফায় ৩৩ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। এই টাকা পেলেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করা যাবে বলে জানান (Yemen) তিনি। তাতেই দীর্ঘায়িত হয় বিষয়টি (Kerala Nurses Death Sentence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share