Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাণিজ্য আর যোগাযোগের পথে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ।” পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-এর (SCO Summit) মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যদি বিশ্বাসের অভাব থাকে বা সহযোগিতা অপর্যাপ্ত হয়, যদি বন্ধুত্ব যথাযথ না হয় ও ভালো প্রতিবেশী সুলভ আচরণ কোথাও অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অবশ্যই আত্ম-বিশ্লেষণের কারণ রয়েছে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার।” এদিন অবশ্য পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি জয়শঙ্কর। তবে নিশানা করেন সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তানকে। বলেন (S Jaishankar), “যদি সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে কার্যকলাপ পরিচালিত হয়, তাহলে তারা বাণিজ্য, জ্বালানি প্রবাহ, সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে বিনিময়কে এক সঙ্গে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা খুবই কম।”

    গঠনমূলক অবদান ভারতের

    জয়শঙ্কর বলেন, “ইসলামাবাদের অনুষ্ঠিত এসসিও কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবদান রেখেছে ভারত। ফলপ্রসূ ৮টি নথিতে স্বাক্ষরও করেছে।” গত বছর এসসিও সম্মেলনে আয়োজক দেশ ছিল ভারত।এবার আয়োজন করেছে পাকিস্তান। আগামী বছর এসসিও সম্মেলন হবে রাশিয়ায়। সেজন্য ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। সম্মেলন হচ্ছে ইসলামাবাদের জিন্না কনভেনশন সেন্টারে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের সমালোচনাও করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “সিপিইসি-র একাংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: হরিয়ানা বিজেপির পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত সাইনি, বৃহস্পতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ

    উন্নয়নশীল দেশগুলোর (গ্লোবাল সাউথ) সঙ্কট ও অগ্রাধিকারকেও এসসিও-র মঞ্চে তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। খাদ্য, জ্বালানি ও সারের নিরাপত্তা নিয়েও সরব হন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিওতে সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সার্বভৌমত্ব হওয়া উচিত সমতার ভিত্তিতে। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যা অবশ্যই প্রকৃত অংশীদারিত্বের ওপর নির্মিত হতে হবে, এক তরফা (SCO Summit) এজেন্ডায় নয় (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক বিধি মেনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ৯ বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পা রেখেছেন জয়শঙ্কর। শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-র (SCO Meet) বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।

    শুধুই করমর্দন

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে শরিফের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এসসিও সম্মেলনের জন্য আসা অতিথিদের জন্য এই নৈশভোজের আয়োজন করেছিল ইসলামাবাদ। সেখানেই দু’জনের সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয়। করমর্দন, সৌহার্দ্য বিনিময়। ২০ সেকেন্ডেরও কম এই সাক্ষাতে দুই দেশের তফাত ছিল স্পষ্ট। ২০১৫-১৬ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে তা সম্ভব নয়।

    কেন নয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ইসলামাবাদ যাওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে যাচ্ছেন শুধুমাত্র এসসিও সম্মেলনে (SCO Meet) যোগ দিতে। সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট প্রচারে একাধিকবার বলেছেন, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ‘‘ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী সব দেশের নেতাদের মতোই ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও (S Jaishankar) স্বাগত জানানো হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩তম সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, (সংক্ষেপে এসসিও) সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে ইসলামাবাদে পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। চলতি মাসের ১৫-১৬ তারিখ এই দুদিন ধরে হবে সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই এদিন ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ৯ বছর পরে এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন কোনও বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ক্যালেন্ডারের হিসেবে জয়শঙ্করের সফর দুদিনের হলেও, আসলে তিনি ইসলামাবাদে (এখানেই হচ্ছে এসসিও সম্মেলন) থাকবেন ২৪ ঘণ্টারও কম সময়।

    হচ্ছে না পার্শ্ববৈঠক (S Jaishankar)

    ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জয়শঙ্কর ইসলামাবাদে গেলেও, ভারত-পাক পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল মেনে সব দেশের নেতার মতোই স্বাগত জানানো হবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সক্রিয়ভাবে এসসিও ফরম্যাটে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে এসসিও কাঠামোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও উদ্যোগ অন্তর্ভু্ক্ত রয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    এদিকে, পাকিস্তানের এক মন্ত্রী আহসান ইকবালের অভিযোগ, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নাকি ইসলামাবাদে এসসিও বানচালের চেষ্টা করছে ভারত। তবে (S Jaishankar) সতীর্থের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি শাহবাজ সরকার। তবে সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইসলামাবাদ ও লাগোয়া রাওয়ালপিণ্ডি এলাকায়। তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এই এলাকায়। পাঁচটি জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে পিটিআইয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি ছোটবড় জঙ্গি সন্ত্রাস চলছে পাকিস্তানে। সেই কারণেই ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে যোগ দিতে উপস্থিত হবেন প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজার পুলিশ ও প্যারা মিলিটারি।

    আরও পড়ুন: “ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন”, বললেন মোদি, ব্যাখ্যা করলেন কারণও

    ২০১৫ সালে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরের বছর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর এই সে দেশের মাটিতে পা রাখলেন (SCO Summit) জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Nobel Prize: অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন তিন মার্কিন

    Nobel Prize: অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন তিন মার্কিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অর্থনীতিতে (Economics) নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize) পাচ্ছেন তিনজন। সোমবার তাঁদের নাম ঘোষণা করল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। এবার অর্থনীতিতে যাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে তাঁরা হলেন, তুরস্ক বংশোদ্ভূত ড্যারন অ্যাসেমোগলু, ইংল্যান্ডের সাইমন জনসন এবং আমেরিকার জেমস এ রবিনসন। এঁরা প্রত্যেকেই আমেরিকার নাগরিক। ড্যারন ও সাইমন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে গবেষণারত। আর জেমস শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক।

    নোবেল কমিটির বক্তব্য (Nobel Prize)

    নোবেল কমিটির (অর্থনীতি) চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেন, “দুই দেশের মধ্যে আয়ের পার্থক্য কমানো এই সময়ের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই তিন অর্থনীতিবিদ দেখিয়েছেন, সেই অসাম্য দূর করতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। যে সব দেশের সামাজিক রীতিনীতিগুলি শোষণমূলক, সেই সব সমাজ বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠতে পারে না। গবেষণার মাধ্যমে তা-ই দেখিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। অর্থনীতিতে ২০২৪ সালের নোবেল প্রাপক তিনজনের গবেষণার বিষয় – দেশীয় সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে তৈরি হয়, সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা নিয়েই গবেষণা করেছেন এই তিন অর্থশাস্ত্রবিদ (Nobel Prize)।

    আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    কমিটির ব্যাখ্যা

    নোবেল পুরস্কার কমিটির ব্যাখ্যা, যখন ইউরোপিয়রা বিশ্বের নানা দেশে উপনিবেশ বিস্তার করা শুরু করেছিল, তখন সেই সব সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলিতে বদল আসে। সুবিধার জন্য সে সব দেশে নয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে ইউরোপিয়রাই। কিন্তু দেখা গেল, যে উপনিবেশগুলি সেই সময় সমৃদ্ধ ছিল, সেগুলি এখন দরিদ্র, আর যে উপনিবেশগুলিতে সেই সময় দারিদ্র ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সংঘবদ্ধ সমাজের ক্ষমতা কখনও একচেটিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এই পরিস্থিতি এড়াতে শাসক নানা স্বল্প মেয়াদি অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদি পরিবর্তন হয় না। তখন অসাম্য ঘোচানোর একটাই বিকল্প, সেটা হল, শাসক যদি নিজেই জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয় (Economics) অর্থাৎ ক্ষমতার হস্তান্তর ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা (Nobel Prize)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: দুর্গাপুজো করলেও সাংস্কৃতিক উৎসব করবেন না বাংলাদেশের হিন্দুরা, কেন জানেন?

    Bangladesh: দুর্গাপুজো করলেও সাংস্কৃতিক উৎসব করবেন না বাংলাদেশের হিন্দুরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কট্টর মুসলিমদের অত্যাচারের শিকার হয়ে চলেছেন। প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, রংপুর, বগুড়া এলাকায় হিন্দুরা সম্মিলিত ভাবে গর্জে উঠেছেন। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সনাতনী নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, “দুর্গাপুজো (Durga Puja) আমরা করব, কিন্তু কোনও উৎসবে যোগদান করব না।” উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, সরকারের ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত ২০০০-এর বেশি হামলার ঘটনা হিন্দুদের ওপর ঘটেছে।

    পুজোর আয়োজকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh)

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রঞ্জন কর্মকার বলেন, “এবছর আমরা শুধু পুজোটাই (Durga Puja) করব। কোনও উদযাপন হবে না। এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক ধরনের প্রতিবাদ। এবছরের অগাস্ট থেকে আমাদের সম্প্রদায়ের উপর ক্রমাগত হামলার পর, হিন্দুরা কোনও ধরনের উৎসব করার মতো মানসিকতাতে নেই। তাছাড়া, অনেক পুজোর আয়োজকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তোলা চাওয়া হয়েছে। আমরা অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি।”

    আবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদয়ের চেয়ারপার্সন বসুদেব ধর বলেন, “দুর্গাপুজোয় এবার কোনও উৎসব বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে না। আমরা সমস্ত পুজো আয়োজকদের ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছি। এই ব্যানারগুলিতে আমাদের দাবিগুলি তালিকাভুক্ত করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু নিপীড়নের মামলাগুলির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত প্যানেল গঠন এবং একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরি করার দাবিও।”

    আরও পড়ুনঃ যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    হিন্দুরা পুজো করলে চাওয়া হচ্ছে তোলা!

    বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন, “মুসলিমদের আজান এবং নামাজের সময় হিন্দুদের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে হবে। মন্দিরের গান, বাজনা, ঢাক বন্ধ রাখতে হবে।” এই মন্তব্য ওই দেশের হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত সঙ্কটের বলে মনে করেছেন মানুষ। ইতিমধ্যে হিন্দুরা পুজো করলে তোলা দিতে হবে, এমনকী চিহ্নিত করে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় ওই দেশে। একই ভাবে অস্থির বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার নিয়ে ভারতের একাধিক হিন্দু সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে মোদি সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    Bangladesh: যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) যশোরেশ্বরী কালী মন্দির (Jashoreshwari Kali Mandir) থেকে চুরি হল নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। সেই সঙ্গে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে তাঁরা। ২০২১ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্দির দর্শন করে, কালী ঠাকুরের উদ্দেশে এই মুকুটটি নিবেদন করেছিলেন। ওই মুকুট বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের শাসনে চুরি গিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ অগাস্ট থেকে ওই দেশে রাজনৈতিক ভাবে বিরাট সঙ্কট চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে ওই দেশের সেনার শাসনও।

    ভারতীয় দূতাবাসের তদন্তের দাবি (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদ মাধ্যম ইতিমধ্যে এই কালী মায়ের মুকুট (Jashoreshwari Kali Mandir) চুরি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনেছে। ওই দেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে যে মুকুট উপহার দেওয়া হয়েছিল, সেটি চুরি হয়ে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। অবিলম্বে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করার আবেদন জানাই। তদন্ত করে মুকুটটিকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানাই।”

    মাত্র ৩ মিনিটে চুরি, ভাইরাল ভিডিও

    এদিকে এই যশোরেশ্বরী (Bangladesh) কালী মন্দির থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণমুকুটকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম মাধ্যম যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের গেঞ্জি পরা এক যুবক মন্দিরে ঢুকছে, ঠিক তারপর মা কালী মূর্তির পর্দা সরিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর মায়ের মূর্তিতে রাখা মুকুটটিকে তুলে জামার পিছনে গুঁজে নেয়। শেষে মন্দির থেকে চোর যুবক বের হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ঘটনা মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়। ওই দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ৪৭ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের সময় ব্যবধানে এই চুরি ঘটেছে।

    আরও পড়ুনঃ “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    বিশ্বের হিন্দুদের যন্ত্রণা দিয়েছে

    ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী (Jashoreshwari Kali Mandir) মায়ের সোনার মুকুটটি কাল চুরি হয়েছে। ২০২১ সালে মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মা যশোরেশ্বরী দর্শনে গিয়ে এটি উপহার দিয়েছিলেন। দুর্গাপুজোর সময়ে মায়ের মূর্তির এই অবমাননা সারা বিশ্বের হিন্দুদের যন্ত্রণা দিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ পারে আরও বলিষ্ঠভাবে নিজেদের সংস্কৃতি-উপাসনা পদ্ধতি রক্ষার জন্য একজোট হতে হবে। না হলে পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিম বাংলাদেশ হওয়ার পথে। তা হতে দেব না, এটাই হোক দুর্গাষ্টমীর শপথ। জয় মা যশোরেশ্বরী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত  প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।

    ইউনূসের মত

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।” তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।” সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    দিল্লির দাবি

    বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ কেঁপে উঠল ইরান-ইজরায়েল (Iran Israel Conflict) ভূমিখণ্ড। তাহলে কি মাটির নীচেই গোপন পরমাণু পরীক্ষা (Weapon Test) করে ফেলল ইরান? উল্লেখ্য, এই বছরের ৫ অক্টোবর ইরান এবং ইহুদিদের ভূমিখণ্ডে বিরাট কম্পন অনুভূতি হতেই সামজিক মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল ইরান? এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মিলল এবার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আচমকা হামাস আক্রমণ করলে পশ্চিম বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ইহুদিদের দাবি, হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গি সংগঠনকে পরোক্ষ মদত দেয় ইরান।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫ (Iran Israel Conflict)

    একসঙ্গে একাধিক ইসলামি শক্তিপক্ষের বিরুদ্ধে একাই অস্তিত্বের লড়াই করছে ইহুদিরা (Iran Israel Conflict)। এবার তাদের আরও সঙ্কটে ফেলেতে শিয়া মুসলমান রাষ্ট্র ইরান পরমাণু অস্ত্রকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। এই বোমার আতঙ্কে কার্যত যুদ্ধের তীব্রতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা কেঁপে ওঠে ইরানের সেমনান প্রদেশের আরাদান শহর। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৫। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইজারায়েলের মাটিও কেঁপে উঠেছিল। তবে দুই কম্পন একই সময়ে হয়েছিল কিনা, তা এখন জানার বিষয়। তবে আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাটির ১০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। মাত্র ১১০ কিমি দূরে ছিল ইরানের রাজধানী তেহরান। আবার এই কম্পন সম্পর্কে ইউরোপীয় ভুমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র ইএমএসসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২ টা নাগাদ ইহুদি ভুখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে কম্পনের মাত্রা ছিল খুব সামান্য। তাহলে কি আনবিক যুদ্ধ (Weapon Test) আসন্ন মধ্যপ্রাচ্যে?

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কড়া হুশিয়ারি

    আমেরিকা জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের খুব কাছেই এই কম্পন হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাকি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ, এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আনবিক হাতিয়ার তৈরি করছে ইরান। যেহেতু প্রতিরক্ষা গবেষণার কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাই ভূগর্ভের নীচে এই পরীক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিষয়ক গবেষকরা। একই ভাবে এটা খুব চিন্তার বিষয়। অক্টোবরের প্রথমেই ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) উপর প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। কিন্তু তার বেশিরভাগটাই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। একই ভাবে এই আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইহুদিদের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ইরান পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার করলে ইজরায়েলও পাল্টা শক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকবে যে না, তা বলা বাহুল্য। ইতিমধ্যে হামাস, হিজবুল্লার কোমর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুনঃকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নটাঞ্জ হল ইরানের বড় পরমাণু কেন্দ্র

    ইরানের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্র (Weapon Test) হল নটাঞ্জ। ইহুদিরা নানা সময় টার্গেটে রেখেছে। অপর দিকে আমেরিকাও বারবার বিরোধিতা করেছে ইরানের (Iran Israel Conflict)। এই দুই দেশের গুপ্তচরদের নজরকে উপেক্ষা করে মাটির তলায় নটাঞ্জ কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান, এমনটাই দাবি আমেরিকার। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। পাল্টা ইরানও কোন বক্তব্য জারি করেনি। কিন্তু ইরানের বেশ কিছু এলাকায় জমিতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও কোনও দেশ আমেরিকার মতো পরমাণু বোমার হামলা চালায়নি । তবে এই শক্তির অধিকারী রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইজরায়েল। এখন ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আগামী দিনে কোন পথে যায় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize in Physics: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন 

    Nobel Prize in Physics: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল (Nobel Prize in Physics) পেলেন জন হপফিল্ড (John Hopfield) ও জেফারি হিন্টন (Geoffrey Hinton)। হপফিল্ড আমেরিকার। হিন্টন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন তিনি। আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন হপফিল্ড।

    নোবেল জয়ীদের কাজ

    নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, জন ও হিন্টন জুটি ফিজিক্সের মাধ্যমে এমন উপায় তৈরি করেছেন, যা বর্তমান যুগের শক্তিশালী মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের (Royal Swedish Academy of Sciences) নোবেল কমিটির সদস্য ইলেন মুনস জানান, তাঁরা ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ (মেশিন লার্নিংয়ের মডেল, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর মতো কাজ করে থাকে) তৈরি করেছেন। ফেসিয়াল রেকগনিজেশন (মুখ চেনা) বা ভাষা অনুবাদের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করতে তাঁরা পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন। হপফিল্ড এমন এক ধরনের মেমরি তৈরি করেছেন, যা ছবি এবং অন্যান্য ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। সেগুলিকে নতুনভাবে তৈরি করতেও সক্ষম।

    হিন্টন আগে গুগ্‌লে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে চাকরি ছেড়ে গবেষণায় মন দেন। এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হিন্টন। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের দিনে এআইয়ের এই প্রসারকে সে যুগের শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে না। শুধু তফাতটা হল, সে সময় শারীরিক কর্মক্ষমতায় মানুষকে ছাপিয়ে গিয়েছিল যন্ত্র। আর এখন ছাপিয়ে যাবে বুদ্ধিমত্তাতেও।’’ তবু কোথাও যেন উঁকি দিয়ে যায় আশঙ্কাও, হিন্টন বলে চলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, শীঘ্রই মানুষকে হারিয়ে দেবে কম্পিউটার। আর প্রযুক্তি কখনও কখনও অভিশাপও হয়ে উঠতে পারে!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের দুর্গাপুজোতে ছুটি বাড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, এতদিন পুজোর (Durga Puja) সময়ে শুধুমাত্র একদিন করেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। কিন্তু এবছরে পুজোতে টানা চারদিন সরকারি ছুটি থাকছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার এবং শনিবার সরকারি ছুটি। এর পরদিন, রবিবার, দুর্গাপুজোয় বিজয়া দশমী উপলক্ষে থাকবে ছুটি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সপ্তমীর দিনও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কার্যালয় সরকারের নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার এই ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

    আগে শুধু বিজয়া দশমীতে পুজোর ছুটি থাকত (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে পুজোর সময়ে শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিনেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। চলতি বছরে এই ছুটি অন্তত তিন দিন করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু সংগঠনগুলি সাংবাদিক বৈঠকও করে। এই আবহে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলাম সংগঠনগুলিকে দুর্গাপুজোর বিরোধিতা করে রাস্তায় নামতেও দেখা যায়। অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনও নেমে আসে ব্যাপকভাবে। এরই মাঝে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার পুজোতে একদিন অতিরিক্ত ছুটি বাড়াল।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারি অধিকর্তা?

    সেদেশের সরকারি অধিকর্তা মাহফুজ আলম এনিয়ে বলেন, ‘‘হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করার সময়ই এই কথা জানান মাহফুজ আলম। অন্যদিকে, এবারের পুজো খুব ভালোভাবে হবে এবং কোনও অসুবিধা হবে না বলে আবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । পুজোর (Durga Puja) নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share