Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাতে চলেছে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ (Boundary Catch Rule) ধরার নিয়ম। এখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে যে ভাবে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ক্রিকেটারেরা ছয় বাঁচান বা ক্যাচ ধরেন, আগামী দিনে তা আর করা যাবে না। এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে ফিল্ডারদের। ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)। আগামী মাস থেকেই বাউন্ডারি লাইনের ধারে চোখ ধাঁধানো ‘বানি হপ’ ক্যাচ ধরার নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

    ‘বানি-হপ’ ক্যাচ কী?

    অনেক সময়েই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে বলটিকে মাঠের ভিতরে এনে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডাররা। এই ধরনের ক্যাচকে বলা হয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ। এই ক্যাচের নিয়মেই পরিবর্তন আনতে চলেছে এমসিসি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ ধরা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে প্রথম বার লাফিয়ে ভাল ভাবে বল ধরতে পারেননি ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল ধরে মাঠের ভিতরে পাঠান তিনি। তার পর ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। সেই বিতর্কের পর নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়।

    নতুন নিয়ম

    নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে একাধিক বার স্পর্শ করা যাবে না বল। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে শূন্যে (লাফিয়ে) থাকলে এক বার বল ছুঁতে পারবেন। তার পর ক্যাচ ধরতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতর ঢুকে। অনেক সময় চার বা ছয় বাঁচানোর জন্য ফিল্ডারেরা লাফিয়ে বল মাঠের মধ্যে (বাউন্ডারি লাইনের ভিতর) পাঠিয়ে দেন। নতুন নিয়মে বল ‘ডেড’ না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ডারকে থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গেলে, চার বা ছয় দেওয়া হবে। পরিবর্তন আনা হচ্ছে রিলে নিয়মেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’জন ফিল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ধরা হয়, যা পরিচিত রিলে ক্যাচ নামে। অনেক সময়েই একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বলটি ঠেলে দেন ভিতর। অন্য একজন সেই ক্যাচ ধরেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দু’জনকেই থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে। তা না হলে, বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গণ্য করা হবে।

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হবে নতুন নিয়ম। আগামী জুলাই থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। আগামী বছরের অক্টোবরে এমসিসির ক্রিকেট ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে নিয়মটি।

  • WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final 2025) তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে দুই দেশের ক্রিকেটাররা আমেদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করলেন। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা – উভয় দলের ক্রিকেটাররাই কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামেন। বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রীড়া মহলও। শুক্রবার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে টিম ইন্ডিয়া নেমেছিল ইন্টার-স্কোয়াড অনুশীলন ম্যাচে। সেখানেও নীরবতা পালন করা হয়। ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরেন।

    শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মোট ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এবার শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও। ইংল্য়ান্ডে খেলতে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল, আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে দু দেশের পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ। আজ থেকে ভারত ও ভারতীয় এ দল ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্য়াচ খেলতে নামবে। আবার ইংল্যান্ডেই লর্ডসে এই মুহূর্তে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দিনের খেলা শুরুর আগেই দুটো ম্য়াচেই প্লেয়ারদের দেখা গেল কালো আর্মব্য়ান্ড পরে মাঠে নামতে। বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়া যাত্রীদের ও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়াত স্টুডেন্টদের আত্মার শান্তি কামনায় কিছুক্ষণ মৌনব্রত পালন করার পরই খেলা শুরু হয়।

    ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা

    বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অজিরা। নবম উইকেট পেতে দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। রাবাডা ফেরান নাথান লিয়ঁকে। মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন এই অফ স্পিনার। তবে, উইকেটের অন্যপ্রান্তে থিতু হয়ে লড়াই জারি রাখেন মিচেল স্টার্ক। হ্যাজেলউডও স্টার্ককে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়া ২১২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। মনে করা হচ্ছিল প্রোটিয়ারা দারুণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছয় ৪ উইকেটে ৪৩ রানে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়। ম্যাচে ফিরতে গেলে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। সেই লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন বাভুমা এবং বেডিংহ্যাম। তাঁদের জুটিতে উঠল ৬৪ রান। এরপর এক প্রকার সেট হয়েই সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৩৬ রানের মাথায় তাঁকে ফেরান প্যাট কামিন্স।

  • MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC Hall of Fame)। ধোনি হলেন একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-২০ বিশ্বকাপ, একদিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই জিতেছেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যেই আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পেলেন ক্যাপ্টেন কুল। ধোনির সঙ্গেই আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন ম্যাথু হেডেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, গ্রেম স্মিথ, সানা মির এবং সারা টেলর।

    অসাধারণ অনুভূতি, বললেন মাহি

    ২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির (MS Dhoni)। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। এর পর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। ভারতকে দু’বার এশিয়া কাপ জিতিয়েছেন। এক দিনের ফরম্যাটে দু’বার আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের হয়ে ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি। ৯০টি টেস্টে করেছেন ৪৮৭৬ রান। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”

    হল অফ ফেমে যে ভারতীয়রা (ICC Hall of Fame)

    সুনীল গাভাসকর: আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন।

    বিষেণ সিং বেদী: গাভাসকরের সঙ্গেই ২০০৯ সালে হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার ৬৭টি টেস্ট খেলে ২৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

    কপিল দেব: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে ২০১০ সালে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

    অনিল কুম্বলে: এক ইনিংসে ১০ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ২০১৫ সালে আইসিসি হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    রাহুল দ্রাবিড়: ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়কে ২০১৮ সালে হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।

    সচিন তেণ্ডুলকর: ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেণ্ডুলকরকে ২০১৯ সালে হল অফ ফেম সম্মান দেয় আইসিসি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ টেস্ট খেলা, ১০০ সেঞ্চুরি হাঁকানো-হাজারো রেকর্ডের মালিক শচীন।

    বিনু মানকড়: ভারতের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে জ্বলজ্বল করে বিনু মানকড়ের নাম। দেশের হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন, ২১০৯ রান এবং ১৬২টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

    বীরেন্দ্র শেহওয়াগ: ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ১৪ বছরের কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ওপেনার। সবচেয়ে বেশিবার ট্রিপল সেঞ্চুরির নজিরও রয়েছে তাঁর দখলে।

    ডায়ানা এডুলজি: ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ডায়ানা এডুলজি। তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন, তার মধ্যে দু’বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম কিংবদন্তি হিসেবে ডায়ানাকে মনে করে ক্রীড়ামহল।

    নীতু ডেভিড: দেশের হয়ে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় স্পিনার নীতু ডেভিড। ১৮২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। চার বছর মহিলা দলের নির্বাচক প্রধানও ছিলেন।

  • India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভারত ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (India England Cricket) খেলতে গেলে সেই ট্রফি ছিল পটৌডীর নামে। প্রসঙ্গত, ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক ইফতিখর আলি খান পটৌডী এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর নামেই ছিল এই ট্রফির নাম। তবে এবারে তা বদলে যাচ্ছে। ট্রফির নাম হচ্ছে সচিন-অ্যান্ডারসন। চলতি মাসের ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই ট্রফির নাম হতে চলেছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে।

    ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় পটৌডী ট্রফি (India England Cricket)

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম হয়েছিল পটৌডী ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সেটা ছিল ৭৫তম বছর। সেই উপলক্ষ্যেই পটৌডী পরিবারের দুই ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এ বার তবে সেই নাম বদলে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে (India England Cricket) এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তখনই নতুন ট্রফি দু’দেশের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (India England Cricket Series)।

    দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন-অ্যান্ডারসন (India England Cricket Series)

    ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেটের (India England Cricket) ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যাঁর রান ১৫,৯২১। ১৯৮৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন হলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। যার মধ্যে ৭০৪ উইকেট রয়েছে। তথ্য বলছে, এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। দুই দেশের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এই ট্রফিটি তাঁদের উভয়ের নামেই নামকরণ করা হচ্ছে।

  • Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাপমোচন! স্বপ্নপূরণ! অধরা মাধুরী ধরা দিল। ১৮ বছর পর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ট্রফি ক্যাবিনেটে এল আইপিএল (IPL Final 2025) খেতাব। রাজার মতোই ট্রফি হাতে অনুগতদের ভিড়ে মিশে গেলেন কিং কোহলি। আঠারোর উপাখ্যান লিখলেন ক্রিকেট দেবতা। ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ারের পাঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে প্রথমবার আইপিএল জিতল ‘নম্বর ১৮’ বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই ২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিরাটের পথ চলা শুরু। দীর্ঘ ১৮ বছর কোহলি কখনও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পাননি। ট্রফির জন্য আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। তাঁকে পেতে মুখিয়ে ছিল অসংখ্য দল। কিন্তু ট্রফি জয়ের থেকে বরাবরই আনুগত্যকে এগিয়ে রাখেন বিরাট। আর সেই আনুগত্যের দাম দিল ক্রিকেট দেবতা।

    চার বল বাকি থাকতেই আবেগের বিস্ফোরণ

    খেলা শেষ হতে তখনও চার বল বাকি। জশ হেজলউডের বলটা শশাঙ্ক সিং বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতেই হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়লেন তিনি। দু’হাতে ঢাকলেন চোখ। পাশ থেকে দুই সতীর্থের পিঠ চাপড়ানি, গোটা মাঠের গর্জন, সতীর্থদের পাগলপারা উচ্ছ্বাস— কিছুই ছুঁতে পারছিল না তাঁকে। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে চোখ ঢেকে ফেললেন কোহলি। চোখের কোনা দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। খেলা শেষ না হলেও তত ক্ষণে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কোহলি। প্রতীক্ষার পালা সাঙ্গ হল। এক দিনের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দেশের হয়ে সবই জিতে ফেলেছেন। এ বার ক্লাবের হয়ে আইপিএলও হয়ে গেল। এই ট্রফি ক্রিকেটজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কোহলির জবাব, “সত্যি বলতে, অনেকটা উপরের দিকেই থাকবে। গত ১৮ বছর ধরে নিজের সবটা এই দলকে দিয়েছি। যা-ই হোক না কেন, এই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে। কখনও কখনও মনের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা এসেছে (দল ছাড়ার)। তবু এই দলের সঙ্গে থেকে গিয়েছি। সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, ওঁরাও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। ওঁদের সঙ্গেই জেতার স্বপ্ন দেখেছি। ট্রফি জয়টা আরও ভাল লাগছে কারণ আমার হৃদয় এবং আত্মা রয়েছে বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই। আইপিএলের শেষ দিন পর্যন্ত এই দলের সঙ্গেই থাকব।”

    স্বপ্নপূরণের কান্নায় ভাসল মোতেরা

    এদিন খেলা শেষে মাঠে নামলেন কোহলির (Virat Kohli) প্রিয় বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন কোহলি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও এই দলকে ডিভিলিয়ার্স কতটা ভালবাসেন তা বোঝা যাচ্ছিল। কোহলি পরে জানালেন, তাঁদের উৎসবের মঞ্চে থাকবেন এবি। মাঠে নামলেন কোহলির আর এক বন্ধু ক্রিস গেইলও। তিনিও বেঙ্গালুরুর জার্সি পরেছিলেন। তাঁকেও দেখা গেল বেঙ্গালুরুর উৎসবে। সতীর্থ, কোচ, বন্ধুরা পাশে থাকলেও তখনও কোহলির চোখ এক জনকে খুঁজছিল। বার বার গ্যালারির দিকে তাকাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁকে দেখতে পেলেন কোহলি। তিনি অনুষ্কা শর্মা। তাঁর সব লড়াইয়ের সাক্ষী। বেঙ্গালুরুর মেয়ে অনুষ্কা। দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে স্ত্রী অনুষ্কাকে জড়়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। এ বারও তাই করলেন। তবে সেই কান্না ছিল দুঃখের। স্বপ্নভঙ্গের। এই কান্না আনন্দের। স্বপ্নপূরণের। কোহলির কথায়, “এই ট্রফি দলের জন্য যতটা, ততটাই সমর্থকদের জন্য। আঠারোটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই দিনটা দেখতে। এই দলটাকে নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় এবং অভিজ্ঞতা দিয়েছি। প্রত্যেক মরসুমে ট্রফি জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, নিজের সবটা দিয়েছি। তাতেও ট্রফি পাইনি। অবশেষে এই দিনটা দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি।”

    ই সালা কাপ নামদু

    আইপিএলের (IPL Final 2025) ইতিহাসে কোহলিই (Virat Kohli) একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ১৮ বছর ধরে একটা দলেই খেলছেন। চেন্নাই টুর্নামেন্ট থেকে দু’বছর নির্বাসিত হওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অন্য দলে খেলতে হয়েছে। রোহিত শর্মা দলবদল করেছেন। কিন্তু কোহলি বেঙ্গালুরু ছাড়েননি। অধিনায়ক না থেকেও পর্দার পিছনের নায়ক তিনিই। তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত, কোনও পরিকল্পনা করে না বেঙ্গালুরু। রজত পাতিদারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার আগেও কোহলির সবুজ-সঙ্কেত নেওয়া হয়েছিল। অনেকে বলেন, পাতিদার কোহলিরই ‘নির্বাচিত’। অধিনায়কত্বে তরুণ রক্ত আনতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেই তরুণ তুর্কিরাই কোহলিকে চ্যাম্পিয়ন করতে মাঠে উজাড় করে দিয়েছেন। যেমন ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপটা সচিন তেন্ডুলকরকে জেতানোর পণ করেছিল গোটা ভারতীয় দল। আইপিএল ফাইনালের আগে পাতিদার বলে দিয়েছিলেন, “আমরা এ বার বিরাটভাইয়ের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। এত বছর ধরে এই দলের জন্য বিরাটভাই লড়েছে। এটা ওর প্রাপ্য।” অবশেষে সফল বেঙ্গালুরুর স্লোগান ‘ই সালা কাপ নামদু’ বাংলা তর্জমায় ‘এ বছর কাপ আমাদের’।

    বিরাট-রেকর্ড

    মঙ্গলবার আইপিএল ২০২৫-এর (IPL Final 2025) ফাইনালের মঞ্চে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন। তিনি এক্ষেত্রে ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ানের সর্বকালীন আইপিএল নজির। আপতত এই নিরিখে বিশ্বের সব ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে চলে আসেন কোহলি। তিনি বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমে সব থেকে বেশি ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। ৩৫ বলের ইনিংসের কোহলি মোট ৩টি চার মারেন। ফাইনালে এই ৩টি চার মারার সুবাদেই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে নেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রানের মালিক বিরাট (৮৬৬১)। সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি (৮টি) করেছেন তিনি। সব থেকে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির (৬৩টি) রেকর্ডও আগে থেকেই ছিল বিরাট কোহলির দখলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি চার মারা ক্রিকেটারে পরিণত হন কোহলি। তিনি আইপিএলের ২৬৭টি ম্যাচের ২৫৯টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৭৭১টি চার মেরেছেন। এতদিন আইপিএলে সব থেকে বেশি চার মারার রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ানের। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সাকুল্যে ৭৬৮টি চার মেরেছেন। সুতরাং, ধাওয়ানের কাছ থেকে সেই রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন বিরাট। বিরাট কোহলি আইপিএল ২০২৫-এর ১৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন। কোনও শতরান না করলেও তিনি মোট ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে। আরসিবির হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন কোহলিই।

  • Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ২৪টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল ‘টিম ইন্ডিয়া’। দক্ষিণ কোরিয়ার গুমিতে সম্পন্ন হলো ২৬তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে। এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এই পদকের মধ্যে ছিল ৮টি সোনা, ১০টি রুপো এবং ৬টি ব্রোঞ্জ। ক্রীড়াক্ষেত্রেও ভারতকে সবার আগে নিয়ে যাওয়ার অনবরত চেষ্টা করে চলেছে মোদি সরকার। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন ভারত থেকে তুলে আনা হচ্ছে ছোট ছোট অ্যথলিটদের। যাঁদের প্রতিভা সকলের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় ভারতের সাফল্য

    এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ৩২ পদক নিয়ে শীর্ষস্থানে চিন। তার মধ্যে রয়েছে ১৯টি সোনা, ৯টি রুপো এবং ৪টি ব্রোঞ্জ। অন্যদিকে, জাপান ৫টি সোনা, ১১টি রুপো এবং ১২টি ব্রোঞ্জ সহ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অর্জন শুধু পদক জয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না, তারা একটি জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিগত সেরা ফলাফলও অর্জন করেছে। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে ভারতের ঝুলিতে ৬টি পদক এসেছে। শনিবার পুরুষদের জ্যাভলিন ফাইনালে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন সচিন যাদব। তিনি রুপোর পদক নিশ্চিত করেছেন। সচিন ছাড়াও মহিলাদের ৫০০০ মিটার দৌড়ে রুপো পেয়েছেন পারুল চৌধুরী। ১৫:১৫.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে রুপো পদক জিতেছিলেন।

    দুরন্ত ভারতের মেয়েরা

    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে টিমের ঝুলিও ভরে উঠেছে একটি রুপোর পদকে। অবিনায়া রাজারাজন, স্নেহা এসএস, শ্রাবণী নন্দা এবং নিত্য গান্ধের রিলে টিম ৪৩.৮৬ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করেন। অন্যদিকে, স্প্রিন্টার অনিমেষ কুজুর পুরুষদের ২০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতে ২০.৩২ সেকেন্ডের জাতীয় রেকর্ড গড়েন। মহিলাদের ৮০০ মিটার রেসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন পূজা। তাছাড়াও এশিয়ান গেমসের পদকজয়ী ভিথ্যা রামরাজ মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেসে তৃতীয় হন। গতবারের তুলনায় এবার সোনার পদক বেশি পেয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। গতবার ভারত পেয়েছিল ৬টি সোনা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৮।

    খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় মোদি সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ভারতের খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ক্রিকেট মাঠ বা অ্যাথলেটিক্স সব জায়গাতেই ক্রীড়াবিদদের পাশে থেকেছে মোদি সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্য মোট ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ২০০ কোটি টাকা বেশি। সব মিলিয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রকের জন্য ৩৭৯৪.৩০ কোটি টাকার বাজেট ধার্য করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ৩৫১.৯৮ কোটি টাকা বেশি। মূলত তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা তুলে আনা ও তাদের বিকাশ খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় চলে। ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনকে সাহায্য করার জন্যও ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। অনবরত চলছে প্রতিভা অন্বেষণ ও সেই প্রতিভার বিকাশের চেষ্টা। অন্যদিকে ২০৩৬-এর অলিম্পিক আয়োজনের কথাও বারবার বলছে মোদি সরকার। গত অলিম্পিক, কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমসেও ভালো ফল করেছে ভারত। এবার ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) নিজেদের দাপট দেখাল।

    পদকজয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সম্পূর্ণ তালিকা

    সোনা

    পুরুষদের ১০ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মিক্সড ৪x৪০০ মিটার রিলে: রূপাল চৌধুরী, সন্তোষ কুমার, বিশাল টিকে এবং শুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: অবিনাশ সাবলে
    মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলেস: জ্যোতি ইয়ারাজি
    মহিলাদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জিসনা ম্যাথু, রূপাল চৌধুরী, কুঞ্জ রাজিথা এবং সুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৫ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মহিলাদের হাই জাম্প: পূজা
    হেপ্টাথলন: নন্দিনী আগাসরা

    রুপো

    মহিলাদের ৪০০ মিটার: রূপল চৌধুরী
    মহিলাদের ১৫০০ মিটার: পূজা
    ডেকাথলন: তেজস্বিন শঙ্কর
    পুরুষদের ট্রিপল জাম্প: প্রবীণ চিত্রভেল
    পুরুষদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জয় কুমার, ধর্মবীর চৌধুরী, মনু থেক্কিনালিল সাজি এবং বিশাল টিকে
    মহিলাদের লং জাম্প: অ্যান্সি সোজা
    মহিলাদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: পারুল চৌধুরী
    পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো: শচীন যাদব
    মহিলাদের ৫ হাজার মিটার: পারুল চৌধুরী
    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে: শ্রাবণী নন্দা, অভিনয় রাজারাজন, স্নেহা এসএস, এবং নিথ্যা গান্ধে

    ব্রোঞ্জ

    পুরুষদের ২০ কিমি রেস ওয়াক: সার্ভিন সেবাস্টিয়ান
    পুরুষদের ১৫০০ মিটার: ইউনুস শাহ
    মহিলাদের লং জাম্প: শৈলী সিং
    পুরুষদের ২০০ মিটার: অনিমেষ কুজুর
    মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেস: ভিথ্যা রামরাজ
    মহিলাদের ৮০০ মিটার: পূজা

  • Magnus Carlsen vs D Gukesh: রাগে টেবিলে ঘুষি! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে হারালেন ভারতের ডি গুকেশ

    Magnus Carlsen vs D Gukesh: রাগে টেবিলে ঘুষি! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে হারালেন ভারতের ডি গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দোম্মারাজু গুকেশের (Magnus Carlsen vs D Gukesh) কাছে কেরিয়ারে প্রথম বার হার মানলেন ম্যাগনাস কার্লসেন। তা-ও আবার ক্লাসিক্যাল দাবায়। বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুর ঘরে গিয়ে তাঁকে হারালেন গুকেশ। রবিবার সন্ধ্যায় নরওয়ের স্টাভেঙ্গারে দাবার বোর্ডের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল আবেগ। জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে থাকা ম্যাগনাস কার্লসেন। হতাশা প্রকাশ করলেন টেবিলে ঘুষি মেরে। স্বতঃস্ফূর্ত সেই আবেগের মুহূর্ত নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

    কার্লসেনের বিরুদ্ধে দাপট

    নরওয়ে ওপেনের ষষ্ঠ রাউন্ডে কার্লসেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় পিছিয়ে ছিলেন গুকেশ। সেখান থেকে ফিরে আসেন ভারতীয় দাবাড়ু। তাঁর কাছে হার মানতে পারেননি কার্লসেন। রেগে টেবিলে ঘুষি মারেন তিনি। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন গুকেশ। কালো ঘুঁটি নিয়ে খেললেও ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখান কার্লসেন। ৩৪ বছরের নরওয়ের তারকাকে দেখে মনে হচ্ছিল, আরও একটা ম্যাচে গুকেশকে হারাবেন তিনি। খেলা শেষে গুকেশ জানান, একটা সময় তাঁর মনে হয়েছিল, খেলা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যান তিনি। তারই ফল পান গুকেশ।

    শৃঙ্খলা-সংযমের পরিচয় দিলেন গুকেশ

    কার্লসেনের (Magnus Carlsen vs D Gukesh) আক্রমণের জবাবে ভাল রক্ষণ ছিল গুকেশের। বেশির ভাগ সময় নিজের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর হাতে সময়ও কম ছিল। কিন্তু ৪০ চালের পর খেলাটা বদলায়। ৪৪তম চালে ভুল করে বসেন কার্লসেন। তা কাজে লাগান গুকেশ। একটা সময় পর কার্লসেনেরও সময় কমে যায়। তাঁকেও তাড়াহুড়ো করতে হয়। এন্ডগেমে হার মানেন কার্লসেন। হারের পর টেবিলে জোরে একটা ঘুষি মারেন কার্লসেন। তাতে দু’একটা ঘুঁটি টেবিল থেকে নীচেও পড়ে যায়। তার পরে অবশ্য গুকেশের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তবে গোটা ম্যাচে শৃঙ্খলা-সংযমের পরিচয় দিয়েছেন গুকেশ। নরওয়ে দাবায় এত বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দাবায় কার্লসেনকে পরাজিত করেছে কোনও ভারতীয় কিশোর। গত বছর ছিল আর প্রজ্ঞানন্দ, আর এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জয় শুধুমাত্র গুকেশের কেরিয়ারের এক বড় মাইলস্টোন নয়। বরং আন্তর্জাতিক দাবার মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যেরও প্রমাণ।

  • Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত-কোহলি জমানা অতীত। সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ভারত। প্রত্যাশামতোই ইংল্যান্ড সফরের জন্য টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হল শুভমন গিলকেই (Shubman Gill)। অতীতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। ওয়ান ডে টিমে তাঁকে ডেপুটি করা হয়েছিল। তেমনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রোহিতের ডেপুটি ছিলেন। সেই শুভমন গিলকেই ক্যাপ্টেন করা হল। ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে ঋষভ পন্থকে। টিমে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির। তরুণ ব্রিগেডেই ভরসা রেখেছে কোচ গৌতম গম্ভীর।

    কেন সুযোগ পেলেন না শামি

    মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য শনিবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর পরিষ্কার করে দেন, গত কয়েক মাস ধরেই শুভমনকে (Shubman Gill) ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হল। স্কোয়াডে মহম্মদ শামির জায়গা না পাওয়ার কারণ হিসেবে, ফিটনেস সমস্য়াকেই তুলে ধরেছেন নির্বাচক প্রধান। বলেন, ‘গত কয়েক মাসে প্রচুর চোটে ভুগেছে। আমাদের মনে হয় না, ও পাঁচ ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় রয়েছে। আশা করেছিলাম, কয়েক টেস্ট হলেও পাব। কিন্তু ওর মতো বোলারকে না পাওয়া খুবই কষ্টের।’ ভারত এ টিমে থাকলেও টেস্টের দরজা খোলেনি ঈশান কিষাণের। ঋষভ পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে স্কোয়াডে ধ্রুব জুরেল জায়গা করে নিলেন। টেস্ট টিমের দরজা খুলল বাঁ হাতি তরুণ পেসার অর্শদীপ সিংয়ের। তেমনই প্রত্যাবর্তন হল করুণ নায়ার এবং শার্দূল ঠাকুরের।

    কে কোথায় খেলবে

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে প্রথমেই আসবে যশস্বী জয়সওয়ালের নাম। তবে তাঁর সঙ্গে বাংলার অভিমন্যু নাকি সাই সুদর্শন, কে নামেন সেটাই দেখার। তিন নম্বরে শুভমান গিল, চতুর্থ স্থানে কেএল রাহুল। তারপর আসতে পারেন ঋষভ পন্থ। আবার শুভমন ওপেনিংয়ে গিয়ে সুদর্শনকেও চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে খেলতে পারেন। এরপর আসবেন নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি স্পিনের কাজটিও সামলে দেবেন। পিচ বুঝে ঢুকতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর বা করুণ নায়ার। যিনি সাত বছর পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করলেন। ইংল্যান্ডের পিচে তিন পেসারেই যেতে পারেন গম্ভীর। সেক্ষেত্রে সিরাজ, বুমরা তো থাকবেনই। পরে পেসারদের ‘ওয়ার্কলোড’ বা ফর্ম বুঝে ঢুকতে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ।

    কবে কবে খেলা

    ২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারতের পাঁচ টেস্টের সফর। প্রথম টেস্ট লিডসে। ২ জুলাই থেকে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট। লর্ডসে তৃতীয় টেস্ট হবে ১০ জুলাই থেকে। ২৩ জুলাই থেকে চতুর্থ টেস্ট ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। শেষ টেস্ট ৩১ জুলাই থেকে, ওভালে। এছাড়া ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি টেস্টও খেলবে টিম ইন্ডিয়া।

    ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাডেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণ, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ।

  • Sikkim: প্রথমবার দিন রাতের ম্যাচ সিকিমে, অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট বসানো হল মাইনিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে

    Sikkim: প্রথমবার দিন রাতের ম্যাচ সিকিমে, অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট বসানো হল মাইনিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় ঘেরা সবুজে মোড়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ধর্মশালার পর এবার সিকিম (Sikkim)। রংপোর মাইনিং-এ অবস্থিত সিকিম ক্রিকেট গ্রাউন্ডটি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট লাগানো হয়েছে। গত ১৮ মে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। এর ফলে সিকিমে প্রথমবারের মতো দিন রাতের ম্যাচ খেলা হবে। এর ফলে দিন রাতের ম্যাচের লাইভ সম্প্রচারও সম্ভব।

    প্রকল্পের ব্যায় ও সুবিধা

    সিকিম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (SICA) ও সিকিম সরকারের সহায়তায় ১২.২ কোটি টাকা মূল্যের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং চলতি বছর ১৮ এপ্রিল সম্পন্ন হয়। এই ফ্লাড লাইটে চারটি ৪৪ মিটার উঁচু মাস্ট রয়েছে, প্রতিটিতে ৬৪টি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন এলইডি আলো লাগানো রয়েছে। যাতে মোট ২৫৬টি আলো রয়েছে। প্রতিটি আলোর ক্ষমতা ১.২ কিলোওয়াট। এই আধুনিক আলোর ফলে স্টেডিয়ামে আয়োজিত ক্রিকেট ম্যাচ টেলিভিশনে প্রচারিত করতে অসুবিধা হবে না। এই আলোর সূচনা লগ্নে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, মন্ত্রী, বিধায়ক, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অগ্রগতির পথে সিকিম

    এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সিকিম ক্রিকেট অ্যাশোসিয়েশনের সভাপতি টিকা সুব্বা রাজ্য সরকার এবং বিসিসিআই উভয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “সরকারকে ধন্যবাদ, সরকার জানান, শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী মোদি সিকিম সফরে আসবেন। তার আগে রাজ্যকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের বিষয়ে সিকিম সরকার নিশ্চিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে…২৯ মে সম্ভাব্য তারিখ, যদিও এটি এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়।” তার আগে সিকিম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ রাজ্যকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত উত্তেজনার রেশ ফের বাইশ গজে। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) আসন্ন প্রতিযোগিতাগুলি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। ইতিমধ্যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

    কেন সরছে ভারত

    আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় মহিলাদের এমার্জিং এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হতে চলেছে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পুরুষদের এশিয়া কাপের আসর বসবে। এই দুটো টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের শীর্ষপদে রয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসিন নকভি। তিনি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (PCB) চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দল এমন কোনও টুর্নামেন্ট খেলবে না যেটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজন করবে। কারণ এই কাউন্সিলের শীর্ষপদে একজন পাকিস্তানের মন্ত্রী রয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে এসিসি-কে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি। বলে দিয়েছি যে আসন্ন মহিলা এমার্জিং এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এমনকী, ভবিষ্যতেও অন্য টুর্নামেন্টে ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি।’

    ভারত না থাকলে প্রভূত ক্ষতি

    আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যে পুরুষদের এশিয়া কাপে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা খেলতে নামার কথা। গোটা বিষয়টা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিসিসিআই খুব ভালো করেই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন কার্যত দুষ্কর ব্যাপার। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অধিকাংশ স্পনসরই ভারত থেকে আসে। তার উপরে এশিয়া কাপে যদি ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচেরই আয়োজন করা না হয়, তাহলে সম্প্রচারকারী সংস্থাকেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ত্ব আগামী ৮ বছরের জন্য সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির জন্য সোনি পিকচার্সকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যদি এই বছর এশিয়া কাপে ভারত না খেলে, তাহলে এই চুক্তি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।

LinkedIn
Share