Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যসচিবের ফোন থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে রোজ কথা মমতার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যসচিবের ফোন থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে রোজ কথা মমতার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যসচিবের ফোন ব্যবহার করে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের কাছে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ইতিমধ্যে এসআইআর-এর (SIR) কাজ চলছে আর তৃণমূলনেত্রী প্রথম থেকেই এসআইআর-এর বিরোধিতা করতে সব রকম প্রচার এবং চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন মনোজ পন্থের ফোন থেকে প্রতিদিন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরুণ প্রসাদকে ফোন করেন মমতা? উদ্দেশ্য কী? রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ দিয়ে নির্বাচনী কমিশনে নালিশ শুভেন্দুর।

    ২০ মিনিট কথা অরুণ- মমতার (Suvendu Adhikari)!

    শুক্রবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপযুক্ত প্রমাণ এবং তথ্য দিয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরুণ প্রসাদের সঙ্গে প্রায় প্রায়ই কথা বলেন। শেষ যে দিন বিজেপির প্রতিনিধিদল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, সেই দিনও অরুণ ২০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন। মমতা কোন নির্দেশ দিচ্ছেন? এর আগে এসআইআরে কর্মরত ৬৭ জন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কেন কমিশন কড়া পদেক্ষপ নিচ্ছে না।” শুক্রবার কমিশনের কাছে এই মর্মে প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হিন্দু শরণার্থীদের ভোটার তালিকায় তুলতে হবে

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরও বলেন, “রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। প্রশাসনের একাংশ শাসকদলের নির্দেশে অনুপ্রবেশকারীদের সবরকম সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোটার তালিকায় নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তৃণমূল। হিন্দু শরণার্থীদের নাম তোলার (SIR) বিষয়ে কমিশনকে ভাবতে হবে। সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দিতে হবে।”

    তবে শুভেন্দুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন দফতরের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর রাজ্য নির্বাচন দফতর অফিসিয়ালি কিছু জানাবে না। এই সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যা বলার নির্বাচন কমিশনই বলবে।

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর আবহের মধ্যেই ২০২৬ সালের ভোট প্রস্তুতি (Assembly Election 2026) শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএম সংক্রান্ত একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইভিএম মেশিনে এবার থেকে নির্বাচনী প্রার্থীদের নামের সঙ্গে ছবিও সংযুক্ত করা হবে। ফলে বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গ সহ অসম, তামিলনাড়ু এবং পণ্ডিচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন, তাই আগেভাগেই একাধিক নিয়ম বদলের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবরকম প্রস্তুতিকে খতিয়ে দেখছে কমিশন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।

    প্রার্থীর নামের পাশে ছবি (Assembly Election 2026)

    সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, “ইভিএমে প্রত্যেক প্রার্থীর নামের পাশে ছবি থাকবে। মেশিনে এতোদিন কেবলমাত্র নাম থাকত। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএমে নামের সঙ্গে প্রার্থীদের ছবিও থাকবে। প্রায় সময়েই দেখা যায় বিধানসভা ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একই নামের প্রার্থী থাকেন অনেকজন। ফলে এইরকম পরিস্থিতিতে একাধিক প্রার্থী তালিকায় নামের সঙ্গে ছবি থাকলে ভোটদাতাদের প্রার্থী নির্বাচন (Assembly Election 2026) করতে সুবিধা হবে। আর তাই নামের পাশে মেশিনে প্রার্থীদের ছবি থাকবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সেই ছবি দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”

    ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম প্রস্তুত

    কমিশন জানিয়েছে, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2026) রাজ্যে বুথ সংখ্যা প্রায় ১৫০০০ বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বচানে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা ছিল ৮০৬৮১। এবারে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০০০। ফলে আরও বেশি পরিমাণে ইভিএম মেশিন লাগবে। তবে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত মেশিন আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বাংলায় কত ইভিএম? এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ব্যালট কন্ট্রোল ইউনিট, রিজার্ভ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য তাদের হাতে আপাতত ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম আছে। আর ভিভিপ্যাট মেশিন আছে ১.৩৫ লক্ষআপাত ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনায় কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    এদিকে এসআইআর প্রসঙ্গে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। বাংলাদেশিদের ব্যাঙ্কের খাতায় ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। অপর দিকে এসআইআর-এ নথি দেখানোর ভয়ে বসিরহাটের হাকিমপুরে হাজার হাজার বাংলাদেশি বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে ভিড় জামাচ্ছে। কেউ ১ বছর কেউ বা ১০ বছর অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। ফলে রাজ্যে অনুপ্রবেশদের ভোট কমার আশঙ্কায় তৃণমূল এখন চরম চাপে।

  • SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিবিড় তালিকা সংশোধনে তথ্যের হেরফের এবং গোলমালের অভিযোগ! এবার ৭ বিএলওকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিএলওরা ডিজিটাইজেশন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই প্রকিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে টেকনিক্যাল নানা সমস্যা হচ্ছে। ঠিক এই সময় পর্বেই বেশ কিছু তালিকার তথ্যের হেরফের দেখা গিয়েছে। আর এই ব্যাপারে উপযুক্ত জবাব চাওয়া হয়েছে কমিশনের (Election Commission) তরফে । তবে উপযুক্ত জবাব না পেলে হতে পারে কড়া ব্যবস্থা। রাজ্য এসআইআর (SIR) আবহে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।

    বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে (SIR)

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, “কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের সাতজন বিএলও-কে শোকজ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মূলত ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার কাজকে কেন্দ্র করেই এই অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি পালন করে ডিজিটাইজেশন করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে কেন ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি? এই বিষয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে ওই বিএলওদের কাছে। তবে এসআইআর (SIR) সংক্রান্ত  সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ওই নির্দিষ্ট বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।”

    সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায়না কমিশন

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সাফ নির্দেশ ছিল, সংগ্রহ করা ফর্মের ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে নির্ধারিত সময়ে মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকার বিএলওরা নানা ভাবে অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু এই কাজে আবার একাধিক জায়গায় বেশ কিছু তথ্যের গোলমাল ধরা পড়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায় না কমিশন। তাই জবাবে সন্তোষ না হলে কমিশন শাস্তি দেওয়ার কথা বলেও আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। আবার হুগলির কোন্নগরে ফর্ম বিলি (SIR) করতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়েছেন বিএলও তপতী বিশ্বাস। তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।

  • ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED raid)। শুক্রবার সকাল থেকেই কয়লা কেলেঙ্কারিতে (coal scam) দুই রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি ঠিকানায় হানা দিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (West Bengal and Jharkhand)। আসানসোল, পুরুলিয়া, কলকাতার কয়েকটি এলাকা থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ – সব জায়গাতেই অভিযানে নেমেছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সহায়তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। লক্ষ্য মূলত কয়লা ব্যবসায়ী লালবাবু সিং ও তাঁর ভাই কুম্ভনাথ সিং-এর একাধিক ঠিকানা।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় তল্লাশি

    শুক্রবার সকাল থেকে একসঙ্গে রাজ্যের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। কলকাতা-সহ পুরুলিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার সংক্রান্ত (coal smuggling) মামলায় এই তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কয়লা মাফিয়ার (ED raid) বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। এদিন সকালে সল্টলেকের দুটি জায়গায় পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকে সেক্টর-২তে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। সল্টলেকের একে ব্লকেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকের একে ব্লকে ২২৫ নম্বর বাড়িতে সকাল সকাল পৌঁছে যান ইডির আধিকারিরকরা, সিজে ব্লকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। বাড়ির মালিকের নাম নরেন্দ্র খারকা। বাইপাস সংলগ্ন একটি আবাসনেও চলছে অভিযান। হাওড়ার সলপ মোড়েও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। দেখা যায়, অফিসাররা পৌঁছে গেলেও অধিকাংশ অফিস ও বাড়ির মূল গেটে তালা।

    এক যোগে দুই রাজ্যে অভিযান

    কয়লা পাচার মামলায় (coal smuggling) তদন্ত চালাচ্ছে ইডি (ED raid)। সম্প্রতি সিবিআই আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কয়লা পাচার মামলায় খুব শীঘ্রই সামনে আসবে প্রভাবশালীদের নাম। তারপরই এদিন রাজ্যের ২৫ জায়গায় একসঙ্গে হানা দিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের ধনবাদ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১২ জায়গায়ও অভিযান শুরু করেছে ইডি। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে বিসিসিএল (BCCL)-এর ঠিকাদার ও বড় কয়লা ব্যবসায়ী এলবি সিংয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে। ​জানা গিয়েছে, ইডির এই অভিযান বিসিসিএলর বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। ​এছাড়াও, ইডি-র কলকাতা টিম পশ্চিমবঙ্গেও কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার, পরিবহনকারী এবং ইসিএল (ECL)-এর আধিকারিকদের ঝাড়খণ্ডের আস্তানাগুলিতে সমান্তরালভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    লালবাবুদের ডেরায় হানা

    ইডি (ED raid) সূত্রের দাবি, কয়লা রফতানিতে (coal scam) দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অসঙ্গতির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান। লালবাবুদের সংস্থার অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত বিসিসিএল-এর খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ঠিকা রয়েছে। তা নিয়েই দুর্নীতির সূত্রপাত। উল্লেখ্য, প্রায় দশ বছর আগে বিসিসিএল-এর টেন্ডার সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই লালবাবুর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেই লালবাবু সিং-এর ঠিকানাতেই হানা দিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা, ইডি। প্রসঙ্গত, ঠিকাদার এলবি সিংয়ের সংস্থায় এর আগে আয়কর বিভাগও অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় ১০০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

  • Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো, অবৈধ ভোটার দিয়ে তালিকা ভরিয়ে রাখার স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে বিকৃত করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখেছেন। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিকেলে জ্ঞানেশকে মমতার পাল্টা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা। দীর্ঘ চিঠিতে একাধিক উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু লিখলেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এসআইআর সঠিক ভাবে সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। ভারতের গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি লিখেছেন, তা আদতে কোনও গঠনমূলক কারণে নয়, অবৈধ ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এমন বার্তাই কমিশনে পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কর্তব্যরত আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে চিঠি লিখেছেন মমতা। পাল্টা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, আদতে রাজ্যের শাসক দল ভোটের স্বার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এতদিন ধরে সুরক্ষা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, জায়গায় জায়গায় বাংলাদেশিদের ঘর ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে। হাকিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় বাড়ছে, এমন ছবিও সামনে এসেছে। শুভেন্দুর চিঠিতে সেই ঘটনারও উল্লেখ আছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতার চিঠি আদতে নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের যে আস্থা, তাতে আঘাত হানছে। সঙ্গে শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিএলও দের হুমকি দিয়েছেন।

    মুকুল রায়ের মামলার কথা

    মমতার চিঠি ছিল তিন পাতার। শুভেন্দু পাল্টা চিঠিটি লিখেছেন চার পাতার। সেই চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, শুধু ভোট চুরি করা নয়। মমতার রাজনৈতিক ধরন হল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকেও চুরি করা। সে কারণেই হাইকোর্ট মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে। এসআইআরের চাপ সইতে না-পেরে দুই বিএলও-র মৃত্যু, মানুষের হেনস্থা, আলু তোলার মরসুমে এই প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ করেছেন মমতা। শুভেন্দু তাঁর চিঠিতে পাল্টা যুক্তির জাল বুনতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএলওদের অর্থবৃদ্ধির ফাইল এখনও রাজ্যের অর্থ দফতর এখনও ফেলে রেখেছে।

    ‘‘বাংলায় কায়েম জঙ্গলরাজ’’

    শুভেন্দুর বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিএলওদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, ভোটের পরে রাজ্য সরকারের চাকরিই তাঁদের করতে হবে। যা কমিশনের নির্দেশ পালনের বদলে রাজনৈতিক দাসত্ব পালনে প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধেও মমতা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মমতা যে ভাবে চিঠি লিখেছেন, তা নিয়ে কমিশনের কঠোর মনোভাব নেওয়া উচিত বলে জ্ঞানেশকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর আরও বক্তব্য, এই চিঠিই প্রমাণ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা উল্লেখ করছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কমিশনই এ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সারা বাংলা জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কোনও কাজই করেনি। তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হল কীভাবে প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ

    এসআইআর বন্ধের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ করেছেন, বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  এসআইআর কোনো নতুন প্রক্রিয়া নয়, দেশে এটা নবমবারের মতো হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই উনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সিইসি-কে গালিগালাজ করছেন।

    ‘‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’’

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) অধীনে ৫০.৪০ কোটিরও বেশি ভোটার, যা প্রায় ৯৯ শতাংশ, গণনার ফর্ম পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৫০.৯৭ কোটি ভোটার রয়েছেন। এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরি।

    ‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না’’

    বিজেপি নেতা আরও যোগ করেন,‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না এলে এপ্রিলে নির্বাচন হবে না। মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হট্টগোল করছেন… যখন ১ কোটিরও বেশি ভোটার বাদ যাবে, যারা হয় মৃত, ভুয়ো অথবা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তখন উনি কীভাবে জিতবেন… বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের পার্থক্য মাত্র ২২ লক্ষ…’’

  • SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা সরাসরি বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে মমতা সরকার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে অনুপ্রবেশকারীদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাকিমপুরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপক ভিড় জমেছে। তাঁদের লক্ষ্য এখন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে যাওয়া। অনুপ্রবেশকারী খোদ বাংলাদেশিদের মুখে শোনা গিয়েছে, কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রেশনের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন! আর তাতেই তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিজেপি।

    রাজ্যের টাকা কেন অনুপ্রবেশকারীদের পকেটে?

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আমাদের করের টাকা থেকে কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এই প্রকল্প ২ কোটি ১৫ লক্ষ বাংলার মহিলাকে দেওয়া হয়। এই রাজ্যের বহু সংখ্যক মহিলাদের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক মহিলারাও রয়েছে। তৃণমূল সরকার তাদেরও টাকা দিচ্ছে! কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত দাবি করছি আমরা। আমাদের রাজ্যের ভাইবোনদের জন্য এই টাকা খরচ করা হোক, এটাই কাম্য।”

    এসআইআর-এর গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে

    উল্লেখ্য, বসিরহাটের হাকিমপুর সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জমায়েত হয়েছেন। এ যেন ঠিক শুভেন্দুর কথায় কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ায় অনুপ্রবেশকারীরা বের হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের পথে বাংলাদেশিরা। রাতের অন্ধকারে দালাল ধরে মোটা টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা। পরে টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্র (Lakshmi Bhandar) বের করে সরকারি সুবিধা নিয়েছে। তাদের মধ্যে রোকেয়া বিবি নামক এক বাংলাদেশি বলেন, “ভারতে ঢুকে আধার-ভোটার কার্ড বানিয়ে দুবার ভোটও দিয়েছি আমরা। দশ বছর আগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে প্রবেশ করেছি। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ ঝুপড়িতে বাস করতাম। এখন এসআইআর-এর (SIR) গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে আমাদের।” আবার অপর আরেক অনুপ্রবেশকারী বলেছেন, “সীমান্তে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে এখানে এসেছি। আমরা কাগজ কোরানোর কাজ করি। জায়গায় জায়গায় ময়লা ফেলার কাজ করি। স্থানীয় নেতারা টাকা নিয়ে কাজপত্র বানিয়ে দিয়েছিল।”

  • SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক (SIR)। তাতে কী? সে দেশের সুযোগ-সুবিধা তো নিচ্ছেনই, একই সঙ্গে ভোগ করছেন ভারতীয় নগরিকত্বের যাবতীয় সুবিধাও (Bangladeshi)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সৌজন্যে এমনই আজবকাণ্ড ঘটে চলেছিল। রাজ্যে এসআইআর জুজু ধেয়ে আসতেই একে একে ঝুলি থেকে বের হচ্ছে বিড়াল।

    রেশন তুলেছেন অনুপ্রবেশকারীরা! (SIR)

    ফেরা যাক খবরের মূলে। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছে ভোটার-তালিকা ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ। সেজন্য চালু হয়েছে এসআইআর। তখনই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক খবর, যা শুনলে কপালে চোখ উঠতে বাধ্য। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ঢোকা এই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেরই রয়েছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও জোগাড় করে ফেলেছেন এঁদের অনেকেই। নিয়মিত রেশন তোলার পাশাপাশি অনেকে আবার এ রাজ্যে ভোটও দিয়েছেন দু’-তিনবার। আর এর বদলে মিলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানও। যা পাওয়ার হক নেই কোনও বিদেশিরই। এসআইআরের নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারেই। এবার সেটাই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে। তার পরেই পোঁটলা-পুঁটলি গুছিয়ে পিলপিল করে রাজ্যের নানা সীমান্তে ভিড় করছেন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় যাঁরা প্রতীক্ষা করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করেই মিলেছে এসব তথ্য (SIR)।

    বোমা ফাটালেন আনোয়ারা বিবি!

    স্বরূপনগরের এই সীমান্তেই দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের (Bangladeshi) সাতক্ষীরার বাসিন্দা রোকেয়া বিবি। তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক। তবে ভোট দিতেন এ রাজ্যে। লকডাউনের সময় পদ্মার ওপর থেকে দালালদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছিলেন এপার বাংলায়। ঠাঁই জুটেছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। কাগজকুড়ুনির কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি জানান, ৩-৪ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছেন। তাতে টাকাও ঢুকেছে। দিয়েছেন ভোটও। এই সাতক্ষীরায়ই ফিরে যাচ্ছেন আনোয়ারা বিবিও। তাঁরও বাড়ি সেখানেই। তিনিও কবুল করলেন, এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে জেনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “আমরা এখানে থাকব বলে কাগজপত্র সব করে দিল। আর এখন থাকতে পারছি না। আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশেই ফিরে যাচ্ছি।” শুধু কী তাই? আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, অথচ বাংলায় ঢুকে পড়ে কাগজপত্র সব জোগাড় করে বসে পড়েছেন সরকারি চাকরির পরীক্ষায়ও। এফআরআরও-চিঠিতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এ ব্যাপারে (SIR) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (Bangladeshi)।

    গুচ্ছের প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে রাশি রাশি প্রশ্ন। নজরদারি এড়িয়ে এরা কীভাবে পদ্মার এপাড়ে এলেন? এতদিন এখানে থাকলেনই বা কীভাবে? ভারতে বসবাসের কাগজপত্রই বা জোগাড় করলেন কীভাবে? রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বদান্যতায় এঁরা জোগাড় করেছেন জাল কাগজপত্র। দিয়েছেন ভোটও। যার জেরে বুথ ফেরত সমীক্ষার যাবতীয় প্রেডিকশনের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বারবার জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এঁদের অনেক প্রার্থীই আবার জয়ী হয়েছেন লাখ লাখ ভোটে। তা নিয়ে তাঁদের গর্ব করতেও দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য সভায়।

    প্রতারকদের অভিশম্পাত!

    স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে এখন ওপারে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি। কেউ কাকভোরে, কেউ আবার রাতের আঁধারেই এখানে চলে এসেছেন (SIR)। আবার অনেকেই আসছেন দিনের বেলায়। সবাই ইতিউতি দাঁড়িয়ে বসে রয়েছেন কখন ফিরবেন নিজের দেশে, তার অপেক্ষায়। শিশুর কান্না, পরিবারের উদ্বেগ, দেশে ফিরে গিয়ে কী করবেন – এসবেরই ছাপ অপেক্ষারত অনুপ্রবেশকারীদের চোখেমুখে। এঁদের মধ্যে (Bangladeshi) যাঁরা টাকা-পয়সা দিয়ে কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই আবার অভিশম্পাত দিচ্ছেন প্রতারকদের। জানা গিয়েছে, বিএসএফ ইতিমধ্যেই আটক করেছেন ৩০০ জনকে। এঁদের অধিকাংশেরই নথি নেই। সীমান্ত পার হতে গিয়েও ধরা পড়েছে ৪৫ জন। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তে ভিড় করা এই মানুষগুলির সিংভাগেরই বাড়ি সাতক্ষীরা কিংবা খুলনার গ্রামে (SIR)।

    অনিশ্চিত ভবিষ্যত

    একটুকু সুখের আশায় জন্মভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবাংলায় এসেছিলেন এঁরা। নেতাদের ধরে জুটে গিয়েছিল মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজকর্মও। টাকা-পয়সার বিনিময়ে জোগাড়ও করেছিলেন কাগজপত্র। তবে সেসব কাগজ যে জাল, তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে থাকতে এই দেশটাকেই আপন করে নিয়েছিলেন এঁদের অনেকেই। শাসক দলের ‘ঋণ’ শোধ করতে হাত উপুড় করে তাদের ভোটও দিয়েছিলেন দাবি করলেন অনেকে। তখনও বোঝেননি, যে দেশটায় থাকতে থাকতে ক্রমেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন (Bangladeshi), সেই দেশটাই এখন পর হয়ে গিয়েছে। এবার ফিরতে হবে স্বদেশে, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে (SIR)।

  • Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর ইস্যু নিয়ে ফের রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এসআইআর-এর পর রাজ্যে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, মৃত ও অবৈধ ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতেই এত এসআইআরের বিরোধিতা করছে শাসকদল তৃণমূল। মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, মৃত ভোটার, একই বুথে ডবল ভোট এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোট, তৃণমূলের সাফল্যের অঙ্ক। রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের যন্ত্রণা ও ভেঙে পড়ার কারণ পরিষ্কার। এর কারণ মৃত ভোটার। সকালের পোশাক বদলে বিকেলে ভোট দেওয়া হয়।”

    লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগ আত্মহত্যা

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (এসআইআর) কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা আত্মহত্যার অভিযোগকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে। কোথাও মৃত্যু হচ্ছে না। এখানেই শুধু হচ্ছে। লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগের নাম আত্মহত্যা। আমার মনে হয় ভাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে যদি এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’’ পাশাপাশি তিনি আরও জুড়ছেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা বলে দিচ্ছে আর তৃণমূল নেতারা সেই নিয়ে প্রচার করছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

    ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ পড়তে পারে

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আর ওঁর ভাইপো আর প্রতীক জৈন একটা মিটিং করেছেন, আইপ্যাক আর পুলিশ রিপোর্ট করেছে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে এবং গেলে ওঁরা জিতবেন না, তারপর নতুন করে পুলিশের তালিকা তৈরি করতে বলেছে, যদি পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া যায়, নতুন পুলিশের ট্রান্সফার তালিকা তৈরি হচ্ছে, ৭ ডিসেম্বর বের হবে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর..এনুমারেশন ফর্ম পূরণের কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তখন নিশ্চিতভাবে জানা যাবে কার নাম বাদ গেল, আর কার নাম থাকল।’’ বাংলায় এসআইআর শুরুর পর থেকে শুভেন্দু দাবি করে আসছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে। তার মধ্যে মৃত ভোটার, মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, অনুপ্রবেশকারী রয়েছে জানিয়ে তিনি এদিনও বলেন, “২০০২ সালে বাদ গিয়েছিল ২৬ লক্ষ। এবার আরও বেশি নাম বাদ যাবে। আরও বেশি নাম বাদ যেত যদি রাজ্য সরকার সাহায্য করত। এবার ৮০ শতাংশ এসআইআর সফল হবে।”

    ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা শুভেন্দুর

    এদিন ফের ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা দেন তিনি। বলেন, “বিহারে অনেক রাষ্ট্রবাদী মুসলিম এনডিএ-কে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন। এখানেও আমরা রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের কাছে আবেদন করেছি। গরিষ্ঠ সংখ্যক ভারতীয় মুসলমানরা আমাদের ভোট না দিলেও আমরা বারবার বলেছি, এসআইআর নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও চিন্তা নেই।” বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-দের বিরুদ্ধে ফর্ম না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে বিএলও-দের সতর্ক করলেন শুভেন্দু। জানালেন, অভিযুক্ত বিএলও-দের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। কমিশন যাতে ওইসব বিএলও-দের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করে, সেই দাবি জানাবেন। একাংশ বিডিও-র সঙ্গে আইপ্যাকের টিম প্রতিদিন দুপুরে বৈঠক করছেন বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।

  • SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এর (SIR) ফলে পরিবারের মৃত ভাবা এক ব্যক্তি তিন দশক পর বাড়িতে ফিরলেন। জানা গিয়েছে ২৮ বছর ধরে তাঁর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ নিবিড় তালিকা সংশোধনের কাজ চলার মধ্যে অবশেষে বাড়ি ফিরে এলেন। ভোটার তালিকায় তাহলে কেন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলা হয়েছে, নির্বাচনী ভোটার তালিকায় এমন রেকর্ড কীভাবে বা এসেছে। এই রকম নানা প্রশ্নে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় (North 24 Parganas)।

    ১৯৯৭ সাল থেকেই নিখোঁজ

    সোমবার বিকেলে সুপ্রিয়া মণ্ডল নিজের বাড়িতেই দরজা খুলে দেখেন, যে পুরুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন, সেই তাঁর স্বামী জগদ্বন্ধু মণ্ডল সশরীরে উপস্থিত। তাঁর বয়স এখন ৫৫, তাঁর বাবা বিজয় মণ্ডল দেখেই তাৎক্ষণিক ভাবে দেখেই চিনতে পেরেছেন ছেলেকে। তবে নির্বাচনী ভোটার তালিকায় জগদ্বন্ধু মণ্ডলের নাম মৃত ঘোষণা করে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শীতকালে জগদ্বন্ধু নিজের স্ত্রী এবং ছোট দুই সন্তানকে রেখে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ডায়েরি, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আবেদন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদও চলেছিল লাগাতার। পরে প্রশাসনের তরফে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করলে অসহায় পরিবারটি অবশেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়। প্রায় তিন দশক ধরে পরিবারের তরফে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে জগদ্বন্ধু আর কোনও দিন বাড়ি ফিরবেন না।

    জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন

    এলাকার (North 24 Parganas) বুথ কমিটির সদস্য সমীর গুহ (SIR) বলেন, “বুথ লেভেল অফিসারের কাছে গত ২৮ বছর ধরে জগদ্বন্ধু সম্পর্কে কোনও নথিপত্র এবং তথ্য ছিল না। ২০০২ সালের পর থেকে তাঁর নাম উধাও হয়ে যায়। এইবার এসআইআর আবহে তিনি আবার ফিরে এসেছেন।” তবে এসআইআর-এর জন্য যখন প্রত্যেকে ভোটার আইডি, জমির কাগজপত্র এবং বসবাসের প্রমাণপত্র দেখানোর বিষয় উঠে এসেছে তখনই জগদ্বন্ধুকে পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য করেছে।

    তবে এলাকাবাসীদের (North 24 Parganas) জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন বাঁকুড়ার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তবে সেখানে সুলেখা মণ্ডল নামক এক মহিলার সঙ্গে বসবাস করেন। সুলেখার স্বামীর নাম জগদ্বন্ধু মণ্ডল নামেই নথিবদ্ধ। আবার অপর আরেক মহলের মত, জগদ্বন্ধু নিজে সঠিক তথ্য দেননি। গুজরাট, মুম্বই, বাঁকুড়া এবং ছত্তিশগড়ে কাজ করেছেন। তবে সম্প্রতি কাজ হারিয়েছেন তাই ফিরে এসেছেন। এদিকে জগদ্বন্ধুর পুরনো ভোটার লিস্টে (SIR) নাম বাদ গেলেও এইবার সঠিক কাগজ বা উপযুক্ত নথি দিয়ে আবার নিজের নাম তালিকায় তুলতে পারবেন। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যে বিরাট শোরগোল পড়েছে।

  • SIR: এসআইআর-এর জন্য কোনও ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না! ভোটারদের সাবধান করল কমিশন

    SIR: এসআইআর-এর জন্য কোনও ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না! ভোটারদের সাবধান করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া বা এসআইআর-এর (SIR) জন্য কোনও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিতে হবে না। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের নির্বাচন কমিশন কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এসআইআর-এর জন্য কারও থেকে ওটিপি চাইছে না। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, কমিশনের নাম ভাঁড়িয়ে বহু মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছে এবং ফোন করে বলা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য ওই ওটিপি জরুরি। অনেকেই তা বিশ্বাস করে ওই ভুয়ো ওটিপি নম্বর বলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানায় কমিশনের কাছে। মনে করা হচ্ছে, অসাধু উপায়ে টাকা পয়সা হাতানোর জন্যই একটা চক্র এই কাজ করছে।

    কেন এই বিবৃতি

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সাইবার প্রতারণা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় এনুমারেশন ফর্ম পূরণকে হাতিয়ার করে সাইবার প্রতারকরা যাতে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা না করতে পারে, তার জন্য সতর্ক করল কমিশন। কারণ, ফর্ম ঠিকমতো পূরণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ বিচলিত থাকবেন। ফলে ফর্মে ভুল রয়েছে জানিয়ে বিএলও কিংবা কমিশনের নাম করে কেউ ফোন করে ওটিপি চাইলে, অনেকে প্রতারকদের ফাঁদে পা-ও দিতে পারেন। তাই রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে সিইও অফিস জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন কিংবা সিইও অফিস এসআইআর সংক্রান্ত কাজের জন্য কখনও কারও মোবাইলে ওটিপি পাঠায় না। এবং ফোন করে ওটিপি জানতে চায় না। সিইও অফিসের এই প্রেস বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে কলকাতা পুলিশও। গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখে সেই অনুযায়ী এই ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। তার পর তা জমা নিয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করছেন বিএলওরা। রবিবার রাত ৮টার বুলেটিনে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে।

    আজ কলকাতায় কমিশনের টিম

    আজ, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর কলকাতায় আসছে কমিশনের বিশেষ টিম। এদিন কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক হবে। এরপর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কমিশনের বিশেষ টিমের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন। এদিনই কৃষ্ণনগর রওনা দেবে কমিশনের টিম। রাতে সেখানে থাকবে। তারপর ১৯ নভেম্বর নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে বৈঠক করবে। ২০ নভেম্বর মালদায় পৌঁছবে কমিশনের টিম। সেখানে বৈঠক করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতায় ফিরে আসবে। কলকাতায় রাতে থাকবে কমিশনের টিম। ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে নিউটাউনে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং (FLC) নিয়ে একটি কর্মশালায় যোগ দেবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।

LinkedIn
Share