Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কোষাগার শূন্য। সম্প্রতি এই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সেই কথা যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ দিচ্ছে খোদ রাজ্য সরকারই। এবার আর্থিক সংকট দূর করতে সরকারি দোকান দিয়ে মদ বিক্রি করবে রাজ্য। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন বা ‘বেভকো’ নামে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি় (Liquor Shop License) খোলা হবে। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলা- দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সমীক্ষা চালিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি় দেওয়ার জন্য ৯২টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলার ডেয়ারি, হরিণঘাটা বা বেনফিশের আউটলেট আদলেই সাজানো হবে বেভকো-র ফ্র্যাঞ্চাইজি়র রিটেল আউটলেটগুলিকে। মদের ওই সব বিপণির নকশাও বেভকো তৈরি করবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মদের খুচরো ব্যবসায় রাজ্য সরকার 

    ২১ সালের ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপির প্রবেশকে আটকাতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজের দিকে সমর্থন টানতে কোনও ভাবনা চিন্তা ছাড়াই ঘোষণা করে গিয়েছেন একের পর এক প্রকল্পের। এখন সেইসব সরকারি প্রকল্পের টাকা জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করছেন বিরোধী নেতারা। যদিও কেন্দ্রের পাওনা আটকানোকেই আর্থিক সংকটের জন্যে দায়ী করেছে রাজ্য। সেই আবহেই এ বার মদের খুচরো দোকান খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজতে রাজ্য সরকারের তরফে ডাকা হয়েছে ই-টেন্ডারও।   

    আপাতত দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার, উত্তরের তিন জেলায় শুরু হচ্ছে মদের সরকারি রিটেল শপ। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার। 

    বিরোধী কটাক্ষ 

    রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধী নেতারা কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজ্য ‘দুয়ারে মদ’ পরিষেবা শুরু করছে।” রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার মদ আর মা কালীতে টিকে আছে। তাই সরকার চাইছে মদ আরও বাড়াও আর বাড়াও। যুব সমাজকে ডুবিয়ে দাও। যাতে চাকরি না চায়।”

    আবগারি দফতরের এক কর্তা আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন, “আবগারি দফতরের এক কর্তার কথায়, “বিষ মদের বিপদ তো আছেই। কিন্তু বেআইনি ভাবে রাজ্যে ঢোকা, ব্র্যান্ডেড মদও যে নকল ও বিষাক্ত নয়, তার গ্যারান্টি নেই। ফলে, আমাদের এই পদক্ষেপে ঝুঁকি কমবে, রাজস্বও বাড়বে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা। চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের কামড় খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মাঝেই চাকরির দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট। চাকরির দাবিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর সেই আন্দোলন থামাতে গিয়েই এক আন্দোলনকারী মহিলার হাতে কামড়ে দিলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি হল সেই ভিডিও।  

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ 

    এই কামড়কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, “এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।”

     



    ঠিক কী হয়েছিল?

    ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই নৃশংস ঘটনা। দেখা যায়, ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল ছুটে যাচ্ছে। সোজা গিয়েই এক মহিলার হাতে বসালেন কামড়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ওই মহিলা পুলিশ সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।

    পরবর্তীতে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দাবি করেন, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও ক্যামেরার ছবি বলছে অন্য কথা। প্রসঙ্গত, পরবর্তীতে আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
     
  • TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (TET Agitation)। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রক্তও ঝরল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের এখন একটাই দাবি, ‘আমাদের হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু দিন।’

    এদিন হঠাৎ দুপুর থেকেই রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)৷ আগে থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ আচমকাই সেই জায়গায় জমা হতে থাকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার মেট্রো করে এসে রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নেমে জমায়েতে অংশ নেন। পরে ধীরে ধীরে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    রক্তারক্তি কাণ্ড

    এই গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ ফলে আজ বিক্ষোভে রক্তাক্ত হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। আবার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে (TET Agitation) অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

    প্রিজন ভ্যানের তলায় শুয়ে বিক্ষোভ

    এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ অনেককে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আবার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ (TET Agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু৷’ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে সেই জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যান ছাড়া, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

    যান চালাচল অবরুদ্ধ

    আর এই ধুন্ধুমার (TET Agitation), রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শিয়ালদা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের, কিন্তু পুলিশ তা বানচাল করতে পরিকল্পনায় বদল আনেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদও। দিল্লিতে মূল কার্যালয়ে তাঁকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তার আগেই রবিবার বীরভূম পুলিশের হাতে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা টুলুকে জেরা করতে না পারে, তাই আগেভাগে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হল? 

    জানা গিয়েছে, বীরভূমে পাথরের বেআইনি কারবারের মুল হোতা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এর আগে কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাহলে হঠাৎ এই সক্রিয়তা কেন? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল রাজ্যনীতি। যদিও এখনও কোনও মহল থেকেই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। 

    সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ অনেকেই ধারণা করেছিলেন যেকোনও দিন আবারও টুলুকেও তলব করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার আগেই এই গ্রেফতার। 

    সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় চরিচা গ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় এই পাথর ব্যবসায়ীর যোগ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, আদালত এই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই টুলু মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্টতার কথা সর্বজনবিদিত। 

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    এই ব্যবসায়ী ব -কলমে পাথরের শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলত। তাঁর সিউড়ির বাড়ি সহ পৈতৃক ভিটে ,অফিসে এই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সারাদিন ধরে তল্লাশি চালায়। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে গতকালই, এই পাথর ব্যবসায়ী দিল্লি থেকে বীরভূমে ফিরেছেন। গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে রাত্রীবাস করেছেন বীরভূমে। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। অনুব্রতহীন জেলায় তৃনমুল এখন ছন্নছাড়া। তাই অনুব্রত যাতে অন্য কারো জবানবন্দিতে ফের বিপাকে না পড়েন, তার জন্যই কি মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য পুলিশ? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার পর এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিশুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়লা ও গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Case) তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায়ও রাজ্যকে একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    নভেম্বরের তিন তারিখে কোচবিহারে হামলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের সিতাইয়ে। নিশীথের কনভয় যখন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একদল লোককে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    এই ঘটনায়ই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কেউই নিরাপদ নন। এমন কী জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। টাকা তোলে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, দিল্লিতে গরু পাচার মামলা দায়ের করেছে ইডি। এতে অনেকে জড়িত। যদি প্রমাণিত হয়, তাঁদের তিহাড় জেলে পাঠানো হবে। বাংলায় যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তিহাড় জেলে তা মিলবে না। শুভেন্দুর তোপ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার  চোরেদের সরকার। এঁদের অনেকেই কয়লা ও গরু পাচার মামলা, পঞ্জি স্কিম এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথও। তিনি বলেন, যদি বাংলার সরকার কঠোর হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তাঁর প্রশ্ন, কেন আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তায় অত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? তিনি বলেন, আমরা (মন্ত্রীরা) পুলিশের বেঁধে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি। সেই রাস্তায় যেতে গিয়ে কেন আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হবে? বিশেষত, যখন রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তা ছকে দিয়েছে!

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওই জনতার হাতে লাঠির পাশাপাশি পাথরও ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এগুলি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী তাঁদের সামনে আক্রান্ত হবেন, আর বিজেপির কর্মীরা তা বসে বসে দেখবেন, তা হবে না। এলাকার পরিবেশ কেন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন নিশীথের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aparupa Poddar:  এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    Aparupa Poddar: এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা থেকে কালিম্পং প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। এবার খোদ তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) ঘরে ডেঙ্গির হানা। আক্রান্ত আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও মেয়ে। দু’জনেই শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে ভর্তি। তবে তৃণমূল সাংসদের ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত,আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে ঘুরে আসার পর, তাঁর স্বামী ও ২ বছরের মেয়ের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এ মরসুমে এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। সূত্রের দাবি, রাজ্যে এখনও অবধি ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক বেশি!চিকিৎসকদের ওপর চাপ দিয়ে, ডেঙ্গিতে মৃত্যু না লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এমনটা করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    প্রসঙ্গত, রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গি।  সম্প্রতি ডেঙ্গির নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমতে থাকছে প্লেটলেটের সংখ্যা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একাধিক ডেঙ্গি রোগীর মধ্যে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে আপাতত ডি-২ বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থবোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, অনেকে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যাচ্ছেন। একাধিক রোগীর খিঁচুনিও হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সদ্য করোনামুক্তদের ডেঙ্গি হলে, তার প্রভাব পড়ছে লিভারে। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তিনদিন দফায় দফায় দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (Enforcement Directorate)। ইডির তলবেই বুধবার দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন সুকন্যা। শুক্রবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। সেখানে দীর্ঘ জেরার পর বেরিয়ে সুকন্যা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও ঠিক কী বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    দিল্লিতে ইডির হেড কোয়ার্টারে বুধবার প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ইডির দফতরে ঢুকে সন্ধ্যেয় বের হন তিনি। বৃহস্পতিবার বেরোনোর সময় সুকন্যাকে জানানো হয়, শুক্রবার আবার আসতে হবে। সেই মতো শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ঢোকেন ইডির দফতরে। সূত্রমতে, পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কী ভাবে এল, সেই প্রশ্নই সুকন্যাকে করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব বার বারই এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। সুকন্যার জবাবে এখনও সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সুকন্যার পাশাপাশি বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল  অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। শুক্রবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    এদিকে মেয়ের চিন্তায় টিভির পর্দা থেকে চোখই সরছে না বাবা অনুব্রতর। টানা তিন দিন একটানা টিভির পর্দায় নজর রাখলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এমনিই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন অনুব্রত। মেয়েকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে, কার্যত দু’চোখের পাতা এক করেননি তিনি। রাতেও সেলের আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, পাহারা দেওয়ার সময়ে উঁকি দিয়ে তাঁরা দেখেছেন অনুব্রত জেগেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিনভর কারও সঙ্গে কথা বলেননি এই তিন দিন। শুধু খাবার খাওয়ার সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলেন অনুব্রত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

     

  • DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা প্রকট,আদালতে তা স্বীকার করে নিল রাজ্য। ডিএ মামলা (DA Case) গড়াল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। শীর্ষ আদালতে দেওয়া হলফনামায় নিজেদের দাবি রাখতে গিয়ে রাজ্যের আর্থিক হাল যে কার্যত বেহাল,তা একপ্রকার মেনেই নিল রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দেওয়ার ব্যাপারে গত ২০ মে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়কে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করল রাজ্য।  পিটিশনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তারা যে হারে ডিএ দেয় তার থেকে বেশি ডিএ দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত সমস্যা তৈরি হবে। আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়।  

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    প্রসঙ্গত, ২০ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় রাজ্য না মানায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এ ব্যাপারে আদালত অবমাননা করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে ৪ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামার মাধ্যমে মুখ্যসচিব ও রাজ্যের অর্থসচিবের থেকে জবাব চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয় কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের ২০ মে-র রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট আদর্শগত অবস্থানের কথা বললেও তা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে। ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন আগেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এসেছিল। অন্তত লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে লটারি বিক্রেতার (Lottery Seller) সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরে সিবিআই- এর অস্থায়ী ক্যাম্পে (CBI Camp) তলব করা হয় লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে। সেখানে এক ঘণ্টা কাটিয়ে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মুন্না। মুন্না সাংবাদিকদের জানান, কেষ্ট মণ্ডলকে টিকিটই বিক্রি করেননি তিনি।

    ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ছিল অনুব্রতর। বিক্রেতার এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করার কারাবার চলত সেখানে?

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার 

    অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলে জানান। 

    লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সাম্প্রতিক কালে লটারি বিজয়ীদের তালিকায় নাম উঠে আসছে অনেক হেভি ওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয় ঘটনা? নাকি কালো টাকা সাদা করতে এই পন্থা অবলম্বন? টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে! সেটাই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

LinkedIn
Share