Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চলছে দফায় দফায় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। একদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চরম টানাপোড়েন চলছে ঠিক তখনই ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রায় কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিতর্কের মাঝে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়াটাই একটা চ্যালেঞ্জ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। টান টান করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিডিওগ্রাফি, ফেস রেকগনিশন থেকে শুরু করে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, একাধিক নিরাপত্তা বলয় থাকছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে।    

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বিষয় নিয়ে বৈঠকও করে ফেলেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। কিছুদিন আগেই নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। ধর্মতলা চত্ত্বরে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ৬০০ দিন পার করেছে। তাঁরা তাঁদের নিয়োগ পত্রের দাবিতে অনড়। কিন্তু পর্ষদ সেই দাবি অগ্রাহ্য করেই ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স-এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ফেস এবং সই স্ক্যান করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে কোনও ভাবেই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ঢুকতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই থাকবে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরেও থাকবে ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা।    

    পরীক্ষার সময় কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। এইসব বিশেষ ব্যবস্থার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও কার্পণ্য করতে রাজি নয় পর্ষদ। পাশাপাশি সিলেবাসের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে একাধিক বদল। মোট ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।   

    সময় থাকবে ১৫০ মিনিট। থাকবে না কোন নেগেটিভ মার্কিং। ১৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। সাম্প্রতিক সময়-এর নিরিখে এ বছর প্রাথমিকের টেটকে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে সতর্ক হতে চাইছে পর্ষদ। তার জন্যই নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

          

     

     
     
     
  • SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি ইডি দফতরের বাইরে বেরলে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তখন তিনি জানান, কিছু নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেছিল ইডি। তবে সেগুলি কী ধরনের নথি, তা জানাননি তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    গতকাল তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বেরিয়ে আসেন। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে পরেশ বলেন, ‘‘কিছু নথি নিতে আজ এসেছিলাম। যে নথিপত্র আমার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেওয়া হয়। তাই এসেছি।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের চিঠি দিয়ে পরেশ অধিকারীকে তলব করা হতে পারে ইডির অফিসে। কিন্তু তাঁকে ফের কবে আসতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তী হাজিরার তারিখ চিঠি দিয়েই জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    প্রসঙ্গত, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা করার পরই এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

    এরপর অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় ও যতদিন অঙ্কিতা শিক্ষিকা ছিলেন, ততদিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি-কা‌ণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে এর আগে পরেশকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই প্রথম আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হল পরেশকে। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, ও কীভাবে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই পরবর্তীতে ফের তলব করা হবে পরেশ অধিকারীকে।

  • Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

    যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

    আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

  • TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

    কী অভিযোগ?

    এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।” 

    এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, “আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷”  

    অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেনের নতুন ঠিকানা হয়েছে তিহার জেল। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবারই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর তারপরই ফের প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সায়গল জানিয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডে বখরা দেওয়া হত ২ বিধায়ককে। এই ২ বিধায়কের মধ্যে একজন আবার মন্ত্রীও ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী।

    সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের টাকার বখরা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। কিন্তু কারা এই বিধায়ক তা এখনও জানা যায়নি। সায়গল দাবি করেছেন, সীমান্তে পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিনিময়ে এই টাকা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। আর সায়গলের থেকে এমন বক্তব্য শোনার পর ইডি ওই ২ বিধায়ককে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে গরু পাচার কাণ্ডে এবারে ২ বিধায়কের নাম উঠে আসায়, মনে করা হচ্ছে এই মামলার নতুন মোড় আসতে চলেছে। তবে বিধায়কদের দিল্লি না কলকাতায় তলব করা হবে সে নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    আবার অন্যদিকে সায়গলকে বর্তমানে তিহার জেলে রাখার ফলে সায়গলের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁকে ইডি আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। তাই পরবর্তী শুনানিতে জামিনের আবেদনের সময় সায়গল হোসেনকে সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরার কথা বলেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী এর বিরোধীতা করে জানান, কারোর জামিনের আবেদনের জন্য তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরেই সশরীরে আদালতে পেশ করার আবেদন খারিজ করলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সায়গলকে জেরা করার জন্য ইডি আগেই দিল্লি নিয়ে যায় ও পরে তিহার জেলে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আবার শনিবারেই সিবিআই কোর্টে তাঁর এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবীও দিল্লিতেই। ফলে শনিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানি হয় তাঁর। সে সময় আইনজীবী অনির্বাণ পরবর্তী শুনানির জন্য সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করলে বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ও আগামী ১১ নভেম্বর গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান। এদিন অনুব্রত মণ্ডলেরও শুনানি রয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য কেষ্ট ও সায়গলের শুনানি একদিনে হবে।

  • Depression Cloud: শীত দোরগোড়ায়, নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে

    Depression Cloud: শীত দোরগোড়ায়, নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত এসে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। আর তার আগেই নিম্নচাপের (Depression) ভ্রুকুটি। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরে তা নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলে প্রবেশ করতে পারে।

    আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পরিবেশও তৈরি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ফের নিম্নচাপ ঘনিয়ে উঠতে পারে। তেমন হলে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।                                                                      

    তবে এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের ভয় কম বলে আশ্বস্থ করেছেন আবহাওয়াবিদরা (Weather Department)। সরাসরি প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।  

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরও কমবে তাপমাত্রার পারদ। এদিকে, অক্টোবরে শীতলতম দিনের রেকর্ড গড়ার পর, আজও কুড়ির ঘরে কলকাতার তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। জেলায় জেলায় শীতের আমেজ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের প্রভাবে, আগামী কয়েকদিন কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমের উঁচু জায়গায়।

    আরও পড়ুন: আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ এম এস ধোনি

    পরের সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে জেলায় জেলায় আরও কমবে তাপমাত্রা। সকালের দিকে থাকতে পারে হালকা কুয়াশা। বাতাসের আদ্রতার পরিমাণও কমবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। সব মিলিয়ে থাকবে মনোরম পরিবেশ। 

    অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শুক্রবার, সিকিম, দার্জিলিং এবং কালিম্পং, তিন পাহাড়ি শহরে, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দশবছরে শহরের তাপমাত্রায় রেকর্ড পতন। অক্টোবরের শেষে কলকাতায় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামল। একদিনে ৪ ডিগ্রি কমল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলে যেতেই বাংলায় উত্তরের হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। তার প্রভাবেই তাপমাত্রার পতন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামলা করে টাকা ও সময় দুই নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দিতে গেলেই যত সমস্যা। ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার শুধু সময় নষ্ট করছে, বকেয়া ডিএ দিতে পারবে না। এই সরকার দেউলিয়া সরকারে পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ হচ্ছে তাদের অধিকার, হকের টাকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সঠিক  রায় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস”।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে যাবে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তাঁরা। আগে থেকেই তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার পাওয়ার খাতিরে লড়াইয়ের জন্য তৈরি আছেন, বলে জানান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে  নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভিখারির সরকার, স্যাটে হেরেছে, সিঙ্গল বেঞ্চে হেরেছে, ডিভিশন বেঞ্চে হেরেছে, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। যাওয়ার কথাই ছিল। এর পিছনে কয়েক কোটি টাকা ধ্বংস হবে। তাতে রাজ্যের লক্ষ্য নেই। সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে গেলেই সমস্যা।”

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে সরকার। উন্নয়নমূলক কাজে নজর না দিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে  ব্যবহার করছে। বিজেপি সরকারে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-সহ সমস্ত বকেয়া একসঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া হবে”। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। একবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিপক্ষে রায় গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা সময় বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন ডিউটির শেষে আগ্নেয়াস্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে নিকটবর্তী কোনও থানায়। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। ইন্টেলিজেন্স বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এই নির্দেশ দিয়ে বলেন, “অস্ত্র নেওয়া এবং জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ম মাফিক করা হচ্ছে না। বার বার নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।” সূত্রমতে, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চেই সম্প্রতি প্রায় ২০টি আইন ভাঙার খবর সামনে এসেছে। 

    এক পুলিশ কর্তা বলেন, “যেসব পুলিশকর্মীদের ডিউটির জন্যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তাদের ডিউটি শেষে দৈনিক সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক পুলিশ কর্তাই সেই নিয়ম পালন করেন না।”

    একাধিক পুলিশ কনস্টেবল, অপহরণ, ডাকাতি, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই বিষয়ে কড়াকড়ি শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে?

    গত পাঁচ মাসে কলকাতায় (Kolkata) অন্তত ১১ জন পুলিশ (Kolkata Police) কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে। ধৃত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর সব অভিযোগ। এই সব সমস্যায় পড়লে বিপদগ্রস্ত মানুষ যেখানে পুলিশের ভরসায় থাকেন, সেখানে পুলিশই অভিযুক্ত হওয়ায় রাজ্যজুড়ে হাসির ছররা!

    অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগে যেসব পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই যে সাধারণ পুলিশ কর্মী, তা নন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যেমন ন জন কনস্টেবল রয়েছেন, রয়েছেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, তেমনি রয়েছেন একজন অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইনসপেক্টরও।

    আরও পড়ুন: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?  

    ধৃত পুলিশ কর্মীদের অপরাধের ধরনও আলাদা। জনবহুল বাজার থেকে কাউকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে কোনও এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অপহৃত ব্যক্তিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার আগে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। যাঁরা সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দিতে চাননি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে কারও কারও বিরুদ্ধে।

    জানা গিয়েছে, সাদা পোশাক পরে অপরাধ (Crime by Police) করেননি গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীরা। অপরাধ করার সময় তাঁরা পরেছিলেন পুলিশের উর্দিই। যার অর্থ, পুলিশের পরিচয়েই অপরাধ করেছেন তাঁরা। পুলিশের পরিচয়ে তাঁরা প্রথমে শিকারের বিশ্বাস অর্জন করেছেন, পরে সব কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়েছেন।

    আর এই  ঘটনাগুলি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বিভাগ। ডিউটিতে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপরাধের সংখ্যা কমাতেই এই সক্রিয়তা। 

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অনেক সময়ই দেখা যায় অনেক কর্মী ডিউটি ছাড়াও নিজের কাছে অস্ত্র রাখেন। এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যেকোনও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে সেই অস্ত্র।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
LinkedIn
Share