Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rajpur-Sonarpur Municipality: তৃণমূলের দুর্নীতির সেই ট্র্যাডিশন, অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান

    Rajpur-Sonarpur Municipality: তৃণমূলের দুর্নীতির সেই ট্র্যাডিশন, অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার (Rajpur- Sonarpur Municipality) উপ প্রধান মোফারজাল হোসেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেল বেলা রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার চেয়্যারম্যান পল্লব কুমার দাস এই অপসারণের নোটিস জারি করেছেন। অপসারণের নোটিস প্রত্যেক কাউন্সিলরকে দিয়েও দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ৩,০০০ টাকা মাস মাইনের স্কুলের চাকরিও করেছেন, জানালেন অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা

    মোফারজাল হোসেন ওরফে ভুলুর বিরুদ্ধে মিউটেশনের ফাইল বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহুবার। মনে করা হচ্ছে ফাইল বাড়ি নিয়ে গিয়ে, কাজ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতেই টাকার অনৈতিক লেনদেন সারতেন তিনি। যদিও সেই কারণেই এই অপসারণ কি না সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। পল্লব কুমার দাসকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ওপর তলা থেকে আদেশ এসেছিল। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।

    এর আগেও এই পুরসভার  ভাইস চেয়্যারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দুর্নীতিই তৃণমূল শাসিত এই পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলির প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এ তো তৃণমূল জমানায় নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু হঠাৎ দুর্নীতি দমনে তৃণমূলের শীর্ষ মহলে এত সক্রিয়তা কেন? পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের আস্থা ফিরে পেতে চাইছে মমতা সরকার? নাকি পুরোটাই ‘গিমিক’! এ নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। 

    মোফারজাল হোসেন সোনারপুর কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। তাঁর প্রতি আস্থা দেখিয়েছে মমতা প্রশাসনও। প্রথমবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরই তাঁকে উপ প্রধানের পদ দেওয়া হয়। কিন্তু অল্প সময়েই ভেঙে গেল বিশ্বাস। কী এমন হল? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। 

    কিন্তু এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান শান্তা সরকারকেও সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১২ ঘণ্টা ইডির (ED) দফতরে ছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, যা বলার সব ইডিকে বলেছি। সব হিসেব মিলিয়ে দিয়েছি।

    ডিএলএড (DLED) কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস (Tapas Mondal)। তাঁর আরও অভিযোগ, টাকা সংগ্রহ করতেন মানিকের লোক। এই মামলায় তাপসকে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, টানা জেরায় সব বলে দেন তাপস। জানিয়ে দেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। পুরো টাকাটাই গিয়েছে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার পর তিনি দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে হিসেব দেবেন ওই ২১ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    এদিন তাপস (Tapas Mondal) বলেন, পর্ষদের সভাপতি ছিলেন উনি। স্বাভাবিকভাবেই উনি সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা বলতে পারবে বোর্ড। তাপসের দাবি, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে টাকার লেনদেন হয়েছে। তাপসের (Tapas Mondal) দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ডিএলএড কলেজে অনলাইন ভর্তি শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেক আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এনিয়ে মানিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে লেট ফি বাবদ নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়ে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে।

    এদিকে, মানিককে আরও একটা সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হলফনামা জমা দিতে পারবেন মানিক। ১৮ নভেম্বর আদালতে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক দূরত্ব তৈরির ‘নাটকে’ আপাতত ইতি। ‘পুরস্কার’ পেয়ে গেলেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। নির্মল মাজিকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত সদস্য করার সিদ্ধান্তকে এমনি ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠনে (WB Medical Council) বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। কাউন্সিলের নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট, ব্যালট চুরি, এমনকি বিরোধী প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের নাম ব্যালট থেকে কারচুপি করে বাদ দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ উঠে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভোট গণনার দিন, একটানা গণনা না করে, সাত ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিতর্ক আরও দানা বাঁধে। 

    রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, নতুন কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও সরকার মনোনীত প্রতিনিধি থাকছেন। আর সেই মনোনীত প্রতিনিধি তালিকায় রয়েছেন নির্মল মাজি।তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছিল কয়েক মাস আগে। তারপরেই নির্মল বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা সারদা-র সঙ্গে তুলনা করেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের এক সভায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক অন্য মাত্রা নেয়। সাময়িকভাবে নির্মল বাবুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করে তৃণমূল। তাকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রার্থী হতেও নিষেধ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: নিপীড়িতদের স্বাগত জানায় ভারত, ধর্মীয় সম্মেলনে বললেন আরএসএস নেতা

    যদিও এই সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কালীপুজোর রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নির্মল মাজি উপস্থিত ছিলেন। আর তারপরেই রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে জায়গা করে নেন নির্মল মাজি। অস্বচ্ছ নির্বাচনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের বিরোধী শিবির জয়েন্ট ডক্টর্স প্ল্যাটফর্ম। রাজ্যের শাসক দলের মদতে পেশি শক্তির জোরে মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে ব্যালট পৌঁছায়নি। চিকিৎসকেরা নিজেদের ভোট, নিজেরা দিতে পারেননি। এমনকি জাল ব্যালটের অভিযোগ করেছেন বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা। 

    ভোট গণনার দিন জাল ব্যালটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারকে নিয়ে শাসক দলের প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে মিটিং করেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও একটানা গণনা প্রক্রিয়া চলে না। গণনায় বিরোধী শিবির এগিয়ে যেতেই সাত ঘণ্টা গণনায় বিরতি নেওয়া হয়। শাসক দলের প্রতিনিধিদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সব অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই অভিযোগগুলো যথাযথ ভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর বিষয়টির ফের শুনানি হবে। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা নজরদারির দায়িত্ব মেডিক্যাল কাউন্সিলের। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক মজবুত করতেও কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রোগীর চিকিৎসা ও চিকিৎসক সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে, সে কাউন্সিলের দ্বারস্থ হবেন। কিন্তু কাউন্সিল যদি অস্বচ্ছ ভাবে তৈরি হয়, তাহলে সেই কাজ কি কাউন্সিল ঠিকমতো করতে পারবে? আর দায়িত্ব পালন না হলে তার প্রভাব রোগী পরিষেবাতেও পরবে।

  • CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিনই ধৃতদের তোলা হয় সিউড়ি জেলা আদালতে। বিচারক তাঁদের দু’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সদাইপুরের সাহাপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এদিন সেই সাহাপুর গ্রাম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে। ধৃতরা হলো শেখ জামির হোসেন, শেখ কারিবুল ওরফে কারু, শেখ আসরফ ওরফে রাহুল, শেখ নুড়াই ও জয়ন্ত ডোম। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারকে ঘিরে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, সনাতনীদের উপর অত্যাচার করে তৃণমূল কর্মীরা ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে। সঠিক বিচার পাবেন অত্যাচারে ভেঙে পরা বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে এজেন্সি দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষ সব জানেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    বিধানসভা ভোটে ফলাফল বেরনোর পরেই সদাইপুর এলাকায় একটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাড়ির গরু, ছাগল থেকে সব লুঠপাট এমনকী মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে। এলাকার এক বিজেপি বুথ কর্মী জানান, তিনি বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ করে তৃণমূলের কর্মীরা। তিনি সদাইপুর থানায় ধর্ষণের ও লুঠপাটের অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সদাইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আইনের কোনও বিচার হবে না বলে জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়।

    অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে অভিযুক্তদের দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের শিবিরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাহাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ি আদালতের বিচারক ধৃতদের আগামী দু’দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬৬৬। ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭০ পেরিয়েছে। প্রতিদিন তরতরিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। আজই ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে বেলেঘাটা আইডি-র প্রশাসনিক কর্তার মৃত্যু হল। অনির্বাণ হাজরা,নামে ওই প্রশাসনিক কর্তা  ১ নভেম্বর ভর্তি হয়েছিলেন বেলেঘাটা আইডি-তে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। গতকাল অনির্বাণের প্লেটলেট নেমে আসে ১৬ হাজারে। পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও, শুক্রবার সকালে ফের অবস্থার অবনতি হয়। অনির্বাণকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতা সহ তিন জেলায়। সব থেকে ভয়ানক পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায়। এক সপ্তাহে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, ১ হাজার ১৬৬ জন।এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে শেষ এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮১ জন। পার্বত্য শহর কালিম্পংয়েও ভয়ঙ্কর ডেঙ্গির প্রকোপ। সেখানে পজিটিভিটি রেট ১৯.০৫%। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, আলিপুরদুয়ার এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্যারাকপুর ও হাওড়া পুরসভার পরিসংখ্যানও। ব্যারাকপুরে এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৪০৮ জন। হাওড়ায় ২৩১ জন। পুরসভার ১, ৮, ৯, ১০, ১১ , ১২, ১৩ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি সংক্রমণের বৃদ্ধির হার বেশি। তাই ওই বরোগুলির দিকে বাড়তি নজর রাখছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। সরকারি ভাবে না মানলেও, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা আড়ালে স্বীকার করছেন, এ বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে মশাবাহিত আরেক রোগ। ডেঙ্গির পরে এবার ম্যালেরিয়া (Malaria In West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো তথ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এপ্রিল মাসে দেড় হাজারের উপরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। জুন মাসে সেই আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজার। অগাস্ট মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৮১২ জন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর ব্যোন ডিজিজ কন্ট্রোল-কে দেওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে রাজ্যের ১৯ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে। তবে, ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানালেও, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রমণ হাজার পেরিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে, তাদের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। বিপদ আরও বাড়ছে। ফলে, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ সাহা জানান, ২০২০ সালেই মৌসম ভবন থেকে জানিয়েছিল, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে, আগামী কয়েক বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়বে। প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। মশাবাহিত রোগ কমাতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে বিশেষ কোনও কাজ চোখে পড়েনি। যদিও ম্যালেরিয়া মানচিত্রে বরাবর গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা সবসময় উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত থাকে। তারপরেও মশাবাহিত এই রোগকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ম্যালেরিয়ার উপসর্গ হল, জ্বর, সর্দি, বমি, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে টান লাগা, গলা ব্যথা। তাই এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েও অনেকে প্রথমে টের পাচ্ছেন না। অবহেলার জেরে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। যখন হাসপাতালে রোগী পৌঁছোচ্ছেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বরকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    তবে, মশাবাহিত এই রোগের দাপট কমাতে যেমন সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি, তেমনি প্রশাসনের সক্রিয়তাও প্রয়োজন, বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কারণ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে এই ধরণের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা মুশকিল বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু অধিকাংশ পুরসভা ও পঞ্চায়েতের এই সব কাজে নিয়ম মাফিক সক্রিয়তার অভাব রয়েছে।

  • TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি কেন? পর্ষদকে প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি কেন? পর্ষদকে প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুবারের টেট পাশদের শংসাপত্র দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) মঙ্গলবার মামলকারীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরাসরি পর্ষদ সভাপতির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন কী কারণে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। তার পরই এই মামলার শুনানি হবে।

    চাকরিপ্রার্থীদের এই বিষয়ে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেব বিচারপতি। তিনি বলেন, “প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কীভাবে প্রকাশ করা যায় তা দেখুক পর্ষদ (Primary Education Board)।” চাকরিপ্রার্থীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন পর্ষদের আইনজীবীও। এই বিষয়ে পর্ষদের পক্ষ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে আজই বিকেলের মধ্যে পর্ষদের চেয়ারম্যানকে নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন।

    আরও পড়ুন: কিং খানের জন্মদিনে ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের দুই টেট পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরকে এবার আর টেট পরীক্ষায় বসতে হবে না। কিন্তু তাঁদের কাছে আগে টেট পাশ করার শংসাপত্র না থাকার কারণে নতুন করে তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না। কারণ, তাঁরা আগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর জানেন না। ফলে নতুন করে আবেদন করার সময় বুঝতে পারছেন না কোন পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছিলেন, কোন পরীক্ষার কথা আবেদনপত্রে উল্লেখ করবেন। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য পরীক্ষার্থীরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় মামলাটির শুনানি হবে। 

    পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, শংসাপত্র পাননি প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থী। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি টেটের নম্বর বিভাজন-সহ শংসাপত্র দেওয়া উচিৎ পর্ষদের। তাতে সবাই নিজের নিজের নম্বর জানতে পারবেন। দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। এই বিষয়টি অবিলম্বে বিবেচনা করা দরকার বলে আদালতকে জানিয়েছেন আইনজীবী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

          

     

        

      

  • Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু এবং কয়লাকাণ্ডের পর এবার লটারিকাণ্ডেও জড়াতে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই লটারি টিকিট বিক্রেতাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করা হয়।

    বোলপুরে রয়েছে বাপির লটারি টিকিট বিক্রির দোকান। নাম গাঙ্গুলি লটারি। জানা গিয়েছে, ওই দোকান থেকে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল। প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এদিন বাপিকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। অনুব্রত স্বয়ং গিয়ে টিকিট কিনেছিলেন, নাকি কারও মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছিল, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। কীভাবে তিনি ওই পুরস্কার জিতলেন, এদিন তাও জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) একা নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল। এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার।

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বউও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা জানতেই বাপিকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল ইডির জেরা শেষে ফের আজ তাপস মণ্ডল পৌঁছে গিয়েছেন ইডির দফতরে। মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। আর এরপরেই বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছিল তাঁর দেওয়া কিছু তথ্যে টাকার অমিল ছিল। ফলে তারই হিসেব দিতে তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখানে গিয়েই দাবি করলেন, মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে। ফলে এবারে মানিককে ফাঁসিয়ে দোষ চাপাল প্রাথমিক বোর্ডের উপর।

    এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাপস মণ্ডলকে তিন বার জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গতকাল দুপুর প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসে হাজিরা দেন তাপস। এরপর চলে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বের হন তিনি। গতকাল ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে ৫,০০০ টাকা করে আদায় করেন মানিক। এভাবে ৫ হাজার ছাত্রের থেকে মোট ২১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছিলেন তার হিসাব পেতেই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    তিনি আরও জানান, টাকা নেওয়ার সেই লেনদেন হত মহিষবাথানে তাপসেরই একটি অফিসে। তবে ওই টাকা মানিকের কাছ থেকে কোথায় যেত, এই প্রশ্ন করতেই  তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।’ কার কাছে যেত সেই টাকা? প্রশ্ন করতেই তাপস জানান, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ ফলে গতকালই ইডির দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আর, বৃহস্পতিবার ফের হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে।

    উল্লেখ্য, তাপস গতকাল আরও বলেছিলেন, ‘‘ছাত্রের সঙ্গে ‘কালেকশনের’ ২১ কোটি টাকার অঙ্কটা মিলছে না। হিসাবের একটা গন্ডগোল আছে। আমি বলেছি, শরীরটা খারাপ আছে, আজ ছেড়ে দিন, কালকে এসে হিসাবটা দিয়ে দেব।’’ আর এরপরেই তিনি হাজির হয়েছেন ইডির দফতরে। চলছে জেরা। আর এরপরেই এমন দাবি করে বসলেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস।

  • West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুয়েক আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে রাজ্যের প্রসব পরবর্তী চিকিৎসাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৯০ শতাংশ মায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রসব হলেও প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা ১০ শতাংশ মায়েরাও পান না। যার জেরে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে মায়েদের স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রসব পরবর্তীকালে মায়েদের শারীরিক খেয়াল রাখা বিশেষভাবে জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়েদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়। শরীর দুর্বল থাকে। তার সঙ্গে থাকে মানসিক অবসাদ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী কালে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয় না। 

    পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression) কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের পরে নতুন মায়েদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ কাজ করে। তারা অনেক সময়েই নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই থেকেই তৈরি হয় অবসাদ। 
    কী কী উপসর্গ রয়েছে?

    সন্তান জন্মের পরে মায়ের যদি অকারণে রাগ হয়, বিরক্তি তৈরি হয়, পেশির যন্ত্রণা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে এগুলো পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশনের উপসর্গ। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,  রাজ্যের অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের পরে কোনও রকম যত্ন মায়েরা পান না। অকারণে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত কেন্দ্রের সিজার অডিটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময় বাঁচাতেই দেদার সিজার হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে। কোনও রকম নজরদারিও করা হচ্ছে না। যার ফলে, প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আর অস্ত্রোপচারের জেরে যে বাড়তি শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে, তার জন্য কোনও রকম বাড়তি যত্ন সরকারি হাসপাতালে নেই। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী মৃত্যুর ঘটনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই প্রসূতি আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়েই তার মৃত্যু বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। আর এখানেই সরকারি হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    একজন প্রসূতির পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন হয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে হাসপাতাল একেবারেই অন্ধকারে ছিল? অর্থাৎ, কোনও রকম যত্ন নেওয়া হয়নি। তাছাড়া, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম হয়েছিল। সিজারের পরে একজন রোগী কীভাবে একা একা শৌচাগার গিয়েছিলেন? কেন তার সঙ্গে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন না? শৌচাগার থেকে তিনি কীভাবে ছাদে উঠলেন? কোনও নিরাপত্তা রক্ষীর কেন চোখে পড়ল না? তাহলে হাসপাতালের নিরাপত্তাও কি নেই? 

    যদিও এর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই প্রশ্ন করলে তাদের উত্তর, “প্রত্যেক প্রসূতির খুঁটিনাটি দেখা সম্ভব নয়। এত রোগীর চাপে সেটা অসম্ভব। তবে, হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি প্রমাণ হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রসব পরবর্তী অবসাদ থেকে এর আগেও আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও হুশ ফেরেনি সরকারের। প্রসবের পরে মায়েদের যে যত্নের দরকার, এ যেন চোখ এড়িয়ে যায় সরকারের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রচার সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। সস্তার বিজ্ঞাপন ছাড়া, রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশাসন ভাবতে আগ্রহী নয়। আর তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব যথেষ্ট নয়। সর্বাঙ্গীন পরিষেবার দিকে নজরদারি প্রয়োজন, যা এই রাজ্যে অনুপস্থিত।

LinkedIn
Share