Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি। সেই সঙ্গে ফের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নেতারা। বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB Terror Module) পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় সন্ত্রাসী মডিউল গঠনের পরিকল্পনা করছে। প্রথমে তিনটি জেলায় নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসআই ও জেএমবি। এর পর আরও অন্তত চারটি জেলায় তারা মডিউল তৈরির ব‌্যাপারে আলোচনা করেছে ও প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে।

    পরিকল্পনার বিস্তার

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি’র মডিউল (JMB Terror Module) গঠনের পরিকল্পনা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এখনও এই জেলাগুলিতে জেএমবির পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যরা রয়েছে, যারা এখন সক্রিয় নয়। জেএমবি নেতাদের আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই তিনটি জেলায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বীরভূম জেলা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক। বীরভূম, যদিও সীমান্তবর্তী নয়, তবে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লাল মাটির এই জেলা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই ব‌্যাপারে রাজ‌্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কলকাতা ও সারা রাজ‌্যজুড়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও রাজ‌্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও শুরু করেছে নজরদারি।

    মডিউল গঠনের পদ্ধতি

    এবারও জেএমবি (JMB Terror Module) জঙ্গি সংগঠনের মূল টার্গেট এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলির কোনওটাই সরকারের অনুমোদিত নয়। জেএমবি’র সদস্যরা প্রথমে অস্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে, যুবক ও কিশোরদের মগজধোলাই করে তাদেরকে স্লিপার সেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগেও নিজেদের মতো করে বেআইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল জেএমবি। ক্রমাগত মগজধোলাইয়ের পর শুরু করতে হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে স্লিপার সেলের ‘ঘুমন্ত’ সদস‌্যদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে টাকাও দিতে হবে তাদের। এভাবে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করতে হবে নতুন জঙ্গি মডিউল। বৃদ্ধি করতে হবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।

    জঙ্গি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

    এর পর নিয়োগ করা সদস‌্যদের প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আগের পদ্ধতিতে সদস‌্যদের পাকিস্তান অথবা পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও তৈরি করা হতে পারে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে ওই নিয়োগ হওয়া সদস‌্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। তাদের শেখানো হবে বিস্ফোরক তৈরি ও প্রয়োগের উপায়। এর পর শুরু হবে নাশকতা। কারণ, জেএমবি নেতাদের ইতিমধ্যেই ফের বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির ‘স্বপ্ন’ দেখাতে শুরু করেছে আইএসআই। জেএমবি জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যদের উপর নজরদারি করতে শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    বীরভূমের ভূমিকা

    এই জঙ্গি মডিউল (JMB Terror Module) তৈরিতে বীরভূম জেলার ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বীরভূম একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত। এছাড়া, বীরভূমের শান্তিপল্লী এলাকায় একটি সম্ভাব্য জেএমবি কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা স্লিপার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত। এখন আইএসআইয়ের নির্দেশে জেএমবি টার্গেট করেছে অসম ও এই রাজ্যের কয়েকটি জায়গা। অসমের বরপেটা, নলবাড়ি, ধুবড়িকে জেএমবি টার্গেট করেছে। আর এই রাজ্যের সাত জেলায় গোপনে চলছে জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা।

    আন্তর্জাতিক যোগসূত্র

    এই বিস্তারিত জঙ্গি মডিউলের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জেরা করে। ধৃত আবাসুদ্দিন মোল্লার মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড ও এনক্রিপ্টেড বার্তা থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার ঘাজওয়াতুল-হিন্দের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন ও সাহেব আলী খানের ফোনে বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও হিজবুত তাহরির (এইচইউটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    সংগঠন (JMB Terror Module) বিস্তারের পরই অস্ত্র কিনে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা শাখা! জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনই পুলিশ আগেই এই তথ্য পেয়েছিল। অসম পুলিশ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন জেএমবি মডিউল গঠনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যেখানে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ভারতেও জেএমবি’র সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে।

    আইএসআই-এর সাহায্য

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাক চর সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ যোগাযোগ করে চলেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর নজর পড়ে গোয়েন্দাদের। ক্রমে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হতে শুরু করে জেএমবি নেতা ও লিঙ্কম‌্যানরা। কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয় অনেকে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ‌্য পুলিশের সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ওই দেশ থেকেও গ্রেফতার হয় বহু জঙ্গি। এক কথায়, দু’দেশেই জেএমবি ও নব‌্য জেএমবির শিরদাঁড়া ভেঙে দেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পলাতক জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাক চর সংস্থা ইতিমধ্যেই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে জেএমবির সঙ্গে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহি-সহ কয়েকটি জেলার ডেরায় বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, আইএসআই আর্থিকভাবেও মদত জোগাতে শুরু করেছে ওই জঙ্গি নেতাদের।

    রাজ্যে জারি সতর্কতা

    পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জেএমবি’র (JMB Terror Module) সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে জেএমবি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করাই এখন আশু লক্ষ্য।

  • Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্বেষ ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানকে (Wazahat Khan) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওয়াজাহাত খান নামক ব্যক্তিই পুণের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গল্ফ গ্রিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন, ২০২৫) আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। তাকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    পুলিশের জালে ওয়াজাহাত

    কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বিএনএসের ১৯৬(১)(এ)/২৯৯/৩৫২/৩৫৩(১)(সি) ধারায় ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুণেতে আইন পাঠরত ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmistha Panoli) ওয়াজাহাতের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনেছিলেন ওয়াজাহাত। এবার সেই একই অভিযোগে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হল। ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতায়। মামলাকারীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবী, ঐতিহ্য এবং সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অবমাননাকর, উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন ওয়াজাহাত।

    অমিত মালব্যর টুইট

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) গ্রেফতারি নিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই নিশানা করেছেন। সোমবার, তিনি এক্স- হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাতকে তার অপরাধের জন্য গ্রেফতার করেনি… তাকে নীরবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কারণ অসম ও হরিয়ানা পুলিশ, হিন্দুদের নিশানা করে ওয়াজাহাতের আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর করেছে।’’ মালব্য আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে পারেননি, তেমনি তিনি ওয়াজাহাত খানকেও বাঁচাতে পারবেন না। ন্যায়বিচার হবে এবং আইনের জয় হবে। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের কোনও রাজনৈতিক সুরক্ষা রক্ষা করতে পারবে না।’’

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী গর্ভ থেকে বালি তুলতে গিয়ে মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বেলে পাথরের এই মূর্তিটি একাদশ শতকে তৈরি। বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি। মূর্তিটির মাথার ওপর রয়েছে কিরীট, কানে কর্ণকুন্তল, গলায় বরমালা। প্রত্ন গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূর্তিটি সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়েছে। আর অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে শিল্পনৈপুণ্যের দিক থেকে এটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক প্রত্নসামগ্রী হিসেবেও অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি জানান, মূর্তিটিতে প্রাচীন জৈন সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে।

    লোকেশ্বর বিষ্ণুর মূর্তি (Lord Vishnu Idol)

    গবেষকদের মতে, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। মোট চারটি দেবদেবী রয়েছেন। বিষ্ণুমূর্তির ১২টি হাত। এর মধ্যে ৮টি হাতে বিভিন্ন আয়ুধ এবং সামগ্রী থাকলেও, দু’পাশের চারটি হাত রয়েছে চার মূর্তির মাথায়। এর মধ্যে দু’টি হাত রয়েছে আয়ুধ পুরুষের মাথায়, বাকি হাত দু’টি রয়েছে দুই দেবীর মাথায়। এই দুই দেবী হলেন ভূদেবী এবং শ্রীদেবী। প্রত্ন গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ওলা দুবরাজপুরের মন্দিরতলা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয় মূর্তিটি। বাদামী বেলেপাথর খোদাই করা মূর্তিটির উচ্চতা ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ প্রায় ২ ফুট। মূর্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা সেটি নিয়ে যান গ্রামের একটি কালী মন্দিরে।

    স্থানীয়দের দাবি

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দ্বারকেশ্বরের যে এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, এক সময় তারই অদূরে ছিল বিষ্ণুমন্দির। সেই মন্দিরের নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মন্দিরতলা। ওই মন্দিরেই পূজিত হত ভগবান বিষ্ণুর এই মূর্তি। দ্বারকেশ্বরের ভাঙনে মন্দিরটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে মূ্র্তিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন আর্থ মুভার দিয়ে বালি তুলতে যাওয়ার সময়ই মেলে সেই বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর ও কংসাবতী নদী উপত্যকার সভ্যতা বহু প্রাচীন। এক সময় এই দুই নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছিল উন্নত জৈন সভ্যতা। সেই সভ্যতারই প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে কংসাবতী ও দ্বারকেশ্বরের (Bankura) গর্ভে মিলেছে জৈন তীর্থঙ্করদের দিগম্বর মূর্তি। এবার তীর্থঙ্কর নয়, মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫৬ দিন পরে জমা পড়া এই চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ধৃতদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে (Jafrabad Double Murder) অভিযুক্তরা কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, কোথায় এবং কতদিন ধরে তারা আত্মগোপন করেছিল। এসব কিছু তথ্যই বিস্তারিতভাবে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১২ এপ্রিল খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস (Jafrabad Double Murder)

    প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায় মৌলবাদীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদ। সেই অশান্তির মধ্যেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের সময়ে ওড়িশায় কর্মরত বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক গ্রামে ফিরেছিল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের হিংসায় তারাও জড়িয়ে পড়ে। এরপরে ছুটি শেষে ওড়িশায় ফিরে গেলেও তদন্তকারীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি তারা। ওড়িশা থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়

    ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) গঠন করে। খুনে অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের (Murshidabad) বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল চক্রী জিয়াউল শেখকে ধরা হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে (Jafrabad Double Murder)।

  • CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। একদিকে বিজেপির উত্থান, অন্যদিকে ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়– জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় তৃণমূল নেত্রীর। এবার ব্যাখ্যা করা যাক কী কারণে তাঁর ঘুম উবে গিয়েছে (Nightmare)।

    ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না (CM Mamata)

    বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না। বরং ‘অনুদান’ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। খয়রাতি বন্ধ করলে স্বখাত সলিলে ডুববেন তৃণমূল নেত্রী। অতএব, খয়রাতি বন্ধ করা যাবে না। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া ডিএ-ও শোধ করতে হবে। তাহলে উপায়? এই পথের খোঁজেই সপ্তাহ তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থ দফতরের শীর্ষকর্তারা এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহচর। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামাজিক প্রকল্প (পড়ুন খয়রাতি), বিশেষত, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বাংলার বাড়ি (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার রাজ্যের দেওয়া নাম) এবং অন্যান্য প্রকল্পে আরও নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং কিছু প্রকল্পে অনুদান বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে নয়া রাস্তা নির্মাণ এবং পুরানো রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়নের কাজও শুরু করা হবে।

    খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু

    ফের ক্ষমতায় ফিরতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী যখন খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন, ঠিক তখনই বজ্রাঘাতের মতো এল সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ। তাতে বলা হল, রাজ্য সরকারকে ১৩ লাখের বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীকে বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দেয়, যার জেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার জোগাড় তৃণমূল সুপ্রিমোর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে রাজ্য সরকারকে মধ্য-অগাস্টের মধ্যে কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের দিতে হবে ১০,৪২২.৭৩ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই ২৫ শতাংশ বকেয়া দেওয়াটাই আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছি যদি অগাস্টে চূড়ান্ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পুরো টাকাটা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেটা রাজ্যের আর্থিক কাঠামোকে ভেঙে দেবে এবং বেশ কিছু চলমান প্রকল্প চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।” তিনি বলেন, “পরবর্তী তিন মাসে আমরা এমনকি ডিএ-র ২৫ শতাংশ (CM Mamata) বকেয়া দেওয়াতেও বিরাট সমস্যায় পড়ব। আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প ও যোজনায় বরাদ্দ পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”  এক আমলা বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে ১০,৪৪২.৭৩ কোটি টাকা শোধ করতে পারি। কিন্তু তার বেশি হলে বর্তমানে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলির জন্য বরাদ্দে ব্যাপক কাটছাঁট করতে হবে (Nightmare)।”

    তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য

    তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা জানান, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, যার আওতায় মাসে ওবিসি এবং অন্যান্য সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে দেওয়া হয়, এই প্রকল্পে প্রায় দু’কোটি উপভোক্তা রয়েছেন। এটি থাকবে। তবে অন্যান্য প্রকল্পে ভর্তুকি কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী, শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেই ২৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। চলতি অর্থবর্ষে মোট ৬৬,৩০০ কোটি টাকা বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বছর শুরুর দিকে মাসিক অনুদান বৃদ্ধির এবং উপভোক্তার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হতে পারে (CM Mamata)।

    ‘বাংলার বাড়ি’

    ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বর্তমানে ১২ লাখ উপভোক্তাকে প্রতিটি পাকা ঘর তৈরির জন্য ১.২ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থ দফতরের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে আরও ৪ লাখ উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু এজন্য খরচ হবে অতিরিক্ত ৪,৮০০ কোটি টাকা, যা রাজ্যের পক্ষে বর্তমানে বহন করা সম্ভব নয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মতে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ লাখ উপভোক্তাকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হলেও, নতুন উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। একই পরিস্থিতি হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পেও। আর্থিক সংকটের জেরে ধাক্কা খেতে পারে পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিও। বর্ষা-পরবর্তী সময়ে রাজ্য ও গ্রামীণ সড়কগুলির স্বাভাবিক মেরামতের কাজ ব্যাহত হবে। অন্যান্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের বরাদ্দও কমবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক মন্ত্রী বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো মুখ্য প্রকল্পগুলি চালু রাখাই এখন মূল লক্ষ্য। বাকি প্রকল্পগুলি মার খাবে।” তিনি জানান, যে প্রকল্পগুলির বরাদ্দ কমানো হতে পারে ও টাকা দিতে দেরি হতে পারে (CM Mamata), সেগুলির মধ্যে রয়েছে, কৃষক বন্ধু, ছাত্র ঋণ কার্ড, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড, বিধবা, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের পেনশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, বাংলা শস্য বিমা, তরুণের স্বপ্ন, সবুজ সাথী, চা সুন্দরী প্রকল্প এবং জল স্বপ্ন। তিনি বলেন, “কল্যাণমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দে কোনও রকম কাটছাঁট বা দেরি হলে বিরোধীরা নিশ্চিতভাবেই তার সুযোগ নেবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। এর রাজনৈতিক প্রভাব গুরুতর হবে। অনুদান বৃদ্ধি করার বদলে কমানো বা টাকা দিতে দেরি করা হলে আমরা জনসমর্থন হারাব (Nightmare)।”

    মাথায় বিশাল রাজস্ব ঘাটতি

    অর্থনীতিবিদদের মতে, একটি রাজ্যের মোট রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চলতি অর্থবর্ষে যেখানে ধরা হয়েছে ২০,৩১,৮০৫ কোটি টাকা, সেখানে ১০,৪২২ কোটির অতিরিক্ত ব্যয় রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্যকে খুব একটা নাড়িয়ে দেওয়ার কথা নয়। ঋণ পরিশোধ বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৪১,৪৬২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে যদি আনুমানিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪৭,৭৩২ কোটি টাকা ধরা হয়, তাহলে মোট বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩,৮৯,১৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের মোট রাজস্ব আদায় হতে পারে ২,৬৮,২৮৪ কোটি টাকা। যার ফলে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিগত বছরগুলিতে এই রাজস্ব ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করেছে — চলতি অর্থবর্ষে এটি মোট জিএসডিপির ১.৭ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবর্ষে ছিল ২.৪ শতাংশ। তবে এই ঘাটতি থেকে বেরোতে রাজ্যকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে এবং ব্যয়, বিশেষত অনুদানমূলক ব্যয় কমাতে হবে (CM Mamata)।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    এক অর্থনীতিবিদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, ছোট ট্যাক্স ভিত্তি, খুবই সীমিত রাজস্ব আদায়, সম্পদ আহরণে অক্ষমতা, আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অযৌক্তিক খরচের কারণে রাজ্য একটি খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রত্যাশিত ব্যয়, যেমন ডিএ-এর বকেয়া মেটানো, রাজ্যের অর্থনীতিতে ধ্বংস নামিয়ে আনে এবং কঠোর বাজেটের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এই শোচনীয় পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে আর্থিক অপশাসনই দায়ী।” অধ্যাপক দীপঙ্কর বাগ বলেন, “বর্তমান সরকারের অপচয় এবং এমন বড় বিনিয়োগের অভাব যা রাজ্যের রাজস্ব বাড়াতে পারত, কৃষি থেকে ক্রমহ্রাসমান আয় এবং মূলত জীবনধারণমূলক অর্থনীতির কারণে রাজ্যের সামনে এক গুরুতর আর্থিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।”

    প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগ আর্থিক স্বাস্থ্য সূচকে পশ্চিমবঙ্গকে ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৬তম স্থানে রেখেছে এবং রাজ্যকে মূলধনী ব্যয়ে অগ্রাধিকার দিতে ও ভালো কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে (Nightmare)। নীতি আয়োগ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা কার্যকর করা জরুরি।

    ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতার (CM Mamata) সরকার কি তা করবে?

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার ভর্ৎসিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে তাদের আচরণের জন্য তিরস্কার করে আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, “আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এটি এক তরুণীর (Sharmistha Panoli) মর্যাদার বিষয়।” এদিন আদালতে শর্মিষ্ঠার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী ডিপি সিং। তিনি জানান, তাঁর (শর্মিষ্ঠার) গ্রেফতার অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, “বিতর্কিত ভিডিওটি পরের দিনই মুছে ফেলা হয়েছিল।” তিনি এও বলেন, “মন্তব্যগুলি পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল এবং তা মুহূর্তের উত্তেজনায় বলা হয়েছিল।”

    তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন (Sharmistha Panoli)

    এদিন তিনি শর্মিষ্ঠাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির প্রসঙ্গও আদালতে তোলেন। কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তাও বর্ণনা করেন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী। সেই সময় বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী রাজ্যকে জিজ্ঞেস করেন, “কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এটি এক তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন। এসব দেখলে আপনারা লজ্জিত হবেন। আমি এটা জনসমক্ষেই বলছি। সর্বোপরি, উনি একজন আইনের ছাত্রী।” রাজ্য পুলিশ যেভাবে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু চৌধুরী।

    আদালতের পাঠ

    তিনি বলেন, “সম্ভবত বা স্বাধীনতা শব্দগুলিকে কখনওই অনুমতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না।” আইনজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি রাজ্যকে পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন, কাউকে গ্রেফতার করার স্বাধীনতা মানেই গ্রেফতার করার অনুমতি দেওয়া নয়। এর পরেই আদালত শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত। মামলার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি তুলে ধরে এবং ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রতি আদালতের অঙ্গীকারকে ফের স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, (Sharmistha Panoli) মঙ্গলবারই শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পুণের একটি আইন কলেজের ছাত্রী তথা নেটপ্রভাবী শর্মিষ্ঠা পানোলি। তার জেরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে গুরগাঁও থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে আনে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। অথচ যে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল, কলকাতার সেই মুসলিম যুবকটি হিন্দু ধর্ম, বিশেষত কামাখ্যা দেবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও পার পেয়ে যায় (Calcutta High Court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না পড়ে, তাই তাঁকে গ্রেফতার না করে ধরা হয় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmistha Panoli)।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে (TMC)! অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি গ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি পরিবার। পদ্ম শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। মে মাসের শেষাশেষি নলহাটি বিধানসভার ৫৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা তুলে দেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপির দাবি ছিল, তিন দিনে হাসন ও নলহাটি বিধানসভার মোট ২৫০টি পরিবার চলে এসেছে তাদের দিকে।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কোর কমিটির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। এই আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে অশনি-সঙ্কেত। এভাবে চলতে থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কেষ্ট গড়ে পদ্মফুল ফুটবে।

    তৃণমূলকে তোপ নবাগতদের

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তোপ দাগতে শুরু করেন নবাগতরা। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অচিন্ত্য দাস এবং গিরিধারী সরকারও। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে গোটা বাংলার যা পরিস্থিতি, কারও যদি বিবেক বোধ থাকে, বিবেকের দংশন হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা কখনও তৃণমূল করবেন না।” বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের অভাব এবং সংখ্যালঘু তোষণের জন্য পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই পরিবারগুলি।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, তখনই তৃণমূলে বড় ভাঙন বীরভূমে (Birbhum)। অনুব্রতর নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরেরই অনেকে। দলের তরফে তড়িঘড়ি দায় ঝেড়ে, ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্টকে। ক্ষমা চাইলেও, এখনও পুলিশের তলবে হাজির হননি (TMC) অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতেই শিবির বদল দেড়শোরও বেশি পরিবারের (Birbhum)।

LinkedIn
Share