Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে তদন্ত করছিল পুলিশ। এরপরই আদালতের নির্দেশ পেতেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামল সিবিআই। তিনজনকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি দল নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কাদের তলব করা হল (CBI)

    আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের পদত্যাগী এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠকে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন দুজন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন চেস্ট বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী ও ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক এবং ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনজনেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন। সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন টালা থানার অফিসার ইন-চার্জ। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিতে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয়েছিল কয়েক জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকেও। তলব অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা হাজির হয়েছেন। সূত্রের খবর, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্বন্ধে তাঁরা কে কী জানেন, কী ভাবে ঘটনার খবর পেলেন, ঘটনার দিন কে কোথায় ছিলেন, সেই সংক্রান্ত বয়ান রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক সিবিআই তলব প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    ২০ সদস্যের সিবিআই টিম

    গত মঙ্গলবারই টালা থানা থেকে ঘটনার এফআইআরের সার্টিফায়েড কপি নেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকেরা। এরপর রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সঙ্গে মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক টিম। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই দল কাজ করবে। জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে এই টিমে। রয়েছেন ডিআইজি পদ মর্যাদার অফিসারও।

    সিবিআই প্রসঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্য কী বললেন?

    নিহত চিকিৎসকের পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের যা জিজ্ঞাসা করেছেন, তা আমরা জানিয়েছি। এই তদন্তের ভার সিবিআই নেওয়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘তিলোত্তমা’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দিল্লি এসি (AC-1) শাখায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ‘তিলোত্তমাকে’ ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে একটি দল গঠন করে সিবিআই। সেখানে রয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তের মূল দায়িত্বে রয়েছেন দিল্লির অফিসাররা। সাহায্য করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এবার এক মহিলা অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে সিবিআই। তিনি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Protest Rally: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারের কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    BJP Protest Rally: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারের কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলল বিজেপি (BJP Protest Rally)। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। কলকাতায় বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতাদের উপস্থিতিতে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। আরজি কর হাসপাতালের কাছাকাছি কোনও স্থানে মঞ্চ বেঁধে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ। বিজেপি সূত্রের খবর, সুকান্তর পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাজির থাকবেন। স্বাভাবিকভাবে আরজি কর ইস্যুতে এই আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা (BJP Protest Rally)

    বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই কর্মসূচির কথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে একেবারে ব্যর্থ। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে কলকাতা এবং জেলায় জেলায় আন্দোলন (BJP Protest Rally) কর্মসূচি শুরু হবে। সাধারণ মানুষের কাছে শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকানপাট এবং সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি। দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পথ অবরোধ করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তবে, এই প্রতিবাদ হবে প্রতীকী। শুক্রবারই বিজেপির মহিলা মোর্চা হাজরা মোড় থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি এবং মশাল মিছিল করবে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী ভনতি শ্রীনিবাসন ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।’’ 

     

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    আন্দোলনে সরগরম হবে কলকাতার রাজপথ!

    প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তের মহিলারা রাস্তায় নেমে সরব হয়েছিলেন। বিজেপিও এই ইস্যুকে সামনে রেখে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলন (BJP Protest Rally) সংগঠিত করতে চলেছে। ফলে, শুক্রবার আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে সরগরম হবে কলকাতার রাজপথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘এক মেয়ে হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি’’, আন্দোলনের প্রশংসা নির্যাতিতার বাবার

    RG Kar: ‘‘এক মেয়ে হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি’’, আন্দোলনের প্রশংসা নির্যাতিতার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি এক মেয়ে হারিয়েছেন। কিন্তু, পাশে পেয়ে গিয়েছেন কোটি কোটি মেয়েকে। আন্দোলনকারীদের এভাবেই সমর্থন জানালেন নিহত ডাক্তার তরুণীর বাবা। 

    স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘রাত দখলে মেয়েরা’ নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। আরজি কর (RG Kar) ইস্যুতে কলকাতা শহরের দিকে দিকে তো বটেই, জেলা এমনকী অন্য রাজ্যতেও রাতের রাস্তায় ঢল নামে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের। বাংলার অন্যান্য প্রান্তের মতো আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা, নিহত চিকিৎসকের বাড়ির এলাকাতেও মধ্যরাতে নাগরিক জমায়েতে কার্যত জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল। যার জেরে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিটি রোড। সোদপুরে লোকসংস্কৃতি মঞ্চের সামনের জনপ্লাবন থেকে ওঠে রাজনৈতিক স্লোগানও। যদিও তাতে জমায়েতে কোনও ভাটা পড়েনি।

     মধ্যরাতে সোদপুর ট্রাফিক মোড় জনপ্লাবন (RG Kar)

    নিহত চিকিৎসকের (RG Kar) বাড়ি সোদপুরে। বুধবার রাত ৯টায় সোদপুরের নাটাগড় কদমতলা এলাকার দুর্গা মণ্ডপের চাতালে জমায়েত হয়েছিলেন একেবারে পাড়ার লোকেরা। সেই জমায়েতই ছিল কয়েকশো মানুষের। রাত বাড়তেই সেই জমায়েত এইচবি টাউন মোড়, সোদপুর উড়ালপুল হয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বিটি রোডের দিকে। অমরাবতী, ঘোলা, মহিষপোতা, কর্ণমাধবপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষের মিছিল এগোতে থাকে বিটি রোডের দিকে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সোদপুর-মধ্যগ্রাম রোডেও। রাত ১১টা নাগাদ বিটি রোডের সোদপুর ট্রাফিক মোড় মিনি-ব্রিগেড হয়ে ওঠে। নাটাগড়ের বাসিন্দা স্বাতী সরকার ভৌমিক বলেন, ‘‘এটা একটা রাজনৈতিক হত্যা। রাজনৈতিক অপদার্থতার কারণেই আমাদের পাড়ার মেয়েকে অকালে চলে যেতে হয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দিয়েছি।’’ ঘোলার বাসিন্দা অম্লান দত্তের কথায়, ‘‘এত মানুষ রাস্তায় নামবেন ভাবতেও পারিনি। এমন হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রণ করেছেন যাঁদের হয়তো এটাই জীবনের প্রথম মিছিল।’’  

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    ‘‘কোটি কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছি’’

    রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন (Agitation) নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন,  ‘‘ সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই, একটা মেয়েকে (RG Kar) হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছি। এই কোটি কোটি মেয়ে, আজ বলে নয়, আমার তো মনে হচ্ছে, ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন। এঁরা সবাই আমার মেয়ের মতো। যে পুরুষরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরা আমার ছেলের মতো। এঁদের ধন্যবাদ দিলে খুব অন্যায় করব আমি। কারণ আমার মেয়েকে তো কখনও ধন্যবাদ দিইনি! এঁদের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন আছে আমার। আমার মেয়েকে আগলে রাখতে পারিনি, আশা করি এঁদের আগলে রাখতে পারব, যদি এভাবেই এঁরা আমার পাশে থাকেন।’’

    দুষ্কৃতী তাণ্ডব

    প্রসঙ্গত, মধ্যরাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে। তাই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতেই কি ময়দানে নামানো হল দুষ্কৃতীদের? শুরুতেই কেন ভাঙচুর আটকাল না পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের জের, কন্যাশ্রী দিবস বয়কট ছাত্রীদের, প্রশ্ন করল নিরাপত্তা নিয়ে

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের জের, কন্যাশ্রী দিবস বয়কট ছাত্রীদের, প্রশ্ন করল নিরাপত্তা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) উত্তাল রাজ্য। বুধবার রাতে কলকাতার রাজপথ সহ রাজ্যের অধিকাংশ শহরের রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মহিলারা। এই আবহের মধ্যে বুধবার ছিল কন্যাশ্রী দিবস। কন্যাশ্রী (Kanyashree) দিবস নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ছাত্রীরা। তাদের প্রশ্ন, যে রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, সেখানে কন্যাশ্রী নিয়ে কী হবে? আর পূর্ব বর্ধমানের মালডাঙা স্কুলের ছাত্রীরা প্রকাশ্যে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করে তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। ফলে, স্কুলের ছাত্রীরাও এই ঘটনায় রীতিমতো রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    কন্যাশ্রী দিবস বয়কট! (Kanyashree)

    পূর্ব বর্ধমানের মালডাঙা রাজেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার কন্যাশ্রী দিবস (Kanyashree) বয়কট করে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ জানাল ছাত্রীরা। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে এদিন সরব হল তারা। এই ঘটনা কার্যত সরকারের কাছে চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছে দিল বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। পরে অবশ্য শিক্ষকদের অনুরোধে কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে বিরত হয়। জানা গিয়েছে, মালডাঙা রাজেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েদের ওপর অত্যাচারের কথা হাতে লেখা বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি র‍্যালির আয়োজন করে। পরে বিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়ে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করে। এই বিষয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের বক্তব্য, ‘‘আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে যেভাবে অত্যাচার করে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাতে দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিতকরণ করতে হবে। পাশাপাশি, কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আজ পরিস্থিতি এমনই যে দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও মেয়েরা আজ নিরাপদে নেই। মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যেখানে মেয়েদেরই নিরাপত্তা নেই, সেখানে কন্যাশ্রী অনুষ্ঠান করার কোনও মানে হয় না। তাই আমরা মেয়েদের ওপর এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করেছি।’’ 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    এত আয়োজন, কন্যাদের নিরাপত্তা কোথায়?

    রাজ্যের কন্যাশ্রী (Kanyashree) দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধনধান্যে স্টেডিয়ামে এসেছিল স্কুল ছাত্রীরা। সেখানেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁদের। ছাত্রীরা বলেছে, ‘‘রাজ্যে কন্যাশ্রীদের জন্য এত এত আয়োজন। কন্যাদের নিরাপত্তা কোথায়? নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়েছে কি? প্রশাসনের গোটা ঘটনা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এখানে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে আবার রাজ্যে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কোনওটাই মেনে নেওয়া যায় না। মা-বাবারাও চিন্তায় রয়েছেন।’’  আর এক ছাত্রী বলে, ‘‘সমাজে একজন ডাক্তার নিরাপদ নয়। এটা কী করে সম্ভব? আবার এই ঘটনা ঘটেছে আরজি করের (RG Kar Incident) মতো জায়গায়। একই সুর আরও এক ছাত্রীর গলাতেও। ক্ষোভের সঙ্গেই তাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আমরা কোনও জায়গাতেই সেফ নই। কাজের জায়গাতেও নিরাপদ নই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?’’ মমতাকে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?’’ মমতাকে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। শহরের বুকে একজন ডাক্তারকে অন ডিউটি থাকাকালীন (গণ)ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, এরকম ঘটনা গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে আর আছে? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। এখানে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের এক সাংসদও জড়িত রয়েছে বলে তিনি সরব হন। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

    হাসপাতালে মাদক-যৌন চক্র! (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে মাদক চক্র, যৌন চক্র চলত। ডাক্তার টিমে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই জাতীয় অনেক বিষয় উঠে এসেছে, এর কিছু স্ক্রিনশটও আমাদের কাছে পৌঁছেছে। একজন তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর ভাইপোর নাম বারবার উঠে আসছে, আমি জানি না কী হয়েছে, তবে যেটাই হোক সেটা ভুল হয়েছে। তৃণমূলে এত মহিলা সাংসদ থাকা সত্ত্বেও একজন মহিলা সাংসদও এই বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি। এমনকী, তৃণমূলের ১ জন সাংসদ, ৩ জন বিধায়ক, ২ জন একই মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু তাঁদের মুখেও সেলোটেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপি কয়েকজন হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে মৃত স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত রাতে বেআইনিভাবে করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার মানুষ

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রতিবাদের রূপ একেক রকম হয়। যে যেভাবে প্রতিবাদ করবে। সেটা মোমবাতিও হতে পারে, মশালও হতে পারে। তবে, প্রতিবাদ হওয়াটা জরুরি। আমরা দেখেছি মা সীতাকে অপমান করার জন্য লঙ্কা আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয়েছিল। সেইরকম এই সরকারও মানুষের ক্রোধাগ্নিতে পুড়ে যাবে। যখন দেখেছে বাংলার মহিলারা জেগে উঠেছে, এর প্রতিবাদ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের নেতারা এখন গ্যালারি শো করতে নেমেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার মানুষ।”

    নাটক করতেই পদত্যাগ!

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে বলেন, “অধ্যক্ষ এই ঘটনায় ১০০ শতাংশ যুক্ত। পুলিশকেও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া ছিল ঘটনাটাকে ধামাচাপা দেওয়ার। কিন্তু যখন ধামাচাপা দেওয়া যায়নি তখন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা বিষয়টিতে মুখ খুলেছে। তার আগে পর্যন্ত সবটাতেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য অধ্যক্ষকে দিয়ে পদত্যাগের নাটক করানো হয়।”

    কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?

    বুধবার ছিল কন্যাশ্রী দিবস, ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কন্যাশ্রীর টাকা দিচ্ছেন ভালো কথা, কিন্তু তার আগে বলব কন্যাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করুন। আমার ঘরের কন্যাই যদি না বাঁচে তাহলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন? আজ যে মহিলা নিজের একমাত্র মেয়েকে মেডিক্যাল কলেজে এমডি পড়াতে গিয়ে হারালেন তাঁকে যদি মাসে মাসে কন্যাশ্রীও দেন, সেই মায়ের কোলে কি মেয়ে ফেরত আসবে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: রাতের রাজপথে জনজাগরণ, তৃণমূলের বুকে ধরল কাঁপন

    RG Kar Hospital: রাতের রাজপথে জনজাগরণ, তৃণমূলের বুকে ধরল কাঁপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে রাজপথের দখল নিলেন প্রমীলারা (Meyera Raat Dokhol Koro)। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই শুরু হল মিছিল (RG Kar Hospital)। সেই কালো মাথার মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট মধ্য রাতে গর্জে উঠেছিল স্বাধীন ভারত। আর এদিন মধ্যরাতে কলকাতার রাজপথ চলে গেলে শুধুই ‘অর্ধেক আকাশ’দের দখলে।

    নিয়ন আলোয় হাঁটছেন প্রমীলারা (RG Kar Hospital)

    উত্তরে আরজি কর তো বটেই, দক্ষিণে যাদবপুর, মধ্য কলকাতায় অ্যাকাডেমি, কলেজস্ট্রিট সর্বত্রই কেবল মিছিল আর মিছিল। হাইমাস্টের নিয়ন আলোয় নির্ভয়ে হেঁটে চলেছেন প্রমীলারা। রাতের নির্জনতা ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ধ্বনিতে। কলকাতার রাজপথের পাশাপাশি এদিন মহিলারা রাত জেগেছেন দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতেও। স্ত্রী-শক্তির এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে সাগরপারের এডিনবরা (ব্রিটেন) শহরও।  বাংলার বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জেও রাত জেগেছে প্রমীলা বাহিনী। আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছে নারী শক্তি।

    মশাল হাতে নারী শক্তি

    শহরে যখন পথবাতির আলোয় হয়েছে মিছিল, তখন গাঁ-গঞ্জে প্রমীলারা পথে নেমেছেন মশাল হাতে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো প্রত্যন্ত জেলায়ও রাত জেগেছে স্ত্রী শক্তি। শহর থেকে গ্রাম – অনেক মাকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে শিশু কোলে। রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তার পর লোকমুখে ছড়িয়েছে সেই ডাক। বুধবার আক্ষরিক অর্থেই রাত দখল করল অর্ধেক আকাশ। সফল হল নারীর নৈশ অভিযান। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে যে অভিযানে শামিল হলেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের স্বাধীনতাকামী নারীরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ছাঁদের ইংরেজি স্লোগানও যেমন ছিল, তেমনি ছিল শঙ্খ বাজানোর সনাতনী রীতিও। যা থেকে প্রমাণ হয়, অতি আধুনিকার পাশাপাশি এদিন রাত জেগেছেন সনাতনী আদর্শের নারীরাও। মিছিল থেকেই আরজি করকাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিও উঠেছে।

    ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

    এবং এই আওয়াজ যেমন শোনা গিয়েছে বেহালা, গড়িয়া, দমদম, নিউটাউনে, তেমনি শোনা গিয়েছে হাওড়া, লিলুয়া কিংবা বাগনান, কোলাঘাটেও। কল্যাণী থেকে বনগাঁ, জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি – সর্বত্রই এক আওয়াজ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এর পাশাপাশি এদিন কলকাতায় আরও একটি আওয়াজ তুলেছেন জনা কয়েক প্রতিবাদী। তাঁরা ফাঁসি চেয়ে বসেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অল্প কয়েকজনকে এই আওয়াজ তুলতে দেখা গেলেও, এর তাৎপর্য কম নয়। কারণ যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী, সেখানেই নিত্য হয় নারী নির্যাতন। কেবল (RG Kar Hospital) বদলে যায় দৃশ্যপট। সে পটে কখনও ভেসে ওঠে কামদুনির নির্জন রাস্তা, কখনও আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও কক্ষ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্যাতনের শিকার সেই নারী। সেই নারী নির্যাতনের প্রতিবাদেই এদিন মধ্যরাতে গর্জে উঠল তামাম বাংলা।

    শাসকের বুকে কাঁপন

    এই গর্জনই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে শাসকের বুকে। আগেভাগেই যার আঁচ পেয়ে অশ্লীল রসিকতা করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহ। ফেসবুক পোস্টে উদয়ন লিখেছিলেন, “দিনহাটার কেউ কেউ কাল (বুধবার) রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।” রাজনৈতিক মহলের মতে, রাত দখলের কর্মসূচিকে ঘিরে শাসক যে ভয় পেয়েছে, দলবদলু উদয়নের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। বুধবার রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে রাত দখল করো আন্দোলনের ঝাঁঝ। এবং সেই আন্দোলন থেকেই যখন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর ফাঁসির আওয়াজ ওঠে, তখন আরও বিপন্ন বোধ করে শাসক। যদিও ঘটনার পরে পরেই দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে (Meyera Raat Dokhol Koro) ভবি ভোলেনি, খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই ফাঁসির দাবি ওঠায় তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    নৈশ-মিছিল থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে কাঁচা চিত্রনাট্য!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রমীলাদের এই আন্দোলন কৌশলে দমাতে চেয়েছে তৃণমূল। নৈশ-মিছিল শুরু হতেই কারা যেন গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। পুশিলের আধপোড়া উর্দিও মিলেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরোটাই একটা সাজানো নাটক (RG Kar Hospital)। এই নাটকের চিত্রনাট্যকার যিনি, তিনি আন্দোলন থেকে বঙ্গবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন। বাংলার গৃহবাসীকে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন, আন্দোলনের নামে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে প্রমীলা বাহিনী। পুলিশের আধ পোড়া উর্দি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন পুলিশ পিটিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে চিত্রনাট্যটা বড়ই কাঁচা। এবং এই চিত্রনাট্যের পর্দা ফাঁস করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, প্রতিবাদী সেজেই গুন্ডারা ঢুকে পড়েছিল আরজি করে। তাদের সেখানে ঢোকার সুযোগ করে দেয় পুলিশই। আরজি করকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। শুভেন্দুর অভিযোগ, সেই কারণেই হামলা চালিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে (RG Kar Hospital)।

    চিত্রনাট্য ফাঁস (Meyera Raat Dokhol Koro)! অতএব, সাধু সাবধান!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Hospital: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    RG Kar Hospital: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মেয়েদের ‘রাত দখলে’র কর্মসূচি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে তাণ্ডব হাসপাতালের (RG Kar Hospital) জরুরি বিভাগে। দুষ্কৃতীরা সেখানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। একতলায় জরুরি বিভাগের সর্বত্র স্পষ্ট দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ছাপ।

    নিন্দা করলেন শুভেন্দু (RG Kar Hospital) 

    ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, প্রতিবাদী সেজেই গুন্ডারা ঢুকে পড়েছিল আরজি করে। তাদের সেখানে ঢোকার সুযোগ করে দেয় পুলিশই। আরজি করকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। শুভেন্দুর অভিযোগ, সেই কারণেই হামলা চালিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা প্রতিবাদ জানাতে আসবেন, তাঁরা কেন এভাবে ভাঙচুর করবেন এই ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শুভেন্দু। সিবিআইয়ের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কাঠগড়ায় মমতা

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কাছে অরাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে চালাক বলে মনে করেন। তিনি ভেবেছেন, জনতার মাঝে দুষ্কৃতীদের প্রতিবাদী সেজে মিশে যাওয়ার বিষয়টা কেউ ধরতে পারবেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরাই হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের সেফ প্যাসেজ করে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তাও দেখিয়েছে পুলিশ। এটা করতে গিয়ে পুলিশ নিজেরাই সরে গিয়েছিল কিংবা অন্য দিকে তাকিয়ে ছিল যাতে লুম্পেনরা হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিতে পারে (RG Kar Hospital)।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    শুভেন্দু লিখেছেন, “তৃণমূলের নির্বোধ দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা সফলভাবে রূপায়ণ করতে পারেনি। তাই তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে রেসিডেন্ট ডাক্তার, পিজিটি ও ইনটার্নদের ধরনা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। যদি কেউ প্রতিবাদকে সমর্থন করতেই আসবেন, তাহলে মূল ঘটনার কেন্দ্রস্থলে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাবেন কেন? তাঁর প্রশ্ন, যেখানে গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, সেখানে আরজি করেই কেন ঘটল হিংসাত্মক ঘটনা?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যখন রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন, তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “এ কোন বিভীষিকাময় রাজ্যে বাস করছি আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন (RG Kar Hospital) মুখ্যমন্ত্রী।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    RG Kar Hospital: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Hospital) প্রতিবাদে বুধবার ‘রাত দখলে’র কর্মসূচি নিয়েছিলেন প্রমীলারা। মধ্য রাতের সেই কর্মসূচি চলাকালীনই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কোলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একদল ব্যক্তি (Miscreants)। তাণ্ডব চালানো হল হাসপাতাল চত্বরেও।

    তছনছ জরুরি বিভাগ (RG Kar Hospital)

    দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, সিসিইউ, এইচসিসিইউ, ওষুধের স্টোররুম। হাসপাতাল চত্বরে যে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে, সেখানেও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালায় বীরপুঙ্গবরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেয়েদের রাত দখলের এই আন্দোলনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীরাই মেয়েদের কর্মসূচিতে গিয়ে মাতব্বরি করেছে। পৌরুষ দেখাতে চালিয়েছে তাণ্ডব। আন্দোলনের ফোকাস থেকে ঘোরাতে চেয়েছে রাজ্যবাসীর দৃষ্টির অভিমুখ। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে আন্দোলন মঞ্চেও বীরত্ব জাহির করেছে দুষ্কৃতীরা।

    পুলিশের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন

    মেয়েদের রাত দখলের এই কর্মসূচিতে পুরুষরা তাণ্ডব চালালেও, হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশকর্মীরা ছিলেন অসহায়। চোখের সামনে দেখতে হয়েছে ভাঙচুর করা হচ্ছে পুলিশের গাড়ি, চলছে তাণ্ডব। পরে বিশাল বাহিনী এবং র‌্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়। বুধবার রাতে তাণ্ডবের ওই ঘটনা ঘটলেও, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডবকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তাও জানা যায়নি। প্রত্যাশিতভাবই পুলিশের সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ! উদয়নের ‘অশ্লীল রসিকতা’য় শোরগোল

    বুধবার ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েদের একটি মিছিল এগতে শুরু করে আরজি করের দিকে। এই সময়ই তাণ্ডব শুরু করে লাঠি ও রড় হাতে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে উপড়ে ফেলা হয় জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট। এই বিভাগের টিকিট কাউন্টার-সহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়। হাসপাতালের (RG Kar Hospital) এক কর্মী বলেন, “দুষ্কৃতীরা ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। একতলার জরুরি বিভাগে আর প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই।”

    এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জিনিসপত্র। পোড়া প্লাস্টিক, পুলিশের আধপোড়া উর্দি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল এমারজেন্সিতে? পুলিশের উর্দিতে আগুন লাগিয়ে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে কলঙ্কিত করার ধান্ধায় ছিল দুষ্কৃীতরা (Miscreants)? মহিলাদের কর্মসূচিতে ওরা কারা? প্রশ্ন হাজারো। উত্তর অধরা (RG Kar Hospital)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur: ফ্রেডরিকনগর থেকে শ্রীরামপুর! গঙ্গাপাড়ের এই শহর বহু ইতিহাসের সাক্ষী

    Srirampur: ফ্রেডরিকনগর থেকে শ্রীরামপুর! গঙ্গাপাড়ের এই শহর বহু ইতিহাসের সাক্ষী

    হরিহর ঘোষাল

    শ্রীরামপুর। বহু প্রাচীন জনপদ। গঙ্গার পাড়ে গড়ে ওঠা এই শহর বহু ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে চলেছে। শ্রীরামপুর (Srirampur) হাওড়া-ব্যান্ডেল রেললাইনের অষ্টম স্টেশন। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (জিটি রোড) এই শহরের ওপর দিয়ে চলে গিয়েছে। কলকাতা থেকে দূরত্ব ২০ কিমি। শ্রীরামপুর থেকে ডেনীয়রা চলে গেলেও গঙ্গাতীরে তাঁদের নির্মিত সুরম্য অট্টালিকাসমূহ আজও তাঁদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। চৈতন্যদেব, উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও ওয়ার্ডের স্মৃতি বিজড়িত শহর এই শ্রীরামপুর।

    ফ্রেডরিকনগর থেকে শ্রীরামপুর (Srirampur) 

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, শ্রীরামপুর (Srirampur) এক সময় ডেনমার্কের দখলে ছিল। ডেনীয় বা দিনেমার শাসকেরা এই শহরের রাম রাখেন ফ্রেডরিকনগর (Fredrik Nagar)। শ্রীপুর, আকনা, গোপীনাথপুর, মোহনপুর ও পেয়ারাপুর-এই পাঁচটি জনপদ নিয়ে ফ্রেডরিকনগর গঠিত হয়েছিল। বার্ষিক ১৬০১ সিক্কা খাজনায় ডেনীয়রা শেওড়াফুলি-রাজের কাছ থেকে এই স্থানগুলি ইজারা নেন। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় শ্রীরামচন্দ্রের মন্দির নির্মাণ করেন। শ্রীরামপুর নামটি শ্রীরামচন্দ্র জীউ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ডেনীয় কুঠির অধ্যক্ষ সোয়েটমানের চেষ্টায় শ্রীরামপুর শহরটির বিশেষ উন্নতি ঘটে।

    পুরসভা

    গঙ্গার তীরে এই শহরটি তৎকালীন ইউরোপীয়দের একটি বিহার ক্ষেত্রে পরিণত হয়। ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্শম্যান ও ওয়ার্ড খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে শ্রীরামপুরে (Srirampur) এসেছিলেন। কিছুকাল পরে উইলিয়াম কেরি তাঁদের সঙ্গে মিলিত হন। ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে কর্নেল বাই-এর চেষ্টায় সেন্ট ওলাফের গির্জা নির্মিত হয়। বঙ্গদেশে খ্রিষ্টান মিশনারিদের কার্যকলাপের প্রধান কেন্দ্র ছিল শ্রীরামপুর। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, মুদ্রণশিল্প ও প্রকাশনা এবং আধুনিক শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর ছিল অগ্রণী। ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীরামপুরের মিশনারিগণ শ্রীরামপুর কলেজের জন্য জমি ক্রয় করেন। ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে ডেনমার্কের রাজকীয় সনদ অনুযায়ী কলেজ তৈরি হয়। ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজরা এই শহরটিকে ডেনীয়দের  থেকে কিনে নেন। ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমার সদর দফতর দ্বারহাট্টা থেকে শ্রীরামপুরে স্থানান্তরিত হয়। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীরামপুর পুরসভার পথচলা শুরু হয়।

    গোস্বামী পরিবার

    গোস্বামীরা শ্রীরামপুরের (Srirampur) প্রাচীন জমিদার পরিবার, এই শহরের উন্নতির ক্ষেত্রে যাদের দান অপরিসীম। বর্ধমানের পাটুলি থেকে রামগোবিন্দ গোস্বামী (চক্রবর্তী) শেওড়াফুলি-রাজের থেকে এখানে বাস্তুভূমি পান। তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র হরিনারায়ণ ডেনীয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ান হিসেবে অনেক অর্থ রোজগার করেন। তাঁর পুত্র রঘুরাম জন পামার কোম্পানির বেনিয়ান ছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের অংশীদার। তিনি বিপুল জমিদারি কিনে নেন। এমনকী ডেনীয়রা ইংরেজদের শ্রীরামপুর বিক্রয়ের উদ্যোগী হলে তিনি বারো লক্ষ টাকায় তা কিনে নিতে চান। রাজা কিশোরীলাল গোস্বামী এবং তুলসী গোস্বামী এই বংশেরই লোক ছিলেন। এই গোস্বামী পরিবারের অনেকগুলি প্রাসাদতুল্য ভবন আছে, যেগুলির অধিকাংশই রাজা কিশোরীলাল গোস্বামী ও তুলসী গোস্বামীর নামাঙ্কিত রাস্তার ওপর অবস্থিত। শ্রীরামপুর রেল স্টেশন থেকে যে ভবনটি ট্রেন থেকে সকলে দেখতে পান, সেটি তুলসী গোস্বামী তৈরি করেছিলেন।

    উইলিয়াম কেরির সমাধি

    সেন্ট ওলাফের গির্জাটি ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত। ১৯৪০ সালে শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত কানাইলাল গোস্বামী ১৫টি কামান একত্রে সেন্ট ওলাফের গির্জার সামনে স্থাপন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। শ্রীরামপুরের সঙ্গে ডেনদের সম্পর্কের বিষয় একটি ফলকে লেখা রয়েছে। শ্রীরামপুরের আদি রোমান ক্যাথলিক চ্যাপেল ১৭৬৪ সালে তৈরি হয়। এটি ছোট হওয়ার কারণে ১৭৭৬ সালে নতুন করে তা তৈরি করা হয়। ডেনীয় কবরখানার কথাও এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। শ্রীরামপুরে রেলওয়ে স্টেশনের কাছেই রয়েছে এই সমাধিক্ষেত্র। সেখানে উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও ওয়ার্ডের সমাধি আছে। এখানে প্রোটেস্টান্ট ও ক্যাথলিকদের জন্য পৃথক স্থান নির্দিষ্ট। অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকের বহু সমাধি এখানে আছে যাঁদের মধ্যে প্রধান ডেনীয় বিচারপতি হলেনবার্গের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, একথাও বলা দরকার যে দেশীয় খ্রিস্টানদের সমাধি নির্মাণও প্রথম শ্রীরামপুরে হয়। প্রথম মৃত দেশীয় খ্রিষ্টানের নাম গোকুল দাস।

     রাধাবল্লভ মন্দির 

    রাধাবল্লভের নামেই শ্রীরামপুরের (Srirampur) গঙ্গার ধারে একটি অঞ্চলের নামকরণ হয় বল্লভপুর। কথিত আছে, চাতরার রুদ্ররাম পণ্ডিত বল্লভপুরে সাধনা করতেন। তখন বল্লভপুর ছিল জঙ্গলে ভরা এলাকা। তাঁর সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে কৃষ্ণ স্বয়ং যোগীর বেশে তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে বলেন, গৌড়ের সুলতানের শয়নকক্ষের দ্বারপ্রান্তের পাথরের স্তম্ভ থেকে তাঁর মূর্তি তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করতে। সেই মতো রুদ্ররাম গৌড়ে গিয়ে বিস্মিত হয়ে দেখেন, নানারূপ অশুভ লক্ষণ দেখে ওই বিশেষ পাথরটিকে সুলতান প্রাসাদ থেকে বের করে দিয়েছে। ওই ভারী পাথরকে কীভাবে নিয়ে আসবেন এই চিন্তায় রুদ্ররাম খুবই ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তখন দেবতা তাঁকে স্বপ্নে জানান যে তিনি যেন পাথরটিকে নিকটস্থ নদীতে ফেলে দিয়ে বল্লভপুরে ফিরে যান। নির্দেশ মতো তিনি বল্লভপুরে ফিরে এসে দেখেন যে ওই পাথর সেখানে ভেসে চলে এসেছে। তা থেকে তিনটি কৃষ্ণমূর্তি তৈরি করা হয়-প্রথমটির নাম হয় রাধাবল্লভ, দ্বিতীয়টির নাম হয় শ্যামসুন্দর যে মূর্তি এখন খড়দায় পূজিত হয়। আর তৃতীয়টির নাম হয় নন্দদুলাল, যাঁর অধিষ্ঠান সাঁইবোনায়। ১৬৭৭ সালে রুদ্ররাম অন্যান্য ভক্তের সহযোগিতায় রাধাবল্লভ মন্দির গড়ে তোলেন। এই মন্দিরই হচ্ছে হেনরি মার্টিনের প্যাগোডা। এই মন্দিরটি পরিত্যক্ত হলে ১৭৬৪ সালে কলকাতার নয়নচাঁদ মল্লিক বর্তমান রাধাবল্লভ মন্দির তৈরি করেন। রাধাবল্লভ এবং রাধিকার যুগ্ম মূর্তি ছাড়াও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি এখানে রয়েছে। আগে রথযাত্রার সময় মাহেশের জগন্নাথকে এই মন্দিরে নিয়ে আসা হত। ১৮৫০ সালের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।

    ওয়ালশ হাসপাতাল!

    অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে রামানুজ সম্প্রদায়ভুক্ত দক্ষিণী বৈষ্ণবেরা শ্রীরামপুরে (Srirampur) তাঁদের একটি আখড়া স্থাপন করেন ও মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে, আখড়া উঠে গেলে ওই স্থানে ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ালশ হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। মদনমোহনের বিগ্রহ অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। ডেনীয় সরকার এই বিগ্রহের সেবার জন্য বাৎসরিক ১২০ টাকা বরাদ্দ করেন। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বন্ধ করে ১০,০০০ টাকা এককালীন অনুদান দিয়ে। এই টাকায় মদনমোহনের বর্তমান আটচালা মন্দির তৈরি হয়। লাহিড়ী পাড়ায় গোস্বামীদের প্রতিষ্ঠিত একটি আটচালা শিবমন্দির আছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দ।

    চৈতন্যদেব

    উত্তরে চাতরা ও দক্ষিণে মাহেশ-বল্লভপুর নামক স্থানগুলি শ্রীরামপুর (Srirampur) পুরসভার অন্তর্গত। চাতরা একটি প্রাচীন জনপদ। শ্রীরামপুর রেল স্টেশন থেকে দুই কিমি উত্তরে অবস্থিত। এখানকার চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত গৌরাঙ্গ মন্দিরটি শ্রীচৈতন্যের পার্ষদ কালীশ্বর পণ্ডিত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনটি শিখরবিশিষ্ট এই মন্দিরে মাঝের শিখরটি দুই পাশের অন্য দুই শিখরের চেয়ে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন। শিখরগুলি পিরামিডাকার ও রেখ ধরনের খাঁজকাটা। মন্দিরের সামনের সমতল ছাদ বিশিষ্ট বারান্দাটি পরবর্তীকালে নির্মিত। মন্দিরের মধ্যে কৃষ্ণ-রাধা ও শ্রীগৌরাঙ্গ-বিষ্ণুপ্রিয়া দুটি সিংহাসনে রয়েছেন। এ রকম অবস্থান নবদ্বীপ ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। কথিত আছে যে মহাপ্রভু স্বয়ং পুরী যাত্রার সময় নিমাই-তীর্থের ঘাট থেকে চাতরার এই মন্দিরে এসেছিলেন। মন্দিরে তাঁর নিজের মূর্তি দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁর বিগ্রহ গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ পালিত হয়। পরে মহাপ্রভুর দেহত্যাগের পর কাশীশ্বর পণ্ডিতের পৌত্র পুনরায় মহাপ্রভুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ! উদয়নের ‘অশ্লীল রসিকতা’য় শোরগোল

    Udayan Guha: ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ! উদয়নের ‘অশ্লীল রসিকতা’য় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়ন আছেন উদয়নেই! কখনও তিনি সদলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে মারতে তেড়ে যান। কখনও আবার ‘যেমন ভোট, তেমন কাজ’ বলে বিরোধীদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। সেই তিনিই এবার কুৎসিত মন্তব্য করলেন মহিলাদের সম্পর্কে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছেন মহিলারা। বুধবার রাতে রাজ্যজুড়ে ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এই অরাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আর মেয়েদের এই অরাজনৈতিক আন্দোলনে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের (দলবদলু, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন) উদয়ন গুহ। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই ফেসবুক পোস্টে ‘কুৎসিত রসিকতা’। তাঁর (Udayan Guha) ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন মন্ত্রী? (Udayan Guha)

    মহিলাদের এই আন্দোলনের প্রস্তুতি-পর্বের ঢেউ ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। আন্দোলন সফল করতে কোমর কষে নেমে পড়েছেন মহিলারা। জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ সভায় যাবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। অরাজনৈতিক একটি আন্দোলনের আঁচ যে এত ব্যাপক হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূলের নেতারা। উত্তরবঙ্গ জুড়েও এই আন্দোলন নিয়ে চলছে জোর চর্চা। স্বাভাবিকভাবে এই আন্দোলনকে হেয় প্রতিপন্ন করে তৃণমূল কোম্পানির নয়নের মণি হতে চাইছেন তৃণমূলের এই মন্ত্রী। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। ফেসবুক পোস্টে উদয়ন (Udayan Guha) লেখেন, “দিনহাটার কেউ কেউ কাল (বুধবার) রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।” মহিলাদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করতেই মন্ত্রীর এই ধরনের পোস্ট বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    সরব বিজেপি

    উদয়নের (Udayan Guha) এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির (BJP) এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়ে লেখা হয়েছে, “নারীবিদ্বেষী পোস্ট তৃণমূলের মন্ত্রীর। আরজি করে ধর্ষণ এবং হত্যার ভয়াবহতার মধ্যে শক্তিকে জোরদার করতে রাজ্যের মানুষ যখন আজ (বুধবার) রাস্তায় নেমে শঙ্খ বাজানোর পরিকল্পনা করছে, তখন উদয়ন গুহ অশ্লীল রসিকতা করেছেন!” বিজেপির এ-ও অভিযোগ,” মন্ত্রী গার্হস্থ্য হিংসার মতো ঘটনাকে তুচ্ছ বলে মনে করেন। তাই রাত দুপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে কোনও মহিলা যদি জনপ্রতিনিধি বলে উদয়নের সাহায্য চান, তাঁদের সরাসরি ‘না’ বলে দেবেন মন্ত্রী।” বিজেপির  (BJP) কটাক্ষ নিয়ে উদয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আমি কোনও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করিনি।” বিজেপি এক্স হ্যান্ডলে কী প্রতিবাদ জানিয়েছে দেখে নিন।

    Sexist remarks by TMC Minister Udayan Guha.

    When the people of West Bengal are planning to hit the streets tonight and blow conch shells to raise the Shakti within amidst the RG Kar rape and murder horror, Udayan Guha resorts to vulgar jokes!

    He trivializes domestic violence… pic.twitter.com/ivku5jBDur

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share