Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ সেনা নাকি তাঁকে দেখে পালিয়েছে, এরই প্রতিবাদে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মঞ্চে বৃহস্পতিবার যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেনাকে কেন অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন শুভেন্দু। তিনি বললেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু আরও বলেন, “সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে ডোরিনা ক্রসিং। আমাদের দেশের সেনাকে দেখে চিন পালায়, পাকিস্তান পা ধরে।”

    আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মমতা

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?” শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) একবার সারা রাত নবান্নে কাটিয়েছেন। কেন জানেন? আর্মি একটা সার্ভে করে। বড় বড় ব্রিজে কত গাড়ি যাতায়াত করে ইন্টারন্যাশানালি, সেটাকে কাউন্ট করার একটা সার্ভে হয় কয়েক বছর অন্তর অন্তর। এক বছর গাড়ি কাউন্ট করছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, আর্মি ঢুকে পড়েছে!” ঘটনার রেশ ধরেই শুভেন্দু বলতে থাকেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যেন আলাদা দেশ, যে সেনা ঢুকে পড়ল? কেন? তার প্রতিবাদে তিনি সেই রাতে নবান্নে ছিলেন।” শুভেন্দুর প্রশ্ন, “এটা কোন ধরনের মানসিকতা? এটা দেশ বিরোধীদের মানসিকতা।” তখনই তিনি অভিযোগ করেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।”

    প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়েছে। আমি বললাম আপনারা কেন পালাচ্ছেন। আপনারা বিজেপির কথায় এটা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের আগে জানাতে পারতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিচ্ছে না, এমন অভিযোগও ওঠে। সে প্রসঙ্গেও এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওঁদের কেউ পঁচিশ বছর, কেউ কুড়ি বছর, জীবনের যে প্রাইম টাইম, তাঁরা দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এখনও দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের যে অপমান করা হয়েছে, তাঁরা প্রতিবাদ করতে এখানে বসতে চান। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার অনেক শর্ত চাপিয়েছে, যাতে এখানে কোনওভাবেই করতে না পারেন।”

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC Scam) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (SSC Scam) গঠন করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন

    এই মামলায় শুধুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর কন্যা, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান-সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নাম। আদালত সূত্রে খবর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (IPC 120B), প্রমাণ নষ্ট করা (IPC 201), প্রতারণা (IPC 420), নথি জাল করা (IPC 467, 468) ও জাল নথি ব্যবহার (IPC 471)— এই ধারাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে।

    কারা রয়েছেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই প্রথমবার চার্জ গঠন হলো। মামলার শুনানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মামলার নথি অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগ কর্তা (SSC Scam) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, আধিকারিক অশোক সাহা ও পর্ণা বসু। নাম রয়েছে বেশ কিছু এজেন্টেরও, পাশাপাশি নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল ও নীলাদ্রি দাসের।

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে (SSC Scam) দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে সওয়াল করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য— “আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে আমাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।” তবে আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দেয়। একইভাবে পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানালেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি ছিল— তাঁরা নির্দোষ। আইনজীবীর সওয়ালে বলা হয়, অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তখন পরেশ অধিকারী কোনও পদে ছিলেন না, তাই প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে আরেক প্রার্থী। ২০২২ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয় এবং প্রাপ্ত বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করার ঘটনায় স্পিকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা (Contempt Of Court) দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশেই বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল— মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।

    স্পিকারের আদালত অবমাননা (Contempt Of Court)!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে স্পিকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। শুধু তাই নয়, আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী আবেদন করেছেন যাতে বিধানসভার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। তার আগেই রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিজেপির অভিযোগ— স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করার সামিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়

    বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়— তাহলে কি বিধানসভায় আইন সমানভাবে প্রযোজ্য নয়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর যুক্তি, বিধানসভার স্পিকার নিজেই জানিয়েছিলেন কোনও বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষীসহ প্রবেশ করেছেন, যা আদালত অবমাননার সমান।

    শুভেন্দুর মামলায় কী রায় দিয়েছিলেন বিতারপতি অমৃতা সিনহা?

    এর আগে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল— তৃণমূল বিধায়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে, অথচ বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সে সময় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বিধানসভার আইন অনুযায়ী সেই নোটিস বহাল থাকবে। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল— বিধানসভার সচিবকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নিয়ম সব দলের বিধায়কদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।

  • SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এর পরে রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশ জুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর (SIR) শুরু করতে পারে তারা। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হয়ে যেতে পারে। বুধবার, কনফারেন্স কাম ওয়ার্কশপে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসআইআর নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কতটা। তাতে অধিকাংশ আধিকারিকই জানান যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ডওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরেই এসআইআর শুরু হতে পারে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনে বৈঠক

    বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে এসআইআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন যা এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ে গণ্য করা হবে। যেমন উত্তর-পূর্বের রাজ্য বা উপকূল অঞ্চলে যেখানে আদিবাসী জনসংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাসস্থানের সার্টিফিকেট বা জনজাতি পরিচয়ের সার্টিফিকেট গণ্য করা হবে।

    বাংলায় দু-দশক পরে এসআইআর

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল। ২০০২ সালের এসআইআর অনুসারে ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক সেই তালিকা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে উদ্যোগী কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া। এছাড়া যারা ঠিকানা বদল করেছেন বা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কিংবা ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ নেই, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    কীভাবে হবে এসআইআর

    বিহারের পর এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। তবে দেশজুড়ে একযোগে এই প্রক্রিয়া চালু হবে নাকি যেসব রাজ্যে আগামিবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে আগে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ

    পাঁচ রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল ও পন্ডিচেরি—আগামী বছরে ভোট, ফলে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর আগে চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও কর্মীবাহিনীও প্রস্তুত রেখেছে তারা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০০২ সালে বাংলায় ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আরও বেশি স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।”

    অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা

    এই ভোটার তালিকার নিবিড় ও বিশেষ সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানো। বাংলাদেশ ও মায়ানমার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই পদক্ষেপটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অবশেষে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে দেশজুড়ে এসআইআর চালু করতে চলেছে। সারা দেশে এসআইআর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন, বলে জানিয়েছেন। কোনও সঠিক ভোটদাতার নাম বাদ পড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছে কমিশন।

  • SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে বেশ সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ১ মার্চ থেকে ৩১ মে-এর মধ্যে কমিশনের কাছে নতুন ভোটারের বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। এসআইআর-এর (SIR) খবর আসতেই অনেকেই ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে আবেদন করছিলেন। ফর্ম ৬ হল নতুন ভোটারের আবেদন, আর ফর্ম ৮ হলো ঠিকানা বা তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন। অন্যদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ আবেদনপত্রে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। বাকি বাতিল হয়েছে।

    মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন

    জানা গিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন (SIR)। এই তিন মাসে মোট ২ লক্ষ ৩৩ হাজার আবেদন এসেছে, যার মধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। আবেদন বেশিরভাগ এসেছে বাংলার সীমান্তবর্তী জেলা—মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনা থেকে। বিশেষত মুর্শিদাবাদ থেকে ৩০ হাজার, দুই ২৪ পরগনা থেকে যথাক্রমে ২০ ও ২৫ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফর্ম পূরণের সময় কয়েকটি কলাম এবং নির্দিষ্ট নথি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। যদি কোথাও খামতি থাকে বা কোনও কলাম ফাঁকা থাকে, তবে আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।

    ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে

    রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় (SIR) ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৬.০৫ লক্ষ আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বাকি ৪০.২৩ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে কারণ সেগুলিতে ভুয়ো নথি ছিল। বিভিন্ন জেলায় বাতিলের হারও অনেকটাই বেড়েছে। মুর্শিদাবাদে বাতিলের হার ৫৬.৪৪ শতাংশ, কোচবিহার ৪৪.৮৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর ৪৪.৮১ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪৪.৬৮ শতাংশ, মালদা ৪১.২৫ শতাংশ এবং নদিয়ায় ৪২.১১ শতাংশ।

    এসআইআর-এর আগে তালিকায় নাম তুলতে হিড়িক

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর (SIR) ভয়ে অনেকেই হঠাৎ করেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে না পারায় আবেদনের একটি বড় অংশ বাতিল হয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে অনেকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে অনলাইনে ভোটার কার্ডের আবেদন করলে তা সরাসরি বাড়িতে পৌঁছাত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি আবেদন শুনানি-এর মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

  • TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) নেতা। একুশে জুলাই তৃণমূলের পোস্টারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের সেই তরুণ তুর্কি নেতা দেবাংশু বিশ্বাস (Debangshu Biswas) ওরফে দীপই এবার গণধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায়। অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় বছর কুড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন দেবাংশু ও তাঁর সহকারী চন্দন মালিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (TMC)

    দু’জনেই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে ওই তরুণী হাজির হন দেবাংশুর ফ্ল্যাটে। সেখানে তখন উপস্থিত কেবল দেবাংশু। অভিযোগ, এর পরেই দেবাংশু ও চন্দন তাঁকে ধর্ষণ করেন। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার ওই তরুণীর জন্মদিন ছিল। ওই দিন অভিযুক্ত চন্দন ও দেবাংশু তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এক সঙ্গে খাবার খায়। খাওয়া শেষে তরুণী চলে যেতে চাইলে অভিযুক্তরা তাঁকে যেতে বাধা দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে গ্যাং-রেপ করে ওই তরুণীকে।” পরের দিন ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন হরিদেবপুর থানায়। ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার সহকারী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের ধরতে চলছে তল্লাশি অভিযান।

    দেবাংশুর আরও একটি পরিচয়

    দেবাংশু কেবল তৃণমূলের নেতাই নন, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি সংস্কার বিভাগে রেভেনিউ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। যে ফ্ল্যাটে দেবাংশু ও তাঁর সহকারী এই দুষ্কর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটের মালিক জানান, তিনি নীচের তলাটা তৃণমূল কর্মী দেবাংশু বিশ্বাসকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেবাংশু নিজেকে সরকারি কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সেখানে থাকবেন (TMC)।

    ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ কসবায়ও 

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতর রক্ষীর ঘরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তিন নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কলেজেরই দুই ছাত্র এবং এক প্রাক্তনীকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও। ওই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি। নির্যাতিতা নিজেও টিএমসিপির সদস্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। অভিযোগ দায়ের করা হয় ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধেও। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভেতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন (Debangshu Biswas)। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও তিনি পাননি (TMC)।

    কাঠগড়ায় সেই তৃণমূলের তিন তুর্কি

    সেই সময় নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ছাত্র পরিষদের নেতা হওয়ায় কলেজে দাপট ছিল অভিযুক্তদের। তাই কলেজের রক্ষীও ছিলেন অসহায়। অভিযোগ, ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানালে তাঁর প্রেমিককে খুন করিয়ে দেওয়ার এবং বাবা-মাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। তৃণমূলের ওই তিন অভিযুক্ত এও জানিয়েছিলেন, এ সব তাঁরা আগেও করেছেন। ইউনিয়ন রুমে সেদিন হকি স্টিক দিয়ে নির্যাতিতাকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরে রক্ষী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তদন্তকারীরা এই (Debangshu Biswas) ঘটনার চার্জশিটও জমা দিয়েছেন। কসবার পর এবার হরিদেবপুরেও উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। এবং কাঠগড়ায় সেই শাসক দলেরই নেতা (TMC)।

    নেত্রীর আস্কারা!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীর আশীর্বাদী হাত মাথায় থাকায় বার বার অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছেন দলের নেতারা। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে বিতর্কের জেরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, “আমরা অযোগ্যদের পাশে আছি”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, খোদ দলনেত্রীর এই অস্কারা পেয়েই নানা ক্ষেত্রে একের পর এক কুকীর্তি করে চলেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা। কারও নাম জড়িয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারিতে, কেউ আবার কাঠগড়ায় উঠেছেন রেশনসামগ্রী পাচারের অভিযোগে। বালি চুরির কলঙ্কও লেগেছে কারও গায়ে। ধর্ষণে অভিযুক্তের সংখ্যা তো বোধহয় গুণেও শেষ করা যাবে না। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনায়ও (Debangshu Biswas) অভিযুক্ত বহু তৃণমূল নেতা। এই তালিকায়ই সর্ব শেষ সংযোজন হরিদেবপুরের দেবাংশু বিশ্বাস ও তাঁর সাগরেদ (TMC)।

  • Sand Mining Scam: কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির হানা, বালি পাচার মামলায় ভোর থেকে তল্লাশি ঝাড়গ্রামেও

    Sand Mining Scam: কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির হানা, বালি পাচার মামলায় ভোর থেকে তল্লাশি ঝাড়গ্রামেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি পাচার মামলায় (Sand Mining Scam) কলকাতার একাধিক জায়গায় সোমবার ভোর থেকে তল্লাশি চালাল ইডি (ED Sand Raid)। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে শেখ জাহিরুলের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতেই রাজ্যের নানা দিকে রওনা দেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সোমবার ভোরে প্রায় একই সময়ে প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২০টিরও বেশি জায়গায় রেইড করে ইডি। কলকাতার বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর, কল্যাণীর মতো এলাকায় পৌঁছে যায় ইডির বিশেষ টিম।

    সাইকেল মিস্ত্রি থেকে কোটিপতি

    সূত্রের খবর, একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হলেও, তদন্তকারীদের মূল ‘টার্গেট’ ছিল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের শেখ জাহিরুল। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর গাড়িও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। শেখ জাহিরুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি তোলা ও ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, জাহিরুলের বাড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শেখ জাহিরুল একসময় সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন। অতি কষ্টে দিন কাটত। পরে ভিলেজ পুলিশের চাকরি পান। সেখানেও নামমাত্র বেতন। পরে বালি ব্যবসায় নামেন। আর এরপরেই তাঁর ভাগ্য ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে একাধিক বালি তোলার ঘাটের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেরিয়া ও জামবনি ব্লকের একাধিক বালিঘাটের সঙ্গে জড়িত। সেই সব এলাকাতেও তল্লাশি চলছে ইডি। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, শুধু অবৈধভাবে বালির ব্যবসাই নয়, এই পাচার চক্রের বিপুল অর্থ ঘুরপথে বিভিন্ন বিমা সংস্থা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণে আর্থিক লেনদেনের নথি, ব্যবসার হিসাবপত্র ও অন্যান্য সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কলকাতায় কোথায় কোথায় তল্লাশি

    এদিন তল্লাশি চলছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কয়েকটি ঠিকানাতেও। কলকাতায় বেহালার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে রিজেন্ট কলোনির একটি ঠিকানাতেও। তা ছাড়াও সল্টলেক, টালিগঞ্জের কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে অরুণ শ্রফ নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে জিডি মাইনিং নামক একটি কোম্পানিতে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সংস্থার মালিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত ২২টি জায়গা যে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি তাতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে সবটাই এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে পরপর দুটি বৈঠক করতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (SIR)। রবিবার ও সোমবার বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সোমবার রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। ওই দিন অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (Election Commission)। তার আগে, শনিবার অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির লক্ষ্যে দফতরের আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন।

    ১০ তারিখ বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজিত হয়েছে জোড়া বৈঠক। এই বৈঠকগুলোর পর, ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠকে রাজ্যের তরফে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করবেন সিইও — এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। অর্থাৎ একপ্রকার ধরে নেওয়া যাচ্ছে, রাজ্যে এসআইআর হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

    বাংলায় শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এসআইআর!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত সিইও দফতরে নিয়োগের জন্য চারজন আধিকারিকের নামের প্যানেল পাঠানো হয়নি। চিঠিতে দ্রুত ওই চার আধিকারিকের নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেলের নাম পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিহারে শুরু হয়েছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা (Election Commission)। সেই রাজ্যে বাদ পড়েছে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপাতত খসড়া তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ার পরেই কি এবার বাংলায় এসআইআর শুরু হতে চলেছে? সে পথেই কমিশন এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে, বাংলায় এসআইআর (SIR) চালুর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান— এই বিষয়ে তাঁরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন। আর এখন সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে ৫০ হাজারে, রয়েছে রেকর্ডিং’’, এসএসসি পরীক্ষার আগে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে ৫০ হাজারে, রয়েছে রেকর্ডিং’’, এসএসসি পরীক্ষার আগে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ফের বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ফের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন বিক্রি হবে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জড়িত। তাঁর কথায়, ‘‘৫০ হাজার টাকায় মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে, আমি রেকর্ডিং পেয়েছি। আগের বার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও জীবনকৃষ্ণরা এজেন্ট ছিল। এবার নতুন কিছু এজেন্ট দিয়ে করাবে (SLST Exam)।’’

    বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নপত্র!

    এসএলএসটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান যে, উত্তর ২৪ পরগনায় একটি চক্র ৫০,০০০ টাকায় সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডাব্লুবিএসএসসি) দ্বারা পরিচালিত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। যেখানে ৩৫,৭২৬টি শূন্যপদ রয়েছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ৭ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য তাঁর কাছে আছে। এনিয়ে তাঁর কাছে রেকর্ডিংও আছে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি হবে না, তাই অন্যপথ

    এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যখন বুঝতে পেরেছে যে তারা অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য ওএমআর শিট দিয়ে কারচুপি করতে পারবে না, তখন তারা এখন অন্য উপায় অবলম্বন করেছে। এজেন্টদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমার কাছে খবর আছে যে, ৭ সেপ্টেম্বরের প্রশ্নপত্র ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’’

    এসএসসি হল চিটিংবাজ, ফেরেব্বাজ, ফোর টোয়েন্টি

    তাঁর কথায় (Suvendu Adhikari), ‘‘এই এসএসসি হল চিটিংবাজ, ফেরেব্বাজ, ফোর টোয়েন্টি। অযোগ্যদের আসল তালিকায় সংখ্যাটা ছিল ১৯৫৬ জন। সেখানে মাত্র ১৮০৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ভাইঝি-সহ ১৫৮ জন অযোগ্য শিক্ষককে আবার পরীক্ষায় বসাচ্ছে। এই পরীক্ষা অবৈধ। দেদার প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতারা ঘোষণা করে যাচ্ছে পরীক্ষার সময় খাতা খুলে দেখবে, পার প্রার্থী পিছু ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কারণে রেলের পরীক্ষাগুলো ওড়িশায় হয়।’’

  • Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। সাসপেন্ড হয়েছিলেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul)। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যরাতে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে।

    নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি

    বর্তমানে নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই বিধানসভা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে বিক্ষোভে। ওইদিন মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul) ছিলেন। তাঁদের মার্শাল দিয়ে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে, যাতে আহত হন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। বর্তমানে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত শুক্রবার বিকেল বা শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

    অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারেনি মোদির সভাতেও

    উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় সফরের সময় তিনটি নতুন মেট্রো রুট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, তখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেও ছিলেন (Agnimitra Paul)। বৃহস্পতিবার বিধানসভার উত্তেজনার পর তিনি রাতে বাড়ি ফেরেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই ঘুমাতে যান তিনি। কিন্তু শুক্রবার ভোর থেকেই হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে।

LinkedIn
Share