Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অসহায় মানুষদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে দেখা গেল এক বিএসএফ আধিকারিকের। শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে বিএসএফ কর্মকর্তাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন। একজন বিএসএফ (BSF) কর্তা কীভাবে শান্তভাবে অসহায় বাংলাদেশিদের বোঝাচ্ছেন তা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই ভিডিও মনজয় করেছে নেটিজেনদের।

    বাংলাদেশিদের বিএসএফের কর্মকর্তা ঠিক কী বলেছেন? (BSF)

    কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশিরা যখন নদী পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করেন, সেই সময় এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক বলেন,  “আমার কথা শুনুন, আমি যা বলছি তা শুনুন। আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সারা বিশ্ব জানে। এর জন্য আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমরা এমনভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। আমরা চাইলেও আপনাকে সীমান্ত পার হতে দিতে পারি না।” এরপরও কয়েকজন বাংলাদেশি চিৎকার করে ভারতে ঢুকতে দেওয়ার আর্জি জানান। তখন এই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, “দয়া করে আমার কথা শুনুন, চিৎকার করে কিছুই বের হবে না। গোটা বিশ্ব এই সমস্যার কথা জানে। তবে এখনও এটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একবার সেই আলোচনাগুলি হয়ে গেলে, আমরা আপনার স্থিতি এবং সুরক্ষা সম্পর্কে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারব।” এরমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, “দয়া করে আমাদের ভারতের ভিতরে যেতে দিন, আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলবে এবং আমাদের নির্যাতন করবে।” এরপরই বিএসএফের এক কর্মকর্তা তখন শরণার্থীদের বলেন, “সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ভারতে প্রবেশ করতে চায় তাদের অভিযোগ শোনা হবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শিবসেনা নেতা ভিডিও শেয়ার করে কী বললেন?

    শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা একটি ভিডিও শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “এই পরিস্থিতির মধ্যে বিএসএফের (BSF) ওই আধিকারিক নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে অসহায় বাংলাদেশিদের বুঝিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য।

    বিএসএফের মুখপাত্র কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) মুখপাত্র বলেন, বিএসএফ এডিজি (পূর্ব কমান্ড) রবি গান্ধী ১০ অগাস্ট বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। বৈঠকের একদিন পরে ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা আরও বাড়ানোর জন্য বিশদ আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য ভালো সাড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে এডিজি-র অধীনে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ। কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ, কখনও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তাই তাঁর বিরুদ্ধে নানান গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন! গত দু’বছরে একাধিকবার তাঁকে নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। এমনকী বদলিও করা হয়নি। গত শুক্রবার থেকে ফের তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই সব কিছু নিয়ে তিনি ভাবতে নারাজ ছিলেন! তিনি আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (RG Kar Hospital) সন্দীপ ঘোষ। অবশেষে অবশ্য প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বলা যায়, ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

    কী অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে? (RG Kar Hospital) 

    আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির পাহাড়। এমনই অভিযোগ তুলছেন ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মীদের একাংশ। হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেলের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ, কয়েক বছর আগে এমন অভিযোগ তুলেছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। এ নিয়ে অধ্যক্ষকে (Principal) অভিযোগ জানাতে গেলে, তিনি দু্র্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগও ওঠে! এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও শাসক দলের তৎপরতায় বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের নানান শাস্তি দেওয়া হয় বলেই তাদের অভিযোগ।

    আরজিকর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী সুপারদের একাংশ। স্বাস্থ্য ভবনে দেওয়া তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হাসপাতালের নানান যন্ত্রপাতি কেনা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপালের (RG Kar Hospital) অবৈধ লেনদেন চলত। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হত, সেখানেও অনিয়ম চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    বছর খানেক‌ আগেই স্বাস্থ্য ভবনের উদ্যোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স বিভাগের তদন্ত চলে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষের বদলি হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বদলির নির্দেশ দেওয়ার দেড় দিনের মধ্যে ফের বদলে যায় নির্দেশ‌। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নয়া নির্দেশ জারি করে জানানো হয়, তিনি আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্বেই থাকবেন।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? (RG Kar Hospital) 

    শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা কতখানি, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (Principal) এই ঘটনায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে পারেন কি? চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রিন্সিপাল রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার একাধিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর তার জেরেই নানান অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সন্দীপ ঘোষ? 

    আরজি কর হাসপাতালে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Hospital) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। তার আলাদা করে কিছুই বলার নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে অবশ্য তিনি ইস্তফা দিয়ে জোর গলায় বলেন, স্বেচ্ছায় তিনি এই কাজ করলেন। কেউ তাঁকে জোর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Rakhi: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    Ram Mandir Rakhi: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি পূর্ণিমার এখনও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবুও, বাজারের দোকানগুলিতে রাখি বিক্রি চলছে রমরমিয়ে। প্রতি বছর রাখির বাজারের বেশ কিছু ট্রেন্ডিং রাখি দেখতে পাওয়া যায়। যেই রাখিগুলি সকলের নজর আকর্ষণ করে থাকে। এ বছর বাজার কাঁপাচ্ছে রাম দরবার এবং রাম মন্দির (Ram Mandir Rakhi) নামে দুটি রাখি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার একাধিক বাজারেই মিলছে এই ট্রেন্ডিং রাখি। বেশি দাম হলেও বাজারে এই দুটি রাখির চাহিদা তুঙ্গে।

    রাম দরবার-রাম মন্দির রাখির দাম কত? (Ram Mandir Rakhi)

    জেলা কোচবিহারের (Cooch Behar) সদর শহরের এই বাজারে বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন। এই বিক্রেতারা এই ট্রেন্ডিং রাখি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরো বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত এই রাখি নিচ্ছেন অনেকটা পরিমাণে। আর ক্রেতারা ভিড় করছেন রাখির দোকানে। কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের রাখি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বণিক বলেন, সাধারণভাবে রাখির দাম শুরু হয় ১০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ দামের রাখি হল ১২০ টাকার, যেটা এবার ট্রেন্ডিং রাখি। বাজারে এবার দুটি ট্রেন্ডিং রাখি বিক্রি হচ্ছে। একটি রাখির নাম ‘রাম দরবার’। যা ভাই ও বোনের একসঙ্গে দুটি রাখির একটি সেট। এই রাখি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দামের মধ্যে যাচ্ছে। আর অন্যটির নাম ‘রাম মন্দির’। তার দাম ১২০ টাকা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    ক্রেতারা কী বললেন?

    বাজারে রাখি কিনতে আসা এমন এক ক্রেতা বলেন, ‘‘রাখি পূর্ণিমার বেশ কিছুটা সময় আগে থেকেই রকমারি রাখি উঠতে শুরু করেছে। আর সেগুলির মধ্যেই জেলার মানুষের কোনও এক রাখি দারুণ পছন্দের হয়। তখন সেই রাখি ট্রেন্ডিং হয়ে পড়ে। তবে আরও বেশ কিছু রাখি রয়েছে যা দীর্ঘ সময় ধরে পছন্দ করে বহু মানুষ। ব্রেসলেট রাখি, বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুনের রাখি সব সময়ের জন্য বাজারে ভালো পরিমাণ বিক্রি হয়ে থাকে। তবে, ট্রেন্ডিং রাখিগুলি নতুনের মধ্যে অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। রাম মন্দিরের (Ram Mandir Rakhi) রাখিই এ বছর বাজারে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমি নিজেও এরকম একটি রাখি কিনেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    RG Kar Hospital: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) হয়েও পরনে কেপি অর্থাৎ কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) লেখা টি-শার্ট, বাইকে পুলিশ লেখা স্টিকার। পুলিশের দাপট নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা, লোককে হুমকি। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি দেখে হতবাক শহরবাসী। শুধু সঞ্জয়ই নন, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আরজিকরের ঘটনার নাম করে হুমকি দেওয়ার। এরপরই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে। কোথা থেকে এত সাহস পান সিভিকরা? হাইকোর্ট একাধিকবার সিভিক নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ার করেছে। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। পুলিশের ছত্রছায়ায় থেকে শাসক দলের গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়াররা, এমনই দাবি বিরোধী দল থেকে আম জনতার।

    সঞ্জয়ের দাপট

    কাগজেকলমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী। কিন্তু একদিনও সেখানে ডিউটি না-করে রাতারাতি পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য হয়ে যান আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Hospital) ধৃত সঞ্জয় রায়। কীভাবে তাঁর এই উত্থান উঠছে প্রশ্ন। নেপথ্যে কারও প্রশ্রয় রয়েছে? অভিযোগ, কমিটির এক প্রভাবশালী অফিসারের মদতেই সঞ্জয়ের এই বাড়াবাড়ি। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৯-এ ডিএমজি বিভাগে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে চতুর্থ ব্যাটালিয়নের বারাকে হামেশাই থাকতে শুরু করে সঞ্জয়, যে অনুমতি বা অধিকার তার ছিল না। করোনার পর থেকে সেটাই হয়ে ওঠে তার পাকাপাকি আস্তানা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সঞ্জয়ের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কাছে হলেও বেশির ভাগ সময়ে সে আরজি কর হাসপাতালে ঘোরাফেরা করত। রাতেও অবাধ যাতায়াত ছিল হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোরে। তাকে চিনত না, হাসপাতালে এমন কেউ নেই। শুধু পুলিশের টি-শার্ট পরে ঘোরাঘুরিই নয়, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বাহিনীর মহিলা কর্মীদের কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে।

    ভাতারের ঘটনা

    আরজিকরেই (RG Kar Hospital) থেমে নেই সিভিকদের এই দাপট। সূত্রের খবর, ভাতারের হাসপাতালে সুশান্ত রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার শুক্রবার রাতে মত্ত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘‘আরজি করে কী হয়েছে জানেন তো?’’ পরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় ফের সিভিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্য প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের এত বাড়বাড়ন্ত তা মানছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    সিভিকদের সীমানা

    এই দুই ঘটনা, বিশেষ করে আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের পর টনক নড়েছে মমতার প্রশাসনের। হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে৷ হাসপাতালের কতটা সীমানা পর্যন্ত যেতে পারা সিভিকরা, সেই নিয়েও বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরির পথে কলকাতা পুলিশ৷ ফলে এবার সরকারি হাসপাতালে ভলান্টিয়ারদের গতিবিধি রুখতে সক্রিয় হচ্ছে লালবাজার৷ এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চোপদস্থ আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তবেই সম্পূর্ণ বলতে পারব৷” এই বিষয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, “ভলান্টিয়ার হল তৃণমূলের পোষা গুন্ডা ৷ এটা হল নিজের পার্টির মস্তানদের ঢুকিয়ে দেওয়ার একটা জায়গা৷ এদেরকে অবাধ আচরণ করতে দেওয়া হয়েছে৷ এরা রাজনৈতিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যদি যুক্ত না হত, তাহলে এই প্রকারের ঘটনা ঘটত না৷” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) জেরে সোমবার থেকে রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবাতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। তার কারণ রাজ্যজুড়ে বহু হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার সকাল থেকেই আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল সহ শহর এবং জেলায় জেলায় একাধিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কাজে যোগ দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor), এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে রোগী ও রোগীর পরিবারের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কলেজ স্কোয়ার-আরজি কর (RG Kar) মিছিল, যোগ দেবেন নির্যাতিতার বাবা-মা 

    প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজিকর পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা-বাবারও (RG Kar)। প্রসঙ্গত, এই মিছিলের সময়ই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন এই ক্ষোভ কীভাবে সামাল দেয় সেটাই এখন দেখার। প্রসঙ্গত, আজ সোমবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও অচিকিৎসক কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আরজি করের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে ১৫ দফার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, লালবাজার। এই নির্দেশিকাতে মহিলা চিকিৎসক, ছাত্রী সহ নারী সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশিকায় পুরোপুরি খুশি নন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। তাঁরা বলছেন, ‘নো সেফটি নো ডিউটি’।

    আবাসিক ডাক্তারদের ৬ দফা দাবি (RG Kar)

    ইতিমধ্যে, রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১২টি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই বৈঠকে মোট ছ’দফা দাবি তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবাসিক ডাক্তাররা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের এই দাবিগুলি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। যে দাবিগুলি পেশ করা হয়েছে সেগুলি হল— 

    ১. ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে

    ২. তদন্তে স্বচ্ছতা আনতে হবে।

    ৩. আরজি করের সমস্ত আধিকারিকদের পদত্যাগ, আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ির এসিপিকেও পদত্যাগ করতে হবে

    ৪. ছাত্রদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কলকাতা পুলিশকে।

    ৫. মৃত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    ৬. সকল হাসপাতালের কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে মহিলা শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রশ্ন তুলেছেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের এক্তিয়ার এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসন কার্যত দুস্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার কাজ করে থাকে। এই রাজ্যে যে কোনও অপরাধীদের শাস্তি হয় না। এই খুনে ধৃত সঞ্জয় রায়, তৃণমূলের তৈরি করা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সক্রিয় সদস্য। ফলে মমতা সরকার খুনিদের শাস্তি নয়, আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকার চালাচ্ছেন। ঠিক এই ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি এই রাজ্য সভাপতি।

    কী বলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রবিবার কলকাতার দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরজিকর কাণ্ডে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই সঞ্জয় রায় হলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), শান্তনুকে দিয়ে যে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি তৈরি করেছেন তার সক্রিয় সদস্য এই ব্যক্তি। এই খুনি কোন থানার ভলান্টিয়ার আমরা জানি না। ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ, কাজের এক্তিয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। কেন পুলিশের মতো আইন রক্ষকের ভূমিকা পালনে বিচারবিভাগ ছাড়পত্র দেয়নি সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। গত নির্বাচনগুলিতে আমরা দেখেছি এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ তৃণমূলের জন্য ভোট লুটে প্রধান ভূমিকা পালনের ঘটনা আগেই সকলের নজরে এসেছিল। ফলে রাজ্য সরকার কম বেতনে জোর করে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে তাঁদের। কাজের পরিসীমাকে ঠিক করা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    আর কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তার ট্রাফিক পরিচালনা করানো হয়। আবার ফাইন করানোর কাজেও ব্যবহার করে রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষ এবং হাসপাতাল, কেউ ভালো করে জানেই না ওদের কাজ কী। সরকার স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই বিরোধী দল করলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার কাজ করে সিভিক ভলান্টিয়াররা। অল্প বেতন এবং চুক্তি ভিত্তিক হওয়ায় তোলাবাজির কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-সমর্থকদের মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে অসামজিক কাজে লিপ্ত হয়। এই সরকার এই ঘটনায় জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আরজি করের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। একক ব্যক্তির কাজ নয়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সিবিআইকে এখনও লিখিত অনুরোধ করেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইন পরিবর্তন করতে বলছেন, গুলি করতে বলছেন কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তো তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নয়। তাই পদক্ষেপ তাঁদেরই নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আস্কারায় ঘটেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Medical: নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    R G Kar Medical: নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R G Kar Medical) মৃত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে রয়েছে ১১টির বেশি আঘাতের চিহ্ন। সেই সঙ্গে হয়েছে একাধিকবার ধর্ষণও (Rape), মিলেছে এমনই প্রমাণ। ফলে কোনও একজনের পক্ষে কি এই কাজ করা সম্ভব? নাকি ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত? এরকমই প্রশ্ন তুলছেন মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রুত সামনে আনতে হবে। একই ভাবে তৃণমূল মূল অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতার (R G Kar Medical) শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ একাধিক জায়গায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। চলেছে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। একজন ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক বলেছেন, অপরাধ এবং আঘাতের চিহ্ন দেখে স্পষ্ট বলা যায়, এই ডাক্তারি পড়ুয়ার তরুণীর উপর অনেক সময় ধরে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। তবে একজন এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকলে হয়তো ওই পড়ুয়া স্বাভাবিক চিৎকার বা বাধা দেওয়ার কাজে সক্ষম হতে পারতেন। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা দেখে অনুমেয় যে একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল। আরও এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃতার শরীরে পাওয়া ক্ষতগুলিকে ভালো করে পরীক্ষা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। গলা এবং বুক, দুই জায়গায় গায়ের জোরে চেপে ধরার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে অপরাধের ধরন দেখে মনে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত। কারণ শ্বাসরোধ করে মারতে গেলে দুই হাত গলায় থাকবে। আবার এক ব্যক্তির পক্ষে শ্বাসরোধ করলে, বুকে চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সবটা একজনের পক্ষে করা কঠিন। তবে অনেকক্ষুণ ধরে অত্যাচার না করলে এমনটা সম্ভব নয়। এতগুলি আঘাতের চিহ্ন কীভাবে সম্ভব। তাই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিই একমাত্র অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল

    শনিবার আরজিকরের (R G Kar Medical) সমানে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিরাট সংখ্যায় পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামে। উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এই আন্দোলনে ডাক্তার এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল। বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সচিব ডিএমই-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ফাস্ট ট্রায়াল কন্ডাক্ট হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলায় পুলিশ নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছে। আরও বেশি পরিমাণে সিসিটিভি লাগানো হবে। হস্টেলের সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য রেজিস্টার খাতা চালু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar: মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    R G Kar: মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে (R G Kar) নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মমতা সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA)। অন্যথায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই চিকিৎসক সংগঠন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই কথা উল্লেখ করে নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে। এর পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তারা। ডাক্তারদের বিশেষত মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিও লেখা রয়েছে তাদের বিবৃতিতে। প্রসঙ্গত কর্মক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে সারা দেশ জুড়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি (R G Kar)

    নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ (IMA) লিখছে যে দেশের সম্পূর্ণ মেডিক্যাল ব্যবস্তা সম্পূর্ণভাবে হতবাক হয়ে গিয়েছে আরজিকর কাণ্ডের পরে এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কোনও ভাষাই তাদের কাছে নেই। এই জঘন্য অপরাধ আরজি করের তৃতীয় তলের সেমিনার হলের মধ্যে করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে এটা স্পষ্ট যে ওই চিকিৎসককে হত্যার পূর্বে ধর্ষণ করা হয়। এই অপরাধ প্রমাণ করছে ঠিক কতটা বিশৃংখল পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। অর্থাৎ মমতার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে কার্যত এই ভাবেই কাঠগড়ায় তুলল আইএমএ।

    একই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএ (R G Kar) এবং যদি এই সময়সীমার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয় সে ক্ষেত্রে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ জানিয়েছে, নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে। প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ আরও জানিয়েছে হাসপাতালের ভিতরে ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে এবং তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারকেই নিতে হবে।

    আগেই হুঁশিয়ারি দ্য ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের

    প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনেরও (R G Kar) আগে দ্য ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে। আরজিকর কাণ্ডের পরে দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি করেছে তারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে তারাও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এবং চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ওই সংগঠন।

    শনিবার প্রতিবাত-কর্মবিরতি চলেছে দিনভর

    আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবারই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সরকারি হাসপাতালে নাইট ডিউটির সময় কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের এ হেন পরিণতিতে বিস্মিত দেশ। এই ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করেছেন অনেকে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। দিল্লির এইমস সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের চাপে অবশেষে গাফিলতি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেও রাজ্যের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিজেপির চাপ

    যেভাবে হাসপাতালের মধ্যে অর্থাৎ নিজের কর্মস্থলে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস মৃত্যু হয়েছে তাতে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন একাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকৎসকরা। নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ বলে নিন্দায় সরব হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরএসএস-পন্থী চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছে। তারা চিকিৎসকদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চাও।

    সিবিআই তদন্তে রাজি মমতা

    রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই সব দাবি মানছে রাজ্য। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যে কোনও এজেন্সি তদন্ত করলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর  কথায়, ‘‘আমাদের (রাজ্য সরকারের) উপর আস্থা না থাকলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

    পড়ুয়াদের ক্ষোভ সঙ্গত

    পড়ুয়াদের ক্ষোভকেও সঙ্গত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশপাশে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, হাসপাতালের ভিতরের বিষয় দেখভালের জন্য সুপার, প্রিন্সিপালদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও ফাঁকফোকর ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়। আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।”

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার

    আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা্ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল আরও বলেন, ‘‘সারা রাত তদন্ত চালানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, পরিবার অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে চাইলে আপত্তি নেই। আমরা সহযোগিতা করব।’’

    চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত চিকিৎসকরা একের পর এক হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কর্মবিরতি সিএন‌এমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, এস‌এসকেএম‌ও। কর্মবিরতি জেলার হাসাপাতালেও। আরজি করের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি পরিষেবা সচল রেখে বাকি পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। হাসপাতালের সুপার অফিসের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও

    দেশের সব ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনকে এই ঘটনার প্রতিবাদে নামার আবেদন জানিয়েছে এইমস আরডিএ। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তাররা। পিজিআই চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনাকে যারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে। পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ বাড়ছে, সার্বিক ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তা প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape-Murder Incident) ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের (State Government Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।

    অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় (RG Kar Hospital) উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

    নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস ঘটনা (RG Kar Hospital)

    পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মধ্যে কলকাতা সমেত জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এদিন দিনভর প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনকারী (Doctor Rape-Murder Incident) ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদর সাফ কথা, ‘‘আমরা রাত জেগে রোগীদের জীবন রক্ষা করব, অথচ আমাদের নিজেদের জীবনের কোনও সুরক্ষা থাকবে না? আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার।’’

    কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি (Doctor Rape-Murder Incident)

    নৃশংস এই ঘটনায় (RG Kar Hospital) ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না তাঁরা। কলকাতা থেকে জেলা সর্বস্তরে চিকিৎসকদের হাতে এদিন রয়েছে পোস্টার, তাতে লেখা ‘বিচার চাই’। কলকাতা মেডিকেল কলেজেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Doctor Rape-Murder Incident)। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, শিশু মঙ্গল হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও নীলরতন সরকার হাসপাতালেও। সর্বত্র প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে।

    নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

    কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর পরিবার-পরিজনদের এদিন সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁরা কোনও রকমের চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন না। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে রাতে, সেই সঙ্গে মৃত তরুণীর (RG Kar Hospital) জন্য উপযুক্ত তদন্ত ও অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও হাতে পোস্টার হাতে বসে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    অন্যদিকে, শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন (Doctor Rape-Murder Incident)। তাঁদের হাতেও রয়েছে পোস্টার। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ম আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দোষী বা দোষীদের। এছাড়া,  সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি-বিক্ষোভ অবস্থানে (RG Kar Hospital) নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন।

    জেলাগুলিতেও চলছে প্রতিবাদ-কর্মবিরতি 

    অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলিতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সর্বত্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগও বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কমবেশি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের বক্তব্য একই, দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে এবং কঠোর সাজা (RG Kar Incident) দিতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    কী বলছেন জেলার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘ডাক্তারদের মারধর, অসম্মান এত দিন আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা খোলা আছে। আমরা বিচার চাই।’’ তবে এমন আন্দোলনের প্রভাব দেখা গিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাতেও। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে কোথাও জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি।

    কী বলছেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসরা? 

    আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই এখানে। গত দিনের ঘটনার পর আমরা ভয়ে আছি। আমাদের পরিবার চিন্তায় আছেন। আমাদের এক জনকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলে দেওয়া হল। তার পরেও কীভাবে আমরা এই হাসপাতালে কাজ করব?’’ অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে যা হয়েছে, আগামী দিনে তা আমার সঙ্গেও হতে পারে। আমরা এখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে, দোষীদের কঠোর শাস্তি না হলে আমরা কাজে ফিরব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share