Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sundarban: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    Sundarban: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে (Sundarban) ফের দুর্যোগের (Disaster) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর থেকে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত সতর্কে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর করা হয়েছে লাল সর্তকতা।

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর (Sundarban)

    কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় উপকুলে ঝড়ের (Disaster) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গোটা সুন্দরবনের (Sundarban) উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মাইকে করে উপকুলবর্তী এলাকায় সাবধান বার্তা দেওয়ার কাজ চলছে। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তরফে ফেরিঘাট ও জনবহুল এলাকায় চলছে বিশেষ নজরদারি। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জীর্ণ এবং বেহাল সেতুবাঁধ, নদীর ধার থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের ফাঁকা বুথে কারা দিলেন এতো ভোট? ভূতুড়েকাণ্ডে শোরগোল!

    বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা

    আবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে, আপাতত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা (Sundarban), পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা জেলা, নদিয়া মুর্শিদবাদ জেলায়। একই ভাবে সোমবারের পর মঙ্গলবার সবগুলি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। একই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে রবি-সোম-মঙ্গলে ভারী বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে।

    নতুন করে ভাঙন গঙ্গাসাগরে

    পূর্ণিমার কোটালে আবারও নতুন করে ভাঙলো গঙ্গাসাগরের(Sundarban) কপিলমুনি মন্দিরের নদী তীরবর্তী এলাকা। এর আগেও গঙ্গাসাগরের তিন নম্বর থেকে ৫ নম্বর রাস্তা ভেঙে চলে গিয়েছিল নদীগর্ভে। আজ রবিবার নতুন করে তিন নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের যে রাস্তা তা ভেঙে চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় দোকানদারেরা সেখান থেকে দোকানগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে না নামার জন্য করছেন মাইকিং। বিগত কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও ফাঁকা বুথ (Empty Booth), কিন্তু এতো ভোট কারা দিলেন? এই ভূতুড়ে ভোটারদের ঘিরে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণের উপনির্বাচনের (Assembly By-Election 2024) চিত্রটাই ছিল ঠিক এমনই। জ্ঞানদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১২৭ নম্বর বুথ। এই ভোটকেন্দ্রে সিপিএম পেয়েছে ৮ ভোট, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫২ ভোট। অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭১ ভোট। বুথে মোট ভোটারদের ৯৩.৬৪ শতাংশ একক ভাবে পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ দেখেই উঠছে প্রশ্ন। আবার কুঞ্জবিহারী দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুম নম্বর ২। সেখানে সিপিএম পেয়ছে ১১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৬৪, তৃণমূলের ভোট ৫০৯। বুথে ভোট পড়ার পরিমাণ ৮৫.৯৮ শতাংশ। এই দুই বুথ থেকেই বোঝা যাচ্ছে কীভাবে ভোট হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এটাই হল তৃণমূলের ‘ডায়মন্ড হারবার মডলে।’

    মাণিকতলায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ (Assembly By-Election 2024)

    নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সূত্র দেখে জানা গিয়েছে, রাণাঘাট দক্ষিণের অন্তত ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট (Assembly By-Election 2024) ৮০ শতাংশ। আবার মাণিকতলায় গত লোকসভার ভোটে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ১৬ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আবার উপনির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে থেকেই তৃণমূলের লিড ৩৫৭০ ভোটে। ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে মাত্র ১০০ ভোট পেলেও, সিপিএম ২৮, কিন্তু তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে পেয়েছেন ৭১৬ ভোট। আবার ৭৫ নম্বর বুথে বিজেপি পেয়েছে ৬৭ ভোট, সিপিএম পেয়েছে ৯ ভোট আর তৃণমূল ৪৭৬ ভোট। একই কেন্দ্র ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি, সিপিএমের ভোট একই। কিন্তু তৃণমূলের ভোটের ক্রমটা ৩৪২, ৩৯২, ৩৬২, ৩৬৭, ৩৪৯। দেখেই যেন মনে হবে কেউ তৃণমূলের জন্য ভোটের নম্বর মনগড়া বসিয়েছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের ভোট (Empty Booth) নিয়ে।

    বাগদা এবং রায়গঞ্জে ভোটের পরিমাণ

    আবার বাগদা কেন্দ্রের ২৩৩, ২৩৫, ২৪০, ২৭৮ নম্বর বুথে ভোট লুট (Assembly By-Election 2024) হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ২৩৫ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৩০ এবং বিজেপির বিনয় বিশ্বাস ১০। একই ভাবে ২৩৩ নম্বর বুথে তৃণমূল ৬৭৮, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪৭ এবং বিজেপি ৫৫। আবার ২৪০ নম্বর বুথে তৃণমূল ২৮১, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ এবং বিজেপি ৩৪। তাই ভোট কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৪০২ ভোট, আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। এক মাস পরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে গেল ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট। এই ভোট গ্রহণ এবং ফলে বিরোধীরা শাসক দলের ষড়যন্ত্র মনে করছে।

    আরও পড়ুনঃ কেউ পাননি ভাতা কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রাণাঘাট দক্ষিণে ৭০ হাজার, বাগদায় ২০ হাজার এবং রায়গঞ্জে ৫০ হাজার ভোটারকে ভোট (Assembly By-Election 2024) দিতে দেয়নি তৃণমূল। মাণিকতলায় ৮টি ওয়ার্ডে লুট করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে হিন্দুদের ভোট দিতে দেয়নি।” অপর দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কাউকে কোথাও ভোটে বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সমাবেশে কেউ এসেছেন সাগরদিঘি থেকে থেকে তো কেউ বা আবার বাঁকুড়া থেকে। তবে শহিদ সমাবেশে বাদ গেল না তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ। কারও অভিযোগ ভাতা পাচ্ছেন না তো কেউ আবার অভিযোগ করছেন সময় মতো মিলছে না খাবার। গোঘাট থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) তো কোনওরকম রাখঢাক না করেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, ‘‘পাক্কা ৩ ঘণ্টার ওপর লাইন দিয়ে রয়েছি, এখনও খাবার পাইনি। ব্যাপক ঠেলাঠেলি চলছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা।’’ আর এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘‘পরিবেশন যাঁরা করছেন, তাদের সংখ্যাও বেশ কম। আয়োজনও বেশ কম করা হয়েছে। অনেক লোকই লাইন দিয়েও খাবার পাচ্ছেন না। খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’

    বিশৃঙ্খলার ২১ জুলাই (TMC 21 July)

    কিছু সমর্থক আবার বলছেন, ‘‘লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। খাবার নিয়ে হুড়োহুড়ি চলছে।‘’’ অনেকের আবার এও অভিযোগ, ‘‘বহুবার ভাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে সমস্যা, খেতে পারছেন না কর্মীরা।’’ তবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে পাতে মেনু রয়েছে সয়াবিন, ডিম ভাজা আর গরম ভাত। এতেই প্রশ্ন উঠছে, শহিদ দিবস (TMC 21 July) কি আদৌও আবেগের দিবস নাকি তা তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ দিবস হয়ে দাঁড়াল। মুখ্যমন্ত্রী গাল ভরা ভাষণ তো দিচ্ছেন, একাধিক প্রকল্প নিয়ে। তবে তার বাস্তবায়ন কী হচ্ছে! এমন প্রশ্ন আর বিরোধীরা তুলছেন না, খোদ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এনিয়ে।

    ভাতা বন্ধ, কী বলছেন তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July) একাংশ?

    সাগরদিঘি থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) জানিয়েছেন, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মতিউর শেখ নামে ওই কর্মীর আরও অভিযোগ, ‘‘আমরা বায়রন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসেছি। আমাদের মতো প্রচুর গরিব মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক ভাতাই মিলছে না। এ বিষয়ে আমরা বিডিওকে জানালে তিনি বলছেন সরকার টাকা দিচ্ছে না।’’ বাঁকুড়া থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী শেখ জোহাদও। একই অভিযোগ তাঁরও। তিনি বলছেন, ‘‘প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়া অন্য ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষক বন্ধু আটকে গিয়েছে। বিধবা ভাতা আটকে গিয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বার্ধক্য ভাতাও আটকে গিয়েছে। যদিও আমাদের ওখানে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদ। হতে পারে ওদের জন্য পাচ্ছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) শহিদ দিবসকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু, তার মধ্যে এক ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ভাঙরের হাতিশালা এলাকায়। বাস থামিয়ে শহিদ দিবসে যাওয়ার পথে অশ্লীল নৃত্য তৃণমূল কর্মীদের। এই তৃণমূল কর্মীরা বাসে করে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই তাঁরই দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন অশ্লীল নৃত্য, প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে।

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July)

    উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনেও আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি, বললেন তৃণমূল নেতারা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড়

    ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, একুশে জুলাইকে (TMC 21 July) সামনে রেখে চোরেদের মিটিং। এটা কে কত খাবে, কে কত সেটিং করবে, আর সেখানে এই ধরনের নৃত্যই তো কাম্য। তৃণমূলের থেকে এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্টজনদের মতে এই ছবি শুধু নিন্দারই যোগ্য নয়, বরং আজকের এই বিশেষ দিনটিকেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিমালিপ্ত করা হল। শহিদদের অপমান করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। গত তিন-চারদিন ধরে শয়ে শয়ে ভারতীয় দেশে ফিরছেন। কিন্তু, এখনও বহু ভারতীয় বাংলাদেশে রয়েছেন। তাঁরা ফিরতে পারেননি। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার অনেক পড়ুয়া আটকে রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে। ফলে, চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কারণ, অনেককেই ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না।

    চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন (Bangladesh Protest)

    হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার ডেলটা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। একই কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া রানিনগরের ইমরুল কায়েস। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁরা আটকে রয়েছেন ঢাকা (Bangladesh Protest) শহরে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকজন কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর আগে শেষবার যখন যোগাযোগ হয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল, ঘরে ফেরার জন্য তাঁরা বাস পাচ্ছেন না। বাতিল হয়েছে উড়ান। ফলে তাঁদের মতো অনেকেই আটকে রয়েছেন সেখানে। হরিহরপাড়ার নাসিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম বলেন, “ছেলে যে কলেজে পড়ে সেখানকার নিরপত্তারক্ষী খুন হয়েছেন। এই ঘটনার পর ছেলে আতঙ্কে রয়েছে। সে বাড়ি ফেরার জন্য বাস পায়নি। প্লেনও পায়নি। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। ফলে, আমরাও ওর সঙ্গে ঠিক মতো যোগাযোগ করতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। প্রতিদিন খবরে যা দেখছি, তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ছেলের সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অনেক পড়়ুয়া রয়েছে। সকলেই দেশে না ফেরা পর্যন্ত আমাদের আতঙ্ক কাটবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলে খুব ভালো হয়।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    কী বললেন সাংসদ?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “এই এলাকায় অনেকে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) রয়েছে। তাঁরা ফিরতে চাইছেন, সেখানকার পরিস্থিতির কারণে তাঁরা আটকে পড়েছেন। তাঁদের ফেরানোর জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব। ছেলেমেয়েরা যাতে ঘরে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। সেখানে মৃত্যুমিছিল চলছেই। এই আবহে চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন পড়ুয়ারা। এরমধ্যে নেপালের পড়ুয়াও রয়েছেন। প্রত্যেকে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিলেন। রবিবার হিলি সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে ফিরলেন। বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের হিলি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বেশকিছু ভারতীয় হিলি চেকপোস্ট (Hili Border) দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন।

    ৩২০ জন পড়ুয়া বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ফিরলেন (Bangladesh Protest)

    ভারতে চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে আসা বাংলাদেশিরা (Bangladesh Protest) হিলি চেকপোষ্টের মাধ্যমে দেশে ফিরে যান। অপরদিকে, বাংলাদেশে কার্ফু থাকার কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। শনিবার যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি নিয়ে গিয়েছিলেন, এদিন সকালে ফাঁকা লরি নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নামানো হয় সেনা-বাহিনী। শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা এবং ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই দৃশ্য এদিন দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি চেকপোষ্টে। পাশাপাশি নেপাল থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভারতে ফিরতে দেখা যায়। এদিন ৩২০ জন পড়ুয়া হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    দেশে ফিরে কী বললেন পড়ুয়ারা?

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বুগুড়াতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ আমরা পাইনি। কিন্তু, ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিল। কলেজ থেকে বলেছে বাংলাদেশে এখন থাকা সেফ হবে না। তাই আমরা ফিরে এলাম। আমাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মুম্বই, কাশ্মীরের পড়ুয়াও রয়েছে। আমরা সকলেই মেডিক্যাল পড়তে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।

    আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তে

    হিলি (Hili Border) এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ওপার বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। এরফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ের (Saktigarh) ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান, দুর্গাপুর কিংবা কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচা খাননি এমনই মানুষ খুব কমই মিলবে। খাদ্যরসিক বাঙালি ল্যাংচা হাবেই বুঁদ হয়ে যান। এবার থেকে এই মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার আগে সাবধান! কারণ, ল্যাংচা হাবে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য সামনে এল তা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।

    ল্যাংচার গায়ে ছত্রাক! (Saktigarh)

    জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শক্তিগড়ে (Saktigarh) ল্যাংচা হাবে অভিযান চালান। মূলত গ্রামে হানা দিতেই দেখা যায়, ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তিনি বলেন, “আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই মানুষ আসবে, কিনে খাবে জানে। তারা তো আর অভিযোগ জানাতে যাবে না। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সেগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি কয়েকজনের নামে। ফুড সেফ্টি অ্যাক্ট মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ক্ষুব্ধ ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা

    ল্যাংচা (Langcha Hub) ব্যবসায়ীরা বলেন, “এভাবে গ্রামে অভিযান বেআইনি। রোজ তো ল্যাংচা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। আগের দিন ভেজে রাখতে হয়। পরদিন রসে দিয়ে বিক্রি করি। এই যে বাড়ি বাড়ি গেলেন, তার তো কোনও সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল না, পারমিশনও দেখাননি। এটা বাজে ব্যাপার হল। ল্যাংচা সমিতিতে জানানো হবে। আমরা অভিযোগ জানাব।” আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “ল্যাংচা (Langcha Hub) রেখে বিক্রির প্রশ্নই নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: ২১ জুলাই শাসকের শক্তি প্রদর্শন ঘিরে দুর্ভোগ মানুষের, কী হবে মুমূর্ষ রোগীদের?

    TMC 21 July: ২১ জুলাই শাসকের শক্তি প্রদর্শন ঘিরে দুর্ভোগ মানুষের, কী হবে মুমূর্ষ রোগীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশে জুলাই (TMC 21 July) তৃণমূলের শহিদ দিবস! শহিদ দিবস কার্যত পরিণত হয়েছে শক্তি প্রদর্শন দিবসে। তৃণমূলের এহেন সমাবেশকে ঘিরে দুর্ভোগের সীমা নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন! রাস্তায় অমিল বাস। মানুষ গন্তব্যে যেতে পারছেন না। চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, একুশে জুলাই সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহর কলকাতায় ন’টি বড় রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার এমন চিত্র দেখা গেলেও শনিবার থেকেই বাসের সংখ্যা হু হু করে কমে গিয়েছে এবং শনিবার থেকেই হাওড়া স্টেশন সমেত শিয়ালদা স্টেশনে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে।

    ট্রেনে টিকিট কাটার তো বালাই নেই (TMC 21 July)

    ট্রেনে টিকিট কাটার তো বালাই নেই। গতকালই এমন এক তৃণমূল কর্মী (TMC 21 July) ধরা পড়লে নিজের ব্যাজ দেখিয়ে তিনি বলেন এটাই তো টিকিট। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে আপৎকালীন পরিষেবার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা? কোথাও যদি দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে দমকল পরিষেবার কী হবে? প্রসঙ্গত, ডোরিনা ক্রসিং-এর কাছে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। এর ঠিক ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই রয়েছে শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। কলকাতা ( Ambulance) মেডিকেল কলেজ, এসএসকেএম এবং এনআরএস। শুধু কলকাতায় নয় দেশের বাইরেও বহু মানুষ প্রত্যহ চিকিৎসা করাতে আসেন এখানে। সব সময় লেগে থাকে ভিড়।

    তৃণমূলের (TMC 21 July) শক্তি প্রদর্শনকে ঘিরে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের

    কিন্তু ২১ জুলাই যদি কোনও মুমূর্ষ রোগী আটকে যান ( Ambulance) তাহলে সেক্ষেত্রে কী হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর কেউই দিতে পারছেন না। কী ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ? মুমূর্ষ রোগীদের (TMC 21 July) যাতায়াতের জন্য? সে উত্তরও নেই। আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি কলেজ স্ট্রিট, ব্রাবোন রোড, স্ট্যান্ড রোড, রবীন্দ্র সরণি সর্বত্র যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে পুলিশ। একুশে জুলাই তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শনকে ঘিরে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। তবে যেহেতু শাসক দল তাই মুখ খুলতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    Bangladesh Protest: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)। জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশে যারা পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা দল বেঁধে দেশে ফিরছেন। একইসঙ্গে বহু বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। এমনিতেই বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে আশঙ্কা করেই সীমান্তে বিএসএফ কড়া নজরদারি শুরু করেছেন।

     গেদে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন পড়ুয়ারা (Bangladesh Protest)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া সাদিকুল। তিনি ভারতীয়। বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর ক্যাম্পাসের বাইরে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। খবর জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। কলেজের অন্য ভারতীয় ছাত্রেরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সে দলে নাম লেখান সাদিকুলও। রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসেন গেদে (Gede)। নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা নীলাভ সাইদ বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। তিনি বলেন, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলাম। জানি না, আগামী দিনে সব ঠিকঠাক হবে কিনা। জীবন নিয়ে ফিরলেও কেরিয়ার অনিশ্চিত হয়ে গেল। বাড়ি ফিরতে পারলাম, এটা ভেবেও ভালো লাগছে।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    আসছেন বহু বাংলাদেশি

    ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও আশ্রয় নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের রাজশাহী ঘোষপাড়ার বাসিন্দা চার খুড়তুতো-জ্যেঠতুতো ভাই গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন। গেদে (Gede) স্টেশন থেকে তাঁদের নানিকে ফোন করেন। নানির বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। তাঁরা সেখানেই উঠবেন। খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন চার ভাই। গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর হাঁফ ছেড়েছেন। এঁদের এক জন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিন্স মহম্মদ। তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ছাত্রেরাও বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। তাঁরাও এমন অনৈতিক সংরক্ষণ চাইছে না। ঢাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান। পেশায় আইনজীবী। বাংলাদেশের গন্ডগোলের জন্য তিনিও ভারতে চলে এসেছেন। গেদে সীমান্তে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। আমি ভ্রমণ করতে ভারতে এসেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, পেট্রাপোল দিয়ে রফতানি বন্ধ করল ভারত

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, পেট্রাপোল দিয়ে রফতানি বন্ধ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। বহু আন্দোলনকারীর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যাও বহু। নিখোঁজের তালিকায় আন্দোলনকারীর সংখ্যাও অনেক। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এবার বাংলাদেশে অশান্তির প্রভাব পড়ল পেট্রাপোল বন্দরেও (Petrapole Border)। শনিবার সকালের পর প্রতিবেশী দেশে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। আমদানিও চলছে ধীর গতিতে। এদিন সকালে শুধু বাংলাদেশে পেট্রাপোলের মাধ্যমে ৩৫ ট্রাক পণ্য রফতানি করা হয়েছে। তার পরেই বন্ধ করা হয়েছে রফতানি। আমদানি চলছে ধীর গতিতে।

    কেন বন্ধ করা হল রফতানি? (Bangladesh Protest)

    পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “শনিবার সকালে রফতানি শুরু হওয়ার পরে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির (এলপিআই)-এর সঙ্গে কথা বলে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। পণ্য রফতানি করছিলাম। পণ্য পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) সীমান্তের লোকজনের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে যোগাযোগ করছিলাম। কিন্তু, মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। এরফলে পণ্য কী ভাবে পাঠানো হবে, তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। তার পরেই এলপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এলপিআই আধিকারিক আধঘণ্টা রফতানি বন্ধ রাখার কথা বলেন প্রথমে। এরপর ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে তিনি পুরো রফতানি বন্ধ করার কথা বলেন। সেই মতো রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে যে সব ভারতীয় চালক রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনারও ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি আগের থেকে সামান্য বদলেছে। কিন্তু, এখনও উদ্বেগজনক। তাই বাণিজ্য আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদি বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে বার্তা পাই যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন আবার চালু হবে রফতানি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    ভারতে আসা যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে!

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে আসা যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে মুদ্রা বিনিময়ে। যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পেট্রাপোলে (Petrapole Border) থাকে যানবাহন। যাত্রী না আসায় তাদের ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। স্থানীয় যানবাহনের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁরা বলেন, “অন্য সময় সীমান্তে ভিড় লেগেই থাকে। এখন গোটা এলাকা খাঁ খাঁ করছে। চুপচাপ বসে আছি আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share