Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Darjeeling Road Closed: কালিম্পঙে রাস্তায় ধস, ফুঁসছে তিস্তা

    Darjeeling Road Closed: কালিম্পঙে রাস্তায় ধস, ফুঁসছে তিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিঙে প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা নদী। পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। তিস্তা নদীর দুই পাড়ে একাধিক রাস্তা ইতিমধ্যেই বন্ধ (Darjeeling Road Closed) হয়ে গেছে দার্জিলিং কালিম্পং সড়ক। ফলে যারা কালিম্পং বেড়াতে গিয়েছেন তাঁরা ফিরে আসার সময় সমস্যায় পড়তে পারেন। পর্যটকদের সাবধান করা হচ্ছে যাতে কোনওভাবেই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁরা ফিরে আসার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে তিস্তা বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

    পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ নেই

    আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এই মুহূর্তে কোন সম্ভাবনা নেই। অসম, মেঘালয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। স্যাটেলাইটে যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে উত্তরে জেলাগুলিতে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন আরও বৃষ্টি হবে। ফলে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতিবৃষ্টির পরে উত্তরবঙ্গের আরও একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে যেতে পারে।

    নতুন করে ধসের আশঙ্কা (Darjeeling Road Closed)

    স্থানীয় সূত্রে খবর দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হয়। তবে খুব ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। অত্যন্ত সাবধানে যাতায়াত করার জন্য বলা হয়েছে। কারণ একাধিক জায়গায় মূল রাস্তার উপর জল উঠে গিয়েছে। এর জেরে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে। বহু জায়গায় নতুন করে (Darjeeling Road Closed) ধস নেমেছে। রবিঝোরা এবং লিকুভির এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধসপ্রবণ এলাকায় ইতিমধ্যেই সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভিজল কলকাতা! হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, ধারাপাত দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    বাড়ছে জলস্তর

    প্রশাসন সূত্রে খবর, সিকিম দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ প্রবল বৃষ্টির জেরে যাতায়াতে (Darjeeling Road Closed) সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ে ধস নামছে। দুকুল ছাপিয়ে বইছে তিস্তা নদীর জল। দার্জিলিং কালিম্পং সড়কের উপর দিয়ে জল বয়ে চলেছে ক্রমাগত। ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে বালুখোলা এবং লিকুভিরে ধস নেমেছিল। সে কারণেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখতে হয়। ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সিকিম, ভুটান এবং উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে নদীগুলিতে জলস্তর আরও বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Metro Work: মেট্রোরুটে গাছ কাটা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    Metro Work: মেট্রোরুটে গাছ কাটা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো চলছে। বাকি পথ সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেই পথে মেট্রোরেল (Metro Work) প্রকল্পের জন্য দেদার গাছ কাটা হচ্ছে। সম্প্রতি এর বিরোধিতা করে  কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে প্রধান বিচারপতি জানালেন মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Metro Work) 

    এর আগে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গাছ কাটা আটকাতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। তাঁদের দাবি ছিল, ৭০০-র বেশি গাছ কাটা হয়েছে ইতিমধ্যে। ময়দান এলাকায় সবথেকে বেশি গাছ কাটা হয়েছে। তার ফলে গোটা শহরের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতেই গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানানো হয় আদালতে। এরপর ময়দান এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে মেট্রোর কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবার সেই মামলাই বৃহস্পতিবার খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: ভিজল কলকাতা! হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, ধারাপাত দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    কিসের ভিত্তিতে অনুমতি দিল আদালত?  

    জানা গিয়েছে গাছ কাটা হলেও আবার গাছ লাগানোর কথা আগেই জানিয়েছে মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল। অথচ এই তথ্য আদালতকে সঠিক ভাবে জানাননি মামলাকারী। তা ছাড়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি (Metro Work) আদায় করে কাজ শুরু করে নির্মাণ সংস্থা। আদালত মনে করছে, সংবাদমাধ্যমের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছে। তাই মামলাটি খারিজ করে আরভিএনএল-কে নির্মাণ কাজ চালিয়ে অনুমতি দিল হাইকোর্ট। 
    উল্লেখ্য, গাছ কাটার এই ইস্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য ময়দান চত্বরের গাছগুলি পুনরায় প্রতিস্থাপন বা ট্রান্সপ্লান্টেশন করার জন্য বনদফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি (Metro Work) মিলেছে। তাই কাজে বাধা আসার কোনও অর্থ হয় না। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভিজল কলকাতা! হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, ধারাপাত দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    Weather Update: ভিজল কলকাতা! হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, ধারাপাত দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে’ অবশেষে এল বৃষ্টি (Weather Update)। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গঙ্গা পাড়ে লুকোচুরি খেলছে বৃষ্টি। আসছি…আসছি করেও তার দেখা নেই। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পর আকাশে কালো মেঘ দেখেও তাই অনেকে বলতে পারছিলেন না বৃষ্টি হবে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল। নামল বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। ঘড়িতে বেলা ১টা। নামল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। রাস্তা-ঘাটে যাঁরা ছিলেন ছাতা না খুলেই ধারা স্নানে স্নিগ্ধ হলেন।

    কবে আসছে বর্ষা

    গত চার থেকে পাঁচ দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছিল। তাপমাত্রার পাশাপাশি অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল আপেক্ষিক আর্দ্রতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। এই সপ্তাহেই মৌসুমী বায়ু ইসলামপুর থেকে নীচের দিকে নামতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের প্রাক বর্ষার বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে সপ্তাহান্তে বদলাতে পারে আবহাওয়া। রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।  আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    গরমে কাহিল দক্ষিণবঙ্গবাসী চাতকের মতো অপেক্ষা করে ছিল বৃষ্টির জন্য। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা (Rain in Kolkata) এবং সংলগ্ন এলাকায় আকাশ মেঘলা, তবে বৃষ্টি হচ্ছিল না।  বৃহস্পতিবার সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। দমদম, যাদবপুর, বেহালা, ধর্মতলা, নিউ টাউন, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, কসবা এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। ভিজেছে একাধিক জেলাও। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়াও। তবে,  বেশির ভাগ জায়গাতেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। সেই বৃষ্টি খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ীও হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় ভাবে। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আর পড়ুন: নিট-ইউজি মেডিক্যাল এন্ট্রাস পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়ন, স্কোর কমতে পারে অনেকের

    উত্তরে দুর্যোগ অব্যাহত

    উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ আরও কিছুদিন চলবে, বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ের পাশাপাশি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে সিকিম ও দার্জিলিং-কালিম্পঙে অবিরাম বৃষ্টিতে তিস্তার জল বিপদসীমার উপরেই রয়েছে। দার্জিলিং-কালিম্পং রোডের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা। ফের বন্ধ যান চলাচল। জলে ভাসছে তিস্তাবাজার এলাকা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের জায়গায় জায়গায় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ। গাড়ির লম্বা লাইন, আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উত্তরবঙ্গবাসী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • TMC Conflict: “ভোটের টাকা আগে ফেরত দাও”, দলীয় নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    TMC Conflict: “ভোটের টাকা আগে ফেরত দাও”, দলীয় নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। সেই ঘটনার রেশ টেনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই লোকজন। শাসক দলের এই কোন্দলের (TMC Conflict) ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (TMC Conflict)

    জানা গিয়েছে, ভগবন্তপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই তৃণমূল নেতাকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ভগবন্তপুর এলাকায় প্রকাশ্যে রাস্তায় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (TMC Conflict) দেখাতে শুরু করেন। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, নির্বাচনের সময় বুথে খরচ করার জন্য দলীয়ভাবে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা বুথে পৌঁছায়নি। দলের টাকা কোথায় গেল? তা জানতে চেয়েই ভরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী বাচ্চু ঘোষ বলেন, “অনেক আগেই ওই নেতার থেকে টাকা চাওয়া উচিত ছিল। আমরাই ওনাকে ঘিরে ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছি।” আর এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “টাকা দিয়ে ঘর বানিয়েছ? কোথায় গেল দলের টাকা বলো,সব জানো তুমি। ভোটের টাকা আগে ফেরত দাও।”

    আরও পড়ুন: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    ব্লক সভাপতির মদতেই বিক্ষোভ!

    এই ঘটনায় পাল্টা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষের মদতে সবটা ঘটেছে। আমি স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় ঘিরে ধরে লোকজন। আমি বুঝতে পারলাম বর্তমান সভাপতি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি জায়গায় ডামাডোল পাকানোর চেষ্টা করছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির কী বক্তব্য?

    পাল্টা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, “রামকৃষ্ণবাবু দলের কোনও কর্মসূচিতেই নেই। নির্বাচনের সময় বাড়িতে বসে ছিলেন। আর বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তাঁর কাছে টাকা পৌঁছালেও সেই টাকা তিনি সঠিক জায়গায় খরচ করেননি। তাই, কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আর বিক্ষোভে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট মিটলেও কিছুতেই কমছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান ও উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খানাকুলের পোল-১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে। খবর পেয়ে জমায়েত হন তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল (Arambagh) থানার পুলিশ বাহিনীও। পুলিশের সামনেও চলে বচসা। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর খানাকুলের পোল ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন বনাম উপপ্রধান সেখ সাবির আলির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বুধবার সেই দ্বন্দ্বের রেষ গিয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। প্রধানের অভিযোগ, উপপ্রধান সেখ সাবির আলি তার কাছের কয়েকজনকে বেআইনিভাবে পঞ্চায়েতের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তা হতে না দেওয়ায়, উপপ্রধান ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর রুমে ঢুকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে, তাঁকে চেয়ার থেকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা উপপ্রধানের অভিযোগ, প্রধান সাবিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী দুজনে মিলে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করছে। এমনকী পঞ্চায়েতে টেন্ডারের শেষ দিন হলেও প্রধান নিজের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অন্যদের টেন্ডার কপি জমা নেয়নি। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আর কিছু ঘটেনি।

    আরও পড়ুন: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন প্রধান অনুগামী তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। উপপ্রধানকে তাঁর অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিশ বাহিনী । তারাই গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীদের। তবে, তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের প্রকাশ্যে এহেন দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসক দল। খানাকুল ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। যদি কেউ কোনও দোষ করে তা খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম গৌরহরি মাইতি। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর অঞ্চলের ১৯৮ নম্বর বুথ ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামের। তাঁর ছেলে শশাঙ্ক মাইতি স্থানীয় বিজেপি নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বিজেপি কর্মী শশাঙ্কের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) করে তৃণমূল। ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল বোমা, বন্দুক নিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু, বাড়িতে শশাঙ্ককে না-পেয়ে তাঁর বাবা-মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বেরিয়ে আসায় দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, গুরতর আহত অবস্থায় বিজেপি নেতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগবেড়িয়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শশাঙ্কের স্ত্রী খুকুমণি মাইতি অভিযোগ করেন, ” আমাদের বাড়িতে তৃণমূলের বিরাট দলবল হামলা চালায়। আমরা বিজেপি করি বলে টার্গেট করেছিল। আগেও বেশ কয়েকবার ওরা হামলা চালিয়েছে। প্রায়ই শাসানি দিত ওরা। রাতে হামলাকারীরা বোমা ও বন্দুক নিয়ে এসেছিল। আমাদের মারধর করছিল দেখে শ্বশুর ছুটে এসেছিলেন। তিনিও হামলার শিকার হলেন।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “এ বারের নির্বাচনে কাঁথি লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই রাগেই ওরা দল বেঁধে এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” যদিও গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উত্তমকুমার মাইতি। তিনি বলেন, “গতকাল এমন কোনও হামলার খবর জানা ছিল না। বিজেপি নেতার বাবা রাতে খাওয়া-দাওয়া করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kanchanjunga Express: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    Kanchanjunga Express: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjunga Express) দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মালগাড়ির গতিবেগ, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এমনই দাবি রেলের। এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনককুমার গর্গের নেতৃত্বে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তদন্তের কাজ। এদিনই কাটিহার ডিভিশনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করে একটি তদন্ত রিপোর্ট চিফ সেফটি কমিশনারের কাছে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের এই দাবি করা হয়েছে। মালগাড়িটিকে দ্রুত গতিতে যেতে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাঙাপানির গেটম্যান ‘সতর্ক’ করেছিলেন বলে বুধবার দাবি করেছেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা ২৮ মিনিট, মালগাড়ি নেয় ১৩ মিনিট

    রেল সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjunga Express) দুর্ঘটনার তদন্তে এদিন ডেকে পাঠানো হয় রাঙাপানির স্টেশন ম্যানেজার, রেল গেটের গার্ড, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালকদের৷ শিলিগুড়ি এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এডিআরএম অফিসে হাজির হন সকলে। সেখানেই একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। দুর্ঘটনার সময় কর্তব্যরত কর্মীরা কে, কী দায়িত্ব পালন করছিলেন, তা রয়েছে রিপোর্টে। প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সোমবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশনে ঢোকে। ছাড়ে ৮টা ২৭ মিনিট নাগাদ। দুর্ঘটনাটি ঘটে ৮টা ৫৫ মিনিটে। আর মালগাড়িটি ৮টা ৪২ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে। রাঙাপানি স্টেশন থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটারের কাছাকাছি। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, ওই পথ অতিক্রম করতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সময় নেয় প্রায় ২৮ মিনিট। অন্য দিকে, মালগাড়ির সময় লাগে ১৩ মিনিট।

    কী বলছেন ডিআরএম

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালক তিরিশ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পরে ট্রেনে চেপেছিলেন। ফলে টানা ডিউটির জেরে চালকেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, সেই যুক্তি এক্ষেত্রে খাটছে না। দুর্ঘটনাস্থল নির্মলজোত এলাকায় বজ্রপাতের ফলে সোমবার সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। এর পরে নিউ জলপাইগুড়ি-আলুয়াবাড়ি মেইন রুটের ডাউন লাইন দিয়ে মালগাড়ির আগে মোট সাতটি ট্রেন যায়। চালকেরা সকলেই ম্যানুয়াল মেমো সিস্টেমে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও (Kanchanjunga Express) সেই নিয়ম মেনেই এগোচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দাবি, ভুল ছিল মালগাড়ির চালকরেই। তবে ডিআরএম বলেন, ‘‘এখনই কোনও তথ্যে সিলমোহর বসাচ্ছে না রেল। সবটাই প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান।”

    তদন্ত  শেষ হতে কতদিন

    তদন্ত (Kanchanjunga Derailed) শেষ হতে কত দিন লাগবে, তা নিয়ে ডিআরএম বলেন, ‘‘আদৌ কত দিন সময় লাগবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তবে যে সমস্ত প্রশ্ন উঠে আসছে প্রশিক্ষণ না-দেওয়া বা মালগাড়ির চালকের পর পর তিন দিন নাইট ডিউটি দেওয়া নিয়ে, তা সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়। যখনই কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তখনই প্রশিক্ষণের কথা উঠে আসে। শুধুমাত্র বয়ান নয়, স্পিডোমিটারে মালগাড়ির গতিবেগ কত ছিল, সেটাও দেখা হবে। অন্য দিকে, মালগাড়ির যে ইঞ্জিন রয়েছে, সেটাতেও টেকনিক্যাল ফরেনসিক তদন্ত হবে।’’ 

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    ১০ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ 

    উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, “দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Derailed) সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় দশ জন কর্মীর বয়ান এদিন রেকর্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক রাজু বাল্মিকী, সহকারী চালক শৈলেন্দ্র কুমার, রাঙাপানি স্টেশনের কর্মী, গেটম্যান, লাইনম্যানের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অন্তত ৩০ জনকে তলব করা হয়েছে। তাঁদেরও বয়ান লিপিবদ্ধ করা হবে এবং একের সঙ্গে অন্যের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Last Metro: আর ছাড়বে না রাত ১১টায় মেট্রো, কী এমন হল?

    Last Metro: আর ছাড়বে না রাত ১১টায় মেট্রো, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকদিন ধরে রাত ১১:০০ টা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আগামী সোমবার থেকে আর রাত এগারোটা পর্যন্ত (Last Metro) মেট্রো পাওয়া যাবে না। ২৪ শে জুন থেকে রাত ১১:০০ টার বদলে (Metro Time Change) ১০:৪০-এ ছাড়বে শেষ মেট্রো। ফলে রাতের দিকে যাতায়াতে মেট্রোর সুবিধা থেকে বঞ্চির হতে পারেন বেশ যাত্রীরা।  

    যাত্রী কম, খরচ প্রচুর 

    সূত্রের খবর দমদম এবং কবি সুভাষ এর মধ্যে রাত ১১:০০ টার (Last Metro) ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩০০র কাছাকাছি ছিল। এদিকে ট্রেন চালানোর খরচ হিসেবে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খরচ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। আবার অনেক স্টেশনের কাউন্টার খোলা রেখে হাতেগোনা কয়টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। রাতে যারা যাতায়াত করছেন তাঁরা বেশিরভাগ মেট্রো কার্ড ব্যবহার করছেন। টোকেন বিক্রির হার যথেষ্ট কম। ফলে কাউন্টারে খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাতেরপরিষেবায় কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। যাত্রীরা ইউপিআই পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো মেশিন থেকে টোকেন নিতে পারবেন। আর যাদের কাছে মেট্রোর কার্ড আছে তাঁরাও ব্যবহার করতে পারবেন।

    ১১:০০টার বদল ১০:৪০ এ শেষ মেট্রো (Last Metro)

    মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মতে রাত ১১:০০টা পর্যন্ত মেট্রো চালিয়ে যত যাত্রী আশা করা হচ্ছিল, আসলে তত যাত্রীর মেট্রোতে উঠছেন না। ফাঁকা মেট্রো চালাতে হচ্ছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “রাতে মেট্রো চললে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন এবং তাঁদের চাহিদা পূরণ করা হবে এটা ভাবা হয়েছিল। এই কারণেই রাতের পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। তবে দেখা যাচ্ছে রাতের এই পরীক্ষামূলক (Last Metro) পরিষেবায় মেট্রোয় বেশি যাত্রী হচ্ছে না। অন্যদিকে এই পরিষেবা চালু রাখার জন্য মেট্রোর প্রচুর খরচ হচ্ছে। তাই সোমবার থেকে রাতের মেট্রোর সময় কমিয়ে আনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ূন: জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত ২৪ জুন থেকে মেট্রো পরীক্ষামূলক এই পরিষেবা কবি সুভাষ থেকে এবং দমদম স্টেশন থেকে ১০:৪০ শেষ (Last Metro) মেট্রো ছাড়বে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং সমস্ত স্টেশনে মেট্রো ট্রেন থামবে। শহর কলকাতায় যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীরা মেট্রো খুবই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিষেবা মেলে খুব অল্প দামে। অবশ্য করোনা অতিমারির আগে শেষ মেট্রো ছাড়ত রাত ০৯:৫৫ মিনিটে।

     

     

     

  • Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। ঠিক এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইতিমধ্যেই থানা ও জেলের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়েছেন বিচারপতি। বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের ভরসা নেই। সিবিআই তদন্তে করলে ন্যায় বিচার পাবে পরিবার।

    কী বললেন বিচারপতি? (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় নির্দেশে বলেছেন, “মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করতে হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দিতে হবে পরিবারের হাতে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court)

    গত ৪ জুন মেদিনীপুরের ডেবরার ভরতপুর অঞ্চলে পুরুষোত্তম নগরে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৪২ বছরের বিজেপি কর্মী সঞ্জয়। কিন্তু জেলে মাথা ফেটে যায় তাঁর। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু জেলে কীভাবে মাথা ফাটল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের তরফে মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা (Calcutta High Court) করলে বিচারপতি এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপির দলবিরোধী কাজের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হল অভিজিৎ দাস ববিকে

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মী সঞ্জয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয়ের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে সামজিক মাধ্যমে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতার পুলিশের বর্বরতায় হেফাজতে থাকাকালীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় (Calcutta High Court) তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Suspends Abhijit Das: দলবিরোধী কাজের জন্য অভিজিৎ দাস ববিকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিজেপি

    BJP Suspends Abhijit Das: দলবিরোধী কাজের জন্য অভিজিৎ দাস ববিকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কাজের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হল অভিজিৎ দাস ববিকে (Abhijit Das Suspend)। এই বারের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল তাঁকে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ভূমিপুত্রকে দাঁড় করিয়ে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাঁকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও ববির বক্তব্য, তিনি কোনও চিঠি পাননি।

    কেন বরখাস্ত (Abhijit Das Suspend)?

    মঙ্গলবার বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করতে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই এই কেন্দ্রের একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারধরের একাধিক অভিযোগের ঘটনা সমানে উঠে এসেছে। এমনকী, বেশ কিছু গ্রামের মানুষ বিজেপি করায় আক্রমণ করে বহু পরিবারের মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তৃণমূলের অত্যাচারে গ্রামগুলি জনশূন্য হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই এলাকা পরিদর্শন করতে আসা কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের গাড়ি আটকে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপিরই একাংশ। এই বিশৃঙ্খলার সময় ববি (Abhijit Das Suspend) উপস্থিত থাকলেও কার্যত নিস্ক্রিয় ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যেখানে ভোট-পরবর্তী হিংসার তথ্য সংগ্রহ করতে এসেছেন, তাঁদের সমানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল? এটাই দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন। তাই আগামী সাত দিনের জন্য তাঁকে দলের তরফ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ছিল

    আমতলার পার্টি অফিসে গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠক ছিল। তবে এই বৈঠকে ববি (Abhijit Das Suspend) এবং তাঁর অনুগামীরা অনুপস্থিত ছিলেন। এখানে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবার কথা ছিল বিজেপির তথ্যানুসন্ধানকারী দলের। তবে এই বৈঠকে হিংসায় আক্রান্ত কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সবটাই ববি পরিকল্পনা করে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে হবে ববিকে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

    আরও পড়ুনঃ জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন ববি?

    তবে ববির (Abhijit Das Suspend) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি এখনও কোনও এমন নির্দেশ পাইনি। ইমেইল বা ফোনে কোনও বার্তা পাইনি। পার্টির গোপনীয় চিঠি সংবাদ মাধ্যমের হাতে দিয়ে দলকে বদনাম করছে কিছু মানুষ। দলে থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের হাত শক্ত করছেন অনেকে। আমি এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share