Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামাবাড়িতে কাটানো সেই আনন্দের গল্প আর বন্ধুদের বলা হল না ছোট্ট স্নেহার। সোমবার সকালে বাবা-মায়ের হাত ধরে আনন্দে গদগদ হয়ে বাড়ি ফিরছিল স্নেহা। অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Train Accident) সে চেপেছিল সে। তারপর সব শেষ। মালদার ছ’বছরের স্নেহা মণ্ডলের নিথর দেহ এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে শুয়ে রয়েছে।

    স্নেহার বাবা-মা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে (Train Accident)

    সোমবার রাঙাপানি এলাকায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী ছিল স্নেহা। বাবা- মা’র সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মামাবাড়ি এসেছিল। সোমবার বাড়ি ফিরছিল। ট্রেন দুর্ঘটনায় স্নেহার বাবা মণিলাল মণ্ডল ও ছবি মণ্ডলও জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্নেহা সঙ্কটজনক অবস্থায় পিকু ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিল। পাশাপাশি সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মোট ৩৭ জন ভর্তি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। আর আশঙ্কাজনক ছিল ছ’বছরের ওই স্নেহা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল তার। সোমবার থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছিল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, “পায়ে আঘাত থাকার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কালকে থেকেই মেডিক্যাল টিম অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাটির রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করে। পিকুতে ভর্তি ছিল। আজ সকালে তাকে হারিয়েছি আমরা।”

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মেয়েকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন বাবা

    এদিন সকালে মৃত্যুর খবর শোনার পর চোখের জল মুছে চলেছেন বাবা মণিলাল মণ্ডল। সামনে কেউ গেলে বলছেন, আমরা এখন কাকে নিয়ে বাঁচব? কারও কাছে এর উত্তর নেই। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির মাটিগাড়া আমার শ্বশুরবাড়ি। ক’টাদিন সেখানে স্নেহা কত আনন্দই না করেছে। সোমবার বাড়ি ফিরছিলাম। আর ওকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব না।

     হাসপাতালে পরিজনদের ভিড়়

    এদিকে এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জখম যাত্রীর পরিজনরা একে একে আসতে শুরু করেন। কেউ প্রিয়জনকে জখম অবস্থায় বেডে শুয়ে থাকতে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কেউ বা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন। তাদের চোখে জল নেই। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। সকলেরই প্রশ্ন, কীভাবে এই সর্বনাশ হল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের লোকসভার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার খবর উঠে আসছে। ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) কারণে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। অনেক গ্রাম জনশূন্য। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঠাঁই হয়েছে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে। আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় দেখা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপির নেতৃত্বরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম।

    কেন্দ্রীয় টিমের বক্তব্য

    আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব। কেন্দ্রীয় টিমের পক্ষ তিনি থেকে বলেন, “বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টি এই কালচার শুরু করেছিল, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই একটি অংশ হিসাবে কাজ করে চলেছে। বাংলা থেকে বিরোধীদের শূন্য করার জন্য এই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, বেশিদিন এই অত্যাচার আর চলবে না বাংলায়। বিজেপি কী করতে পারে আর না পারে তা সময় বলবে। গ্রামে গঞ্জে মহিলারা থাকতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের পাঠিয়েছে। সব রিপোর্ট দেব। বিজেপি কর্মীদের ন্যায় দিতে যা যা করতে হবে করব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত করেছেন। পুলিশ সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এই অত্যাচার আর বেশিদিন বাংলার মানুষ সহ্য করবে না।” আবার বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারের গ্রাম জনশূন্য। গ্রামে লোক নেই। বিরোধী কণ্ঠস্বর বলে কিছু নেই। মমতার শাসনে কোন রাজত্ব চলছে?”

    আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    অত্যাচারে জনশূন্য গ্রাম!

    মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতলা এলাকায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রতিনিধি দলের সদস্য বিপ্লব দেব আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থক ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কথা শোনেন এবং সমস্ত রকম সাহায্যে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আলতা বেড়িয়া যে গ্রাম এখন তৃণমূলের অত্যাচারে জনশূন্য, সেই গ্রামেও ঘুরে দেখলেন তাঁরা। যেসব বিজেপি কর্মীর বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে একাধিক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে। আবার শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বাসন্তীর মসজিদ বাটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে। এদিন আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পরিদর্শন করে টিম। কিন্তু আতঙ্ক দূর হচ্ছে না গ্রামবাসীদের। কেন্দ্রীয় টিম চলে যাওয়ার পরে ভাঙচুর করতে পারে কর্মীদের বাড়িঘর। আবারও হামলা করতে পারে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Accident: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

    Kanchanjunga Accident: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নির্মলজ্যোত। সোমবার সকালে এই নির্মলজ্যোতে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা (Kanchanjunga Accident) ঘটেছিল। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১০। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক অবোধ সিঙ্ঘল মঙ্গলবার বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা ১০। কেননা সোমবার যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তা উদ্ধার হওয়া একটি মৃতদেহের। সোমবার রাতের মধ্যে মৃতদেহ শনাক্তকরণ পর্ব শেষ হয়। তখন দেখা যায় একটি মৃত দেহের পা নেই। চিকিৎসকরা সেই পা ওই মৃত ব্যক্তির বলে চিহ্নিত করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ন’জন। মঙ্গলবার ছ’বছরের এক শিশু মারা গিয়েছে। তাতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা মোট ১০ জন। 

    শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা (Kanchanjunga Accident)  

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাইন পরিষ্কার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। উদ্ধারকাজ কার্যত শেষ। দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Accident) স্মৃতি হিসেবে লাইনের পাশে পড়ে রয়েছে ট্রেনের দোমড়ানো- মোচড়ানো বগিগুলি। বাসিন্দারা সোমবার রাতে ঘুমোতে পারেননি। বীভৎস দৃশ্য, চিৎকার হাহাকার, জখম যাত্রীদের কান্না এখনও কানে বাজছে গ্রামবাসীদের। সোমবার ছিল ঈদ। গ্রামের সকলের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কারও নামাজ পড়া হয়ে গিয়েছিল। নামাজ পড়ে ফেরার পথেই খবর পান ট্রেন দুর্ঘটনার। অনেকে যাত্রীদের চিৎকার, হাহাকার শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাদ আলি, নাজিম আলি,  মহম্মদ শওকতরা বলেন, চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি ট্রেনের ভেতর থেকেই বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার ভেসে আসছে। এখনও কানে বাজছে সেই চিৎকার। সোমবার সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। কত শিশু পড়ে কাঁদছে। কেউ বাবা-মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। মন শক্ত করে উদ্ধারকাজে হাত লাগাই। তখনও  প্রশাসনের কেউ আসেনি। আমরা সাহসে ভর দিয়ে একে একে সব যাত্রীদের নামিয়ে আনি। ততক্ষনে অ্যাম্বুল্যান্স, বিভিন্ন গাড়ি পৌঁছতে শুরু করেছে। এক এক করে জখম যাত্রী, মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্স এবং গাড়িতে তুলে দিই। 

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    অভিশপ্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াবে নির্মলজ্যোত

    এদিন গ্রামবাসীরা বলেন, ঈদের উৎসব ভুলে গিয়েছিলাম। কাল রাত পর্যন্ত আমরা এখানেই ছিলাম। সকলকে বাঁচানই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু, অনেককে বাঁচানো যায়নি। বাবা- না পেয়ে শিশুদের কান্না ভুলতে পারছি না। সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার ট্রেন চলবে। কিন্তু, আমরা বয়ে বেড়াব অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি। মৃত্যুর মুখে পড়ে থাকা অসহায় মানুষের হাহাকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে একইসঙ্গে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উঠেছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারি লোকো পাইলট মনু কুমার। অভিশপ্ত মালগাড়িটি শিলিগুড়ির রাঙাপানি এলাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। আর তাতেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Kanchanjunga Accident) অনিল কুমারের মৃত্যু হয়। আর গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মনু কুমার।

    সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি (Kanchanjunga Accident)

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে বড় কিছু ঘটেছে তা বুঝতে পেরেছিলেন মনু কুমার। তবে, তাঁর চোট গুরুতর হওয়ায় দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Accident) বিষয়ে তাঁকে কেউ খুব বেশি কিছু বলছেন না। তাই, তাঁর সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি। কিন্তু, আন্দাজ করেছিলেন। বড় কিছু তো ঘটেইছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তখনও নিজের সহকর্মীর খোঁজ নিচ্ছিলেন মনু। আশঙ্কা করছিলেন কী হয়েছে ঠিক! তবে সেটা বুঝতে পারছিলেন না তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে কিছু একটি চিন্তা করছেন। তবে, তিনি খুব বেশি কথা বলছেন না।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন

    জানা গিয়েছে, একসঙ্গেই যাত্রা শুরু করেছেন মালগাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট মনু কুমার এবং লোকো পাইলট অনিলবাবু। অনেকখানি পথ গিয়েছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু, বাধ সাধল দুর্ঘটনা (Train Accident)। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু শুয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের বেডে। আর অনিলবাবু নেই। দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। বেডে শুয়ে মনু কুমার বলেন,”‘ড্রাইভার সাহাব ক্যাসে হ্যায়”। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এল, “এখনও ওঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।” এই উত্তর শুনে বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না হল তাঁর। চোখ বুঝলেন। আর কোনও প্রশ্ন করলেন না। হয়ত তিনি বুঝেই গিয়েছেন, তাঁর সহকর্মী আর নেই। তাই, আর কিছু বললেন না। মনু শুধু বললেন, “আমি কিচ্ছু জানি না। মোবাইল নম্বর মনে নেই। আমার কিছু মনে পড়ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Express: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    Kanchanjunga Express: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঙাপানিতে ভয়াবহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjunga Express) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন শান্তিপুরের দম্পতি। নিজেদের প্রাণ কার্যত হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। এরপর জানালেন, বীভৎস গতকালের সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা। এই দম্পতি হলেন তপন বিশ্বাস এবং কমলা বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি নদিয়া শান্তিপুরের থানা মোড়ে। ত্রিপুরায় তাঁদের মেয়ের বাড়ি। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং তারপর ফিরতেই পথে রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন।

    কী বললেন আহত স্বামী (Kanchanjunga Express)

    গতকাল রেল দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express) কবলে পড়ে বাড়ি ফিরলেও আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি শান্তিপুরের এই দম্পতির। গতকালের সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন তপন বাবু। তিনি বলেছেন, “তখন ঠিক সকাল বেলা, সেই সময় আমি ট্রেনের টয়লেটে ছিলাম। আচমকা হঠাৎ পেছনদিকে সজোরে কিছু একটা ধাক্কা মারে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এরপর প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভব হয়। আমার স্ত্রী ছিলেন সেই সময় ট্রেনের এসি কম্পার্টমেন্টের বি-ওয়ান কোচের ৩১ নম্বর সিটে। সাফাই কর্মীরা বাইরে তাকাতেই তাঁদের চক্ষু চড়ক গাছে উঠে যায়। পেছেন থেকে একটি মালগাড়ি জোরে ধাক্কা মেরেছে আমাদের ট্রেনে। একটি বগি আরেকটি বগির উপর উঠে গিয়েছে। চারিদিকে কান্না এবং হাহাকার শব্দ ভেসে আসছিল। রেলের বগিগুলি সব উল্টে গিয়েছে। এরপর উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় মুহূর্তেই। বগিও সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। সকলে নিজের নিজের প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করে দেয়। সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে কোনও রকমে আমি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। আমার পায়ে ও হাতে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। অনেক যাত্রী দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। সাক্ষাৎ যমরাজকে যেন দর্শন করেছিলাম। কোনও ক্রমে এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।”

    স্ত্রীর বক্তব্য

    অপরদিকে তাঁর স্ত্রী কমলা দেবী বলেন, “আমি বসেছিলাম ট্রেনের (Kanchanjunga Express) সিটে কিন্তু হঠাৎ ভয়ানক শব্দে রীতিমতো কেঁপে ওঠে কম্পার্টমেন্ট। তারপরেই হঠাৎ করে চোখের নিমেষে কী যে হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। তারপর স্বামী চিৎকার করে ডাকতেই কোনও রকমে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসি। আমরা দুজনেই কমবেশি আহত হয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    তিস্তা তোর্সায় বাড়ি ফিরেছেন

    এরপর স্ত্রীকে নিয়ে তপন বাবু, রেলের তরফ থেকে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছান। তারপর সন্ধ্যের দিকে তিস্তা তোর্সা ট্রেন দেয়া হয়। সেখানে রেল দুর্ঘটনায় (Kanchanjunga Express) আহত ব্যক্তিদেরকে একসঙ্গে কলকাতার উদ্দেশে পাঠানো হয়। তবে রেল কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদেরকে যে ট্রেনে করে ফেরানো হয়েছিল সেখানে কোনও রকম খাবারের ব্যবস্থা করেনি, এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসারও কোনও রকম ব্যবস্থা করেনি বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তপন বাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Express Accident: দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’! কার ভুলে এমন বিপদ?

    Kanchanjunga Express Accident: দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’! কার ভুলে এমন বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) কারণ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর, সোমবার ভোর থেকেই রাঙাপানি এবং চটের হাট অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল। সেকারনেই ওই অংশে ট্রেন চলাচল হচ্ছিল কাগুজে সিগন্যালে। রেলের ভাষায় যাকে বলে পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট। রেলকর্মীদের একাংশের মতে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। যার ফলেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। 

    দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’

    আগেই জানা গিয়েছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে (Kanchanjunga Express Accident) ‘টিএ ৯১২’ অর্থাৎ ম্যানুয়াল মেমো দেওয়া হয়েছিল। তবে রেল সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতোই মালগাড়ির চালককেও ‘টিএ ৯১২’ কাগজ দেওয়া হয়েছিল। তাতেই উল্লেখ ছিল, কোন কোন সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি চালাতে পারবেন চালক। কোথা থেকে কতটা অবধি এই ছাড়পত্র কার্যকর থাকবে, তারও উল্লেখ ছিল। মালগাড়ির দুই চালক ও গার্ডের কাছেও ছিল সেই ছাড়পত্র। সেই ছাড়পত্রে রাঙাপানি থেকে চটের হাট পর্যন্ত মোট ৯টি লাল সিগন্যাল ভাঙার অনুমতি ছিল মালগাড়ির চালকের কাছে।

    আরও পড়ুন: অভাবনীয় অঘটন! স্লোভাকিয়ার কাছে ০-১ ব্যবধানে হার বেলজিয়ামের

    দুর্ঘটনার পিছনে উঠে আসছে রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি

    জানা গিয়েছে, যে মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে, সেই মালগাড়িটি মোট ৪টি সিগনাল ফেল করেছে। যার মধ্যে দুটি ছিল রেড সিগন্যাল। অন্যদিকে রাঙাপানি স্টেশন থেকে পেপার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। সেই অনুযায়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা রাঙাপানি স্টেশন থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি স্টেশনের দিকে এগোচ্ছিল। আর তখনই সিগন্যাল ভেঙে চলা মালগাড়ির সঙ্গে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি দোষ ছিল তাঁর? যদি মালগাড়ির চালকের কাছে কাগুজে অনুমতি থাকে তবে গলদ কোথায় ছিল?

    এই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে মালগাড়িটি। মালগাড়ির ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিকের ২টি পারসেল কামরা ও একটি যাত্রীবাহী কামরা (গার্ড কোচ) লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা সোজা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। কিন্তু দুটি ট্রেনের কাছেই যদি কাগজে লেখা অনুমতি থাকে, এবং তারা তা মেনেই চালিয়ে থাকেন, তাহলে এই দায় কার? রয়ে যাচ্ছে ধোঁয়াশা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    Train Accident: মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য বাড়িতে আনন্দ উৎসবের তোড়জোড় চলছিল। মেয়ের কথা মেনে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁচ্ছাতে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে বসেছিলেন কলকাতার বালিগঞ্জের শুভজিৎ মালি। আর মেয়ের আবদার রাখতে পারলেন না শুভজিৎ। শিলিগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পরে, মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।

    মেয়ের জন্মদিনে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে (Train Accident)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিতবাবু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কাজের সূত্রে প্রায়শই ভিন রাজ্যে যেতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। গিয়েছিলেন চার চাকার গাড়ি চালিয়ে। সেখানে গাড়ি সাপ্লাই দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সাপ্লাই দিয়ে আবার ফিরে আসেন। কিন্তু, এবার মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে চেপেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, বাড়িতে ১১ বছরের মেয়ে রয়েছে তাঁর। সোমবারই ছিল মেয়ের জন্মদিন। ছোট্ট মেয়েটা আবদার করেছিল, বাবা বাড়ি এলে তবেই কেক কাটবে। সেই টানেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য উঠেছিলেন অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। কিন্তু, আর মেয়ের সঙ্গে দেখা হল না। মেয়ের জন্মদিনও উদযাপন করা হল না। নিউ জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Train Accident) কাড়ল কলকাতার শুভজিৎ মালির প্রাণ। তাঁর নিথর দেহ শিলিগুড়িতে (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পড়ে রয়েছে। বালিগঞ্জের জামির লেনের বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল আর স্বজন হারানোর যন্ত্রণা।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মেয়ের জন্মদিনে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছিল

    স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, “রবিবার রাতেও ফোন ওর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। মেয়ের জন্মদিন নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জন্মদিনে বাবা আসছে শুনে মেয়েও খুব খুশি ছিল। বাড়িতে ফিরে ঘুরতে যাওয়ার কথাও বলেছিল। তবে, সোমবার সকালে ও ট্রেনে ওঠার পর ফোন করেনি। আমার সঙ্গে আর কথা হয়নি। এরপরই ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাই। ফলে, সারাক্ষণ টিভির পর্দায় নজর ছিল। অবশেষে সব শেষ।” এরপর কান্নায় চোখ বুজে এল তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    Rail Accident: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতেই রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) জখমদের দেখতে শিলিগুড়ি যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও জখমদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি গিয়ে রেলের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমতো তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার।

    সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয় (Rail Accident)

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Rail Accident) রেলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলকে দুষে মমতা বলেন, ‘আমি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। এখন রেলের বাজেট নেই, উঠিয়ে দিয়েছে। রেল কার্যত অনাথ হয়ে গিয়েছে। এখন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কোনও খেয়াল রাখা হয় না।’ মমতার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অ্যান্টি কোরাপশন ডিভাইস বা সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়। যে গলায় পরে নিলেই হয়ে গেল। এটি একটি যথেষ্ট জটিল ব্যবস্থা। সারা দেশেই দ্রুততার সঙ্গে এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চলছে।” এদিন তিনি আরও বলেন, “হিউম্যান এররের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে, ইচ্ছে করে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাননি। কোনও কারণে মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মিস করে থাকতে পারেন। তবে, বিস্তারিত তদন্ত হলে দুর্ঘটনার কারণ বিশদে জানা যাবে। রেল সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য সব থেকে বেশি খরচ করা হয়।”

    আক্রান্তদের পাশে রাজ্যপাল

    সোমবার সন্ধ্যায় রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘এই রেল দুর্ঘটনা (Rail Accident) অবশ্যই দুঃখজনক। তবে, পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদেরকে সবরকম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ একবছরের মাথায় করমণ্ডলের স্মৃতি ফিরল ফাঁসিদেওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘায়। শিলিগুড়ির শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আজ থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু প্রাক বর্ষার বৃষ্টি! উত্তরে দুর্যোগ চলছেই

    Weather Update: আজ থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু প্রাক বর্ষার বৃষ্টি! উত্তরে দুর্যোগ চলছেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলেই শহর কলকাতায় বর্ষামঙ্গলের পূর্বাভাস (Weather Update)। সকাল থেকেই শহরের আকাশ মেঘলা। ভোরবেলা এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। রোদের তেজ কম। গরম হলকানিও নেই। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত কলকাতায় (Rain in Kolkata)। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। 

    কবে থেকে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে

    আগামী তিনদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা, এমনই পূর্বাভাস (Weather Update) হাওয়া অফিসের। বিহার থেকে অসম পর্যন্ত রয়েছে অক্ষরেখা। বাতাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পও। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আর তাতেই শুরু হবে ধারাপাত। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সন্ধ্যার দিকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রপাতের আশঙ্কাও বেশি থাকবে ৷ 

    শহরের আবহাওয়া

    সোমবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৮ শতাংশ, সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬২ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার দিনের আকাশ মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাত (Rain in Kolkata) হতে পারে কয়েকটি অঞ্চলে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে৷

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি! শিয়ালদা পৌঁছল দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ

    দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা (Rain in Kolkata) প্রবেশের খবর স্বস্তি দিলেও, উত্তরবঙ্গের জনজীবন বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সিকিম থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। তার প্রভাবে পার্বত্য ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে আগামী পাঁচদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। পার্বত্য এলাকায় ধস এবং দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Express: আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি! শিয়ালদা পৌঁছল দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    Kanchanjunga Express: আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি! শিয়ালদা পৌঁছল দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা (Sealdah) স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছল দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjunga Express)। সোমবার এনজেপির কাছে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল এই ট্রেনেরই দু’টি বগি। এদিন ট্রেন যখন শিয়ালদা ঢোকে, প্ল্যাটফর্ম চত্বর রেল পুলিশে ঠাসা। ছিলেন রেলের কর্তারা, ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন এই ট্রেনের সুস্থ যাত্রীরা। তাই রাতে শহরে ফিরে আতঙ্কের পাশাপাশি অনেক যাত্রীর মুখেই ছিল স্বস্তির ছাপ।

    রেলের বিবৃতি

    সোমবার রাতে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মোট নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন যাত্রী আছেন। সেইসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchanjunga Express) গার্ড এবং মালগাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মালগাড়ির সহকারী চালক। নয়জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে। অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে ৩২ জনের। সোমবার সকাল পৌনে নটা নাগাদ জলপাইগুড়ির রাঙাপানি স্টেশন পেরোনোর পরেই মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা হয় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে মালগাড়িটি। কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিনটি কামরা দুমড়ে মুচরে গিয়েছিল। মালগাড়ির চালক, লোকো পাইলট এবং কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলি সরিয়ে বাকি বগিগুলিকে নিয়ে প্রায় বিকেলের দিকে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। আলুয়াবাড়ি স্টেশনে যাত্রীদের খাবার এবং জল দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    দুর্ঘটনার কারণ

    দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে বোর্ডের সিইও রেখা বর্মা সিনহা দাবি করেছেন যে মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মেনেই এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের সিইও। মালগাড়ির চালকের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হবে তদন্ত (Kanchanjunga Express)। কেউ যদি দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে চান, তাহলে তাঁরা সেটা করতে পারবেন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিসে সেই কমিশন কাজ করবে। সেখানে গিয়েও তথ্য জানানো যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share