Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের। বুধবার ইডির ওপর হামলা সংক্রান্ত চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। আর সেখানেই উল্লেখ করা হয়, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে বিপুল বেআইনি অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল। ইডির হাত থেকে তা বাঁচাতেই তদন্তকারীদের উপর হামলা করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছে সিবিআই। 

    সিবিআই-এর দাবি (CBI) 

    সম্প্রতি সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাট মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গত জানুয়ারি মাসে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির উপর যে হামলা হয়, সেই সময় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে লুকানো ছিল বিপুল অস্ত্রভান্ডার। বিপুল পরিমান অস্ত্র লুকোতেই ইডির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ শাহাজাহান। আর এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন তাঁর দুই ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে ইডির অভিযানের কথা আগাম জানতে পেরে যান সন্দেশখালির বাদশা শেখ শাহাজাহান। তখনই দেরি না করে তিনি ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসুদ্দিন মোল্লাকে নির্দেশ দেন বাড়িতে মজুত করে রাখা অস্ত্র যেন সরিয়ে ফেলা হয়। বেশিরভাগই অস্ত্রই ছিল লাইসেন্স ছাড়া। সেই নির্দেশ মতোই তাঁদের সহযোগী আবু তালেবের বাড়িতে অস্ত্র রেখে আসে অভিযুক্ত শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন। তারপর ইডি আধিকারীকেরা সন্দেশখালিতে পা রাখলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
    সিবিআই-এর (CBI) ওই চার্জশিটে শেখ শাহজাহানকেই (Sheikh Shahjahan) মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অস্ত্র যে সন্দেশখালিতেই ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেছে গত এপ্রিল মাসেই। ২৬ এপ্রিল প্রচুর বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ওই এলাকায়। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খা-এর আত্মীয় আবুতালেব মোল্লার তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। সে দিন এলাকায় পৌঁছেছিল এনএসজি। পরে ওই সন্দেশখালিতেই গোলাম শেখ নামে আর এক ব্যক্তির কাছ থেকেও উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।  

    আরও পড়ুন: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ 

    অন্যদিকে, সন্দেশখালি (Sandeskhali) কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলে সিবিআই। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি যখন ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শেখ শাহজাহান মার্কেটের বাইরেই তিনি কর্মরত ছিলেন। সেই ভলান্টিয়ারের বয়ান নিয়েছে সিবিআই। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন শাহজাহান মার্কেটের পিছনে যে সকাল থেকে অচেনা মানুষদের ভিড় জমতে শুরু করে তা তিনি সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ থানায় জানিয়েছিলেন। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই জমায়েতে জিয়াউদ্দিন সহ আর কারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের শনাক্তও করেছেন তিনি। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে আগে থেকে খবর থাকা সত্ত্বেও কেন প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে পুলিশ সেখানে পৌঁছল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সোহম বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে

    Nadia: সোহম বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে তৃণমূল বিধায়ক সোহমের দাদাগিরি নিয়ে রাজ্যজুড়ে  তোলপাড় চলছে। এই বিতর্কের মাঝে এবার পুরসভা পরিচালিত ক্যাফেতে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শহরে। এমনকী ক্যাফের পাশের পার্কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটের পাশের পার্ক ও ক্যাফেটি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় তৈরি করেছিল। প্রশ্ন উঠছে, একজন কাউন্সিলর কী ভাবে পুরসভার কোনও প্রকল্প বন্ধ করে দিতে পারেন!

    তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি, বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে (Nadia)

    বেশ কিছুদিন আগে কৃষ্ণনগর (Nadia) পুরসভার উদ্যোগে কদমতলা ঘাটের পাশে পার্ক ও ক্যাফে গড়ে ওঠে। ক্যাফে পরিচালনার জন্য প্রলয় ভট্টাচার্য নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর পলাশ দাসের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গিয়ে দাদাগিরি দেখান বলে অভিযোগ। ক্যাফের মালিক প্রলয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমি ক্যাফেতে বসেছিলাম। কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে এসে জোর করে ক্যাফে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গালিগালাজ করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয়। পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছি।” এ নিয়ে পুরসভার ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন ক্যাফের মালিক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলর (Nadia) পলাশ দাস বলেন, “এই অভিযোগ মিথ্যা। ওই ক্যাফে এবং পার্কের কিছু অংশ আমার ভাইয়ের ওয়ার্ডেও পড়ে। কবে ওই পার্কের কাজ ও ক্যাফের টেন্ডার ডাকা হয়েছে তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, পুরসভা আমাদের কিছুই জানায়নি। আমরা গিয়েছিলাম, এটা সত্যি। কিন্তু, ক্যাফেতে উপস্থিত কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অনুরোধ করেছিলাম ক্যাফে বন্ধ রাখার জন্য।” প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরেরা বর্তমানে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশির কর্মকারের গোষ্ঠীর সঙ্গে চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে। যার ফলশ্রুতি হিসাবে চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ দাস এবং পলাশ দাস রীতার সঙ্গে একাধিক বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান। তারই সর্বশেষ সংযোজন এই ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা।

    দাদাগিরি সহ্য করব না!

    চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মহকুমাশাসক-সহ শীর্ষ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজের জন্য পার্ক ও ক্যাফে পুরসভার পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল। আগামীদিনে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে, কোনও ব্যক্তির দাদাগিরি মেনে নেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে নিগ্রহের ঘটনায় এবার জল গড়াল আদালতে। অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল আলম। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না পুলিশ। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার একক বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিককে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রেস্তোরাঁর মালিক (Soham Chakraborty) 

    রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা ও যথাযথ তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে মামলাকারী পক্ষের। আনিসুলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন ওই জনপ্রতিনিধি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সোহমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, চলতি মাসেই দায়িত্ব গ্রহণ

    হোটেল মালিকের অভিযোগ 

    অনিসুল অভিযোগ করেন, “ঘটনার পর তাঁকে থানায় ডেকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চাপ দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের (Soham Chakraborty) পক্ষ থেকে তাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও এসেছে। সমস্ত কথা পুলিশকে জানালেও সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না থানা। তার জেরেই তিনি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” যদিও পরে অভিনেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?  

    গত শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা শুটিং করতে গিয়ে নিউটাউন সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে। এরপর মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে সোহম দাবি করেছিলেন, বচসা চলাকালীন হোটেল মালিক তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতেই রেগে যান তিনি। আর তখনই সূত্রপাত হয় এই ঘটনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Team: এবার গন্তব্য জঙ্গলমহল, ভোট মিটতেই ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    Central Team: এবার গন্তব্য জঙ্গলমহল, ভোট মিটতেই ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে ফের একবার তৈরি হয়েছে এনডিএ সরকার। শপথ গ্রহণের পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলের (Central Team) আনাগোনা শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। এমনটাই জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে চলতি মাসের ২৩ তারিখ কলকাতায় আসছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি দল। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্র সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, সেগুলিকে কিভাবে খরচ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট নেবে ওই দলটি।

    নিরাপত্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ জঙ্গলমহলে

    প্রসঙ্গত, বামফ্রন্ট জমানার শেষের দিকে জঙ্গলমহল (Central Team) একেবারে মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর মাওবাদীরা হামলা চালায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে। এরপরেই সেখানে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ শুরু করা হয়। শুরু হয়েছিল অপারেশন গ্রিন হান্ট। সেই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপদ্রব কমে গেলেও যৌথ বাহিনীর একটি অংশ থেকেই গিয়েছে। যার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়। সেই অর্থ কোন খাতে কিভাবে খরচ করা হয়েছে তা জানতেই প্রতিনিধি দল আসছে পশ্চিমবঙ্গে।

    ২৩ থেকে ২৮ জুন পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দলটি 

    সূত্রের খবর, ২৩ থেকে ২৮ জুন পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দলটি (Central Team)। তবে কেমন কাজ করবে তারা, কোন ধরনের কাজ তারা করবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মূলত অর্থের সমীক্ষা করতেই আসছে এই দল। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদল থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে এর আগেও কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যে। ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যার জেরে কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দেয় এই প্রকল্পের টাকা। এরই মধ্যে লোকসভা ভোট শেষ হতে ফের একবার রাজ্যে পা রাখছে কেন্দ্রীয় দল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় বোলপুরে এবার লোকসভা ভোটে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি। জেলার দুটি কেন্দ্রে বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। কিন্তু, বোলপুর শহরে শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্কে কেন এরকম ভরাডুবি হল তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর শহরে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়েছিল। সেবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ওয়ার্ডেও বিজেপি পিছনে ফেলে দেয় শাসকদলকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর আসন থেকে জয় এলেও শহরের ১৪টি ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়েছিল। সেই নির্বাচনেও অনুব্রতের ওয়ার্ড থেকে জয় মেলেনি তৃণমূলের। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় দলীয় নেতৃত্বের কাছে। তবে, ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে বোলপুরে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। ১০টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। এমনকী, ২০২২ সালের পুর-নির্বাচনে বোলপুরে বিরাট জয় পেয়েছিল তৃণমূল। আর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ওয়ার্ডও এ বার হাতছাড়া হয়েছে। দু’বছরের ব্যবধানে কেন শহরের ভোটারদের একাংশ মুখ ফেরালেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। শুধু চর্চাই নয় শহরের একাধিক ওয়ার্ডে কেন তারা পিছিয়ে, তার কারণ অনুসন্ধানে নামতে চলেছে তৃণমূল। আগামী ১৩ জুন ও ২২ জুন বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে সব ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি, শহর সভাপতি ও শহর কমিটির দায়িত্বে থাকা সকলকে ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে কোথায় খামতি রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “কেন এই খারাপ ফল হল শহরে, তা আমরা দেখব। একই সঙ্গে শহরের ভোটারেরা কেন মুখ ফেরালেন, তা-ও সকলের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হবে। কারণ, শহরের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রচুর কাজ করেছি। তারপরও এই ধরনের ফল আশা করিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bird Flu in Bengal: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক বাংলায়, শিশুর শরীরে মিলল ভাইরাস, জানাল ‘হু’

    Bird Flu in Bengal: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক বাংলায়, শিশুর শরীরে মিলল ভাইরাস, জানাল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এবার বার্ড ফ্লু (Bird Flu in Bengal) আতঙ্ক। আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের চার বছর বয়সী এক শিশু। জানা গিয়েছে ওই শিশুর শরীরে মিলেছে H9N2 ভাইরাস এবং এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। জানা গিয়েছে, চার বছর বয়সী শিশুটি বাড়িতে পোল্ট্রির সংস্পর্শে এসেছিল এবং সেখান থেকেই বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। শিশুটির শরীরের জ্বর, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো নানা উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু এমন উপসর্গ তার পরিবারের কারও মধ্যে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই শিশুটিকে এই সমস্ত উপসর্গের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপরেই তার শরীরে নমুনা পরীক্ষা করে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ে।

    বর্তমানে ওই শিশু একেবারে সুস্থ   

    স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, শিশুটির বাড়ি উত্তরবঙ্গে। বর্তমানে সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। বার্ড ফ্লু সংক্রমণের পরেই তার শরীরে ফুসফুস জনিত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, তার নাক এবং গলা থেকে নেওয়া নমুনা কলকাতার একটি ভাইরাস রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেই মেলে বার্ড ফ্লুর ভাইরাস (Bird Flu in Bengal)। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে মানবদেহে H9N2 ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। এরপরে দ্বিতীয়বারের মতো দেখা গেল শিশুর দেহে।

    সাধারণভাবে এই ভাইরাস পাখিদের আক্রান্ত করে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, H9N2 ভাইরাস এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস নামে পরিচিত। সাধারণভাবে এই ভাইরাস পাখিদের আক্রান্ত করে এবং বার্ড ফ্লু আক্রান্ত কোনও পাখির সংস্পর্শে যদি কোনও ব্যক্তি আসে তখনই তার শরীরে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস (Bird Flu in Bengal)। এর জেরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে সেভাবে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয় না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বার্ড ফ্লু  ভাইরাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বেশি মেলে। তবে বিগত পাঁচ বছরে দেশে এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য কোনও মানব শরীরে মিলল এই ভাইরাস।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না’’, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    Shantanu Thakur: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না’’, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। মঙ্গলবারই তিনি দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্র কাজ করতে তৈরি। কিন্তু রাজ্য অনুমতি দিচ্ছে না। আসলে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

    যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূল সরকার যে কোনওভাবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানতে চায় না তা একাধিকবার সামনে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বিবৃতি ও কাজে। এ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বন্দর তৈরি করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করে চালানো অসম্ভব। রাজ্য সরকারের কাছে অত টাকাই থাকে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে যৌথ উদ্যোগে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এনওসি দেয়নি। ফলে গোটা প্রকল্প আটকে গিয়েছে। আমরা কাজ করতে তৈরি। রাজ্য সরকার সম্মতি দিলেই আমরা কাজে নেমে পড়ব।’’

    ‘‘আমি হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হলে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো অন্তর্বাস মন্ত্রী’’

    তাঁকে হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তিনি বলেন, ‘‘আমি হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হলে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো অন্তর্বাস মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে দেশের প্রত্যেকটা রাজ্যের মানুষ চেনেন। তিনি গোটা দেশে কাজ করতে পারেন। রাজ্যের মন্ত্রীকে রাজ্যের বাইরে কে চেনে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অন্যের উন্নতি দেখতে পারেন না। তাই একা রেলমন্ত্রী হয়ে বাকিদের হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বানিয়ে রেখেছিলেন। তখন তৃণমূলের একথা মনে ছিল না? কাজ করার ইচ্ছা থাকলে প্রতিমন্ত্রী হয়েও করা যায়। কিন্তু তৃণমূল তো শুধু দুর্নীতি করতে জানে। কাজ করতে জানে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বুথে হেরেছেন পার্থ ভৌমিক। আর তার জেরেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সাধন ঘোষ নামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    বুথে হেরেছে পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Naihati)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদারপুর মণ্ডলপাড়া বুথে এবার লিড পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এই বুথে ধরাশায়ী হতেই শাসক দলের নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া চলছিল। এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সাধন ঘোষ নামে ওই বিজেপি কর্মী টোটো চালিয়ে সংসার চালান। মঙ্গলবার টোটো নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাসের স্বামীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। পরে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপির (Naihati) জগদ্দল মণ্ডলের সম্পাদক দশরথ সরকার বলেন, এবার বুথের ক্যাম্প অফিস দলীয় কর্মী সাধন ঘোষের বাড়ির সামনে করেছিলাম। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ওই বুথে পার্থ ভৌমিক ৬৫ ভোটে হেরে গিয়েছে। আর তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী সাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। উলটোদিক থেকে সাধন ঘোষ টোটো এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। টোটো সরাতে বললে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারতে থাকে। বাড়়ির কাছে ওই ঘটনা দেখে আমিও ছুটে যাই। আমাকেও মারধর করে। আমার স্বামী নৈহাটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দুপক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Chaitanya Jamai Sasthi: নবদ্বীপে আজ জামাই রূপে পূজো হয় শ্রী চৈতন্যদেবের! ভোগে কী থাকে জানেন?

    Sri Chaitanya Jamai Sasthi: নবদ্বীপে আজ জামাই রূপে পূজো হয় শ্রী চৈতন্যদেবের! ভোগে কী থাকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, জামাইষষ্ঠী। বাংলার ঘরে ঘরে আজ পুত্র-তুল্য জামাইকে বরণ করে নেওয়ার দিন। প্রতিবছর এই বিশেষ দিনে নবদ্বীপে (Nabadwip Dham) চলে মহা আয়োজন। এই বিশেষ দিনটায় জামাই হিসেবেই বরণ করা হয় সনাতন মিশ্রের জামাই মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবকে (Sri Chaitanya Jamisasthi)। মা বাবা কিংবা সন্তান রূপে ভগবানের পুজো অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। কিন্তু জামাই হিসাবে আপন করে নিয়ে ভগবানকে জামাই আপ্যায়নের এই রীতি বোধহয় নবদ্বীপেই প্রথম। এই দিনে মহাপ্রভুকে অনেকেই নিজের সন্তান তুল্য মনে করে বাটা বা ষাটের বাতাস করেন। প্রচুর মানুষ ভিড় করেন নবদ্বীপের মন্দিরে। 

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

    মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব (Sri Chaitanya Jamisasthi) পূর্বাশ্রমে বিবাহিত ছিলেন। তখন তার নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র। তাঁর গাত্রবর্ণ গৌর ও স্বর্ণালি আভাযুক্ত ছিল বলে তাঁকে ‘গৌরাঙ্গ’ বা ‘গৌরচন্দ্র’ নামে ডাকা হত। অন্যদিকে, নিম্ব বৃক্ষের নিচে জন্ম বলে তাঁর মা তাঁকে ‘নিমাই’ বলে ডাকতেন তাই নবদ্বীপবাসীও নিমাই পণ্ডিত বলে তাঁকে অভিহিত করতেন। সর্প দংশনে প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বিয়ে হয় সনাতন মিশ্রের কন্যা বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে। সংসার ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিষ্ণুপ্রিয়াকে দিয়ে গিয়েছিলেন নিজের একখানি মূর্তি। বিষ্ণুপ্রিয়া সেবিত মহাপ্রভুর সেই মূর্তিই পূজিত হয় নবদ্বীপ ধামে (Nabadwip Dham)।

    আজও জামাই-রূপে বরণ

    গৃহত্যাগ করে পরে সংসার ধর্ম ত্যাগ করলেও তিনি তার স্ত্রী পরিবারের তরফে ছিলেন জামাই-ই। তার স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পরিবার আজও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে জামাই (Sri Chaitanya Jamisasthi) রূপে পুজো করেন। তার জন্য এই দিন বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। নিমাইকে জামাই আদর করেন বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাইদের উত্তর পুরুষ। আজ থেকে কয়েকশো বছর ধরে জামাই ষষ্ঠীতে নবদ্বীপের এই মন্দিরে শ্রী চৈতন্যদেবকে জামাই রূপে আরাধনা করার রীতি পালন করা হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর বাবা ছিলেন সনাতন মিশ্র। ভাই ছিলেন যাদব আচার্য। তার ছেলে হলেন মাধব আচার্য এবং মাধব আচার্যের ছেলে হলেন ষষ্ঠী দাস। এই ষষ্ঠী দাসের আমল থেকেই শ্রীচৈতন্য দেবের জন্য জামাই আদর এর আয়োজন করা হয়। এই ভাবে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পরিবার জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। 

    জামাই-সাজ

    জামাইষষ্ঠীর দিন বেশবাস, ভোগ সবেই থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। এদিন সকালে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কে পরানো হয় নতুন ধুতি পাঞ্জাবি এবং উত্তরীয়। পরানো হয় রজনীগন্ধা, গোলাপের মালা। এরপর এই বংশের বয়স্ক মাতৃস্থানীয়া মহিলারা ধান দূর্বা দিয়ে ষাটের বাতাস করেন। কপালে হলুদের টিপ পরিয়ে হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে শুরু হয় জামাইষষ্ঠীর ব্রত। সন্ধেবেলা নাটমন্দিরে বিশেষ কীর্তনের আয়োজন করা হয়।  উজ্জ্বল আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে মন্দির চত্বর।

    আরও পড়ুন: আজও ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা! কবে থেকে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?

    মহাপ্রভুর জামাই-ভোগ

    চৈতন্য মহাপ্রভুর (Sri Chaitanya Jamisasthi) জন্য নবদ্বীপে (Nabadwip Dham) এদিন বিশেষ ভোগেরও আয়োজন করা হয়। সকালে দেওয়া হয় রুপোর রেকাবিতে মরসুমি ফল, রুপোর বাটিতে ক্ষীর, রুপোর গ্লাসে জল। এরপর দেওয়া হয় চিরে, মুড়কি, দই, আম, কাঁঠাল এবং মিষ্টি। মধ্যাহ্নভোজে অন্নের সঙ্গে থাকে কচুর শাক, শুক্তো, মুগ ডাল, ভাজা, মোচার ঘন্ট, থোর, আলু ফুলকপির রসা, বেগুনের পাতুরি, চাল কুমড়োর তরকারি, ছানার ডালনা, ধোকার ডালনা, পোস্ত, পুষ্পান্ন, আমের চাটনি, পরমান্ন, দই এবং রকমারি মিষ্টি। শেষ পাতে থাকে সুগন্ধি মশলা দেওয়া পান। বিকেলে ভোগে দেওয়া হয় ছানা এবং মিষ্টি। রাতে শয়নভোগে দেওয়া হয় ঘিয়ে ভাজা লুচি এবং মালপোয়া। সঙ্গে থাকে রাবড়ি। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে দেওয়া হয় রুপোর গ্লাসে আম ক্ষীর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভায় ফের জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে কেশপুর বিধানসভায় বিপুল পরিমাণে লিড পেয়েছে শাসক দল। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ দেবের (Dev) আদি বাড়ি কেশপুরের মহিষদায় ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। নিজের গ্রামের বুথে বিজেপি এগিয়ে থাকায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর (Dev)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯, এই দু’বারই কেশপুরে ভোটের প্রচার শুরুর আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন দেব (Dev)। এ বারে অবশ্য তিনি এখানে এসেছিলেন, তবে প্রচারের শেষ পর্বে। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। মহিষদার মানুষ হিরণের ওপর আস্থা রেখেছেন। জানা গিয়েছে, কেশপুর বিধানসভায় ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে তো বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য! অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। আর সেখানেই সাংসদের নিজের গ্রাম মহিষদায় অন্য ছবি ধরা পড়েছে। মহিষদার ১৮৩ নম্বর বুথটি দেবের গ্রামের বুথ। সেখানে ভোট পড়েছে ৬০৮টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৩৯টি (৫৫.৭৫ শতাংশ), তৃণমূল ২০৮টি (৩৪.২১ শতাংশ)। বামে গিয়েছে ৩৬টি ভোট, নোটায় ন’টি। এই বিষয়ে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, “ঘরের ছেলেকেও মান্যতা দেয়নি ওরা। উন্নয়ন কিছু কম হয়নি ওখানে। যে সরকার মানুষের কাজ করবে, মানুষেরও উচিত সেই সরকারের পাশে থাকা। আসলে দেবের গ্রাম মহিষদায় বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    বিজেপি নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। ঠিকমতো ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত। মহিষদাতে ভোট লুট করতে পারেনি বলেই সেখানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share