Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় বালুরঘাট কেন্দ্রে ইভিএমগুলি স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা  এতদিন রাত পাহারায় ছিলেন পালা করে। মাঝে একাধিকবার তৃণমূল প্রার্থী এসে ঘুরে গেছেন স্ট্রংরুম। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি ভোটের পর আর স্ট্রংরুমে আসতে পারেননি। রবিবার রাতে তিনি স্ট্রংরুমে যান। কথা বলেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে এবং দায়িত্বে থাকা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে।

    গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাট কলেজে স্ট্রংরুমে ইভিএম কতটা সুরক্ষিত রয়েছে তা দেখতে বিজেপি প্রার্থী বালুরঘাট কলেজে পৌঁছান। যদিও স্ট্রংরুম পর্যন্ত তিনি যাননি। সিসিটিভি দেখেই তিনি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সিসিটিভি ঠিকমতো কাজ করে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা রেখেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গণনার দিন তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করতে পারে। তবে, তাতে কোনও কাজ হবে না। কারণ, বিজেপি স্ট্রং রয়েছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। অপরদিকে, মানুষের রায় বিজেপির দিকে গিয়েছে বলেই তিনি জানান। তিনি বলেন, আর ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনা ঘটেই  চলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এক মাস রাখতে হবে বলে কমিশনে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    গণনা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনে সুকান্ত

    বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গণনা কেন্দ্রের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গেটের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য কমিশনে জানিয়েছি। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুনর্নির্বাচনেও অশান্তি। বারাসতের কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপি নেতা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল জানে তারা ভোট লুট ও গন্ডগোল ছাড়া তারা জিততে পারবে না। বিস্তীর্ণ এলাকা কাকদ্বীপ,কদম্বগাছি এই সব জায়গায় তৃণমূল অভয়ারণ্য করে রেখেছে। ইচ্ছে মতো ভোট লুট করছে।

    কাউন্টিং এজেন্টদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার!

    গণনা প্রস্তুতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেনা, গণনা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমরা শুধু একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত আছি। বিভিন্ন জায়গায় কাউন্টিং এজেন্টদের বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিচ্ছে এবং পুরোনো কোনও মামলা দিয়ে তাঁদেরকে গণনার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই রকম চেষ্টা পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচনা কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা খবর পেয়েছি, আই প্যাকের লোকজন কাউন্টিং এজেন্ট হয়ে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারে। এই বিষয়টিও কমিশনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024 Counting: গণনা কেন্দ্রে কোনও অস্থায়ী কর্মী নয়! কমিশনকে নিশ্চিত করতে বলল হাইকোর্ট

    Loksabha Election 2024 Counting: গণনা কেন্দ্রে কোনও অস্থায়ী কর্মী নয়! কমিশনকে নিশ্চিত করতে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনা কেন্দ্রে (Loksabha Election 2024 Counting) কোনও অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, গণনা কেন্দ্রের সিভিক ভলেন্টিয়ার, পার্শ্বশিক্ষক, আঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা ওই জাতীয় কোন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা রয়েছে তা মেনে গণনা কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।

    গণনায় পুরসভার কর্মীদের ব্যবহারের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি আজও টাটকা বিজেপি প্রার্থীদের মনে। বিজেপির অভিযোগ ছিল সেবার গণনায় অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করে গণনা কেন্দ্রেও কারচুপি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার হাওড়া ও বালি পুরসভায় পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Loksabha Election 2024 Counting) গণনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।

    আরও খবর: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। মামলাকারীর আইনজীবী হাইকোর্টে সওয়াল করেন, গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের আইনজীবী জানান, গণনার টেবিলে কোন অস্থায়ী কর্মী থাকবে না। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা যাতে বাস্তবায়িত হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।  

    হাইকোর্টে কমিশনের জবাব (Loksabha Election 2024 Counting)

    হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পোলিং অফিসারদের মধ্যে কেউই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন। গণনার কাজে চুক্তিভিত্তিক কাউকে নেওয়া হয়েছে এমন কোন প্রমাণ মামলাকারীদের তরফে পাওয়া যায়নি। এর পরেই উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় কোথাও ভোট (Loksabha Election 2024 Counting) গণনায় যাতে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার না করা হয়। তার নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। শুধু রথীন চক্রবর্তী নয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে গণনার কাজে এই অভিযোগ করলেন মালদা দক্ষিণ ও উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এই বিষয়ে খগেন মুর্মু বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের তালিকা দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে ১৬ মার্চ। তারপর ২১ মার্চ জেলাশাসক  একটি চিঠি ইস্যু করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মীকে গণনার কাছে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা সরকারি কর্মী নয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করেই এই করেছেন জেলাশাসক। আমরা চাই এদের দ্রুত গণনার কাজ থেকে সরানো হোক। কারণ আমরা চাই স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ গণনা হোক। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছি। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: লজ্জা! মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: লজ্জা! মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ভূমিকায় বরাবরই ক্ষুব্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এবার একটি নির্মম ঘটনা সামনে এল। যেখানে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কমিশন। মালদা জেলার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৬ সপ্তাহের মধ্যে দুই নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে পুলিশকে জমা দিতে বলা হয়েছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট।

    রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ২২ জুলাই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওর ক্লিপের সামনে এনেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় বহু মানুষের ভিড় দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা। তাদের ব্যাপক জুতোপেটা করা হয়। চোর অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাদের কার্যত বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন দুই মহিলা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে পুলিশ দুই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে যায়।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৮ জুনের মধ্যে দুই নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দেশ কার্যকর না হলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা দরকার এর আগেও কমিশন ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ মানে নি। তাই শেষ বারের মতো নিগৃহীতাদের তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা রাজ্য সরকার সেই নির্দেশের কোন উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। কমিশনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে আমরা পুনরায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে কাছে দরবার করেছি। ১৮ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে।

    ক্ষতিপূরণ ঘিরে শাসক বিরোধী তরজা

    এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কমিশনের নির্দেশ যদি শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার না মানে তাহলে কি পথ খোলা থাকছে নিগৃহীতা কিংবা কমিশনের কাছে। এক্ষেত্রে দুপক্ষই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আরও মুখ পুড়বে করবে রাজ্য সরকারের। এ বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কৃষ্ণ নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “সরকার মহিলাদের পাশে আছে। মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ পালন করবে পুলিশ। অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণের শেষ নির্দেশ দেওয়া প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে শাসকবিরোধী রাজনৈতিক টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    প্রসঙ্গত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তিনি মহিলাদের জন্য ভাবেন বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বারংবার দাবি করেছেন। অথচ দেখা গিয়েছে অতীতে মহিলাদের হওয়া উপর হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক নিরিখেই এই রাজ্য দেশের আরো বহু রাজ্যকে পিছনে ঠেলে এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এই রাজ্যের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিতা হয়েছে মহিলারা। সন্দেশখালি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য সুরক্ষা – নিরাপত্তা দিতে পারছে না। লক্ষীর ভান্ডারের নামে ১০০০ টাকা ভাতা দিয়ে মহিলাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে এই সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের গণনা পর্ব। ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি কটা আসন পাবে, তা নিয়ে সমীক্ষার হিসাব রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে। রাজ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে যে বেশি আসন পেতে চলেছে, এই নিয়ে বিজেপি দারুণ আশাবাদী। ইতিমধ্যে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বিজেপির জয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।” উল্লেখ্য মমতা বুথ ফেরত সমীক্ষা মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আগেই।

    কী বললেন নিশীথ (Nisith Pramanik)?

    কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “দেশে ৪০০-বেশি সিট নিয়ে এনডিএ সরকার গঠন করবে। পশ্চিমবঙ্গে ২৫টির বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে ৩০ পেরিয়ে গেলেও অবাক করার কিছু নেই। উত্তরবঙ্গের ফলাফল নিশ্চিত ভাবে ভালো হবে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে রোড-শো, জনসভায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। মানুষের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই লক্ষ্যটা বোঝা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই মানুষ নিজের মনকে স্থির করে ফেলেছিলেন। কোথায় ভোট দেবেন তা বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। আগের বার থেকে আমাদের আসন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।”

    আরও পড়ুনঃমুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    আর কী বললেন?

    গণনার আগের দিন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “এই বারের লোকসভার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। ভাঙড়ে আইএসএফ তৃণমূলের শক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। যেখানে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখান করছে সেখানেই অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে ওরা। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় শাসক দল। তৃণমূল আসলে কাউন্টিং এজেন্টদের ধরে রাখতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ৪ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) ফলাফল প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বেশ কিছু বুথ ফেরত সমীক্ষা এবং এর প্রত্যেকটিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয়জয়কার। তবে এক্সিট পোল নিয়ে গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।’’ এই নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকরা এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা মানিনা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এ নিয়ে আপনি কী বলবেন? দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যেমন আশা ছিল সেদিকেই পরিস্থিতি যাচ্ছে। এনডিএ ৪০০ এর কাছাকাছি, বিজেপি ৩৭০। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ থেকে ৩০টা, কেউ কেউ ৩১ পর্যন্ত দেখিয়েছেন। মমতার সমস্যা হল, কোর্ট বিরুদ্ধে রায় দিলে মানেন না। এক্সিট পোল তাঁর বিরুদ্ধে গেলে উনি মানেন না। কিন্তু কাল ৪ তারিখ যেটা বেরোবে, সেটা তো মানতেই হবে।’’

    সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো 

    ভোটের পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি এবং ভাঙড়। এই প্রসঙ্গে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো ও ক্রিমিনাল তৈরির পরম্পরা চলছে। তারাই গোলমাল করে। সরকার চাইলে একদিনে গোলমাল থামাতে পারে। বিধায়ক গুণ্ডারা গিয়ে ওখানে গণ্ডগোল করে। পুলিশ গিয়ে গোলমাল পাকায়। বিহার উত্তরপ্রদেশ এমনকি কাশ্মীরও ঠাণ্ডা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ হয়না। আমার মনে হয় এই সরকার যতদিন আছে ওই এলাকা শান্ত হবে না।’’

    ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে! 

    ১ জুন ডায়মন্ড হারবারে ছিল লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। এখানকার প্রার্থী তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আশ্চর্য ব্যাপার। আজ তৃণমূলকে স্ট্রংরুম আগলে রাখার কথা বলতে হচ্ছে। সাধারণত যা এতদিন বিরোধীরা বলে এসেছে। মানে ওখানে ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে কী ?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু ভোট (Loksabha Election 2024) গণনা। আর তার আগে প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না বলে পোলিং এজেন্টদের (Bjp Prepare Counting Agent) বার্তা দিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা

    কাউন্টিং এজেন্টদের বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা, প্রত্যেক রাউন্ডের পরে হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। গুজব শুনে গণনা (Loksabha Election 2024) কেন্দ্রের টেবিল ছাড়লে হবে না। যেমন, অমুক আসনে তৃণমূল জিতে গিয়েছে, তাই এখানেও জিতে যাবে, এখানে থেকে কী হবে?, এই ধরনের মানসিকতা যেন কোনওভাবেই না কাজ না করে। ভুয়ো কোনও খবর শুনে গণনা কেন্দ্র ছাড়া যাবে না। ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন আধিকারিকদের জানানোর (Bjp Prepare Counting Agent) কথাও বলা হয়েছে বলে খবর। কোনও সন্দেহ হলে পুনরায় গণনার দাবি জানাতে হবে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত সময়ের সঙ্গে বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এজেন্টদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলার কথাও বলা হয়েছে। কোনও এজেন্ট সমস্যায় পড়লে পাশেরজন তাঁকে সাহায্য করবেন।

    এজেন্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ (Bjp Prepare Counting Agent) 

    উল্লেখ্য, প্রায় সব সংস্থারই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও বিজেপির আসন বৃদ্ধির আভাস মিলছে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, এগজিট পোলে বিজেপি জিতে গিয়েছে দেখে গণনাকেন্দ্রে ফুরফুরে মেজাজে থাকলে তৃণমূল শিবির শেষবেলায় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এজেন্টদের বারবার সতর্ক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই উদ্দেশ্যেই চার ধাপে ভাগ ভাগ করে রবিবার জেলা সভাপতি, প্রার্থী, কেন্দ্র ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে। সোমবারও আবার গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম 

    সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ 

    রবিবার সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক সারেন দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মঙ্গলবার গণনা। কাউন্টিং এজেন্টদের আমরা বলেছি, এগজিট পোলে (Loksabha Election 2024)  কী দেখিয়েছে, তা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণনাকেন্দ্রগুলিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “তৃণমূলের নির্দেশে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার করছে পুলিশ”, সরব অর্জুন

    Arjun Singh: “তৃণমূলের নির্দেশে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার করছে পুলিশ”, সরব অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভোট গণনা শুরু হবে। তার  আগেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। গণনা কেন্দ্রে কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে তৃণমূল। এমনকী বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ! এনিয়ে ট্যুইটও করেছেন তিনি।

    কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার নিয়ে সরব অর্জুন (Arjun Singh)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, বীজপুর বিধানসভার দুজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের অত্যাচারে ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁরা কল্যাণীতে ঘরভাড়া করে থাকেন। ভোটের দিন তাঁরা বুথে এজেন্ট ছিলেন। আমরা তাঁদের এবার কাউন্টিং এজেন্ট করেছি। তাঁদের দুজনকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে ট্যুইট করেছিলাম। পরে, শুনলাম সোমবার তাঁদের ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে তৃণমূলের পুলিশ এই কাজ করেছে। কাউন্টিং এজেন্টদের এভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই।

    <p

    style=”text-align: justify;”> 

    গণনা কেন্দ্রে জমায়েত তৃণমূলের, কমিশনে কাছে নালিশ অর্জুনের

    অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ গণনা কেন্দ্রের পাশেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের শিবির করা যায় না। আর যদি শাসক দল ওখানে তাদের শিবির করে, তাহলে আমাদেরও ক্যাম্প করার অনুমতি দিতে হবে। আমি বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নির্বাচন কমিশন সকলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কারণ, এভাবে জমায়েত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। সেটা তারা করতে পারে না। বিশ্বস্ত সূত্র আমি খবর পেয়েছি, পুলিশ আমাদের ভোট গণনার কর্মীদের নাকা চেকিংয়ের নামে আটকানোর চেষ্টা করবে। তবে, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানে বাধা পাবে, সেখানেই পাল্টা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে অর্জুন  সিং গণনা কেন্দ্রে পুরসভার চেয়ারম্যান, বিধায়কদের না ঢুকতে দেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, তৃণমূলের চেয়ারম্যান, বিধায়করা গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maniktala: মানিকতলায়  উপনির্বাচনের জট কাটল, শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা

    Maniktala: মানিকতলায়  উপনির্বাচনের জট কাটল, শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট গণনার প্রস্তুতির মধ্যেই  মানিকতলা উপনির্বাচনের (Maniktala By Election) তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। উপনির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং সংশ্লিষ্ট সূচি মুখবন্ধ খামে সুপ্রিমকোর্টে জমা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও সময় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ও বিধি ঘোষণা হতে পারে।

    বিধায়ক শূন্য মানিকতলা কেন্দ্র

    কলকাতা উত্তর লোকসভার মধ্যে পড়ে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র (Maniktala By Election)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। সেই থেকে মানিকতলা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য। অথচ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন বলে, কোনও বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। তবে মানিকতলার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    কেন দেরিতে উপনির্বাচন

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ চৌবে। নির্বাচনের পর তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিষয়টি শীর্ষ আদালতে পৌঁছায়। মামলার কারণে ওই কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে মারা যাওয়ার পর থমকে থাকে নির্বাচন। সম্প্রতি বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন এত দেরি হচ্ছে, যেখানে চব্বিশের লোকসভা ভোটের সঙ্গে বরানগর ও ভগবানগোলা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেখানে মানিকতলায় (Maniktala By Election) কেন ভোট নেওয়া হচ্ছে না? কমিশন ও মামলাকারীদের থেকে হলফনামা চায় শীর্ষ আদালত এবং দুমাসের মধ্যে উপনির্বাচনের সময়সীমাও বেঁধে দেয়। মামলাকারীর আবেদন ছিল, ৩০ জুনের মধ্যে উপনির্বাচন হলে ভালো হয়। ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টের মুখবন্ধ খামে মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ জানায় কমিশন। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন জানান, কমিশনের সক্রিয়তা সন্তোষজনক। এই মামলার আর ভিত্তি নেই, তাই তা খারিজ করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট-সিগন্যালের সমস্যায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৩ জুন। ওড়িশার বাহানাগার রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদেহের স্তূপ থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল মোট এই রাজ্যের ৯০ জনের মৃতদেহকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারের একজন করে স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল খড়্গপুরের হীরা নায়েকের। আজ এক বছর অতিক্রম করলেও চাকরি মেলেনি হীরার মেয়ে ভবানীর। দরিদ্র অসহায় পরিবার দিন কাটাচ্ছেন আর্থিক সঙ্কটে।

    রেল দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন(Odisha Train accident)?

    গত বছর ৫ জুন হুগলির টোল প্লাজায় রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি ঠিক করেছি মৃত পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেব, সঙ্গে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেব।” এরপর থেকে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। খড়্গপুরের প্রশাসনের লোকেরা হীরার বাড়িতে গিয়ে চাকরির জন্য নথি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছুই মেলেনি মৃতের পরিবারগুলির। চাকরি আজও মেলেনি। প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসক যোগেশ আশোকরাও বলেন, “ওই রেল দুর্ঘটনার অনেক পরে আমি এখানে দায়িত্বে এসেছি। আমার কাছে কেউ এই বিষয়ে সরাসরি এসে এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু বলেননি। যদি এমন কোনও ঘটনা থাকে, তা হলে ৪ জুনের পরে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    পরিবারের বক্তব্য

    খড়্গপুরের আম্বেডকর রেলবস্তির বাসিন্দা হলেন ভবানী। গত বছর ২ জুন মৃত্যু হয়েছিল হীরা নায়কের। যশবন্তপুরের ইঞ্জিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হীরার দেহ। মা কশিতা দাসকে চিকিৎসা করে কটক থেকে এই যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেই ফিরছিলেন হীরা। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Odisha Train accident) ঘটেছিল। রাজ্য সরকারের সাহায্য বা চাকরির কোনও সুবিধাই পাননি তাঁরা। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। দুবেলা খাবার ঠিক মতো জোটে না ভাল ভাবে। হীরার পরিবারের তরফ থেকে মেয়ে ভবানী বলেছেন, “বার বার ঘুরেও নতুন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের শ্রমদফতরে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। মাননীয়া চাকরি দেবেন বলায় আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু চাকরি হল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: শেষ দফায় বাংলায় ভোট পড়ল ৭৬.৮ শতাংশ, আগের সংখ্যা বদলে দিল কমিশন

    Lok Sabha Election: শেষ দফায় বাংলায় ভোট পড়ল ৭৬.৮ শতাংশ, আগের সংখ্যা বদলে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ জুন শেষ হয়েছে দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের অন্তিম তথা সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ। শেষ দফাতে পশ্চিমবঙ্গের ন’টি কেন্দ্রে নির্বাচন (Lok Sabha Election) ছিল। নির্বাচন কমিশন যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৭৬.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, শেষ দফায় ভোট ছিল- দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে।

    রবিবার ও সোমবার কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে তারতম্য

    তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election) যে তথ্য প্রকাশ করে সেখানে দেখা যায় ভোটদানের গড় হার ছিল ৭৩.৭৯ শতাংশ। সোমবারই কমিশনের দেওয়া তথ্যে দেখা যায় যে ওই ভোটদানের গড় হার ৭৬.৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার বেড়ে গেল ৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ সালে এই ন’টি কেন্দ্রে ভোটদানের গড় হার ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের থেকে কম। আজ অর্থাৎ সোমবারও দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে যার মধ্যে একটি বুথ রয়েছে বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত এবং অপরটি মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্গত।

    ৯ কেন্দ্রে ভোটের হার

    সোমবার কমিশন জানায়, দমদমে ভোট পড়েছে ৭৩.৮১ শতাংশ। তবে রবিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৭২.৩৭ শতাংশ। রবিবার কমিশন বলেছিল, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৭৬.১১ শতাংশ। সোমবারের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ওই কেন্দ্রে ভোটদানের হার বেড়ে হয়েছে ৮০.১৮ শতাংশ। বসিরহাট কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কমিশন রবিবার জানিয়েছিল সেখানকার ভোটদানের হার ৮২.৮১ শতাংশ। তবে জানানো হয়েছে বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election) কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৮৪.৩১ শতাংশ। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রেও কমিশনের দেওয়া তথ্যে ভোটদানের হার প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সোমবার, তা হয়েছে ৮০.০৮ শতাংশ।

    ভোটের হার বদলে গেল ২৪ ঘণ্টায়

    রবিবার কমিশন জানিয়েছিল মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৮০.৭৩ শতাংশ। সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ৮২.০২ শতাংশ। রবিবারের তুলনায় ডাময়ন্ড হারবারের ভোটদানের হারও বেড়েছে কমিশনের দেওয়া তথ্যে। সোমবার কমিশন জানিয়েছে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.০৪ শতাংশ। যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণেও একই তারতম্য দেখা গিয়েছে কমিশনের দেওয়া তথ্যে। সোমবার কমিশন জানিয়েছে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৭৬.৬৮ শতাংশ। কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৩.৫৯ শতাংশ এবং ৬৬.৯৫ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share