Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার মা রথিবালা আড়িকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত মাকে জড়িয়ে ধরে খুনি তৃণমূলীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন মেয়ে সঞ্জু আড়ি। শনিবার তিনি বুথে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন। ভোট পূর্ববর্তী হিংসা’য় মাকে হারানো সঞ্জু ভোট দিয়ে বেরিয়ে বললেন, বাড়ির বাকিরাও ভোট দেবেন।

    থমথমে মনসা বাজার (Nandigram)

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) গড়চক্রবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়াগামী সড়ক ধরে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিলে মনসা বাজার। ভোটের দিন সকালে দেখা গেল বাজারে তেমন লোক নেই। পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ওই মূল রাস্তার ডান দিক থেকে ছোট্ট পাকা রাস্তা ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হাঁটাপথ ধরে এগিয়ে গেলেই রথিবালাদের বুথ। সাউদখালি জলপাই গ্রামের এই রাস্তায় ঢুকতেই অদ্ভুত এক থমথমে পরিস্থিতি মালুম হয়। গোটা এলাকায় চোখে পড়ছে বিজেপির পতাকা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথিবালাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় নতুন করে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রথিবালাদেবীর মেয়ে সঞ্জু এক জনের স্কুটিতে চেপে বুথে যান।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম

    বুথের বাইরে সতর্ক প্রহরায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান। সেখানেই সকাল সকাল ভোটদান করলেন রথিবালার মেয়ে সঞ্জু। তাঁকে দেখেই দ্রুত বুথের ভিতরে যাওয়ার রাস্তা ছেড়ে দিলেন অন্যরা। ছলছল চোখে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সঞ্জু বলেন, “মাকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে দুই দাদা এবং বউদি। বড় দাদা সঞ্জয় গুরুতর জখম হয়ে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাড়িতে ওর স্ত্রী আর দুই শিশু আছে। আর এক দাদা এবং তার স্ত্রী-ও বাড়িতে আছে। আমি আগে এলাম। বাড়ির বাকি সবাই ভোট দিয়ে যাবে। ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Jhargram: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ষষ্ঠদফা নির্বাচনের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভার কেশপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী হিরণকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাস্তায় আগুন জ্বেলে বিজেপিদের আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। আর দুপুর গড়াতেই অশান্তি ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। যদিও  গড়বেতা ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লোকসভার মধ্যে পড়ে। সেই গড়বেতায় ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ইট মেরে তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও এলাকা থেকে তাড়া দিয়ে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০০ নম্বর বুথে উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভাঙা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই এলাকায় অশান্তি করছে।

    বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা (Jhargram)

    বেলা দেড়টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় (Jhargram) যান বিজেপি প্রার্থী। বেশ কয়েকজন ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ শুনে এলাকায় এসে প্রার্থী ভোটারদের নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের উপর আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। সেখানে ছাড় পায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি, কেন্দ্রীয় বাহিনীও। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একদল মানুষ কার্যত পাথর ছুড়ছেন বিজেপি প্রার্থীকে। আর সেই পাথরের থেকে বাঁচতে ছুটতে- ছুটতে দৌড়চ্ছেন প্রার্থীও। তাঁকে ঘিরে ধরেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা, তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তিনিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাননি, তাঁর গায়েও পাথর লেগেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় ইট লাগে, তাতে মাথাও ফাটে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    নিরাপত্তারক্ষী  না থাকলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না

    বিজেপি প্রার্থী প্রণত বলেন, প্রার্থী হিসাবে আমি এখানে এসেছিলাম। খবর ছিল, এখানে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন বলে কিছু নেই। আমাদের তরফে কোনও প্ররোচনা ছিল না। তৃণমূল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিচ্ছে। ঝাড়গ্রামকে (Jhargram) সন্দেশখালি বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এখানে আমাদের ভোটারেরা ভোট দিতে পারছেন না। নিরাপত্তারক্ষী ছিল বলে আমি বেঁচেছি। না হলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১২ সালে টাইমস গ্রুপ পশ্চিমবঙ্গে চালু করে ‘এই সময়’ দৈনিক সংবাদপত্র (Ei Samay)। যার প্রাত্যহিক সার্কুলেশন ছিল প্রায় ১.৭ লাখ কপি। সম্প্রতি টাইমস গ্রুপের এই সংবাদপত্রকে কিনে নিয়েছে একটি কোম্পানি, যার বয়স মাত্র এক মাস। এই কোম্পানির মাথা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আইনজীবী সঞ্জয় বসু।

    সঞ্জয় বসুর বিবৃতি

    ‘এইসময়’ পত্রিকাকে (Ei Samay) কিনে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লিঙ্কডিনে বিবৃতি আসে সঞ্জয় বসুর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেডের অনুরাগ চৌধুরীর সঙ্গে এই দৈনিকটি তাঁরা কিনে নিয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে ওই বিবৃতিতে সঞ্জয় বসু দাবি করেন, “আজ আমরা খুব অল্প লোক একত্রিত হয়েছি এবং ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটি অধিগ্রহণ করেছি।” এই অল্প কয়েকজন লোক বলতে তিনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ যে কোম্পানি ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে অধিগ্রহণ করেছে তার বয়স এক মাসও নয়। এর পাশাপাশি ‘এই সময়’ এর কোন অ্যাসেট নেই।

    রাতারাতি ১৮ কোটি বিনিয়োগ

    পরবর্তীকালে দেখা যায় এক সপ্তাহ পরেই এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে ওই ১৮ কোটি টাকার মধ্যে সঞ্জয় বসু বিনিয়োগ করেছেন ৯.৯২ কোটি টাকা। রকেট মার্কেটিং নামে একটি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে ৫.৪১ কোটি টাকা এবং গৌতম আগরওয়াল নামে একজন বিনিয়োগ করেছেন ২.৭ কোটি টাকা।

    কে এই সঞ্জয় বসু

    সঞ্জয় বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দুজনের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সঞ্জয় বসু খবরের শিরোনামে আসেন, কারণ ইডি তখন পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে তল্লাশি চালায় তাঁর বাড়িতে। সেই সময় ইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার জন্য এই তল্লাশি করা হয়েছিল। ইডি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায় যে ‘পিনকন গ্রুপ’ নামের একটি চিট ফান্ড এইভাবে ১৫৬ কোটি টাকা তুলেছে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এবং ‘টাওয়ার ইনফোটেক লিমিটেড’ নামের অপর একটি কোম্পানি ৬৩৮ কোটি টাকা তুলেছে একইভাবে। সেই সময় সঞ্জয় বসুর হয়ে ব্যাট ধরেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ইডির এই তল্লাশি অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন।

    অনেক দিন ধরেই বিক্রির চেষ্টা করছিল টাইমস গ্রুপ

    প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, টাইমস গ্রুপ ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটিকে বিক্রি করার জন্য অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল। এমনটাই জানিয়েছেন পত্রিকার এক পুরনো কর্মচারী। আগেই ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে (Ei Samay) অপর একটি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল টাইমস গ্রুপ। কিন্তু সেই সংস্থা এটিকে কিনতে চাইনি। সূত্রের খবর, লকডাউনের পর থেকেই কাগজটি ক্রমশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল এবং বর্তমানে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ চালান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ল কলকাতা। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ‘আঁ সার্ত্যাঁ রোগার’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কলকাতার মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত (Anasuya Sengupta)। অনসূয়াই প্রথম ভারতীয় যিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival)। যা বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সিনেমার জন্য এক অভাবনীয় সাফল্য৷ বুলগেরিয়ান পরিচালক কনস্টানটিন বোজানভ পরিচালিত ছবি ‘দ্য শেমলেস’-এর হাত ধরে এই শিরোপা পেলেন বাঙালি অভিনেত্রী। এই প্রথম কান-এ কোনও ভারতীয় অভিনেত্রী এই বিভাগে পুরস্কৃত হলেন। 

    ছবির বিষয় 

    ‘দ্য শেমলেস’-আবর্তিত রেণুকাকে ঘিরে। রেণুকার ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন বাংলার অনুসূয়া (Anasuya Sengupta)। সিনেমায় চলচ্চিত্রকার একজন যৌনকর্মীর কাহিনী তুলে ধরেছেন৷ গল্পে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি মেরে দিল্লির যৌনপল্লী থেকে পালায় সে। এরপর উত্তর ভারতের যৌনকর্মীদের একটি সম্প্রদায়ের কাছে আশ্রয় নেন৷ সেখানে তাঁর পরিচয় হয় দেবিকা (ওমারা)-র সঙ্গে৷ এই তরুণী পতিতাবৃত্তির জীবনকে ঘৃণা করেন৷ এরপর এই দুজনের জীবনের ওঠাপড়া নিয়েই বোনা হয় ছবির গল্প।  

    আরও পড়ুন: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    অনুসূয়ার কর্মজীবন (Anasuya Sengupta)

    জানা যায়, খাস কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন অনুসূয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনা। তবে অনসূয়ার কর্মজীবনের শুরুটা অনেক বছর আগে। বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অঞ্জন দত্তের ‘ম্যাডলি বাঙালি’ ছবিতে তানিয়ার চরিত্রে দেখা যায় অনসূয়াকে। এখানেই শেষ নয়, অনুসূয়া ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সের সত্যজিৎ রায়ের সংকলন ‘ফরগেট মি নট’ এবং ‘মাসাবা মাসাবা’র মতো শোয়ে প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসাবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি ৷ 
    শনিবার পরিসপমাপ্তি ঘটবে ২০২৪ কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival)৷ আর তার আগে শুক্রবার রাতে কানের মঞ্চে এই সম্মান নিতে উঠে অনসূয়া (Anasuya Sengupta) তাঁর এই পুরস্কার সমাজের সেই সমস্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করেছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত বিশ্বের সর্বত্র নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় রেমাল, দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল

    Cyclone Remal: শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় রেমাল, দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্ক প্রশাসন। বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। সে সময়ে উপকূলে হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ের বেগ উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় (Cyclone Update) মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (এনডিআরএফ)। দক্ষিণবঙ্গে এনডিআরএফ-এর ১২টি দল নিযুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতায় শুরু হল বৃষ্টি।

    খালি করা হল সমুদ্রতট

    ঝড়ের (Cyclone Remal) আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই উপকূলের বেশ কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দফতর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তারপরেই বকখালির সমুদ্রতট ফাঁকা করেছে প্রশাসন। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা থেকে শুরু করে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে রাও-সহ পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা মুহুর্মুহু বৈঠক সারছেন। অতিরিক্ত শুকনো খাবার, পানীয় জল মজুত রাখার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছ। প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ঝড়ের গতি-প্রকৃতির উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।

    কোথায় কোথায় এনডিআরঅফ টিম

    এনডিআরএফ-এর যে ১২টি দলকে দক্ষিণবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে, সেগুলি থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা, হাসনাবাদ, বসিরহাট, গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, দিঘার রামনগর, কাঁথি, দাঁতন, নারায়ণগড় এবং আরামবাগে। দিঘায় দু’টি দল থাকবে বলে জানা গিয়েছে।  ঝড় (Cyclone Remal) এবং তৎপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে এই দল।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    নিম্নচাপ পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রেখেছে আলিপুর। আজ শনিবার দুপুর সোয়া দু’টো নাগাদ নয়াদিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়, ভোর সাড়ে পাঁচটা অবধি পাওয়া তথ্য অনুসারে, গভীর নিম্নচাপটি এখনও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর রয়েছে। গত ছয় ঘণ্টা ধরে সেটি ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে এগিয়ে চলেছে উত্তর দিকে। বর্তমানে সেটির অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ক্রমশ উত্তরদিকে যত এগোবে, বঙ্গোপসাগরের ওপর তীব্র জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে তা আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে এবং একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone Remal) রূপ নিয়ে আগামীকাল ২৬ মে, রবিবার গভীর রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে কোনও এক জায়গায় আছড়ে পড়তে চলেছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন, কী করবেন না? জানুন

    শহরে শুরু বৃষ্টি

    সকাল থেকে কাঠফাটা গরমে নাজেহাল শহরবাসী। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন ঝড় (Cyclone Remal) কোথায়! কিন্তু দুপুর গড়াতেই আবহাওয়াতে বদল। দুপুর আড়াইটে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় মেঘের গুড়গুড় ও মুষলধারায় বৃষ্টি। দমকা বাদলা হাওয়া বইতে শুরু করে। তাপমাত্রাও একধাক্কায় নেমে যায় অনেকটা। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। মেদিনীপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পল। এই লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথ কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। বুথের মধ্যেই পুলিশ ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেই পুলিশকে বার করে দেন বুথের ভিতর থেকে। এরপর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসান। কিন্তু বুথ থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবার খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “পুলিশ অত্যন্ত নির্লজ্জ। বুথের ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের গতকাল রাত থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। আজ সকালে অনেককে কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমাদের বুথে নতুন করে এজেন্ট বসাতে হচ্ছে। মমতা সরকারের পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে সরাসরি কাজ করাচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাচ্ছে পুলিশ।“ একই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা কী চোখে দেখতে পান না? পুলিশ কীভাবে বুথের বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পায়। আপনারা কর্তব্য ঠিক মতো পালন না করলে আমরা অভিযোগ জানাবো কমিশনে। হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম।” একই ভাবে বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা।

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    ঝাড়গ্রামে প্রণত টুডুর গাড়িতে আক্রমণ

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০ নম্বর বুথে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর অনুগামীরা। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Anubrata Mondal)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটে তাঁর অনুগামীরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করে। এবার ফের নতুনহাটে দলীয় কার্যালয়ের দখলকে ঘিরে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শান্ত সরকারের অভিযোগ, আমাদের নেতা অনুব্রত। দাদা এখন জেলে বলে আমরা ব্রাত্য। আমাদের অনুগামীদের চড়-থাপ্পড় মেরে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী বর্তমান উপপ্রধার ছাহিম মল্লিকের দলবল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্ত সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোটে জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন। একদা অনুব্রতর স্নেহধন্য ছিলেন। আর তাঁরাই এখন দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অনুব্রত গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ-সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষকেই কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের তরফেও তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের দরজায় আরও একটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    পুলিশ তালা দিয়েছে পার্টি অফিসে

    মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘অফিস কখনও কারও ব্যক্তিগত হয় না। তৃণমূলের অফিসে সমস্ত দলীয় কর্মীরা বসবেন। এলাকায় অশান্তি রুখতে পুলিশ ওই অফিসে তালা দিয়েছে। আবার সময় হলে অফিস খুলে দেবে। আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নেতৃত্ব যা বলবে তাই হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মেঘনাথ দাস বলেন, তৃণমূলের জঘন্য রাজনীতিতে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট লুট করেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন, কী করবেন না? জানুন

    Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন, কী করবেন না? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। রবিবার মধ্য রাতে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে চিন্তা বেশি উপকূলবর্তী এলাকাগুলি নিয়েই। সেখানে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। তাই রেমাল তাণ্ডবের মধ্যে বাড়ি ঘরদোর সুরক্ষিত রাখতে কী কী করবেন জেনে রাখা ভাল। একইসঙ্গে জেনে নিন কী কী করা যাবে না।

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসার আগে যা করবেন (Cyclone Remal)

    ঘরের ছাদ দেখে নিন। কোনও টালি বা অ্যাডবেস্টার আলগা থাকলে মেরামত করুন। দরজা জানালার কবজাও মেরামত করে নিন। বাড়ির আশেপাশে গাছ থাকলে তার ডালপালা কেটে দিন। হালকা শুকনো খাবার মজুত রাখুন, জল, ওষুধ হাতের কাছে রাখুন। ঝড়ের পর অনেকটা সময় বিদ্যুৎ নাও থাকতে পারে। তাই মোমবাতি সংগ্রহ করে রাখুন। ছাদের প্লাস্টিকের ট্যাঙ্কে জল ধরে ভাল করে বাঁধন দিয়ে রাখুন। নইলে ঝড়ে উড়ে যেতে পারে। ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিন যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন। কিছু নগদ টাকা সঙ্গে রাখুন। বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যাঙ্কের এটিএম চলবে না। বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন। 

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল শুরু হলে কী কী করবেন ?

    বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভিতে খবরে নজর রাখুন। বিদ্যুত না থাকলে রেডিয়ো চালিয়ে রাখতে পারেন। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে নিয়মিত আবহাওয়া (Weather Update) খবর পাবেন। প্রয়োজনে সঠিক খবর শুনে অন্যদের জানান। অযথা গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়াবেন না। সমস্ত ইলেক্ট্রিক জিনিসের সুইচ অফ করে দিন। প্লাগও খুলে দিতে হবে। আগাম ২৪ ঘণ্টার সতর্কতা শুনে সেই মতো ব্যবস্থা নিন। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Remal) সময় প্রশাসনের তৈরি বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় সেন্টারে গিয়ে থাকাই শ্রেয়। এতে অনেকটা নিরাপদে থাকা যাবে। 

    ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী করবেন না? 

    ঝড়ের সময়ে বাইরে যাতায়াত বন্ধ রাখুন। ঝড়ের পর ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে হাত দেবেন না। ঘূর্ণিঝড়ে থামলেই বাইরে বেরোনো একেবারে উচিত নয়। অপেক্ষা করুন আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের পূর্বাভাসের। কারণ ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Remal) চক্রাকারে ঘোরে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে কোনও ঝড় হয় না। ওই অংশ শান্ত । হতে পারে সেই সময় ওই অংশটি আপনার এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম হাওয়া ডানদিক থেকে বাঁদিকে বইলে পরের হাওয়া অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বা চোখ পেরিয়ে যাওয়ার পরের হাওয়া বাঁদিক থেকে ডানদিকে বইবে। তাই ওই সময় বাইরে থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share