Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • High Court: সপাটে চড় খেল রাজ্য! পিয়ালির গ্রেফতারিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পেল হাইকোর্ট

    High Court: সপাটে চড় খেল রাজ্য! পিয়ালির গ্রেফতারিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পেল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে (High Court) ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস (PIyali Das) ওরফে মাম্পিকে জামিন দিল আদালত। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ। যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়েও হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে রাজ্য। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ড কে? প্রশ্ন বিচারকের।

    পিয়ালির গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

    ১৪ মে বসিরহাট আদালতে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতারি বরণ করতে হয়েছিল বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে। নিম্ন আদালত (Basirhat Court) জামিন তো দেয়নি, উল্টে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। প্রতিবাদে মাম্পি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিজেপি (BJP) নেত্রীর গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি করেন বিচারক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারিকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারক মন্তব্য করেন, “নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন কেউ যদি অভিযোগকারী বা সাক্ষীদের মিথ্যা বলার জন্য হুমকি দেয় শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই ১৯৫(এ) প্রযোজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটা স্পষ্ট বলা আছে। যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখেও কেউ চোখ বন্ধ করে বসে থাকে তাহলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল।” পিয়ালির বিরুদ্ধে ১৯৫(এ) ধারায় যে অভিযোগ হয়েছে তাও স্থগিত করে দেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ভোটের পর ১৯ জুন।

    হাইকোর্টে কড়া ধমক খেল রাজ্য

    এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পিয়ালি দাসের গ্রেফতারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে ১৯৫(এ) ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ম্যাজিস্ট্রেট কি করেছেন? ১৯৫(এ) ধারা নিয়ে সুপ্রিম (SC) কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তার পরেও তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি

    রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “এভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। আপনারা হয়ত এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি অন্তত মেনে চলুন। পিয়ালিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে আদালত। আদালতের (High Court) এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কীভাবে গ্রেফতার করা হয় পিয়ালি দাসকে

    প্রসঙ্গত সন্দেশখালির আন্দোলন পর্বে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পি। রেখা পাত্র’র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শাসকদলের অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। এর পরেই শাসকদলের রোষে পড়ে যান তিনি। সন্দেশখালির যে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাতেও মাম্পির নাম নেওয়া হয়। এরপরেই জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর হয় তাঁর নামে। দুদিন পরে পুলিশ ৪১(এ) ধারায় নোটিশ দেয়। “১৪ই মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারা থাকায় জামিন নিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে ফেলে। নতুন মামলায় নতুন ধারা পুলিশ জুড়ে দেয়। নতুন মামলায় জামিন অযোগ্য ধারা থাকায় জামিন দিতে অস্বীকার করে মহকুমা আদালত। এমনকি পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।” সওয়াল জওয়াবের সময় এই অভিযোগ করেন পিয়ালির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার।

  • Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, পঞ্চম দফায় রাজ্যে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

    Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, পঞ্চম দফায় রাজ্যে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত রাজ্যে প্রথম চার দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া প্রায় নির্বিঘ্নেই কেটেছে নির্বাচন। বাকি রয়েছে এখনো পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট। তাই ভোটে যাতে কোনরকম অশান্তির ছবি না উঠে আসে তার জন্য আরো আটোসাঁটো নিরাপত্তায় রাজ্যকে মুড়ছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে প্রথম চার দফার থেকে আরো বেশি পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন হবে বাকি তিন দফার ভোটে।

    ধাপে ধাপে বারবে বাহিনীর সংখ্যা 

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ছে পঞ্চম দফা থেকে। বাংলায় শেষ তিন দফায় (Lok Sabha Election 2024) কমিশনের প্রস্তাবিত বাহিনীর থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। পঞ্চম দফার পর ষষ্ঠ দফায় তা আরও বাড়বে। আর সপ্তম তথা শেষ দফায় আরও বৃদ্ধি করা হবে বাহিনী।

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? 

    চতুর্থ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে৷ আর তার জেরেই পঞ্চম দফায় বাড়ানো হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে ৮৫ শতাংশ এবং আরামবাগে ৮৭ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। মূলত সেই কারণেই পঞ্চম দফা ভোটের আগে বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগে বাহিনী ছিল ৭৬২ কোম্পানি৷ আর এবার থাকছে ৭৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ অর্থাৎ রাজ্যে আরও অতিরিক্ত ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এই ৩৭ সংখ্যার মধ্যে ২০ কোম্পানি আসছে মণিপুর থেকে, ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে মধ্যপ্রদেশ থেকে। প্রসঙ্গত পঞ্চম দফায় মোট ৫৬৭ সেকশন কিউআরটি থাকবে বলে খবর কমিশন সূত্রে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানি শরণার্থীরা পেলেন ভারতীয় নাগরিকত্ব, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    পঞ্চম দফা থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) শুরু হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে৷ আগামী সোমবার অর্থাৎ ২০ মে রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। হাওড়া, হুগলি, উলুবেরিয়া, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ এই সাতটি আসনে নির্বাচন হবে পঞ্চম দফায়৷ যেহেতু এবার কেন্দ্রের সংখ্যা  বেশি তাই সেই অনুয়ায়ী শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়তে চলেছে কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Siliguri: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। রাজ্যের তৃণমূল সরকার মাতৃত্বকালীন মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য বার বার কৃতিত্বের দাবি করে। এভাবে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের সেই দাবি জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গের একমাত্র রেফারেল সেন্টার ৫৫ বছরের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। 

     প্রশ্নের মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Siliguri)

    উত্তরবঙ্গ (Siliguri) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরে নানান অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে চলছে প্রসূতি বিভাগ। অনেক সময় নার্সরা প্রসব করান। দুপুরের পর থেকে সিনিয়র ডাক্তারদের দেখা মেলে না। গত ১ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে এই অভিযোগগুলিই সামনে চলে এসেছে। দু’সপ্তাহে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার দিকটি দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    কী বলছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    হাসপাতালের (Siliguri) অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (মেডিক্যাল) ডাঃ নন্দন কুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উদ্বেগজনক। যে দশজন মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে  ইসলামপুর থেকে ২ জন,   জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২ এবং ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া ও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে একজন করে প্রসূতি সঙ্কটজনক অবস্থায় রেফার হয়ে এসেছিলেন। এদের কারও কিডনির, কারও হার্টের সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতা  ছিল। তাই তাদের প্রয়োজনীয় সব রকম  চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ফেসিলিটি নোডাল অফিসার ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, প্রসূতিদের শুরুতেই দেখা উচিত, কারও কিডনির অসুখ, লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা বা অন্য কোনও জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত কিনা প্রসূতিরা সেটা প্রথমেই নির্ণয় করা প্রয়োজন। চিকিৎসার একদম নীচু স্তরে যাতে প্রসূতিদের এই দিকগুলির ওপর নজর দেওয়া হয় সে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওয়াকিবহাল করা হবে।

     প্রসূতিদের চিকিৎসায় গাফিলতি?

    রাজ্যের তৃণমূল সরকার দাবি করে, ব্লক থেকে জেলা, সব সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে এবং সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখজনকভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রথম থেকেই সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখভাল করেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। প্রসূতিদের অহেতুক রেফারও বন্ধ করা হয়েছে। তাহলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে তাদের সঙ্কটজনক অবস্থায় রেফার করা হল কেন? শুরুতে  চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • POK: ‘একজনের ভুলে হাতছাড়া কাশ্মীরের একাংশ’, নাম না করে নেহরুর দুর্বলতা স্মরণ জয়শঙ্করের

    POK: ‘একজনের ভুলে হাতছাড়া কাশ্মীরের একাংশ’, নাম না করে নেহরুর দুর্বলতা স্মরণ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও একজনের দুর্বলতা এবং ভুলের জন্য কাশ্মীরের একটা অংশ (POK) ভারতের হাতছাড়া হয়েছে।” নাম না করে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দিকে ইশারা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ববন্ধু’ ভারত নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন POK ফেরত নিতে ভারত প্রতিজ্ঞবদ্ধ এব্যাপারে কারও মনে সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

    কোনও লক্ষণরেখা নেই, CPEC সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা জয়শঙ্করের

    বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তাহলে চিন ভারতের উপর হামলা করতে পারে। কারণ সিপেক রয়েছে সেখানে। প্রত্যুত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না এরকম লক্ষণ রেখা আছে বলে। আমরা মনে করি কারও ভুল কিংবা দুর্বলতার জন্য পিওকে সাময়িকভাবে হাতছাড়া হয়েছে। বিশ্বস্তরে আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি, পিওকে ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। ভারতীয় সংসদে আমাদের প্রস্তাব আছে আমরা পিওকে ফেরত নেব। তবে কীভাবে, কখন হবে তা সময় বলে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত চাঁদে পা রাখছে, করাচির ম্যানহোলে শিশুমৃত্যু হচ্ছে’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি (S Jaishankar) আরও বলেন, “পাকিস্তান (Pakistan) কিংবা তাঁর কোন প্রতিবেশী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) উপরে নিজেদের দাবি করতে পারে না। ভারত (India) একমাত্র আইনসঙ্গত দাবিদার। আমি চিনে (China) রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছি। আমরা সকলেই জানি চিনের পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কাশ্মীরের (Kashmir) উপরে তাঁদের মনোভাব। কিন্তু আমরা ওদের আগেও বলেছি এখনও বলছি পাকিস্তান হোক বা চিন, কেউ আমাদের অংশের উপরে নীতিগতভাবে দাবি করতে পারে না। জবরদখলকারিরা কখনও মালিক হতে পারে না। তাঁরা জবরদখল করে রেখেছে এবং ওখানে নির্মাণ কাজ চালিয়েছে। তাতেও মালিকানা স্বত্ব ভারতেরই থাকে। 

    পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে চুক্তি

    পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ১৯৬৩ সালের চুক্তির কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, “ইসলামাবাদ যখন পাক অধিকৃত ভূখণ্ডের (POK) একটি অংশ চিনকে বন্ধুত্বের স্বরূপ হস্তান্তর করে তখন চুক্তিতে বলা হয়েছিল চিন শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বা ভারতের যে কোনও দেশের আঞ্চলিক দাবিকে সম্মান করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় যেভাবে ভূরাজনৈতিক গতিবিধিতে পরিবর্তন এসছে সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভারত নিজের অবস্থান বিশ্ব দরবারে জোরালো ভাবে তুলে ধরেছে। এবং ভারতের সমর্থনেও অনেক রাষ্ট্র আছে। আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখতে হবে এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এখন আমরা যেভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরতে পারি ১০ বছর আগেও সেটা হত না। এখন ভারতের বাইরে ভারতীয়রা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা যেন বালি -পাথর মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ভোট পার হতেই ফের সক্রিয় বালি-পাথর মাফিয়ারা। এই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের মারধর, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর সহ প্রাণে মারার হুমকিও দিচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই বেআইনি কারবার চলছে। ভূ-ততত্ত্ববিদদের আশঙ্কা,  বালি -পাথর উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই যদি লাগাম না টানা হয় তাহলে আগামীদিনে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে গোটা ডুয়ার্স সহ গোটা জলপাইগুড়ি জেলা।

    মাফিয়াদের হাতে বার বার আক্রান্ত প্রশাসনের কর্মীরা (Jalpaiguri)

    বৃহস্পতিবারও বালি,পাথর বোঝাই ওভারলোডিং ডাম্পারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ধূপগুড়ির (Jalpaiguri)  ভূমি রাজস্ব দফতরের এক রেভিনিউ অফিসার। দিন দুয়েক আগেও অবৈধ বালি  পাচার করা রুখতে গিয়ে ময়নাগুড়ির এক রেভিনিউ আধিকারিককে বালি মাফিয়ারা মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সব কিছু জেনেও প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মাল ব্লকের লিস, ঘিষ সহ বিভিন্ন নদী থেকে সারাদিন বালি এবং পাথর উত্তোলন করে চলেছে একদল বালি ও পাথর মাফিয়া। অভিযোগ, মাফিয়ারা পাহাড়ের গা ঘেষে বিভিন্ন মেশিন বসিয়ে পাহাড় কেটে পাথর নিয়ে পাচার করছেন। দিনভর নদীতে বালি উত্তোলন করে রাতে শুরু হয় তার পাচার। রাত বাড়তেই মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তার দখল নেয় বালি ও পাথর বোঝাই ডাম্পার। যে এলাকা থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই তা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন এখানে ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিদিন কয়েকশ গাড়ি বালি এবং পাথর পাচার করছে তারা।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    জেলা তৃণমূল নেতার মদতেই চলছে এই কারবার!

    একটি সূত্রের খবর, শাসক দলের এক জেলা (Jalpaiguri) নেতার সক্রিয় মদতে এই পাচার চলছে। শুধু তাই নয় তাঁর মাথায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর হাত আছে বলেও জানা  গিয়েছে। ওই জেলা নেতার বেশ কয়েকটি ডাম্পার, আর্থ মুভারসহ বিভিন্ন রকম খনন করার যন্ত্র রয়েছে। সেইসব যন্ত্রপাতি নদী বক্ষে নামিয়ে দিয়ে খনন করা হয়। যা কিনা পুরোপুরি বেআইনি। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে? কার সাধ্য আছে? মাথায় যে মন্ত্রীর হাত রয়েছে। তাই মালবাজার থানা, ক্রান্তি থানা, ময়নাগুড়ি থানা এলাকা পেড়িয়ে বুক চিতিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে গাড়ি গুলি। রাতে পাচারের বড় সুবিধা সেই সময় রাস্তায় শুধু পুলিশ থাকে, ভূমি ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা থাকে না। তাই রাতের সময়টাকেই বেছে নেয় পাচারকারীরা।

    পাচারে যুক্ত তৃণমূলের লোকজন, স্বীকার শাসক দলের নেতার

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ বলেন, এই পাচারের ব্যবসায় আমাদের দলের লোক সরাসরি জড়িত। দলের এক জেলা কমিটির সদস্যের সক্রিয়তায় এই পাচার চক্র চলে। তিনি এখন বালি পাথরের মাফিয়ায় পরিণত হয়েছেন। যার ফলে দল বিপাকে পড়ছে। অন্যদিকে, এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, গোটা পাচার চক্র চলছে তৃণমূলের মদতে। তাই সরকারি আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস পায় মাফিয়ারা। আর পুলিশ তাদের দেখতেই পায়না। তাই পাচারকারীরাও বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DEV: নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    DEV: নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চমদফা নির্বাচনের আগে ফের আরও এক অডিও ভাইরাল হয়েছে। এবার ঘটনার কেন্দ্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। এই লোকসভা কেন্দ্রের দুইজন তারকা প্রার্থী। এক দিকে বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং অপরে তৃণমূলের প্রার্থী দেব। একটি অডিও (DEV) এবার প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও মাধ্যম এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। হিরণের দাবি, চাকরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছে এক মহিলা। দেব-ঘনিষ্ঠ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। চাকরি না মেলায় এবার টাকা ফেরত চান ওঁই মহিলা। মহিলার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এই ভিডিওতে উঠে এসেছে। ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ভিডিওর বক্তব্য (DEV)

    হিরণ যে অডিও (DEV Video) টি সামনে এনেছেন তাতে রয়েছে-

    মহিলাঃ দেব দা কেমন আছেন?

    দেবঃ ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?

    মহিলাঃ একদম ভালো আছি দাদা। দেবদা (DEV) একটা ছোট বিষয় ছিল। সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, তাই ফোন করতে বাধ্য হলাম। রাম আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। চাকরি দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি। আমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। সমস্যার সমাধান চাই।

    দেবঃ বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

    আরও পড়ুনঃপূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    দেবের বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী দেব এই বিষয়ে বলেন, “মহিলার কণ্ঠস্বর (DEV Video) এডিট করা হয়েছে। বিজেপি ভোটের মুখে অপপ্রচার করছে। এই সব কাজের ভিত্তি নেই, মিথ্যা। দরকার হলে এবার মামলা করব।” অপর দিকে তৃণমূল নেতা এবং দেব ঘনিষ্ঠ রামপদ মান্না বলেছেন, “এটা বিজেপির চক্রান্ত, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” আবার বিজেপি প্রার্থী হিরণ বলেন, “দেব সবটাই জানেন, চাকরি বিক্রি করার একটা চক্র চলছে। মানুষ সাহস করে মুখ খুলছে। তৃণমূলের সর্বত্র স্তরে দুর্নীতি ঢুকে রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তদন্তের জন্য একাধিকবার সন্দেশখালিতে  (Sandeshkhali) গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করল সিবিআই।

    অস্থায়ী শিবির চালু করল সিবিআই (Sandeshkhali)

     কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থেকেই এ বার তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ধামাখালিতে একটি ব্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী শিবির করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার কাজ হবে ওই অস্থায়ী শিবিরে। এর পাশাপাশি সেখানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই অস্থায়ী শিবিরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য  কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েকজন আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছেন। এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সন্দেশখালি যান। অস্থায়ী শিবিরে অনেক সহজেই এলাকার মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    অনলাইনে অভিযোগও জমা নেওয়া হবে

    সিবিআইয়ের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়াও বন্ধ করছে না তারা। তবে, গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই মতো প্রচার করা হয়েছিল। সিবিআই দফতরে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ইতিমধ্যে একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে গিয়ে তদন্ত করেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখেন। এবার অস্থায়ী শিবির করেই এই কাজ করবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI: বিশ্বে এক নম্বর! মোদি জমানায় মোবাইল ওয়ালেট পেমেন্টে শীর্ষে ভারত

    UPI: বিশ্বে এক নম্বর! মোদি জমানায় মোবাইল ওয়ালেট পেমেন্টে শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই (UPI) পেমেন্টে ভারতের জয়জয়কার। ভারতের (Digital India) প্রায় ৯১ শতাংশ জনতা এখন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবহার করে। ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কনজিউমার সার্ভিসেস গ্লোবাল ডেটা ২০২৩ অনুসারে ভারত এখন মোবাইল ওয়ালেট পেমেন্টে এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে। ভারতের ৯০.৮০ শতাংশ মানুষ এখন ব্যবহার করছে অনলাইন পেমেন্ট (UPI Payment)।

    ইউপিআই ব্যবহারে শীর্ষে ভারত

    ২০২৪-এর এপ্রিল মাসে ভারতের (India) ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহারর ক্ষেত্রে এই যাবৎকালের শীর্ষে ছিল। দৈনিক ১৯.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা ইউপিআই পেমেন্ট হয়েছে দেশজুড়ে। চলতি বছর মে মাসেও ইউপিআই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও মে মাসে একটু কম ইউপিআই (UPI) ব্যবহার হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১০.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবহার হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India)

    ডিজিটাল পেমেন্টের এই ব্যাপক অগ্রগতি ভারতের যুব সমাজের ডিজিটাল প্রযুক্তিকে আপন করে নেওয়ার একটা বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এরই অঙ্গ ছিল ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবস্থা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারেও ইউপিআই পেমেন্টকে তুলে ধরা হয়েছে। মোদি জমানায় ডিজিটাল ব্যবস্থাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের রূপে কার্ড (Rupay Card) ব্যবস্থা বিশ্বের নানা প্রান্তে ব্যবহার হচ্ছে।

    কোভিডের সময় ইউপিআই-এর উত্থান

    প্রসঙ্গত কোভিড মহামারি ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে ক্ষেত্রে একটা বড় ধাক্কা দিয়েছিল। কোভিডর (Covid-19) সময় অনলাইন পেমেন্ট এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই সময় সামাজিক দূরত্ব বিধি ইউপিআই পেমেন্টকে সাহায্য করেছিল। দেখা গেছে কোভিডের সময় থেকেই মোবাইল ওয়ালেট, ইউপিআই এবং ভিম (BHIM) পেমেন্ট ব্যবস্থা সহ সমস্ত ধরনের অনলাইন পেমেন্ট (Digital India) ব্যবস্থার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গ্লোবাল ডেটা এনালিস্ট রবি শর্মা জানিয়েছেন, সারা পৃথিবীতেই কোভিড পরবর্তী সময়ে অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা কদর বেড়েছিল। হংকং এর মত ছোট দেশেও কোভিড পরবর্তীকালে নগদ টাকার ব্যবহার কমে যায়।

    আরও পড়ুন: Google Wallet: গুগল পে, ফোন পে-র দিন কি শেষ! ভারতে চলে এল গুগল ওয়ালেট

    কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় বিভিন্ন দেশে নগদ টাকার ব্যবহার ফের ফিরে আসে। ভারতে সেটা হয়নি। ডিজিটাল ভারতের (Digital India) ঘরে ঘরে ফোর জি কিংবা ফাইভ জি অ্যান্ড্রয়েড। তাই ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট শহর হোক কিংবা মফস্বল অঞ্চল, সব জায়গায় মানুষ এখন মোবাইল পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামেও ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল পেমেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI Raids: পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    CBI Raids: পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই (CBI Raids) হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ভোটপরবর্তী মামলায় তদন্তে এই হানা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মারিশদা থানা এলাকায় এই তল্লাশি করা হয়। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারাও ছিলেন। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। আগামী ২৫ মে এই কেন্দ্রে লোকসভার ভোট। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযানের জল কোথায় গড়ায় তাই এখন দেখার।

    সিবিআই সূত্রে খবর (CBI Raids)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৫টা নাগাদ কাঁথি থেকে ১৪ কিমি দূরে মারিশদা থানা এলাকায় ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামে পৌঁছে সিবিআই (CBI Raids) তল্লাশি শুরু করে। তদন্তকারী অফিসারদের একটি দল তৃণমূলনেতা দেবব্রত পাণ্ডার বাড়িতে যায়। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর মেয়েকে অনেক সময় ধরে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। অপর আরেকটি দল ইছাঘেরা গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান বুদ্ধদেব মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। তবে সেখানেও বুদ্ধদেবকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে বুদ্ধদেবকে না পেলেও বাবা নন্দদুলাল মাইতি, স্ত্রী সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের ভোটের কার্ড, আধার কার্ড নথিপত্র সংগ্রহ  করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে এই খুনের মামলায় ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই (CBI Raids)। কিন্তু অনেক তৃণমূল নেতা হাজিরা দেয়নি। অপর দিকে তৃণমূল নেতা নন্দুলাল বলেন, “সকালে আমার বাড়িতে বড় বাহিনী নিয়ে ঢুকে পড়ে সিবিআই। আমার স্ত্রী, মেয়ে, বৌমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি আগেও ওদের জানিয়েছি, আমার ছেলে বাইরে থাকে। আমরা কেউ এই ঘটনায় অভিযুক্ত নই। আমাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণের আগে কাঁথি-৩ ব্লকে জনমেজয় দুলই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। মারিশদা থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। মৃত এই বিজেপি কর্মীর ছেলে হাইকোর্টে অভিযোগ করে সিবিআই (CBI Raids) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এরপর এই তদন্ত শুরু হয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপের পূর্বাভাস! অস্বস্তিকর গরম থেকে মুক্তি দিতে কবে আসছে বর্ষা?

    Weather Update: নিম্নচাপের পূর্বাভাস! অস্বস্তিকর গরম থেকে মুক্তি দিতে কবে আসছে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগেই বর্ষাগমনের বার্তা দিল মৌসম ভবন। একই সঙ্গে আগুনের হলকা দেওয়ার কথাও জানাল হাওয়া অফিস (Weather Update)। ফের তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে শহরবাসীর। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (Heat wave warning) রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও গরম ও অস্বস্তি বাড়বে আগামী দু’দিন। তাপমাত্রা বেশ বাড়বে কলকাতাতেও। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Rain Fall) সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মৌসম ভবন ইঙ্গিত দিয়েছে এবার সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে যাবে দেশে। ২৭ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে কেরলে।

    তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র গরমের অস্বস্তি বজায় থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রাও। তবে সোমবার থেকে বৃষ্টি (Rain Fall) শুরু হলে তীব্র গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে সাধারণ মানুষ। তার আগে শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও গরমের দাপট শুরু হয়েছে। পার্বত্য এলাকাতেও স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা অনেকটা বেশি।  গরম ও অস্বস্তি ভোগাবে পাহাড়কেও। দার্জিলিং সহ উপরের পাঁচ জেলাতে বৃষ্টি চললেও গরমের গুমোট ভাব থাকবে। 

    সাইক্লোনের সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)সূত্রে খবর, আগামী ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী সাতদিনে তা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। তবে সেটি কতটা শক্তিশালী হবে বা আদৌ সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

    বর্ষার আগমন

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস,  ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে নির্ধারিত সময় ১ জুনের একদিন আগে ৩১ শে মে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু। আগাম বর্ষা (Rain Fall) হবে আন্দামানেও। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, এরফলে সব জায়গাতেই সামান্য আগেই হবে বর্ষার পদার্পণ। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছে, আগামী ১৯ শে মে রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অর্থাৎ বর্ষা ঢুকে পড়বে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে।

LinkedIn
Share