Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North 24 Parganas: গলায় বিদ্যুতের তার জড়ানো নিথর মেয়ে, কাপড়ের ফাঁসে আত্মঘাতী মা!

    North 24 Parganas: গলায় বিদ্যুতের তার জড়ানো নিথর মেয়ে, কাপড়ের ফাঁসে আত্মঘাতী মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মধ্যে গলায় ইলেকট্রিকের তার জড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে। আর পাশেই গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) খড়দা থানার আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম  মৌসুমী সান্যাল (৫৫) এবং মেয়ে দিয়া সান্যাল (১৯)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায় সান্যাল পরিবার ঘরভাড়া আসে। বাড়ির কর্তা রজততেন্দ্র সান্যাল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। মেয়ে বাড়়িতে জয়েন্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাড়িতে তিনজনেই থাকতেন। আত্মীয়স্বজন আসা যাওয়া দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতো এদিন সকালবেলা রজতবাবু বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজারে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে তালা মেরে যান। এদিনও বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে তিনি বাজারে চলে যান। বাড়ি ফেরার পর দরজা খুলেই দেখেন স্ত্রী ও মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এলাকায় ঘরভাড়া আসার পর থেকে সান্যাল পরিবারের লোকজন খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। বাড়ির দরজা, জানলা সব সময় দেওয়া থাকত। মেয়ে জয়েন্টে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে আমরা জানতি পারি। তার বেশি তাঁরা আর কিছু বলেনি।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতের স্বামী রজতবাবু বলেন, মেয়ে গতবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হয়েছিল। তারপর থেকে ও মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ওর চিকিৎসা চলছিল। মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝামেলা লাগত। মেয়ের প্রস্তুতির জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করছিলাম। ও ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যেই এভাবে এই ঘটনা ঘটবে তা ভাবতেই পারছি না। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। তবে, কী কারণে মা ও মেয়ে এই ধরনের চরম সিদ্ধান্ত নিল তার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গাড়ির ডিজেল খরচে লাগাম ছাড়া হিসাব দেখিয়ে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন দলেরই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বেগম। একই সঙ্গে আরও অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “সভাধিপতি কলকাতার নামী দামি হোটেলে মোটা অঙ্কের টাকা মিটিয়েছেন জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই।” ফলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়। তৃণমূলে দলের অন্দরেই অস্বস্তির ছায়া ফের একবার স্পষ্ট।

    কত লিটার ডিজেল খরচ করেন সভাধিপতি (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বগেম, রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি গত অক্টোবর মাসে ২২০৯ লিটার, নভেম্বর মাসে ১৮১৫ লিটার, ডিসেম্বর মাসে ১৯১০ লিটার ডিজেল নিজের গাড়ির জন্য ব্যবহার করেছেন। এতো ডিজেল কোথায় ব্যবহার করলেন? আবার ২১ অক্টোবর ৬৬৮২০ টাকা, ১৭ নভেম্বর ৫৩৩২০ টাকা এবং ১৬ ডিসেম্বর ৩৫৮৪০ টাকা কলকাতার হোটেলে খরচ করেছেন। অথচ সেখানে সার্কিট হাউসে থাকা যায়। এত অতরিক্ত খরচ কেন? আমি জানতে চাইবো, এটা ঠিক না ভুল! ভুল হলে আমি খুশি হবো। জেলা পরিষদের অঙ্গ হিসাবে জানতে চাই আমি।”

    সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলার (Murshidabad) সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, “কোনও সদস্য আক্ষেপ করতেই পারেন। অভিযোগের যুক্তি খতিয়ে দেখতে হবে। দায়িত্ব পেল যেমন পক্ষে কথা ওঠে, তেমনি বিপক্ষেও কথা ওঠে। তবে এই সব বিষয়কে আমি গুরুত্ব দিই না। আপনাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।” জেলার আরেক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “অভিযোগকারী সভাধিপতি হতে পারেননি, তাই নিজের রাগ এবং ঝাল মেটাতে এই অভিযোগ তুলেছে।”

    জেলা কংগ্রেসের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, “জেলা পরিষদের সদস্য যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মারাত্মক বড় ধরনের দুর্নীতি। আমরা চাই সকল দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক। সরকারি টাকার অপচয় হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলায় এবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Aroop Biswas) তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী খরচের উৎস জানতে তলব করা হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে। 
     

    কেন তলব অরূপকে

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর কেডি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কাঁচরাপাড়ায় মুকুলের বাড়িতেও যায় ইডি। সংস্থার এক কোষাধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই ইডি মনে করছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের যে নির্বাচনী খরচ তা নজরে আনা দরকার। ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রী নয়, তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে (Aroop Biswas) তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতেই এই তলব। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে বলেই ওই সূত্রটির দাবি। অরূপ দক্ষিণ কলকাতার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। ববি হাকিমের মতই অরূপ বিশ্বাস দিদির ইনার সার্কেলে অন্যতম মুখ বলে শাসক দলের ভিতরে ও বাইরে ধারণা। অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এবার তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল ইডি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    ইডিকে চিঠি অরূপের

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিংকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁরই সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়্যালটি’। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এই নিয়েই এবার অরূপকে (Aroop Biswas) ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সমন পেয়েও তদন্তের মুখোমুখি মন্ত্রী হননি। পালটা সময় চেয়ে ইডিকে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলেও খবর। সময় চাওয়ার পাশাপাশি সেই চিঠিতে তৃণমূলের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ অরূপ বিশ্বাস। তাঁর আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই ইডির একটি সূত্রের দাবি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সারল তৃণমূল। অবশ্য অপসৃত প্রাক্তন বিধায়কের দাবি “আমি সুস্থ”। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দী বীরভূমের (Birbhum) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনেও কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বিরাট। তাঁকে পদ থেকে অপসারণের ফলে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে কি গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই ভয়েই কি অপসারণ? নাকি দলের গোষ্ঠী কোন্দল? উঠছে নানা প্রশ্ন। 

    কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্রেফতারের পর থেকে ক্রমশ দলের মধ্যে অনুব্রতের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। অপর দিকে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সভাপতির পদ থেকে কেষ্টকে এখনও আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি দেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজল শেখ এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে। ফেলে অনেকের অনুমান, দলের মধ্যে কোন্দল স্পষ্ট। 

    বেসুরো নরেশ বাউড়ি

    ঘটনায় দলের সুরে সুর না মিলিয়ে বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রতপন্থী নরেশ বাউড়ি বলেন, “শরীরিক ভাবে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আমি অসুস্থ নই। দলের যা সিদ্ধান্ত তা মেনে চলবো।” তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত লোকসভার আগে এই দলের পরিবর্তনে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল মন্ত্রী বক্তব্য

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য দলের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “নরেশ বাবু শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই সরে যাবার আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তাঁকে জেলায় (Birbhum) অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না সন্দেশখালিবাসীর। কেউ সাহস করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ঘুরলেই এই কথা শোনা যায়। আর ইডি-র ওপর হামলার পর দেড় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। শুধু শাহজাহান নয়, এর পাশাপাশি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নতুন করে শেখ শাহজাহানের ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল।

    শাহজাহানের নামে আগেও অভিযোগ জমা করা হয়

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তাদের দুজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সন্দেশখালির মূল কাণ্ডারি শাহজাহানকে ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাঁতে ধরার বিষয়ে গা করছে না। এমনই অভিযোগ সন্দেশখালিবাসীর। তবে, এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি আলাদা। উত্তাল সন্দেশখালিকে শান্ত করার জন্য জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এবার ফের দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। এর আগে সিরাজউদ্দিনের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। এবার তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়ল। প্রতিদিন নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে নতুন করে কিছু এফআইআর হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Paschim Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি

    Paschim Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শিলদায় ইএফআর শিবিরে মাওবাদী হামলায় ২৩ জন দোষীদের মধ্যে ১৩ জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে আদালত। মেদিনীপুর অতিরিক্ত এবং দায়রা জেলা আদালতের বিচারপতি সেলিম শাহী এই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আজ ১৩ জনের সাজার নির্দেশ দেন বিচারপতি, আর বাকি দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। উল্লেখ্য ঝাড়গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    কী বললেন বিচারপতি (Paschim Medinipur)?

    আদলাতে দোষীদের প্রথমে বক্তব্য শুনতে চান বিচারপতি (Paschim Medinipur) সেলিম শাহী। এরপর দোষীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, “আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে আপনাদের। কী বলার আছে বলতে পারেন। নিজেদের নির্দোষ বলে লাভ নেই। রায়ের কপি পেয়ে যাবেন। এরপর আপনারা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবেন।”

    প্রথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা হয়েছিল

    ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শিলদা (Paschim Medinipur) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই হামলায় ২৪ জন ইএফআর সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই ক্যাম্পের কাছেই ছিল পুলিশের স্ট্রোক ক্যাম্প। হামলায় জওয়ানদের গুলি করে খুন করা হয়। এরপর ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চালানো হয় অস্ত্র ভাণ্ডারে লুটপাট।

    অপরাধীদের নাম

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলা প্রথমে ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছিল। এরপর মামলা মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলায় দোষীদের নাম হল, লোচন সিংহ সর্দার, চুনারাম বাস্কে, রমসাই হাঁসদা, আশিস মাহাত, ধৃতিরঞ্জন মাহাত, অর্ণব দাম, বিষ্ণু সারেন, বুদ্ধেশ্বর মাহাত এবং প্রশান্ত পাত্র। এরা প্রত্যকে জামিনে মুক্ত ছিল। অপরদিকে জেল হেফাজতে ছিলেন শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা, শুকলাল সরেন, রাজেশ মুন্ডা, মানস মাহাত, কানাই হাঁসদা, কল্পনা মাইতি, সনাতন সরেন, মনসারাম হেমব্রম, ঠাকুরমনি হেমব্রম, ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কাজল মাহাত, রঞ্জন মুন্ডা এবং মঙ্গল সরেন। মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এই সাজা ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই বা ইডি যে কেউ গ্রেফতার করতে পারে শেখ শাহাজাহানকে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন সন্দেশখালি নিয়ে একটি মামলার (Sandeshkhali Incident) শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারে। সন্দেশখালি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিবর্তন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশনামার ৮ নম্বর প্যারার পুনর্বিবেচনা চেয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, শাহজাহান গ্রেফতার করা যাবে না।’’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওই দিন পুলিশকে তদন্ত করতে বারণ করেছিলাম। আমরা কোথাও বলিনি যে নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু মাত্র তদন্তের ক্ষেত্রেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। অনেকেই বলছেন হাইকোর্ট অভিযুক্তকে রক্ষা করছে। ৪২টা এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি, তার দায় পুলিশ ঝেড়ে ফেলতে পারে না।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    সওয়াল-জবাব

    এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের এজি সওয়াল করেন, ‘‘আমরা যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি তাহলে আমাদের দেখাতে হবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল।’’ এরপর রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘তার মানে আপনারা জানেন যে তিনি কোথায় আছে।’’ এদিন ইডি জানায় যে রাজ্য পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হবে। রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে তাকে লঘু ধারায় মামলা করা হবে এবং তার জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপরই প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, সিবিআই বা ইডি যদি চায় তারাও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। শুনানিতে ইডির তরফে সওয়াল করেন ধীরাজ ত্রিবেদী এব‌ং এসভি রাজু। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির তথ্যসন্ধানী দল বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই এই দলের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। এর পরে জামিনে মুক্ত হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের প্রতিনিধিরা। পরে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হন। বুধবারই সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালি যেতে পারবেন তাঁরা। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, সন্দেশখালির সর্বত্র তাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন না। যে সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, সেখানেই ঢুকতে পারবেন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে যে সমস্ত জায়গায়, সেখানে তথ্যসন্ধানী দল যেতে পারবে না।

    তথ্যসন্ধানী দলকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

    গত শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে ছয় সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবারই সকালে তাঁরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি। ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। এর পরেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে দলের সদস্যদের আটক, পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রবিবারই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানায় তথ্যসন্ধানী দল

    রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের (Sandeshkhali) দাবি জানায় দলটি। দলের অন্যতম সদস্য ভাবনা বজাজ এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানান, তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা ঘোষণা করেন, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। সেই রাতেই রাজভবন সূত্রে জানা যায়, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ মার্চ নদিয়ায় আসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব। নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে ২ তারিখ সকাল দশটার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও নদিয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম হল কৃষ্ণনগর। তাই বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) আগমন বলে জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়ায় মোট দুটি সাংসদ কেন্দ্র রয়েছে, একটি রানাঘাট এবং একটি কৃষ্ণনগর। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। মূলত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট হাতিয়ার করেই এখানে তৃণমূলের জয় এসেছিল। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র লোকসভা ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। যদিও কয়েক মাস আগে তিনি সাংসদ পদ থেকে সাসপেন্ড হোন। কয়েক মাস বাদেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করে মাঠে নামতে চাইছে বিজেপি। এর আগেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন রাজ্য প্রতিনিধিরা জনসভা করে গিয়েছেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি এবার যাতে বিজেপি দখলে পায়, সেই কারণে নরেন্দ্র মোদি ভোট ঘোষণার আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করতে আসছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। মূলত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জনগণের উদ্দেশে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে বিজেপি কর্মীদের কী বলেন, তার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আগামী ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে আসছেন। তার আগে আমরা সকলের মঙ্গল কামনায় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে খুঁটি পুজো করলাম। আগামী ২ তারিখ আমাদের  প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের যে অবশেষে ঘুম ভেঙেছে, এটাই আমাদের অনেক বড় পাওনা। অবশেষে সন্দেশখালির অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা যে মোমবাতি খুঁজে পেয়েছেন, এটাই যথেষ্ট।’ বাদশা মৈত্র সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা তো বায়াস্ট। এঁরা উত্তর প্রদেশের হাতরসে কী হল তার বিরুদ্ধে এখানে সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু, সন্দেশখালির ঘটনা এঁদের নজরে আসে না। তবে, এতদিন পরে হলেও যে তাঁদের ঘুম ভেঙেছে এটাই যথেষ্ট।’

    সন্দেশখালির পরিস্থিতি যাচাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    এদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি প্রাক্তন বাম বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেই এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ ছিল, সন্দেশখালির কথা বিধানসভায় বলতে গেলেই মাইক অফ করে দেওয়া হত। বাম বিধায়কের এই অভিযোগ সমর্থন করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘এটা ভয়ানক অভিযোগ। তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানকে বারবার চ্যালেঞ্জ করছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, ‘আসলে তৃণমূল নেতাদের সন্দেশখালিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন মানুষের ক্ষোভ আগুন হয়ে রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সেখানে যাবেন।’

     শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে (Sukanta Majumdar)

    আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহান আজ পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ জানে, শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। কিন্তু, পুলিশ তাকে এখনই ধরবে না। শাহজাহানকে ছাড়া ভোট লুট করে জেতা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে তৃণমূল এখন জল মাপছে। শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনের ঠেলায় পড়েই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share