Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Digha: রাত পর্যন্ত আর সমুদ্রপাড়ে বসে থাকা যাবে না, দিঘায় পর্যটকদের জন্য নয়া নিয়ম

    Digha: রাত পর্যন্ত আর সমুদ্রপাড়ে বসে থাকা যাবে না, দিঘায় পর্যটকদের জন্য নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পর্যন্ত আর সমুদ্রের ধারে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। নতুন নিয়ম ঘোষণা করল প্রশাসন। সম্প্রতি দিঘায় (Digha) এক পর্যটকের ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে দু’জনকে। সৈকত শহরে এই ঘটনায় পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করল দিঘা পুলিশ।

    মাইকিং করে ঘোষণা(Digha)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘার (Digha) সমুদ্র সৈকতে এখন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসে থাকা যাবে না। সমুদ্র বিচে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুবিধা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানার পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার মাইকিং করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, সমুদ্রপাড়ে পর্যটকেরা বিনা কারণে এখন থেকে বসে থাকতে পারবেন না। রাতে হোটেলের মধ্যে থাকতে হবে। যদি নিয়মভঙ্গ করা হয় তাহলে প্রশাসন শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। সাধারণত দিঘা হল একটি সমুদ্র সৈকত শহর। সমুদ্রের জলে স্নান, ভ্রমণ এবং অবসর সময় কাটাতে বহু পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। এবার থাকে তাঁদের সতর্কে থাকার কথা ঘোষণায় বলা হয়েছে।

    প্রেমিকের সামনেই করা হয়েছিল ধর্ষণ

    সম্প্রতি এক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল বেড়াতে গিয়েছিলেন দিঘাতে (Digha)। তাঁরা হোটেলের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু দুই ব্যক্তি কম দামে হোটেল খুঁজে দেওয়ার কথা বলে। এরপর প্রেমিককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। সেইসঙ্গে প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অমানবিক ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। পরে, তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, পালস রেট কমছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যোগ দিতে সড়কপথের পরিবর্তে লোকাল ট্রেনে যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। গভীর রাতে তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুকান্ত সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের আটকে দিলে, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। এমনই বলেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।

    টাকিতে পুলিশি বাধা, অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুকান্ত

    বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নিতে টাকিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে বসিরহাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রেমিকাকে লেখা ৩২৭ ফুটের চিঠি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-তে সংরক্ষণের দাবি জানালেন প্রেমিক

    Asansol: প্রেমিকাকে লেখা ৩২৭ ফুটের চিঠি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-তে সংরক্ষণের দাবি জানালেন প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২৭ ফুট চিঠি লিখে তাক লাগিয়েছেন আসানসোলের (Asansol) প্রেমিক অনুপম ঘোষাল। মনের কষ্ট তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাঁর লেখনীর মধ্যে দিয়ে। তাঁর সেই চিঠি এখন আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব প্রেম দিবসে সেই চিঠি নিয়েই তাঁর উৎকন্ঠা। বিশ্বের এই দীর্ঘতম চিঠি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইঁদুরে ছিঁড়ে ফেলছে সেই চিঠি। তাই সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন তিনি।

    ৩২৭ ফুট চিঠি নিয়ে বই লেখা হয়েছে (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) বার্নপুর রোডের বাসিন্দা অনুপম ঘোষাল। এক সময় সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কিছুই করতে পারেন না। ২০০০ সালে অনুপমবাবুর প্রেমিকা তাঁকে ছেড়ে চলে যান। আর তখনই সেই প্রেমিকাকে ভুলতে চিঠি লিখতে শুরু করেন। সেটাকে তাঁর জীবনের সুইসাইড নোট বলেছেন তিনি। কিন্তু চিঠি লিখতে লিখতে এত বড় হয়ে যায় যে সেটা ক্রমেই একটি সাহিত্যে পরিণত হয়। ৩২৭ ফুট চিঠির দৌলতে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন তিনি। তাঁকে নিয়ে এক সময় রীতিমতো চর্চা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতার দুটি বড় পাবলিশার এই চিঠিকে প্রকাশ করেছে বই হিসেবে। সেই বই বইমেলাতে বিক্রিও হয়েছে।

    কী বললেন চিঠির লেখক?

    অনুপমবাবু বলেন, মনের জ্বালা থেকে চিঠি লিখেছিলাম। এখন সেই চিঠি আমাকে চর্চায় নিয়ে এসেছে। আমার এই চিঠি দিয়ে বই লেখা হবে, তা আমি ভাবতে পারিনি। তবে, আমার আক্ষেপ মূল চিঠিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। এতবড় চিঠি সংরক্ষণ করে রাখা আমার পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই আমি চাইছি, সরকার যদি উদ্যোগী হয়ে এই চিঠি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তাহলে আমার এই সৃষ্টি বেঁচে থাকতে পারে। পাশাপাশি বর্তমান যুগের প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রতি আমার আর্তি, প্রেম আসবে যাবে। হয়তো প্রেম হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তার থেকে খারাপ কিছু নয়, বরং সৃষ্টিশীল কিছু করে রাখো, যেটা পৃথিবীতে ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমার জীবনে আমি সেই শিক্ষাই পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পেনসিলের ওপর আট মিলিমিটারের দেবী সরস্বতীর মূর্তি, তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নদিয়ার শিল্পী

    Nadia: পেনসিলের ওপর আট মিলিমিটারের দেবী সরস্বতীর মূর্তি, তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নদিয়ার শিল্পী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছেশক্তি আর নিজের ওপর ভরসা থাকলে যে সব কাজই করা সম্ভব, তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের এক শিল্পী। বুধবার সরস্বতী পুজোয় মেতে উঠেছেন রাজ্যবাসী। এরই মাঝে নিজের ইচ্ছেশক্তির ওপর ভর করে ফের একবার ভিন্ন ভাবনায় পেনসিলের ওপর আট মিলিমিটারের দেবী সরস্বতীর মূর্তি তৈরি করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন নবদ্বীপের অঙ্কন শিক্ষক গৌতম সাহা। নবদ্বীপ শহরের প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা তিনি। বয়স আনুমানিক ৫৬। 

    চক-চালের ওপর শিল্পকলা 

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌতমবাবুর বাবা ছিলেন আকাশবাণীর গীতিকার ও শিক্ষক। পরিবারে স্ত্রী, সন্তান সহ দুই দিদি রয়েছেন। তাঁরাও লেখালেখি, সংগীতচর্চা নিয়ে ব্যস্ত। এক কথায় শিক্ষা ও শিল্পসত্ত্বা ঘেরা পরিবার থেকেই উঠে আসা গৌতমবাবুর। জানা যায়, গত লকডাউনের সময় থেকে তিনি এই ক্ষুদ্র শিল্পকলার কাজ শুরু করেন। অতীতে বিভিন্ন সময়ে তিনি কখনও মুগডালের ওপর, কখনও ধানের ওপর, তো কখনও চক বা চালের ওপর মাটি রং দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মা কালী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাপ্রভু সহ বিভিন্ন দেবদেবী ও মণীষীদের মূর্তি। আর এবার দেবী সরস্বতীর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য গত পনেরো দিন ধরে দিন রাত এক করে এবার একটি আনুমানিক ছয় সেন্টিমিটারের পেনসিলের ওপর মাটি, রং দিয়ে আট মিলিমিটারের দেবী সরস্বতীর মূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন। আর তা দিয়েই কার্যত আবারও তাক লাগিয়েছেন নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের এই শিল্পী। আর এবারের তাঁর এই সৃষ্টি দেখতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন অনেকেই।

    কী বললেন শিল্পী?

    গৌতমবাবু বলেন, এর আগে অনেক ক্ষুদ্র শিল্পকলার কাজ করেছি। তবে, এভাবে মা সরস্বতী মূর্তি তৈরি কোনও দিন করিনি। এবার সেই উদ্যোগ নিলাম। দু’সপ্তাহের মধ্যেই আমি এই কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। সবার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বহু জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে এখনও অনেকের জমির কাগজ ও নানা নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টাকা দেরিতে ঢুকছে। তাই প্রতিদিনই হিলি ও বালুরঘাটে জমি দাতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর সুযোগেই বেশকিছু দালাল চক্রের সক্রিয় হয়ে এমন কাজ করছে বলে এক অডিও কল রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। যদিও বা ওই অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অডিও কলে কী রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    ওই অডিও কলে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক জমিদাতাকে ফোন করেছেন। ওই জমিদাতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ওই জমিদাতা ব্যক্তির অভিযোগ, ঘুষ দিলে টাকা ঢুকবে। শুধু একজনই নয়, এমন একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।  যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ফোন প্রশাসনের কোনও কর্মী নয়। এর পিছনে দালালচক্র কাজ করছে বলেই মত প্রশাসনের একাংশের। তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগকারী জমিদাতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল। জমি দেওয়ার টাকা দ্রুত আমার অ্যাকাউন্টে দেবে বলে সেই ব্যক্তি জানিয়েছিল। আমাকে ফোন করে জানায় যে আজ কালের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। তাই ওই ব্যক্তিকে যেন ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা ঘুষের টাকা। তাই প্রমাণ রাখার জন্য  ওই কল রেকর্ড করেছি। আর কারও কাছে  এই ধরনের টাকা যাতে না চাওয়া হয়, তাই আমি অভিযোগ দায়ের করব।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে এখনও এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এমনটা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব সুকান্ত

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে টাকার গল্প থাকে সেখানেই এক প্রকার দালাল চক্র শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের  টাকা নিয়েও দালালি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সঠিকভাবে নজর দিচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার, প্রশাসন নিশ্চয়ই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বিজেপির কাজ। আসলে বিজেপির মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: জোর করে তোলা হল বিজেপি-র অবস্থান! সুকান্তসহ কর্মীদের আটকে রাখা হল স্টেডিয়ামে

    Sukanta Majumdar: জোর করে তোলা হল বিজেপি-র অবস্থান! সুকান্তসহ কর্মীদের আটকে রাখা হল স্টেডিয়ামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বসিরহাট। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ এবং দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে অস্থায়ী মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গভীর রাতে জোর করে অবস্থান তুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনই অভিযোগ অবস্থানে বসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

    জোর করে অবস্থান তুলে দেয় পুলিশ

    অস্থায়ী মঞ্চ করে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান শুরু করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। রাত ১২ টা নাগাদ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা অবস্থানে অনড় থাকে। রাত ১টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী একরকম জোর করে অবস্থান তুলে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গভীর রাতে ধস্তাধস্তি হয়।  পরে, বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল সুকান্ত এবং বিজেপি কর্মীদের।

    সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    ছাড়া পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীদের আটক করতে পুলিশ যে তৎপরতা দেখালো, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের ধরতে এ রকম তৎপরতা দেখালে পুলিশকে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না।” তিনি আরও জানান, রাতটা তিনি জেলাতেই কাটাবেন। বুধবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন।

    এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে রণক্ষেত্র

    সড়ক পথে বাধা দিতে পারে আশঙ্কা করেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে বসিরহাটে যান। মূল রাস্তা ধরে গেলে বাধার মুখে পড়তে পারেন জেনে সুকান্ত বাইকে চড়ে অলি-গলি ধরে বসিরহাট এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। আগে থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত ছিলেন। এমনিতেই বিজেপির কর্মসূচিকে বানচাল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। মিছিল করে এসপি অফিসের দিকে রওনা দিতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। মহিলা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসের একাধিক সেল ফাটানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দুহাজার কর্মী জমায়েত করে ওরা। পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। বহু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙে গিয়েছে। মহিলারা জখম হয়েছে। মমতার পুলিশ এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।

    সাংসদের মোবাইল সুইচড অফ, সরব মহিলারা (Sandeshkhali)

    সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।” সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।

    সাংসদ অডিওবার্তায় কী বলেছিলেন?

    সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলারা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নির্মম অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। মহিলাদের অভিযোগ, “লুট করেছে, শোষণ চালিয়েছে, রাতবিরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহ করেছে। তারা সন্দেশখালির বাইরের লোক।”

    অপরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধীরা সন্দেশখালি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এলাকায়। অবশেষে মামলায় হাইকোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    অত্যাচারিত মহিলার বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন, “গ্রামের বাঁধ নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা আমাদের দেওয়ার কথা নয়। আমাদের জীবন জীবিকা রয়েছে। আমরা মার খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর টাকা না দিলে রাতবিরেতে লোক ঘরে এসে ঢুকে যাবে। তুলে নিয়ে যাবে আমাদের। আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।”

    আর কী অভিযোগ?

    গ্রামের (Sandeshkhali) এক বয়স্ক মহিলা বলেন, “আমরা ১০০০ টাকার কাজ করলে ৫০০ করে টাকা দিত। না দিলে রাতে এসে তুলে নিয়ে যেত। বাড়ির সামনে কোদালের বাঁট মেরে দিয়ে যাচ্ছে। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার আমাদের এলাকার লোক নয়। আমাদের টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললে আমাদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার চোয়ালে এখনও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। কোলের একরত্তি বাচ্চাদের পর্যন্ত মারধর করা হয়।” এই প্রসঙ্গে আরও এক মহিলা বলেছেন, “শেখ শাহজাহান কোনও মুসলমান মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় না, বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে যায়।” এদিকে শিবু হাজরা এখনও নিখোঁজ। অপর দিকে উত্তম সর্দার সোমবার জামিন পেলেও রাতে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের অবশ্য দাবি, “আমার কাজ আগুনে ঘি ঢালা নয়। আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur: ধানজমিতে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার বিমান, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন পাইলটরা

    Kharagpur: ধানজমিতে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার বিমান, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন পাইলটরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে (Kharagpur) ভেঙে পড়ল বাযুসেনার যুদ্ধবিমান। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ছাউনি থেকে উড়েছিল। বিমানটি ভেঙে পড়ে খড়গপুর লোকাল থানার শুকনিবাসা, দিয়াসা এলাকায়। তবে, বিমান ভেঙে পড়ার আগেই দুজন পাইলট প্যারাশুটের সাহায্যে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kharagpur)

    স্থানীয় ও বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরের (Kharagpur) এক নম্বর ব্লকের দিয়াসায় একটি গ্রামের ধানের জমির মধ্যে যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারলেও সামান্য আহত হন দুই পাইলট। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই তাঁদের প্রাথমিক শুশ্রূষা করেন। বায়ুসেনার পাইলটের বিচক্ষণতা ও দক্ষতায় ভিড় এলাকায় এড়িয়ে দূরে গিয়ে পড়ে বিমানটি। একটি ফাঁকা চাষের জমিতে গিয়ে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। ফলে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিকট আওয়াজ শুনে কেঁপে ওঠেন এলাকার মানুষ। কী হয়েছে বুঝতে না পেরে ছোটাছুটি শুরু করেন তাঁরা। পরে জানতে পারেন ধান জমিতে ভেঙে পড়েছে যুদ্ধবিমান। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়েই কলাইকুন্ডা এয়ার বেস থেকে বায়ুসেনার অফিসাররা হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের উদ্ধারকারী দল। ইতিমধ্যেই বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বায়ুসেনার পক্ষ থেকে কী বলা হল?

    বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মমাফিক উড়ানে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ুসেনার একটি ‘হক’ প্রশিক্ষণ বিমান। উভয় পাইলটই ভেঙে পড়ার আগে সময়মতো ইজেক্ট করে প্যারাশুটে করে নেমে আসেন। এই ঘটনার তদন্তে একটি কোর্ট অফ এনক্যোয়ারি গঠন করা হয়েছে। কোনও সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি।

     </p


    >ধান জমিতে পড়ল বোমা!

    এর আগে, সোমবার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা এলাকার পেঁচাবিদা ও চেমটিডাঙা গ্রামের পিচ রাস্তার পাশে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ধান জমিতে একটি বোমা পড়ে। কেঁপে ওঠে চারিদিক। তীব্র শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার তাদের মহড়া চলছিল। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বোমাটি সেখানে পড়ে। যদিও ওই এলাকাটিও ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই ছিল। তাই হতাহত হননি কেউ। তবে, গ্রামবাসীদের অনেকের ধান পুড়ে যায়। এবার ধানের জমিতে ভেঙে পড়ল আস্ত একটি যুদ্ধ বিমান। ফলে, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষ, শাসকদলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু হাজরার মতো রাজনৈতিক নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিশেষ করে পথে নেমেছেন স্থানীয় মহিলারা। রাত হলেই বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত তৃণমূল নেতারা। সাধারণ মানুষের চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদে সাধারণ মহিলারা রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন।

    এই উত্তাপের মধ্যে তৃণমূলের বর্বরতা এবং অত্যাচারের চিত্রকে মনে করাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের কথা। এলাকায় দুস্কৃতী বাহিনীর তাণ্ডবে মানুষের জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল। চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছ চাষের জমি, গ্রামের মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক শোষণের একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কালের প্রবাহে জনরোষে নিহত হতে হয়েছিল তাঁকে।

    কে ছিলেন নান্টু (Sandeshkhali)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তৃণমূলের শাসনের সময়ে এলাকায় একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন নান্টু প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর এলাকার মহম্মদপুর ২ গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল গোটা ভগবানপুর এলাকা। এলাকায় নোনা জলে যে সোনা ফলে, সেটা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন। নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে অনিচ্ছাকৃত মানুষের চাষের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহানের মতো তিনিও এলাকায় দখলদারির রাজনীতি করতেন। একই ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতাবলে বিরোধীদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং বাড়ির মহিলাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করতেন। জনাদাঁড়ি এবং মহম্মদপুরে দেড়শো বিঘা জমিতে ভেড়ি ছিল তাঁর।

    বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যেতেন

    নান্টুর বাহিনীর দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এলাকার পুলিশ-প্রশাসন কোনও অভিযোগ নিতে রাজি হত না। পুলিশের কাছে কেউ সাক্ষী দিতে আতঙ্কিত হত। একই রকমের একটি মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরবেড়িয়া। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলাকার জালামাঠে খুন হন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। এরপর তাঁর দখল করা জমিকে কৃষকেরা ফিরিয়ে নেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভগবানপুরের স্থানীয় মানুষ সনাতন, কানু প্রমুখ বলেন, “আমাদের এলাকার অন্ধকার যুগের ছবিই যেন সন্দেশখালিতে দেখতে পাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা আবার আমাদের উপর হওয়া অত্যচারের কথাকেই মনে করিয়ে দিল।” অপর দিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, “ভগবানপুরের তৃণমূলের মাফিয়ারাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই এলাকার মতো সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share