Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Madhyamik 2024: মাধ্যমিক শুরুর প্রথম দিনেই প্রশ্ন ‘ফাঁস’, কারা জড়িত?

    Madhyamik 2024: মাধ্যমিক শুরুর প্রথম দিনেই প্রশ্ন ‘ফাঁস’, কারা জড়িত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত কড়াকড়ি করার পরও কোনও কাজ হল না। ফের মুখ পুড়ল মধ্যশিক্ষা পর্যদের। মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই ফাঁস হয়ে গেল প্রশ্ন পত্র। শুক্রবার মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষে দেখা গেল, আসলের সঙ্গে সম্পূর্ণটাই মিলে গিয়েছে ভাইরাল প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, মালদহ থেকে ছড়িয়েছিল এই ছবি। ইতিমধ্যেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল? (Madhyamik 2024)

    মাধ্যমিকে (Madhyamik 2024) প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রথম থেকেই বদ্ধ পরিকর ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এমনকী পরীক্ষার্থীদের আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের ওপর বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা ছিল। আর  এতদিন সব থেকে যেটা চ্যালেঞ্জের ছিল পর্ষদের কাছে তা হল প্রশ্ন পত্র কোনওভাবে যাতে ফাঁস না হয় তা সুনিশ্চিত করা। আর সেটা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল পর্ষদ। জানা গিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁস রুখতেই এবছর প্রশ্নপত্রে কিউআরকোডের পদ্ধতি চালু করেছে পর্ষদ। যাতে কোনওভাবে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়লে সহজেই জানা যায় কে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। এদিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন পত্র ছড়িয়ে পড়তেই ঘুম উড়ে যায় পর্ষদের কর্তাদের। কারণ, পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। পরীক্ষা শেষ হতেই দেখা গেল ভাইরাল ছবিটি আসল প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয়পাতার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রশ্নে থাকা কিউআরকোড থেকে থেকে মালদহের দুই ছাত্রকে শনাক্ত করেছে পর্ষদ। তারাই সম্ভবত এই প্রশ্নফাঁসের নেপথ্যে। ইতিমধ্যেই তাদের পরীক্ষা বাতিল করেছে পর্ষদ। তবে, কেন তারা এই ধরনের কাজ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর পিছনে কেউ রয়েছে কি না তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। দিনে দুপুরে নদীগর্ভ থেকে তোলা হচ্ছে বালি। রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর নদী থেকে দেদার বালি উত্তোলনের অভিযোগ। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগর নদী থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। দিনের পর দিন নদীর বক্ষ থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাগর নদী থেকে ট্রাক্টরে চলছে দেদার বালি পাচার। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    নদী ভাঙনের আশঙ্কা (Raiganj)

    বালি পাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর  নদী থেকে  প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল। মাঝে পুলিশ প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসায় সাময়িক গা ঢাকা দিয়েছিল বালি মাফিয়ারা। কিন্তু, ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই নৌকা ও  ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এরফলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা। আর সেই জন্যই দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। বালি পাচারের কিছু অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচি বার বার বাধা পেয়েছে মমতার পুলিশের কাছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বীরভূমে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিতে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। তারপরই এদিন মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন।

    কর্মসূচিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রায় বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে পুলিশ। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাকি অংশ যাত্রার সময় গাড়ি থেকে বা গাড়ি থেকে নেমে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কনভয় কোথাও দাঁড় করানো যাবে না। রাহুলের কনভয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ি থাকবে। রাহুলের যাত্রায় ‘সঙ্গী’ কংগ্রেস কর্মীরা দড়ি দিয়ে রাস্তার দু’পাশ আটকাতে পারবেন না। কোনও ভাবে যাতে পথ অবরুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাহুলের যাত্রার রুটে যান চলাচল পুলিশই নিয়ন্ত্রণ করবে। তাতে নাক গলাবেন না কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশকে সবরকম ভাবে সহায়তা করবে। রাহুলকে যদি জরুরি পরিস্থিতিতে গাড়ি থেকে নামতে হয়, তা হলে সর্বোচ্চ তিনজন তাঁর সঙ্গে নামতে পারবেন। রাহুলের যাত্রাপথে কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলে সচেতন থাকতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে আশপাশেই কোথাও যাত্রা থামিয়ে দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গেলে তারপর আবার যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও ভাবে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে রাহুল তাঁর কর্মসূচি সফল করেন তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের অনেকেই বলেছেন, বকলমে কর্মসূচি যাতে ভালোভাবে রূপায়ণ না হয় তার জন্য পুলিশ এই শর্ত বেঁধে দিয়েছে।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, পুলিশ এমন কিছু শর্ত দিয়েছে তা কর্মসূচি না পালনের মতো। যদিও ওই কর্মসূচিতে পুলিশই নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, ন্যায় যাত্রায় এখনও পুলিশ কোথাও আটকানোর খবর মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে দল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার কড়া মাশুল দিতে হয়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে। পুরপ্রধানের পদ খুইয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার অনাস্থা এনে তাঁর পরিবর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশকে। এবার দলের প্রতি এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গুরুদেবকে প্রণাম করেছি। মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা আগামী লোকসভা নির্বাচনে বলব।” তবে নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে থাকবেন তো? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purba Medinipur)?

    কার্যত নাম না করে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুবল মান্না কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির উদ্দেশে বলেন, “আমি গুরুদেবকে প্রণাম করেছি, তবে সেটা কোনও দলীয় মঞ্চ বা সভা ছিল না। একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শিশিরবাবুকে প্রণাম করেছি। তিনি তো এখনও দলের সাংসদ। হাইকোর্টের রায়কে আমি মাথা পেতে নেব। আর যদি কেউ রায় না মানেন, তাহলে আমার কিছু করার নেই। যাঁরা আজকে বলেছেন, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, জ্ঞান, ধারণা এবং যোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। আমি হাইকোর্টের নির্দেশ দেখিয়েছি, মন্ত্রী ঠিক বলছেন না, বলছি একবার পড়ে দেখুন। পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি। মোট ১৫ টি মামলা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে করেছি।”

    দলে থাকবেন তো সুবল?

    তবে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সমানেই লোকসভার ভোট। এই ভোটকে কেন্দ্র করে এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা কি আদৌ দলে থাকবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগেই মাঠে নামতে শুরু করেছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে। কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “গোয়াল ঘরে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এই বক্তব্য আমাদের নয়, তৃণমূল দলের বক্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে’’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে’’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। বাড়িতে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি ইস্তফা দেন রাজভবনে গিয়ে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির এমন পট পরিবর্তনের সময়ে, বৃহস্পতিবার সুর চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ‘‘সেই জন্য আমিও বলব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি আশা করি কিছু লোকের চোখ খুলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একজন গ্রেফতার হতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুরের সভা থেকে মন্তব্য করেন তাঁকে গ্রেফতার করলে জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসবেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রেডারে

    প্রসঙ্গত, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির আশঙ্কা তখন সেদিন থেকেই শুরু হয়, যেদিন ইডি আধিকারিকরা তাঁর বহুমূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। দিল্লিতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয় হেমন্তর বাড়িতে। সেসময় বেপাত্তা হয়ে যান হেমন্ত। তখন থেকেই জল্পনা রটে নতুন মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবেন ঝাড়খণ্ডে। জল্পনা পরবর্তীকালে সত্যিও হয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতোই একাধিক দুর্নীতিতে  বর্তমানে নাম জড়িয়েছে কালীঘাটের বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবারেরও। ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের পরিচালক হিসাবে ইডি তলব পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ও বৌদি। আবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীও বারবার ডাক পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গের তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে যায়।

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে হেমন্ত

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের! নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    South 24 Parganas: অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের! নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ দুজন। মূলত স্কুলে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় থানায় এফআইআর করা হয়েছিল। সেই এফআইআরে তাঁর নাম ছিল। ধৃতদের নাম অলোক নাড়ু ও স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য মানিজুর রহমান। অলোকবাবু পঞ্চায়েতের সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা প্রবীর সর্দার ওরফে ছোটন, যাঁকে ওই হামলার ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট আটজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আক্রান্ত শিক্ষকরা (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আক্রান্ত শিক্ষকরা অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই, বহিরাগতদের দিয়ে স্কুলে তাণ্ডব চালানো হয়। এরপরই নড়েচ়ড়ে বসে শিক্ষা পর্ষদ। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। এমনকী রাজ্যপালও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছিলেন, নিয়ম মেনে গ্রেফতার হবে। তবে, কয়েকদিন দেখার পর প্রয়োজনে আমি এই বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করব। যদিও তারপরই পুলিশও নড়েচড়ে বসে। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক অভিযুক্তকে। যদিও এখনও অধরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা যুব সভাপতি আকবর আলি খান। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৮ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারি মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর ও নরেন্দ্রপুর এলাকার দুই পৃথক জায়গা থেকে শিক্ষক নিগ্রহে গ্রেফতার হন প্রবীর সর্দার ও অসীম ইশ্বর। আর ভোর রাতে পুলিশের জালে আরও দুজন।

    মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে

    ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুর স্কুলে হামলা চালানোর ঘটনার পরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কে সুপারভাইজার হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। স্কুলের শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করার কথা আদালতে জানিয়ে দেয় পর্ষদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik 2024: আজ শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক, পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় উদ্যোগ রেল, মেট্রোর

    Madhyamik 2024: আজ শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক, পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় উদ্যোগ রেল, মেট্রোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2024)। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৯,২৩,০১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা- ৪,০৫,৯৯৪। মহিলা পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৬৭৫টি। পরীক্ষার সূচিতেও এসেছে বদল। দুপুর ১১:৪৫ এর বদলে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে ৯টা ৪৫ থেকে। তা শেষ হবে ১টা নাগাদ।

    পর্ষদের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ

    মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা (Madhyamik 2024) যে কোনও সমস্য়ায় পড়লে পর্ষদের তরফ থেকে হেল্প নম্বর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জোন অনুসারে নম্বরগুলি ভাগ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারবে নিম্নলিখিত নম্বরগুলিতে।

        পর্ষদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর: 033-2359-2277, 2321-3844
        উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক অফিসের নম্বর: 9147135748
        বর্ধমান আঞ্চলিক অফিসের নম্বর: 9147135747
        মেদিনীপুর আঞ্চলিক অফিসের নম্বর : 9147135752

    ভারতীয় রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik 2024) সুবিধার জন্য উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের ২১টি লোকাল ট্রেন বেশ কয়েকটি হল্ট স্টেশনে থামবে পরীক্ষার দিনগুলিতে। সাধারণত এই স্টেশনগুলিতে ট্রেন দাঁড়ায় না, তবে পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে রেল এমন সিদ্ধান্ত নিল। কয়েকদিন আগেই এনিয়ে বিবৃতি সামনে এসেছে পূর্ব রেলের। রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার দিনগুলিতে শিয়ালদহ-রানাঘাট-কৃষ্ণনগর সেকশনে পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, পায়রাডাঙা ও জালালখালি হল্ট স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেনগুলি। অন্যদিকে বারাসত-বনগাঁ সেকশনে সানহাটি ও বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে দাঁড়াবে ২১টি লোকাল ট্রেন। আবার মেট্রোতেও বিশেষ পরিষেবার ঘোষণা করা হল। 

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এগিয়ে এসেছে কলকাতা মেট্রোও। পরীক্ষার দিনগুলিতে শনিবার সকাল ৮:২০ মিনিট থেকে ৯ টার মধ্যে ৪টি বিশেষ মেট্রো চালানো হবে। আবার দুপুরে ১টা থেকে ২ টোর মধ্যে ৪টি বিশেষ মেট্রো চালানো হবে। দুটি মেট্রোর মাঝখানে কমানো হবে সময়ের ব্যবধানও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে আখ্যা দেওয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছিল কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে। প্রথমে শোকজ এবং পরে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। এরপরই তিনি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে সরে যান। ওই পদে কে চেয়ারম্যান হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্রকে নিয়ে দলে চর্চা শুরু হয়েছিল। অবশেষে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী পুত্রের ওপর আস্থা রাখা হয়। নিয়ম মেনে এবার সেই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।

    চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন সুপ্রকাশ (Contai Municipality)

    বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ১৬ জন এবং একজন নির্দল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সুপ্রকাশ গিরিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এদিন তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য। সুপ্রকাশবাবু এতদিন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সামলেচ্ছেন। তবে, তিনি এবার চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি হয়ে যায়। দলের নির্দেশ মেনে ওই পদের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাউন্সিলর নীরঞ্জন মান্নার  নাম ঘোষণা করা হয়। তবে, এদিন তিনি শপথ গ্রহণ করেননি।

    ২২ মাস ৭ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন সুবল

    ২০২২ সালে পুরভোটে অধিকারীদের খাসতালুক বলে পরিচিত কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) নির্বাচন হয়। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়ে কাঁথি পুরসভায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। আর বিজেপি ৩টি এবং নির্দল পায় ১টি আসন। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে বর্ষীয়ান সুবল মান্নার নাম আসে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকেই। চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারে বসেন সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেই পদে ২২ মাস ৭ দিন ছিলেন। তবে, সম্প্রতি শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ বলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে অনাস্থা ভোটে সেই পদ খুইয়েছেন তিনি। দলীয় কাউন্সিলররা অনাস্থা আনেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর চলাকালীন তার পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালো এলাকাবাসী। এক কনস্টেবল এবং এক সাব ইনস্পেক্টরকে গাছে বেঁধে রাখেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ওই দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। লাঠি-বাঁশ নিয়ে দুই পক্ষই চড়াও হয়। সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ওই এলাকার মহিলারা ঘিরে ধরেন। পাশাপাশি কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবলকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের মূলত অভিযোগ, যারা বেআইনিভাবে জমির দখল নিতে চাইছে তাঁদের হয়ে পুলিশ এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে যখন পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে মারধর করেন এলাকাবাসী, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী জেলা সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরবর্তীকালে পৌঁছায় ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা কী বললেন?

    ওই এলাকার বাসিন্দা অমর দাস বলেন, আমরা সকলেই শুনতে পাই আমাদের জমির একাংশ কেটে নিয়ে অন্যপক্ষ দখল করে নিচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ওরা বিরোধিতা শুরু করে। এরপরেই আচমকা লাঠি বাঁশ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমরা কোনও রকমে প্রতিরোধ করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এই ঘটনার নিন্দা করতে ছাড়েনি বিজেপি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে চলে গেছে। যেখানে পুলিশ রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করা উচিত, সেখানে ভোগ কর্তা হিসেবে কাজ করছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।।

    আট জন গ্রেফতার

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। পুলিশ যখন তদন্ত করতে যায় পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখে তারা। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ থেকেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করতে বাধা দিয়েছিল মমতার পুলিশ। কোচবিহারে খুলে নেওয়া হয়েছিল মঞ্চ। মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্ন ভোজনের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এবার দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমে রাহুলের সেই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি ধাক্কা খেল। ২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঢুকছে বীরভূমে। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা কংগ্রেস। কিন্তু, ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাহুলের যাত্রার অনুমোদন দিল না মমতার পুলিশ। এই অবস্থায় ২ তারিখ রাহুলের কর্মসূচি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) “ন্যায় যাত্রায়” আপত্তি পুলিশের

    মুর্শিদাবাদের পর ২ তারিখ রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা বীরভূমে ঢোকার কথা। জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, এড়োয়ালি, আওগ্রাম, মাঝিপাড়া মোড় হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রামে তা পৌঁছনোর কথা। ন্যায় যাত্রার অনুমতি চেয়ে সাত দিন আগে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, আইজি-র কাছে সমস্ত রকম সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হওয়ার কথা। ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই কারণে প্রশাসনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র র‍্যালির জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হয়। রাহুলের সফর ঘিরে সংশয় দেখা দিলেও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জেলায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিশেষ করে রামপুরহাট শহরের জনবহুল মোড়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রার ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোনও রকম সভা বা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। র‍্যালি হলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে কী করে? কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রার বার্তা জনগণের কাছে দিতে চাইছি। প্রশাসনের সঙ্গে কোনও রকম দ্বন্দ্বে আমরা যেতে চাই না। কর্মসূচি অনুযায়ী রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র গাড়ি নিয়ে র‍্যালি করবেন। কোথাও কোথাও নেমে হয়তো মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন। কিন্তু, কোনও পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মাইকও ব্যবহার হবে না। যাত্রাপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রের এক কিলোমিটার দূর থেকে কর্মীরা চুপচাপ থেকে কোনও রকম আওয়াজ না করে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share