Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক। এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজারহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে। সেই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সরকারি আইনজীবীকে রাজারহাট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন।

    “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না” (Calcutta High Court)

    রাজারহাটে এক মামলাকারীর (Calcutta High Court) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত ধর্তব্যযোগ্য কি না, তা জানতে নিম্ন আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের এই আবেদনে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটাই বেআইনি। যেখানে পুলিশ আদালতগ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আইনটুকু যদি না জানে পুলিশ, তাহলে কীভাবে মানুষ বিচার পাবে?” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “আপনার মনে হয় এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয়, সেটা এরা জানে বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ (Kolkata Police) হওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ কবে?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “এই মামলায় (Calcutta High Court) অভিযোগের ভিত্তিতে যে রকম ভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার, সেরকম তদন্ত করতে হবে। এই শেষ সুযোগ পুলিশকে। এরপর যদি এমন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, “নিউটাউন আর রাজারহাট থানা নিয়ে একই সমস্যা।” ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একই ধরনের একটি মামলায় নিউটাউন থানার আইসি প্রসাদ রায়কে তুমুল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপে বিজেপির পক্ষ থেকে সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ মন্ত্রী করার যে দাবি উঠেছে সেই দাবি নিয়ে সেখানে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী যে ব্যর্থ তা পরিষ্কার হয়ে গেল। তাই তাঁর পদত্যাগ করা দরকার।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত (Dilip Ghosh)

    কসবার গুলিকাণ্ডে অনুপ্রবেশকারী দুষ্কৃতীদের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ বিহার থেকে কিভাবে দুষ্কৃতীরা বাংলায় ঢুকল, তাও কি বিজেপি দেখবে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা।”  এর পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বোঝা দরকার মানুষের কাছে তাঁর আর গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাঁর নিজে থেকে পদত্যাগ করে নেওয়াটাই ভালো হবে।” একইসঙ্গে অশান্ত মণিপুর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মণিপুরের ঘটনা দীর্ঘদিনের। এর আগেও একাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। যেহেতু মণিপুর এবং মায়ানমারের মধ্যে কোনও কাঁটাতার নেই, সেই কারণেই এই ঘটনা।”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    পুলিশরা তৃণমূলের ক্যাডার!

    ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “তৃণমূলের কালচারই হচ্ছে জমি হাতানো,  গরু পাচার, কয়লা পাচার করা। সরকারি জমি আবার কখনও বা সাধারণ মানুষের জমি জায়গা বাড়ি সমস্ত কিছুই দখল করে নিয়ে দাদাগিরি করা। আর তার জন্য পুলিশদের তৃণমূল ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর যে কারণেই কখনও জমিদখলকে কেন্দ্র করে কখনও বা পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলছে, বোমাবাজি হচ্ছে। তৃণমূলের মধ্যে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় হবে, নাকি ভাইপো বড় হবে সেটাই এখন ওদের সবথেকে চিন্তার বিষয়। আর যে কারণেই ভাইপোকে পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন ওদের দলের নেতারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-র (Jyotipriya Mallick) শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি (ED)। কাউকে কিছু না জানিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠাল ইডি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই ভর্তি প্রসঙ্গে ইডি-কে কোনও কিছুই জানায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতেও সেই তথ্য জানিয়েছে ইডি।

    চিঠিতে কী রয়েছে?

    গত ১৪ নভেম্বর জামিনের আবেদনের শুনানির সময় আদালতে ইডি (ED) জানতে পারে যে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানান, জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শেই সেখানে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। তবে তার পর থেকে জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা নিয়ে তেমন কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ওদিকে জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানানো মাত্রই তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে চান বিচারক। এবার একই তথ্য চেয়ে হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, তবে শুধু আদালত নয়, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) স্বাস্থ্যের আপডেট জানতে চেয়ে হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই চিঠিতে তারা জানতে চেয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঠিক কী হয়েছে, কোন কেবিনে রয়েছেন, এখন তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? সবটাই জানতে চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার আদালতে জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদনের শুনানি। সেখানে ফের একবার প্রাক্তন মন্ত্রীর অসুস্থতাকে হাতিয়ার করতে পারেন তাঁর আইনজীবী। তার আগে হাসপাতালের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তৈরি থাকতে চাইছে ইডিও (ED)।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ!

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালু। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়ে একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে, বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর মাথা ঘোরার কারণ জানতে হেড আপ টিলট টেবল টেস্ট পরীক্ষার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএমে গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। এই মামলায় অনেকে ইতিমধ্যে ছাড়া পেয়ে গেলেও প্রাক্তন মন্ত্রী এখনও অব্যাহতি পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বেলডাঙায় যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, রাস্তাতেই বসে পড়লেন মন্ত্রী

    Sukanta Majumdar: বেলডাঙায় যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, রাস্তাতেই বসে পড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলডাঙা যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের। অগত্যা রাস্তায়ই বসে পড়লেন সুকান্ত। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে বেলডাঙার (Beldanga) দিকে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় সুকান্তকে। সুকান্ত এলাকায় গেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই তাঁকে বেলডাঙায় যেতে দেওয়া হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।

    কৃষ্ণনগরেই আটকে দেওয়া হল সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য বারংবার রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে পদ্ম শিবির। তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এদিন তাঁকেই আটকে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগরের কাছে। পুলিশের যুক্তি, বেলডাঙায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যেতে পারবেন না সুকান্ত। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সুকান্তকে যে জায়গায় আটকানো হয়েছে, সেখান থেকে বেলডাঙার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। তাই তাঁকে কেন এখানে আটকানো হল, সে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির দুই বিধায়ক ও একাধিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি।

    বন্ধ ইন্টারনেট

    এদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে এখনও (Sukanta Majumdar) বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। জানা গিয়েছে, পরিষেবা বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ইন্টারনেট না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যবাসী। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। কলেজের কাউন্সেলিংয়ের জন্য পড়ুয়াদের যেতে হচ্ছে ভিন জেলায়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারও করা যাচ্ছে না জেলায়। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে মিলছে না রক্ত।

    আরও পড়ুন: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, বেলডাঙার ঘটনায় রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বেলডাঙার সংঘর্ষ নিয়ে উচ্চ পদমর্যাদার অফিসারের মাধ্যমে আজ, বুধবারের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বেলডাঙা-সহ মুর্শিদাবাদের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সংঘর্ষ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে (Beldanga) রাজ্য সরকার, কাদের কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই রিপোর্টও দিতে হবে (Sukanta Majumdar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ। দিন দিন পারদ কমেই চলেছে। এরমধ্যে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে তার অভিমুখ বঙ্গের দিকে হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত ২১ নভেম্বর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ২৩ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সত্যিই যদি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বঙ্গ অভিমুখী হয়, তাহলে শীত (Winter) আসার আগে দুর্যোগ অপেক্ষা করে থাকবে।

    জাঁকিয়ে বসেছে ঠান্ডা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস বলছে, ‘জেট স্ট্রিম’-এর হাত ধরে বঙ্গে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। বুধবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ছাড়া সারাটা দিন রৌদ্রজ্জ্বল। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৮ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সারাটা দিন যেমন তেমন চললেও সন্ধ্যা নামার পরে হিমেল হাওয়ায় বেশ ভালো রকম শীত অনুভূত হচ্ছে। আপাতত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু প্রশ্ন হল, জেট স্ট্রিম কী? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, “ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার ওপরে ঠান্ডা বাতাস ঘণ্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে উত্তরের সমভূমির ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে জেট স্ট্রিম। এই বছর এখনও পর্যন্ত কোনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার বাধার মুখে পড়েনি। ফলে ঠান্ডা বাতাস অবাধে ঢুকছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    কোথায় কত তাপমাত্রা?

    ইতিমধ্যে হেমন্তে (Weather Update) পুরুলিয়া টেক্কা দিচ্ছে কালিম্পংকে। পুরুলিয়ার পারদ ১২ ডিগ্রির ঘরে। বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে। ক্যানিং, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, নদিয়াতে ঠান্ডার অনুভূতি বেশ। এই সব হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাসের সৌজন্যে। আগামী পাঁচদিন একইরকম চলবে পরিস্থিতি। ফলে শীত না-হলেও শীতের আগমনী হিসেবে এই জোরালো ঠান্ডার অনুভূতি হবে সন্ধ্যা নামার পর।

    জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট

    পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ পুরুলিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে কুয়াশার (Weather Update) সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে বাকি জেলাতেও। এই সপ্তাহে এরকমই আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণাবর্তের তেমন কোনও প্রভাবের খবর আপাতত নেই। উত্তরবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশার চাদর থাকবে দার্জিলিং এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা কুয়াশা সকালের দিকে থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Electoral Fraud: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    West Bengal Electoral Fraud: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হল। রাজ্যে ২৫ হাজার ভুয়ো ভোটার কার্ডের সন্ধান পেল নির্বাচন কমিশন (West Bengal Electoral Fraud)। সম্প্রতি রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১১টি কেন্দ্র থেকে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটার কার্ডে একই আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Duplicate voter IDs in Bengal) থাকার ঘটনা আবিষ্কার করেছে কমিশন (Election Commission)। গত ১১ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক ভোটার তালিকা। এরপরই এই ঘটনা চোখে পড়ে। দেখা যায়, বহু কার্ডে রয়েছে অভিন্ন পরিচয় নম্বর। বিরোধীরা বরাবরই রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মেলায় এবার সত্যিই রাজ্যবাসীর মনে প্রশ্ন, তাহলে কি এভাবেই জেতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? মাত্র ১১টি কেন্দ্র থেকেই যদি ২৫ হাজার ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড বের হয়, তাহলে ২৯৪ আসনের নিরিখে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, সেটাই ভাবাচ্ছে কমিশনকে।

    কোথায় কোথায় মিলল ভুয়ো কার্ড

    রাজ্যে যেসব আসনে এই অনিয়ম ধরা পড়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিন্ন ভোটার আইডি কার্ড (West Bengal Electoral Fraud) পাওয়া গিয়েছে বাগদা দক্ষিণ (উত্তর ২৪ পরগনা), যা বাংলাদেশের সীমান্তে এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি (দার্জিলিং), যা নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি। এছাড়া, বাগদা উত্তর, মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট-গোপালপুর, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম, কুরসঙ, শিলিগুড়ি, এবং ফালকাটা এসব এলাকায় ভুয়ো ভোটার আইডি কার্ডের সন্ধান মিলেছে। দেখা যাচ্ছে যে যে অঞ্চলে ভুয়ো ভোটারের রমরমা তা প্রায় সবই সীমান্ত ঘেঁষা। বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভোটের আগে-পড়ে এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটায় বলেও মনে করছেন অনেকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আগেই কমিশনের কাছে বলেছিলেন রাজ্য প্রশাসন ১৬ লাখ ভুয়ো বা দ্বৈত ভোটারকে সঙ্গী করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার রয়েছে।

    কীভাবে ঘটেছে এই অনিয়ম

    ইসি কর্মকর্তাদের মতে, মূল চিন্তার বিষয় হল, যেসব ভোটার কার্ডে (West Bengal’s Electoral Fraud) অভিন্ন আইডি নম্বর রয়েছে, তা ভুয়ো। কারণ ভোটার কার্ড নম্বর ইউনিক এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এক আধিকারিক বলেন, “একই নম্বরের দুটি বা তার বেশি কার্ড হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এটি একটি গুরুতর অস্বাভাবিকতা, যার জন্য বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন।” কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশন ভুয়ো কার্ড শনাক্ত করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। নামের সামান্য বানান পরিবর্তন বা প্রায় মিল থাকা ছবিগুলি শনাক্ত করার মাধ্যমে ডুপ্লিকেট কার্ড শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল একাধিক কার্ডে ক্লোন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর পাওয়া।

    ঘটনার তদন্ত

    কমিশন ১১ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ৭.৪ কোটি ভোটারের (West Bengal’s Electoral Fraud) নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ১৬ লক্ষ নাম সংশোধন বা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে, প্রাক-সংশোধনী পর্যায়ে ৬.২ লক্ষ নতুন নাম যোগ করা হয়েছে এবং ৪.৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই বহু গরমিল চোখে পড়েছে। একই নম্বর থাকা কার্ডগুলি ফের যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা যান্ত্রিক ত্রুটি না এর পিছনে রয়েছে বড় চক্রান্ত তা জানারও চেষ্টা চলছে। ভোটার তালিকায় দুর্নীতি বা বিদেশি নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা জনতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    কড়া পদক্ষেপের আর্জি বিরোধীদের

    এই ঘটনার পর, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তিনি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) প্রতিটি কেন্দ্রের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এই ভুয়ো কার্ডগুলিকে শারীরিকভাবে যাচাই করে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হবে। তবে কমিশনের মতে, এই ধরনের ভুয়ো কার্ড অন্যান্য কেন্দ্রেও পাওয়া যেতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কলকাতায় তাপমাত্রা আরও কমে ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১২! রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে শীত!

    Weather Update: কলকাতায় তাপমাত্রা আরও কমে ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১২! রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে শীত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রোজ একটু একটু করে পারদ নামছিল। পারদ পতন অব্যাহত মঙ্গলবারও। রাজ্যজুড়ে (Weather Update) শীতের আমেজ চলে এসেছে পুরোদস্তুর। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ঢাকছে কুয়াশার চাদরে। শীতের কামড় বেশ অনুভব হতে শুরু করেছে। সকালের দিকে একাধিক জেলায় কুয়াশার দাপট রয়েছে। তবে, বেলা বাড়তেই ঝলমলে রোদ হওয়ায় হালকা শীতের আমেজ রয়েছে।

    কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি! (Weather Update)

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণ বাংলাদেশের ওপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। মলদ্বীপের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত ও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। উত্তর ভারতে বইতে শুরু করেছে জেট স্ট্রিম উইন্ডস। কলকাতায় গোটা সপ্তাহ ধরেই শীত বাড়বে একটু একটু করে। রাতে ও ভোরে শীতের আমেজ থাকবে। আপাতত আগামী ৬ দিন তাপমাত্রায় বিরাট হেরফের হবে না শহরে। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামবে না। সকালের দিকে কোনও কোনও এলাকায় হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে। মোটের ওপর মনোরম আবহাওয়াই থাকবে কলকাতায়। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি থেকে নেমে ১৮ ডিগ্রি হয়েছে মঙ্গলবার। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    দক্ষিণবঙ্গর কোন জেলায় কত তাপমাত্রা?

    দক্ষিণবঙ্গের (Weather Update) জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ পতনের সূচক অপেক্ষাকৃত বেশি। শীতের শুরুতেই দ্রুত পারদ নেমেছে পুরুলিয়ায়। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনে ১৩ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যজুড়েই শীতের আমেজ বজায় থাকবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ঘন কুয়াশার দাপট হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান ও বিহারে। রাতে ও ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে অসম ও মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে।

    উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা

    উত্তরবঙ্গের (Weather Update) একাধিক জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে। উত্তরের তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ঠান্ডার দাপট প্রবল। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপুনি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরও। এই সব জেলায় কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমতে পারে ৫০ থেকে ২০০ মিটার, সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিনাম সংকীর্তন নয়, সানাইয়ের সঙ্গে ঢাক ঢোল ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন নাতি-নাতনিরা! শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী রইলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। অনেকে ভেবেছিলেন বোধহয় বরযাত্রীর দল আসছে। পরে, ভুল ভাঙে। ১০০ বছর পেরিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেছে দুবরাজপুরের রবিলাল বাদ্যকর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আছ়ড়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। জাঁকজমকভাবে শোভাযাত্রা করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।  

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Birbhum)

    যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবুও শতায়ু বৃদ্ধের মৃত্যুতে দেখা গেল এক অন্য ছবি। ব্যান্ড বাজিয়ে জাঁকজমকভাবে শত বছরের বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা হল বক্রেশ্বর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, ১৮ নভেম্বর রাতে দুবরাজপুর ব্লকের (Birbhum) গৌরগঞ্জ গ্রামের রবিলাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর চারপুত্র, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বৃদ্ধের ইচ্ছা মতো গ্রামের ব্যান্ড পার্টি ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শবদেহ বক্রেশ্বর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত বৃদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে মিতন বাদ্যকর বলেন, “শতবছর পূর্ণ হওয়ায় এমন আয়োজন।” এক প্রতিবেশী আকাশ মাল বলেন, “এদিন গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।”

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    বৃদ্ধের ইচ্ছেতেই এই আয়োজন

    শ্মশান যাত্রার (Birbhum) জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় ব্যান্ড,সানাই এবং হরিনাম সংকীর্তনের। সেই যাত্রায় শামিল হন বহু মানুষ। হরিনামের সঙ্গে এইরকম এক আয়োজনে শেষকৃত্য হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা তল্লাটে। ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, রবিলালের শেষ ইচ্ছে ছিল এমনটাই। তাই, তাঁর ইচ্ছাতেই রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলেন নাতি-নাতনিরা। এই শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় করেছিল জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Beldanga Issue: বেলডাঙাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্তর 

    Beldanga Issue: বেলডাঙাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বেলডাঙাকাণ্ডে (Beldanga Issue) এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Cv Ananda Bose)। প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুই গোষ্ঠীর হিংসার কারণে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। পুলিশের অবশ্য দাবি, সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যদিও বেলডাঙা ইস্যুতে (Beldanga Issue) মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে ‘নির্দেশ’ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতায় থেকেই রাজ্যপাল পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির দুই মুখ শুভেন্দু-সুকান্ত।

    ফের সংঘাত রাজ্য-রাজ্যপালের

    শিক্ষা থেকে দুর্নীতি-প্রতিটি ইস্যুতেই (Beldanga Issue) রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত খবরের শিরোনামে এসেছে। এবার বেলডাঙা ইস্যুতে ফের একবার সামনে এল রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত। রাজভবনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মুর্শিদাবাদে ক্রমেই বাড়ছে হিংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। তাঁর যে সকল সফর ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি (Cv Ananda Bose) কলকাতাতে থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন।’’

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    বেলডাঙার (Beldanga Issue) ঘটনা নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক্স হ্যান্ডলে তিনি পুলিশকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘দুটি ভিডিও দেওয়া হল যা দেখে সাম্প্রতিককালের ২টি ঘটনা আপনাদের স্মরণে আসে। একটিতে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, যিনি কয়েকমাস আগে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেবেন বলে। দ্বিতীয়ত এক ব্যক্তি শনিবার রাতে বেলডাঙায় জেহাদ ঘোষণা করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।’’

    নিজের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন সুকান্ত

    সুকান্তর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্মরণ করে বলতে হচ্ছে, বেলডাঙায় যা ঘটেছে, তার পর থেকে হিন্দুরা নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘হিন্দু হিসেবে এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি জানতে চাই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ করার জন্য কি এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? নাকি, মুখ্যমন্ত্রীর তোষণ-নীতি নিশ্চিত করেছে যে বাংলার ‘দুধেল গাই’-দের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না?’’

    রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর

    রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করার সাহস আপনাদের আছে?’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সংঘর্ষ হল সেটা যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। কিন্তু, বেলডাঙায় যা ঘটেছে, সেখানে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। একটা গোষ্ঠী হিন্দুদের ঘর-বাড়ি-সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে।’’

    তদন্ত না করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছে পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর 

    শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘সঠিক তদন্ত না করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছিল, শয়ে শয়ে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, ‘অপকর্ম’। পরে আসল সত্য বেরিয়েছিল।’’ শুভেন্দুরও প্রশ্ন, ‘‘যাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, হিংসায় উসকানি দেওয়ার জন্য, তাকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? যদি করা হয়, তাহলে আমার পোস্টে উত্তর দিয়ে জানাবেন।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার রাতেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা (Beldanga Issue)। এই আবহে সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্যে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ দার্জিলিং-এর (Darjeeling) হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে একটি বিশেষ পর্বতারোহণ কোর্স সম্পন্ন করলেন। তিনি গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত চার মহাকাশচারীর (Astronaut) মধ্যে একজন। মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে ৫৬  দিনের কোর্সটি সম্পূর্ণ করেছেন তিনি।

    প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদও!(Astronaut)

    ৪২ বছর বয়সি অঙ্গদ প্রতাপ (Astronaut) বলেন, এই কোর্সটি আমার জন্য অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল। পর্বতারোহণ সব চেয়ে কঠিন এবং দুঃসাহসিক কাজ। সেটা এই কোর্স করতে এসে আমি উপলব্ধি করলাম। এনডিএ-র এই প্রাক্তন ছাত্রকে ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪-এ আইএএফ-এর ফাইটার স্ট্রিমে কমিশন দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন উড়ন্ত প্রশিক্ষক। প্রায় ২৫০০ ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা সহ পাইলটও। একই সঙ্গে তিনি Su-30 MKI, MiG-21, MiG-29, Jaguar, Hawk, Dornier এবং An-32 সহ বিভিন্ন ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। প্রতাপ ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইট মিশনের অংশ হওয়া ছাড়াও, ২০২৩ সালে আয়রনম্যান ট্রায়াথলনও সম্পন্ন করেছেন। প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদ, একজন প্রত্যয়িত স্কাই ডাইভার এবং একজন স্কুবা ডাইভারও।

    মহাকাশচারী কী বললেন?

    প্রতাপ (Astronaut) বলেন, “এই কোর্সটি এইচএমআই-এর অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয় কিষাণের উদ্যোগে করা হয়েছিল। বিশেষ করে আমার জন্য প্রাথমিক এবং উন্নত-উভয় কোর্সের পাঠ্যক্রম মিলিয়ে একটি একক কোর্স করা হয়েছিল। পর্বতারোহণ আমার স্বপ্ন ছিল।” অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সময় প্রতাপ একজন পরীক্ষামূলক পাইলট হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। ISRO-এর গগনযান মিশনের জন্য রাশিয়ায় তাঁর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। মহাকাশযানে প্রশিক্ষণের সময় তিনি তাদের শূন্য মাধ্যাকর্ষণে তাঁর স্পেস স্যুট পরার একটি ভিডিও দেখান। প্রতাপ মহাকাশচারীরা অনুসরণ করেন, এমন একটি  প্রোটোকলের কথাও বলেন। তিনি বলেন, “আমাদের চারটি আক্কেল দাঁত তুলে দেওয়া হয়। কারণ, দাঁতব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এটি স্নায়ুতে আঘাত করে। এমনকী এটি একজনকে অজ্ঞান করে দিতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share