Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে পাণ্ডুয়াতে আসার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কিন্তু তখন তা বাতিল হয়। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এদিন তাই রোডশো করতে আসেন পাণ্ডুয়াতে। তবে তাঁর এই এক ঘন্টার রোড শো’র জেরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জনজীবন বিপর্যস্ত হল পাণ্ডুয়াবাসীর। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় চপারে কালনা থেকে পাণ্ডুয়া ধানকল মাঠে আসেন তিনি। এরপর বিকেলে এই মেগা রোড শো শুরু হয় পাণ্ডুয়া কল বাজার থেকে কাকলি সিনেমা তলা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার। জিটি রোডের ওপর এই রোড শো’র জন্য কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী দুপুর ১২ টা থেকেই ডিউটি ধরেন বিভিন্ন পজিশনে। এই কয়েক ঘণ্টায় পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্তভাবে লোডশেডিং হয়। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের কথা অনুযায়ী লাইনে কাজ হওয়ার দরুন বিদ্যুৎ পরিষেবা মাঝে মধ্যে বিঘ্নিত হয়। 

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘অতীতে অনেক মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন পাণ্ডুয়াতে কিন্তু এরকম অবস্থা দেখেনি পাণ্ডুয়ার মানুষ। একজন সামান্য সাংসদের জন্য পুলিশ যা করেছে রাস্তা আটকে, দোকান বন্ধ করে এর জবাব ভোটবাক্সে পড়বে।’’ প্রসঙ্গত, নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ও যে এলাকার ওপর দিয়ে তৃণমূল সাংসদের কনভয় গিয়েছে, সেখানেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। একজন সাংসদের নিরাপত্তায় প্রশাসন যেন অতি সক্রিয়, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শো’তে আশানুরূপ লোকও হয়নি। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সাফাই দেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য লোক কম হয়েছে, তবুও যা হয়েছে তাকে জনজোয়ার আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে।’’ এদিন এই রোড শো তে অভিষেকের গাড়িতে স্থানীয় বিধায়ক রত্না দে নাগ, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, ধনেখালি ও চাপদানির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং অরিন্দম গুঁই এবং জেলার মন্ত্রী  স্নেহাশিস চক্রবর্তী হাজির  ছিলেন। যদিও কোনও স্থানীয় নেতা ওই গাড়িটিতে জায়গা পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদেরও অফার দিয়েছিল তৃণমূল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি।” বক্তা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এগরার সভা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    আরও কী বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১ ব্লকের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা ছিল বিজেপির। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে তুলোধোনা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি বলেন, “পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। শেষ পয়লা ডিসেম্বর ২০২০ সালে উপ মুখ্যমন্ত্রীর অফার দিয়েছিল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। কারণ পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে।”

    কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের কর্মসংস্থানের করুণ চিত্রও এদিন তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে একটাও শিল্প নেই।’’ সিঙ্গুরের টাটা ন্যানো কারখানা গুজরাটে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কটাক্ষ, “এরাজ্যের নেত্রী বটে উনি, শিল্প বানান গুজরাটে।” 

    ভিন রাজ্যের পুলিশদের দেখে করজোড় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নামালডিয়ায়তেও সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেই সভা শেষে গাড়ির ওঠার সময় কয়েকজন ভিন রাজ্যের পুলিশকে দেখতে পান শুভেন্দু। আর সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে তাঁদের কাছে অনুরোধ করলেন। শুভেন্দু বললেন, ‘‘নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করবেন।’’ শুভেন্দুর বক্তব্যের পর সেখানে ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও শোনা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটযুদ্ধে ওরা ব্যস্ত পতাকা তৈরিতে, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই!

    Panchayat Vote: ভোটযুদ্ধে ওরা ব্যস্ত পতাকা তৈরিতে, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন, প্রজাতন্ত্র দিবস কিংবা প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস এলেই ওদের ব্যস্ততা বাড়ে। ওরা মানে হাওড়ার পতাকা তৈরির কারিগররা। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই ওদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলের অর্ডার মতো পতাকা সরবরাহ করতে হবে। তাই নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না কারিগররা। নির্বাচনের মুখে অতিরিক্ত অর্ডার। তাই একটু বাড়তি লাভের মুখ দেখতে পেয়ে খুশি মালিক এবং কারিগররা।

    বিভিন্ন সাইজের পতাকা চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে

    হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের উনসানি, জগাছা সহ বেশ কিছু এলাকায় এই পতাকা তৈরির কাজ করেন বহু কারিগর। সব রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরির পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কাজের চাপ বাড়ে। তবে এ বছর হঠাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণা হয়ে যাওয়ার ফলে কার্যত চাপে পড়ে গেছেন পতাকা তৈরির কারিগররা। তাঁরা দিনরাত এক করে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ-এর পতাকা তৈরি করে চলেছেন। এই সব দলের পতাকার অর্ডার বেশি এলেও কিছু কিছু নির্দল প্রার্থীও পতাকা তৈরির বরাত দিয়েছেন এবার। এই সব কারিগরদের হাতে তৈরি ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের পতাকা চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পতাকার পাশাপাশি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের গেঞ্জি ছাপানোর কাজও চলছে।

    কী জানালেন মালিক এবং কর্মচারীরা?

    এক কর্মচারী শেখ সইফুদ্দিন জানান, কাজের এত চাপ তাঁরা খাওয়া দাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। সকাল দশটার টিফিন দুপুর বারোটায় খাচ্ছেন। ভোট হঠাৎ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার ফলে (Panchayat Vote) তাঁদের কাজের চাপ বেড়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলই চাইছে তাদের যেন তাড়াতাড়ি পতাকা দিয়ে দেওয়া হয়। শেখ মোরসেলিন নামে এক কারিগর জানান, কাজের চাপে তাঁদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ। মালিক জানিয়েছে, ভোটের পর ছুটি দেওয়া হবে। তার আগে নয়।এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরি করছেন রাজু হালদার। রাজু হালদার জানিয়েছেন, তাঁর কারখানায় ১০ জন কারিগর কাজ করলেও তাতেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মাঝ রাত পর্যন্ত কাজ চলছে। বাধ্য হয়ে আশপাশের কিছু বাড়িতে সেলাইয়ের জন্য মাল পাঠানো হচ্ছে। যেহেতু এখান থেকে গোটা পশ্চিম বাংলাতেই পতাকা সরবরাহ করা হচ্ছে, তাই কাজের চাপ একটু বেশি। কাজের চাপ বেশি হলেও বাড়তি লাভ হওয়ায় খুশি কারখানার মালিক এবং কর্মীরা। গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়ে বাড়তি লাভ তাঁদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

    করোনার পর বড় বরাত

    এক পতাকা শিল্পী জানান, শেষবার করোনা পিরিয়ডে পিপিপি কিট তৈরির বরাত পেয়েছিলেন। যখন চারদিকে কারখানা বন্ধ, তখন তাঁরা রাত দিন এক করে পিপিই কিট তৈরি করেছিলেন। তারপর অনেকটা সময় বরাত ক্রমশ কমে যায়। করোনার পর থেকে রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতির ছোটখাট কিছু বরাত আসছিল। বাকি সময়টা তাঁরা বসেই থাকছিলেন। তবে আবার পঞ্চায়েত ভোট এসে যাওয়ার ফলে (Panchayat Vote) একটা বিরাট পরিমাণ অর্ডার এসে গেছে। নির্বাচন এবং নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত এই অর্ডার চলবে বলে তাঁরা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা মঙ্গলবার রাত ১১ টার। বেলডাঙার সোমপাড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ঘোল্লা হাই মাদ্রাসা। এর কাছেই কোরাল পুকুরে ১৬৩ নং বুথের কংগ্রেস প্রার্থী হায়দার মল্লিকের বাড়ির ছাদে বোমা বাঁধার জন্য দুজনকে বাইরে থেকে ডাকা হয়েছিল। এদের নাম জামিরুল সেখ ও শেরফুল মোল্লা। এদের দুজনের বাড়ি সালার থানার সরমস্তপুর। বোমা বাঁধার সময় অসাবধানতা বশত তা ফেটে আহত হয় দুজনই। রাতে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন তাদের অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শক্তিপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ও পুলিশকে খবর দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ আহতদের মুখ থেকে সব শুনে ঘটনাস্থলে যায়। হায়দার মল্লিক ও তার ছেলে হাবিব মল্লিক, এঁদের দুজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন অভিযুক্তের স্ত্রী?

    হায়দারের স্ত্রীর কথায়, তাঁর বাড়িতে কোনও বোমা ফাটেনি। তাঁর স্বামী কংগ্রেসের হয়ে ভোটে (Panchayat Vote) দাঁড়িয়েছে বলে শাসক দল পুলিশকে দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিকের বক্তব্য, শাসক দলের এত দুর্দশা হয়নি যে বিরোধীদের ফাঁসিয়ে আমরা জিতব (Panchayat Vote)। এই ঘটনায় পুলিশ ইরফান সেখ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিপুর থানার পুলিশ।

    ফের বোমা উদ্ধার 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মুখে ফের মুর্শিদাবাদের তিন জায়গায় বোমা উদ্ধার। বেলডাঙার কাজি শা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটের চার দিন আগে সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায়। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে বোমা। সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। কে বা কারা বোমা রেখে গেল, খতিয়ে দেখছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজের টাকা নয়, চুরি আটকানো হয়েছে। ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে ১ কোটির ওপর ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে রাজ্যে। এই বিপুল দুর্নীতি রোধ করতেই আপাতত বন্ধ একশো দিনের কাজ। নন্দীগ্রামের সভা থেকে এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এদিন নন্দীগ্রামে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সরব হন স্থানীয় বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, “১০০ দিনের কাজের টাকার চুরি আটকেছি। টাকা কিন্তু আটকাইনি।” শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, লোক না দিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে মাস্টার রোল করেছে তৃণমূল সরকার। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলে ২,০০০ মানুষের টাকা নিয়েও তা দেয়নি রাজ্য সরকার। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা নিয়েও তৃণমূল দুর্নীতি করেছে বলে সরব হন শুভেন্দু। শুভেন্দু জানান, কেন্দ্র মাতৃ বন্দনা স্কিমে ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে। রাজ্যে কেউ এই টাকা পাচ্ছেন না। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “বিজেপি আসছেই, তার পর ২০০০ টাকা দেবে।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ভিন রাজ্যের পুলিশদের দেখে করজোড় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ভোট পরিচালনার কাজে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ভিন রাজ্যের পুলিশও মোতায়েনও হয়ে গিয়েছে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নামালডিয়ায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেই সভা শেষে গাড়ির ওঠার সময় কয়েকজন ভিন রাজ্যের পুলিশকে দেখতে পান শুভেন্দু। আর সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে তাঁদের কাছে অনুরোধ করলেন। শুভেন্দু বললেন, ‘‘নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করবেন।’’ শুভেন্দুর বক্তব্যের পর সেখানে ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও শোনা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে দুই বিজেপি কর্মীর ‘ট্রেকার’ অনির্দিষ্ট কাল স্ট‍্যান্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনায় আবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলার (North 24 Parganas) সভাপতি তথা স্থানীয় পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান তাপস দাশগুপ্তের। তিনি দুই বিজেপি কর্মীকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে সকলের সামনে হুমকি দিয়ে বলেন, “ট্রেকার স্ট্যান্ডে নিষিদ্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য!”। এমনটাই অভিযোগ। আর তাকে ঘিরেই ভোটের মুখে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা অঞ্চল।

    কী ঘটেছে ঘটনা (North 24 Parganas)?

    সূত্রের খবর, বারাসতের (North 24 Parganas) দুই চালকের মধ্যে কুমারেশ সাধু খাঁ এবারের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের আসন থেকে। অন‍্যজন অবশ্য নিজে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তাঁর স্ত্রী বিজেপির হয়ে লড়ছেন অন্য একটি গ্রাম সংসদের আসন থেকে। এটাই ছিল ওই দুই বিজেপি কর্মীর অপরাধ! যার জেরেই ‘নিষিদ্ধ’ করে দেওয়া হয়েছে দুই বিজেপি কর্মীর ট্রেকার। এদিকে, শাসকের এই তুঘলকি ‘শাসন’-এর জেরে অসহায় অবস্থা ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মীর। পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত এখন পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা দু’জনে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই, সুবিচার পেতে দলের জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজ‍্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মী। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকেই নিশানা করেছে শাসক শিবির।

    কোন জায়গা থেকে ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন?

    জানা গিয়েছে, বেড়াচাঁপা-বারাসত (North 24 Parganas) রুটে ট্রেকার চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন দুই বিজেপি কর্মী কুমারেশ সাধু খাঁ এবং হারান ঘোষ। কুমারেশের বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সাধু খাঁ পাড়ায়। অন্যদিকে, হারানের বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর ঘোষপাড়ায়। দু’জনেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। সেই সুবাদে কুমারেশকে টিকিটও দিয়েছে বিজেপি। তিনি দেগঙ্গার ১৫৫ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত আসনে লড়াই করছেন বিজেপির প্রতীকে। তবে, হারান ভোটে প্রার্থী না হলেও তাঁর স্ত্রী সুজাতা ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের ৯৩ নম্বর আসন থেকে ।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ছিল?

    অভিযোগ, প্রথম থেকেই এলাকায় (North 24 Parganas) এই দুই বিজেপি কর্মীর ওপর চাপ তৈরি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। কিন্তু, চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি তাঁরা। এর পরেই জব্দ করতে শাসকদল এই পন্থা বেছে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন দুই বিজেপি কর্মী। এই বিজেপি কর্মীর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বনই হল এই ট্রেকার। দীর্ঘদিনের সেই পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন টান পড়েছে রুটি-রুজিতে। কীভাবে সংসার চলবে? আর কীভাবেই বা এর থেকে সুরাহা মিলবে? তা ভেবেই অস্থির দুই বিজেপি কর্মী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলে সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন, এমন কোনও বিষয় নেই! আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অত্যন্ত মিথ্যা। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন এমন কাউকে আমি চিনিনা। ট্রেকার কোনও ব্যাক্তির বন্ধ হয় নি। তবে সিপিএমের কেউ কেউ এসেছেন আমার কাছে। তিনি হুমকির স্বরে আরও বলেন, বন্ধ না করেও যদি বন্ধের অভিযোগ করে থাকে কেউ! তাহলে এবার বন্ধ করে দেবো।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: লক্ষ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত! ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দুই ভাই

    Hooghly: লক্ষ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত! ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দুই ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি ২৫০ নম্বর গ্রামসভায় এবার দুই ভাইয়ের লড়াই দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে। ক্ষীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিজয়ানন্দ হাজরা এবং আনন্দ হাজরা এবার ২৫০ নম্বর বুথের তৃণমূলের বিরুদ্ধে যথাক্রমে সিপিএম এবং বিজেপির প্রার্থী। উভয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এলাকায় বেশ উত্তেজনা ভোটের প্রচারে।

    কেমন হবে নির্বাচনী লড়াই?

    ভোটের ময়দানে ক্ষীরকুন্ডি গ্রামের এই একই পরিবারের দুই ভাই কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। ভোট আসতে আর বেশি দেরি নেই। তাই দুই ভাই জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট প্রচার। দুজনের মনেই জয়ের আশা তীব্র। দলীয় লড়াই আলাদা আলাদা ভাবে হলেও উদ্দেশ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়া।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে ছোট ভাই বিজেপি প্রার্থী আনন্দ হাজরা বলেন, বামপন্থী পরিবারে বড় হলেও মোদিজির আদর্শ দেখে বিজেপিতে আসা। বাবা প্রথমে একটু অসন্তুষ্ট হলেও ম্যানেজ করে নিতে হয়েছিল। দুই ভাইয়ের পারিবারিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, আর বাড়ি বাড়ির জায়গায়। কোনও পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই।

    সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য

    বড় ভাই সিপিএম প্রার্থী বিজয়ানন্দ হাজরা বলেন, ছোট থেকে বাবাকে দেখে বড় হয়েছি। বাবা বামপন্থী মতে বিশ্বাসী ছিলেন। বামফ্রন্টের সময়ে দীর্ঘদিন পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন বাবা। তাই বাবার আদর্শে আমিও বামপন্থী মতে বিশ্বাসী। ভাই আলাদা রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। কিন্তু ভাই ভাইই থাকবে। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভাই আর ভাইয়ের বউয়ের কাছে যাব, আমার পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলবো।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নির্বাচনে ক্ষীরকুন্ডিতে কী বলছে তৃণমূল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের পাণ্ডুয়া  ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, রাম বাম একই। এতো পুরো জগাই আর মাধাই। যদিও এবার পাণ্ডুয়াতে এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল মোটেই সুবিধার জায়গায় নেই। অনেক পুরনো কর্মী এবার প্রার্থী হতে না পেরে, একপ্রকার বসেই গেছেন। পাণ্ডুয়ার একাধিক শাসক দলের কার্যালয় টিমটিম করছে। সন্ধ্যার পর অনেকেই ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছেন। কর্মীদেরও সেভাবে মাঠে-ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে না। এমত অবস্থায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বুধবার সময় দিয়েছেন পাণ্ডুয়ায় জনসভা করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: সুকান্তর জমজমাট প্রচার, চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক

    Dakshin Dinajpur: সুকান্তর জমজমাট প্রচার, চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে নিজের বাড়ির পাশের গ্রামে সুকান্ত মজুমদার। বুধবার বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভূষিলা এবং চকঘটক গ্রামে তিনি নির্বাচনী প্রচারে এসে এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলেন। আজ তিনি ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে থেকে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। সুকান্ত মজুমদার ছাড়া প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দুই প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, বিনয় বর্মন এবং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থীরাও।

    কোথায় যোগদান করল তৃণমূল (Dakshin Dinajpur)?

    পাশাপাশি আজ, পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগে ভূষিলা এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ প্রেসিডেন্ট সহ ১৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় ভাটপাড়ায় (Dakshin Dinajpur) বিজেপির শক্তি অনেকটা বাড়ল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    প্রচারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই গ্রামটা আমার বাড়ির (Dakshin Dinajpur) পাশে। এই গ্রামে ছোটবেলায় খেলাধুলো করতে আসতাম। আজ আমি এখানে ভোট প্রচারে বেরিয়েছি। প্রচারে বেরিয়ে গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলছি। আমরা এখানে ভোটে ভালো উত্তেজনা পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ এবার তৃণমূলকে ছেড়ে বিজেপিতে ভোট দেবে। ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করবে। ভূষিলা এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ প্রেসিডেন্ট সহ ১৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে মানুষ যোগদান করছেন। এদিন পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করার আহ্বান জানান সুকান্ত।

    তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মলয় দাস বলেন, আমরা আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম! তৃণমূল এই গ্রামে কোনও উন্নয়ন করেনি। তৃণমূল গরিব মানুষদের ঘর না দিয়ে যাঁদের ঘর আছে তাঁদের দিয়েছে। তাই এই (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েতকে তৃণমূল মুক্ত এবং দুর্নীতি মুক্ত করাই একমাত্র কর্তব্য।

    সবজির দাম বৃদ্ধির সমালোচনা

    বিগত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের নীতির ফলেই এই অবস্থা। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সবজির দাম বছরে এক-দু’বার বৃদ্ধি হয়। কিন্তু এবার অস্বাভাবিকভাবেই সবজির দাম বেড়েছে। সবজির দাম বাড়ার মূল কারণ রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতি। এরা ত্রাণের কথা ভাবে, পরিত্রাণের কথা ভাবে না।সাবেকি পদ্মতিতে চাষ করলে এই সমস্যা সমাধান হবে না। আধুনিক পদ্ধতি আনতে হবে চাষে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat vote: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজি! অভিযুক্ত শাসক দল

    Panchayat vote: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজি! অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে লেগেই রয়েছে অশান্তি। মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের কিছু জেলা যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল। ভোট যত এগিয়ে আসছে সন্ত্রাস যেন বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার রাতেই দেগঙ্গায় সন্ত্রাসের বলি হয়েছে এক নাবালক। স্কুল পড়ুয়া ওই নাবালকের ওপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ সিপিএম-আইএসএফের বিরুদ্ধে। এবার উলুবেড়িয়ার চণ্ডীপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমুল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটমপুরের এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী অমর রায়ের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে তৃণমুল আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় ও বোমাবাজি করে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, পুলিশকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু ঘটনাস্থলেও আসেনি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে আজ ফের তলব ইডি-র, সায়নী কি সশরীরে হাজিরা দেবেন?

    কী বলছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি প্রার্থী অমর রায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। রাত তখন ১১:৩০ হবে, আমরা কেবল মাত্র শুয়েছি। তখন ৪০ জনের ওপর লোক বাড়ির সামনে হুমকি দিতে থাকে। এলাকায় বোমাবাজিও করে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ 

    আরও পড়ুন: বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমুল। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূলের সভাপতি দুলাল কর বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি সহানুভূতি আদায় করার জন্যই মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশকে শক্ত হাতে দমন করতে বলব এই ধরনের ঘটনা। তবে আমাদের চণ্ডীপুরে শান্তিপূর্ণভাবেই সব কিছু সম্পন্ন হয়।’’

    আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় মিছিল লক্ষ্য করে বোমা-গুলি, বাবার সামনেই খুন স্কুলপড়ুয়া

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, গুলি, বোমা! তীব্র উত্তেজনা

    Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, গুলি, বোমা! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত ইসলামপুর (Uttar Dinajpur)। আবারও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আক্রান্ত নির্দল প্রার্থী, উত্তপ্ত জেলার রাজনীতি।

    কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা?

    ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) রামগঞ্জ-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বসাকপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাঠি, বাঁশের আঘাতে উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত। আহতদের স্থানীয় রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বপন বসাক নামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামীর আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কয়েকজন মহিলা নির্দল সমর্থককে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশি পাহারায় তাঁদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রচার শেষে স্থানীয় একটি দোকানে সিগারেট কিনতে যান তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক। সেই সময় নির্দল সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই তৃণমূলের প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে নির্দলের দুষ্কৃতীরা। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং নির্দল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয়পক্ষই একে অপরের ওপরে চড়াও হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। গুলি, বোমা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের একাধিক কর্মী-সমর্থক।

    নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য

    রামগঞ্জের (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীর আত্মীয় সুনীতি বসাক জানিয়েছেন, আমার জা মৌসুমি বসাক নির্দলের প্রার্থী হয়েছেন। ওঁরা আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী স্বপন বসাক ও তাঁর লোকজন এসে তাঁদের দোকানের উপরে হামলা চালায়। মারধর করা হয় পরিবারের লোকজনদেরও। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। পুলিশ তৃণমূলের লোকজনকে না ধরে নির্দল সমর্থকদেরই থানায় নিয়ে গেছে।

    পাশাপাশি নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় রামু বসাক নামে এক বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা। নির্দল কর্মীরা আহত বৃদ্ধকে বাড়িতে রেখে যান। বাড়ির বাইরে বের হলেই আবার তাঁর উপর আক্রমণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় চিকিৎসা না করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই আছেন বৃদ্ধ রামু বসাক। সবটা মিলিয়ে আতঙ্কিত নির্দল প্রার্থী এবং সমর্থকরাও।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, স্থানীয় (Uttar Dinajpur) তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি দোকানে সিগারেট কেনার সময় তাঁকে পিছন থেকে মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ স্বপনবাবুর। তাঁর আরও অভিযোগ, বোমা, পিস্তল নিয়ে নির্দল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের ওপরে চড়াও হয়েছে।

    সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share