Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের পর ভোট আসে, আসেন নেতারাও। তারপর ভোট যায়, আর দেখা পাওয়া যায় না তাঁদের। বছরের পর বছর সেই আঁধারেই থেকে যান সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। কাঁটাতারে আটকে গিয়েছে তাঁদের স্বাধীনতাও। ভারতীয় ভূখণ্ডে বাস করেও ভারতীয় হওয়ার স্বাদ নিতে পারেন না তাঁরা। সমস্যার সুরাহা হওয়ার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু সুরাহা মেলে না বলেই আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও ভোট আসছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এবার আর নিছক আশ্বস্ত হয়ে থামতে চান না তাঁরা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান চাইছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকার ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সেই সীমান্ত। তার মধ্যে এখনও ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। আর অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যা কাঁটাতারের ওপারে। ভারতীয় হলেও গ্রামগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন এক অদ্ভূত সঙ্কটে কাটাচ্ছেন। ফলে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও স্বাধীনতার স্বাদ অধরা তাঁদের কাছে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur)?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে ওই এলাকায় বাস করার কারণে তাঁরা সাধারণ ভারতীয়ের মতো সুযোগ পান না। বঞ্চিত হন অনেক সুবিধা থেকেও। স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ পর্যন্ত তাঁদের নেই। গ্রামবাসীরা (Dakshin Dinajpur) জানান, বিএসএফ-এর তল্লাশির সময় তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পানীয় জল বা রাস্তা, সব ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো মেলে না বলেও অভিযোগ। বিশেষত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামে প্রবেশ করতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (Dakshin Dinajpur)?

    বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত (Dakshin Dinajpur) এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো সবাইকেই মেনে চলতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে, আর সেগুলি থাকবে গ্রামগুলির পিছন দিয়ে। তাহলে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটের সময় নয়, সারা বছরই খোঁজখবর করা হয়। হিলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির সরকার বলেন, “ভোটের আগে এবং পরে আমরা নিয়মিত যাই গ্রামে। এবার গ্রামকে বাঁচিয়ে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হবে। তবে সীমান্তের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রের অধীন। সেখানে রাজ্যের কিছু করার থাকে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে একদমই পছন্দ নয়। সেই কারণে জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন। বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাটাপাড়া এলাকায় এই যোগদান পর্ব হয়। অন্যদিকে, বুধবার ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ বহু দলীয় কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে তৃণমূলের এই ভাঙনে শাসক দলের নিচুতলায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) কারা যোগদান করলেন?

    বৃহস্পতিবার বারোপাটিয়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীরা বোদাগঞ্জের মা ভ্রামরী দেবী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানেই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের মুখ্য পূজারি লালবাবার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তাঁরা। এরপর ফাটাপাড়া ১৮/১৭০ নম্বর বুথে বিজেপির যোগদান সভা হয়। সেখানেই স্থানীয় কুড়িটি পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। অন্যদিকে, একই ইস্যুতে বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় বেশ কিছু পরিবার। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬/৬০ নং বুথে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ওই অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চলের ছাত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রীবাস চন্দ। কিন্তু তাঁদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল যুবনেতারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। এদিন প্রায় ২৩ টি পরিবারের সঙ্গে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। যোগদানকারীদের একজন গৌতম রায় বলেন, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে সেই দুর্নীতি আমরা কোনও ভাবেই মানতে পারছি না। তাই দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, যারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন, তাঁরা কেন করেছেন সেটা আমার জানা নেই। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, তৃণমূল এলাকায় যা উন্নয়ন করেছে, সেই নিরিখে মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দেবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজগঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী পরিবহণ মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যোগদানকারীরা প্রতিবাদ জানালেন। দলে তাঁদের স্বাগত জানাই। তৃণমূল রাজ খতম করতে রাজ্যের সব জায়গাতেই এই ভাবে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার পাশের জেলা বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূল প্রার্থীর খাদানের একটি বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে নলহাটির বাহাদুরপুরে হানা দেয় এনআইএ। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল প্রার্থী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সেভাবেই বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর খাদানে হানা দেয়। সেখানকার অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি প্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে আট ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এনআইএ। তবে তাতে কত পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা জানা যায়নি। যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিলও করে দিয়ে যায় এনআইএ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তাঁরা জানেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবে অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: পানীয় জল কোথায়? প্রচারে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীদের

    Barrackpore: পানীয় জল কোথায়? প্রচারে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জল কোথায়? ভোট প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীদের কাছে এই দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বারাকপুর (Barrackpore)-২ ব্লকের বন্দিপুরে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। অনেকে আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তাতে ভোটারদের যে মন জয় করা সম্ভব হচ্ছে না, তা শাসক দলের নেতারা ভালোরকম টের পাচ্ছেন। দুদিন আগেই বীরভূমের দুবরাজপুরে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। শুনতে হয়েছে একাধিক অনুন্নয়নের কথা।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    বারাকপুর (Barrackpore)-২ ব্লকের বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চয়েতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুর বোর্ড ক্ষমতায় রয়েছে। এর আগে খড়দা বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন অমিত মিত্র। এই পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু, তা সমাধানে কারও কোনও হেলদোল নেই। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় অমিত মিত্র এসে পানীয় জল প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। এলাকাবাসী তাঁর কথার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। কিন্তু, কথা রাখেননি অমিতবাবু। গত বিধানসভা ভোটেও এই ইস্যু উঠেছিল। পানীয় জল প্রকল্পের স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন শাসক দলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচন মিটে গিয়েছে প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু, এখনও জলপ্রকল্পের একটি ইঁটও গাঁথা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন চলে এসেছে। কিন্তু, এই এলাকার মানুষ তীব্র জল সংকটে ভুগছেন। ফলে, শাসক দলের প্রার্থীদের কাছে সকলেই পানীয় জল প্রকল্পের দাবি জানাচ্ছেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি যা কথা দিই তা রাখি। আমি বিধায়ক হওয়ার পর জল প্রকল্পের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। জল প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আসলে জমির সমস্যার কারণে এই প্রকল্প করা সম্ভব হয়নি। তবে, এবার নির্বাচন মিটে গেলে বারাকপুর (Barrackpore)-২ ব্লকের ওই পঞ্চায়েতে পানীয় জল প্রকল্প করার জন্য সব রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্ত, এতদিনেও জল সংকটের সমাধান করতে পারেনি। এবার সেই জল প্রকল্প তৈরি করার স্বপ্ন দেখিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে। সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই, প্রার্থীদের ঘিরে ধরে ক্ষোভ জানাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র উত্তাল। জেলায় জেলায় বোমাবাজি, হুমকি, হানাহানি এবং গুলি চলছে। শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এরই মধ্যে দিনহাটায় ফের চলেছে গুলি। মারা গেছেন এক তৃণমূল কর্মী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) জানিয়ে দিলেন, ‘মৃত কর্মী একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী।’  

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    দিনহাটার গিতলদহের জারিধরলা গ্রামে গত মঙ্গলবার তৃণমূলের আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) সাংবাদিকদের সামনে এদিন মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত ব্যক্তি একজন আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতী। তার নামে অনেক মামলা ইতিমধ্যেই চলছে বলে জানা গেছে। মৃত তৃণমূল কর্মী বাংলাদেশের নাগরিক ছিল। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম মহঃ আব্দুর রহমান। বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশে থাকে। মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত তৃণমূল কর্মীর ভারতীয় আধার কার্ড অনুযায়ী নাম বাবু রহমান। সে একাধিকবার ভারতে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। মূলত সীমান্তে চোরা কারবারে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিত এই তৃণমূল কর্মী। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ভাগের মাল বণ্টন নিয়ে প্রথমে বিবাদ হয় এবং এরপর নিজদের সঙ্গে লড়াইতে মৃত্যু হয় তার। এর উত্তরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন ঘোষ নিশীথ প্রামাণিকের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, বি এস এফ তো কেন্দ্রের অধীনে। তারা থাকা সত্ত্বেও অপরাধীরা এদেশে এসে থেকে গেল কীভাবে?  

    সকালেও গুলি চলেছিল এই দিনহাটাতেই

    অন্যদিকে, বুধবার সকালেও ফের রাজনৈতিক হিংসা ছড়ায় দিনহাটায়। এবারও সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল প্রার্থীর ভাই শাহিনুর হক। জানা গিয়েছে, দিনহাটা গিতলদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোড়াম এলাকায় গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী। তিনি শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) পদপ্রার্থী বিজলী খাতুনের ভাই। জানা গিয়েছে, রাত এগারোটা নাগাদ প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর অতর্কিতে আক্রমণ হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গীতলদহ। সকালেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবু হক নামে একজন নিহত হন এই ঘটনায়। জখম হন পাঁচ জন। তাঁদেরকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের হিংসা ছড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ১০ টাকার শেয়ার ৪৪০ টাকায় বিক্রি! কালো টাকা কি এভাবেই সাদা করেছেন কালীঘাটের কাকু?

    Recruitment Scam: ১০ টাকার শেয়ার ৪৪০ টাকায় বিক্রি! কালো টাকা কি এভাবেই সাদা করেছেন কালীঘাটের কাকু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা (Recruitment Scam) সাদা করতে কোম্পানির শেয়ারদর বাড়িয়ে বাজার থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা তুলেছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighter Kaku)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তদন্তকারী ইডি আধিকারিকেরা মনে করছেন, সুজয়ের সঙ্গে যোগ থাকা একটি সংস্থার প্রতিটি শেয়ার আসল মূল্যের তুলনায় অত্যাধিক চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল। অভিযোগ, ১০ টাকার শেয়ারগুলি বিক্রি করা হয়েছিল প্রায় ৪৪০ টাকায়। 

    চড়া দামে শেয়ার বিক্রি

    সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ওয়েলথ উইজার্ড নামে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাটি বেশিদিনের পুরনো নয়। ওই সংস্থাটির শেয়ারদর ছিল বাজারে ১০ টাকা। সেই সংস্থার বাজারদর দেখানো হয়েছে ৪৪০ টাকা। তাঁর নিজের সংস্থা ও অন্য ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ওই দরে ১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে যোগ থাকা সংস্থায় টাকা ঢেলেছিল অন্য তিন সংস্থা। ওই তিন সংস্থার প্রায় ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ওই তিন সংস্থার মধ্যে দু’টি সংস্থা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে সংস্থাগুলি সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে যোগ থাকা সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল, তাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বেশ কিছু ‘রহস্যজনক’ লেনদেনের হিসাব মিলেছে। পাশাপাশি, ওই সংস্থাগুলি ঠিক কী ধরনের সংস্থা ছিল তা-ও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি মনে করছে, এই সংস্থাগুলির সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের যোগ থাকতে পারে। তা খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ইডি-র কাছে তথ্য এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিজের পকেটে ১১ কোটি টাকা ঢুকিয়েছেন। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে, অন্য সংস্থার মাধ্যমে সাদা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, এরকম আরও অনেক সংস্থা থাকতে পারে, সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Panchayat Vote: প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহার! অভিযোগ ঘিরে হইচই রানিগঞ্জে

    Panchayat Vote: প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহার! অভিযোগ ঘিরে হইচই রানিগঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১১টি তাজা প্রাণ। এবার প্রশাসনের মদতে শাসক দলের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল। প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ আসানসোলে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রানিগঞ্জে।

    ঠিক কী অভিযোগ? 

    রানিগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) সমিতির ৬ নং আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী বিকাশচন্দ্র মাজি। অভিযোগ, তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন না, তবুও তাঁর সই জাল করে প্রার্থীপদ প্রত‍্যাহার করানো হয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার রানিগঞ্জ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন দফতর ঘেরাও করা হয় সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে।

    কী বলছেন বিরোধী নেতৃত্ব? 

    সিপিআই(এম) রানিগঞ্জের সম্পাদক সুপ্রিয় রায় বলেন, ‘‘বিকাশচন্দ্র মাজি কোনও ভাবেই সশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। বিডিও বলছে, শেষ দিনে তা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। যা এক আশ্চর্যজনক ঘটনা।’’ সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এই ক্ষেত্রে প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত‍্যাহার করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২১ ও ২৬ জুন এই বিষয়ে রাজ‍্য নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। কিন্তু বিষয়টির কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁদের দাবি, বিডিওকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রার্থীকে নির্বাচনে (Panchayat Vote) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনড় তাঁরা। একই সঙ্গে যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তিরও দাবি জানায় সিপিএম। 

    কী বলছেন বিডিও?

    রানিগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিক ব্যানার্জি বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। আমি সমস্ত রকম তদন্ত করে দেখেছি। সমস্ত রকম প্রমাণ রয়েছে। ভিডিওগ্রাফিও রয়েছে। প্রার্থী নিজে সই করে প্রত্যাহার করেছে।’’

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur)। নির্বাচনী প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এলাকায় দল আরও শক্তিশালী বলে দাবি বিজেপির। অপর দিকে রাজ্যপালকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে অনৈতিক বললেন দিলীপ।

    যোগদান বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য

    যোগদান সভায় (Paschim Medinipur) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল থেকে প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, চার নম্বর কুণালপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দে সহ ২৭ জন অঞ্চল নেতৃত্ব সভায় এসে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুমাস ধরে বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর এদিন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগদান করানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল অনেকটাই শক্তিশালী বলে দাবি করলেন বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস বলেন, বর্তমান শাসকদল দুর্নীতিগ্রস্থ। আমাদের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়নি শাসক দল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের দলের মধ্যে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমাদের উপেক্ষা করেন। তাই আমরা আজ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের শিয়ারা গ্রামে বিজেপির নির্বাচনী গ্রামসভা আয়োজিত হয়েছিল। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালকে ঘিরে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা অনভিপ্রেত। বিক্ষোভ দেখিয়ে কী হবে! রাজ্যপাল ভোট দেবেন না যেমন, ঠিক তেমনি তিনি ভোট নেবেনও না। এমনকী ভোট পরিচালনাও করবেন না তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, অত্যাচার হয়েছে এমন সাধারণ মানুষের পাশে উনি দাঁড়াচ্ছেন। আর তাই রাজ্যপালকে তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Rath Yatra: ইসকনের ‘পুনঃ রথযাত্রায়’ মায়াপুর যেন দেশি-বিদেশি ভক্তের মিলন ক্ষেত্র

    Iskcon Rath Yatra: ইসকনের ‘পুনঃ রথযাত্রায়’ মায়াপুর যেন দেশি-বিদেশি ভক্তের মিলন ক্ষেত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সমারোহে পালিত হল মায়াপুরের ইসকনে পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসব। উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত। এদিন চন্দ্রোদয় মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়ি থেকে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। প্রতি বছর মহা সমারোহে দেশ জুড়ে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। ইসকনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুরেও প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয় এই রথযাত্রা উৎসব। আর এই উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের তরফেও থাকে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি এই উৎসবকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকেও আগমন ঘটে অসংখ্য ভক্তের, এবছরও যার ব্যতিক্রম হয়নি।

    চন্দ্রোদয় মন্দিরে হল বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান (Iskcon Rath Yatra)

    গত ২০ শে জুন রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রভু জগন্নাথ দেব, মাতা শুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্র নিজ বাড়ি থেকে এসেছিলেন ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির বা গুন্ডিচা মন্দির তথা অস্থায়ী মাসির বাড়িতে। আর এখানেই প্রতিদিন আয়োজিত হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের। ছিল ছাপ্পান্ন ভোগের আয়োজন। ২৮ শে জুন বুধবার অনুষ্ঠিত হল প্রভু জগন্নাথ দেবের পুনঃ রথযাত্রা উৎসব। এদিনও সকাল থেকেই ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সহ বিশেষ পূজা-অর্চনা। সকাল থেকেই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্ত সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু স্থানীয় নয়, দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত সকাল থেকেই এই পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসবকে ঘিরে ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে ভিড় জমাতে শুরু করেন।

    ৮০০ বড় শহরে ইসকনের তত্ত্বাবধানে রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, প্রতি বছর রথযাত্রা ও পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসব ইসকনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুর সহ ইসকনের পরিচালনায় দেশের শতাধিক জায়গায় যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়। আর সর্বত্রই এই উৎসবকে ঘিরে সমাগম হয় দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রভু জগন্নাথ দেবের কৃপায় বর্তমানে ইসকনের এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রশান্ত পল্লি-রাজাপুর আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১০০ দেশের প্রায় ৮০০ বড় শহরে ইসকনের তত্ত্বাবধানে রথযাত্রা হয়। এছাড়া এবছরও পুরি থেকে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর রথের তিনটি চাকা আনা হয়েছে এবং তা সকলের দর্শনের জন্য অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রাখা আছে। বুধবার দুপুর আনুমানিক দু-টো নাগাদ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে তিনটি পৃথক সুসজ্জিত রথে প্রভু জগন্নাথ দেব, মাতা সুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্রকে নিয়ে নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে ভক্তরা রওনা দেন রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ ৩ মাস বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বুধবার পটাশপুরের জনসভা থেকে তাঁর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার জনসমর্থন হারিয়েছে। এরই সঙ্গে শুভেন্দু বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সবরকম চেষ্টা করবে। এদিন পটাশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সারেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। বামফ্রন্ট জমানাতেও ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ দখল করতে সমর্থ হন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সাফল্যের ব্যাপারে তাই আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন পটাশপুরের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ ১০০ দিনের কাজের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূলের নেতারা। ১ কোটি ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে। বিজেপি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেনি, চুরি বন্ধ করেছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের কোনও কোনও গোষ্ঠী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তারাও বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে বিজেপিই জিতবে। বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই হল বিজেপির লক্ষ্য।’’ 

    বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমার বিধানসভা এলাকার ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের জেলবন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আগাম বুঝতে পেরে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষাকবচ নিয়েছি। তাই বিরোধীদেরও বলব, যাঁরা বুঝতে পারছেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারে তাঁরা যেন আগাম আদালতের রক্ষা কবচ নিয়ে রাখেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

LinkedIn
Share