Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Indian Philosophy: ভারতীয় দর্শনের পান্ডুলিপির প্রদর্শনী ইসকনের রথযাত্রা মেলায়

    Indian Philosophy: ভারতীয় দর্শনের পান্ডুলিপির প্রদর্শনী ইসকনের রথযাত্রা মেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের কর্মকাণ্ড এবার প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হল কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ইসকন আয়োজিত রথযাত্রা মেলায়। সেখানে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এই প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলরাম লীলা দাস বলেন, ভারতের এই সব দুর্মূল্য পুস্তক ও পান্ডুলিপি ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। সারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা দেশের গৌরব, এমনই এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি (Indian Philosophy) নষ্ট হতে বসেছে। এই সম্পদ সংরক্ষণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।

    কীভাবে প্রতিষ্ঠা হল ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের (Indian Philosophy)?

    ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র ও গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রামাণ্য পুঁথির পান্ডুলিপি ও বিভিন্ন গ্রন্থ (Indian Philosophy) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার মনোহরপুকুর রোডে গীতা ভবনে তৈরি হয় ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির এক ছাত্র ফার্দিনান্দো সরর্দেল্লা। ফার্দিনান্দো তাঁর গবেষণার জন্য পান্ডুলিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের খোঁজে ভারতে এসেছিলেন। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহান দার্শনিক ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী বা শ্রীল প্রভুপাদের সেক্রেটারি সুন্দরানন্দ বিদ্যাবিনোদের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে‌ প্রায় তিন হাজার পুস্তক ও পান্ডুলিপি ছিল। এই সব রত্নরাজি তিনি নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯৪০ এর দশকের বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত ও হিন্দি ভাষায় রচিত বহু দুষ্প্রাপ্য পুস্তক ও পান্ডুলিপি। তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার আগে সংগৃহীত সব গ্রন্থ ও পান্ডুলিপি সমূহের সংরক্ষণের জন্য তাঁর অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু ডেনিস হ্যারিশনের সহযোগিতায় ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।

    চলছে ডিজিটাইজেশনের (Indian Philosophy) কাজ

    কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির দুষ্প্রাপ্য পুস্তকগুলির (Indian Philosophy) সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কলকাতা ছাড়াও মুম্বই, পুণে ও পুরীতে তাদের শাখা বিস্তারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গচ্ছিত ও নষ্ট হতে থাকা পান্ডুলিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থগুলি সংরক্ষণ এবং ডিজিটাইজেশনের কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে ৬ জন তৃণমূল (TMC) কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার ভোররাতে কোচবিহারের দিনহাটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ঘটল বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা।  জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    প়ঞ্চায়েত প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গিতালদহের জারিধরলা দরীবস গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। বিজেপি এবং তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই রয়েছে। সোমবার ভোররাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। আর তাতেই এলোপাথাড়ি গুলি চলে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৫ জন এবং বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তি বাবু হকের দেহ রয়েছে জারিধরলা দড়িবসে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোর রাতে নির্মমভাবে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। বাবু হককে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করা হয়। বারবার সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপি ভোটে জিততে চাইছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিজেপির দিনহাটা ব্লক শহর মণ্ডলের সভাপতি ‌অজয় রায় বলেন, মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত যারা তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এই গণ্ডগোল করেছে। পাচারকারীদের মদতকারী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। পাচারের আমরা বিরুদ্ধে। ফলে, তৃণমূল (TMC) এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নাম জড়াচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    BJP: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে মারধর করছে সাঁকরাইল থানার ওসি। কয়েক মিনিটের এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর হইচই  পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের তুঙ্গাধুঁয়া গ্রামের। আহত বিজেপি (BJP) প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তুফান মাহাত। রবিবার শুভঙ্করের এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন সাঁকরাইল থানার ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ। তারপরই ওই পুলিশ অফিসার বিজেপি প্রার্থীকে চড়় মাড়েন বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ওই গ্রামে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নং আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাত। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই বিজেপি প্রার্থী। এরপরই বিজেপি প্রার্থীকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা চড় মারেন বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘মনোনয়ন পর্ব থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়েছিল পুলিশ। এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে সেখানে গিয়েছিল। একটি বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হতেই চড় মেরেছে পুলিশ অফিসার।’

    কী বললেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সুপার?

    সাঁকরাইল থানার ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই গ্রামে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে যাই। তারপর আমাকে গালিগালাজ করা হয় এবং অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে উত্যক্ত করা হয়। সকলের সামনেই এই ধরনের মন্তব্য করায় পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘এক মিনিটের একটি ভিডিও দেখেছি। কী পরিস্থিতিতে এহেন ঘটনা ঘটল, তা বিভাগীয় তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নং আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতকে সাঁকরাইল থানার ওসি মারধর করেছে। আমাদের প্রার্থী নিজে ক্যান্সার আক্রান্ত। এই মুহূর্তে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাব।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সভাপতি প্রসূন সড়ঙ্গী বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী। প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছে। কী কারণে কী ঘটনা ঘটেছে, তা প্রশাসন বলতে পারবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে অভিষেক আসার আগেই সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ডোমকলে অভিষেক আসার আগেই সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার মু্র্শিদাবাদের ডোমকলে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)  সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি সভা করবেন। তারই প্রস্তুতি চলছে। ঠিক তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় সিপিআইএম -তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডোমকলের জোতকানা তুলসীপুর এলাকা। গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর তাতে ছয়জন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন জোতকানা এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সিপিএমের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। সেই মিছিলে তৃণমূল বাধা দেয়। এনিয়ে সিপিএমের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি শুরু হয়। এরপরই এলাকায় বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের কী বক্তব্য?

    যদিও আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বক্তব্য, সিপিএমের মিছিল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে কটূক্তি করে। তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে মিছিল থেকে ওই কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এসে প্রতিবাদ করলে তারা রুদ্র মূর্তি ধারণ করে। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, এদিন ডোমকলে তৃণমূল (TMC) কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সব জায়গায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ফলে, যেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে, সেখানেই তৃণমূল রয়েছে। এখানেও আমাদের দলের মিছিলে তৃণমূলের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। দলীয় কর্মীরা প্রতিবাদ করে। তা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। এরপরই ওরা গুলি চালিয়েছে। নিজেদের গুলিতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এরসঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই তৃণমূল দলটা ভাঙবে। হাজার হাজার কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি সহ অন্য দলে যোগ দেবেন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। রাজ্যের সর্বত্র নির্দল দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েতের পর তৃণমূল ভাঙবে। আমরা বিচার করব, কাদের দলে নেওয়া যাবে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস করছে। ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর সহ একাধিক জায়গায় আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আসলে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের প্রাণ যাবে। তৃণমূল যদি মনে করে বিজেপি বা সিপিএম বা বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তারা দেখবে। তারা ভুল ভাবছে। কারণ, সেই আগুনে তৃণমূলকে পুড়তে হবে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মথুরাপুর থানার কালিকাপুর এলাকার বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইকের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়়িতে তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করে রাখে বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে আটতক করে। তখনই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ ওই বিজেপি কর্মীকে ছেড়ে দেন। বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইক বলেন, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আমার বাড়িতে বোমা রেখে  ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আসলে আমি বিজেপি প্রার্থীর হয়ে এলাকায় প্রচার করছি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। ওরা বলেছিল। সেটা মেনে তৃণমূলে যোগ দিইনি বলেই ওরা এই কাজ করেছে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভয় না পেয়ে বিজেপির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে বোমা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমরা সবসময় দলীয় কর্মীর পাশে রয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন রাজ্যপাল? সোমবার দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor) মন্তব্যে ওয়াকিবহাল মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে। কেননা এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মোলনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তা তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখেছেন, সব রিপোর্ট ফিল্টার হয়ে তাঁর কাছে আসছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব এলাকা অশান্ত ও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে, সেখানকার বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে যাবেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে এদিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল (Governor)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, তার সবগুলোই ফিল্টার হয়ে আসছে। তার অবজেক্টিভও ফিল্টার হওয়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও উঠছে। তাই নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি এ ধরনের এলাকাগুলি ঘুরে দেখব। বাস্তব পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখে সবটা মূল্যায়ন করতে চাই। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সঙ্গেও দেখা করব। আক্রান্তরা কেমন আছেন দেখব, তাদের অভিজ্ঞতার কথাও শুনব। দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দিনাজপুর জেলাতেও পরিদর্শনে যাবেন বলে এদিন জানান রাজ্যপাল।

    সাক্ষাতে সব রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল (Governor)

    বিকালে সেখান থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে যান রাজ্যপাল। সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল (Governor) বলেন, পাহাড়েরও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। রাজনৈতিক দলগুলি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের স্বাগত। এদিন দুপুরে রাজ্যপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য একদল যুবক জমায়েত করেছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে  ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের ভরা জোয়ারে ঝাড়গ্রাম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) চারটি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই! জেলার জামবনি, কাপগাড়ি, দহিজুড়ি, রাধানগর-এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই অবস্থা শাসক দলের।

    কোথায় কী পরিস্থিতি (Panchayat Election)?

    জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর সংসদে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তী হাঁসদা, তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোহন সরেন। প্রার্থী পদের নামের তালিকায় মোহনের নাম ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বর নির্দেশ মতো মোহন নাম প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে তৃণমূলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। ওই আসনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে নির্দল প্রার্থী বাসন্তী হাঁসদার। যদিও কাপগাড়ি অঞ্চল সভাপতি কানু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসন্তী নির্দল থেকে দাঁড়ালেও আমাদেরই লোক।’’

    একই অবস্থা দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) ৮ নম্বর সংসদে কামিনী হেমব্রম তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ঝর্ণা মুর্মু নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থী হিসাবে কামিনীকে মানেনি। যার ফলে কামিনী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাই ওই আসনে বিজেপি ও নির্দলের লড়াই হচ্ছে।  

    আবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর সংসদে জয়ন্ত মাহাতো, মনতোষ সিংহ মাহাতো ও তরুণ মাহাতো তিনজনই নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। জানা গিয়েছে, এটি কুড়মি এলাকাভুক্ত। যার ফলে দলীয় প্রতীকে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, ‘‘জয়ন্ত মাহাতো আমাদের প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্দল হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছে’’। 

    আর জামবনি ব্লকের জামবনি অঞ্চলের ৪ নম্বর সংসদে তৃণমূলের নামে সুজিত পাত্র ও বিপ্লব রানা মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় প্রতীক দেওয়ার আগে সুজিত পাত্র মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। অথচ সুজিতের নামে দলীয় প্রতীক জমা পড়ে। যার ফলে সুজিত প্রত্যাহার করায় বিপ্লব রানা নির্দল হয়ে যান। ওই আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই।

    জেলায় মোট ১০০৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০০৩ টি আসনে, বিজেপি ৭৯৯টি, সিপিএম ৪১১টি, নির্দল ৩৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘শাসক দলে থেকেই বুথে (Panchayat Election) প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় কিছু হতে পারে না। যেখানে আমরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি, সেখানে প্রার্থী দিতে পারিনি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘খোঁজখবর নিয়েছি। কম সময়ে ভোট, তাই অসুবিধা হয়েছে। দলের তরফে যে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল, অঞ্চল সভাপতিরা বদলে দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট আমাদের করেননি। যার ফলে সমস্যা হয়েছিল। কাকে সমর্থন করব, তা ভেবে দেখব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: ডোমকলে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জখম এক মহিলা

    Bomb Blast: ডোমকলে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জখম এক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই জের কাটতে না কাটতেই এবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। আর বোমার আঘাতে জখম হলেন তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগরের চোয়াপাড়া এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণে জখম মহিলার নাম পলি বিবি (২৭)। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবারই ডোমকলে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসক দলের মুখ পুড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী মজিবর আনসারির মাইকের ব্যবসা রয়েছে। এদিন তাঁর বাড়িতে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বিস্ফোরণে মজিবরের স্ত্রী পলি বিবি গুরুতর জখম হন। তবে, প্রতিবেশীরা জখম মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই আহত মহিলা সহ বাড়ির লোকজন বেপাত্তা হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা ফেটে বিস্ফারণ ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মজিবর তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। বোমার কারবার তিনি বহুদিন ধরে করেন। বোমা তৈরি করা, বোমা সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমরা গ্রামের সকলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। বোমার আওয়াজ শুনেই ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যাই। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast)  দাগ বাড়িতে রয়েছে। কিন্তু, বাড়ির মধ্যে কেউ নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, আমি দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছি। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) বিষয়টি আমার জানা নেই। আর ওই ব্যক্তি তৃণমূল করে বলে আমি জানি না। সমস্ত বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর তৃণমূল বোমার রাজনীতি করে না। এসব বিরোধীদের অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগে ওঠে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে। এনিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের মতো উপাদান নেই।

    আরও পড়ুন: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। ওই কয়েক দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে নথি বিকৃত করার অভিযোগ করেন সিপিএমের দুই প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান এবং তনুজা বেগম মল্লিক। উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বহিরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আলাদা আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মনোনয়ন পেশের সময় তাঁরা চেকলিস্ট জমা করেন। তাতে তাঁরা জাতিগত প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর পর জানা যায়, মনোনয়নপত্রে তাঁদের উল্লেখ করা অংশ কলম দিয়ে কেউ কেটে দিয়েছে।

    তদন্ত কীভাবে হবে?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয়, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। এক সদস্যের এই কমিশনকে সব রকম সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।’’ পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে নথি বিকৃতির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে জমা করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক মামলায় হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। এদিন সিবিআই খারিজ হলেও মনোনয়ন বিকৃতির মামলাতে একই ধারা অব্যাহত থাকল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: এক ঘরে ভাইয়ের কঙ্কাল, পাশের ঘর থেকে উদ্ধার দাদার পচাগলা দেহ

    Barrackpore: এক ঘরে ভাইয়ের কঙ্কাল, পাশের ঘর থেকে উদ্ধার দাদার পচাগলা দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের কথা মনে আছে? বাড়ির মধ্যে নিজের মায়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। সেই রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখা গেল এবার বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার পূর্ব বেলঘরিয়া সেকেন্ড লেনের একটি বাড়িতে। তবে, বেলঘরিয়ার এই ঘটনাটি কিছুটা আলাদা। এখানে প্রায় ৬ মাস ধরে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন দাদা। আর বাড়ির মধ্যেই দাদারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই মৃতদেহ উদ্ধার হতেই বিষয়টি জানাজানি হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বীরেন্দ্রকুমার দে (৬৬) নামে অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ওই দেহ উদ্ধার করতে এসে পাশের ঘর থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে। যেটি তাঁর ভাই ধীরেন্দ্রকুমার দে’র (৬৩) বলে মনে করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। দুজনেরই মানসিক সমস্যা ছিল। কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। এদিন বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের পুলিশ পৌঁছে একটি দেহ এবং একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত পাঁচ-ছয় মাস আগে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই দেহ আগলেই দাদা এতদিন বসেছিলেন। দিন কয়েক আগে তাঁরও মৃত্যু হয়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক দীপজয় দাস বলেন, আসলে ওই বাড়ির পাশের এক বাসিন্দা আমাদের জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ির কাউকে দেখা যাচ্ছে না। আমরা জানতে পেরে ওই বাড়িতে যাই। আদতে তিনতলা বাড়ি। দোতলা পর্যন্ত সমস্ত ঘর আমরা খুঁজেছি, কিছু পাইনি। তিনতলায় উঠতেই দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে। দুজন ওপরে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যেই একজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পরে, পুলিশ এসে সমস্ত বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরেন্দ্রবাবুরা চারভাই ও এক বোন। চার ভাইয়ের প্রত্যেকের মানসিক সমস্যা রয়েছে। দুই ভাই আগেই মারা গিয়েছেন। এক বোন রয়েছেন। তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share