Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের  নির্বাচনী সভায় লাগল কালিয়াগঞ্জের রাজবংশী কিশোরী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আঁচ। প্রকাশ্য জনসভায় সকলের সামনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এক গৃহবধূ। যা দেখে সভায় উপস্থিত হওয়া কর্মী, সমর্থকরা হতবাক হয়ে যান। পরে, স্থানীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শুক্রবার বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আচমকা  সংঘমিত্রা অধিকারী নামে এক গৃহবধূ সন্তান কোলে নিয়ে জনসভায় হাজির হবন। তিনি নিজেকে রাজবংশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের বিচার চেয়ে সায়ন্তিকার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন, তিনি বলেন, দোষীরা যেন শাস্তি পায়। সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সায়ন্তিকার কাছে তিনি আর্জিও জানান। সায়ন্তিকা নির্বাচনী বক্তব্য থামিয়ে ওই গৃহবধূকে এই ঘটনায় সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। রাজবংশী ওই গৃহবধূ তবুও থামেননি।আরও জোর গলায় ছেড়ে তিনি তাঁর দাবিতে সরব হন। এই সময় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী তথা ছাতনার জেলা পরিষদ প্রার্থী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। তিনি সেই গৃহবধূর কাছে গিয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তাঁকে অনেক বুঝিয়ে তিনি তাঁকে শান্ত করেন।

    কী বললেন রাজবংশী ওই বধূ?

    সভা শেষ হওয়ার পর পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজবংশী ওই গৃহবধূ বলেন, আমার বাড়ি কোচবিহার। আমি এখন এখানে থাকি। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশের পোশাকে খুন করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এখানকার চুনোপুঁটি তৃণমূল (TMC) নেতাদের বলে কিছু হবে না। তাই, সায়ন্তিকাকে সামনে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমার এই দাবি দিদির কাছে পৌঁছে দেবেন সায়ন্তিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের রবিউল ইসলাম, ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর, হুগলির মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তাঁর তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী করেনি দল। এমনটাই অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার। আর তাঁর পছন্দমতো সব প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধায়কের বেসুরো মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এসেছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক দাপুটে নেতা মুখ খুলেছেন দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মগরাহাটের গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন,” যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন এবার, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী মার্ডার কেসের আসামিও টিকিট পেয়েছে। আমি ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী হয়েছে ৫০-৫০। অর্থাৎ আমার প্রার্থী ৫০ শতাংশ। বাকি অন্যদের।” এর আগেও একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করেছেন তিনি। কখনও দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে  দলের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, আবার কখনও বা এসডিপিও  এবং পুলিশ কর্মীকে দু পয়সার চাকর বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর এদিন অভিমানের সুরে গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমার উপর হয়তো দল আর ভরসা করতে পারছে না। আমি তালিকা দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সেখানে ৫০ শতাংশ প্রার্থীর নাম রয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদের দল টিকিট দিয়েছে।” তবে, এবার তাঁর তালিকার বাইরে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের হয়ে প্রচারে যাবেন কি না তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কোনও কিছু মন্তব্য করেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের কোন কোন জেলায় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার তালিকা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশ এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। জানা গিয়েছে, ২২টি জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী প্রথমে মোতায়েন করা হবে। পরে ধাপে ধাপে আসবে আরও বাহিনী। ইতিমধ্যেই মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশন সূত্রে খবর, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এদিন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    প্রথম ধাপে কোন কোন জেলায় যাচ্ছে বাহিনী?

    প্রথম ধাপে ২২ কোম্পানি বাহিনী যে সব জেলায় আসছে, সেগুলি হল— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর।

    বেশি দফায় ভোট করানোর আর্জি শুভেন্দুর আইনজীবীর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে বলেন, ‘‘৩৩৭ কোম্পানির চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন পাওয়া না গেলে পঞ্চায়েত ভোট কয়েক দফায় ভেঙে দেওয়া হোক। ২০১৩ সালে এভাবেই পাঁচ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল।’’

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘কেন্দ্র বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে পাঠাবে তা ২৮ জুন আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ যথাযথ ভাবে মেনে চলছে কিনা তাও হলফনামা আকারে জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: রহস্য মৃত্যু চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার, গ্রেফতার লিভইন পার্টনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    Barrackpore: রহস্য মৃত্যু চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার, গ্রেফতার লিভইন পার্টনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম/এর শোধ কেউ নেবে / আমার মৃত্যুর জন্য কৌশিক দায়ী।’ মাত্র তিন লাইনের সুইসাইড নোট। ২০ জুন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় লিভ ইন পার্টনার প্রজ্ঞাদীপা হালদারের। তাঁর মৃতদেহর পাশ থেকে তিন লাইনের লেখা এই সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। আর সেই নোটের সূত্র ধরেই অবশেষে গ্রেফতার করা হল বারাকপুর (Barrackpore) সেনা হাসপাতালের চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে শুক্রবার সকালে একটি পুকুরপাড় থেকে বারাকপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কৌশিকবাবু বারাকপুর বেস হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজ্ঞাদীপা হালদারের ২০১৩ সালে প্রথম বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর বারাকপুরে (Barrackpore) সেনা হাসপাতালে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়়ে ওঠে। কৌশিকবাবুও বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তারপরও প্রজ্ঞাদীপার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা বারাকপুরে লিভ ইনে থাকতেন। প্রজ্ঞার পরিবারের লোকজন তা জানতেনও। প্রজ্ঞা নিজেও পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। বারাসত- ১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। কৌশিকবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে বারাকপুরেই থাকতেন তিনি। প্রজ্ঞাদীপার দুর্ঘটনার পর পরই তাঁর মায়ের কাছে ফোন আসে, মেয়ে সেনা হাসপাতালে রয়েছে। শরীরে এবং মাথায় তাঁর একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রজ্ঞাদীপা যেখানে থাকতেন, সেখানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

    কী বললেন প্রজ্ঞাদেবীর পরিবারের লোকজন?

    প্রজ্ঞাদেবীর মা ঝর্ণাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। ও খুব ভাল মনের মেয়ে। ওর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মূলত তিনি মেয়ের লিভ ইন পার্টনারকে দায়ী করেন। গোটা ঘটনাটি বারাকপুর (Barrackpore) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী পুলিশ কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সৌদিতে বসে মনোনয়ন! ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সৌদিতে বসে মনোনয়ন! ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ বসিরহাটের মইনুদ্দিন গাজী বর্তমানে রয়েছেন সৌদি আরবে অথচ তার মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত (Calcutta High Court)। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলায় কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা, কোন প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে কারা সই করেছেন এসব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছে জমা দিতে হবে।

    বৃহস্পতিবার এনিয়ে কী বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    অভিযোগ, মিনাখাঁর কুমারজুলির তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?” মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন, ফিরবেন ১৬ জুলাই। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁরা এও আবেদন জানিয়েছেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিক আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি বাতিল করা হোক মনোনয়ন।

    একদল মনোনয়ন দিতে পারছেনা, অপর দল বিদেশে থেকেও তা জমা করছে 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা শাসক দলকে চরম ভর্ৎসনা করে বলেন, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাহিনীর ফোন নম্বর প্রকাশ! ‘‘ভোটাররাও জানাতে পারবেন অভিযোগ’’,  মত শুভেন্দুর  

    Suvendu Adhikari: বাহিনীর ফোন নম্বর প্রকাশ! ‘‘ভোটাররাও জানাতে পারবেন অভিযোগ’’, মত শুভেন্দুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকেই অশান্ত বাংলা। রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে সরব বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে সরকারের। পঞ্চায়েত ভোট যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২ কোম্পানির কমান্ডিং অফিসারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’’ শুভেন্দু আরও জানান, সাধারণ ভোটাররাও ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অশান্তির খবর দিতে পারবেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানেনি কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট বাহিনী দিয়ে ভোট করানোতেই আস্থা রেখেছে।’’

    বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আদালতের নির্দেশে বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বাহিনী থাকাকালীন কোনও অঞ্চলে হিংসা ছড়ালে বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাম জড়াবে। সেটা যাতে না হয় সে কারণেই বাহিনীর বিস্তারিত তথ্য প্রার্থীদের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষও তা জানতে পেরে যাবেন।’’ 

    রাজ্য পুলিশকে এদিন একহাত নিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। কয়েকজন পুলিশ কর্তার সরাসরি নাম করে  তিনি বলেন, ‘‘এবার আর মনোজ মালব্য, বিনীত গোয়েল, সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, কোটেশ্বর রাওয়ের মতো পুলিশের কর্তারা তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারবে না। ভাইপোর কথায় চলবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।’’

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোথাও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশের সঙ্গে বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারকেও বিষয়টি জানাতে পারবেন সাধারণ ভোটাররাও। বাহিনীর সিও-কে ফোন করে খবর দেওয়া যাবে। তিনি তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবেন।’’

    শুভেন্দুর করা মামলাতেই মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিক্ষোভ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    Panchayat Election: বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, বিক্ষোভ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। এবার ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই সংগঠনের আন্দোলনের আঁচ লাগল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে  বিক্ষোভ দেখাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শুক্রবার বাঁকুড়া খ্রীশ্চান কলেজে ভোট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথ মঞ্চের এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যেই এই ধরনের বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে যান জেলার নির্বাচন দফতরের আধিকারিকরাও।

    কী বললেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা?

    নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানা গিয়েছে, প্রথমে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর আদালতের হুকুম মতোই বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি চাওয়া হল। এরই মধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের  বাঁকুড়া জেলা কমিটির নেতা শ্যামল কর্মকার বলেন, আমরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করার দাবি জানাচ্ছি। এর আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের মোটেই সুখকর নয়। রাজকুমার রায় নামে এক ভোট কর্মী এর আগে খুন হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা না করা হলে তাঁরা কেউই ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলেও তিনি হুমকিও দেন এদিন। তিনি বাকি সমস্ত ভোট কর্মীদের তাদের এই দাবিকে সমর্থনের আর্জিও জানান। সকলেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতেই সরব হন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DRM: রেল দুর্ঘটনাকাণ্ডে বদলি হলেন খড়্গপুরের ডিআরএম! নতুন কে দায়িত্ব পেলেন?

    DRM: রেল দুর্ঘটনাকাণ্ডে বদলি হলেন খড়্গপুরের ডিআরএম! নতুন কে দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলমন্ত্রী  পরিদর্শনের পরেই বদলি হলেন খড়্গপুরের ডিআরএম (DRM) মহম্মদ সুজাত হাসমি। চলতি মাসের ২ তারিখ খড়গপুর ডিভিশনের ওড়িশার বালেশ্বেরর কাছে বাহানাগায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমির খান নামে এক রেল কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। রেল দুর্ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে ডিআরএমকে (DRM) বদলি করে দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    নতুন কে ডিআরএম (DRM) হলেন?

    বুধবার খড়গপুরে রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর আগে দুর্ঘটনার পর পরই তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে থেকে তিনি ট্রেন চলাচল শুরু করার পরই তিনি এলাকা ছাড়েন। রেলমন্ত্রীর এই ভূমিকায় সারা দেশবাসী প্রশংসা করেছিলেন। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের সুরক্ষা কমিটি খড়্গপুর এসে একাধিক রেল কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সমস্ত রিপোর্ট রেলের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার কয়েকদিন পরই সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রেলমন্ত্রী ফের পরিদর্শনে আসেন। রেলমন্ত্রী পরিদর্শনের পরেই বৃহস্পতিবারই বদলির নির্দেশ দেওয়া হল ডিআরএমকে। খড়গপুর ডিভিশনের নতুন ডিআরএম হতে চলেছেন কে আর চৌধুরী। তিনি এতদিন উত্তর-পশ্চিম রেলের রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ সামলেছেন।

    পরিদর্শনে এসে কী বলেছিলেন রেলমন্ত্রী?

    ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা রেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে রেল। প্রশ্ন উঠেছে রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম নিয়ে। এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সদর খড়গপুর স্টেশনে এসেই এশিয়ার বৃহত্তম রুট রিলে ইন্টারলকিংয়ের পরিকাঠামো পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, আরও শক্তিশালী করা হবে খড়্গপুরের রুটে রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেমকে। একই সঙ্গে রেল দুর্ঘটনা নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে যান রেলমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের শুটআউট। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, নবগ্রামের পর এবার পুরুলিয়া। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ঘটনাটি ঘটে আদ্রা থানার রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। নিহত তৃণমূল নেতার নাম ধনঞ্জয় চৌবে। তিনি আদ্রা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে ধনঞ্জয় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে  পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আচমকা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তখন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী শেখর দাস দুষ্কৃতীদের পালটা গুলি চালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম দেহরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। ছুটে যান তৃণমূল তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা

    বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে আদ্রা শহর জুড়ে অঘোষিত বনধ পালিত হল। অধিকাংশ দোকানব এদিন বন্ধ ছিল। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অবিলম্বে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তিনি শহর তৃণমূলের সভাপতির পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রঘুনাথপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মনোনয়নের পর কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘরছাড়া মহিলা বিজেপি প্রার্থীরা বাড়ি ফিরলেন

    North 24 Parganas: মনোনয়নের পর কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘরছাড়া মহিলা বিজেপি প্রার্থীরা বাড়ি ফিরলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (North 24 Parganas) দু’নম্বর ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের বিজেপির ঘরছাড়া প্রার্থীদের নিয়ে প্রতীক জমা দিলেন বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। শাসকের অত্যাচারে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা ঘরে ফিরতে পেরে আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আগামীদিনে ভোট কীভাবে কাটবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘরে ফিরলেন?

    নমিনেশন জমা দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির প্রার্থীদের শাসক দলের হুমকি ও সন্ত্রাসের মধ্যে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কখনও বাইক বাহিনী, কখনও ফোনে, কখনও হুমকি আবার কখনও বা বাড়ি (North 24 Parganas) ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের যতরকম ভাবে আতঙ্কিত করা সম্ভব, তা চালিয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দল এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট কোলের বাচ্চা রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে বিজেপির সেফ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার পর ঘরছাড়াদের নিয়ে বিজেপি নেতারা আসেন বিডিও অফিসে। সেখানে সিম্বল জমা দেওয়ার পর, পুলিশের সাহায্যে বেশ কয়েকজন ঘরছাড়াকে বাড়িতে পৌঁছে দেন কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি এবং সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করবার জন্য রাজ্যপাল ও হাইকোর্টের ভূমিকায় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে বিরোধীরা এলাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    ঘরছাড়া (North 24 Parganas) বিজেপি প্রার্থী সোনিয়া হালদার বলেন, বুথে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে হুমকি দেয়। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু বলা যাচ্ছে না। শাসক দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই নানা ভাবে আক্রমণ, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে আমরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলাম। আরেক প্রার্থী মৌমিতা সমাদ্দার বলেন, যেদিন থেকে মনোনয়ন করেছি, সেই দিন থেকেই তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। পাশের এক বাড়িতে এমনকী ভাঙচুর পর্যন্ত করেছে। কোলের বাচ্চাকে নিয়ে রীতিমতো বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন মৌমিতা দেবী, এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, আমাদের মহিলা প্রার্থীদের মনোনয়নের পর থেকে কোলে করে বাচ্চা নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে (North 24 Parganas) ঢুকে রোজ হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এলাকার প্রত্যেক থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। শাসক দল চাইলেই রাজ্যের গণতন্ত্রকে হরণ করতে পারবে না বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের বক্ল (North 24 Parganas) সভাপতি শুকুর আলি পুরকাইত বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক শোভনদেব চ্যাটার্জি বলেছেন, বিরোধীদের কোনও রকম ভাবে কিছু করা চলবে না। বরঞ্চ বিরোধীদের অসুবিধা হলে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share