Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) তিরোল অঞ্চলে খোদ আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা শক্তিমোহন মালিকের গ্রামে চলল শাসক দলের ব্যাপক অত্যাচার। সিপিএম প্রার্থীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চুলের মুঠি ধরে করা হয়েছে ব্যাপক মারধর। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা হলে একঘরে করে রাখা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কীভাবে দেওয়া হল হুমকি?

    তিরোল গ্রাম (Hooghly) পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। এই এলাকা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন সিপিএমের মহিলা প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁকেই চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল। এমনকী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে, গ্রামের সমস্ত কিছু থেকে তাঁকে বঞ্চিত করে রাখারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাসিমা বেগমের দেওরের ডান হাত মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। হুমকি দেওয়া হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে। প্রয়োজনে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে বাড়ি। এদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁদের প্রার্থীর বাড়িতে হাজির হন প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক এবং সিপিএম নেতা সুশান্ত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হবেন থানার, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় নাসিমা বেগম বলেন, “আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। তখনই একদল লোক এল। এসেই খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে থাকে। তারপর গোটা বাড়ি (Hooghly) তছনছ করতে থাকে। ব্যাপক মারধর করে আমাদের পরিবারের সকলকে। এমনকী মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে যায়। গত পরশু দিন শাসিয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার গতকাল এসে একই কাজ করে গিয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আসলে মিডিয়াতে প্রচার চাইছে ওরা। ইচ্ছা করে তৃণমূলের নামের অপপ্রচার করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, মনোনয়ন তোলা নিয়ে যদি এত হুমকি হয়, তাহলে ভোটের দিন কী হবে! সেই আশঙ্কা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভাঙড়ের সেই শওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য!

    Panchayat Election: ভাঙড়ের সেই শওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলার মনোনয়নেও (Panchayat Election) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয় ৩টি প্রাণ। আরাবুলকে ছাপিয়ে শাসক দলের সন্ত্রাসের মুখ হয়ে ওঠেন শওকত মোল্লা। এবার সেই শওকতকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য় সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের কটাক্ষ, ভাঙড়কে অগ্নিগর্ভ করার পুরস্কার পেলেন শওকত। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নকে ঘিরে ভাঙড় অগ্নিগর্ভ হয়। সেই সমসয় স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেলে এক বন্দুকবাজকে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বন্দুকবাজ বলছে, ‘‘আমাকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এনেছে শওকত মোল্লা।’’ শনিবার ভাঙড়ে গিয়ে রাজ্যপালও জিজ্ঞেস করেন, “হু ইজ শওকত মোল্লা (শওকত মোল্লা কে)?” তাঁর সঙ্গে থাকা অফিসাররা উত্তর দিয়েছিলেন, শওকত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।

    অগ্নিগর্ভ ভাঙড়

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। লাঠি-সোটা থেকে শুরু করে গুলি-বোমাবাজি, মৃত্যু কিছুই বাদ যায়নি। জানা গিয়েছে, দলীয় বৈঠকেই তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করা হয়, ভাঙড়ের দায়িত্ব থাকছে শওকত মোল্লার উপর। পাশাপাশি বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকেও দেখভাল করতে বলা ভাঙড়।

    শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    এদিকে, শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে তিনি বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের ওই বাহিনী ভাঙড়ে ঢুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। রাজ্যপাল ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসেও ঢুকে যান সেদিন। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই এই ভাঙড় (Bhangar) ২ বিডিও অফিস কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছিল। বিডিও অফিসের গেট আটকে রেখে ভিতরে চলে মনোনয়ন জমার পর্ব। মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁদের অবিলম্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায়। হামলার প্রতিবাদে রবিবার টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর স্ক্রুটিনি পর্ব। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায় বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সান্ত্বনা রায় এবং কৃষ্ণা সরকার। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য কয়েকদিন ধরে হুমকি দিতে থাকেন দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর এবং তাঁর অনুগামীরা। দুই বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় শনিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দুই প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার দুপুরে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে শনিবার রাতেই চাকদহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তিনি ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি। সেই কারণেই আমাদের এই পথ অবরোধ। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকবে না। রানাঘাট দক্ষিণের যে কটি থানা রয়েছে, আমরা প্রতিটি থানা স্তব্ধ করে দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এ বিষয়ে বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা বিদায় উপপ্রধান সুবীর ধর। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাড়িতেই বসে রয়েছি, প্রশাসন সেটা জানে। বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) সুস্থ ভাবেই বিজেপি এবং সিপিএম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছে। বিগত ৩৪ বছরে সিপিএমের যে সমস্ত হার্মাদ বাহিনী এলাকায় খুন-সন্ত্রাস করত, তারাই আজ ভোটে দাঁড়াচ্ছে এবং আবারও উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে গোটা এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ নম্বর ব্লকের কানপুর ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথের বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তাঁকে মারধর করা হয়। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি প্রার্থীদের অবিলম্বে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা?

    ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের ধনবেরিয়া কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মঙ্গল দাস ও জয়দেব দাসের বাড়ি শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাঁদের বক্তব্য, শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে হামলা চালায়। পরে, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দেয় তারা। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল বলেন, বাইক করে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়়িতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি আমাকে মারধর করে। যদি প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের থেকেও ভালো ফল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা দীপক হালদার বলেন, রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই দুষ্কৃতীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তিনি বলেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করবে তৃণমূল। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের পাশে আছে। বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই উল্টোপাল্টা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকর্মীদের ট্রেনিং সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ট্রেনিংয়ে আসা ভোটকর্মীরা বলেন, ‘কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, আর কেউ নয় রাজকুমার’। এরপর বিশেষ চিঠিও লেখা হয় কমিশনকে।

    কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি?

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল এক দফায়। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির এক স্কুল শিক্ষক ছিলেন রাজকুমার রায়। বুথের প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় ভোট করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে। তাঁর মৃত্যুকে প্রশাসন সেই সময় আত্মহত্যা বললেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিশেষ হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করেছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত ভোটের আবহে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা সুস্থ নয় বলে মনে করছে যৌথমঞ্চ। দিকে দিকে বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই ভোটকর্মী হিসাবে, ভোট করাতে গেলে তাঁদের জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নে আজ বহরমপুরে (Murshidabad) পঞ্চায়েত নির্বাচনের ট্রেনিং সেন্টারে আসা সমস্ত ভোটকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে স্লোগান শুরু করেন। তাঁরা স্পষ্ট দাবি রাখেন, হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। যদি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ভোট নিতে যাব না। এভাবেই সোচ্চার হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে তাপস মণ্ডল বলেন, যদি রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হয়, তাহলে কেউ ভোট করতে যাবেন না। প্রত্যেক ভোট কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়, আমরা কেউ রাজকুমার হতে চাই না! আজ পর্যন্ত রাজকুমারের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হল না। আমরা সকলেই গণতন্ত্র প্রেমী, শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন চাই। সাংবিধানিক ভাবে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়। হিংসা মুক্ত নির্বাচন এবং রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার দাবি রাখা হয় ওই চিঠিতে। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ভোট কর্মী এই চিঠি মেল করবেন কমিশনকে। কয়েক লক্ষ মেল যাবে কমিশনের কাছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়, আজ বিভিন্ন জেলার প্রতিটি ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ হবে। সেই সঙ্গে গণস্বাক্ষর এবং ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কমিশন যে ভাবে বাহিনী না নেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে, তাতে সমাজের কাছে ভালো বার্তা যায়নি বলে মনে করে যৌথ মঞ্চ। বাহিনী না দিলে এরপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে কারচুপি ও ডিসিআর বদলানোর অভিযোগ তুলে বিরোধীরা সরব বিডিও অফিস চত্বরে। বিডিওর রুমে ঢুকে বিজেপি-সিপিএমের নেতাকর্মীরা বিডিওর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। বিজেপি-সিপিএমের দাবি, বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

    এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নগুলিকে পরীক্ষা করা হচ্ছিল শনিবার। সেই পরীক্ষায় এসে বাম-বিজেপি কর্মীরা জানতে পারেন, এই ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর দুই নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রুমারাজ পণ্ডিত। তিনি প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতির ২২ নম্বর আসনে ১৩ই জুন মনোনয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই প্রার্থী ১৫ই জুন আবার একই এলাকার পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন। দুবার মনোনয়ন, প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে চেয়েছেন রুমারাজ পণ্ডিত। এখন পরীক্ষার পর কোনটা চূড়ান্ত করবে প্রশাসন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে হয়ে সমস্যা। এখানেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন।

    অভিযোগ কী?

    বিজেপি-সিপিএমের দাবি, আইন অনুযায়ী প্রার্থী যে মনোনয়নটি আগে করবে, সেখানেই তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। তাহলে যেহেতু রুমারাজ পণ্ডিত পঞ্চায়েত সমিতিতে (Paschim Medinipur) আগে নমিনেশন করেছেন, তাহলে কী করে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন! এই নিয়ে বিডিও অর্নিবাণ সাউ-এর কাছে বাম-বিজেপির কর্মীরা জানতে চান। কিন্তু বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। তারপর বিডিওর অফিসঘরে শুরু হয় হট্টগোল, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গোলমাল। এরপর থেকেই বিরোধীরা বলেন, প্রশাসন নিয়ম ভেঙে তৃণমূল প্রার্থীর সুবিধার জন্য মনোনয়ন পরীক্ষা করছেন। বিজেপির দাবি, মনোনয়ন পরীক্ষায় যদি প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, তবে নির্বাচনের দিন কী ভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন বিডিও?

    তৃণমূলের এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    ঘাটাল (Paschim Medinipur) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত বলেন, রুমা প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নমিনেশন করেছিল, পরে পঞ্চায়েত সমিতিতে করে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। দাসপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। ওই প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন করলেও প্রথমে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতই নমিনেশন  করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। অপর দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও দুই বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শনিবার মিষ্টি মুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

    কোন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি?

    মনোনয়ন পত্রের পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ নং ও ৯ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ নং বুথের উল্লেখ করেছে। যার ফলে এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর যার ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে।

    কোন আসনে জয়ী তৃণমূল?

    অন্যদিকে গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের জাহাঙ্গিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আবার জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এই এলাকায়৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।” নির্বাচন নিয়ে জেলায় আমরা আশাবাদী বলে জানান বিজেপির এই নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে গুরুতর জখম তৃণমূলের এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মথুরাপুর থানার ঘোড়াদল এলাকায়। আহত যুবকের নাম আরিফ হোসেন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে বাড়ির কাছেই বোমা বাঁধছিল আরিফ হোসেন মোল্লা। তখনই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেছে আরিফ। এর পরেই তাঁকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ (South 24 Parganas) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মথুরাপুর থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই বোমা বিস্ফোরণ, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    মায়ের বক্তব্য

    মা সমিয়ন বিবি বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে মধ্যমগ্রামে কাজ করে, আর ছোট এই ছেলে কলকাতায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য বাড়িতে (South 24 Parganas) এসেছে। হোসেন রাজনীতির কারণেই বোমা বাঁধার কাজ করছিল বলে জানান মা। তিনি আরও বলেন, তাঁদের পরিবার তৃণমূল পার্টি করে। রাত তখন বাজে ৩ টে। সেই সময় আমরা বাড়িতে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ছেলে বাবা গো, মা গো বলে চেঁচিয়ে ওঠে। গিয়ে দেখি সারা শরীর ঝলসে গেছে। এর পর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। এখান থেকে ডাক্তাররা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, ছেলের এখন কী হবে!

    পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিরোধীরা বলছেন, গত ৯ দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা গেছেন ৭ জন। মুহূর্মুহূ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, মালদার চাঁচল, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বীরভূমের নানুর, পূর্ব মেদিনীপুরের বকচা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং, মিনাখাঁ এবং ভাঙড়। সর্বত্রই বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙড়, ক্যানিং এবং দিনহাটাতে হয়েছে ব্যাপক বোমাবাজি। শুধু তাই নয়, হুগলির খানাকুল থেকে উদ্ধার হয়েছে ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন এই নির্দেশের বিপক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার পর বিরোধীরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চায় না। অপর দিকে, মনোনয়নের সময় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনোনয়ন করাকে সুনিশ্চিত করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই এখন দেখার।       

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল তৃণমূলের আসানসোল জেলা কার্যালয়ে। খোদ জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে, দুপক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর জেলা কার্যালয়ের বাইরে রাস্তার মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানীগঞ্জ ব্লকের জিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। শনিবার রাতে দলীয় প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, আসন বণ্টন নিয়ে রানীগঞ্জ গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানীগঞ্জ গ্রামীণ অঞ্চলের আরেক তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং। অর্জুন সিং এবং তাঁর অনুগামীরা যে আসন পেয়েছেন, তা তাঁদের ইচ্ছামতো হয়নি বলেই তাঁরা জেলা সভাপতির কাছে নালিশ জানাতে আসেন। আর তখনই দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে তাঁর প্রথমে বচসা হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। উত্তেজনা এতটাই ছড়ায় যে দলীয় অফিস থেকে বাইরে এসে রাহালেন মোড়ের মাথাতে দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। খবর পেয়ে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশ ছুটে এসে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আসানসোলের সংখ্যালঘু তৃণমূল সেলের নেতা শাহিদ পারভেজ আক্রান্ত হন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বহু দলীয় কর্মী টিকিট চান। কিন্তু, আসন সংখ্যা সীমাবদ্ধ। তাই সবাইকে টিকিট দেওয়া যায় না। ফলে কেউ অবস্থান করছেন, কেউ কান্নাকাটি করছেন। আমরা আমাদের দলের মধ্যে থেকে সবাইকে বোঝাবো। আমাদের বিশ্বাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আবার সবাই দলের হয়েই লড়াই করবে। দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এই লড়াই থেমে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share