Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁকে রোল মডেল করার কথা বলা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিজুর ১ নম্বরের এরকম একজন দক্ষ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে, ঝর্ণাদেবীও এই অপমান সহ্য করার পাত্রী নন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে, তিনি একা দলত্যাগ করেছেন এমন নয়। এলাকার শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলবদল করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দোড়গোড়ায় এই ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন দলত্যাগী তৃণমূল প্রধান?

    শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে গাড়ি, বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলে। চারচাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ বিষয়। সেই শাসক দলের প্রধান হওয়ার পরও ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝর্ণা রায়ের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁকে রোল মডেল করার কথাও তিনি বলেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তাঁকে ফের প্রার্থী করবে। কিন্তু, দলের টিকিট না পেয়ে ঝর্ণাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে কাজের সম্মান পাওয়ার পরও দল আমাকে প্রার্থী করার জন্য যোগ্য মনে করল না। কার নিরিখে প্রার্থী ঠিক হল, তা বুঝতে পারলাম না। আমি সততার দাম পেলাম না। তাই আমি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলাম।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল থেকে প্রায় দু’হাজার পরিবার কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আসলে তারা টাকা তুলে দলকে দিতে পারেনি, দলের কাছে তাদের সম্মান নেই। আগামী দিনে এরাই কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা ভাল ফল করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলে দু’টো দিক থাকে। একটা প্রশাসনিক আর অন্যদিক হল সাংগঠনিক। তাই দল হয়তো কিছু ভেবেছিল, ঝর্ণা রায়কে সাংগঠনিক কাজে লাগাবে। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি দল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেলেন। আমরাও তাঁর কাজের প্রসংশা করি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের প্রসংশা করেছিলেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে মনোনয়নের শেষ বেলায়, বৃহস্পতিবার দলীয় টিকিট না পেয়ে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ছাড়াও আরও পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দিলেন জেলা পরিষদ আসনে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নির্দল নয়, তৃণমূলের হয়েই মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করেই ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের ফোন করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। দলীয় সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর। বুধবার ১৭ জন মনোনয়ন জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার বাকি দু’জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    কারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দিলেন?

    অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, সুজলা তরাই (বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ), শুভ্রা মাহাত (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ), মামণি মুর্মু (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুপ্রিয়া মাহাত (মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ) এবং তপন ব্যানার্জি (কৃষি কর্মাধ্যক্ষ) মনোনয়নপত্র জমা করেন তৃণমূলের হয়ে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা ওরফে লাল জেলা পরিষদের আসনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূলের হয়ে। জেলা পরিষদের তালিকায় অর্জুনের নাম ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্জুনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন অর্জুন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধরা (Panchayat Election)?

    তবে মাধবী ও পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দেওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে। এদিন মাধবী বিশ্বাস বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন হবে। দাদার কথা না রেখে দাদাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার রাজনৈতিক নেতারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের মতে প্রার্থী ঠিক করেছে।  তাঁর আরও অভিযোগ,”চক্রান্ত করে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই জেলা পরিষদের পুরনো একজনকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। একজন জেলা সভাধিপতি, যিনি দলের মুখ, তাঁকে যেখানে টিকিট দেওয়া হল না, সেখানে কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দেওয়া হবে, তা কি আশা করা যায়।’’ সভাধিপতি জানান, “দলীয় প্রতীক না পাওয়া গেলে নির্দলেই লড়াই করবেন।’’ বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু বলেন, ‘‘দলের হয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। এখনও কিন্তু আমি দল থেকে পদত্যাগ করিনি। দলেই রয়েছি।’’

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Panchayat Election)?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষেরই আশা, স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটা স্বপ্ন পূরণ হবে, তা তো নয়। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন (Panchayat Election) করা হয়েছে। আমি ওঁদের অনুরোধ করব দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ চিত্রটা একই। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। শেষ দিনের মনোনয়ন ঘিরে সারাদিন চলল তৃণমূলের তাণ্ডব। কোথাও বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না, তো কোথাও ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল। কেউ কেউ আবার মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে ঢুকেছিলেন। কিন্তু অফিসের ভিতরেই মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়, অভিযোগ বিরোধীদের

    বিরোধীদের অভিযোগ, এই সব কিছুই হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আগে জলপাইগুড়িতে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীরা। পাহাড়পুর থেকে একজন মহিলা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটার আগেই তাঁকে আটকে তাঁর হাত থেকে নমিনেশন পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। একই ঘটনা ঘটে অপর এক মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। অন্যদিকে মালকানির একজন বিজেপি প্রার্থী জলপাইগুড়ির বিডিও অফিসের ভিতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে, সেখানে কীভাবে দুষ্কৃতীরা অফিস চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে? একই ঘটনা ঘটেছে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে চার প্রার্থীর নমিনেশন পেপার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই সিপিএম প্রার্থী, এক বিজেপি প্রার্থী ও এক নির্দল প্রার্থীর নমিনেশন ফর্ম ঘরে ঢুকে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব অভিযোগই শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বলছেন শাসক দলের নেতা?

    যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এ সমস্ত ঘটনার কথাই অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা তপন ব্যানার্জি বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন প্রতিশ্রুতি যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়, তা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাসই বলে দিচ্ছে। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন আক্রান্ত সমস্ত প্রার্থীরাই। এর পরেই পুলিশ সেই প্রার্থীদের ফের বিডিও অফিসে ঢুকিয়ে পুনরায় নমিনেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জন আজই মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে।

    নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল যে কোনও ভাবেই মেটানো গেল না, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ বলেন, এলাকায় তৃণমূলের কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ভালো মানুষগুলো বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। তার কারণ, তাঁরা ভালো করে জানেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মাত্র ৮ দিন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন চলছে। আমরাও বিরোধী হিসাবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে দাবি করলেন এই বিজেপির নেতা।

    তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

    যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টর দাবি, আজ যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে, তারা এর আগেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। পরে অবস্থা অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে ২০১৯ সালে ওরা সবাই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিল! এখন আবার এই সময় যুক্ত হল। একই মানুষকে কতবার যুক্ত করবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপিই জানে। বিধায়ক আরও বলেন, ওরা বিজেপিতে চলে যাওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে যোগদান প্রসঙ্গে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা জারি জেলা জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির কনভয় নিয়ে নয়। স্কুটি বা বাইকেও নয়। ২১  কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা। সোনাদা থেকে ২১ কিলোমিটার রাস্তা চার ঘণ্টায় দৌড়ে সুখিয়াপোখরিতে (Darjeeling) গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই নির্দল প্রার্থী। বিজেপির মহাজোট নিয়ে পাহাড়ে ভোটের হাওয়া গরম হয়ে উঠেছিল। সেখানে গত বুধবার স্মরণ সুব্বার দৌড় ভোটচর্চায় আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।

    কেন দৌড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ (Darjeeling)?

    স্মরণ সুব্বা বলেন, পাহাড়ে (Darjeeling) যেভাবে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাতে ভয়ঙ্কর যানজটের পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। পাহাড়কে বাঁচাতে হলে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  তা না তাহলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দার্জিলিং বিরক্তিকর জায়গা হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের সুনাম নষ্ট হবে। পর্যটকরাও দার্জিলিঙ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। তার প্রভাব পড়বে পাহাড়ের জনজীবনে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষ। কেননা, পর্যটকদের প্রতীক্ষায় এখানকার মানুষ বসে থাকে তাদের রুজি রোজগারের জন্য। 

    জিতলে কী করবেন এই নির্দল প্রার্থী (Darjeeling)?

    নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। জিতলে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) যানবাহনের সংখ্যার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে রাস্তা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র করবেন বলে জানান স্মরণ সুব্বা। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ের রাস্তাঘাট সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। কারণ গ্রামের বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।সময়মতো চিকিৎসা করাতে না পারায় নানা ধরনের রোগব্যাধি জটিল আকার নিচ্ছে। এই জায়গা থেকে পাহাড় ও পাহাড়বাসীকে মুক্ত করার জন্যই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আর তার আগে মানুষকে দার্জিলিংকে বাঁচানোর বার্তা দিতেই আমি ২১ কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। শুধু পাহাড়বাসীকেই নয়, সমতলের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সচেতনতার এই বার্তা পৌঁছে যাক, এটাই আমি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    Panchayat Election: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নের শেষ দিনে রক্তাক্ত বাংলা। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে বিরোধী দলের দুই কর্মীর মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।  এখনও পর্যন্ত সিপিএম-কংগ্রেস জোটের তিন কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে চোপড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছেে।

    ঘটনার বিস্তৃত ব্যাখ্যা

    বৃহস্পতিবার চোপড়ায় বাম-কংগ্রেস জোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো জোট প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় রাখালবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে কয়েকশো যুবক দাঁড়িয়েছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে এমন বাধা পেয়ে প্রতিরোধও গড়েন জোট প্রার্থীরা। অভিযোগ, তখনই ওই ভিড়ের মাঝখান থেকে তৃণমূলের কর্মীরা গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিন জোট কর্মী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি একজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

    পুলিশের দেখা মেলেনি, অভিযোগ বিরোধীদের

    গুলিচালনার ঘটনা বিডিও অফিস থেকে খুব দূরে ঘটেনি বলেই জানিয়েছে জোট নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, মনোনয়নের মিছিলের সময় কোথাও দেখা মেলেনি পুলিশের। বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কীভাবে এমন জমায়েত করল তৃণমূল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চোপড়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিবৃতি

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ফোনে বলেন, ‘‘আমি এখন ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দফতরে রয়েছি নমিনেশন প্রক্রিয়ায়। চোপড়ার একটি ঘটনার কথা শুনেছি।  সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সমস্তটা জেনেই মন্তব্য করতে পারব। পুলিশ-প্রশাসনকেও বলেছি যাতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।’’

    গুলিতে জখম বিরোধী দলের কর্মী কী বললেন?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে গুলিবিদ্ধ এক কর্মী বলেন, ‘‘আমরা দল বেঁধে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলাম। তৃণমূল অ্যাটাক করল। ওরা যেতে মানা করেছিল। আমাকে গুলি করল। আমার হাতে গুলি করেছে। বড় বড় বন্দুক দিয়ে মারধরও করেছে।’’

     

    আরও পড়ুন: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের “আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে”…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share