Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Heat Wave: রাজ্য জুড়ে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বর্ষা ঢুকছে কবে?

    Heat Wave: রাজ্য জুড়ে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বর্ষা ঢুকছে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্বস্তির গরমে (Heat Wave) নাজেহাল বঙ্গবাসী। চাতক পাখির মতোই বৃষ্টির অপেক্ষা করছে সারা রাজ্য। বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। তবে এখনই রেহাই মিলবে না গরম থেকে, তাও জানিয়ে রেখেছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকছে তাপপ্রবাহ। তবে গরম শুষ্ক হবে না। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেশি হওয়ায় আর্দ্রতাজনিত গরম বাড়বে। এক কথায় ঘাম বেশি হবে। প্রসঙ্গত, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষা ঢোকে কেরলে। তারপর দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু জলীয় বাষ্প নিয়ে বাংলায় প্রবেশ করে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরলে।

    কেরলে কবে ঢুকবে বর্ষা?

    আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেরল হয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা ঢুকবে। প্রসঙ্গত, আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর কারণে বর্ষা ঢুকতে দেরি হয় কেরলে। কারণ দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জলীয় বাষ্প টেনে নিচ্ছিল এই ঘূর্ণাবর্ত। বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তাই তৈরি হচ্ছিল না। তবে ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরল-সহ দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও অসমে। কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তর পূর্ব দিকে ধাবিত হয়, তা ধাক্কা খায় হিমালয়ে। এই কারণে রাজ্যে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয় উত্তরবঙ্গ থেকে। তবে বর্ষা আসতে বেশ খানিকটা দেরি রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তা। 

    বঙ্গে আপাতত চলবে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)

    দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে। রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ থাকবে। উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় আজ ইডি দফতরে রুজিরার হাজিরা! যাচ্ছেন কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: গন্তব্য চেন্নাই, হাজার হাতের প্রার্থনা নিয়ে যাত্রা শুরু আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের

    Coromandel Express: গন্তব্য চেন্নাই, হাজার হাতের প্রার্থনা নিয়ে যাত্রা শুরু আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ দিন আগে চালক মোহান্তি শালিমার থেকে চাকা গড়িয়েছিলেন করমণ্ডলের (Coromandel Express)। তখনও অবশ্য মোহান্তি জানতেন না বালাসোরে ঠিক কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে ট্রেনযাত্রীদের জন্য! শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই ভয়ানক দুর্ঘটনাকে সামলে উঠে ফের গড়াল করমণ্ডলের চাকা। বুধবার শালিমার স্টেশন থেকে দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে ছাড়ল এক্সপ্রেস। প্রায় ১২০ ঘণ্টা পরে প্ল্যাটফর্মের মাইকে পরিচিত রেকর্ডিং বেজে উঠল, ‘‘এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়তে চলেছে।’’ আগের রুট ধরেই ২৭ ঘণ্টার জার্নি শেষে করমণ্ডল পৌঁছবে তার গন্তব্য চেন্নাইতে। অভিশপ্ত বাহানাগা স্টেশন পার হবে ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে। ট্রেনের যাত্রীরা দেখবেন সেই মৃত্যুপুরী যা দিনকয়েক আগেও হাহাকার, কান্না, উদ্বেগের সাক্ষী থেকেছে। মায়ের কাছ থেকে ছেলে কেড়েছে, সন্তানের কাছ থেকে কেড়েছে বাবা! বালাসোরের যে ট্রাকে স্পর্ধার সঙ্গে উচ্চগতিতে সাইরেন বাজিয়ে এগিয়ে চলত রেল, সেখানেই সারিবদ্ধ ভাবে সোয়ানো ছিল মৃতদেহগুলি। কেউ যাচ্ছিলেন ডাক্তার দেখাতে, কেউ বা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে। আজ অবশ্য একবারের জন্য হলেও বাহানাগা স্টেশন পেরতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হবেন ট্রেনের চালক থেকে যাত্রী প্রত্যেকেই! সন্ধ্যার আবছা আলোয় যাত্রীরা জানলা দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করবেন দুর্ঘটনার চিহ্নগুলিকে। চালকও নিশ্চয় দেখবেন মেইন লাইন ও লুপ লাইনের সংযোগস্থলটি।

    ট্রেন ছাড়ার সময়কার দৃশ্য

    এদিন নির্ধারিত সময়ের ৬ মিনিট পরে যাত্রা শুরু করে করে করমণ্ডল। যাত্রীরা পরস্পরের সঙ্গে শুক্রবার দুর্ঘটনার আলোচনা করতে থাকেন। ট্রেন যখন ছাড়ল কেউ কেউ চাপা উত্তেজনায় তাকালেন জানলার বাইরে। তেমনই এক যাত্রী চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কী করব, কাজের জন্য যেতে তো হবেই। ভগবান ভরসা।’’

    ৫১ ঘণ্টা পরে সারাই হয় ট্রাক, চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পরে রেললাইন মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় মালগাড়ি। ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থেকে প্রার্থনা করতে থাকেন রেলমন্ত্রী। মালগাড়ির চাকা গড়াতেই চোখে জল আসে অশ্বিনী বৈষ্ণবের। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘‘রেলপথ সারাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। আগের রুট ধরেই এগিয়ে যাবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: হিসাব না দেওয়াতেই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, রাজ্যে এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Asansol: হিসাব না দেওয়াতেই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, রাজ্যে এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের ন-বছরের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে এক সাংবাদিক বৈঠক (Asansol) করলেন পঞ্চায়েতের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাটিল। বুধবার আসানসোলের এক বেসরকারি হোটেলে তিনি ওই সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিন মন্ত্রী বলেন, বিগত ৯ বছরে মোদিজির নেতৃত্বে আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি উজ্জ্বলা যোজনায় কয়েক লক্ষ গরিব মানুষকে গ্যাসের কানেকশন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে। সেই সব প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা ক্ষেত্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রচুর সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তবে আবাস যোজনায় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। এছাড়া ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও তিনি বলেন, হিসাব না দেওয়ার কারণেই ১০০ দিনের কাজের টাকা বাকি রয়েছে।

    পরিদর্শন করলেন ইএসআই হাসপাতাল (Asansol)

    ন বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, সেই উপলক্ষে আজ আসানসোলে (Asansol) এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রথমে তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পরে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। এছাড়া ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জেলা সভাপতি দিলীপ দে। এখানে যে হসপিটাল বিল্ডিং তৈরির পর পড়ে আছে, সেটা তিনি পরিদর্শন করেন। এখানে ৩৮ একর জায়গা পড়ে আছে। সেই জায়গাতে জেলার একটি মেডিক্যাল কলেজ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেবেন বলে জানান। এছাড়া এখানে আরও ৫০ বেড বাড়িয়ে ৩২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু কেন ২৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, কেন এই কাজ পড়ে রয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি খোঁজখবর নেন। ভুপেন্দ্র কুমারজির সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

    কী বললেন আসানসোল পুর নিগমের চেয়ারম্যান (Asansol)?

    অপরদিকে সাংবাদিক বৈঠকে করা মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে রাজ্য সরকার। বর্তমান কেন্দ্রের সরকার কর্মসংস্থানের জন্য কোনও বড় প্রজেক্ট তৈরি করতে পারেনি। উল্টে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিলেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বুধবার আদালতে মূলত সায়গল হোসেনের সোনা-রূপোর গয়না সংক্রান্ত বিষয়েই শুনানি হয়।

    স্ত্রীর বেতনের টাকাতেই গয়না, দাবি সায়গলের আইনজীবীর

    সায়গল ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে যে সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই, তার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকা। সায়গলের (Anubrata Mondal) বাজেয়াপ্ত হওয়া গয়নার মূল্য সাড়ে ৩৬ লক্ষের বেশি, একথা তাঁকে বলেন বিচারক। এই প্রসঙ্গে সায়গলের আইনজীবী আদালতে বলেন, সায়গলের স্ত্রী ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পান। ওই বেতন থেকেই তিনি সোনার গয়না কিনেছেন। তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, এই কয়েক বছরে কি সে ৩৬ লক্ষের বেশি বেতন পেয়েছে? বিচারক এও বলেন, খাওয়া দাওয়া বা অন্যান্য খরচ না করে কেবল গয়নাই কিনেছেন? যদিও পুরনো সোনা ও রূপোর গয়না ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্ত্তী। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ হাজার টাকা।

    জামিন চাইলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)

    অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তখন অনুব্রত বলেন, আমি হাত-পায়ে ব্যালেন্স পাচ্ছি না। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। হাই সুগার, এমনকী আমার ৯ মাস হয়ে গেল। আমাকে জামিন দিন। উত্তরে বিচারক বলেন, আপনার কেস তো উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে আপনার আইনজীবীকে জামিনের জন্য আবেদন করতে বলুন। তারপর এখানে আবেদন করুন। যদিও আদালতে অনুব্রত এবং সায়গলের জামিনের জন্য কোনও আইনজীবী আবেদন করেননি। যেহেতু জামিনের জন্য আবেদন করেননি, সেই কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। অবশেষে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ৩০ শে জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: ট্রেনের ফ্যান থেকে ঝুলছে লাশ! ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন রীতিশঙ্কর

    Train Accident: ট্রেনের ফ্যান থেকে ঝুলছে লাশ! ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন রীতিশঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতল ভেঙে পাঁজরে ঢুকে যাওয়া যাত্রীর আর্তনাদের মাঝে বেঁচে থাকার জন্য হাহাকার। কোনওক্রমে রক্ষা পাওয়া তাঁদের এসি কামরা ভেঙেচুরে তছনছ। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত তিনটে পর্যন্ত রেল লাইনের ধারে গাছ তলায় তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে সময় ট্রেনের টিটিই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন, উদ্ধারকারী দল অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে জল, শুকনো খাবার, ওষুধ দিয়ে তাঁদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন। স্থানীয় মানুষজন সব সময় তাঁদের সাহস দিয়েছেন, নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সকলের চেষ্টায় ৩ জুন দুপুরে তাঁরা হাওড়া পৌঁছান। তারপর রূপনারায়ণপুরের ফ্ল্যাটে রীতিশঙ্কর রায় এবং চিত্তরঞ্জনের রেল কোয়ার্টার্সে মণীশ কুমার, রাকেশকুমার রঞ্জন এবং সঞ্জয় পাল ফিরে আসেন। মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেখার সেই অভিজ্ঞতার (Train Accident) কথা বলতে গিয়ে এখনও কেঁপে উঠছেন, বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।

    কী অভিজ্ঞতার (Train Accident) কথা তাঁরা শোনালেন তাঁরা?

    এই চারজনেরই একজন হলেন রীতিশঙ্কর রায়। তিনি বলেন, আমরা চারজন মিলে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। যখন ঘটনাটা (Train Accident) ঘটল, তখন যে আমরা গাড়ি থেকে নামব, পাদানিতে পা দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। ভয়ে আমাদের হাত-পা কাঁপছিল। ধোঁয়ায় চারদিক ভরে গিয়েছিল। শ্বাস প্রশ্বাসেও কষ্ট হচ্ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেলের আধিকারিকরা এসে আমাদের নিচে নামিয়েছে। তারপর আমাদের খাবার-দাবার জল এইসব দিয়েছে। আমাদের মনের মধ্যে এমনই ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে, যে বলার নয়। আমরা মিথিলা এক্সপ্রেস-এ ফিরেছি। কিন্তু সব সময়ই মনে হচ্ছে, এই বুঝি কোনও ট্রেন এসে মেরে দিল। আগামী দিনে কি ট্রেনে আর চাপবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ট্রেনে তো যেতেই হবে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা (Train Accident) যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা দরকার। কারণ, এ এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এমনও দেখেছি, ট্রেনের যে ফ্যান, তাতে লাশ ঝুলছে। চট করে স্মৃতি থেকে এসব সরবে না।

    অন্যদিকে, বুধবার সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রীতিশঙ্কর রায়ের আবাসনে গিয়ে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরমান সহ অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হুগলি জেলার আরামবাগ। তৃণমূলের (TMC) ভোটগ্রহণ কর্মসূচিতে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। একাধিক জেলার কর্মসূচিতে এরকম গণ্ডগোলের উদাহরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে আগেই, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এবার আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচির ভোটাভুটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে অভিষেকের অধিবেশন শুরু করার আগেই ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু এই ভোটাভুটিতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

    ভোটাভুটি নিয়ে কী অভিযোগ (TMC)?

    অভিযোগ, ভোট চলাকালীন আরামবাগের হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের সভাপতি (TMC) পার্থ হাজারি ভোট বাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর সামনে ভোট দিতে হচ্ছে তৃণমূ্লের নেতা-কর্মীদের। আরও অভিযোগ, জেরক্স করে এনে ভোটার স্লিপ ভোট বাক্সে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আই প্যাকের লোকেরা তা জানতে পেরে প্রাথমিকভাবে হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের যে তাঁবুতে ভোট হচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেন।

    কী বললেন কুণাল ঘোষ (TMC)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যদি কোথাও এই রকম ঘটনা ঘটে, সেখানে পুনরায় ভোট করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এত বড় একটা কর্মকাণ্ড চলছে। একটা দলের (TMC) প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এরকম ভোটগ্রহণ কর্মসূচি প্রথম। সেখানে এক-আধটা জায়গায় এরকম বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটতেই পারে। এতে আসল বিষয়টিতে কোনও অসুবিধা হবে না। কুণাল যাই বলুন, এই রকম কারচুপি করে ভোট হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল মহলে। যদিও যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠছে, সেই পার্থ হাজারি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের (TMC) জন্যই চলছে ভোটগ্রহণ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হুগলি জেলায় দ্বিতীয় দিনের নবজোয়ার কর্মসূচিতে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর মন্দিরে যান অভিষেক। সেখানে পুজো দেন। এরপর যান রাধানগর রামমোহন রায় মেমোরিয়ালে। সেখান থেকে কামারপুকুরে শ্রী রামকৃষ্ণের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান আরামবাগের কালীপুর মাঠে। প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জেলায় জেলায় জন সংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। এর মাঝেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চলছে ভোটগ্রহণ কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ক্রমশই জাল গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বুধবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিল সিবিআই (CBI)। এদিন সকালেই সিবিআই কর্তার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালান। সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেও চলে সিবিআই হানা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    জানা গেছে রাজ্যের ১৪ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই প্রথম সিবিআই (CBI) পুর-নিয়োগ মামলায় তদন্তে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এত সক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে। জানা গেছে, সল্টলেকের নগরোন্নয়ন দফতর, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পৌরসভা, বারাকপুর পুরসভা, পানিহাটি পুরসভা, কাঁচরাপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া, শান্তিপুর সহ আরও বিভিন্ন পৌরসভাতে হানা দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি অয়ন শীলের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সূত্র মারফত জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে ঢোকে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    কীভাবে সামনে এল পুরনিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবারই এই মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রব্রতীর এজলাসে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কালো টাকা সাদা করতেই তৃণমূলের এই উদ্যোগ বলে তোপ দেখেছেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর আরও দাবি , দু’লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ২ হাজার টাকার নোটে দেওয়া হচ্ছে। যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে বদল করে আসতে হবে।

    কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এই নিয়ে মঙ্গলবারই ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য করছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রী। একে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমার প্রশ্ন, একসঙ্গে ২ হাজার টাকার নোটে দু লাখ টাকার বান্ডিলের উৎসটা ঠিক কি?’’ অর্থাৎ স্পষ্টভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলতে চেয়েছেন যে ঘুষ এবং দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল দু লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে।

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বর্তমানে ২০০০ টাকার নোট বাজারে যোগান কম এবং তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিবর্তন করার পদ্ধতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলোকে দুই হাজার টাকার নোট প্রদান করে তাদের সমস্যা কি বৃদ্ধি করা হল না?  দ্বিতীয়ত, এটা কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতির নয় কি?’’

    আরও পড়ুন: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    গতকালই ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল দিতে দেখা যায় মন্ত্রী শশী পাঁজাকে

    প্রসঙ্গত, এই দিনই স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয় নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলরা। ২০০০ টাকার নোট ইতিমধ্যে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যাদের কাছে এই নোট রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা বদল করারও নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। তা সত্ত্বেও এদিন ২০০০ টাকার নোটে ক্ষতিপূরণ দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Andal: ২২ ঘণ্টা পরেও বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া!

    Andal: ২২ ঘণ্টা পরেও বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৪ ই জুন দুপুর দেড়টা। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল অন্ডালের (Andal) হরিশপুর গ্রামের মাটি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাড়িঘর। একাধিক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল মাটির নিচে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিটেমাটি হারা হন গ্রামবাসীরা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার পর তাঁরা বুঝতে পারেন, গ্রামের কাছেই থাকা ইসিএলের খোলা মুখ খনির কয়লা উৎপাদনের কারণেই ধসে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। ইসিএল ও রাজনৈতিক নেতারা গ্রামে এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। মিলেছিল পুনর্বাসনের আশ্বাসও।

    তিন বছর পর একই ঘটনা (Andal)

    ধসের ঘটনার পর তিন বছর অতিক্রান্ত। ফের সোমবার ঠিক একই সময় বেলা ১ টা ৩০ মিনিট থেকে ২ টোর মধ্যে হরিশপুর গ্রামের ঝরে পাড়া এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরে ইসিএলের (Andal) একটি পরিত্যক্ত খনি গহ্বর থেকে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে মাধবপুর কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে এই এলাকায় ইসিএল-এর একটা খনি ছিল, যেটা বর্তমানে পরিত্যক্ত। হঠাৎ সেই পরিত্যক্ত খনি থেকে কালো ধোঁয়ার সাথে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    বাধার মুখে ইসিএল (Andal)

    ইসিএল পরিত্যক্ত খনি গহ্বর মাটি দিয়ে ভরাট করার উদ্যোগ নিলে, প্রথমেই গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। গ্রামবাসীদের দাবি, পুনর্বাসন দিতে হবে গ্রামের লোকেদের। যদিও নিজেদের সুরক্ষার খাতিরেই পরে ওই পরিত্যক্ত খনি গহ্বর মাটি দিয়ে ভরাট করাতে রাজি হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু ২২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ইসিএল। গতকাল রাত থেকে মেশিন দিয়ে খনি গহ্বরের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। কিন্তু ২২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এলাকায় (Andal) আতঙ্ক রয়েছে এখনও।

    কী দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের (Andal)?

    লাজন্তী বাউরি নামে স্থানীয় এক মহিলা জানান, যেভাবে পাড়ার একেবারে কাছেই পরিত্যক্ত ঘনি থেকে (Andal) বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া বের হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরেছে মনে । কখন যে কী হয়, এই ভয়ই তাড়া করছে তাঁদের। আর ভয়ের কারণেই নাওয়া খাওয়া ভুলে গতকাল রাত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ির বাইরে সারারাত জেগে কাটাতে হয়েছে তাঁদের। তিনি জানান, ইসিএল বা অন্য কোনও প্রশাসনিক দফতরের লোক কোনওরকম আশ্বাস দেননি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। তাঁরা চান, পুনর্বাসন দিক ইসিএল। যাতে করে তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্ভয়ে, শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajdhani Express: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    Rajdhani Express: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ দিনও হয়নি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express)। দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসের কয়েক হাজার যাত্রী অল্পের জন্য বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। রেল লাইনের মাঝে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার উপক্রম হয় রাজধানীর, কিন্তু ট্রেন চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কসায় দুর্ঘটনার পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। রেল সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার মুখে আদ্রা ডিভিশনের একটি স্টেশনে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় আচমকাই খারাপ হয়ে যায় একটি ট্রাক এবং তা আটকে পড়ে রেল লাইনের ওপর। কোনও ভাবেই সেটাকে সরানো, নড়ানো যাচ্ছিল না। এমন অবস্থায় দূর থেকে প্রচন্ড গতিতে ছুটে আসছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু চালকের দক্ষতায় সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে চালক ব্রেক কষেন, নয়তো শুক্রবারের বালাসোরের চিত্রই হয়তো বা দেখা যেত পুরুলিয়ার আদ্রা ডিভিশনে।

    সাসপেন্ড গেটম্যান…

    ঘটনার পর পরই লেভেল ক্রসিং এর দায়িত্বে থাকা গেটম্যানকে সাসপেন্ড করেছে ভারতীয় রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আধিকারিক বিকাশ কুমার এই খবর জানিয়েছেন। পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার বলেন, ‘‘সাঁওতালডিহি রেল ক্রসিংয়ে ভোজডি স্টেশনের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। রাজধানীর (Rajdhani Express) চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষে পরিস্থিতির সামাল দেন। ওই গেটম্যানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লেভেল ক্রসিং ভালোভাবে পড়েনি এক দিক খোলাই ছিল। সেই জায়গা দিয়ে ট্রাকটি ঢুকে পড়ে এবং রেল লাইনের মাঝে তা খারাপ হয়ে যায়। যদিও ওই ট্রাকের গায়ে রাজধানীর একটি বগির খানিক অংশ ঘষা খায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share