Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে গুরুতর জখম তৃণমূলের এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মথুরাপুর থানার ঘোড়াদল এলাকায়। আহত যুবকের নাম আরিফ হোসেন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে বাড়ির কাছেই বোমা বাঁধছিল আরিফ হোসেন মোল্লা। তখনই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেছে আরিফ। এর পরেই তাঁকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ (South 24 Parganas) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মথুরাপুর থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই বোমা বিস্ফোরণ, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    মায়ের বক্তব্য

    মা সমিয়ন বিবি বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে মধ্যমগ্রামে কাজ করে, আর ছোট এই ছেলে কলকাতায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য বাড়িতে (South 24 Parganas) এসেছে। হোসেন রাজনীতির কারণেই বোমা বাঁধার কাজ করছিল বলে জানান মা। তিনি আরও বলেন, তাঁদের পরিবার তৃণমূল পার্টি করে। রাত তখন বাজে ৩ টে। সেই সময় আমরা বাড়িতে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ছেলে বাবা গো, মা গো বলে চেঁচিয়ে ওঠে। গিয়ে দেখি সারা শরীর ঝলসে গেছে। এর পর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। এখান থেকে ডাক্তাররা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, ছেলের এখন কী হবে!

    পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিরোধীরা বলছেন, গত ৯ দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা গেছেন ৭ জন। মুহূর্মুহূ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, মালদার চাঁচল, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বীরভূমের নানুর, পূর্ব মেদিনীপুরের বকচা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং, মিনাখাঁ এবং ভাঙড়। সর্বত্রই বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙড়, ক্যানিং এবং দিনহাটাতে হয়েছে ব্যাপক বোমাবাজি। শুধু তাই নয়, হুগলির খানাকুল থেকে উদ্ধার হয়েছে ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন এই নির্দেশের বিপক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার পর বিরোধীরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চায় না। অপর দিকে, মনোনয়নের সময় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনোনয়ন করাকে সুনিশ্চিত করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই এখন দেখার।       

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল তৃণমূলের আসানসোল জেলা কার্যালয়ে। খোদ জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে, দুপক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর জেলা কার্যালয়ের বাইরে রাস্তার মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানীগঞ্জ ব্লকের জিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। শনিবার রাতে দলীয় প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, আসন বণ্টন নিয়ে রানীগঞ্জ গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানীগঞ্জ গ্রামীণ অঞ্চলের আরেক তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং। অর্জুন সিং এবং তাঁর অনুগামীরা যে আসন পেয়েছেন, তা তাঁদের ইচ্ছামতো হয়নি বলেই তাঁরা জেলা সভাপতির কাছে নালিশ জানাতে আসেন। আর তখনই দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে তাঁর প্রথমে বচসা হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। উত্তেজনা এতটাই ছড়ায় যে দলীয় অফিস থেকে বাইরে এসে রাহালেন মোড়ের মাথাতে দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। খবর পেয়ে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশ ছুটে এসে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আসানসোলের সংখ্যালঘু তৃণমূল সেলের নেতা শাহিদ পারভেজ আক্রান্ত হন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বহু দলীয় কর্মী টিকিট চান। কিন্তু, আসন সংখ্যা সীমাবদ্ধ। তাই সবাইকে টিকিট দেওয়া যায় না। ফলে কেউ অবস্থান করছেন, কেউ কান্নাকাটি করছেন। আমরা আমাদের দলের মধ্যে থেকে সবাইকে বোঝাবো। আমাদের বিশ্বাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আবার সবাই দলের হয়েই লড়াই করবে। দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এই লড়াই থেমে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই খুনোখুনি চলছে রাজ্য জুড়ে। এবার উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় খুন বিজেপি প্রার্থীর দেওর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ নং ব্লকের কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়াদহ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। বাড়ির অদূরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম শম্ভু দাস। তাঁর বউদি বিশাখা দাস এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    কী বলছেন নিহতের বাবা?

    জানা গিয়েছে, মৃতের বউদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তাঁর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক কারণেই এই খুন বলে মনে হচ্ছে। কারণ নিহতের (BJP Murder) বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিজেপি পার্টি করত। তৃণমূলের লোকেরা গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে।’’ এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৯ দিনে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। দিনহাটার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপির দিনহাটা শহর সভাপতি?

    দিনহাটা বিজেপির শহর সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর যে সন্ত্রাস শাসক দল করেছিল, পঞ্চায়েত ভোটের পর তা বহুগুণ বেড়েছে। দিন কয়েক আগেই বাড়ির মধ্যে আমাদের এক কর্মীকে গুলি করে খুন করে তৃণমূল কর্মীরা। তারপরেই আবার এই ঘটনা।’’

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যবাসী সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজভবনও। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এবার হিংসা ঠেকাতে রাজভবনে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)।

    শান্তিকক্ষের (Peace Room) হেল্পলাইন…

    রাজ্যে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে শান্তিকক্ষতে। সেই মতো রাজভবন যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফোন করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। ‘পিস রুম’-এর ফোন নম্বর হল, 03322001641। আর ই-মেইল আইডি হল OSD2w.b.governor@gmail.com। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভনের তরফে।

    ভাঙড় ও ক্যানিং সফর রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছিল, চলেছিল গুলিও। প্রাণ গিয়েছিল তিন জনের। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। বুধবারই, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”

    শনিবারই তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয় রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের খাস তালুক মুর্শিদাবাদে এখন বিজেপিকে (BJP) কি ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? আর সেই কারণেই পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত প্রার্থীদের নিয়ে বহরমপুর থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাঁখারভ সরকারের নেতৃত্বে শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, শনিবার রাতে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী হুমকি দেওয়া হয়েছে। মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৮ নম্বর কেন্দ্রের প্রার্থী মামণি সর্দার এবং হাতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রের প্রার্থী পাপিয়া মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে টাকার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া মণ্ডল বলেন, শনিবার রাত দশটা নাগাদ ১০টি বাইকে করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে আসেন। আমার স্বামীকে ডাকে। স্বামী বের না হলে ওরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ভয়ে আমরা কেউ বের হইনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। আমরা এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাঁখারভ সরকার বলেন, দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এসব করে আমাদের দমানো যাবে না। কোনও প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে না। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

     বহরমপুর থানায় বিজেপি নেতৃত্ব লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বহরমপুর থানার আইসি রাজা সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: বর্ষার অনুকূল পরিবেশ দক্ষিণবঙ্গে! কবে নামবে বৃষ্টি?

    West Bengal Weather: বর্ষার অনুকূল পরিবেশ দক্ষিণবঙ্গে! কবে নামবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। মাঝে মধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত স্বস্তি নিয়ে এলেও তা ক্ষণস্থায়ী। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়াতে অস্বস্তি বাড়ছে। কবে আসবে বর্ষা? রাজ্যবাসী উদগ্রীব চাতক পাখির মতোই। উল্লেখ্য, ৮ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছে কেরলে।

    বঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা? (West Bengal Weather)

    দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর দেখা কবে মিলবে বঙ্গে? আশার কথা শোনাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। তাঁদের মতে, ‘‘১৯ থেকে ২২ জুনের বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বঙ্গে।’’ কিন্তু কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে? আবহবিদদের কথায়, ‘‘প্রাক বর্ষার আবহাওয়া রাজ্য জুড়ে দেখা যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ যেমন চলছে, তেমনি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতও হচ্ছে মাঝে সাঝে, যা বর্ষা আসার পূর্বাভাস।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘কেরলে বর্ষা ঢোকার এক সপ্তাহ পরে সাধারণত তা বাংলায় আসে। তবে হিসাব সব সময় যে মিলবে, এমনটা নয়।’’ কেরলে ঢোকার পরে মৌসুমি বায়ু হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফেরে রাজ্যের ওপর দিয়ে। প্রথমে ভিজতে থাকে উত্তরবঙ্গ, পরে দক্ষিণবঙ্গ। এমনিতে কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। তবে প্রতিবার এমন নিয়ম মানে না মৌসুমি বায়ু। গত বছর সময়ের আগেই ঢুকেছিল বর্ষা (২৯ মে)। ২০২১ সালে বর্ষা ঢুকেছিল ৩ জুন। ২০২০ সালে অবশ্য ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেই কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। আবার ২০১৯ সালে চলতি বছরের মতোই ৮ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছিল।

    উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে ঢুকেছে বর্ষা (West Bengal Weather)

    উত্তরবঙ্গে বর্ষা ইতিমধ্য়ে প্রবেশ করেছে বলেও জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তাদের মতে, আপাতত দার্জিলিং সহ কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দিয়েছেন আবহবিদরা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পশ্চি মবর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রয়েছে বন্যার সতর্কতাও! সব মিলিয়ে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় জর্জরিত রাজ্যবাসী। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকার দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পঙে টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather)। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবার বীরভূমে না থাকলেও থেমে নেই বিরোধীদের উপর শাসক ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর চলছে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। একের পর এক স্থানে হচ্ছে বোমা উদ্ধার। পাশাপাশি চলছে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হুমকি। একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বীরভূমের বিজেপি জেলার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্য দিকে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগে, ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি।

    নির্বাচন কমিশনের কাছের বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজাপি

    মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে এক দিকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার জেলায় (Birbhum) যেভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে, এইসব একাধিক বিষয় নিয়ে আজ বিজেপির জেলা প্রতিনিধি দল এলেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর জেলা প্রশাসন ভবনে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, অনুব্রত না থাকলেও বীরভূমের অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। তিনি বলেন, নানুরে দেখেছেন আপনারা কীভাবে আমাদের জেলার দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়িকে ভাঙচুর করা হয়েছে! আমাদের প্রার্থীদের উপর দুষ্কৃতীরা দিকে দিকে হিংসাত্মক আক্রমণ করছে। জেলার মধ্যেই কিছু পুলিশের উদ্যোগে বোমা বারুদ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। রাজ্যে কোনও রকম ভাবেই গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বললেন তিনি। গোটা বীরভূম জেলায় এখনও প্রচুর বোমা বারুদ বন্দুক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের দিন এই বিপুল অবৈধ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন ধ্রুববাবু। রাজ্যের এই নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, এই কথা জানিয়ে আমরা জেলার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছি বলে জানান তিনি।

    ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার অভিযোগে বিরোধীরা নির্বাচনে সরব হয়েছেন। অপর দিকে, শাসক দলের মধ্যেও তৃণমূলের অন্দরে বঞ্চনার কথা বলে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে একে একে অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করছেন। কেউ কেউ আবার তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করে নির্বাচনে লড়াই করছেন। বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ অসিত মালের ভাইপো এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সম্প্রতি বিজপিতে যোগদান করছেন। সুতরাং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সুযোগে, বিজেপি জেলায় নিজের ঘরকে গুছিয়ে নিয়ে আরও শক্তিশালী হতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ। এখন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয়, সেটাই দেখার বিষয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nisith Pramanik: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিডিও অফিসের ভিতরে বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটার সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে। এমনকী  হামলার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ঘটনাস্থলে গেলে তাঁর কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর সামনে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার দিনহাটার- ২ নম্বর ব্লকে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটুনির কাজ চলছিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকে বিডিও অফিস চত্বর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে যান। তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকতেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানো হয় অভিযোগ। দলীয় এক প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রার্থীদের হাতে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)?

    বিজেপির অভিযোগ, বিডিও অফিস দখল করে সেখানে প্রায় হাজার খানেক তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। মন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। কিন্তু, প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। এখানে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তির ছোড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি এই ঘটনার পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “যে তির ছুঁড়ছে, সে কি জানে না যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Nisith Pramanik) গাড়ি বুলেটপ্রুফ? সেখানে তির ছুড়ে কিচ্ছু হবে না। আসলে ১৫০ টি আসনেও বিজেপি মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। আর যেগুলো করেছে সেগুলি ভুলে ভরা। তাই, বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এখন এসব হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে। আর ১৪৪ ধারা আমি শুধু নয়, তৃণমূল কর্মীরা কেউ ভঙ্গ করেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে মন্ত্রী, নির্দলে দাঁড়ালেন তৃণমূলের নেত্রী

    Panchayat Election: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে মন্ত্রী, নির্দলে দাঁড়ালেন তৃণমূলের নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) প্রার্থী পদে টিকিট বিলি করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। এমনটাই অভিযোগ করলেন শাসক দলের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী জুবেদা বিবি এবং তাঁর স্বামী ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন তাঁরা। এমনকী মন্ত্রীর ভাই সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে টিকিট দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন এ বছর নির্দল হিসেবেই পঞ্চায়েতে তাঁরা লড়াই করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরফ থেকে এই অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

    কী বললেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীরা?

    সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী জুবেদা বিবি বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং তাঁর ভাই জেলার সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান সহ তাঁদের অনুগামীরা অযোগ্যদের প্রার্থী করেছে। আমি গত পাঁচ বছরের সভানেত্রী থাকাকালীন এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার আমাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই, আমাদের অঞ্চল থেকে  নির্দল হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যদিকে, জুবেদার স্বামী তথা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক বলেন, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন তাঁর ভাই জম্বু রহমান সহ একাধিক নেতা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থী পদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন প্রার্থীদের কাছ থেকে। ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি হয়েছে। সমস্ত টাকা মন্ত্রীর পকেটে ঢুকেছে। আমরা টাকা দিতে পারিনি বলে আমাদেরকে প্রার্থী করা হয়নি। একটা সময় আমরা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল বলেই পরিচিত ছিলাম। এখন অযোগ্যদেরকে টাকার বিনিময়ে টিকিট দিচ্ছেন মন্ত্রী ও তাঁর অনুগামীরা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।  

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তিনি পাল্টা বলেন, আশরাফুল কে এবং তাঁর কী পরিচয়? ওদের কথার কোনও ভিত্তি নেই। ওরা নির্দল হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কোনও প্রভাব পড়বে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                                                                                                                  

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়া ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের হিরিক শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় শাসকদলের নিচু তলায় ক্ষোভ বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অনেক জায়গায় অযোগ্য ও বিতর্কিতদের দল প্রার্থী করায় শাসকদলের এই কোন্দল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। পুরনো অনেক তৃণমূল নেতা অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে সেই দলের প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কেউ আবার নির্দল হয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কারা তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়,তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রঞ্জন রায়, বঞ্চুকামারী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জগদীশচন্দ্র রায় সহ অনেকেই দলীয় পথ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তোমার গ্রামের একসময়ের তৃণমূলের বিধানসভার প্রার্থী স্বপন কুজুর নিজে অনুগামীদের নিয়ে দুদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবারে বিরোধীদল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতা?

    দলের নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে আমাকে দল প্রার্থী করবে বলে অনেক আগে থেকেই সেখানে সাংগঠনিক কাজকর্ম ও রাজনৈতিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছিলাম।  কিন্তু, শেষ মুহূর্তে দেখা যায় বাইরে থেকে একজনকে এনে সেখানকার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী করা হয়। দলের নীচু তলার কর্মী সমর্থকরা কেউ এটা মানতে পারছেন না। তাদের কাছে আমাকেও জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছি। সুরেশবাবু দলীয় পদ থেকে সরে যেতেই ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শাসকদলের ভোটারদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। সুরেশবাবু রাজবংশী সমাজের একজন বুদ্ধিজীবী মানুষ। রাজবংশী সমাজে আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। ফলে, সামনের পঞ্চায়েত ভোটে সুরেশবাবুকে দল টিকিট না দেওয়ায় তার ফল শাসক দলকেই  ভোগ করতে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    শাসক দলের এই ভাঙন এবং ক্ষোভ, বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যথেষ্টই চাপে ফেলে দিয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। যদিও তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, দল যাদেরকে প্রার্থী করেছে তাদেরকেই মানুষ সমর্থন করবেন। আমরা দেখে শুনে বিচার বিশ্লেষণ করেই দলের সমস্ত প্রার্থী ঠিক করেছি। ফলে এই সময় যারা দলের বিরোধিতা করছেন তারা কেউ দলকে ভালবাসতে পারেন না। মানুষ তাদেরকে যোগ্য জবাব দেবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share