Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom) আচমকা পুলিশি হানা এবং ২ সাংবাদিককে গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই, অমিত মালব্য এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও কড়া সমালোচনা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছে? (BJP)  

    সম্প্রতি কালীপুজোতে দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। মাধ্যম অফিসের কর্মীরা পুলিশকে জানান, সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ কথা বারবার বোঝানো হলেও পুলিশ কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। আজ, বুধবার, ধৃত ২ সাংবাদিককে আদালতে পেশ করার কথা।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা (BJP) শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ মমতার পুলিশ মা কালীর মণ্ডপ রক্ষা করতে ব্যর্থ। সেই সত্যি খবর ‘মাধ্যম’ পোর্টাল সম্প্রচারিত করেছে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।‘‘ 

    মমতার সমালোচনা সুকান্ত

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মাধ্যম’ মাথা উঁচু করে থাকবে। এই লড়াই থামবে না। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে হীরক রানির বিদায় অবশ্যম্ভাবী।‘‘ 

    একাধিক প্রশ্ন তুললেন ভারতী ঘোষ

    প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কি এমার্জেন্সি জারি হয়েছে? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কোথায়? আর কতদিন এই থ্রেট কালচার সহ্য করবে রাজ্যবাসী?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    Weather Update: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে-বিকেলে বইছে উত্তুরে হাওয়া (Weather Update)। কানে চাপা দিয়েই ভোরে স্কুলের পথে গাড়িতে উঠছে ছোটরা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবদের জেলাগুলিতে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রাও নেমে আসছে। কিন্তু শীত এখনও বেশ কিছুটা দূরে। ঠান্ডার আমেজ থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে। সামান্য বৃষ্টি দক্ষিণের উপকূলের জেলায়। মেঘলা আকাশ দক্ষিণের কিছু জেলায়। বাকি রাজ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না। দিন ও রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য পতনের সম্ভবনা। উল্লেখযোগ্য পারদ পতন এই সপ্তাহে হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    বাংলায় নিম্নচাপের প্রভাব

    আবহবিদরা (Weather Update) জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ফের বঙ্গোপাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল। এর জেরে উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস হইবে। আজ ভোর থেকে উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বেলার দিকে কখনো আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামার সম্ভাবনা কম। আগামী চার-পাঁচ দিন তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কার্যত নেই। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ার কারণে সকালের দিকে কিছু কিছু এলাকায় কুয়াশা বা ধোঁয়াশার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা ফ্রি হয়ে গেল তাইল্যান্ডে

    শীতের আগমনী

    আলিপুর হাওয়া (Weather Update) অফিস জানাচ্ছে, মঙ্গলবারও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামেনি। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা নেমে আসছে ৫৫ শতাংশে। সেই কারণেই নভেম্বরে শীতের যে আমেজ ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করা হয়। তবে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে তেমন ভাবে শীতের অনুভূতি পাওয়ার সম্ভাবনা কমই। নিম্নচাপের প্রভাব কাটিয়ে বৃহস্পতিবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা অন্তত ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শীতের কামড় ভালোই অনুভূত হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভোরে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ১১.৯ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল বলে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস। কালিম্পংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নেমে আসে ১৭.৩ ডিগ্রিতে। পাল্লা দিচ্ছে পশ্চিমের জেলাগুলোও। পুরুলিয়াতে তাপমাত্রা মঙ্গলবার ১৬ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় হিন্দুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jotirmoy Singh Mahato)।

    ঠিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (BJP)

    চিঠিতে (BJP) লেখা হয়েছে,  “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসব উদযাপনের সময় প্রতিনিয়ত বাধা, পাথর ছোড়া এবং হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু উত্সব এবং ধর্ম পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী হিংসামূলক ঘটনাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন যা মৌলবাদী উপাদানগুলিকে উত্সাহিত করে বলে মনে হয়। হিন্দু উত্সব এবং ধর্মীয় পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা তদন্ত করুন।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যপাল হিসেবে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপনার কিছু ক্ষমতা রয়েছে, যা এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    রাজাবাজারের ঘটনা উল্লেখ চিঠিতে

    সাংসদের (BJP) চিঠিতে রাজাবাজারের ঘটনাও উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শুধু এই বছর রাজ্যজুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি কালী পূজার বিসর্জন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, পুলিশ পরে বিষয়টিকে “পার্কিং বিরোধ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পক্ষপাতিত্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।” প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিল চলছিল। সেই সময়  উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গা- রাজাবাজারে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়, ফাটায় টিয়ার গ্যাসের সেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ মাধ্যমের বাক স্বাধীনতায় (Freedom Of Speech) হস্তক্ষেপ। মঙ্গলবার দুপুরে মমতার পুলিশ আচমকাই হানা দেয় মাধ্যম কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom)। অফিস কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের দফায় দফায় জেরা চালাতে থাকে। সম্প্রতি কালীপুজোতে কালিন্দীতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে-এ কথা বারবার বোঝানো হলেও তারা কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এক কর্মীর মা বাড়িতে একা থাকেন এবং তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, একথা বলা সত্ত্বেও তারা তাতে কান দেয়নি।

    দুপুরে আসে পুলিশ    

    এদিন দুপুরে অফিসের কাজকর্ম অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। হঠাৎ পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। তারা আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছে বলেও দাবি করে। তাদের মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে এবং বারবার তাঁর ভাষণে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা শব্দটি অবলীলায় ব্যবহার করে থাকেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক (Freedom Of Speech) যখন তাদের বারবার বোঝাতে থাকেন, তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ফিরে এসে যা দেখেছেন সেটাই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে (Madhyom)। এর মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার কোনও প্রবণতা ছিল না। কিন্তু মমতার দলদাস পুলিশ সেসব কথায় কর্ণপাত করেনি। 

    প্রতিহিংসার রাজনীতি

    মমতার পুলিশের আক্রমণের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। সাংবাদিক মহল থেকেও এই ঘটনার ধিক্কার (Madhyom) জানানো হয়েছে।

    ,

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই রাজ্যের নারীরা কি সুরক্ষিত? তৃণমূলের শাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দোষীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র চেক দিয়েই ধামাচাপা দিতে চান। একাধিক অভিযোগের বাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। একদিনের দলীয় কর্মশালায় বক্তব্য রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার (Bulldozer) দাঁড়িয়ে থাকবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন (Sukanta Majumder)?

    পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের কর্মশালায় মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” সুকান্তর মুখে বাংলার বুলডোজার (Bulldozer) নীতিতে যেন উত্তর প্রদেশের যোগীরাজের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    কেন্দ্রের অন্নপূর্ণা প্রকল্প

    এদিন এই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রকল্পের কথা বলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের তিন হাজার করে টাকা দেবে বলে জানানো হয়। তাঁরা কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই ভাবে রাজ্যের নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ দিয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন। তবে নারী নির্যাতন রুখতে যোগী বাবার বুলডোজার (Bulldozer) অন্যতম প্রধান অস্ত্র সেই দিকটার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কয়েকমাস ধরে অব্যাহত নারী নির্যাতন

    উল্লেখ্য রাজ্যে গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ তথা বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসে জয়নগর, কৃষ্ণনগর, মালদা, চাঁচল, ভূপতিনগর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশেষ বিল পাশ করলেও এখনও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই বিজেপি এবার বুলডোজারের (Bulldozer) কথা তুলতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার জোরকদমে ছটপুজোর (Chhath Puja 2024) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উৎসব মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও উদযাপিত হয়। উৎসবটি (Festival) সূর্য দেবতা (সূর্য) এবং ছঠি মাইয়া (মা ষষ্ঠী), যাকে সূর্যের বোন বলে বিশ্বাস করা হয়, তাদেরকে উৎসর্গ করা হয়। পবিত্র উৎসবটি চার দিন ব্যাপী উদযাপিত হয়। পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সূর্য দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য কঠোর আচার এবং উপবাস পালন করা হয়। এবছর ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত উৎসবটি পালিত হবে।

    কীভাবে ছট পালিত হয়? (Chhath Puja 2024)

    উৎসবটি (Chhath Puja 2024) শুরু হয় ‘নাহে খায়ে’ (স্নান এবং ভোজ) দিয়ে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একটি ধর্মীয় স্নান করে এবং একটি সাধারণ খাবার গ্রহণ করে। পরের দিন, ভক্তরা ‘খরনা’ পালন করেন, যার মধ্যে সারা দিন উপবাস থাকে, সূর্যাস্তের পর দেবতাদের উদ্দেশে নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। ছট পালনকারী ব্যক্তি পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে কলা পাতায় একই খাবার খেতে জড়ো হওয়ার আগে রোটি (চাপাটি) এবং খির (পায়েশ) খাবার গ্রহণ করেন। তৃতীয় দিনে ভক্তরা, সাধারণত মহিলারা, জলাশয়ে, তা নদী হোক বা পুকুর, সূর্যোদয়ের আগে জড়ো হন। কোমর-গভীর জলে দাঁড়িয়ে, তাঁরা উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য (জল নিবেদন) দেয়, স্তোত্র ও প্রার্থনা করেন। ছট পুজোর এই অনন্য দিকটি পবিত্রতা, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং জীবনের ধারাবাহিকতার প্রতীক। অস্তগামী (ঊষা) সূর্য আরেক দফা অর্ঘ্যের সাক্ষী, এইবার দিনটিকে বিদায় জানাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    ছট কখন উদযাপিত হবে?

    নাহে খায়ে: ৫ নভেম্বর (Chhath Puja 2024) সকাল ৬:৩৬ থেকে বিকেল ৫:৩৩ পর্যন্ত। খরনা: ৬ নভেম্বর সকাল ৬:৩৭ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। সন্ধ্যা অর্ঘ্য: ৭ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। উষা অর্ঘ্য: ৮ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩১ পর্যন্ত।

    ছট কেন অনন্য?

    বিহারীদের কাছে এই উৎসবের (Chhath Puja 2024) একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে, যারা একে মহাপর্ব (মহোৎসব) বলে মনে করেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ বিহারীরা এই উৎসব উদযাপন করতে নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে আসেন। যেটি ছটকে একটি অনন্য উৎসব করে তোলে তা হল যে কোনও ব্যক্তি উৎসবটি পালন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে নালিশ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে নালিশ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ফুটবল ময়দানে ঢুকে গেল রাজনীতি। বিধানসভা উপনির্বাচনে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ময়দানের তিন প্রধান ক্লাবের কর্তারা। যা বাংলার ময়দানি ফুটবলে বেনজির ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তদন্ত এবং হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একটি বেনজির এবং অনৈতিক পদক্ষেপে, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মতো ফুটবল এবং স্পোর্টিং ক্লাবের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা নৈহাটির আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে সমর্থন করেছেন। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ফুটবলের গভর্নিং বডির সেক্রেটারি; আইএফএ (ভারতীয় ফুটবল সংস্থা); অনির্বাণ দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেছেন যা নির্বাচনের আগে সনৎ দে-এর পক্ষে সমর্থন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে স্পোর্টিং ক্লাব এবং গভর্নিং বডিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দ্বারা এই ধরনের নির্লজ্জ রাজনৈতিক সমর্থন প্রার্থীর সঙ্গে ক্লাব এবং গভর্নিং বডির নাম যুক্ত করার একটি অন্যায্য কৌশল, যা সম্পূর্ণরূপে খেলাধূলোর মতো নয় এবং আচরণবিধির লঙ্ঘনও। আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছি, মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে অনুরোধ করছি দয়া করে বিষয়টি বিবেচনা করুন, একটি তদন্ত শুরু করুন এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

    বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা!

    সম্প্রতি, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের সমর্থকরাও কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। এবার তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে কর্তাদের একজোটে ভিডিও বার্তা, বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা। এমনকী তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র প্রচারে রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ কর্তাও। প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসন – নৈহাটি, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই, মাদারিহাটসহ ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে ১৩ নভেম্বর। আর ২৩ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CID: নৈহাটি উপনির্বাচনের আগেই অর্জুনকে তলব করল সিআইডি, ভুল ধরালেন শুভেন্দু

    CID: নৈহাটি উপনির্বাচনের আগেই অর্জুনকে তলব করল সিআইডি, ভুল ধরালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটি (Naihati) বিধানসভা উপনির্বাচনের ঠিক আগে   আগামী ১২ নভেম্বর বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহকে তলব করল সিআইডি (CID)। আগামী ১৩ নভেম্বর নৈহাটি-সহ রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। তার আগে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেষ হবে প্রচারপর্ব। প্রচারপর্ব মেটার পরের দিন চার বছরের পুরনো একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুনকে। সিআইডি তলবের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।

    সরব হলেন শুভেন্দু (CID)

    এই ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সেই চিঠির কপি তুলে ধরে পুলিশকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দুধ দিয়ে কয়লা ধুলেও তার রঙের বদল হয় না, কুকুরের লেজ সোজা হয় না। কোর্টে যতই ধাক্কা খাক না কেন! মিডিয়ার যতই সমালোচনা হোক না কেন মমতার পলিশের হুঁশ ফেরে না। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যিনি জিডি, এফআইআরের সময় ওলটপালট করে ফেলেছিলেন তারপরেও শিক্ষা হয়নি পুলিশের। এবার সিআইডি সিআরপিসি ১৬০ ধারায় সিনিয়র বিজেপি নেতা, প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে তলব করেছে। ১২ই নভেম্বর তাঁকে হাজির (CID) হতে বলা হয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে নোটিশতে সই করা হয়েছে ৫ তারিখে। আর সেটা পাঠানো হয়েছে ৪ নভেম্বর। তবে কি রাজ্যের সিআইডির কাছে টাইম মেশিন রয়েছে! সেটা কেমন আমরা জানি না। এটা থেকেই আসল রাজনৈতিক অভিপ্রায়টা বোঝা গিয়েছে। রাজ্যের এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা এনিয়ে আদালতে যাব। আসলে কেউ যখন কর্তৃত্বকে অপব্যবহার করে কিছু করার চেষ্টা করে তখনই এই ধরনের সময় আর তারিখের গণ্ডগোল হয়ে যায়।’ তবে এবার এনিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আদালতে এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার।

    ভয় দেখাতে তলব

    সিআইডির (CID) তলব প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন বলেন, “আমাকে ভয় দেখাবে বলে ওরা ডেকেছে। আমি ভয় পাই না।” তবে তলবে সাড়া দিয়ে তিনি ১২ নভেম্বর ভবানী ভবনে সিআইডির সদর দফতরে হাজির হবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি অর্জুন। প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের গোড়া পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরেই ওই পুরসভার সাড়ে চার কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সিআইডির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরু করেছিল। ২০২১ সালেও এই মামলায় অর্জুনকে তলব করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    BJP: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনা প্রকল্পে (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত (ED Probe) দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। সোমবারই এই ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে যে তালিকা জমা দিয়েছিল, তাতে জল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এখন রাজ্য নিজে খরচ করার আগে তালিকা যাচাই শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তার বড় অংশে অযোগ্যদের নাম রয়েছে বলে রাজ্যই জানতে পেরেছে।’’ ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা।

    কেন্দ্রের অপব্যয় হয়েছে ৫.৫ হাজার কোটি, দাবি বিজেপির (BJP)

    ২৯ অক্টোবর শেষ হয়েছে আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষা। ৩০ অক্টোবর এক বৈঠকে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আবাস যোজনার ২২.৭৬ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে। জগন্নাথ বলেন, ‘‘২০১৬ – ২২ সাল পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে রাজ্য সরকার ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার বাড়ি বানিয়েছে। ২২.৭৬ শতাংশ অযোগ্য ধরলে সেই তালিকায় ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার অযোগ্য প্রাপক রয়েছেন। যাদের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি বাজে খরচ হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে কেন্দ্রের অপব্যয় হয়েছে ৫.৫ হাজার কোটি টাকা।’’

    আরও পড়ুনঃ মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    সব চেয়ে বেশি নাম বাতিল হয়েছে নদিয়া জেলায়

    তিনি বলেন, ‘‘আমরা (BJP) এই দুর্নীতির (Awas Yojana) ইডি তদন্ত চাই। যে সব আধিকারিক বা রাজনৈতিক নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। সেই দাবিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব।’’ জগন্নাথের দাবি, সব চেয়ে বেশি নাম বাতিল হয়েছে নদিয়া জেলায়। সেখানে ৩৮.২৩ শতাংশ নাম ‘অযোগ্য’ বলে সরকারি তথ্যে উঠে এসেছে। এছাড়া অযোগ্য নামের তালিকা যে জেলাগুলিতে বেশি সেগুলি হল, পশ্চিম বর্ধমান (৩৭.৩১ শতাংশ), মালদা (৩৫.৪৭ শতাংশ), হাওড়া (৩২.১২ শতাংশ) এবং মুর্শিদাবাদ (৩২.০১ শতাংশ)।

    এখানেই শেষ নয়। সমীক্ষার ফলে কেন্দ্রের অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছে বলেও দাবি করেন জগন্নাথ। বিজেপি (BJP) নেতা জানান, মোট ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা হয়েছিল। তার মধ্যে ৪ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রের হিসাব অনুসারে রাজ্যে এখনও ৪৫ লক্ষ বাড়ি (Awas Yojana) বানাতে হবে। অর্থাৎ সমস্ত বাড়িতে সমীক্ষা হলে ১০ লক্ষ ২৪ হাজার আবেদন বাতিল হত। অর্থাৎ সমীক্ষা না করে বাড়ির টাকা দিয়ে দেওয়া হলে ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অকারণ খরচ হত বলে দাবি করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share