Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার মঙ্গলবার ফের একবার তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি (ED Raid in Kolkata)। সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে ফিরে এল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্রিয়াকলাপের প্রতিচ্ছবি। গত বছরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দেয়। সে সময়ই নিজের মোবাইল ফোনটি পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। তা উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আসছেন এ খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন কৈখালির জনৈক ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ছিল কি ফোনে?

    কৈখালির ওই ব্যবসায়ী ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। আপাতত ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীরা পৌঁছে যান সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা (ED Raid in Kolkata) দিয়েছেন জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, এই বিশ্বজিৎ রেশনকাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রেশনকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা নয়-ছয় হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid in Kolkata)। মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে ‘অ্যাকশন’ ইডি-র। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। 

    সাত-সকালে দুয়ারে ইডি

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid)। একটি দল সল্টলেক আইবি ব্লকে পৌঁছেছে। নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা। এছাড়া— পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিট, বন্দর এলাকা, বাগুইহাটি-কৈখালি এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। এদিন ২টি মামলায় মূলত তল্লাশি চলছে। একটি রেশন দুর্নীতি, অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে।

    শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ!

    ইডি (ED Raid in Kolkata) সূত্রের খবর, শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রেশনকাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি-র আরও দাবি, এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। রেশনকাণ্ডের (Ration Scam) এই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিশ্বজিতের। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি ।

    এছাড়া, এদিন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি। আবাসনটি হানিস তসরিওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata) চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলাকারীদের বক্তব্য, “গোটা সন্দেশখালি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে রয়েছে। মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও, হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”

    শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা

    আইনজীবীদের যাতে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।

    সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল

    এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কড়া শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর মহিলারা তাঁর হাতে পরিয়ে দেন রাখি। এদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন (Calcutta High Court) রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ইডির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাহিনী। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের তাজা নেতা শাহজাহান। শাহজাহান পগার পার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি শাহজাহান ও শিবুর। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে খবর (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভর্ৎসনা করা হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। মূলত বসিরহাট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃতদের শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। সকলের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকতে রীতিমতো বিচারক ধমক দেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তদন্তকারী আধিকারিককে কী বললেন বিচারক? (Sandeshkhali)

    রবিবার নিরাপদ সর্দারদের বসিরহাট আদালতে তোলার কথা ছিল। সেইমতো ধৃতদের আদালতে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখতে হয়। কারণ, আদালতে পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে পারেনি। সেই একই ঘটনা ঘটল সোমবারও। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালির শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে এদিন ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। ‘অপদার্থের মত কাজ’ বলে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। ‘বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত’। সন্দেশখালির পারদ তো চড়েই আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের তরফে রবিবারের ঘটনার রেশ টেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারকের। তাতে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। ধৃতদের আদালতে পেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয় সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। সোমবারও শুনানি স্থগিত রাখা হয়। বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দেন, আজকের মধ্যেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত সমস্ত কেস ডায়েরি ও গ্রেফতারের যে কাগজপত্র তা জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সম্পূর্ণ শুনানি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলা বাজারে রেশনের চাল-ডাল বিক্রির অভিযোগ। এবার রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ইডির কাছে অভিযোগ করে চিঠি করলেন বঞ্চিত গ্রাহকেরা। অবৈধ ভাবে ওই রেশনের ডিলার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য। উদ্ধার হয়েছে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হিসেব। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। এরপর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা রাজনৈতিক ভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এবার এই রেশন দুর্নীতির কথা বলে সরব হয়েছে গ্রাহকেরেই।

    মূল অভিযোগ কী(Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলের সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকেরা কলকাতার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরকে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, সমাসেরগঞ্জের গোরুরহাটের সিতারা বেগম এমআর ডিসট্রিবিউটার। মূলত তাঁর কাজ দেখা শোনা করেন দুই ভাইপো ওয়াসিম হোসেন এবং হোসেন মহম্মদ কাইজার। তাঁদের কাছে মোট বরাদ্দ রেশনের ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য, চাল, গম এবং আটা, রঘুনাথগঞ্জের একটি চালকলে বিক্রির করে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক মাসে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো যে রেশন সাধারণ মানুষের প্রাপ্য সামগ্রী, সেই রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি অবৈধ কালো টাকা আয় করেছে ডিলার। ঘটনায় সরব এলাকাবাসী।

    মোট রেশন সামগ্রীর পরিমাণ

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে মোট রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার পরিমাণ জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ফুড কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে এমআর ডিস্ট্রিবিউটর প্রতি মাসে ৬০০টি লরিতে ৬০ হাজার কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী তুলে থাকে। প্রতি লরিতে ১০০ কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী থাকে। এর মধ্যে ২০০ লরি খাদ্য সামগ্রী চালকলে বিক্রি করে আয় করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। রেশনের সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে-মিলের খাদ্যও খোলা বাজারে বিক্রি করার কাজ চলছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিরাট পরিমাণ বেআইনি এবং দুর্নীতির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলতেই এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর সাফ কথা, সন্দেশখালিতে যে অরাজকতা হয়েছে, তা আদতে রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলারা মিডিয়ার কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিটি ঘরে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের নিশানা করত। মমতার গুন্ডারা প্রতি রাতে মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা।” স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, “এই মহিলাদের বক্তব্যগুলি শুনুন, মহিলাদের বাড়িতে এসে চিহ্নিত করে যেত তৃণমূলের গুন্ডারা। এরা সকলেই শেখ শাহজাহানের লোক। বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা মেয়েদের ধর্ষণ করছে। এ সবই হয়েছে সরকার ও প্রশাসনের মদতে।”

    অন্ধের রাজত্ব

    তিনি বলেন, বাংলায় অন্ধের রাজত্ব চলছে। মহিলারা বলছেন, এসবই হত পুলিশের সামনে। এরা সবাই শেখ শাহজাহানের লোক। রাজ্য সরকার বা প্রশাসন কোনও কাজ করছে না। আর বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিরোধী দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার মহিলারা। তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা সাহায্য ও নিরাপত্তার জন্য চিৎকার করছেন।”

    তৃণমূলের গুন্ডাদের কীর্তি!

    স্মৃতি বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়েছে, তুমি স্বামী হতে পার, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার নেই। মহিলারা বলছেন, নিয়ে চলে যাবে রাতের পর রাত। যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ তোমার রেহাই নেই।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে হবে শাহজাহান কোথায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি রাজনৈতিক লাভের জন্য তফশিলি জাতি, মৎস্যজীবী পরিবার, কৃষক সম্প্রদায় ও তাঁদের মহিলাদের সম্মান নষ্ট করেছেন।”

    সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এখন সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যাতে মহিলারা জমায়েত করতে না পারেন এবং কথা বলতে না পারেন।” তাঁর (Smriti Irani) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তৃণমূলের গুন্ডাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করতে দিলেন, যাতে মহিলাদের ধর্ষণ করে লাগাতার ধর্ষণ করা যায়?”

    আরও পড়ুুন: ছোট হচ্ছে ইন্ডি জোটের ‘পিন্ডি’, আড়েবহরে বাড়ছে এনডিএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কটাক্ষ করলেন। স্কুলের পড়ুয়াদের একটাই মাত্র খেলার মাঠ ছিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের আখরিগঞ্জ হাই স্কুলে। এই মাঠের বিষয় নিয়ে স্কুলের পড়ুয়ার অভিভাবকেরা মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এই মামলার পাশে দাঁড়িয়েছে স্কুলের কর্তৃপক্ষও। এই মাঠে আরও একটি স্কুল নির্মাণ করতে গেলে খেলার মাঠ রক্ষা প্রসঙ্গে বিচারপতি, রাজ্য সরকারকে বলেন, “বলুন আমি সর্ব শক্তিমান, যা চাইবো তাই করে দিতে পারি।”

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “বলুন না আমি সর্ব শক্তিমান, আমি যা চাইবো, তাই করে দিতে পারি।” একই সঙ্গে আরও বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আদালতে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে না পারে তাহলে স্কুল নির্মাণের কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।” আবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, “জমিটি সরকারের তাই জমিতে কী করা হবে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।” এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, “অন্যের জায়গায় নতুন নির্মাণ! যা খুশি করুন। স্কুল ভেঙে দিন। মানুষকে আর শিক্ষা দিতে হবে না। স্কুলটি সরকার পরিচালিত হওয়ার পরেও সরকার তাঁর বিরোধিতা করছে। ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে।” আবার পালটা রাজ্য বলে যে খেলার মাঠের জমির পরিমাণ ১.৭৮ একর। ওখানে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নির্মাণ করতে চাই। উত্তরে বিচারপতি বলেন, “দুই স্কুলের জন্য এক একর জমি খেলার মাঠের জন্য ছেড়ে রাখুন। জেনে আসুন কী করবেন? না হলে ওই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেবো।”

    খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগ কী?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “স্কুলের তিন হাজার পড়ুয়া খেলা করে। স্কুলের মাঠ একটাই। স্কুলের জমিদান করেছিলেন একজন ব্যক্তি। কিন্তু একই জমিতে আরও একটি স্কুল খুলতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার। ফলে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য কোনও খেলার মাঠ থাকবে না। এই খেলার মাঠ রক্ষার জন্য হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা হয় এবং এই মামলায় প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। এরপর রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) হস্টেলে ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিবারের তরফ থেকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং হোস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

    মৃত পড়ুয়ার পরিচয় (Durgapur)

    স্থানীয় (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম রাজদীপ সরকার, বয়স ১৮। পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামের দাড়িয়াপুরের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার ২৫ নম্বর ওয়র্ডের ফুলঝোড় মোড়ের কাছেই একটি বেসকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। কলেজের হোস্টেলই থেকে পড়াশুনা করতেন রাজদীপ।

    মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য

    মৃত পড়ুয়া রাজদীপের জেঠু চঞ্চল সর্দার বলেন, “রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজের (Durgapur) হোস্টেলের ছাদ থেকে রাজদীপ পড়ে গিয়েছে বলে কলজে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতলে যেতে যেতেই আমরা মৃত্যুর খবর পাই। তবে রাজদীপের চোখে মুখে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ একবার বলছে ছাদ থেকে মৃত্যু আবার বলছে বিছানা থেকে পড়ে মৃত্যু! উভয় ঘটনায় ব্যাপক সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ব়্যাগিং করা হয়েছে।”

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ঘটনায় কলেজ (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অধ্যক্ষ রাজদীপ রায় জানিয়েছেন, “ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ মিথ্যা। রাজদীপ এবং সিদ্ধার্থ নামের এক পড়ুয়া গল্প করছিল। সেই সময় বিছানা থেকে পড়ে যায়। মেঝেতে থাকা স্টিলের একটি গ্লাসে আঘাত লাগে তাঁর মুখে। তাই চোখে মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।” অপর দিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক মোদি জানান, “পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakrabarty: ‘‘আমি রাক্ষস, গোগ্রাসে খাই’’, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কেন বললেন মিঠুন?

    Mithun Chakrabarty: ‘‘আমি রাক্ষস, গোগ্রাসে খাই’’, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কেন বললেন মিঠুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakrabarty)। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই অনুরাগীদের জানিয়ে দিলেন তিনি একেবারেই সুস্থ রয়েছেন। এখন কোনও সমস্যা নেই। তবে সমস্যার কারণও উল্লেখ করেছেন তিনি। ডায়াবেটিক রোগীদের সতর্ক করেছেন। একই সঙ্গে দিয়েছেন রাজনৈতিক বার্তাও। মহাগুরু জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে পুরোদস্তুর প্রচার করবেন তিনি। মিঠুন হাসপাতালে থাকাকলীন ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কুশল সংবাদ নিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মিঠুন বলেন, ‘‘দারুণ শ্রদ্ধা করি প্রধানমন্ত্রীকে।’’ 

    ডায়াবেটিক রোগীদের সতর্কবার্তা

    হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মিঠুন বললেন, ‘‘কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা খাওয়াতে। আমি গোগ্রাসে খাই।’’ এর পর ডায়াবিটিস রোগীদেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, ভাববেন না মিষ্টি না খেলে কিছু হবে না। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।’’ তিনি যে চিনি একটু বেশি খান তাও জানালেন। চিকিৎসকদের কাছে এ জন্য বকা খেয়েছেন বলেও জানান মিঠুন। জানিয়ে দিলেন, শুটিংয়ে ফিরবেন শিগগিরিই। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোরে যাওয়ার কথা। আক্ষেপ করে বললেন, ‘২ টো দিন নষ্ট হয়ে গেল’

    আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

    ভোটের প্রচারে মিঠুন

    আগামী লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন? মিঠুনের জবাব, না একদমই না। বিজেপি নেতার সাফ জবাব, ‘‘আমি প্রার্থী হলে ৪২টা আসন কে দেখবে?’’ তবে তাঁকে প্রচারের ময়দানে পুরোদস্তুর পাওয়া যাবে বলেও সোমবার জানিয়েছেন মিঠুন। তাঁর কথায়, ‘‘একদম। ১ তারিখ থেকে লাগাতার প্রচার। বিজেপির হয়েই করব। আমাদের রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যে যদি ডাকে সেখানেও যাব।’’ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সময় এসেছে, মানুষের জেগে ওঠা উচিত। যা হচ্ছে, মানা যায় না।’’ দেব তাঁকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন। তবে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ‘প্রজাপতি’ ছবির সহঅভিনেতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেব এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি রাজনৈতিক কোনও কথা বলি না। খুব বুদ্ধিমান ছেলে দেব। ভাল ছেলে। তবে রাজনৈতিকভাবে মন্তব্য করব না।’’ শনিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠুন। ভর্তি করানো হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন মিঠুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্প দূরত্বের দুই শহরের মধ্যে ঘন্টাপ্রতি ১৩০ কিমি গতির ‘বন্দে মেট্রো’ (Vande Metro) ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় রেল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বন্দে মেট্রো’ ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা দুই গন্তব্যের মধ্যে চলবে। বন্দে ভারত ট্রেনের আদলেই বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলিকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে মেট্রো ট্রেন প্রকল্পের কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২০২৩ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন।

    রেলের জিএম কী জানালেন (Vande Metro)?

    রেলের বন্দে মেট্রো (Vande Metro) এই প্রজেক্ট সম্পর্কে রেলের কোচ তৈরি কারখানা ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) জিএম বিজি মালিয়া বলেছেন, “কম দূরত্বের জন্য দ্রুত, দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রায় বন্দে মেট্রো ট্রেন চলবে। এই ট্রেন বন্দে ভারতের ডিজাইনেই প্রস্তুত করা হবে। বন্দে মেট্রোগুলিকে মেইনলাইন ইএমইউ-এর জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। এখন এই প্রজেক্টের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কিমির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে জানুয়ারি ২০২৪ থেকেই।”

    কেমন হবে বন্দে মেট্রো ট্রেন দেখতে?

    রেলের সূত্রে জিএম বিজি মালিয়া বলেন, “বন্দে মেট্রো (Vande Metro) ট্রেনগুলির গঠন দেখতে অনেকটাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই হবে। কিন্তু পার্থক্যও থাকবে, যা হল বন্দে ভারতের চেয়ারকারের মধ্যে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না কিন্তু এই মেট্রোগুলিতে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে। এই ট্রেনে ১০০ জন যাত্রী বসার সুযোগ থাকবে এবং ২০০ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যাত্রা করার সুযোগ পাবেন। ট্রেনগুলি স্বয়ংক্রিয় এবং বাতানুকূল থাকবে। মূলত মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির জায়গায় এই ট্রেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হবে। যাত্রীরা স্বল্প সময়ে নিরাপদ দূরত্বে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।”

    আর কী কী সুবিধা  থাকবে ট্রেনে?

    এই বন্দে মেট্রো ট্রেনের (Vande Metro) সর্বোচ্চ গতি থাকবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ট্রেনের কামরা পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ট্রেনের বডির ওজন বেশি ভারি করা হবে না। ট্রেনের সিট হবে হালকা গদি যুক্ত। বেশ প্রসস্থ এবং স্লাইডিং যুক্ত দরজা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, পিআইএস সিস্টেম এবং এলসিডি। স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভিতরে। মোবাইল চার্জ করার প্লাগ থাকবে। ভ্যাকুয়াম ইভাকুয়েশন সিস্টেম সহ মডুলার টয়লেট থাকবে। এছাড়াও থাকবে রুট নির্ধারণের লাইটের ব্যবহার কামরার ভিতরে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share