Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।‌ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক থাকা জরুরি। আর এর মধ্যেই রাজ্যে আরেক বিপদ! বছর শেষে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে কালাজ্বর (Black Fever)। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের দাপট বাড়ছে। তাই ডেঙ্গি, করোনার মাঝে রাজ্যবাসীর জন্য নয়া বিপদ তৈরি করেছে কালাজ্বর।

    কী বলছে সরকারি তথ্য? (Black Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে রাজ্যে ১৪ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়ার এক বাসিন্দা কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ফলে, উদ্বেগ বাড়ছে। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি মানুষ চলতি বছরে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ জন আক্রান্ত।  ২০০৩ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশ থেকে কালাজ্বর (Black Fever) নির্মূল করার একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পাশপাশি রাজ্যগুলোকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। তবেই এই জ্বর দেশ থেকে নির্মূল হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    কালাজ্বর থেকে সতর্ক থাকতে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। জ্বরের পাশপাশি এই রোগ হলে বমি, পেটে যন্ত্রণা, গোটা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। পাশপাশি খিদে একদম কমে যায়। ত্বকের একাধিক জায়গায় কালো ছোপ হয়। অনেকের কালাজ্বর হলে ডায়েরিয়া হয়। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের কালাজ্বর (Black Fever) হলে জ্বর ছাড়া আর কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তাই দীর্ঘদিন জ্বর আর পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, চিকিৎসা শুরুতে দেরি হলে বিপদ বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বিপদ বাড়ায় কালাজ্বর? (Black Fever) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে পাকস্থলী এবং লিভারে প্রভাব পড়ে। পাকস্থলীতে ঘা হতে পারে। পাশপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এই দুই অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে বড় সমস্যা দেখা যায়। তাই কালাজ্বরের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি, কালাজ্বর সংক্রমণ ছড়ায়। মাছির মাধ্যমে এই রোগ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে‌। তাই একজনের এই রোগ (Black Fever) বাসা বাঁধলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা জরুরি। সংক্রামক রোগে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে আরও বেশি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে, বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • ED Raid Kolkata: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    ED Raid Kolkata: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় হানা দিল ইডি। বড়বাজার, মানিকতলা, নিউ আলিপুর সহ প্রায় ৯টি জায়গায় তদন্ত চালায় ইডির আধিকারিকরা। অভিযানে ইডির (ED Raid Kolkata) সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা এই তল্লাশি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তেই অভিযান।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    বৃহস্পতিবার সকালে ডালহৌসি অঞ্চলের একটি অফিসে, বড়বাজারের একটি অফিসে এবং সল্টলেকের বেঙ্গল কেমিক্যালসে দেখা যায় ইডি (ED Raid Kolkata) আধিকারিকদের। ইডির তরফে এই তল্লাশির কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানা না-গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রেই এই অভিযান। বড়বাজারে যে জায়গায় ইডি আধিকারিকেরা হানা দিয়েছেন, সেটি এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের অফিস বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের সূত্রেই সেখানে হানা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাল, আটার পর সরকারি চাল! ২৫ টাকা কেজি দরে বাজারে আসছে ‘ভারত রাইস’

    কেন তল্লাশি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপর পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টেরও বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন রয়েছে। তাই বছর শেষেও তৎপর ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে বড়বাজারে ক্যানিং স্ট্রিট এলাকায় রাজেশ যোশী নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের অফিসে তল্লাশির জন্য পৌঁছে যান। সূত্রের খবর, ওই অফিসের মালিকের সঙ্গেও কথা বলবেন ইডির (ED Raid Kolkata) গোয়েন্দা দল। আপাতত গোটা অফিসটি ঘিরে ফেলেছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।  অন্যদিকে বেঙ্গল কেমিক্যালস বাসস্টপের কাছে মণিকলা আবাসনের ১৬ ও ১৮ তলায় দু’জন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও তল্লাশির জন্য পৌঁছে গিয়েছে এজেন্সি। সেখানেও নানা কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শহরের এই জায়গাগুলিতে গিয়ে সেখান থেকে কোনও নথি উদ্ধার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই দলে কয়েকজন মহিলা অফিসারও রয়েছেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election 2024: শৃঙ্খলা কাম্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পথে নেমে কাজ করার বার্তা বিজেপি কর্মীদের

    Election 2024: শৃঙ্খলা কাম্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পথে নেমে কাজ করার বার্তা বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় অনুশাসন না মানলে অনুপম হাজরার মতোই পরিণতিও হবে। বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের নেতাদের এই বার্তাই দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Election 2024) রাজ্য থেকে ৩৫টি আসন লাভের জন্য একশো দিনের বিশেষ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করল রাজ্য নেতৃত্ব।

    মাঠে নেমে কাজ

    অমিত শাহ, জে পি নাড্ডাদের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে কীভাবে এগোবে দল, বুধবারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে (Bengal BJP) তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘরে বসে না থেকে লোকসভায় রাজ্যে কাঙ্খিত আসন সংখ্যা জিততে ১ জানুয়ারি থেকে আগামী একশো দিন মাঠে নেমে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশই দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অমিতাভ চক্রবর্তী, এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সহ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য পদাধিকারীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 

    ছুটি বাতিল

    বুধবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এ হওয়া বিজেপির বৈঠকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘‘এখন যাঁদের যা ছুটি নেওয়ার রয়েছে নিয়ে নিন। আগামী ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত ছুটি পাওয়া যাবে। পরের দিন ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে একেবারে ভোটগণনা পর্যন্ত কেউ কোনও রকম ছুটি নিতে পারবেন না।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, কোনও রকম আত্মতুষ্টিতে যেন না ভোগেন নেতারা সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আদি বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘উন্নয়নের টাকায় মোচ্ছব করছে তৃণমূলের চেয়ারম্যান’, বিস্ফোরক দলীয় কাউন্সিলাররা

    দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে

    লোকসভায় ভাল ফল করার জন্য দলের কর্মীদের মধ্যে সদ ভাব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে। মানতে হবে দলীয় অনুশাসনও। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকালের বৈঠকে অনুপমের ঘটনা উল্লেখ করে কড়া বার্তা দেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন ‘আমাদের দলের প্রথম এবং শেষ কথা হল শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা। সেটা না মানলে গতকাল রাতে কী হয়েছে সেটা দেখেছেন। সুতরাং, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। আমাদের দলে কেউ উপরে উঠতে গেলেই নীচ থেকে তাঁকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এসব করলে দলেরই ক্ষতি হবে। কেউ যদি দলীয় অনুশাসন অমান্য করেন তাহলে অনুপম হাজরার মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে দল৷’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯। সিবিআই হন্যে এক পুলিশ কর্তার খোঁজে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা শহরে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ভূ-ভারতে এমন নজির আর একটিও রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরাও।)

    কী বললেন শুভেন্দু?

    যে পুলিশ কর্তার জন্য এতকাণ্ড, সেই রাজীব কুমারকেই রাজ্যের ডিজি পদে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পরেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজীবকে ডিজি করে প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভালো করবেন না।”

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব। বাম আমলে তিনি বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। পালাবদলের পর বদলে যান রাজীবও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন তিনি। যার জেরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজীবের খোঁজে পুলিশ যখন হন্যে, তখন তাঁর ‘কবচ-কুণ্ডল’ হয়ে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এহেন রাজীবকে পুলিশের ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুলিশের বর্তমান জিজি মনোজ মালব্যের।

    মাঝ-এপ্রিলেই হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজীবকে পুলিশে নয়া পদ দেওয়ার নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অবশ্য একে প্রতিদান হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “সারদার প্রমাণ নষ্ট করে রাজীব কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি সিবিআইকে বলব, সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠছে না কেন? সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা পড়ে রয়েছে, তা তোলার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমরা, বাংলার মানুষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলার জন্য যা করার করব।”

    আরও পড়ুুন: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    রাজীবের পদপ্রাপ্তিতে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারকে এখন তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখেও অটল মুখ্যমন্ত্রী। তাই ডিজির পদ আলোকিত করবেন রাজীব।

    স্বাভাবিক। দুয়ারে যে লোকসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। এমন খবর সংবাদমাধ্যমের একাংশে মঙ্গলবার পরিবেশিত হয়েছিল। বুধবার, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এমন কোনও টিমই গঠন হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, “আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য রয়েছে। রাজ্যের নির্বাচনী কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে রাষ্ট্রীয় সভাপতির নাম থাকে না। এইটুকু কমন সেন্স আপানাদের থাকা উচিত।”

    কী বলছেন সুকান্ত?  

    মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই সংবাদমাধ্যম মারফৎ প্রকাশ্যে আসে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা। এও জানা যায়, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ অনেকেরই ঠাঁই হয়নি তালিকায়। ১৫ জনের ওই টিমে বাংলার ১০ জন থাকলেও, ৫ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও রাখা হয়েছিল। এদিন ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা অস্বীকার করে সুকান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও টিম গঠন হয়নি। তিনি বলেন, “নির্বাচনের যে কমিটি টিভিতে দেখানো হচ্ছে, মাননীয় অমিত শাহজি ও জেপি নাড্ডাজির নামও নাকি তাতে রয়েছে। রাজ্য নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার নাম থাকে না।” 

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    বৈঠকে শাহ-নাড্ডা

    আগামী লোকসভা ভোটের রোডম্যাপ এবং দলের পরিকল্পনা স্থির করে দিতে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। দিনভর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। নিউ টাউনের একটি হোটেলে হওয়া বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকেও। তবে (Sukanta Majumdar) বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলায় বৈঠকে ডাকা হয়নি অনুপম হাজরাকে। বৈঠক শেষে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা রওনা দেন কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, “২০২৪ কে সামনে রেখে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কীভাবে এগোবে, সেই রোডম্যাপ বলে গিয়েছেন তাঁরা। সেই রোডম্যাপের কথা আমি আপনাদের বলতে পারব না। তবে তাঁদের বাতলে দেওয়া সেই রোডম্যাপ অনুসারেই আমরা চলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। অভিযোগ, এই স্বজনপোষণের কারণেই যেমন ফুলেফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা, তেমনি বঞ্চিত হয়েছেন শাসক দল-বিরোধী দলের লোকজন। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি বহু নামী শিল্পী। এবার সেই সব প্রতিভাবান শিল্পীদের সুযোগ দিতে ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র (Sangeet Utsab) আয়োজন করছে বিজেপি।

    বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব

    উৎসব হবে ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র ব্যানারে। উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, এই উৎসবে বাংলার লোকগান থেকে ছৌনাচ, সব শিল্পীই অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই উৎসবের কথা ঘোষণা করেন আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

    কারা থাকছেন

    তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ একদিনের বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব হবে। পাহাড় থেকে সাগর, যে শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বজনপোষণের কারণে সুযোগ পান না, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।” এক্স হ্যান্ডেলে জিতেন্দ্র লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গান মেলায় শিল্পীদের প্রতি স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে মাননীয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব ২০২৪ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হল।” ট্যুইটের সঙ্গে ট্যাগ করা করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।

    উৎসব (Sangeet Utsab) হবে প্রিন্সেপ ঘাটে। অংশ নেবেন পূর্ণদাস বাউল, দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নামীদামি শিল্পীরাও। প্রসঙ্গত, এদিন থেকেই কলকাতার ১১টি মঞ্চে একযোগে শুরু হয়েছে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গীত মেলা। অনুষ্ঠান চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিল্পীরাও এই মঞ্চগুলিতে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পাবেন। রাজ্যের দাবি, প্রতিভাবান নবীন শিল্পীরাও এই মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। উৎসব (Sangeet Utsab) প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে কোনও মেলা হতেই পারে। যে কেউ তার আয়োজনও করতেই পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Purba Bardhaman: ‘চৈতন্যের বংশধর, সার্থক উত্তরসূরী মমতা’! ব্রাত্যর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Purba Bardhaman: ‘চৈতন্যের বংশধর, সার্থক উত্তরসূরী মমতা’! ব্রাত্যর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈতন্যদেবের কোনও উত্তরাধিকারী বাংলায় যদি থেকে থাকেন তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্বস্থলী ১ নম্বর (Purba Bardhaman) ব্লকের খাল-বিল, চুনো মাছ, পিঠে-পুলি ও প্রাণীপালন উৎসবে এসে মঙ্গলবার বিকেলে এমনই বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন, চৈতন্যদেব কোনও দিন বিভাজনের রাজনীতি করেননি, চৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী যদি বাংলায় কেউ থেকে থাকেন তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী’। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৈষ্ণবভক্তারা বিষয়টি একদম ভালোভাবে নেননি বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বিজেপিও তীব্র কটাক্ষ করেছে।

    চৈতন্যের বংশধর (Purba Bardhaman)

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রীচৈতন্যের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “চৈতন্যের বংশধর সার্থক উত্তরসূরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈতন্যদেব একটি বিশেষ রাজনীতির কথা বলেছিলেন। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। কাউকেই আলাদা দেখেননা। আমি এখানে এসে খুব আনন্দ পেলাম।” উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আগেও এমন ভাবে মহাপুরুষের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ডাক্তার নির্মল মাজি সারদা মায়ের সঙ্গে মমতাকে তুলনা করে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে ছিলেন। আবার কেউ কেউ লতা মাঙ্গেসকার, সচিন তেন্দুলকার আবার ভগ্নী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা করছেন তৃণমূলের নেতারা।  জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য কটাক্ষ করে বলা হয়, ‘শ্রীচৈতন্যের সঙ্গে মমতার তুলনা মূর্খতার পরিচয়’। বৈষ্ণব ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে বলেন, “মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যকে অপমান করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।”

    আর কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    বর্ধমানে (Purba Bardhaman) গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এই মুহুর্তে সারা বিশ্বে যুদ্ধ চলছে ইজরায়েল, গাজা, ইউক্রেন, রাশিয়ায় ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। আমরা আজ থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার বছর আগে একটা বাঘ দেখলে নিজদের লুকিয়ে ফেলতাম গাছের আড়ালে, সামনে হাতি দেখলে মাটিতে শুয়ে আত্মগোপন করতাম। কিন্তু এখন আমরা বাঘকে খাঁচায় ধরতে শিখে ফেলেছি। কারণ আমরা মানুষ, তাই কল্পনা করে আমরা নিয়ম তৈরি করেছি। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের জীবনকে মিলিয়ে ফেলেছি। আমরা দেখেছি মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল কাব্যে পরিবেশের কথা বলা হয়েছে। কালকেতু প্রচুর খাওয়ার বিবরণ রয়েছে। এই ভাবে এই প্রকৃতির চিন্তা একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছেন। বাকি কোনও রাজনৈতিক দলের এমন একক ভাবনা নেই। বাংলার সরকারের এই কাজ মানুষ সামনের দিনে মনে রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও উৎসবেই মদ বিক্রিতে চরম রমরমা। এই মদ পাওয়া যায় যত্রতত্র। বিহার, গুজরাটের মদ বন্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন্ধ হয়নি মদ। উল্লেখ্য, জেলা আফগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রামে হয়েছে দুর্গাপুজোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রির পরিমাণ। আর এই মদ্যপান করার পরই ঘটে থাকে যত অসামজিক কাজকর্ম। গতকাল সোমবার বড়দিনে হাওড়ায় (Howrah) এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মদের আসর থেকেই চলল মহিলাকে কটূক্তি। প্রতিবাদ করতেই গ্রামবাসীদের জুটল উল্টে মার।

    ঘটনা হাওড়ার কোথায় ঘটেছে (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত বাড়লে রোজ বসে মদের আসর। সেই সঙ্গে চলে চিৎকার চেঁচামেঁচি, মদের বোতল ভাঙা এবং মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে গালিগালাজ। আর এই ঘটনা সংগঠিত করে খোদ পুলিশের কর্মীরাই। পালটা প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলে পুলিশেরাই আবার দৌরাত্ম্য চালায়। অভিযোগ আরও ওঠে  রীতিমতো লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল পুলিশ কর্মীরা। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) রাজাপুর থানার মল্লিকপোল জগদীশপুর এলাকায়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয়রা বলেন, রাজাপুর (Howrah) থানায় কনস্টেবল ধর্মা দাস এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে রোজ মদের আসর বসায় বাড়িতে। মদ খেতে খেতে নেশায় বুদ হয়ে শুরু করে উৎপাত। সেই সঙ্গে চলে তাণ্ডব। কাঁচের বোতল ভাঙা চলে। এমনকী এলাকার মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে তুমুল গালিগালাজ।

    গতকাল বড়দিনের রাতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মাতাল পুলিশদের উৎপাতের মাত্রা ছাড়ালে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু পালটা পুলিশ প্রতিবাদীদের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেই যেখানে অভিযোগ, সেখানে মানুষ নিজেদের কথা জানাবেন কোথায়? সরকার প্রশানের কাজ হল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করা। আর এখানে এই পুলিশই স্বয়ং কাঠগড়ায়। একই রকম ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চাকদহ পুলিশের বিরুদ্ধেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share