Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের দাদাগিরি। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার অভিযোগ। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়াল মালদার পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুতিম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে।

    কেন হামলা? (Malda)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলেকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এটাই অপরাধ।  সেই জন্মদিনে অনুষ্ঠানে আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ অতর্কিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলে সুতিম ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। অভিষেক দত্ত নামে আক্রান্ত যুবক বলেন, আমার জন্মদিনে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি তা জানতে চান। আমি নিমন্ত্রণ করিনি বলে ঝামেলা করা শুরু করে। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়। আমাদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল নেতার ছেলে বলে যা খুশি করবে। জানা গিয়েছে, আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মন্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে আসলে, সেখানে গিয়ে রাত্রি ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রী কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আরে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানায় দারস্থ হয়েছেন আইনজীবীর পরিবার।  অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

     এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল, সে কারণে গোটা এলাকা শোকোস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতেই স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

     যদিও পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসুর, ঘটনাটি শুনেছি। প্রশাসনিক যদি কোনও অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতা কর্মী যাই হোক না কেন প্রশাসন সঠিক ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে মালদা (Malda)  বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার এর ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। আসলে তৃণমূলের এটাই কালচার। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। অভিযোগ হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament Security Breach) স্মোক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় যোগ মিলল বাংলার। এই হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা নামে এক যুবকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সে কলকাতার বড়বাজারে থাকত। তার সঙ্গে নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার  আলাপ ছিল। ঘটনার পর পরই ললিত তার মোবাইলে স্মোক গ্রেনেড হামলার ছবি পাঠিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার পুলিশ হালিশহরে নীলাক্ষর বাড়িতে পৌঁছে যায়। দিনভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রশ্ন উঠছে. ললিতের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তো অনেকেরই যোগাযোগ। তাহলে হঠাৎ তাকেই কেন ভিডিও পাঠানো হল? তবে কি লোলিতের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রিতে প্রথমেই নাম ছিল নীলাক্ষর? সবই বিচারাধীন বিষয়।

    কে এই নীলাক্ষ? ললিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ কী করে? (Parliament Security Breach) 

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলাক্ষ আইচের বাড়ি হালিশহরের জেটিয়া এলাকায়। বিধাননগর কলেজের ইংরাজি বিভাগে স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’ নামে একটি এনজিও করেন নীলাক্ষ। তিনি আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করাতেন বলে জানা গিয়েছে। এনজিও-র সূত্রেই ললিত ঝা’র সঙ্গে আলাপ। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে একটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন নীলাক্ষ। সেখানেই ললিতের সঙ্গে নীলাক্ষর আলাপ হয়েছিল। নীলাক্ষ তাঁদের এনজিওতে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। ললিত তাতে যোগ দিয়েছিল। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে মোবাইল আদানপ্রদান হয়েছিল। সংসদের (Parliament Security Breach) হামলার ভিডিও নীলাক্ষর মোবাইলে পাঠিয়েছিল ললিত। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশ যোগাযোগ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক নীলাক্ষর বাড়়িতে যান। তাঁর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক বলেন, দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে নীলাক্ষকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দিল্লি পুলিশও আসবে।

    কী বললেন নীলাক্ষ?

    নীলাক্ষ বলেছেন, ‘আমি তখন কলেজে ছিলাম। কলেজ থেকে বেরনোর পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেখি একটি ভিডিও এসেছে। ললিত ঝা পাঠিয়েছিলেন। সংসদের (Parliament Security Breach) বাইরে রাস্তায় যেটা হয়েছিল, স্মোক টর্চ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই জন। ওই ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন পুরোটা দেখিনি। তখন জানতামও না সংসদে এমন ঘটে গিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কোথায় হয়েছে? তারপর থেকে কোনও উত্তর পাইনি। শুধু আমাকে মিডিয়া কভারেজ দেওয়ার জন্য বলেছিল। আমি আর ভিডিও দেখিনি।’

    নীলাক্ষর বাবার কী বক্তব্য?

    নীলাক্ষর বাবা নীলয় আইচ বলেন, ছোট থেকেই ছেলের নেতাজির প্রতি ভালোবাসা ছিল। ও কোনও রাজনীতি করে না। ছেলের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ কথা বলেছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছেলে একটি এনজিও করত। পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াত। ললিত ঝাকে চিনি না। সংসদ হামলার অন্যতম চক্রী ললিতের সঙ্গে পাড়ার ছেলে নীলাক্ষর নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে এলাকার লোকজন হতবাক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    Ration Scam: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির টাকায়  ৫৮টি ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ বা স্থায়ী আমানত করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে এই তথ্য। ৫৮টি স্থায়ী আমানতের প্রতিটিতে গড়ে লাখ পাঁচেক টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

    কত টাকার স্থায়ী আমানত

    ইডি সূত্রে খবর, ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ মোট জমানো অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। ভবিষ্যতে আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত থাকতেই দুর্নীতির টাকা দীর্ঘমেয়াদের জন্য জমা রাখা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, এই বিপুল অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। এর আগে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, তিনটি ভুয়ো সংস্থার নামে দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করে সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলিতে বিভিন্ন সময়ে ডিরেক্টর পদে ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যা। 

    আরও পড়ুন: তুষারপাতে অবরুদ্ধ সিকিম! বরফ কেটে হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার ভারতীয় সেনার

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে রেশন দুর্নীতির কথা। তদন্ত চলাকালীন ধরা পড়েন বাকিবুর রহমান। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সামনে আসে। গ্রেফতার হন বালু। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা জেনেছেন বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। জেরায় সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি। দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী এবং কন্যার বয়ান নথিবদ্ধ করেছে ইডি। চার্জশিটেও তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ১৬২ পাতার চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে তাঁদের নাম নেই। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। পাঁচটি সংস্থার নাম আছে, যা বালুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছ। চার্জশিটে এও বলা রয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রমরমিয়ে চলছিল এই দুর্নীতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মমতার বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো”, বোমা ফাটালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “মমতার বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো”, বোমা ফাটালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো।” বুধবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। তার পর এবার দাবি আদায়ে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মোদি-মমতা বৈঠক

    ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে একশো দিনের কাজের টাকা, বাংলার বাড়ি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বকেয়া-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, আগের বরাদ্দের হিসেব জমা দিলেই ফের বরাদ্দ মিলবে। সেই কারণেই রীতিমতো খতিয়ান তৈরি করে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    সুকান্তর কটাক্ষ-বাণ

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন উদ্যোগকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করাই সার হবে। আদতে কোনও লাভ হবে না। যে ইস্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন, তা আদৌ সফল হবে না। এজন্য রাজ্য সরকারকে আগের দেওয়া টাকার হিসেব দিতে হবে কেন্দ্রকে। সুকান্ত জানান, ওই হিসেব মিললেই পরের কিস্তির টাকা হাতে পাবে রাজ্য। বালুরঘাটের সাংসদের কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ভাল খাওয়ানো হয়, ভাল চা দেওয়া হয়। সেগুলি খেয়েই চলে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মোদির পরেই রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা, কেন জানেন?

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা খতিয়ানকে ভুয়ো বলে দাগিয়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেক কথা বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মোটা ফাইল নিয়ে দেখাতেন সিপিআইএম নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ এতে রয়েছে বলে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কতজন সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে? কতজন গ্রেফতার হয়েছেন? এর পরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যেমন ভুয়ো ছিল, তেমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইলও ভুয়ো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মোদির পরেই রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা, কেন জানেন?  

    PM Modi: মোদির পরেই রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের মার্চেই হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলায় পায়ের নীচের মাটি আরও শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ৪২টি। তার মধ্যে অন্তত ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোতে চাইছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। তাই ২২ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই কোমর কষে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন তাঁরা।

    মোদির পরেই রাজ্যে শাহ-নাড্ডা 

    ২৪ ডিসেম্বর ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মোদির সফর শেষে কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিছু দিন আগেই বিজেপির প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। তার পর ফের আসছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শাহের সফরের সময়ই রাজ্যে আসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতার সফরের মূল লক্ষ্যই হল, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বসে লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ছকে ফেলা।

    সল্টলেকে বিজেপির বিশেষ বৈঠক

    মঙ্গলবারই বিজেপির (PM Modi) সল্টলেকের অফিসে বসেছিল রাজ্য নেতৃত্বের বিশেষ বৈঠক। রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলও। হাজির ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং দুই সহ পর্যবেক্ষক আশা লাকড়া ও অমিত মালব্য। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরিতে দলীয় কর্মীরা কতটা অংশ নিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। বুথস্তরে সংগঠনের হালহকিকৎ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যেসব বুথে সংগঠন দুর্বল, সেখানে কীভাবে তাকে চাঙা করা যায়, রাজ্য নেতৃত্বকে তাও ভাবতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জানুয়ারির মধ্যেই বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: সংসদে প্রশ্ন করছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদ, তখনই লাফ দিল ওরা! জানেন কারা তারা?

    সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, খুব তাড়াতাড়িই রাজ্য সফরে আসবেন শাহ ও নাড্ডা। এই নেতারাই দফায় দফায় করবেন সাংগঠনিক বৈঠক। সংগঠন মজবুত করতে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ও ২৯৪টি বিধানসভা এলাকার প্রতিটিতে একজন করে মোট ৩৩৬ জন বিস্তারক নিয়োগ করেছে বিজেপি। সোম ও মঙ্গলবার তাঁদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। এই বিস্তারকদের সঙ্গেও বৈঠক (PM Modi) করতে পারেন শাহ ও নাড্ডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Anthem Disrespect Case: মুখ পুড়েছে সিঙ্গল বেঞ্চে, জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    National Anthem Disrespect Case: মুখ পুড়েছে সিঙ্গল বেঞ্চে, জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়কদের নাকাল করতে গিয়ে মুখ পুড়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। তার পরেও অবশ্য জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় (National Anthem Disrespect Case) হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য সরকার। আজ, বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানে মিলেছে মামলা দায়ের করার অনুমতি। শুনানির সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহে।

    বিচারপতি সেনগুপ্তের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, ৭ ডিসেম্বর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলায় ১০ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা পেশ করতে বলেছিলেন  রাজ্য সরকারকে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কলকাতা পুলিশের সব তদন্তে স্থগিতাদেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সেই (National Anthem Disrespect Case) নির্দেশের বিরুদ্ধেই এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

    জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলা

    ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়করা। ওই সময় মিটার পঞ্চাশেক দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সরকার বিরোধী স্লোগানও দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখনও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এর পরেই ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্র পেশ করা হয় তৃণমূলের তরফে। এই ১২ জনের তালিকায় নাম ছিল আলিপুরদুয়ারের দলবদলু (পদ্ম প্রতীকে জিতে ভিড়েছেন ঘাসফুল শিবিরে) সুমন কাঞ্জিলালও। পরে অবশ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁর নাম।

    আরও পড়ুুন: সংসদে প্রশ্ন করছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদ, তখনই লাফ দিল ওরা! জানেন কারা তারা?

    স্পিকার এই ১১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেন লালবাজারে। পরে তাঁদের নোটিশ পাঠায় কলকাতা পুলিশ। এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়করা। ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেছিলেন, এটি একটি ছেলেমানুষি মামলা। তখনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় (National Anthem Disrespect Case) এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের নিরাপত্তার আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের নিরাপত্তার আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। বুধবার দেবাঞ্জনের আবেদনে কর্ণপাত করল না কলকাতা হাইকোর্ট। দেবাঞ্জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপর ছেড়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    দেবাঞ্জনের দাবি

    বুধবার আদালতে দেবাঞ্জনের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, প্রভাবশালীরা এই ঘটনায় যুক্ত। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী যুক্ত। তাঁদের বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করছে কলকাতা পুলিশ। একই সঙ্গে, দেবাঞ্জনের আইনজীবী দাবি করেন, জামিনে মুক্তির পর তাঁর মক্কেলের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা দেওয়া হোক। এই ২ দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব। তবে বিকাশবাবুর সওয়ালে কর্ণপাত করেনি আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘অভিযুক্ত কী করে তদন্তে হস্তান্তর চাইতে পারেন? এতদিন পর কেন এই কথা বলা হচ্ছে? মূল অভিযুক্তের অভিযোগকে কেন গুরুত্ব দেবে আদালত?’

    কী বলল আদালত

    প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির চালানোর অভিযোগে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। তিনি সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দেবাঞ্জনের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার মাথাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাঞ্জন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “দেবাঞ্জন দেব নিশ্চই প্রভাবশালী ছিলেন। সেই কারণেই তিনি ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্প বা অন্য কর্মসূচি করতে পারতেন। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে যাঁদের নামে অভিযোগ করছেন, তাঁদের প্রত্যক্ষ মদতে তিনি এসব কাজ করছেন।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    এদিন সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘এখনও তদন্ত হচ্ছে। এই নথি থেকে এখনও অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। আরও খতিয়ে দেখতে হবে।’ বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ, ‘আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। তবে তিনি প্রয়োজন হলে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দ্রুত তাঁর আবেদন বিবেচনা করবে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি দুপুর তিনটের সময়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে পাঁচ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়। হাইকোর্টের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনই অভিমত আদালতের।  বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। হলফনামায় আদালতের ঘাড়েই দায় চাপায় এসএসসি। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর নির্দেশ চাকরি বাতিলের ‘অবস্থান’ প্রসঙ্গে নিজেদের মত ১৮ ডিসেম্বর মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে এসএসসিকে। 

    কী বলল আদালত

    এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় বরখাস্ত করতে হয়েছে এই পাঁচ হাজার জনকে। উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয় সেই বিষয়টিও দেখার কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশনকে তাঁদের  সুনির্দিষ্ট ‘অবস্থান’ জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বিপুল সাম্রাজ্য! ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি বাকিবুরের

    চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন এসএসসি-র আগের হলফনামাও ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন আবার অনেকে ভুয়ো প্রার্থীও আছেন। যাঁরা সঠিক তাঁরা কেন ফল ভুগবে? এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। যদিও কমিশন জানিয়েছিল তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি বাতিল করেছে। তবে এতে সন্তুষ্ট ছিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিজস্ব মত জানতে চায় আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির জয় সেনগুপ্তকে। এর পাশাপাশি আদালতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই।’’

    ঠিক কী অভিযোগ আনে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন বিশ্বভারতীর প্রাক্ন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের মত প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন উপাচার্য। সে নিয়েই পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবিষয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশ্ন তুলেছে বুধবার। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘এই চিঠি লেখায় অপরাধ কি আছে?’’ জবাবের রাজ্য সরকার আইনজীবী সেভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ রাজ্য সরকারের আইনজীবীর এমন উত্তর শুনে বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তখন তিনি  বলতে থাকেন, ‘‘এমন নয় যে উপাচার্যের এই চিঠি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধে যেতে পারে।’’এরপরই তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। থাকলে কী যে করতেন! তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন আপনারা!’’

    তাপস পালের প্রসঙ্গও উঠে আসে বুধবারের শুনানিতে

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সে নিয়েও মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, দুর্গাপুজো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় এখানে পুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটা বিরূপ কেন হবে? এ প্রসঙ্গে উঠে আসে তাপস পালের কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী (Calcutta High Court) বলতে থাকেন, ‘‘তাপস পালের একটি মামলায় আমি আইনজীবী ছিলাম, তাপস পাল তখন বলেছিলেন ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’। এই ঘটনায় পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। তবে এখানে পুলিশকে এফআইআর করতে দেখা গেছে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: আইসিইউ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে, ‘কাকু’র ‘নাগাল’ পেতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ইডি!

    Kalighater Kaku: আইসিইউ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে, ‘কাকু’র ‘নাগাল’ পেতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউ থেকে বের করা হল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে (Kalighater Kaku)। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে সেখান থেকে বের করা হয়। তবে ‘কাকু’র এই সুস্থতা আশ্বস্ত করতে পারছে না ইডিকে। তাই ‘কাকু’কে কীভাবে এসএসকেএম থেকে বের করে আনা যায়, সে ব্যাপারে আইনজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছে ইডি।

    পথ খুঁজছে ইডি

    গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বারেবারেই ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়ছেন ‘কাকু’। মঙ্গলবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। সুস্থ হওয়ায় বুধবার তাঁকে বের করা হয় সেখান থেকে। তাই ‘কাকু’কে এসএসকেএমের ‘খপ্পর’ থেকে বের করার পথ খুঁজছে ইডি। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। কেননা, একমাত্র আদালতের অনুমতি মিললেই ‘কাকু’কে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে অন্যত্র।

    কার্ডিওলজির কেবিনে কাকু

    এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসে ‘কাকু’র চিকিৎসায় গঠিত তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানে ‘কাকু’র অ্যাঞ্জিওগ্রাফি সহ আরও বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই স্থির হয় আইসিইউ থেকে বের করে ‘কাকু’কে কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে স্থানান্তরিত করা হবে। সেই মতো রাতে স্থানান্তরিত করা হয় ‘কাকু’কে (Kalighater Kaku)।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকাতেও ছড়িয়েছে গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসবাদী আঁতাত, এফবিআইকে জানালো এনআইএ

    ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে চাইছে ইডি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই ‘কাকু’। অভিষেকের সংস্থায় তদন্ত করতে গিয়ে একটি কণ্ঠস্বরের হদিশ পায় ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গলার স্বরটি ‘কাকু’রই। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের গোচরে আসার পরেই ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই স্বরের নমুনা পেতেই হন্যে হচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘কাকু’কে না ছাড়ায় তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, কাকু মুখ খুললে জালে আটকে পড়বে অনেক রাঘব বোয়াল। তাই কাকুর স্বরের নমুনা যাতে কোনওভাবেই সংগ্রহ করা না যায়, তার ব্যবস্থা করতেই নাড়া হচ্ছে যাবতীয় কলকাঠি। যার জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে ‘কাকু’ (Kalighater Kaku) রয়েছেন এসএসকেএমের নিরাপদ ঘেরাটোপে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share