Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CV Ananda Bose: “মা দুর্গা শক্তির উৎস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে”, পুজোয় বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মা দুর্গা শক্তির উৎস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে”, পুজোয় বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবাসীকে দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ পরিষ্কার বাংলা ভাষায় দুর্গাপুজোর আগে শান্তির বার্তা দিলেন রাজ্যপাল৷ পাশাপাশি বাংলাকে হিংসা ও দুর্নীতি মুক্ত করার কথাও বললেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ সূচনা করলেন কলাক্রান্তি উৎসবের।  রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মা দুর্গা সবাইকে শক্তি দেয়। শক্তির উৎস। কলকাতার পুজো দারুণ ব্যাপার। দারুণ ফিলিং।’’ 

    রাজ্যপালের ভিডিও বার্তা

    ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বললেন, ‘‘বাংলার ভাই ও বোনেরা । আপনাদের সকলকে জানাই দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আসুন মা দুর্গার চরণতলে নিজেদের সমর্পণ করি। এটা হল আত্ম উপলব্ধির সময়। এই সেই সময় মা, দুর্গার শরণাপন্ন হওয়া দরকার। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালন এই আদর্শে দীক্ষিত হওয়া দরকার। আসুন আজ মা’কে সাক্ষী রেখে এই শপথগ্রহণ করি ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। হিংসার বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে। পুরাণের কথা অনুযায়ী দুর্নীতি হল রক্তবীজ আর হিংসা হল মহিষাসুর। যেমন মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আমরা সেরকম দুর্নীতিকে শেষ করব।’’

    রাজপথে রাজ্যপাল 

    দুর্গা পুজোতেও রাজভবন ছেড়ে রাজপথে নামেন রাজ্যপাল। রবিবার মূলত মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতি কেমন, কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা কী রকম রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল। পৌঁছে যান কুমোরটুলিতে, সেখানে মৃৎশিল্পীদের কাজ দেখেন সি ভি আনন্দ বোস। একাধিক শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের হাতে রাজভবনের তরফে উপহারও তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের হাতেও, তাঁদের তৈরি মূর্তি উপহার হিসেবে তুলে দেন শিল্পী পরিবারের সদস্যরা। কুমোরটুলি থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল সোজা চলে যান একডালিয়া এভারগ্রিনে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে জনসংযোগও করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    কলাক্রান্তি উৎসবের সূচনা

    দুর্গাপুজোর আবহে এদিন কলাক্রান্তি উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল। কলাক্রান্তি উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং তাঁকে লালন করা। রাজ্যাপালের কথায়, ‘‘ভারতের সেই সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে বাংলার নেতৃত্বে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিমুক্ত বাংলা চান, তার জন্যই দেবী দুর্গার আশীর্বাদ গ্রহণ করতে গুজরাট থেকে ছত্তিসগড় হয়ে কলকাতায় এসেছেন বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। বাংলা থেকে দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার দ্রুত শেষ হোক, এই শক্তি মা আমাদের দিন, এই প্রার্থনা জানাই।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শিয়ালদহের কাছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অর্থাৎ লেবুতলা পার্কে এবারের পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। সেই মণ্ডপের উদ্বোধন করতে দ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ছিলেন মঠ ও মন্দিরের সাধু – সন্তরা। এদিন ফিতে কাটার কিছুক্ষণ  পরেই দিল্লির বিমান ধরার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান অমিত শাহ। 

    বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা 

    শুধুমাত্র মা দুর্গার আশীর্বাদ নেওয়ার জন্যই এদিন বাংলায় এসেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “রামমন্দির উদ্বোধনের আগে, আজ উত্তর কলকাতার এই মণ্ডপ গোটা বিশ্বের কাছে রাম জন্মভূমির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে” দাবি শাহের। তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। আমি পশ্চিমবঙ্গে আসব, রাজনীতির কথাও বলব, আর এখানে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই উত্তর কলকাতার মানুষ রাম মন্দিরের উদ্বোধন করে দিয়েছেন। সেজন্য আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। প্যান্ডেলে মায়ের সামনে গিয়ে গোটা দেশের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মহালয়ার বিকেল থেকেই চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের পালা। দুর্গা পুজো বাঙালির কাছে এক শিল্পও বটে। নানান সাজে সেজেছে কলকাতা। কোথাও ডিজনি ল্যান্ড তো কোথাও চন্দ্রযান। কোথাও রাম মন্দির, কোথাও কেদার নাথ। শহরের বুকেই নানান দর্শন। পুজো মানেই সকাল থেকে রাত-পাঁচটা দিন চুটিয়ে আনন্দের সময়। ৮ থেকে ৮০ সব ভুলে পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা থাকে। তাই পুজোর আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা ভাবিয়ে তোলে উৎসবমুখর বাঙালিকে। তবে মৌসম ভবনমের পূর্বাভাসে (Weather Update) সেই চিন্তার ইতি।

    হালকা শীতের আমেজ

    পুজোর সময় আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে মনোরম। এমনকি সেইসময় রাতে পাওয়া যাবে হালকা শীতের আমেজ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী অর্থাৎ ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গে আবহাওয়া মনোরম থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নবমী, দশমী অর্থাৎ ২৩ ও ২৪ অক্টোবর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুজোর কদিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দখিনা হাওয়ার পরিবর্তে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব থাকবে। ফলে প্যান্ডেল হপিং, খাওয়া দাওয়া, আড্ডায় বড় বাধা নেই। পাঁচ দিন দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। পুজোর শেষের কদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া 

    রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে যদিও। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনের পর থেকে তাও ক্রমশ কমতে শুরু করবে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমাঞ্চল সহ কোনও কোনও জেলায় এই উইকেন্ডে ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে তৃতীয়া পর্যন্ত জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা থাকবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্প  কমবে। শুষ্ক হবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় চতুর্থী থেকে ভোরের দিকে সামান্য শিরশিরানি ভাব থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও।

    উত্তরের জেলায় সামান্য বৃষ্টি

    পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ডুয়ার্স ও সমতলে বৃষ্টির তেমন আর কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং,কার্শিয়ং ও কালিম্পং ছাড়া বাকি উত্তরবঙ্গে সোমবার রাতের পর থেকেই জলীয় বাষ্প কমতে শুরু করবে। তৃতীয়া থেকেই ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অল্প অল্প করে অনুভূত হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Legislative Assembly: পেশ হল বিল, আলোচনা হওয়ার আগেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন!

    WB Legislative Assembly: পেশ হল বিল, আলোচনা হওয়ার আগেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোকপ্রস্তাব পাঠ করেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার (WB Legislative Assembly) বিশেষ অধিবেশন। বিজেপির দাবি, যে বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, রাজ্যপাল তা নিয়ে আলোচনায় অনুমোদন দেননি বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিধানসভায় বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলের কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি এবং ডিএ বৃদ্ধির দাবিও জানান তাঁরা।

    বিশেষ অধিবেশন

    সোমবার ডাকা হয়েছিল বিধানসভার (WB Legislative Assembly) বিশেষ অধিবেশন। এক দিনের এই বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। পরে তারা শোনে, এই বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার পরেই পদ্মশিবিরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অধিবেশনে তারা যোগ দেবে। নীতিগতভাবে বিজেপি এই মুহূর্তে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিপক্ষে। তাই বিধানসভায় গিয়ে প্রতিবাদ জানানোই শ্রেয় মনে করে বিজেপি। সেই মতো এদিন তারা সভায় যায়ও। বিলটিও পেশ হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    তার পর বিলের ওপর আলোচনা তো হলই না, উল্টে শোকপ্রস্তাব পাঠ করে মুলতুবি করে দেওয়া হল অধিবেশন। এদিন বিলটি বিধানসভায় (WB Legislative Assembly) পেশ করতে যান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর দাবি, বিলটিতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। তাই এই বিল অনুমোদিত নয়। তাহলে কীভাবে পেশ করা হচ্ছে। বিজেপির হট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাঙালি ও হিন্দুদের আঘাত করে এই অধিবেশন করা হচ্ছে। দেবীপক্ষের আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনের মতো নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন। আজ দ্বিতীয়া। আজ আমাদের বিধানসভায় ডেকে এনেছে। উপোস থাকি দিনের বেলা। ডেকে নিয়ে এসেছে। অষ্টমীর দিন মদের দোকান খুলেছে প্রথম স্বাধীনতার পরে। এবার অষ্টমীর দিন মদের দোকান খোলা থাকবে। অষ্টমীকে বলা হয়ে ভেজ ডে। ব্রিটিশরাও বন্ধ রাখত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Kolkata Metro: জানুয়ারিতে চালু হবে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো, কতটা সুবিধে হবে যাত্রীদের?

    Kolkata Metro: জানুয়ারিতে চালু হবে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো, কতটা সুবিধে হবে যাত্রীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল মেট্রো। শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে অথবা শহরতলি থেকে কলকাতা শহরে আসতে প্রচুর মানুষ মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা নিয়ে থাকেন। বর্তমানে মোট তিনটি করিডরে মেট্রো পরিষেবা চলছে। উত্তর-দক্ষিণ শাখা হল দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ, ইস্ট-ওয়েস্ট শাখায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডর, যা বর্তমানে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত চলছে।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত, মাটির নিচ দিয়ে গঙ্গার কাজ দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত লাইনকে সম্প্রসারণ করে মাঝেরহাট পর্যন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করে জানুয়ারি থেকেই মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর মেট্রো চলেবে বলে জানা গিয়েছে। ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন যাত্রীরা। 

    ৪৫ সেকেন্ডে গঙ্গার নিচ দিয়ে চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)

    মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে প্রস্তাবিত রুটটির দৈর্ঘ্য হল ১৬.৫৫ কিমি। ইতিমধ্যেই ৯.৩০ কিমির কাজ শেষ হয়েছে। এই বছরের ডিসেম্বরে মাসেই ৪.৮০ কিমি এবং আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে বাকি আরও প্রায় আড়াই কিমি মেট্রো লাইনের কাজ সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পের মোট ১৬.৫৫ কিমি মেট্রো লাইনের মধ্যে, ৫২০ মিটার পথ গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। যা পার করতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড।

    কী জানাচ্ছে মেট্রো?   

    মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাতলা থেকে জোকার লাইনকে সম্প্রসারণ করে মাঝেরহাট পর্যন্ত ৮.৫ কিমি রেলের সিগন্যালিং-এর কাজ বাকি রয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। সেই সঙ্গে দুই দিকের লাইনের মাল্টিরেক অপারেশনের কাজও শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে ইলেকট্রিক ইন্টারলিকংয়ের কাজ চলছে। জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ৬.৫ কিমি যাত্রা পথের কাজ চলছে। এবার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত ২ কিমির কাজ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এই কাজ শেষ হলে জানুয়ারিতে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। এখন জোকা থেকে তারাতলা একমুখী যাত্রায় সারাদিনে ২৪টি মেট্রো চলছে, ফলে যাত্রীদের মেট্রোর জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণ হলে, দুই দিক থেকেই মেট্রো চললে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর পাওয়া যাবে মেট্রো (Kolkata Metro)। এই প্রসঙ্গে মেট্রোর সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, “মূলত ডিসেম্বরের মধ্যেই টার্গেট আমাদের। সবকিছু তৈরি হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কাজ রয়েছে, যা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছি আমরা।”

    সুবিধা পাবেন রেল যাত্রীরাও

    মাঝেরহাট রেল স্টেশনের সঙ্গে মেট্রো লাইন সংযুক্ত হলে, রেলের যাত্রীরা ব্যাপক সুবিধা পাবেন। শিয়ালদা-বজবজ শাখার যাত্রীরা মেট্রোর সুবিধা পাবেন। দক্ষিণের শহরতলির নানা জায়গা থেকে আসা যাত্রীরা, মাঝেরহাট থেকে মেট্রো (Kolkata Metro) ব্যবহার করে বেহালা, জোকাতে পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রীদের বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, আলিপুর থেকে বেহালা যাওয়ার সময় মেট্রো পথ বেশ নির্ভরযোগ্য হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এসে গিয়েছে। মহালয়ার পর থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড়। এরই মধ্যে উৎসবের শহরে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে ১,৩০০টিরও বেশি নতুন ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ আগে ১২৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল। এর মাঝে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। বিধাননগর এবং দক্ষিণ দমদমের মতো পার্শ্ববর্তী পুর এলাকায় বেশ কয়েকজন মানুষও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    ফের ডেঙ্গির প্রকোপ

    জানুয়ারি থেকে শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৪২২। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭০ হাজার পেরিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৬২ জনের মতো। কেএমসি আধিকারিকরা বলেছেন, যে সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সঙ্কটজনক হতে খুব বেশি সময় লাগে না। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি থাকে৷ পুজোর মধ্যেও ডেঙ্গি সংক্রমণের ভয় থাকবে। শহরের নানা হাসপাতালগুলোর সূত্রে খবর, এখনও দৈনিক ৪-৫ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রতিটি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    কেন বাড়ল ডেঙ্গি

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত, গোটা রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ৬২ হাজার। গত এক সপ্তাহে নতুন করে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ১৩ হাজার ৭১৬ জন। ২ নম্বরে কলকাতা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৪৯। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আধা শহরাঞ্চলে জল ও আবর্জনা নিষ্কাশনের কথা বলা হলেও, কাজের কাজ হচ্ছে না। জনগণের দাবি, জল জমে থাকছে। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ, তাই এভাবে ফের পুজোর মুখে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sreebhumi Puja Pandel: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    Sreebhumi Puja Pandel: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন রবিবার সন্ধ্যা ৬টা! যশোর রোড লেকটাউনের মুখ থেকে কোলে শিশু-কন্যাকে নিয়ে নেমে পড়লেন মা। বাস ঢুকবে না ভিআইপি রোডের দিকে। পুলিশ জানাল, রাস্তা বন্ধ। কারণ, শ্রীভূমি! অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে শ-দেড়েক মানুষ। রিক্সা নেই! রাস্তায় যেন জনসমুদ্র। প্রতিপদ না সপ্তমীর (Durga Puja 2023) সন্ধ্যা বোঝা দায়! গন্তব্য শ্রীভূমি।

    তীব্র যানজট, দিশেহারা মানুষ

    লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব (Sreebhumi Sporting Club))। শ্রীভূমির এবারের থিম, ডিজনিল্যান্ড। যা দেখতে ইতিমধ্যে লোকের ভিড় (Traffic jam) বাড়তে শুরু করেছে। আর এই ভিড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যান চলাচলেও। বলা ভাল, লেকটাউনে ব্রিজে ওঠার মুখ একেবারে থমকে গিয়েছে। তাই যাঁরা বিমানবন্দর যাবেন, তাঁদের অন্য পথে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি হেলায় উড়িয়ে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে ‘শ্রীভূমি’আতঙ্ক। লেকটাউন ব্রিজে ওঠার মুখে তীব্র যানজট। খুব ধীরে গাড়ি এগোচ্ছে। বলা যায়, যে পথ যেতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে, সেটা পৌঁছতে রবিবার সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা। শয়ে-শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    ঘুরপথে বিমানবন্দরে

    বাইপাস থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়ার সহজতম রুট হল লেকটাউন ব্রিজ। কিন্তু, যেরকম যানজট হয়েছে, সেখানে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে অনেকটা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। তাই এয়ারপোর্ট যেতে হলে চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার থেকে নিউ টাউনের রাস্তা ধরার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। যদিও সেক্ষেত্রে অনেকটা রাস্তা ঘুরতে হবে। কিন্তু, যানজট এড়াতে এবং সময়ের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে আর কোনও উপায় দেখছে না পুলিশ। বিমানবন্দর মুখী বাইপাস, বা হাডকো মোড় থেকে উল্টোডাঙা মেন রোডের দিকে যান চলাচল সন্ধার পর থেকেই কিছুটা ধীর গতিতে চলতে শুরু করছে।

    আরও পড়ুন:কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বন্ধ রাস্তা

    ভিআইপি ব্রিজ থেকে কলকাতা স্টেশন রোড এবং ক্যানাল সার্কুলার রোডের মুখে সন্ধ্যার পর থেকেই প্রচণ্ড জ্যাম হতে শুরু করে দিয়েছে। গাড়ি চলাচলের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রতিপদের রবিবার যা অবস্থা তাতে আগামী, রবিবার অষ্টমীর দিনে ভিড় সামলানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তাও যে শ্রীভূমি-আতঙ্ক কাটাতে পারল না, তা রবিবার প্রতিপদে তালগোল পাকানো যান-ব্যবস্থাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন (MLAs Salary) সংক্রান্ত দুটি বিল পাশ করাতে সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে রাজ্য সরকার। আজ, দ্বিতীয়ায় দুটি আইনে সংশোধনী আনার চেষ্টায় রাজ্য। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করবে বলে আগেই জানিয়েছিল। তারা এই অধিবেশনে থাকবে না ভাবলেও শেষবেলায় সিদ্ধান্ত বদল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁরা সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের হাজির থাকবেন। 

    পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি অধিবেশন

    দুটি বিল সংক্রান্ত নথি রাজভবনে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি রাজ্যপালের। ফলে অধিবেশনে বিল উত্থাপন করা বা টেবিল করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রবিবার এই অধিবেশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কাল সকাল ১১টায় সবাইকে ডেকেছি। আমরা ভিতরে ঢুকব। জোরালো ভাবে বিলের বিরোধিতা করব।’ গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৃদ্ধির প্রস্তাব ছাড়পত্রের জন্য দু’টি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্যই কার্যত পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি একদিনের অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন:কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কেন বিলের বিরোধিতা

    আজই, পুজো উদ্বোধনের জন্য শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই এই অধিবেশনে না থাকার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, দলের বিধায়কদের একাংশ চাইছেন, বিলগুলি নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ রাখতে। সে কারণে তাঁরা শেষ মুহূর্তে অধিবশেন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণকে বার্তা দিতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। বিজেপির যুক্তি রাজ্য সরকার চাকরি দিতে ব্যার্থ। কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিতে অসমর্থ। আর মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়াতে তৎপর। তাই এই বিল নিয়ে বিরক্ত বিজেপি। তাই, বিজেপি বিধায়কদের বিরোধিতায় বিল আলোচনার সময় উতপ্ত হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    Amit Shah: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই উদ্বোধন হচ্ছে রামমন্দিরের! প্রধানমন্ত্রী নন, উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তবে এই রামমন্দির সত্যিকারের নয়, নকল। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ হচ্ছে রামমন্দিরের আদলে। এই মণ্ডপেরই উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। সোমবার উদ্বোধন হবে মণ্ডপের।

    মণ্ডপে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এই পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি রাজ্যে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে রাজ্যের দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা সহ নানা বিষয়ে তাঁকে (Amit Shah) রিপোর্ট দিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। শাহের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বৈঠকও হতে পারে। এদিন শাহের সঙ্গে পুজো মণ্ডপে থাকা এবং ফিরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো পথেই দেখা যাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই সময় রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি, সাংগঠনিক অবস্থা সব বিষয়েই তাঁদের কাছ থেকে অবহিত হতে পারেন শাহ। শাহকে কে, কী বলবেন, তা ঠিক করতে সল্টলেকের অফিসে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেই রয়েছেন শুভেন্দু, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।

    আরও পড়ুুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    এদিকে, সোমবার একদিনের জন্য বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। আগে অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল বিজেপি। শেষ মুহূর্তে বদলানো হয়েছে সিদ্ধান্ত। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা ১১টায় সকলকে ডেকেছি, আমরা ভিতরে ঢুকব। বিরোধিতা করব, জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করব।”

    বিধানসভায় যাবে বিজেপি

    বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালায়েন্স অ্যাক্ট ১৯৫২’ ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি অ্যাক্ট ১৯৩৭’ সংশোধন করা হবে। এটা জানতে পেরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “ওই দিন আমরা থাকব না। বিধায়করা সকলেই পুজোয় ব্যস্ত থাকবেন। আমাদের এই বিল নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। ওরা আনছে, ওরা ওদের মতোই পাশ করাবে।” বিজেপি নীতিগতভাবে এই (Amit Shah) মুহুর্তে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষপাতী নয়। পদ্ম শিবিরের এক বিধায়ক বলেন, “বিজেপি যে দলগতভাবে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, জনমানসে এই বার্তা দিতেই আমরা সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share