Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jyotipriya Mallick: ফের অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, ভর্তি করা হল এসএসকেএম হাসপাতালে

    Jyotipriya Mallick: ফের অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, ভর্তি করা হল এসএসকেএম হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick)। কার্ডিওলজির এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের পাঁচ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। মন্ত্রীর ওপর নজর রাখছে মেডিসিন এবং নিউরোলজি বিভাগও।

    কার্ডিওলজি বিভাগের এমার্জেন্সিতে ভর্তি

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। আদালতের নির্দেশে তিনি বর্তমানে রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুকে ব্যথা অনুভব করেন। শ্বাসকষ্টও হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। পরে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। কার্ডিওলজি বিভাগের এমার্জেন্সিতে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। পরে ভর্তি করে নেওয়া হয় কার্ডিওলজি বিভাগে।

    আগেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) তোলা হয় আদালতে। ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে সেদিনই এজলাসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়। এজলাসে সামান্য বমিও করেন। তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুস্থ হওয়ার পরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে নেয় ইডি। তার পরে একাধিকবার জ্যোতিপ্রিয়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর শরীর ভাল নেই। বাঁ হাত-পা পক্ষাঘাতের মতো হয়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার ভাটপাড়া! গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী

    ১৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল জ্যোতিপ্রিয়র। অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাজির করানো হয় ভার্চুয়ালি। সেদিনও নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিচারককে তিনি আবেদন করেছিলেন, ‘আমাকে বাঁচতে দিন’। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সাড়ে তিনশোর বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। জ্যোতিপ্রিয়র কথা শোনার পর বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনার অসুবিধা হলে সেলে চলে যেতে পারেন।” এর পরের দিনই প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। কাশির পাশাপাশি শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্টও। সেদিন কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। মঙ্গলবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Anand Bose: রাজ্যপাল পদে বর্ষপূর্তি, আনন্দ বোসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগ রাজভবনে

    CV Anand Bose: রাজ্যপাল পদে বর্ষপূর্তি, আনন্দ বোসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগ রাজভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল পদে তাঁর বর্ষপূর্তি। গত বছর ২৩ নভেম্বর রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তাই বর্ষপূর্তিতে গুচ্ছ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে রাজ্যপাল ভবনের তরফে। যেহেতু ২৩ তারিখে হচ্ছে বর্ষপূর্তি, তাই এদিনই হবে ‘মিল উইথ গভর্নর’ (CV Anand Bose)।

    ‘মিল উইথ গভর্নর’

    রাজ্যপালের সঙ্গে এক পঙক্তিতে মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারবেন আম বাঙালি। কেবল এদিন নয়, সপ্তাহের একটি বিশেষ দিনে রাজ্যপালের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তফশিলি জাতি-উপজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তিও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি বাংলাকে ভালবাসি। বাংলার মানুষকে অত্যন্ত ভালবাসি। আমি বাংলাকে নিজের ভূমি হিসেবে মনে করতে শুরু করেছি। এখানকার রাজ্যপাল হিসেবে আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে।”

    “বাংলা আমার কর্মভূমি”

    তিনি (CV Anand Bose) বলেন, “বাংলা আমার কর্মভূমি। রাজ্যপাল হিসেবে যে দায়িত্ব আমার কাঁধে রয়েছে, সেটা গত এক বছরে পালন করার চেষ্টা করছি আমি। সংবিধান রক্ষা করা এবং মানুষের উপকার করা আমার দুটি কাজ। আমি তা হৃদয় দিয়ে করেছি। হিংসা বা দুর্নীতি সরকার করেছে, সেটা বলছি না। আমি মনে করি হিংসা বা দুর্নীতি হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের মতপার্থক্য হতে পারে। কিন্তু দুজনকেই মানুষের কথা ভাবতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত ও রাজ্যপাল মনোনীত। তাই দু পক্ষকেই পরস্পরের জায়গা বুঝে কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?

    রাজ্যপাল বলেন, “আমি বলছি না যে গত এক বছরে রাজ্যে যা যা ঘটনা ঘটেছে, তার পিছনে প্রশাসন বা রাজ্য সরকার সরাসরি জড়িত রয়েছে। আমার লক্ষ্য হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ করা। তাই আবারও রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন, ঘুষ নেবেন না, ঘুষ দেবেন না। আর রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে ধরনের সংঘাতের কথা বলা হয়, তেমন সংঘাত আদতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের (CV Anand Bose) মধ্যে সম্পর্কের কয়েকটি স্তর থাকে। মানুষের চাহিদা মেটাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সেই বিষয়টা সাংবিধানিকভাবে দেখবেন। উভয়কেই আইন মেনে চলতে হবে। পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে ভাল কাজ হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Global Business Summit: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু আজ, এবারও কি কেবল ‘নকল মউ স্বাক্ষর’?

    Bengal Global Business Summit: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু আজ, এবারও কি কেবল ‘নকল মউ স্বাক্ষর’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের শুরু হচ্ছে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (Bengal Global Business Summit)। আজ, মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। দু দিনের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা।

    সম্মেলনে কারা থাকছেন

    থাকবেন ‘শিল্পপতি’ (স্পেনে মমতার সফর সঙ্গী হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন রাজ্যে বিনিয়োগ করবেন তিনিও!) তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। উপস্থিত থাকবেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। জানা গিয়েছে, আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ মোট ২৮টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০১৫ সালে প্রথম এই (Bengal Global Business Summit) সম্মেলন হয়। রাজ্য সরকারের স্বপ্ন ছিল, এই সম্মেলনের ফলে রাজ্যে হবে শিল্প। হবে লক্ষ্মীলাভ। তার পর থেকে ফি বার ঘটা করে হয়ে এই সম্মেলন। সরকারি কোষাগার থেকে উড়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা। শিল্প কী হয়েছে, তা দেবা ন জানন্তি, কুতো মনুষ্যাঃ? বিরোধীদের অভিযোগ, শিল্প না হওয়ায় কর্মসংস্থানও হয়নি। উল্টে সম্মেলনের নামে জলাঞ্জলি গিয়েছে সরকারি অর্থ। ব্যাহত হয়েছে উন্নয়ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ-বাণ 

    এবারও এই সম্মেলনকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জনগণের টাকা ধ্বংস করতে, শুরু হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সপ্তম পর্ব।” এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিজিবিএস সামিটে না থাকে বাণিজ্য, না থাকে গ্লোবাল। এটি শুধুমাত্র ঝকঝকে মিথ্যে বাংলা মানুষকে পরিবেশন করার একটি মঞ্চ। ১৫.৭ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৬ পর্বে। বাস্তবে কী ঘটেছে? এত বিনিয়োগ করে বাংলার কত ছেলেমেয়ে চাকরি পেলেন? দয়া করে প্রকাশ করুন। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই, দেউচা পাঁচামিতে কী ঘটেছে? যেখানে দু’ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওখানে কয়লা খনি থেকে এক কিলো কয়লাও কি উত্তোলন করা হয়েছে? তাজপুরের বন্দরের কী খবর? ঘটা করে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজিবিএস আসলে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নয়। এটি আসলে দু’ দিনের মমতা-মেড-মিরাজ। শিল্পহীনতার মরুভূমি বাংলায় মরুদ্যান দেখানোর চেষ্টা। বাংলার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটছে রাজ্যের। বিজিবিএস (Bengal Global Business Summit) হল নকল মউ স্বাক্ষর।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের  

    Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এভাবে বারবার কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। যত আটকানোর চেষ্টা করবেন, ততই সন্দেহ বাড়বে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ১৭ নভেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে কর্মসূচি ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পুলিশের অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় কর্মসূচি। কেবল এদিনই নয়, ১ নভেম্বরও পুলিশের অনুমতি না মেলায় কোতুলপুরে পৌঁছেও মোহিনী মোহন ময়দানে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি শুভেন্দু। এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ‘জায়ান্ট কিলার’

    সেদিনই ১৭ নভেম্বরের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি (Suvendu Adhikari)। পুলিশি অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ‘জায়ান্ট কিলার’ (একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এভাবেই পরিচিত হন শুভেন্দু)। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেদিন মামলা করেই শুভেন্দু বলেছিলেন, “আদালত যেদিন বলবে সেদিনই কোতুলপুরে আমরা সভা করব। তবে সভা হবেই। তৃণমূল শত প্ররোচনা করেও সভা আটকাতে পারবে না।”

    শুভেন্দুর মিছিলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ

    এদিন বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, আগামী ২৫ নভেম্বর ওই জায়গায় মিছিল করতে পারবে বিজেপি। পুলিশ প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা তৈরি করতে পারবে। মঙ্গলবারের মধ্যে বিজেপিকে তা জানাতে হবে। এরই সঙ্গে কোতুলপুর থানার ওসি এবং এসডিপিওকে আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দুর মিছিলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘জায়ান্ট কিলার’ শুভেন্দুর ‘আগ্রাসন’ রুখতে চেষ্টার কম কসুর করছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁকে রাজ্যের কোথাও সভা করতে বাধা দেওয়া হয়নি। তাঁর নামে লাগানো হয়নি কলঙ্কের কালি।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে পেটানোর নিদান দিলেন উদয়ন

    শিবির বদল করে বিজেপিতে যোগ দিতেই শুভেন্দুকে ঠেকাতে ‘গুপ্তবিদ্যা’ প্রয়োগ করতে শুরু করে শাসক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ, তার পর থেকে শুভেন্দুর পায়ে বেড়ি পরানোর চেষ্টা করতে থাকে পুলিশও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মসূচি পালনে পুলিশ তাঁকে অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করে ছেড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

          

  • Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর কোনও মামলাই আর আপাতত শুনবেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের  পুজো অবকাশ শেষে সোমবার এজলাসে আসেন তিনি। পরে জানিয়ে দেন, এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা আপাতত শুনবেন না। তাঁর জন্য নির্দিষ্ট মামলাগুলির তালিকা থেকে এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা সরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিপাকে পড়েন অনেকে

    তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Justice Abhijit Ganguly)। এই মামলাগুলির অনেকগুলিতেই কড়া রায় দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে শিক্ষিকার পদ খোয়াতে হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তাঁর এমন আরও কয়েকটি রায়ের জেরে বিপাকে পড়েন অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে হতাশ তাঁরা। তবে এসএসসির মামলা না শুনলেও, প্রাথমিকের যে ক’টি মামলা চলছিল তাঁর এজলাসে, সেগুলি শুনবেন তিনি। ২৯ নভেম্বর ওই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।

    কী কারণে শুনবেন না মামলা?

    কী কারণে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা আপাতত শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)? তিনি জানান, ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির সব মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই শুনানি হবে এই মামলাগুলির। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক কিংবা নতুন চাকরির সুপারিশ, সব সিদ্ধান্তই নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির গড়ে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যেসব মামলা সুপ্রিম কোর্ট ফেরত পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এসএসসি (Justice Abhijit Ganguly) নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: “ডিএ-বেতন দেন না, মুখ্যমন্ত্রী শুধু ছুটি দেন”, মমতাকে তোপ দিলীপের  

    Dilip Ghosh: “ডিএ-বেতন দেন না, মুখ্যমন্ত্রী শুধু ছুটি দেন”, মমতাকে তোপ দিলীপের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেন না, বেতনও দেন না, শুধু ছুটি দেন।” সোমবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে ছটপুজো উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের মন্দিরতলা পুকুরে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে ভক্তদের সঙ্গে মাতেন ছট পুজোয়। পুজো উপলক্ষে ঘাটে আসা ভক্তদের চা-বিস্কুটও দেন দিলীপ। খরিদায় ভক্তদের সঙ্গে ঢোলও বাজাতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে।

    দিলীপের কটাক্ষ-বাণ

    ছটপুজো শেষে দিলীপ নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেন না, বেতনও দেন না, শুধু ছুটি দেন। অন্যান্য জায়গার থেকে আমাদের এখানে কর্ম দিবস সব চেয়ে কম। সব থেকে কম দিন পড়াশোনা হয় এখানে।” রবিবার দইঘাটে ছটপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “ছট পুজো উপলক্ষে আমরা দুদিন করে ছুটি দিই। দিল্লি তো ছটপুজোয় ছুটি দেয় না। আমরা দুদিন করে ছুটি দিই। যাতে সকলে ভালভাবে উৎসব পালন করতে পারেন। সোমবার ছটপুজোর ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইদেও আমরা দুদিন ছুটি দিই। কালীপুজোয়ও ছুটি দিয়েছি আমরা। সব উৎসবে ছুটি থাকে। বাংলায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা বাংলাকে ভালবেসে থাকেন।”

    আরও পড়ুুন: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    নওশাদকে ডিসটার্ব কেন?

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরেই তাঁকে নিশানা করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইদে তিনদিন ছুটি দেন। মুখ্যমন্ত্রী ছুটি দেন। বেতনও দেন না, ডিএ-ও দেন না। আর কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে, ছুটি দেয় না…এখানে ছুটি আছে বলে না বেতন, না ডিএ। রসাতলে যাচ্ছে রাজ্যটা।” রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি-সিবিআইয়ের তল্লাশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন দিলীপ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “নিজেদের বেলায় প্রতিহিংসা। তাহলে বিরোধী দলের বিধায়ক নওশাদকে কেন এত ডিসটার্ব করা হচ্ছে? রোজ রোজ পুলিশি তলব। ইডি-সিবিআই ডাকলেই প্রতিহিংসার কথা বলা হচ্ছে। চুরিও করবেন, আবার চোখও রাঙাবেন! চোরেদের রাজত্ব আর চলতে দেওয়া যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তো মেলা-খেলা ছাড়া আর কিছু নেই। মমতা ডিভাইড অ্যান্ড রুলে বিশ্বাসী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Amit Shah: ধর্মতলায় বিজেপির ‘বঞ্চিত’ সমাবেশ, যোগ দেবেন অমিত শাহও!

    Amit Shah: ধর্মতলায় বিজেপির ‘বঞ্চিত’ সমাবেশ, যোগ দেবেন অমিত শাহও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে বসবে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তীর দিন হবে ওই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সম্মতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই কলকাতায় আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২৯ নভেম্বর বিজেপি আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিতে পারেন তিনি।

    সুকান্ত-বার্তা

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লিতে শাহের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সুকান্ত বলেন, “আমরা চেয়েছি অমিত শাহজি ধর্মতলার সভায় থাকুন। কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে আমাদের ২৯ নভেম্বরের সমাবেশ ঐতিহাসিক আকার নেবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।” ২৯ নভেম্বরের এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল ৭ অক্টোবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জনের উপস্থিতিতে।

    বঞ্চিতদের সমাবেশের ডাক শুভেন্দুর 

    সেদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ২৯ নভেম্বর কলকাতায় বঞ্চিতদের সমাবেশ করা হবে। এক লক্ষ বঞ্চিতকে আনা হবে। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বহু পরিবারকে বঞ্চিত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। ২৯ তারিখের সভায় নিয়ে আসা হবে এই বঞ্চিতদেরই। সভায় যাতে ব্যাপক ভিড় হয়, সেজন্য ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা-বঞ্চিতদের সভায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে পদ্মশিবির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    ফি বার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাইয়ের সভা করে তৃণমূল। বিজেপির (Amit Shah) রাজ্য নেতৃত্বও চান ২৯ তারিখে ওই জায়গায় সমাবেশ করতে। কলকাতা পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে আবেদনও করেছে পদ্ম শিবির। যদিও এখনও অনুমোদন মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত অনুমতি না মিললে তাঁরা যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা। পদ্ম শিবিরের আশা, আদালতে মিলবে অনুমতি। তবে সভার অনুমতি পাওয়ার আগেই শাহের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে রেখেছে বিজেপি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রথমে শাহ ও পরে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে নিয়ে এসে ওয়ার্ম-আপ সেরে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় (Khardah) বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত প্রতারকরা। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। মূলত, প্রতারণা জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত জামতারা গ্যাং। পুলিশকে ঘোল খাইয়ে বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অনেক ঘটনা রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। জামতা়ড়া গ্যাংকে টেক্কা দেওয়ার মতো গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছিল খড়দায়। পুলিশ টের পর্যন্ত পায়নি। করোনার সময় এই গ্যাং মার্কিন মুলুকে সব থেকে বেশি প্রতারণা করেছিল। গত চার বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভয়েস চেঞ্জার, অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেরাদুনের পাঁচ তারা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করত? (Khardah)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে  কথা বলত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় (Khardah) বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের আশঙ্কা। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দেরাদুন থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

    কীভাবে হদিশ মিলল প্রতারকদের?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান নামে এক প্রতারকের বাড়িতে চলত এই কল সেন্টার। সেখানে খড়দা,(Khardah) টিটাগড়ের পাশাপাশি কলকাতার গড়ফার একজনেক হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপর এই কেসের তদন্তভার কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগ আরবাজ হাসান নামে একজনকে সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। এরপর গত তিনদিন আগে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের  একটি পাঁচ তারা হোটেল থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ শাহাবাজ হাসান, সোনু জয়সওয়াল, কৃষ্ণ কুমার সিং, অনীশ ঠাকুর, ফরহাদ হাসান ও হর্ষ দিনানি। এই ছয়জনকে শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হচ্ছে বারাকপুর আদালতে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর খড়দার (Khardah) একটি কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রচারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একটি অডি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবীণ ব্যক্তিদের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কল সেন্টার কাজ করে। এই চক্র দীর্ঘ চার বছর ধরে এরা খড়দা থেকে চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেট্রোর জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মেট্রোর জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না। বহাল থাকল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অন্তর্বর্তী আদেশ। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্মময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মেট্রো কাজের জন্য যে গাছ কাটার কথা বলা হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের বক্তব্য পেশ করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের বন দফতর এবং সেনাবাহিনীর মতামতও নিতে হবে। কাছ কাটতে গেলে সকলের অনুমতি নিতে হবে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানি বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন প্রধান বিচারপতি?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “আমরা মেট্রো প্রকল্পের কাজের বিরোধী নই। শহরে মেট্রো পরিষেবা একান্ত প্রয়োজন। মেট্রো সেই অর্থে বিলাসিতা নয়। দৈনন্দিন জীবনের এটি একটি প্রধান অঙ্গ। গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোর কাজ অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তবে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র অন্তর্বর্তী আদেশ।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মামলা করেছিল (Calcutta High Court)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই কাজের জন্য ভিক্টোরিরা মেমোরিয়াল এলাকায় মেট্রো সংলগ্ন ময়দানে ৭০০টি গাছ কাটা পড়বে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন কলকাতা’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থে মামলা করে। সংগঠনের বক্তব্য, কলকাতার ফুসফুস হল ময়দান এলাকা। ১৯৫০ সালের পর থেকে সব শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এই গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই গাছ কোনও ভাবেই কাটা যাবে না। গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে বলা হয়েছিল আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত  গাছ কাটা যাবে না। সেই সময় ডিভিশিন বেঞ্চের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এবং বিভাসরঞ্জন দে বলেন, যে সংখ্যায় গাছ কাটার কথা বলে হচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।

    মেট্রোর বক্তব্য

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পাশপাশি মেট্রোর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেশিন এবং অন্য যন্ত্রপাতি পরিবহণ করতে ২০০টির বেশি গাছ কাটার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ময়দান স্টেশনটির দৈর্ঘ্য ৩২৫ কিমি হবে। সেইজন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে। তবে কাটার বিকল্পে গাছ লাগানোর কথাও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভার জন্য দেওয়া হয়েছিল বাস। তবে, পাঁচটি বা দশটি বাস নয়, সবমিলিয়ে সাড়ে তিনশো বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও প্রাপ্য টাকা পাননি পশ্চিম বর্ধমানের সাড়ে তিনশো মিনিবাসের মালিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় দরবার করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Mamata Banerjee)

    এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাস মালিকরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন’মাস ধরে তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।

    বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের কী বক্তব্য?

    মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য প্রায় শতাধিক বাস নেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দিন দশেকের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও তা আর হয়নি। এমনিতেই মিনিবাস পরিষেবা ধুঁকছে। তার উপরে সরকারি কর্মসূচিতে মিনিবাস দিয়েও পাওনা না পেলে আমরা কী করব?

    জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, ‘আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।’ তবে পরিহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পবিহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share