Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    Recruitment Scam: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে চাকরি (Recruitment Scam) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাঁরা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকেও টাকা চেয়েছিলেন তিনি। যাঁরা টাকা দেননি, তাঁদের চাকরি থেকে করতে দেওয়া হয়নি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)…

    এই যেমন চুঁচুড়া ষণ্ডেশ্বরতলার চয়নিকা আঢ্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন টিটাগড় পুরসভায়। অভিযোগ, অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি করতে পারেননি তিনি। অথচ খেলোয়াড় কোটায় ওই চাকরি পেয়েছিলেন চয়নিকা। তাঁর দাবি, ইন্টারভিউয়ের পর চাকরিও হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে জয়েনিং লেটার দেওয়া হয়। চয়নিকা বলেন, একদিন এক পুলিশ কর্মী (Recruitment Scam) বাড়িতে এসে বলেন অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। চয়নিকা তাঁর বাবাকে নিয়ে জগুদাসপাড়ায় অয়নের অফিসে যান। অয়ন তাঁদের বলেন, চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

    চয়নিকা তাঁকে জানান, নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। তাছাড়া অত টাকা তাঁর কাছে নেই। চয়নিকা বলেন, সেদিন ফিরে আসার পর ফের অয়নের লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সল্টলেকের অফিসে যেতে বলে। সেখানেও বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা না পেয়ে ফিরে আসি। তিনি বলেন, পরে জানতে পারি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অয়নের বিরুদ্ধে। এর পর চয়নিকা কথা বলেন পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে খোলা হয় স্যালারি অ্যাকাউন্টও। পুরসভায় ছ দিন কাজও করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    চয়নিকার অভিযোগ, এরপর আচমকাই তাঁকে পুরসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, নিয়োগ তালিকায় আমার নাম ছিল ২২০ নম্বরে। রাতারাতি সেই তালিকা পরিবর্তন করে যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল অয়নের সংস্থা (Recruitment Scam)। তাঁর অফিসে হানা দিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির অভিযোগ, অয়ন স্কুল, পুরসভা সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। বহু মানুষকে প্রতারিতও করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fly: মাছির উপদ্রবে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা! একাধিক শিশু অসুস্থ, কোথায় জানেন?

    Fly: মাছির উপদ্রবে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা! একাধিক শিশু অসুস্থ, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ লোকালয়ে হাতি ঢুকে তান্ডব চালাচ্ছে এমন নয়। বাঘের হামলার ঘটনাও ঘটেনি। সামান্য মাছির (Fly) দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার সারাহাটি গ্রামের বাসিন্দারা। অনেকে পেটের অসুখে ভুগছেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, একাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে গ্রামবাসীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করায় তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কবে, এই মাছির (Fly) উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Fly

    পঞ্চায়েতের থেকে কোনও অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা গ্রামেই জৈব সারের কারখানা তৈরি করেন। আর কারখানা চালু হওয়ার পর থেকেই গ্রামে এই সমস্যা দেখা দেয়। অসীমা মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমি অসুস্থ। চিকিত্সা চলছে। এখন মাছির (Fly) উপদ্রবে বাড়িতে রান্না করা দায় হয়ে গিয়েছে। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছি না। মঞ্জু খাঁ বলেন, সারের কারখানার জেরে গ্রামে দুর্গন্ধে টিকতে পারছি না। গ্রামের অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার তিনমাসের সন্তানকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনেকেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না। মাছির (Fly) আতঙ্কে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামের প্রতিটি ঘরে মাছি (Fly) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ খেতে পর্যন্ত পারছেন না। আমাদের দাবি, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে এই মাছির আতঙ্কে এলাকায় আর কেউ থাকতে চাইবেন না।

    কী বললেন জৈব সার কারখানার মালিক? Fly

    মাসখানেক ধরে সারের কারখানা চালু করা হয়েছে। তারপর থেকে মাছির (Fly) উপদ্রব বলে এলাকাবাসীর দাবি। তবে, এই অভিযোগ মানতে নারাজ জৈব সার কারখানার মালিক মৃন্ময় বিশ্বাস বলেন, বসন্তকালে মাছির (Fly) উপদ্রব সব জায়গায় থাকে। এটা কোনও কারণ নয়। আসলে আমার জমি এতদিন ফাঁকা পড়েছিল। সেটা গ্রামের লোকজন ব্যবহার করত। সেই জমিতে কারখানা করেছি বলে এলাকাবাসী এসব অভিযোগ করছেন। কৃষি দফতরের আধিকারিকদের জানিয়ে আমি কারখানা করেছি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান? Fly

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ বলেন, সার কারখানার মালিক আমাদের থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। গ্রামে গিয়ে দেখেছি, খুবই সমস্যার বিষয়। অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls) নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সুপ্রিম কোর্ট…

    ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় শুনানি হতে পারে মামলাটি। এর আগে শুভেন্দুর মামলা প্রসঙ্গে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিরোধী দলনেতার মামলার সারবত্তা থাকলেও, এই অবস্থায় হাইকোর্ট কমিশনের ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে। এর পরেও শুভেন্দুর কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি তা জানাতে পারেন নির্বাচন কমিশনে। তা খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ, আশার আলো দেখছে কংগ্রেস

    এর পরেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আগামী সাতদিন যেন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা না হয়, সেই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দুটি বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। একটি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে, অন্যটি ওবিসি সম্প্রদায়ের গণনা সংক্রান্ত বিষয়ে। দ্বিতীয় বিষয়ে রায় দিলেও, প্রথমটি নিয়ে কোনও রায় দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এ নিয়ে ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আদালতে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফশিলি জাতি ও উপজাতির গণনা করা হলেও, ওবিসি সম্প্রদায়কে গণনা করা হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drone: রাম নবমীর মিছিলে নজরদারি ড্রোনের! বসানো হল কয়েকশো সিসিটিভি ক্যামেরা, কোথায় জানেন?

    Drone: রাম নবমীর মিছিলে নজরদারি ড্রোনের! বসানো হল কয়েকশো সিসিটিভি ক্যামেরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আজ, বৃহস্পতিবার রামনবমী। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে সাজো সাজো রব। এই শিল্পাঞ্চলের বিটি রোড, ঘোষপাড়া রোডে রামনবমীর মিছিলে জনজোয়ার হবে। এই মহকুমার মধ্যে কামারহাটি, টিটাগড়, জগদ্দল এবং ভাটপাড়ার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। রামনবমীর মিছিল সুষ্ঠুভাবে করতে তত্পর রয়েছে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, এবার কমিশনারেটের যে সব জায়গায় রামনবমীর মিছিল হবে, সেখানে ড্রোনে (Drone) করে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানা এলাকায় নতুন করে প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা মোতায়েন করা হয়েছে।

    পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? Drone

    এমনিতেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্ত্র মিছিলের অনুমতি না দেওয়া হলেও মিছিলে তরবারিসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগে ভাটপাড়া, জগদ্দল, হাজিনগরে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল। এবারও মিছিলে হাজার কর্মী, সমর্থক সামিল হবেন। ফলে, নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্যই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এমনিতেই কমিশনারেট এলাকা জুড়ে প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তারপরও রামনবমীর জন্য আরও অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। আগেই পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার সমস্ত থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রামনবমীর মিছিল সুষ্ঠুভাবে করতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  এবার ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় প্রায় ৭২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ভাটপাড়া জুড়়ে ড্রোনে (Drone) করে মিছিলে নজরদারি চালানো হবে। রাস্তার পাশে বাড়ির ছাদেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একইভাবে জগদ্দল থানা এলাকায় রামনবমীর জন্য সব থেকে বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, জগদ্দল থানা এলাকায় ১৫০টি ক্যামেরা থাকবে। ছাদে নজরদারি থাকবে। মোবাইল ভ্যান থাকবে। অন্যদিকে, টিটাগড় থানা এলাকা জুড়ে নতুন করে প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিশিষ্টজনদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর ড্রোনে (Drone) নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার দুধারের বাড়ির ছাদ থেকেও নজরদারি চালাবে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে নিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। সিবিআই-এর দাবি, সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলেছিল চাকরি কেনাবেচা। বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে দুর্নীতির কাজ আরও সহজ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের।

    সুবীরেশ-নীলাদ্রি যোগ

    ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশের কার্যকালের মধ্যেই, ২০১৫ সাল থেকে ওএমআর বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নীলাদ্রি। চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম এসএসসি-র মাধ্যমে জানানো হত নীলাদ্রিকে। নাইসা-র ডিরেক্টর পুনীত কুমার বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রি দাসকে এসএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

    ধরা পড়েও ছাড়া পান নীলাদ্রি

    চার বছর আগে একবার চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং প্রতারণার মামলায় ধরা পড়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। মামলার চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতাও করেনি সিআইডি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই তদন্তে প্রয়োজনে সিআইডি আধিকারিকদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, নীলাদ্রির কি পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও যোগাযোগ ছিল? না হলে তিনি এত সহজে ছাড় পেলেন কী করে? সুবীরেশের ক্ষেত্রেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নীলাদ্রি। সুবীরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি-র যে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সালের আগে হয়েছে। অর্থাৎ, সিআইডি যখন নীলাদ্রিকে ধরেছিল তখন নিয়োগ দুর্নীতিতে তার সব কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির চক্র ঘাঁটতে গিয়েই শিক্ষা দফতর, এসএসসি-র শীর্ষ মহলের যোগসূত্র জানতে পেরেছিল সিআইডি। সেই কারণেই তদন্ত ধীর গতিতে চলে এবং নীলাদ্রিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,বলে অনুমান সিবিআই-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway: পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল মন্ত্রক! থাকছে ইএমআইয়ের সুবিধা, কবে ছাড়ছে এই ট্রেন?

    Railway: পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল মন্ত্রক! থাকছে ইএমআইয়ের সুবিধা, কবে ছাড়ছে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর। এবার গরমের ছুটিতে দেশের পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ  ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের জন্য ‘ভারত গৌরব স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন’ ছাড়ছে রেল (Railway) মন্ত্রক। এই প্রথম পর্যটকদের সুবিধার জন্য রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইএমআই-এর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন আইআরসিটিসির কলকাতা জোনাল অফিসের সিনিয়র সুপারভাইজার কিঙ্কর রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই বিশেষ ট্রেন চালু করা হচ্ছে। এর আগেও আমরা এই ধরনের বিশেষ ট্রেন ছেড়ে সাফল্য পেয়েছি। মাথাপিছু ধার্য টাকার বাইরে কোন টাকা লাগবে না। এছাড়া, পর্যটকদের সুবিধার জন্য এই প্রথম ইএমআই-এর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জিনিসপত্র যেমন ইএমআই এর মাধ্যমে কেনা হয় তেমনই ভ্রমণের জন্য এই পদ্ধতিতে টাকা দিতে পারবেন পর্যটকেরা।”

    কোন কোন তীর্থক্ষেত্র যাবে এই বিশেষ ট্রেন? Railway

    ২০ মে কলকাতা স্টেশন থেকে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। জ্যোতির্লিঙ্গসহ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, শনি মন্দির ঘোরানো হবে পর্যটকদের। এই বিশেষ ট্রেনটি ওমকারেশ্বর, মহাকালেশ্বর, সোমনাথ, নাগেশ্বরসহ ৫টি জ্যোতির্লিঙ্গ যাবে। এছাড়া  শিরডি সাঁই বাবা, শনি শিংনাপুর সহ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ঘুরে দেখানো হবে পর্যটকদের। বিশেষ এই ট্রেনে ১১ রাত ১২ দিন  ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতা ছাড়া ব্যাণ্ডেল জংশন, বর্ধমান জংশন, বোলপুর-শান্তিনিকেতন, রামপুরহাট জংশন, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, ভাগলপুর, মুজাফফরপুর, পাটলিপুত্র প্রভৃতি স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি। এই স্টেশনগুলি থেকে বুকিংও করা যাবে।

    ভারত গৌরব স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনের ভাড়া কত জানেন? Railway

    পর্যটকদের সুবিধার জন্য তিনটি বিশেষ প্যাকেজ রাখা হয়েছে। বাতানুকূল সহ মোট ৬৫৬ টি আসন রয়েছে এই ট্রেনে। স্লিপার কোচ, থার্ড এসি এবং সেকেন্ড এসি। স্লিপার কোচের ভাড়া মাথাপিছু ২০ হাজার ৬০ টাকা। থার্ড এসির ভাড়া রাখা হয়েছে ৩১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সেকেন্ড এসির ভাড়া করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। রেল পর্যটনের প্রচারের জন্য রেলমন্ত্রক (Railway) এই ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের ৩৩ শতাংশ ছাড়ও দিচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রথম পর্যটনের জন্য ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ৩ থেকে ১৮ মাসের ইএমআই সুবিধায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকেরা। যে কেউ ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে (Railway) ক্যাটারিং এণ্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট www.irctctourism.com এর মাধ্যমে বুকিং করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা, প্রফেসরের জায়গায় অস্থায়ী লেকচারার। সস্তার লেবার পেতে চাইছে সরকার। তিনি বলেন, এভাবে টাকা বাঁচাচ্ছে, কিন্তু ডিএ দিচ্ছে না। এটাই কি যুব সমাজের ভবিষ্যৎ?  এভাবে একটা অসম্মানজনক কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। একটিতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের হোম ও হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টে পাঁচজন উপদেষ্টা নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। পারিশ্রমিক মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ পাশ হতে হবে। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাঁচ বছর। ওই দফতরেই পাঁচটি শূন্য পদে চুক্তিভিত্তিক জুনিয়র কনসালট্যান্ট নিয়োগের বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সেখানেও মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ চাওয়া হয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন দু বছরের। প্রতি মাসে পারিশ্রমিক ৭৫ হাজার টাকা।

    রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দফতরে ১০ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়ার বিজ্ঞাপনও রয়েছে। এখানে পারিশ্রমিক বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। অস্থায়ী হোমগার্ড পদেও নিয়োগ হবে। প্রতিদিন মাথা পিছু ৫৬৫ টাকা করে দেওয়া হবে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে উল্লেখ করা সব পদই অস্থায়ী। ভবিষ্যতের কোনও নিশ্চয়তা নেই। চুক্তি পুনর্নবীকরণ না হলে কাজ চলে যাবে। সেই ভয়াবহ ও অনিবার্য পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে দু দিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিকে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দু দিনের ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপির এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রমুখ। এদিনের ধর্না মঞ্চে দিলীপ বলেন, আলিপুর সংশোধনাগার, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না, তাই এখন তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে।

    অভিযোগের বাণ…

    তিনি বলেন, আসানসোল থেকে তুলে তিহাড়ে নিয়ে চলে গেল। আইনের হাত কত লম্বা দেখলেন? তিনি বলেন, মোদি আর যোগী যত শক্তিশালী হচ্ছেন, আইনের হাত তত লম্বা হচ্ছে। দিলীপ বলেন, ঘাটালের সাংসদ গতকাল সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি দুর্নীতি। কোনও টাকার হিসেব আসে না। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ডিএর দাবি যে অন্যায্য নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সরকার সিঙ্গুরে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন। মানুষ ওখানে চোখে সরষে ফুল দেখছেন, কিন্তু সরষের চাষ দেখতে পাননি। তিনি বলেন, সিঙ্গুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হতে পারত, সেই সিঙ্গুরে আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। রাজ্যের শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।

    এদিনের মঞ্চে ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী যাঁরা সংবিধানকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তিনি বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঢালাও অর্থ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে। দেখা গেল, প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনাকে খাদ্যসাথী বলে চালানো হয়।

    আরও পড়ুুন: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে জব কার্ড হোল্ডার ছিল ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ হয়ে গেল কেন?  তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, মোদিজি যখন বললেন, আধারের সঙ্গে জবকার্ড লিঙ্ক করতে হবে, তখনই ১ কোটি জবকার্ড বাদ পড়ে গেল। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে এরা ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হয়েছে, যে তাকে মহাসমুদ্রের সঙ্গে তুলনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকের একটি মামলায় মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ভাবে প্রচুর সংখ্যক বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে পুরো প্যানেল বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই।  এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি।” 

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গ

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্যানেল বাতিল হলে ন্যায্য উপায়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে। যদি এক জনও থেকে থাকেন সেটাও দেখতে হবে। ফলে অন্য উপায় কী আছে, তা জানতে চান বিচারপতি। মামলার সব পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করছেন। তার পরও আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। এ তো মহাসমুদ্র। দুর্নীতির মহাসমুদ্র। এই অবস্থায় ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তিন দিন ধরে মামলার সব পক্ষের বক্তব্য শুনব।” হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ এপ্রিল।

    মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিকের

    টেট ২০১৪ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের৷ আদালতের সামনে সেটা প্রমাণিতও হয়েছে।” সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪-র টেটের ওএমআর শিট সরবরাহের জন্য কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। রিপোর্টে সিবিআইএর দাবি অনুযায়ী মানিক আরও জানিয়েছেন, ২০১২ র টেটের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেখানেই প্রথম বরাত পায় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। ভাল কাজ করায় এবং অন্য কেউ টেন্ডার জমা না দেওয়ায় ফের বরাত দেওয়া হয় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সিবিআই এর এই রিপোর্ট দেখে অখুশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    সিবিআইকে বিচারপতি

    সিবিআইয়ের রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে ? এর থেকে তো আমি ভাল  জিজ্ঞাসাবাদ করি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!” তিনি বলেন,  “সিবিআই তো কিছুই করছে না। তারা তো জানেও না পিছনের দরজা দিয়ে কোন কাজ হয়েছে। এই সরকারের শিক্ষা দফতর কী করে এই দুর্নীতি দেখেও তাদের চোখ বন্ধ করে রাখল সেটা ভেবে আমি বিস্মিত। শিক্ষা দফতরের কেউ কেউ হয়তো হাতে হাত রেখে এই দুর্নীতি করেছিলেন৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি! প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের এক কর্মীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি! প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের এক কর্মীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। বুধবার সল্টলেকের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মী অর্ণব বসুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। মূলত ওই কর্মী চাকরি চুরি সংক্রান্ত কোনও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই তল্লাশিতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গিয়েছে কি না সেটা জানা যায়নি। এদিনই কলকাতার ইডি দফতরে পৌঁছন নিয়োগকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি শীল। 

    সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি

    বুধবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন কাকলি। এর আগে গত শনিবারও তিনি ইডি অফিসে গিয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গ্রেফতার সল্টলেকের প্রোমোটার অয়ন শীলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সূত্ররে খবর, অয়নের স্ত্রী এবং ছেলে দিল্লিতে থাকেন। কাকলি দিল্লি থেকে ফিরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। তদন্তে নেমে অয়ন শীলের ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ পেয়েছে ইডি। লকারে অয়নের সঙ্গে যৌথভাবে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলির। এর আগেও কয়েকবার অয়ন পত্নীর সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের ছেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের দ্বিতীয় ডিরেক্টর কাকলি শীল। কাকলি যদিও এর আগে দাবি করেছিলেন, স্বামীর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। একই সঙ্গে স্বামীর প্রযোজিত সিনেমায় তাঁর স্বামীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতা চক্রবর্তীর অভিনয় নিয়েও তিনি অনেক পরে জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন কাকলি। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর এবং কাকলির নামে দু’টি যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। পাশাপাশি কাকলির নামে দু’টি আলাদা অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share