Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবারে উঠে এল আরও এক রহস্যময়ী নারীর নাম। অর্পিতা, হৈমন্তীর পরে এবার সোমা। পুরো নাম সোমা চক্রবর্তী। ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে খোঁজ মিলেছে এই সোমা চক্রবর্তীর। অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে এই সোমা চক্রবর্তীকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। এমনকী শুধু টাকা নয়, তাঁকে নাকি ফ্ল্যাট ও গাড়িও কিনে দিয়েছেন কুন্তল। ফলে এদিন সোমা চক্রবর্তীকে তলব করেছে ইডি। চলছে জেরা। অন্যদিকে কুন্তল দাবি করেছেন, সোমা নামে কোনও মহিলাকেই নাকি তিনি চেনেন না।

    কে এই সোমা চক্রবর্তী?

    ইডি সূত্রে খবর, সোমা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলা নেল পার্লারের মালকিন। তাঁর নিউটাউনে একটি নেল পার্লার রয়েছে। কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্ক্রুটিনি করেই সোমা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে কুন্তল গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ফলে তাঁর সঙ্গে কী সম্পর্ক কুন্তলের, ঠিক কী কারণে কুন্তল ঘোষ সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করেছিলেন? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই কি সোমা চক্রবর্তীর নেল পার্লারের মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকরা সোমাকে ডেকে পাঠান ও জেরার মুখোমুখি হন তিনি (Recruitment Scam)।

    আরও পড়ুন: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী দাবি কুন্তলের?

    অন্যদিকে আজ আদালতে পেশের সময় সোমা চক্রবর্তীকে চেনেন না বলেই দাবি করেছেন কুন্তল। সোমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” আজ ফের গোপাল দলপতির নামে এদিন অভিযোগ করেন কুন্তল। বলেন, “হৈমন্তীকে বাঁচানোর জন্য গোপাল নানা কথা বলেছে।” সোমাকে ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা উঠলে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে আদালতে কুন্তল বলেন, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” ফলে সোমার সঙ্গে কুন্তলের কী সম্পর্ক, কোন সূত্র ধরে এই টাকার লেনদেন, সেই জবাব কুন্তলের কাছ থেকে এখনও স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি (Recruitment Scam)।

    হৈমন্তীর কী দাবি?

    অন্যদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম উঠে আসা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রথমবার মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “আমি কোনও ভাবেই এই দুর্নীতর সঙ্গে জড়িত নই। জানি না, কীভাবে দুর্নীতি হয়। কোনও ধারণাই নেই আমার। আমাকে শুধু শুধু হেনস্তা করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। আর সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি তো চিনিই না।”

    আবার স্বামী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁকে চেনেন কিনা প্রশ্ন করলে সাফ বলেন, “চিনি মানে? ২০১২ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।” গোপালের নাম উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এই প্রসঙ্গে হৈমন্তীর দাবি, “আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আমার কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা, কেষ্টর দিল্লি-যাত্রা কি সময়ের অপেক্ষা?

    Anubrata Mondal: দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা, কেষ্টর দিল্লি-যাত্রা কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওভাবেই দিল্লি যেতে চান না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লি যাত্রা রুখতে শুক্রবার পরপর দুটি মামলা করেন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।  তবে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর মামলা গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত হল না শুনানি। শনিবার বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা শোনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আর্জিতে সাড়া দিল না দিল্লি হাই কোর্ট। তাঁর আইনজীবী রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইলেও শুক্রবার তা মঞ্জুর করেননি বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা। অতএব অনুব্রতের দিল্লি-গমন এখন সময়ের অপেক্ষা।

    কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলা

    এদিন প্রথমার্ধে যেহেতু কোর্ট খোলা ছিল সেই কারণে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)মামলা গ্রহণ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার মামলা না লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিল। আইনজীবীদের কর্মবিরতির জন্য শেষপর্যন্ত আর অনুব্রতের মামলা শোনা হয় না। তবে,উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন নিম্ন আদালতের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশও দেয়নি হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়, বিচারপতি চৌধুরী অনুব্রতর(Anubrata Mondal) মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ বেঞ্চ গড়তে অনুরোধ করেছেন। শনিবার সকাল ১১টায় সেই বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। এদিন অনুব্রতকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    দিল্লি হাইকোর্টে কেষ্ট

    অন্যদিকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal)রাজধানী যাত্রা ঠেকাতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল। দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারপতি শর্মার একক বেঞ্চে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন আদালতে হাজির ছিলেন না কেষ্টর আইনজীবী সিব্বল। এর পরেই মামলাটি কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন অনুব্রতের তরফে আইনজীবী। তিনি জানান, এই মামলায় আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করবেন। তাই তিনি না আসা পর্যন্ত মামলাটির শুনানি স্থগিত রাখা হোক। এই আবেদন অবশ্য আদালত মেনে নিয়েছে। তবে যেহেতু আসানসোল আদালতের নির্দেশের ওপর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেননি কোনও হাইকোর্ট। তাই অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করতেই পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওএমআর শিট। সেগুলোই এবারে প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ওএমআর প্রকাশ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে এসএসসি। অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে ওই উত্তরপত্রগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, নম্বর কারচুপি করা উত্তরপত্রগুলিকে অবিলম্বে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে।

    ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র উদ্ধার

    নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে এসএসসি-র গ্রুপ সি-র (SSC Scam) পরীক্ষার ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এসএসসির আইনজীবী জানান, অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর ও কমিশনের কাছে থাকা নম্বরে রয়েছে বহু ফারাক। গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসা এই পরীক্ষা খাতার মূল্যায়ন করেছিল। এরপরেই এই ওএমআর শিট এসএসসি-কে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০!

    এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতিতে (SSC Scam) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে চাকরি পাওয়া এক ব্যক্তির নম্বর ওএমআর মূল্যায়নকারি সংস্থা নাইসা-র সার্ভারে ৪০। কিন্তু, কমিশনের সার্ভারে তা দেখাচ্ছে ১০! এই তথ্য দেখে রীতিমত বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী ভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি জানিয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগে পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বর আসল ওএমআর শিটে একরকম এবং কমিশনের কাছে অন্যরকমের রয়েছে। এসএসসি এ-ও জানিয়েছে এর নেপথ্যে কমিশনেরই কিছু আধিকারিকের ভূমিকা রয়েছে।

    বিস্মিত বিচারপতি কী বললেন?

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি চলছিল স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলার (SSC Scam)। সেখানেই এসএসসির আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি। নম্বরের এত ফারাক দেখে অবিলম্বে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওইসব উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই এসব হয়েছে। সিবিআই চাইলে সুবীরেশ-সহ বাকিদের বারে বারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।” আবার কমিশন আরও জানায় যে, সিবিআই যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে ৩০০টি বিকৃত করা হয়নি। এ কথা শোনার পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ৯ মার্চের মধ্যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশন কে নিজেদের সাইটে প্রকাশ করতেই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শূন্যপদে নিয়োগের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রুপ ডি-র ১৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও সঞ্জয় করলের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    গ্রুপ ডি (Group D)…

    বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধ, কর্মজীবনে প্রাপ্য বেতন ফেরত দেওয়া ও স্কুলে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে তাঁরা কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরি খোয়ানো ১৯১১জন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ওপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। শুক্রবারই হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন চাকরি খোয়ানোদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন (Group D), তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। আদালতে এ কথা স্বীকারও করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এদিকে বহু স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের কাজ ভাগ করে করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের ভাত খেতে চান না তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! দিল্লির (Delhi) জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা দায়ের করলেন দুই হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের পাশাপাশি অনুব্রত দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। মামলাটি গৃহীতও হয়েছে। এদিনই বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সবুজ সংকেত দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ইডি। তার মধ্যেই অনুব্রতর তরফে দায়ের হল জোড়া মামলা। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। জরুরি ভিত্তিতে এদিনই শুনানির আবেদন করেন সিব্বল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি (ED)। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা কেন কার্যকর করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। তার পরেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে।

    গত বছরের অগাস্টের ২২ তারিখে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর উঠে এসেছিল একাধিক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হত কিনা, তা জানতেও তদন্ত করে সিবিআই। এদিকে, গ্রেফতার করার পর অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ করেছিলেন জনৈক শিব ঠাকুর মণ্ডল। শিব ঠাকুরের দাবি, এত দিন ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পরেই সাহস সঞ্চয় করেন তিনি। পরে দায়ের করেন অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ৯ ডিসেম্বর রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি নিয়ে যাওয়ার। তার পরেই দেখা গেল, একটি পুরনো মামলায় আসানসোল জেল থেকেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ফের জেল হেফাজত…

    এদিকে, অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মার্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির চিটফান্ড কারবারের খোঁজখবর শুরু করল সিবিআই। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পর বেশ কিছুদিন তিহাড় জেলে বন্দিও ছিলেন গোপাল। চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িয়েই গোপালের যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন তিনি। 

    প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন

    সিবিআই সূত্রে খবর, ৪৭ মাসে ১৫ শতাংশ সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এই টোপ দেখিয়ে চিটফান্ড ব্যবসা শুরু করেন গোপাল। ২০১২ সালে জি নেট নামে এই চিটফান্ড চালু করেন তিনি। জেলায় জেলায় প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি তেমন সাড়া পাননি। এর পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেন গোপাল। বলেন, কোনও সমস‌্যা হলে জমি বিক্রি করে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে এই শর্তে টাকা তোলেন গোপাল। তাঁকে সাহায্য করতেন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। গ্রামের জমিতে শিল্পে প্রকল্প গড়ে তোলার আশ্বাস দিতেন গোপাল ও তাঁর এজেন্টরা। সেই প্রকল্পে আমানতকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেতে পারেন বলেও স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। স্বপ্ন ফেরি করতে বেশ পটু গোপাল ও তাঁর মডেল স্ত্রী এমনই ধারণা গোয়েন্দাদের। প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে (SSC Scam) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা তোলেন গোপাল, অনুমান অফিসারদের।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    গোপালের চিটফান্ড মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় জনপ্রিয়তা পায়। লোকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেয়। তবে, লগ্নিকারীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে সিবিআই জেনেছে, কেউই প্রায় টাকা ফেরত পাননি। এদিকে, এমন খবরও তদন্তকারীদের কাছে এসেছে যে, জমিগুলি সবার অলক্ষ্যে স্থানীয় এজেন্টদের সাহায‌্য নিয়ে  বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েন গোপাল। শেষ পর্যন্ত ভোলবদলে গোপাল হন আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়। সিবিআইয়ের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা গোপালের চিটফান্ডে গিয়ে থাকতে পারে। এব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। গোপাল দিল্লি থেকে ফিরলেই সিবিআই তাঁকে জেরা করতে চায় বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Satyabrata Mukherjee: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    Satyabrata Mukherjee: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ কলকাতার বালিগঞ্জের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার রাজনীতিতে। প্রাক্তন এই আইনজীবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কোলকাতা হাইকোর্টে অর্ধদিবস ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

    রাজনৈতিক জীবন

    বিজেপির টিকিটে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য হন। কেন্দ্রীয় সরকারের রাসায়নিক-সার মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে তাঁর হাতে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে এই রাজ্যে বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন তিনি।

     

    শোকজ্ঞাপন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এদিন ট্যুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, “রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতৃত্ব, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সম্মানীয় শ্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (জুলু বাবু) মহোদয়ের প্রয়াণে আমি শোকাহত। ওনার পরিবার, পরিজন, শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানাই। ওনার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Adenovirus: ফের শিশু-মৃত্যু! অ্যাডিনো মোকাবিলায় জেলায় জেলায় আইসিইউ পরিকাঠামোতে জোর

    Adenovirus: ফের শিশু-মৃত্যু! অ্যাডিনো মোকাবিলায় জেলায় জেলায় আইসিইউ পরিকাঠামোতে জোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও  রাজ্যে ফের মৃত্যু হল ১১ মাসের এক  শিশুর (Child Death)। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল শাসনের বাসিন্দা ওই শিশুটি। গত রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির।  স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ শিশুর। তারমধ্যে বেশ কয়েক জনের কোমর্বিডিটি ছিল।

    অ্যাডিনো উদ্বেগে চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। ১০ দফা অ্যাডভাইসরি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক করতে হবে। যে যে হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিভাগ আছে, সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করতে হবে। যাতে সাধারণ বর্হিবিভাগে এইসব রোগীকে অপেক্ষা করতে না হয়। হাসপাতাল প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশু রোগীদের রেফার করা যাবে না। ভেন্টিলেটর ও অন্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশু বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে হবে।

    অ্যাডিনোর জের! শিশুর জন্য জেলায় জেলায় ICU পরিকাঠামো 

    এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটজনক শিশুদের (Children in Critical Condition) চিকিৎসার জন্য জেলায় জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা (Virtual Workshop)। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। তাই এত শিশু-মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শহরের বাইরে গেলেই মিলছে না অভিজ্ঞ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞের অভাবে সঙ্কটজনক শিশুকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। চাপ বাড়ছে শহরের হাসপাতালগুলির শিশুবিভাগে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার ধকলও নিতে পারছে না অনেক শিশু। এককথায় সেই অভিযোগগুলিকে কার্যত মান্যতা দিল স্বাস্থ্য দফতর। 

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কমাতে পাতে রাখুন এই ৬ প্রকারের উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি

    সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলাস্তরের হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ PICU না থাকায়, বড়দের CCU, HDU পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক, ক্যানুলা ও সার্কিট ব্যবহার করে শিশুদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা। কর্মশালায় জেলার হাসপাতালগুলির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, CCU, HDU-এর মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার অস্ত্রেই মমতা বধ! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে মমতাকেই বিঁধলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃতীয়বার বাংলা জয়ের পর তৃণমূল (TMC) নেত্রী পাখির চোখ করেছিলেন ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনেও গোহারা হেরেছে মমতার দল। তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে তৃণমূল নেত্রীর কবিতার লাইন, ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)…

    অথচ ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্য জয়ে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরা উড়ে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। খোদ তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রাও মাঠে মারা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় সাকুল্যে এক শতাংশ ভোটও পায়নি তৃণমূল। নোটার চেয়েও কম ভোট গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে। তার পরেই ধেয়ে এল সুকান্তের (Sukanta Majumdar) খোঁচা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে সুকান্ত ত্রিপুরার ভোটের ফলের শতাংশের হিসেব তুলে ধরে বিঁধেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।

    অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মানিক সাহা এবং ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির কার্যকর্তাদের অভিনন্দন। ত্রিপুরা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন সূচিতে পরিচালিত সরকারকে নির্বাচিত করেছে। এই জয় বিজেপির প্রতি জনগণের ক্রমবর্ধমান আস্থা দেখায়।

    পদ্ম ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যুইটারে যুক্ত করে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, বাম-কংগ্রেস জোট এবং উচ্চাভিলাষী টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপি ত্রিপুরাকে ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ এ। উত্তর পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এর পর হবে পশ্চিমবঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেবল উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য নয়, বাংলায়ও মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। হাত ছাড়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার রাশও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ওরা বলছে, মর যা মোদি, দেশ বলছে, মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share