Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া জনসংযোগ অভিযানে (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনা হবে। এই নয়া কর্মসূচির নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’।  

    আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে শুরু হবে এই অভিযান। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠোন বৈঠক করবেন। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন। 

    সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা (BJP Gram Sampark Abhiyaan) গ্রামের মানুষের সুখদুঃখের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানতে চাইবেন।”

     

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির (BJP Gram Sampark Abhiyaan) মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন হবে।”  এই অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সেখানে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। 

    কেন এই কর্মসূচি?

    এই কর্মসূচি কেন নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত (BJP Gram Sampark Abhiyaan) উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপির নিশানায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন কড়া বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor of West Bengal)

    রাজভবন থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী রাজ্যপাল বলছেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায়। ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান হল এই বাংলার মাটি। সেখানে এধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
    রাজ্যপাল আরও বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে দাবি আসছে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার জন্য। রাজ্য সরকারকে এদিন গণতন্ত্রের পাঠও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অংশ হল বিক্ষোভ এবং আন্দোলন, কিন্তু হিংসা এবং সন্ত্রাসের অনুপ্রবেশ কখনই কাম্য নয়। সমাজবিরোধীরা যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তাদের কড়া হাতে দমন করার কথাও রাজ্য সরকারকে মনে করিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মত, পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসাররা কোনও  নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে এবং ভয়ের কাছে নত হয়ে কাজ করবেন না এটাই বাংলার মানুষ চায় সবসময়। পুলিশকে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনও রকমের শিথিলতাকে যেন প্রশয় না দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে এভাবে গুণ্ডারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বলেও তিনি একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। বিভিন্ন মহলের ধারনা শাসক দলের গুণ্ডাদের হাতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ চলে গিয়েছে এবং পুলিশ নিধিরাম সর্দার, এটাই এদিন বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথাও তিনি বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যপাল যে চোখ কান বন্ধ করে থাকবেনা এবং রাজ্যের যেকোনও প্রান্তে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে যে তিনি  হস্তক্ষেপ করবেন সেটাও এদিন রাজ্য সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকার যেন অবিলম্বে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়, এই আবেদনও রেখেছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

       

  • Mysterious Death: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    Mysterious Death: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য (Mysterious Death)। রবিবার সকালের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক (Regent Park) এলাকায়। মৃতদের নাম বিজয় চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রাণু চট্টোপাধ্যায় ও তাঁদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়। মৃ্ত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রহস্য মৃত্যু…

    রিজেন্ট পার্কের ১৯৬/১ মহাবিষ্ণু অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোরে থাকতেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। পরিবারের কর্তা বিজয়। তিনি ব্যবসা করতেন। চট্টোপাধ্যায় দম্পতির মেয়ে ঐন্দ্রিলা আইনের ছাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও  স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় আসেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। তবে এলাকার কারও সঙ্গে তাঁরা বিশেষ মেলামেশা করতেন না। এই ছ মাসে কোনও আত্মীয়-স্বজনকেও তাঁদের বাড়িতে আসতে দেখা যায়নি। দিন চারেক ধরে ওই পরিবারের কাউকে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধও বের হতে থাকে। এতেই সন্দেহ গাঢ় হয় প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

    আরও পড়ুুন: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    এদিন সকালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ (Mysterious Death)। মৃতদেহ তিনটির পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক অনটনের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। বিজয়ের এক প্রতিবেশী বলেন, ওঁরা স্বামী-স্ত্রী প্রায়ই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কথা হয়নি কখনও। বাড়িতে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলেও শুনিনি। ফ্ল্যাটের আর পাঁচটা পরিবারের মতোই শান্তির জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, অবশ্য এই ছ মাসে কখনও কোনও আত্মীয়কে ওঁদের বাড়িতে আসতে দেখিনি। কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশাও করতেন না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসা ঠিকঠাক না চলায় আর্থিক সংকটে পড়েছিল ওই পরিবার। তাই আত্মহত্যার (Mysterious Death) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনজনে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • New Flyover: নিউ টাউন ও সেক্টর ফাইভকে জুড়তে নয়া ফ্লাইওভার, কবে খুলবে এই উড়ালপুল, জানুন…

    New Flyover: নিউ টাউন ও সেক্টর ফাইভকে জুড়তে নয়া ফ্লাইওভার, কবে খুলবে এই উড়ালপুল, জানুন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরবাসীদের জন্য ফের এক সুখবর! সূত্রের খবর, ২ মাসের মধ্যেই সল্টলেকের সেক্টর ৫ থেকে নিউটাউনকে সংযোগকারী একটি নতুন ফ্লাইওভার (New Flyover) খুলতে চলেছে। ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার চালু হলে বর্তমান ফ্লাইওভারগুলির ওপর চাপ কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকোর তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদই এটার কাজ সম্পন্ন হবে।

    সেক্টর ফাইভ ও নিউটাউন সংযোগকারী উড়ালপুল

    নিউ টাউন থেকে সল্টলেক পাঁচ নম্বর সেক্টর হয়ে কলকাতা যাওয়ার মূল রাস্তা একটিই। বক্স ব্রিজ দিয়ে সে পথে গাড়ি যাতায়াত করে। ওই রাস্তায় প্রতিদিন বাড়ছে গাড়ির চাপ। বিকল্প পথ রয়েছে, যেটি নিউ টাউনের বলাকা আবাসন থেকে এসে লোহার ব্রিজ পার হয়ে বিধাননগর পুর এলাকার মহিষবাথান দিয়ে গিয়ে পড়েছে রিং রোডে। তবে ওই লোহার সেতুটির অবস্থাও ভাল নয়। তাই সেটি ছোট গাড়ি এবং মোটরবাইকের জন্য খোলা আছে। ফলে সেখানেই নতুন সেতু করছে হিডকো। সূত্রের খবর, কেষ্টপুর খালের উপরে মহিষবাথানের কাছে রিং রোড থেকে বলাকা আবাসন পর্যন্ত যাবে উড়ালপুলটি।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৪): ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    সেক্টর ৫-এর পিছনের রিং রোডকে নিউটাউনের মেন রোডের দক্ষিণ-পূর্বের এক্সটেনশনকে সঙ্গে যুক্ত করবে নতুন ফ্লাইওভারটি। বিশ্ববাংলা গেটের কাছে নারকেলবাগান মোড়ে এই উড়ালপুলটি (New Flyover) এসে নামবে নিউটাউনে। এই ফ্লাইওভারটি চালু হলে বিমানবন্দর বা বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার থেকে শহরের দিকে যেতে এই নয়া ফ্লাইওভার (New Flyover) ব্যবহার করতে পারবেন গাড়িচালকরা।

    হিডকোর এক আধিকারিক বলেন, “উড়ালপুলটি হয়ে গেলে, বিমানবন্দর বা বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার থেকে শহরের দিকে যাওয়া গাড়ি চালকরা নারকেলবাগানে ডানদিকে মোড় নেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি এমএআর-এর দক্ষিণ-পূর্ব এক্সটেনশনে যেতে পারবেন। রাস্তাটি কেষ্টপুর খালের উপর দিয়ে সেতুতে নিয়ে যাবে, সেক্টর ভি-এর রিং রোডে।”

    ফলে এই উড়ালপুলটি শুরু হয়ে গেলে শহরবাসীদের জন্য তো সুবিধা হবেই। এই ফ্লাইওভারটি বিশেষ করে অফিসে যাতায়াতকারীদের জন্য খুব উপকারী হবে। তাঁদের যাতায়াতের জন্য অনেক কম সময়ও লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • Abduction: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ, মালদহে গ্রেফতার কিশোর

    Abduction: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ, মালদহে গ্রেফতার কিশোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণের (Abduction) অভিযোগ দ্বাদশ শ্রেণি পাঠরত এক কিশোরের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের একটি স্টেশনে জিআরপির (GRP) হাতে ধরা পড়ে যুগলে। নাবালিকাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় জিআরপি। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই কিশোরকে। ওই কিশোরের দাবি, তারা একে অপরের সঙ্গে এক বছর ধরে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ। যদিও নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। ছেলেটি তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

    অপহরণের অভিযোগ…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত এক কিশোরের সঙ্গে‌ অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ওই ছাত্রীর ভালোবাসার সম্পর্ক (Abduction) রয়েছে এক বছর ধরে। ওই কিশোরের দাবি, বিয়ে করবে বলে শনিবার তারা ঘর ছাড়ে। যদিও কিশোরীর পরিবারের দাবি, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে তাদের নাবালিকা মেয়েকে বাইকে করে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। রাত বারোটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের একটা স্টেশনে তাদের আটকায় জিআরপি। সেখানে নাবালক ছেলেটির মাসির বাড়ি। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ট্রেনে করে কিশোরীকে পঞ্জাব নিয়ে চলে যাওয়ার ছক কষেছিল ওই কিশোর। জিআরপি দুই পরিবারে খবর দিয়ে ছেলে মেয়েদের তাদের হাতে তুলে দেয়।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন, সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

    যদিও ওই কিশোরীর মা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কিশোরের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবেশী হিসেবে শুধু ছেলেটিকে চিনতো। কোনও রকম প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। শনিবার আমার মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় ছেলেটি বাইকে করে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঝাড়খন্ডে (Abduction) তার মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তারা। জিআরপি ধরতে না পারলে ট্রেনে করে আমার মেয়েকে পাঞ্জাব নিয়ে চলে যেত। যদিও কিশোরের দাবি, আমি ওকে অপহরণ করিনি। ওর সম্মতিতেই বিয়ের জন্য গিয়েছিলাম আমরা। প্রসঙ্গত, ভারতের আইন অনুযায়ী, ছেলে এবং মেয়ে দুইজনেই বিবাহযোগ্য নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • By Election: রাত পোহালেই সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন, সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

    By Election: রাত পোহালেই সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন, সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভার উপনির্বাচন (By Election)। পশ্চিমবঙ্গের সব রাজনৈতিক দলের নজর এখন এই বিধানসভা উপনির্বাচনের দিকে। কারণ কিছুদিন পরেই রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election )। তার আগে এটা যে একটা মহড়া হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সোমবার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই উপনির্বাচনে রয়েছে ২৪৫টি সাধারণ বুথ ও একটি অক্সিলিয়ারি বুথ। ১০০% বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    উপনির্বাচন…

    ২৪৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। থাকছে ২২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম, তিনটি এইচ আর এফ এস, তিনজন জোনাল ম্যাজিস্ট্রেট, ২২টি পুলিশ সেক্টর। সেগুলির পরিচালনায় থাকবেন একজন করে এ এস আই। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ সব জায়গাতেই একসঙ্গে যাবে। ফলে কোনও সমস্যা হলে ততক্ষণাৎ তা সমাধান করতে সুবিধা হবে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (By Election) ভোট কর্মী থাকছেন ১৩০০জন। মহিলা পরিচালিত বুথ থাকছে একটি। গরমের কারণে ভোটকর্মীরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন, তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে দেওয়া হয়েছে হেল্থকিট। ডিসিআরসি সেলে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে সব দিক থেকেই প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন সামলানোর জন্য বুথ পিছু দুজন করে লাঠিধারি পুলিশ থাকবে। আগামিকাল সকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হবে মকপোল। মানুষ ভোট দিতে পারবেন সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। রবিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে এই ২৪৬টি বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে লাগু হতে চলেছে ১৪৪ ধারা। থাকবে আগামিকাল ভোট (By Election) শেষ না হওয়া পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫জন। সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ২৯১জন। আশি বছরের উর্ধ্বে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ২৬৮জন। পি ডব্লিউ ডি ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৩২জন। ১৮-১৯ বছর বয়সী ভোটার রয়েছেন ৬ হাজার ২৫১জন। ২০১৬ সালে ভোটার টার্ন আউট ছিল ৮২.৭৪ শতাংশ। ২০২১ সালে ছিল ৭৮.৮২ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে এবার রাজভবনের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিরাপদ নন। তাঁর  কনভয়ে রাজ্য পুলিশের সামনেই হামলা হল। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”

    কী বললেন বিজেপি নেতারা?    

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলার বিষয়টি আমি মাননীয় রাজ্যপালকে জানিয়েছি। মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের এলাকায় সুরক্ষিত নন। তাহলে আইন শৃঙ্খলা কোথায় গিয়েছে? দিনহাটার ওসি দাঁড়িয়ে দেখেছেন। তাহলে এবার তো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একজন মন্ত্রী জেড ক্যাটাগরির পান, তাঁর সঙ্গে স্টেট পুলিশ আছে তা সত্ত্বেও যেভাবে বোমা ছোড়া হয়েছে তা উদ্বেগের।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    এই ঘটনায় সরাসরি পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অপদার্থ পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রী। ভারতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু হামলা নয়, পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে। পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।” এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল জড়িত অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করব।” ‘রাজ্যে ৩৫৬ জারির পরিস্থিতি রয়েছে’ বলে দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 

    প্রসঙ্গত, শনিবার দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিছিলে বোমা, গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের (College) অস্তিত্ব শুধু খাতায়-কলমে। নেই কোনও ভবন, নেই কোনও অফিস, নেই ক্লাসরুমও। কার্যত বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই! অথচ, ওই কলেজ থেকেই ফি বছর ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি (Degree) পেয়েছেন। সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁরা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাও হয়ে গিয়েছেন। এই রকম এক আধটা কলেজ নয়, ইডি-র (ED) আধিকারিকরা প্রায় ২ হাজার ডিএলএড (D L ED) এবং বিএড (B ED) কলেজের সন্ধান পেয়েছেন।

    ডিগ্রির কারবার…

    তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার প্রামাণ্য নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ভুয়ো কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন। ওই কলেজগুলিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কলেজ চালু করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই কলেজগুলির এনওসি পাওয়ার সময় যাঁরা পর্ষদ আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন রাজ্যে বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনই এই পথে কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেককে।

    আরও পড়ুুন: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়াও হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংই নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বালাই ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রার্থী পিছু ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। তাঁদের বলে দেওয়া হত, ক্লাস করতে হবে না। ছ’ মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হত। পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো উত্তরপত্র জমা পড়ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কোর্সের সময়সীমা শেষ হলে পড়ুয়াদের এসএমএস পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে বলা হত। সেখান থেকে হাতে হাতে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হত। কিছু কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে ‘পরীক্ষার হল’ বলে দেখাত। তারপর আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত। এই বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড কলেজগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এরকম কোনও কলেজ অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তাদের। তাদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো সহ নানা বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই এনওসি মেলে। এক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    ইডি-র (ED) আধিকারিকরা আরও জেনেছেন যে, নতুন কলেজের অনুমোদনের জন্য আবেদনের কপি তত্‍কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ত। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এনওসি দিয়ে দিতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই-ইডি নজরে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে লেনদেনে। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টের নমিনিতে থাকা নাম নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, গোপাল-হৈমন্তীর একাধিক শেল বা ভুয়ো সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা?

    তদন্তকারীদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। গোপালের কাজকর্ম সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গোপাল-হৈমন্তীদের শেল কোম্পানি গুলির মাধ্যমেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করা হত। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    নমিনি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    আরমানের অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly) নামের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে ‘আরমান ট্রেডিং’ নামক একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। তার পর ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পৌঁছেছে আরমানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। ঘটনাচক্রে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের সেই অ্যাকাউন্টের নমিনি আবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়! সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, গোপালেরই আর এক নাম আরমান। দুই নামে তাঁর দু’টি প্যান কার্ডের হদিসও মিলেছে।

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমান নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন গোপাল দলপতি। আর সেখানে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নমিনি করেছিলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টের নমিনি ছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    সন্দেহজনক লেনদেন

    আবার সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। নারিমন পয়েন্টে অফিস রয়েছে হৈমন্তী অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশনের। জানা গিয়েছে, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ টাকা গিয়েছিল এক সময়। আরেকবার হৈমন্তীর কাছে গিয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। গোপাল দলপতির নামে আরও ৫টি শেল কোম্পানির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্ত্রী তথা হৈমন্তীকে যতই ‘ইনোসেন্ট’ বলে দাবি করুক না কেন গোপাল দলপতি, তদন্তকারীরা আসল সত্য উদঘাটন করেই ছাড়বেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখন একটা নাম নিয়েই তোলপাড় রাজ্য। তা হল— হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন হৈমন্তীর নাম। তারপর থেকেই প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে হৈমন্তীর বিষয়ে। 

    কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, পেশায় মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তী (Haimanti Ganguly) হলেন এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী। হৈমন্তীর মা-ও একই কথা জানান যে, গোপালের সঙ্গে তাঁর বড় মেয়ে অর্থাৎ হৈমন্তীর বিয়ে হয়েছিল। যদিও, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোপাল ও হৈমন্তী একত্রবাস করতেন। অর্থাৎ, লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, হৈমন্তীর সঙ্গে টলিউড যোগসূত্র রয়েছে৷ মডেলিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু হৈমন্তী গুটিকয়েক সিনেমাতেও কাজ করেছেন৷

    এত সম্পত্তির উৎস কী?

    প্রশ্ন হচ্ছে, এই ছুটকো-ছাটকা কাজ দিয়ে কী করে একজনের এত সম্পত্তি হল? স্বাভাবিকভাবেই মনে ঘুরে-ফিরে আসছে এই দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রথম নারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসার পর থেকেই ভাগ্য ‘খুলে’ গিয়েছিল অর্পিতার। এখানেও তাহলে কেউ রয়েছেন হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) উত্থানের নেপথ্যে?

    সূত্রের খবর, মোট তিনটি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হৈমন্তী(Haimanti Ganguly)। অভিনয় করেন ‘অচেনা উত্তম’, ‘জাল’ এবং ‘আনটোল্ড লাভ’ নামে তিনটি চলচ্চিত্রতে। এর মধ্যে জাল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাকি দুটি বি-গ্রেড ছবি। জানা গিয়েছে, এক সিরাজ নামে কাঠ মিস্ত্রির কথায় ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে নার্সের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। ওই কাঠের মিস্ত্রির কথায় হৈমন্তীকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন টলিউডের এক নামী পরিচালক। কিন্তু, কাজের দ্বিতীয় দিনেই প্রযোজকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে বাদ দিয়ে দেন পরিচালক। 

    আবার অন‌্য একটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন হাওড়ার এক লোহালক্কড়ের ব‌্যবসায়ীর হাত ধরে। দু’জনই হাওড়ার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একে অন্যের পরিচিত। সেই সূত্র ধরে ওই ছবির পরিচালকের কাছে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নিয়ে আসেন ব‌্যবসায়ী। পরিচালক ওই ব‌্যবসায়ীর অনুরোধে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দেন। কিন্তু, এই তিনটে ছবি ও সামান্য মডেল হয়ে, কোথা থেকে পেতেন এত টাকা, সেখানেই দানা বাঁধছে প্রশ্ন। 

    উল্কাবেগে উত্থান

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সালে গোপালের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সময় হৈমন্তী উঠতি মডেল হওয়ায় সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না। এদিকে, তাপস মণ্ডল থেকে শুরু করে কুন্তল ঘোষের মতো একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল গোপালের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গোপালের সঙ্গে পরিচয়ের পর রকেটের গতিতে উত্থান হয় হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে টলিউডে জায়গা করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে শুরু করেন এই মডেল-অভিনেত্রী। হৈমন্তী রীতিমতো নিজের বিনোদন সংস্থা খুলে বসেছিলেন। বেহালায় সেই অফিস রয়েছে। কর্ণধার হিসেবে রয়েছে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম, যিনি কিনা গোপাল দলপতি নামেও পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, সিনেমাতে প্রযোজক হিসেবে নাকি টাকাও ঢালতে চেয়েছিলেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। তদন্তকারীদের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় সিনেমা প্রযোজনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। গোয়েন্দাদের মতে, এসএসসি দুর্নীতির বিপুল টাকা ওই বিনোদন সংস্থার মাধ‌্যমে যেমন পাচার হয়েছে, তেমনই ওই সংস্থাটির মাধ‌্যমে হৈমন্তী কিছু গানের ভিডিও বা ছবিও তৈরি করার চেষ্টা করেন। আবার সংস্থাটি কোনও সিনেমার প্রযোজনা করেছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। 

    মিলল শেয়ারের কাগজ

    বেহালা, টালিগঞ্জে ফ্ল্যাটের সন্ধান ইতিমধ্যেই মিলেছে। এছাড়া, বেহালা ও বিবাদি বাগে দুটি অফিসের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। মুম্বইতেও একটি সংস্থা রয়েছে, যার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। নরিম্যান পয়েন্টে তার একটা দফতর রয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী। স্বামীর কাজকর্মের সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    শুধু তাই নয়। গতকাল, হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে আস্তাকুঁড় থেকে কিছু কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটি কাগজ ছিল শেয়ার কেনার আবেদনপত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৩ সালে একটি আর্থিক সংস্থার ২ লক্ষ শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করেছিলেন হৈমন্তী। যার দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। আবেদনপত্রে পেশা হিসাবে ‘ব্যবসা’র কথা লিখেছিলেন তিনি।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় করা? হৈমন্তীর এই বিপুল অর্থের উৎস সন্ধানে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share