মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় ভারত। কোনওভাবেই সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোষ করতে নারাজ মোদি সরকার। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী (CT) অভিযানে দ্রুত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জরুরি ক্রয় (Emergency Procurement – EP) ব্যবস্থার আওতায় মোট ১,৯৮১.৯০ কোটি টাকার ১৩টি প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদিত করা হয়েছে। এই চুক্তিগুলি প্রতিরক্ষা বাজেটে অনুমোদিত মোট ২,০০০ কোটি টাকার অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই জরুরি চুক্তিগুলি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সেনার তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। শত্রু দমনে তারা সক্রিয় হয়ে উঠবে।
চুক্তির আওতায় যে প্রধান সরঞ্জামগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলি হল
ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেম (IDDIS)
লো লেভেল লাইটওয়েট রাডার (LLLR)
ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) – লঞ্চার ও মিসাইল
রিমোটলি পাইলটেড এরিয়াল ভেহিকেল (RPAVs)
লুইটারিং মিউনিশন (সামরিক ড্রোন) সহ ভিটিওএল সিস্টেম
বিভিন্ন ধরণের ড্রোন
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বেলিস্টিক হেলমেট
হেভি ও মিডিয়াম ক্যাটেগরির কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিকেল (QRFVs)
রাইফেলের জন্য নাইট সাইট
আত্মনির্ভর ভারতই লক্ষ্য
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ক্রয়গুলি ৮০% এর বেশি দেশীয় উপাদানসম্পন্ন। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে।এর আগে, ২৩ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড (SDAL) এর কাছ থেকে প্রায় ৪৫০টি নাগাস্ত্র-১আর লুইটারিং মিউনিশন ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে। এই নাগাস্ত্র ১-আর সিস্টেমটিতে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা ও রাত্রিকালীন অভিযানের জন্য থার্মাল ক্যামেরা সংযুক্তির সুবিধা। এটি ভিডিও ও টেলিমেট্রি যোগাযোগে নিজস্ব এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই মিউনিশন সিস্টেমগুলি লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির কাছে বাবিনায় সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকর ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সরঞ্জামের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
Leave a Reply