Meenakshi Jain: ইতিহাসবিদ মীনাক্ষি জৈনকে রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি, চেনেন এঁকে?

Meenakshi jain historian nominated to rajya sabha

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ডঃ মীনাক্ষি জৈনকে (Meenakshi Jain) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করেছেন। মীনাক্ষি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্গী কলেজে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভারতীয় সভ্যতা, ধর্ম ও রাজনীতির ওপর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। রাজ্যসভায় তাঁর মনোনয়ন (Rajya Sabha) স্বদেশি দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ইতিহাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার দেয়। তাঁর রচিত কিছু পাঠ্যপুস্তক স্কুলের পাঠ্যক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মীনাক্ষির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

মীনাক্ষি কাজ করেছেন নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চের সিনিয়র ফেলো। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র হল মধ্যযুগ এবং প্রারম্ভিক আধুনিক ভারতের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিকাশ। মীনাক্ষির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে দেবতাদের অপসারণ ও মন্দিরের পুনর্জন্ম, রামের জন্য যুদ্ধ: অযোধ্যায় মন্দিরের মামলা, সতী: ইভানজেলিকাল, ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি ও ঔপনিবেশিক কথনপদ্ধতির পরিবর্তন (২০১৬), রাম ও অযোধ্যা (২০১৩) এবং সমান্তরাল পথ: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ (১৭০৭–১৮৫৭) (২০১০)।

অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়েও কাজ

মীনাক্ষির অযোধ্যার রাম মন্দির সংক্রান্ত কাজগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নিখুঁত গবেষণালব্ধ তথ্যের মাধ্যমে তিনি রোমিলা থাপার এবং ইরফান হাবিবের মতো বামপন্থী ইতিহাসবিদদের দ্বারা প্রচারিত প্রতিষ্ঠিত বাম ঘরানার বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রাতিষ্ঠানিক খণ্ডন করেছেন। এঁরা অযোধ্যার রাম মন্দিরের মতো জাতীয় ও সভ্যতাগত গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে ইতিহাস বিকৃত করেছিলেন। তাঁর এই গবেষণামূলক কাজগুলি ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পথ প্রশস্ত করে, যেখানে বলা হয়েছিল, অযোধ্যায় জন্মভূমিতে ঐতিহাসিকভাবে একটি রাম মন্দির ছিল (Meenakshi Jain)।

রাম মন্দির নিয়ে লেখা তাঁর গ্রন্থে মীনাক্ষি তুলে ধরেছেন কীভাবে তথাকথিত বাম ঘরানার ইতিহাসবিদরা সত্যকে বিকৃত করেছেন এবং কীভাবে ঐতিহাসিক দলিল ও সরকারি নথিপত্রকে জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও ব্রিটিশ শাসকরা নিজেরাই এই জায়গাকে ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবে (Rajya Sabha) চিহ্নিত করেছিল। প্রসঙ্গত, মীনাক্ষির সর্বশেষ বই “বিশ্বনাথ রাইজেস অ্যান্ড রাইজেস” (২০২৪)। এই বইয়ে তিনি লিখেছেন কাশীর ইতিহাস (Meenakshi Jain)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share