Blog

  • Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

    Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

     এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?

    কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি কি বলো?

    মাস্টার- আজ্ঞা আমারও তাই মনে হয়। যেমন চৈতন্যদেব ছিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- পূর্ণ না অংশ? না কলা? ওজন বলোনা।

    মাস্টার- আজ্ঞে ওজন বুঝতে পারছি না। তবে তাঁর শক্তি অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি তো আছেনই।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- হ্যাঁ চৈতন্যদেব শক্তি চেয়েছিলেন (Kathamrita)।

    ঠাকুর কিন্তু চুপ করিয়া রহিলেন। পরেই বলিতেছেন- কিন্তু ষড়ভুজ

    মাস্টার ভাবিতেছেন। চৈতন্যদেব ষড়ভূজ হয়েছিলেন। ভক্তরা দেখিয়াছিলেন ঠাকুর একথা উল্লেখ কেন করিলেন!

    (পূর্বকথা- ঠাকুরের উন্মাদ ও মার কাছে ক্রন্দন, তর্ক বিচার ভালো লাগেনা)

    ভক্তেরা অদূরে ঘরের ভেতর বসিয়া আছেন। নরেন্দ্র বিচার করিতেছেন। রাম সবে অসুখ থেকে সেরে এসেছেন। তিনিও নরেন্দ্র সঙ্গে (Kathamrita) ঘোরতর তর্ক করছেন। ঠাকুর দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

    মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

  • India Job Market: চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার, বলছে ইপিএফও-র তথ্য

    India Job Market: চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার, বলছে ইপিএফও-র তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই চাঙা হচ্ছে ভারতের চাকরির বাজার (India Job Market)! ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই ইপিএফওয় (EPFO) যুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি নয়া সদস্য। একটি নির্দিষ্ট বয়সের গ্রুপের ছেলেমেয়েরাই এর একটা বড় অংশ।

    ইপিএফওয় নয়া সদস্য (India Job Market)

    জানা গিয়েছে, ইপিএফও (কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা) ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ১৯.১৪ লাখেরও বেশি সদস্য যুক্ত করেছে। এটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসের তুলনায় ৩১.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের। রবিবারই মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে এই সব তথ্য। এ মাসে ইপিএফওতে ৮.৪৯ লাখ নতুন সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন, যা চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১২.৪৯ শতাংশ বেশি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, এই নতুন সংযোজনের মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের সংখ্যাই সর্বাধিক, যা এপ্রিল মাসের মোট সংযোজনের ৫৭.৬৭ শতাংশ। ১৮-২৫ বছর বয়সী নতুন সদস্যদের সংখ্যা মার্চ ২০২৫ এর তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.০৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, ১৮-২৫ বছর বয়সী গোষ্ঠীর নিট পে-রোল (বেতনভুক কর্মচারী) সংযোজন হয়েছে প্রায় ৭.৫৮ লাখ, যা মার্চ মাসের তুলনায় ১৩.৬০ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে। ইপিএফও-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আগের প্রবণতার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা নির্দেশ করে যে সংগঠিত কর্মক্ষেত্রে যোগদানকারী অধিকাংশ ব্যক্তি যুবক, প্রধানত প্রথমবারের মতো চাকরি খুঁজছেন (India Job Market)।

    নিট পে-রোল সংযোজন

    ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় নিট পে-রোল সংযোজন ১.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং কর্মচারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে। এটি সম্ভব হয়েছে ইপিএফও-র কার্যকর প্রচারমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে। মন্ত্রকের দাবি, “নতুন সদস্য সংখ্যার এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বাড়তে থাকা চাকরির সুযোগ, কর্মচারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইপিএফও-র সফল প্রচারমূলক কর্মসূচি।” জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২.৪৫ লাখ নতুন মহিলা সদস্য ইপিএফওয়  যোগ দিয়েছেন। মার্চ মাসের তুলনায় বেড়েছে ১৭.৬৩ শতাংশ। এই এপ্রিলেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য ফের ইপিএফওয় যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রকের বক্তব্য (EPFO), “১৫.৭৭ লাখ সদস্য, যাঁরা আগে ইপিএফও থেকে সরে গিয়েছিলেন, তাঁরা এপ্রিল ২০২৫-এ ফের যুক্ত হয়েছেন (India Job Market)।”

  • Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলনকে (Murugan Conference) ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তামিলনাড়ুতে। পুলিশ বেশ কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে এই সম্মেলন করার অনুমতি দিয়েছে। এতদিন যে অনুষ্ঠান হত ১১ দিন ধরে, সেটাই এবার শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন দিনে।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা (Murugan Conference)

    বিজেপির তামিলনাড়ু রাজ্য সভাপতি নাইনার নাগেন্দ্রন বলেন, “মাদুরাইয়ে তামিল দেবতা মুরুগনের জন্য অনুষ্ঠিত বিশাল সম্মেলনের বিষয়ে আদালত ন্যায়বিচার করেছে।” রাজ্যের শাসক দল ডিএমকের বিরুদ্ধে এই অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগও করেন তিনি। নাগেন্দ্রন বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা হয়তো ডিএমকে সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাইনি, কিন্তু আমরা আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এটি একটি বিরাট সাফল্য।” প্রসঙ্গত, মুরুগা বকথারগালিন আনমেগা মান্ডু (মুরুগা ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন) নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তামিলনাড়ু পুলিশ এতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। ১৩ জুন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ এই সম্মেলনের অনুমতি দেয়।  তবে হিন্দু মুনানিকে মাদুরাই পুলিশ নির্ধারিত শর্তগুলি মেনে চলার নির্দেশ দেয়।

    সম্মেলনে যোগ হেভিওয়েটদেরও

    বিজেপির সমর্থনে এই সম্মেলনের আয়োজন করে দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু মুনানি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন (Murugan Conference)। তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মুরুগার ছ’টি মন্দিরের (স্থানীয়ভাবে “আরুপাডাই ভীডু” নামে পরিচিত) অনুকরণে নির্মিত মন্দির দর্শনে বহু মানুষ ভিড় জমান। তামিল দেবতা মুরুগনের সম্মানার্থে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ, প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই এবং বিজেপির জোটসঙ্গী ও তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে।

    বক্তৃতা দিতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, “কিছু গোষ্ঠী আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করে। একে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে। এরা অচিরেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।” আন্নামালাই বলেন, “আজ মাদুরাইয়ে আমাদের মতাদর্শের সম্মেলনে পাঁচ লাখ মানুষ এসেছেন। তাঁরা জানেন, তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজবেন, তাও এসেছেন। এটি শাসক দলের জন্য একটি সতর্কবার্তা (Murugan Conference)।”

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll Results) বলি এক নাবালিকা। পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা (Updates)। চার রাজ্যের ৫টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার। ফল বের হয় ২৩ জুন, সোমবার। এদিন বাংলার কালীগঞ্জ আসনেও ভোটের ফল বেরিয়েছে। ভোট গণনা চলাকালীন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর নয়েকের এক ছাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বড়চাঁদগড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই নাবালিকা জখম হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আলিফা আহমেদ। বছর আটত্রিশের আলিফা এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে।

    কী বলছেন মৃতের মা

    স্থানীয়দের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এদিন ভোট গণনায় তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই মেলেন্দি এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। ওই বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। সেই সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই নাবালিকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তামান্না খাতুন নামের ওই ছাত্রীর। বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের ছোড়া বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল রক্তপাত ছাড়া ভোটে জিততে পারে না।” তাঁর (Assembly Bypoll Results) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এটাই জয়ের মূল্য?” তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তামান্নার মা-ও। মৃতের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কারা বোমা ছুড়েছে, আমি দেখেছি। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না জানলেও, সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।”

    কোন কেন্দ্রে কে জয়ী

    এদিন অকাল বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে গুজরাটের কাদি এবং বিসাবদর কেন্দ্রের, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রে এবং কেরলের নীলম্বুর কেন্দ্রে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম আসনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আপ প্রার্থী সঞ্জীব অরোরা। নীলাম্বুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন (Updates) কংগ্রেসের আর্যদান শৌকথ। গুজরাটের দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির কিরীট প্যাটেল ও রাজেন্দ্র চাভদা (Assembly Bypoll Results)।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিজেপি (BJP MLAs Suspended) বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সেই কারণে রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া বিধায়করা। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ওই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন অশোক লাহিড়ি।

    অশোকের বক্তব্য (West Bengal Assembly)

    তিনি বলেন, “কোন আইনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল, তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে।” অধ্যক্ষের বদলে এর জবাব দিতে শুরু করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মনোজ। তাঁকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনোজ এবং অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন এবং শঙ্কর ঘোষকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

    কী বললেন শঙ্কর

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগে মনোজ টিগ্গা, দেবলীনা হেমব্রম, আবদুল মান্নানদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও আমাদের হাসপাতালে পাঠাতে চায়। মার্শাল দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হল! বাংলার এই অপশাসন থেকে যদি মুক্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বিজেপি কর্মীই নই।” তিনি বলেন, “ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে (BJP MLAs Suspended)। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে (West Bengal Assembly)। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।”

    তুমুল হট্টগোল

    জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্করকে ‘মেনশন’ পর্বে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই স্পিকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। এই সময় স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, এই সময় কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। তার পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি অধিবেশনের জন্য বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

    ডাকা হল মার্শাল

    সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দিতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার। সেই সময় বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলির চোটে বিধানসভা কক্ষেই পড়ে যান বিধায়ক শঙ্কর। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (West Bengal Assembly)। এরই মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন অরূপ এবং বিজেপি বিধায়করা। এই হট্টগোলের মধ্যেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। তিনি নিশানা করেন পদ্ম শিবিরকে (BJP MLAs Suspended)। এই সময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রাখেন বিজেপি বিধায়কদের। আলোচনা শুরু হয় নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে।

    আসরে শুভেন্দু

    বিধানসভায় যখন এই সব কাণ্ড চলছে, তখন বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Assembly)। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের একটি কর্মসূচিতে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের খবর পেয়ে বিধানসভায় চলে আসেন তিনি। এরপর পুরো ঘটনাটি শোনেন বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে। তারপর তিনি বিধায়কদের ভাঙা চশমা, ঘড়ি নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় শুভেন্দুকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন অধ্যক্ষ। সে কথা কানে না তুলে নিজের বক্তব্যই পেশ করতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal Assembly)। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের হাতে তখন ধরা, ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ লেখা পোস্টার (BJP MLAs Suspended)।

    বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “সিকিউরিটি মার্শাল আমাকে গোল করে ঘিরে রেখেছিল। ২০ জন মহিলা সিকিউরিটি দিয়ে সার্কেল করে রাখা হয়। ওরা চেয়েছিল আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি। কিন্তু হাতদুটো ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম, হাত বের করব না। ১৫ মিনিট ধরে ধর্না চালিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করা হয়েছিল মনোজকে।

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

LinkedIn
Share