Blog

  • State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেট যদি জনমুখী না হয়, তাহলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য বাজেট পেশের আগেই এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট (State Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন। 

    ভাল বাজেটের প্রত্যাশা

    শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভালো বাজেট (State Budget 2024) আশা করব। আশা করব যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণা করা হবে। আশা করব আশা কর্মী থেকে অস্থায়ী কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ, সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সম কাজে সম বেতনের মাধ্যমে সকলের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ঘোষণা করা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে।’’ রাজ্য বাজেটে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও রান্নার গ্যাস সাড়ে চারশো টাকায় পাব। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের যে কর রাজ্য সরকার নিচ্ছে সেটা নেবে না। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী সমস্ত শূন্য পদ পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা এও আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক অধ্যাপক থেকে অন্যান্য শিক্ষা কর্মীদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করা হবে এই রাজ্য বাজেটে। উত্তর প্রদেশের মত যারা পেনশন পান তাদেরও স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হবে। জমিনীতি বদল করে শিল্প ও  বাণিজ্যমুখী বাজেট হবে। সিঙ্গুরের জমিতে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে।’’

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধিতা

    সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট (State Budget 2024) অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু, এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়নি। এই বিষয়টিকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জন্য যদি বাজেট পেশ না হয়, যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা, রাজনৈতিক আক্রমণ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। উচ্চ কণ্ঠে বিরোধিতা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে নয়া দিশা দেখাতে চলেছে দেবভূমি। বুধবার উত্তরাখণ্ডের বিধানসভায় (Uttarakhand) পাশ হয়ে গেল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় চার দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই অধিবেশন শুরু হয়েছিল। বুধবার ছিল তার শেষ দিন। এদিনই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার এই বিল পাশ করে। এবার রাজ্যপালের কাছে বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যপাল এই বিলে সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে এই বিল। 

    সমানাধিকারের আইন

    উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হওয়ার পরই একাধিক রাজ্য, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে পারে রাজস্থান সরকারও। এই বিল পাশের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘এই আইন সমানাধিকারের কথা বলে। এটি কারও বিরুদ্ধে নয়। এই আইন মহিলাদের জন্য, যাঁরা সমাজে পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হন। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, “এই বিল কারোর বিরুদ্ধে নয়, বরং সকলের মঙ্গলের জন্যই আনা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা এতে উপকৃত হবেন। বিবাহ, বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মতো বিষয়ে সকলকে সমান অধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ করে মহিলারা যে বঞ্চনার শিকার হতেন, তা এই আইন কার্যকর হলে দূর হবে।”

    আরও পড়ুন: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    কী আছে এই আইনে

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে সব ধর্মের মানুষের জন্য বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত এক এবং অভিন্ন আইন প্রচলনের কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সুপারিশের খসড়ায় ধর্ম নির্বিশেষে পুরুষদের বহুবিবাহ বন্ধ এবং একত্রবাস নথিভুক্ত করার আইনের কথা বলা হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী, যদি কোনও যুগল ‘একত্রবাস’ বা ‘লিভ-ইন’ করতে চান, তবে অবশ্যই পুলিশ বা জেলা আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে। আর যদি তাঁদের বয়স ২১ বছরের নীচে হয়, তবে বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন। ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘রেজিস্ট্রি বিবাহ’ বাধ্যতামূলকের কথা বলা হয়েছে এই বিধিতে। উত্তরাখণ্ডে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহুবিবাহ। বহুগামিতাও নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একই পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া সম্পত্তিতে পুত্র ও কন্যা সন্তানের সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকারের কথাও বলা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে ঘরছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরাম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কামানের গোলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের। জুন্টা সমর্থক সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের লড়াইয়ে পড়ে নাজেহাল সেখানকার বাসিন্দারা মায়ানমার ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    মায়ানমার প্রসঙ্গ

    বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।’’ বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে ইতিমধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমানহানা শুরু করেছে মায়ানমার বায়ুসেনা। পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশের বেশ কিছু জনপদে ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণও চলছে। ফলে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার। ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার–বান্দরবান এলাকার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমারের নাগরিকরা পালিয়ে চলে আসছেন দু’দেশেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

    দিল্লির মসনদে মোদিকেই চান হাসিনা

    মায়ানমার প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান, দুই দেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের মসনদে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ। হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। “

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পনেরো বছর এবং ভারতে মোদির দশ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ছাড়াও পরিকাঠামো বিনিময়ে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে।  দুই দেশ একে অপরকে তাদের বন্দর, রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের নেতৃত্বই তাই মনে করেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারতন্ত্র নিয়ে রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেন তিনি। সরাসরি নাম না করলেও, কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’ বলে এদিন রাহুলকে কটাক্ষ করেন মোদি। আগেও একাধিক বার রাহুলকে ‘যুবরাজ’, ‘শাহজাদা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘যুবরাজ’কে ‘স্টার্ট-আপ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু রাহুল ‘নন-স্টার্টার’ হয়ে রয়ে গেলেন বলে এদিন দাবি করেন মোদি (Narendra Modi)। 

    রাহুলকে খোঁচা

    বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে মোদি বলেন, “একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলে, তাহলে তো কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও পরিবার যখন রাজনৈতিক দল চালায় তখন সেটা পরিবারতন্ত্র। এর ফল ভুগছে দেশ।”  নাম না করে তিনি বলেন, “যুবরাজকে স্টার্ট-আপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নন-স্টার্টার হয়েই রয়ে গেলেন। উনি না কিছু তুলতে পারেন, না কিছু ছুড়তে।” ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যে ‘মহব্বত কি দুকান’ স্লোগান শুরু করেন রাহুল, সেই নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের ‘দুকান’ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বার বার একই পণ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    পরিবারতন্ত্রের পুজো

    গত সোমবারই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “অধীরবাবুকে (অধীর চৌধুরী) দেখে আমার কষ্ট হয়। পরিবারতন্ত্রের পুজো করতে হয় তাঁকে। কংগ্রেসে কোনও প্রতিভাবানদের স্থান নেই। একটা পরিবার দলের সব সিদ্ধান্ত নেয়।” এই প্রসঙ্গে তিনি নিশানা করেন রাহুল গান্ধীকেও। লোকসভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে মোদির খোঁচা, “একই প্রোডাক্ট বার বার লঞ্চ করতে গিয়ে কংগ্রেসের দোকানে তালা ঝোলার পরিস্থিতি এসে গিয়েছে।” এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনও পার করতে পারবে না কংগ্রেস।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো, তাঁদের গঠন নয় নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। নিজেদের বেতন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক সমাজের একাংশ, এমনই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার রাজ্য সরকারের সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত প্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “এই পদগুলো তৈরি হয়েছে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তারা রোজ কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। ওদিকে এই টানাপোড়েনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”  বিচারপতি বসুর কথায়, যারা এখন চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করছে চাকরি পেলেই তাদের ভোল বদলে যাবে। বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়ার আবেদন জানাবে। উৎসশ্রী, শুভশ্রী প্রকল্পে আবেদন করবে। বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। এবার শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, “ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।” ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের থেকে বেতন নিয়ে নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করছেন। নিজেদের পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে অতটা চিন্তা করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিনই রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। বালুচিস্তানে পরপর বিস্ফোরণে ২৮ জন নিহত, ৪০ জন আহত হয়েছে। রবিবার থেকে এই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০টির মতো হামলা হয়েছে। সিবি শহরে হামলাকারীরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি-সমর্থিত এক প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে। তাতেও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

    কোথায় বিস্ফোরণ ঘটেছে (Pakistan)?

    এদিন প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে বালুচিস্তানের (Pakistan) পিশিন জেলার খানোজাই এলাকায় নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকারের কার্যালয়ের বাইরে। মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে জখম হন ৩০ জনের বেশি। এনএ-২৬৫ আসনে লড়াই করছেন নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকর তাঁর দফতরের ঠিক সামনেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এরপর কিছু সময় পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। দ্বিতীয় হামলা হয় কিলা সইফুল্লা জেলার জামিয়াত উলেমা-এ-ইসলাম ফজলের দফতরের সামনে। উভয় হামলার লক্ষ্য ছিল নির্বাচনী প্রার্থীদের দফতর। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তি আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন।

    জরুরি অবস্থায় জারি

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পর পিশিন এলাকায় জরুরি অবস্থায় জারি করা হয়েছে। তবে যখন হামলা হয়েছিল সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না কাকর। ঘটনায় পর বালুচিস্তানের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

    কাকরের বক্তব্য

    পিশিনের নির্দল প্রার্থীর নেতা আসফান্দিসয়ার খান কাকর বলেছেন, “আমার দফতরের (Pakistan) বাইরে দাঁড়ানো একটি মোটর সাইকেলের থেকে বিস্ফোরণ হয়। দলের মোট আট কর্মী ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় দফতরে পোলিং এজেন্টদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছিল।” অপর দিকে বালুচিস্তানের এক মন্ত্রী বলেছেন, মোটর সাইকেলের মধ্যে করে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তাঁর আশা, আগামিকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ  দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কারা তদন্ত করবে, সিবিআই না রাজ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি এবং রাজ্য দু’পক্ষই। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত একটি নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। যার ফলে আপাতত সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত অন্তত এক মাস পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ইডির সওয়াল

    ইডি প্রথম থেকেই চেয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মে তারা কলকাতা হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, শুধু সিবিআই নয়, এই মামলার তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করা হবে। সেই সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য, দু’তরফেরই এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এ-ও জানিয়েছিলেন আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। 

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী  এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান,  সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি সিট গঠনের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত স্থগিত থাকবে। কোনও এফআইআরের উপরই তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানায় বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মঙ্গলবার সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির দাবি না মানায় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা করতে চেয়ে অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিনও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম-বিধায়করা।

    ধর্ষকদের শাস্তির দাবি

    কিছুদিন আগেই মালদা ও দিঘায় ঘটেছে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার এই নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে অধিবেশন মুলতুবি প্রস্তাব আনেন ২ বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার সকলকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া-বিধায়করা।

    নারী সুরক্ষা তলানিতে

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “শুধু জল বা রাস্তা নিয়ে কথা বলতে আসিনি। নারী সুরক্ষা তলানিতে ঠেকেছে। ধর্ষণ করে খুন নিয়ে বিচার হবে না আলোচনা হবে না।” তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হচ্ছে, শিশুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। বিধানসভায়ও আপনারা বলতে দেবেন না। তাহলে কীসের জন্য বিধানসভা রেখেছেন? সব বন্ধ করে দিন।” তাঁরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বয়কট করবেন তাঁরা। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিও দাবি করেছে বিজেপি। স্পিকারকে কালো পতাকাও দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলা ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব জমা করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন মালতি রাভা, সুমিতা সিনহা, চন্দনা বাউরি, শিখা চট্টোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ (Rohingya Infiltration) করেছে বিভিন্ন সময়ে, তা আগেই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। রোহিঙ্গারা যে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে, তা অনেক বার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তাঁদের দাবি যে নিছক গল্পকথা কিংবা কষ্টকল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলল এনআইএ রিপোর্টে।

    এনআইএর চার্জশিটে দাবি

    জানা গিয়েছে, মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে এ রাজ্যে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এনআইএ-র চার্জশিটেই এই দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে আরও দাবি (Rohingya Infiltration) করা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে মানবপাচার। এই পাচার চক্রের৩৬ জনের বিরুদ্ধে দু’রাজ্যের দু’টি মামলায় এনআইএ চার্জশিট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ জন বাংলাদেশি, একজন রোহিঙ্গাও। 

    মামলা দায়ের অসম পুলিশের

    ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। তার পরেই উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (মায়ানমারের মুসলমানরা)। এর পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই মামলায়ই অসমের এনআইএ আদালতে পেশ করা হয় ওই চার্জশিট। এনআইএর পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৩৬ জনকে। এরা পশ্চিমবঙ্গের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল ও যশোর দিয়ে এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশের আখাউড়া দিয়ে ভারতে ঢুকেছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভুয়ো নথি, ব্যাঙ্কের নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস।

    আরও পড়ুুন: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভালো কাজ ও উন্নত জীবন যাপনের টোপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হচ্ছে এ দেশে। কয়েকজন রোহিঙ্গা মহিলাকে বিয়ের নামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বয়স্ক পুরুষদের কাছে। পাচার চক্রের লোকজনই অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা (Rohingya Infiltration)।

    ভারতে রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে যে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অনেক আগেই দাবি করেছিল এনআইএ। এদের মূলে পৌঁছতে ১১টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল (Rohingya Infiltration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Fighter Get Legal Notice: উর্দিতে হৃতিক-দীপিকার চুম্বনদৃশ্য! ফের আইনি জটে ‘ফাইটার’

    Fighter Get Legal Notice: উর্দিতে হৃতিক-দীপিকার চুম্বনদৃশ্য! ফের আইনি জটে ‘ফাইটার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উর্দিতে গভীর চুম্বন হৃতিক-দীপিকার! তাঁদের অভিনীত সিনেমা ‘ফাইটার’কে এবার আইনি নোটিশ (Fighter Get Legal Notice) পাঠালেন বায়ুসেনার এক আধিকারিক। বায়ুসেনার পোশাককে অসম্মান করার এমন আচরণের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে রীতিমতো। সিনেমা মুক্তির পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। এর মধ্যেই বায়ুসেনার নজরে পড়েছে এই বিশেষ দৃশ্য। এমন দৃশ্য দেখিয়ে বাহিনীর কর্মীদের মানহানি এবং অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বায়ুসেনার ওই অফিসার।

    কী অভিযোগ করা হয়েছে (Fighter Get Legal Notice)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাইটার সিনেমায় হৃতিক এবং দীপিকার চুম্বনের দৃশ্য রয়েছে। দর্শক মহলে তাতে কোনও সমস্যা না থাকলেও অসমের এক বায়ুসেনার আধিকারিক উইং কমান্ডার সৌম্যদীপ দাস সিনেমার ওই দৃশ্যের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নোটিশ দিয়ে (Fighter Get Legal Notice) বলেন, “চুম্বনের সময় দুই অভিনেতাকেই বায়ুসেনার পোশাকে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্য বায়ুসেনা সম্পর্কে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। এই দৃশ্য বায়ুসেনার পক্ষে অনুপযুক্ত এবং অপ্রত্যাশিত। ব্যক্তিগত রোম্যান্টিক দৃশ্য প্রচারে সেনার প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মীদের মানহানি এবং অপমান করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

    ১২ দিন আগে মুক্তি পেয়ছিল ফাইটার

    যে ফাইটার সিনেমাটিকে নোটিশ (Fighter Get Legal Notice) দেওয়া হয়েছে, তা গত প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালেই মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালিত। এখনও পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে জানা গিয়েছে। সিদ্ধার্থ অবশ্য জানিয়েছেন, “দেশের একটা বড় অংশের মানুষ বিমানে সফর করেন না, তাই ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাধারণ দর্শক একাত্ম হতে পারেননি।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সিনেমায় জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত দুই বায়ুসেনার অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছন হৃতিক-দীপিকা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা এবং পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় সেনার অভিযানের প্রসঙ্গ রয়েছে। সিনেমার গল্পে জানা গিয়েছে, মূল গল্প সন্ত্রাসের হামলার পরের ঘটনা। সিনেমার গল্প যত এগিয়ে যায় প্রেম তত এগিয়ে গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share