Blog

  • Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে ফেল করে অন্যের অ্যাডমিট কার্ড জাল করে মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে বসতেই ধরা পড়ল পরীক্ষার্থী। এরপর ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তরপাড়া ভদ্রকালী হাইস্কুলে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উপস্থিত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Hooghly)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া (Hooghly) অমরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠে পড়ে ওই অভিযুক্ত পড়ুয়া। স্কুলের দশম শ্রেণির স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি সে। ফলে তার স্কুল থেকে তাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত স্কুলে যেতো না পড়ুয়া। কিন্তু আজ সোজা ভদ্রকালী হাই স্কুলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে পড়ুয়া। তার কাছে যে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেখানে রোল নম্বরের জায়গায় কালো কালি লাগানো ছিল। পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষকদের। এরপর এই স্কুল থেকে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে খবর দেওয়া হয়। এরপর স্কুলের পরীক্ষা সঞ্চালনার সঙ্গে যুক্ত পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

    অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল ভদ্রকালী (Hooghly) স্কুলে। সেখানে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত রায় এসে ওই ধৃত ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এরপর বলেন, “স্কুলে এই ছাত্রের উপস্থিতি অনিয়মিত। সবসময় স্কুলে আসে না। তার অ্যাডমিট কার্ডটি নকল। ফলে পরীক্ষার জন্য সে যোগ্য নয়। আর তাই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।”

    জেলা পরিদর্শকের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত ছাত্র টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি। তা পরীক্ষা কেন্দ্রে বসতে দেওয়া হয়নি।” অবশ্য ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করবে। পরীক্ষার প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় স্কুলে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: একা হাতে দলকে টানলেন যশস্বী, প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের রান ৩৩৬

    India vs England: একা হাতে দলকে টানলেন যশস্বী, প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের রান ৩৩৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (India vs England) বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না প্রমাণ করলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। রোহিত নিজে রান না পেলেও যশস্বী একাই দলকে টানলেন। ওপেন করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে তাঁর রান ১৭৯। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি রয়েছেন পাঁচ রানে। ভারতের সংগ্রহ ৬উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান। এদিন অভিষেক হয় রজত পাতিদারের।

    যশস্বীর যাদু

    এদিন শুরুতে রোহিত মাত্র ১৪ রানে আউট হয়ে গেলে ফের গুঞ্জন শুরু হয়, এই টেস্টেও কি ব্যর্থতা? রান পাননি শুভমন গিল (৩৪) ও শ্রেয়স আইয়ারও (২৭)। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন যশস্বী। প্রথমে পাতিদার (৩২), শ্রীকর ভরত (১৭), অক্ষর প্যাটেলকে (২৭) নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান যশস্বী। তিনি একার হাতে দলকে টেনে নিয়ে যান। যশস্বী জয়সওয়ালের দায়িত্বশীল শতরান ছাড়া বিশাখাপত্তনমের প্রথম দিনও রোহিত শর্মাদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার কার্যত শূন্য। 

    চেনা পরিবেশ অচেনা

    দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ইংল্যান্ডের স্পিনারদের সামনে ভারতীয় ব্যাটারদের অস্বস্তি প্রকাশ হয়ে গেল। লাল বলের ক্রিকেটে বিরাট কোহলিহীন ভারতের মিডল অর্ডার উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য। ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশেও মানিয়ে নিতে পারছেন না শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ারদের মতো ব্যাটারেরা। শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে ভারত যত রান করল তার অর্ধেকের বেশি এল যশস্বীর (অপরাজিত ১৭৯) ব্যাট থেকে। এদিন বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন ও টম হার্টলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইডি। রেশনের আটা বিলি ও চাল কেনা সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা সব ক’টি মামলা এবার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। হাইকোর্টে ইডির আবেদন, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে।

    কেন এই আবেদন

    ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্যের পুলিশের তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীকে ধরা তো দূর তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। উপরন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) ইডির অনুরোধ, রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির অভিযোগ রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগিয়েছে এক তরফা ভাবে। 

    আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    বিস্মিত ইডি

    বাংলায় রেশন সংক্রান্ত (Ration Scam) আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তারা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। রেশন কাণ্ডে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকেও খুঁজছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের ছ’টি মামলার মধ্যে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতায়। বাকি চারটি দায়ের হয় নদিয়া জেলায়। ইডি এই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার হাই কোর্টকে তারা জানিয়েছে, ‘‘মামলাগুলির কি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডি়জিকে চিঠি দিয়েছিল তারা। একই সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছিল ডিজিপিকে। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব আসেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! ভোটার লিস্টেও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “ডায়মন্ড হারবার, আলিপুর সহ গোটা রাজ্যের অনেক এসডিও এই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন।” সামনেই লোকসভার ভোট, আর কেবলমাত্র বিজেপি করার জন্য নাম বাদ পড়ল! তাঁর এই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার, মাটি পাচার, রেশন বণ্টন দুর্নীতি, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং আবাস দুর্নীতির পর এবার রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতির কথায় আরও একবার সরব হল বিজেপি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের সমর্থক-কর্মীদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার ভোটার লিস্ট থেকে বিজেপি কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তালিকায় নাম না থাকা ২৫ জন বিজেপি কর্মী। তিনি বলেন, “ভোটার লিস্টে বাদ যাওয়া সকলেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই কাজ বিডিও, এসডিও এবং জেলা শাসকের প্রত্যক্ষ মদতে সম্ভব হয়েছে। তাই আজ নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে গেলাম। রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এই কাজ  হয়েছে।”

    আর কী বললেন?

    রাজ্যে ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় এবার যে ধরনের কারচুপি ঘটেছে তাতে রাজ্য সরকারের বিডিও, চুক্তি ভিত্তিককর্মী, ডেটা এন্ট্রি অপারেটের একসঙ্গে মিলে গভীর চক্রান্ত করেছে। এটা পরিকল্পিত সংগঠিত অপরাধ। ভারতের কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এটাই হল ডায়মন্ড হারবার মডেল। রাজ্যের ৪২টি লোকসভার আসনের মধ্যে সব জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এইভাবে কোনও ভোটারদের নাম বাতিল করা যায় না। তাই যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের নাম লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কমিশননের কাছে আবেদন করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপরেই ঝাড়খণ্ডের বিশেষ আদালত হেমন্ত সোরেনকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল।

    বৃহস্পতিবারই কোর্টে তোলা হয় হেমন্তকে

    বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে (Hemant Soren) গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবারই রাঁচির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ইডির তরফ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয় হেমন্তকে। তবে বৃহস্পতিবার আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন জেএমএম নেতা। হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সদস্য হিসেবে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। বেঞ্চ তাঁর মামলা খারিজ করায়, শুক্রবার পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। 

    ৬০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাঁচিতে তাঁর বাসভবনে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ৭ ঘণ্টা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হেমন্তর গ্রেফতারির পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তখন বিধানসভায় পরিষদীয় দলের নেতা ঠিক করে চম্পাই সোরেনকে। প্রসঙ্গত, প্রথমে দিল্লির বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানেও চলে তল্লাশি। পরবর্তীকালে তাঁর বহু মূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারির সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে নগদ ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বহু নথিও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এক ছাত্রী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Midnapore Medical College) থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য মেডিক্যালে ভর্তির দুর্নীতির অভিযোগে আগেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দুই বিচারপতির রায়ের সংঘাতে বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যেই এই বহিস্কারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    মেডিক্যাল কলেজের বক্তব্য (Midnapore Medical College)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) অধ্যক্ষা মৌসুমি নন্দী জানিয়েছেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। ভর্তির সময় ছাত্রী নিজের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো দিয়েছিল। ইতিমধ্যে আইন মেনে কাজ শুরু হয়েছে।” আবার এই কলেজের মেডিক্যালের ছাত্রী সায়নী টুডু বলেছেন, “যে বা যারা জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কলেজে ভর্তি হিয়েছে তাদের সবার ভর্তি বাতিল হওয়া উচিত।”

    ছাত্রীর পরিবারে বক্তব্য

    কলেজ (Midnapore Medical College) সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি এলাকায়। ২০২৩-২৪ সালের শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। এখন তাকে ১ লক্ষ টাকা জমা করতে বলেছে কলজে। এই নির্দেশ পেতেই কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রী। ছাত্রী কিছু বলতে না চাইলেও তার বাবা জানায়, “মেয়ে কলেজের নির্দেশিকা পেয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    আদিবাসী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য

    এই জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্রের বিষয়ে তীব্র খব প্রকাশ করে আদিবাসী কল্যাণ সমিতি এবং ভারত জাকাত মাঝি পারগানার পক্ষ থেকে জানানো হয় আইনানুগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবার পারগানার নেতা শিবুলাল মুর্মু বলেন, “অবিলম্বে ওই ছাত্রীকে (Midnapore Medical College) গ্রেফতার করতে হবে। একই ভাবে যে প্রশাসনিক আধিকারিক এই শংসাপত্র দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

    মামলা হয়েছে হাইকোর্টে

    জাল জাতিগত শংসাপত্রের ব্যবহারে মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) ভর্তির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ইশিতা সরেন। বেশ কিছু নামও হাইকোর্টে জমা করেছেন এই মামলাকারী। এই নামের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি বাতিল হওয়া ছাত্রীর নামও রয়েছে। প্রত্যকের শংসাপত্রকে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁর সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, বিচারপতি সৌমেন সেনের রায়ে সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয়। এরপর মামলা যায় সুপ্রিমকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, বিগত ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

    প্রত্যহ সন্ধ্যায় গোনা হয় প্রণামী

    তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গড়ে দু লাখেরও বেশি রামভক্ত (Ram Mandir) এসেছেন মন্দির দর্শনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে চারটি বড় আকারের প্রণামী বাক্স রাখা হয়েছে। এগুলি রয়েছে দর্শন পথের সামনেই। যেখানে ভক্তরা তাঁদের দান করছেন। এর পাশাপাশি দশটি কম্পিউটারাইজ কাউন্টারও খোলা হয়েছে প্রণামীর জন্য। জানা গিয়েছে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগও করেছে এই ডোনেশন কাউন্টারগুলির জন্য। প্রণামী থেকে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাস্ট অফিসে জমা পড়ে প্রত্যহ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক প্রণামী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ গোনা হয় রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট-এর (Ram Mandir) অফিসে। এ কাজে লেগে রয়েছেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই হলেন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ৩ জন হলেন ট্রাস্ট এর সদস্য। প্রণামী গোনার কাজ সম্পন্ন হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতেই।

    ১১ দিনে পর্যটকরা ব্যয় করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি

    উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় থেকে ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে যেমন দেশীয় পর্যটক রয়েছে, তেমনি বিদেশের পর্যটকরাও রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির যথেষ্ট সফল, তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা গতকাল উঠে এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণেও। তিনি বলেন যে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Poonam Pandey Death: সারভাইক্যাল ক্যান্সারে প্রয়াত পুনম পাণ্ডে! কী করে বাঁচবেন এই মারণরোগ থেকে?

    Poonam Pandey Death: সারভাইক্যাল ক্যান্সারে প্রয়াত পুনম পাণ্ডে! কী করে বাঁচবেন এই মারণরোগ থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই সারভাইক্যাল ক্যান্সারে (Cervical Cancer) টিকাদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর শুক্রবার সকালেই এই মারণ রোগ কাড়ল নীল ছবির তারকা বিতর্কিত মডেল পুনম পাণ্ডের জীবন।  মাত্র ৩২-এই থেমে গেল পথচলা। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে পুনমের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তাঁর সহকারী। বৃহস্পতিবার রাতেই নাকি মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর।

    কী হয়েছিল পুনমের

    পুনমের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকেই তাঁর মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করেন অভিনেত্রীর ম্যানেজার। তিনি জানান, পুনম সার্ভিকাল ক্যান্সার (Cervical Cancer) অর্থাৎ জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। জনপ্রিয় মডেল ছিলেন পুনম। ২০১১ সালে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ভারত বিশ্বকাপ জিতলে তিনি নগ্ন হবেন। তার পরেই চর্চায় আসেন পুনম। বি এবং সি গ্রেড ছবিতেই বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যান্সার বেশি হয়, তার মধ্যে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয় এই রোগে। চিকিৎসকেরা বলেন, অল্প বয়সে টিকা দিলেই এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। আর সেই কারণেই জরায়ু-মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    কীভাবে চিনবেন সারভাইক্যাল ক্যান্সার

    চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ক্যান্সার (Cervical Cancer) খুব সহজে ধরা পড়ে না। ভিতরে ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন ধরা পড়ে, তখন দেরি হয়ে যায়। তাই এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি জেনে রাখা জরুরি। ওজন কমে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা, কোমরে একনাগাড়ে যন্ত্রণা— এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে সোজা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ২০ বছরের কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায় না। ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সি মহিলাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে বয়স ৬০-এর কোঠা ছুঁলেও হানা দিতে পারে এই মারণরোগ। তাই সাবধানতা জরুরি। রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এসব মেনে চলতেই হবে। যোনিতে কোনও রকম ব্যথা বা সমস্যা হলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত হাতে দা উঁচু করে দক্ষিণরায়ের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই চলল এক বৃদ্ধার। সেই সঙ্গে অবশেষে বৃদ্ধার কঠিন আক্রমণাত্মক চোখরাঙানিতে ভয়ে পালাল চিতাবাঘ। এভাবেই মৃত্যর মুখ থেকে রক্ষা পেলেন এই মহিলা। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতলে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সোনাখালি জঙ্গলে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    চিতাবাঘের মুখ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরলেন ৬৫ বছরের ফতেমা বিবি। ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সোনাখালির কাছেই আদরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাখালি জঙ্গলে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর ওপর হামলা করে একটি চিতাবাঘ। পাল্টা প্রতিরোধ করেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর হাতে ছিল একটি দা। তা দিয়েই চিতাবাঘের ঘাড়ে আঘাত করেন তিনি। এরপর ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় চিতাবাঘটি। কিন্তু পিছোলেও ফের একবার আক্রমণের চেষ্টা করে চিতাবাঘটি। কিন্তু আক্রমণাত্মক হয়ে বৃদ্ধা তাঁর হাতের দা উঁচু করলে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    ঘটনার কথা জানিয়ে বৃদ্ধা বলেন, “গরু নিয়ে ফেরার সময় জঙ্গল (Jalpaiguri) থেকে একটি চিতাবাঘ আচমকা আক্রমণ করে আমাকে আহত করে দিয়েছিল। আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আমার হাতে থাকা দা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নিজের দাঁত, নখ বের করে ক্রোধ দেখিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়। এরপর প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় এসে লোকের কাছে সাহায্য চাই। সেই সময় এক ব্যক্তি আমাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়।” অপরদিকে এই আহত বৃদ্ধার নাতনি আনজিনা বেগম বলেন, “মাঠে গরু নিয়ে আসার সময় চিতাবাঘ আক্রমণ করে। কোনও রকমে লড়াই করে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে এসেছেন আমার দিদা। তিনি খুবই অসুস্থ। ঘটনায় আমাদের এলাকায় তীব্র আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share