শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?
(মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।
(পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?
পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”
(ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)
পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।
শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): না কিগো, অত দূর?
মাস্টার: আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়। (ঠাকুরের হাস্য)
শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি): তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?
বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।
শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।
ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।
ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।
শ্রী রামকৃষ্ণ: তুমি কেমন করে ওই টুকুর ভিতর থাকো?
উপরের ঘরে গরম হয় না?
মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব গরম হয়।
শ্রী রামকৃষ্ণ: তাতে পরিবারের মাথার অসুখ। ঠান্ডায় রাখবে?
মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, বলে দিয়েছি নিচের ঘরে শুতে।
ঠাকুর বৈঠকখানার ঘরে আবার আসিয়া বসে আছেন ও মাস্টারকে বলিতেছেন— “তুমি এ রবিবারেও যাও নাই কেন?”
মাস্টার:আগে বাড়িতে তো আর কেউ নাই। তাতে আবার ব্যারাম, কেউ দেখবার নেই।
ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন।
সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত।
পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।
শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা।
তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন?
ও তো এসব কথা জানে না।