Blog

  • T20 World Cup Final 2022: পাক বধ! ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

    T20 World Cup Final 2022: পাক বধ! ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের থেকে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড (T20 World Cup Final 2022)। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পরে এ বার টি-২০ বিশ্বকাপও জিতল ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারাল ইংল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালে টস জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট হাতে পাঠালে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করতে পারলেন বাবর আজমরা। এরপর রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে গেলেন বাটলাররা। ২০১০ সালের পরে আরও এক বার ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালে পল কলিংউডের নেতৃত্বে প্রথমবার কুড়ির ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর এবার জস বাটলারের নেতৃত্বে ট্রফি জিতল ব্রিটিশ ব্রিগেড।

    স্বল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা

    আজকের ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিং করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। কম রানেরই লক্ষ্য ছিল। ফলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি বাটলারদের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান রান করেছিল ২০ ওভারে ১৩৭ রান। শুধুমাত্র অধিনায়ক বাবর আজম ৩২ এবং শান মাসুদ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।  ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিলেও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন আদিল রশিদ। আবার চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়েও ৩ টি উইকেট নিয়েছিলেন স্যাম ক্যারান। মাঝে শাহিন আফ্রিদি পাকিস্তানের সমর্থকদের কিছুটা আশার আলো দেখালেও তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল। কারণ ইংল্যান্ডের ইনিংসে ১৬তম ওভারের শেষ দুটো বল, যা করার কথা ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির। কিন্তু করতে হল ইফতিকার আহমেদকে। আর তারই হয়ত খেসারত দিতে হল আজ পাকিস্তানকে। চোটের কারণে মাঠেই থাকতে পারলেন না শাহিন।

    আরও পড়ুন: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    ব্রিটিশ ব্রিগেডের জয়

    অন্যদিকে ১৩৭ রানের জবার দিতে ব্যাট হাতে নামেন ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে স্টোকসের দুর্দান্ত পারফরমন্সের জন্যই আজকের এই জয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। প্রথমে ব্রুক (২০) এবং পরে মইন আলীকে (১৯) সঙ্গে নিয়ে দুটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। প্রথমে সল্ট ও পরে স্টোকসকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় রানের গতি। বাটলার নিজে ২৬ রানে ফিরে যান। ১৭ বলের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছয় করেন তিনি। এরপর সল্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্টোকস। সল্ট ফিরে গেলে প্রথমে ব্রুক ও পরে মঈন আলি সঙ্গ দেন স্টোকসের। শেষ পর্যন্ত মাঠে টিকে থেকে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেন স্টোকস। এক ওভার বেঁচে থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। স্টোকসের অর্ধশতরানেই দেশকে এনে দেন টি-২০ বিশ্বকাপ।

     

  • Prashant Kishor: ‘আমার কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই’, প্রশান্ত কিশোর কেন বললেন একথা?

    Prashant Kishor: ‘আমার কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই’, প্রশান্ত কিশোর কেন বললেন একথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি কেন ভোটে (Election) লড়ব? এসব নিয়ে আমার কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। বর্তমানে নিজের রাজ্য বিহার চষে বেড়াচ্ছেন আইপ্যাকের প্রতিষ্ঠাতা। যেই তিনি পথে নেমেছেন অমনি সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশান্তর পুরানো দল জনতা দল (ইউনাইটেড) (JDU)। ওই দলের নেতারা পিকে-কে ‘ধান্দাবাজ’ বলে তোপ দেগেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধেও পাল্টা তোপ দেগে চলছেন প্রশান্ত কিশোর। এহেন উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহে ইলেকশন স্পেশালিস্ট সাফ জানালেন, ভোটে লড়ার মতো বিষয়ে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই।

    কেন পদযাত্রা করছেন পিকে? 

    বিহারে ৩ হাজার ৫০০ কিমি দীর্ঘ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। প্রচার চালাচ্ছেন বিভিন্ন জেলায়। যাচাই করছেন জনমত। অদূর ভবিষ্যতে সেই জনমতের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করবেন প্রশান্ত কিশোর। জন সূরয নামে একটি সংগঠন গড়েছেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট। এই সংগঠনকে রাজনৈতিক দলের মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আয়োজন করেছেন কনভেনশনের। এরকমই একটি জেলা কনভেনশনে প্রশান্ত কিশোর সাফ জানিয়ে দেন, ভোটে তিনি দাঁড়াবেন না। তবে বিহারে বিকল্প রাজনৈতিক নেতা তৈরির প্রতিজ্ঞা করেছেন আইপ্যাক কর্তা।

    আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরকে কোনও অফারই দেওয়া হয়নি, সাফ জানাল নীতীশের দল

    এক সময় নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। পরে নীতীশ কুমারের সঙ্গে মনান্তরের জেরে নীতীশ-সঙ্গ ছাড়েন তিনি। এদিন প্রশান্ত বলেন, যেহেতু আমি নিজের স্বাধীন পথ বেছে নিয়েছি, তাই নীতীশ কুমার ও তাঁর দালালরা আমার ওপর অসন্তুষ্ট। জেডি (ইউ) নেতারা আমাকে তিরস্কার করতে পছন্দ করেন। তাঁদের উচিত নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করা যে আমার রাজনৈতিক বোঝাপড়া না থাকলে আমি দু বছর তাঁর বাসভবনে কী করছিলাম?

    আগেকার নীতীশ কুমারের সঙ্গে যে বর্তমানের নীতীশ কুমারের পার্থক্য রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কুমার (Prashant Kishor)। তিনি বলেন, ১০ বছর আগের তিনি (নীতীশ কুমার) আর আজকের নীতীশ কুমারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলের পরাজয়ের জন্য নৈতিক দায় স্বীকার করে তিনি নিজে তাঁর চেয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন। পিকে বলেন, আর এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য যে কোনও ধরনের আপস করতে রাজি তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ayodhya Mosque: অযোধ্যায় আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গড়ে উঠবে মসজিদ, আশাবাদী ট্রাস্ট

    Ayodhya Mosque: অযোধ্যায় আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গড়ে উঠবে মসজিদ, আশাবাদী ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। প্রস্তুতি শুরু মসজিদ নির্মাণেরও। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মসজিদ (Ayodhya Mosque) গড়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী মসজিদ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় অযোধ্যার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই সময়ই মন্দির থেকে কিছুটা দূরে মসজিদ গড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই মসজিদ নির্মাণের কাজই চলছে জোরকদমে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বেরর মধ্যেই ওই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা মসজিদ কমিটির।

    কী কী থাকবে মসজিদ চত্বরে?

    ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আতাহার হুসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা আশা করি প্রস্তাবিত মসজিদ (Ayodhya Mosque), হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন, লাইব্রেরি এবং রিসার্চ সেন্টারের নকশার শীঘ্রই অনুমোদন পাব। এই মাসের শেষের মধ্যেই অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওই অনুমোদন দেবে। তার পরেই দ্রুত শুরু হয়ে যাবে মসজিদ নির্মাণের কাজ। তিনি বলেন, ধন্নিপুর অযোধ্যা মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হবে যাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই। একই সঙ্গে মৌলভী আহমদউল্লা শাহ কমপ্লেক্সের পাঁচ একর জমিতে চলবে মসজিদের বাকি কাঠামো নির্মাণের কাজও।

    প্রসঙ্গত, ধন্নিপুর হল অযোধ্যার ফৈজাবাদ জেলার একটি গ্রাম। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সরকার সেখানে বাবরি মসজিদের বিকল্প মসজিদ (Ayodhya Mosque) তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দিয়েছিল। জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আতাহার হুসেন বলেন, ট্রাস্ট দ্রুত প্রস্তাবিত কাঠামোর কাজ শুরু করবে। প্রথমেই তৈরি হয়ে যাবে মসজিদটি (Ayodhya Mosque)। কারণ এটি আকারে ছোট। তিনি বলেন, যদিও কোনও ডেডলাইন এখনও স্থির হয়নি, তবুও আশা করা যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে এক বছরের মধ্যেই।

    আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    হুসেন জানান, মসজিদ (Ayodhya Mosque) চত্বরে যে হাসপাতালটি গড়ে উঠবে সেটি আত্মপ্রকাশ করবে ১০০ বেডের হাসপাতাল হিসেবে। পরে সেটি উন্নীত হবে ২০০ বেডের হাসপাতালে। কমিউনিটি কিচেনে প্রতিদিন হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। পরে লোকসংখ্যার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হবে দু হাজার। তিনি জানান, ট্রাস্ট একটি ইন্দো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ও লাইব্রেরি তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SC on Stray Dogs: পথ কুকুরদের খাওয়ালে দত্তক নিতে হবে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Stray Dogs: পথ কুকুরদের খাওয়ালে দত্তক নিতে হবে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বম্বে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, পথের কুকুরদের (Stray Dogs) যদি খাওয়াতেই হয়, তবে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। অন্য কোথাও খাওয়ানো যাবে না। অন্যথায় করা হবে জরিমানা। অক্টোবর মাসেই এমন নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    আরও পড়ুন: কম ভোটের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ দখল রিপাবলিকানদের 

    বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছিল?

    বম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি সুনীল সুকরে ও অনিল পনসারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানায়, “কেউ রাস্তার কুকুরকে খাওয়াতে বা যত্ন নিতে চাইলে, তবে নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে আবেদন করে সরকারি ভাবে কুকুরগুলিকে দত্তক নিতে হবে।” এই নির্দেশের ওপর এবার অন্তর্বর্তী কালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং জে কে মহেশ্বরীর বেঞ্চ। বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলে, কাউকে জোর করা যায় না যে, কুকুরদের খাওয়াতে গেলেই তাঁদের দত্তক নিতে হবে সেগুলিকে। বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। 

    শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, পথ কুকুরদের খাওয়ালেই, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় কুকুরকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটা দেখতে হবে। এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ কোনও উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তবে পশু প্রেমীদেরও সতর্কতা অবলম্বন করার। কোনও মতেই যেন সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়, তা তাদেরকেই নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতিরা আরও বলেন, পথ কুকুরদের খাওয়ানোর ফলে যদি আশপাশের মানুষজনের সমস্যা হয়, তাহলে যারা কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে রাখতে পারে প্রশাসন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

       

     

         

      
  • Covid Travel Advisory: বিমানে আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক! ইচ্ছে হলে পরুন, জানাল মন্ত্রক

    Covid Travel Advisory: বিমানে আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক! ইচ্ছে হলে পরুন, জানাল মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানে আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে করোনা ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে গেলে মাস্ক পরা জরুরি বলে জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এমনকি, ধূলো-বালি, ধোঁয়া ও নানান এয়ার ভাইরাস থেকে বাঁচতে  মাস্ক পরা উচিত।

    কোভিড-১৯ ঠেকাতে মাস্ক

    সংক্রমণ থেকে বাঁচতে, গত দু’বছর বিমানে উঠতে গেলে মুখে মাস্ক এবং ‘ফেস শিল্ড’ পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিছু কিছু বিমান সংস্থা বিমানে ওঠার আগেই যাত্রীদের এক বার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক, স্যানিটাইজারের পাউচ এবং ‘ফেস শিল্ড’হাতে ধরিয়ে দিত। কিন্তু দেশে প্রতিদিন এখন করোনার গ্রাফ নামছে। পথে-ঘাটে, বাসে-ট্রামে মাস্ক পরে এখন খুব কম লোকেই যাতায়াত করেন। স্কুল, কলেজেও এখন আর সবসময় মাস্ক পরতে দেখা যায় না। অফিসে মাস্ক খুলে কাজ করাটাই আবার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবার থেকে বিমান ভ্রমণে (Air Travel) মুখে মাস্ক (Mask) পরা আর বাধ্যতামূলক রইল না। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার (Centre) একথা জানিয়ে দিল। তবে যদি কেউ মাস্ক পরেন, তা তাঁর পক্ষেই ভালো বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। 

    বিমানযাত্রার বিজ্ঞপ্তি

    দেশে কোভিড (Covid 19) সংক্রমণের হার কমতে থাকায় বিমানে মাস্ক পরা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এদিন বিমান সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিমানেই এই সুপারিশ কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বিমান সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, উড়ানের আগে যে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়, সেখানে সমস্ত যাত্রীকে মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া যাবে। মাস্ক না পরলে কোনও জরিমানা বা অর্থদণ্ড কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন কথা বলা যাবে না।  প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বিমানযাত্রীদের মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    কোভিড-গ্রাফ নিম্নমুখী

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ০.০২ শতাংশ। আরোগ্যের হার ৯৮.৭৯ শতাংশ। যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরবর্তীকালে বিমান সেবক-সেবিকাদের পিপিই কিট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে সেই নির্দেশও প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এবার বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নিয়মও তুলে নেওয়া হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amazon Job Cuts: ভারতেও কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন! কতজন ভারতীয় চাকরি হারাতে চলেছেন?

    Amazon Job Cuts: ভারতেও কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন! কতজন ভারতীয় চাকরি হারাতে চলেছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার, মেটার গণছাঁটাইয়ের পর এবারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল অ্যামাজনও (Amazon Job Cuts)। কয়েকদিন আগেই এই খবর উঠে এসেছিল যে, অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস ইলন, জুকারবার্গের মতই কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। আর এই সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ছাঁটাই। সেই অনুমান মতই, শুরু হল কর্মী ছাঁটাই, প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। আর এবারে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব এসে পড়ল ভারতীয়দের উপরেও। কারণ জানা গিয়েছে, অ্যামাজন ভারত থেকেও একাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে।  

    অ্যামাজন ভারত থেকে কর্মী ছাঁটাই

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ১০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট থেকে এই কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হবে (Amazon Job Cuts)।। ইলন মাস্ক ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলে কর্মী ছাঁটাই করবেন এই খবর আগের থেকেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু অ্যামাজনের কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর আচমকা উঠে আসায় টেক মহলে ফের আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে (Amazon Job)। লাভ হচ্ছে না, তাই খরচ কমাতে ছাঁটাই করা হবে কর্মীদের। এমনটাই জানিয়েছিল ই-কমার্স জায়েন্ট অ্যামাজন (Amazon)।

    আরও পড়ুন: নোটিশ-ইমেল নয়, ট্যুইট করেই ছাঁটাই কর্মী, কেন এমন করলেন ইলন মাস্ক?

    আরও জানা গিয়েছে, যদি অ্যামাজনে ১০ হাজার কর্মীই ছাঁটাই করা হয়, তবে এটি এই সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। ফলে এই পরিমাণ ছাঁটাইয়ে ১৬ লক্ষ কর্মীর মাত্র ১ শতাংশই ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন। আর ভারতে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। ফলে ভারতে যদি ১০০ কর্মী বরখাস্ত করা হয়, তবে এর পরিমাণ অন্যান্য সব সংস্থা থেকে খুবই সামান্য (Amazon Job Cuts)।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারে প্রায় অর্ধেক কর্মী বরখাস্ত করা হয়েছে। আবার মেটাতেও প্রায় ১১ হাজার কর্মী বরখাস্ত করা হয়েছে। আবার ট্যুইটার ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই ছেঁটে ফেলেছে। মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৩০ ও মেটার কর্মী সংখ্যা ভারতে ৪০০, সেখানে অ্যামাজনের কর্মী সংখ্যা ১ লাখ। ফলে যে হারে বাকি সংস্থাগুলি ছাঁটাই করেছে, সেখানে অ্যামাজনের ছাঁটাইয়ের পরিমাণ খুবই কম (Amazon Job Cuts)। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটার-মেটার পর এবারে কর্মী ছাঁটাই অ্যামাজনেও! কাজ হারাতে পারেন কত জন কর্মী?

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অখিল-মন্তব্যের বিরুদ্ধে করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। তাঁর দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য, সংবিধানের অবমাননা। সংবিধানের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির প্রসঙ্গে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে অপরাধের সামিল। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তার এই মন্তব্য আদিবাসী সমাজকেও আঘাত করেছে। তার এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধুমাত্র এক লাইনে অ্যাপোলজি চেয়ে খান্ত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    মামলার শুনানি

    সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, অখিলের মন্তব্যে বিরুদ্ধে যে সব স্মারক লিপি জমা পড়েছে তার প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ-ও বলা হয়েছে, এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে এফআইআর হয়নি। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটা ডেপুটেশন জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে অনুসন্ধান চলছে। বুধবার আদলতের কাছে এক দিন সময় চেয়েছেন অখিলের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ফের হতে চলেছে ওই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করতে গিয়ে গত শনিবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। বাদ পড়েননি রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুও। অখিল গিরি বলেন, “আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?”

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    অখিল গিরির সমালোচনা

    এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন অখিল গিরি অন্যায় করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতিকে সন্মান করি। সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি। অখিলের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। অখিল এটা অন্যায় করেছে। আমি সমালোচনা করছি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Winter Superfoods: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    Winter Superfoods: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত আসলেই বাজারে দেখা যায় এই মরশুমের বিভিন্ন শাক-সবজি (Winter Superfoods), যা প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরী। ফলে শীতকালে ডায়েটে কিছু পরিবর্তনও আসে। আর এর ফলে শীতের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় বেশি করে নজর রাখা উচিত। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে কিছু বাধা-নিষেধ আছে। কারণ শীতকালীন সব সবজিই খেতে পারেন না তারা। তবে কিছু কিছু শীতকালীন খাবার আছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে বিভিন্ন সুপারফুড

    আমলকি

    আমলকি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি ক্রোমিয়ামে সমৃদ্ধ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার করে (Winter Superfoods)।

    বিটরুট

    পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইটোকেমিক্যালের মতো ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ বিটরুট রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এবং শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনারা নারকেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করে ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন (Winter Superfoods)। 

    বাজরা

    বাজরা দিয়ে তৈরি মজাদার খাবার উপভোগ করার সবচেয়ে ভালো সময় হল শীতকাল। এই শস্য ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং অন্যান্য শস্য ও শস্যের তুলনায় গ্লাইসেমিক সূচকে কম। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাজরা একটি উপযুক্ত খাবার হতে পারে (Winter Superfoods)।

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    গাজর

    গাজরে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য ফাইবার। এছাড়াও এটি চিনির নিঃসরণকে ধীর করতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মিশে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় গাজরকে স্যালাড হিসাবে কাঁচাও খেতে পারেন আবার গাজর আদার স্যুপ করেও খেতে পারেন (Winter Superfoods)।

    হলুদের শিকড়

    সাধারণত শীতকালে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। হলুদে পাওয়া সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি অত্যন্ত প্রদাহ বিরোধী। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে কারকিউমিন ইনসুলিন প্রতিরোধ, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপারলিপিডেমিয়া (উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড) নিয়ন্ত্রণ করতে পারে (Winter Superfoods)।

    কমলা

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয় এই ফল। এটিতে কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে শীতের ডায়েটে অনায়াসে অন্তর্ভুক্ত করা যায় (Winter Superfoods)।

    দারচিনি

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ দারচিনি রক্তে শর্করা ও ট্রাইগ্লিসারাইড ঠিক রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, এটি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও দারচিনি গ্লুকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইড উভয়ের মাত্রাকে স্বাভাবিক করে, ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Winter Superfoods)।

  • SSC Group D: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    SSC Group D: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment scam) মামলায় ফের একবার সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। এদিন গ্রুপ ডি (SSC Group D) মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শুধু উষ্মাপ্রকাশ করেই ক্ষান্ত হলেন না, একেবারে সিটের ২ সদস্যকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি, আনলেন নতুন চারজনকে। 

    কোন মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ?

    সন্দীপ প্রসাদ নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলার শুনানিতে গত বছর ২২ নভেম্বর গ্রুপ ডি (SSC Group D) মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার শুনানিতে উঠে আসে ৫৪২ জন বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন গ্রুপ ডি-তে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এদের সবাইকেই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুন সিট গঠন করা হয়।

    আরও পড়ুন: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    হাইকোর্ট সিবিআইকে জানায়, ছয় মাসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ৫৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কতজনকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উত্তরে, সিবিআইয়ের আইনজীবী ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বলেন, ১৬ জনকে। 

    এটা শুনেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, শুধুমাত্র ১৬!  ১৮ মে থেকে তদন্তে মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন? তখন সিবিআই আইনজীবী বলেন, সেপ্টেম্বরে মাদার সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত চলছে। কিন্তু বিচারপতি বলেন, এটা আপনার অবস্থান। এখনও ৫৪২ জনের ১০ কিংবা ৫ শতাংশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে ওঠেনি কেন? ৬ মাস অতিক্রান্ত। সিবিআই তদন্তের কিছুই করেনি। সিবিআই ৬ মাস পর কি করছে!

    কী নির্দেশ দিল আদালত?

    এরপরই, বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই মামলায় (SSC Group D) সিবিআই সিটের পুনর্গঠন করে দেবে আদালত। সেই মতো, সিবিআইকে তাঁর নির্দেশ ছিল, ৪ জন এমন আধিকারিকের নাম দিতে হবে যাদের ‘সিট’-এ নিয়োগ করা যায়। বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিবিআই ডিআইজির নেতৃত্বে তদন্ত হবে। আগামী ২১ দিনে ৫২৬ জন অবৈধভাবে নিযুক্ত গ্রুপ ডি চাকরি প্রাপকদের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ সিবিআইকে। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি সহ এসএসসি সব বেআইনিভাবে নিযুক্তদের ব্যাচে ব্যাচে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই, চায় আদালত। আদালতের নির্দেশ, যারা সহযোগিতা করবে না তাদের গ্রেফতার করুক সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এই প্রেক্ষিতে এদিন সিবিআই সিট পুনর্গঠন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন করে ‘সিট’-এ নিয়োগ করা হয়েছে, অংশুমান সাহা (ডেপুটি এসপি), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি (ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)। ২ অফিসারকে বাদ দিয়েছেন তিনি। তাঁরা হলেন, কে সি ঋষিনামল ও ইমরান আশিক। আদালতের নির্দেশ, এরা কোনওভাবেই এই সংক্রান্ত তদন্ত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার কেসি ঋষিনামল। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার ইমরান আশিক। এঁরা দুজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

    পাশাপাশি, সিবিআই ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’-এর প্রধান করা হয়েছে। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবেন না। এছাড়াও অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্ত করতে পারবে না সিবিআই। এছাড়া, তাঁকে আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যাবে না। ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব নেবেন অখিলেশ সিং। 

  • SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র সদনের পর এবারে কালীঘাট। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (SSC Job Protest)। ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে (Upper Primary Job Seeker Protest) উত্তাল কলকাতার রাজপথ। উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে কালীঘাটের (Kalighat) রাস্তায় বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু বেলা একটা বাজতেই পুলিশ এসে ফের আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। এরপর প্রত্যেকবারের মত এবারেও টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংলদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

    কালীঘাটে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আন্দোলনকারীরা কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মহিলাও ছিলেন।  দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একাটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই রকম আজও পথে নেমেছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে, সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়। তাতেই পুলিশ ও চাকরিপ্রার্থীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় (SSC Job Protest)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ চাকরিপ্রার্থীরা মূলত দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন তিনি। আর প্রতিবারের মতো এইবারও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে যে, এবার পুলিশ তাদের চিমটি দিয়েছে। আজকের এই বিক্ষোভ নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো শহর জুড়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন (SSC Job Protest)।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। দ্রুত চাকরির আশ্বাস চাই। এতদিন পর্যন্ত আমরা পথে বসেছি। আন্দোলন করেছি। আমরা যোগ্য। তাও কেন আমরা চাকরি পাব না?’ আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘দেখুন কী করছে ওরা। আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। ন্যায্য পথে আমরা আন্দোলন করছিলাম। তখন আমাদের পথ আটকায়।’ আরও এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। চিমটি কেটেছে। আঁচড়ে দিয়েছে। দেখুন কী অবস্থা করেছে। আমাকে চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে।’

    গত বুধবারের বিক্ষোভ

    ঠিক ৭ দিন আগে, এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। সেদিন রক্তও ঝড়ে। আবার অরুণিমা নামের এক আন্দোলনকারীকে কামড় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। আর এবারে চিমটি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।

LinkedIn
Share